নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি নামক দলটি এখন তাদের নিজস্ব সত্তা হারিয়ে ফেলেছে, আর নিজেদের সত্তা হারিয়ে এখন লন্ডনের একটি বিশেষ প্রাসাদসম বাড়ির কাছে জিম্মি হয়ে গেছে। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। আমি বিশ্বাস করি বিএনপি নামক দলটির ভেতরে একটি মহল আছে যারা নির্বাচনে আসতে চায়। আমি মনে করি বিভ্রান্তমূলক রাজনীতির দিকে বিএনপিকে ধাবিত করলে দলটির অবশিষ্টও থাকবে না, বিএনপি হারিয়ে যাবে।
নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন দল এবং বিএনপির অংশগ্রহণ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি জনগণের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। জনগণের আস্থা হারিয়ে তারা এখন যে কথা ও কাজগুলো করছে এবং যে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছে সে সিদ্ধান্তগুলো তাদের আত্মাহুতির সিদ্ধান্ত। বিএনপি নামক দলটি দেশে যে আন্দোলন করবে সে আন্দোলন করার মত অবস্থা তাদের নেই। বিএনপি কখনো জনগণকে আন্দোলনে আনতে পারে নি তার কারণ হল জনগণের কোন ইস্যু বিএনপির কাছে ছিলো না। জনগণ অত্যন্ত সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে আছে, দেশ শেখ হাসিনার নেতৃতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত একটি দেশ। কারো ক্ষমতা দখলের, ক্ষমতায় আরোহণের খায়েস পূরণের জন্য জনগণ কখনো এদেশে কোন আন্দোলন করে নাই।
তিনি আরো বলেন, যে নির্বাচন ব্যবস্থার কথা বলছেন সেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করার ক্ষমতা কারো নেই। তত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে পরিষ্কারভাবে নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমাদের দেশের নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত নিরপেক্ষ ও সুস্থ নির্বাচন করে, সে নির্বাচনে আশা করি বিএনপি নির্বাচনে আসবে। বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে তাদের রাজনৈতিক কবর রচিত হবে।
সর্ব দলের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি সকল দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিন্তু কেও যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে সেটি তার সিদ্ধান্ত। নির্বাচন কারো জন্যই অপেক্ষা করবেনা, নির্বাচন তার নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট গতিতে নির্বাচন কমিশন এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।