নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির আগে তো আমরা সংগঠনকে গতিশীল রেখেছি। আমাদের নির্বাচনী এজেন্ডা তো শুরু থেকেই থাকে। আমরা ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর থেকেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী দলের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, শান্তি, গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করেছেন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন প্রস্তুতি, বিএনপির অংশগ্রহণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য এস এম কামাল হোসেন এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে এস এম কামাল হোসেন বলেন, বিএনপি যেকোনভাবে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে। ২০০৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রায় ১ কোটি ২১ লক্ষ ভুয়া ভোটার করেছিলেন, ছাত্রদলের দেড়শ ক্যাডারকে নির্বাচন কমিশনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার করেছিলেন এবং নিজেদের লোককে প্রিসাইডিং অফিসার করেছিলেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই সেদিন ভোটার বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সংবিধান লঙ্ঘন করে পছন্দমতো লোককে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান করার জন্য বিচারপতিদের বয়স বৃদ্ধি করলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্র ছাড়া সুষ্ঠ নির্বাচন করে কখনোই ক্ষমতায় আসতে পারেনি। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সকল অপশক্তি বিএনপির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, ষড়যন্ত্র করেছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি কেন অংশগ্রহণ করলো এমন প্রশ্নে এস এম কামাল হোসেন বলেন, বিএনপি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে নির্বাচন করার জন্য যায়নি। নির্বাচন কমিশনের রেজিস্টারভুক্ত নয় এমন অনেক দলকেও গণভবনে ডেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বলেছেন। একটি নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য শক্তিশালী প্রতিপক্ষ থাকে। কিন্তু বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করার জন্য নির্বাচনে গিয়েছিল।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে এস এম কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচনে এখন কোথাও সংঘাত, রক্তপাত হয়না। মানুষ বিএনপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নিশ্চিত পরাজয় জেনেই তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এই পরিকল্পনা করেছে। ক্ষমতার পরিবর্তনের পথ কি? ক্ষমতার পরিবর্তনের পথ নির্বাচন। অন্য পথে ক্ষমতার পরিবর্তন আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে এবং জনগণের আস্থা, ভালোবাসা অর্জন করে আওয়ামী লীগ টিকে থাকতে চায়, জনগণের রায় নিয়েই তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। এই কারণেই আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য খাতের দায়িত্ব পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। গতকাল তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কেউই এই দায়িত্বে ছিলেন না। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে, আমরা সায়মা ওয়াজেদকে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশ তথা এদেশের জনগণের জন্য একটি বিরাট প্রাপ্তি। সায়মা ওয়াজেদ স্বাস্থ্য খাতে খুব অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিত্ব। আমরা জানি সে অনেক দিন ধরে সারা বিশ্বে অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলেরও সদস্য। তাছাড়া ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ‘অটিজম-বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, টিআইবি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ভূমিকা পালন করছে। টিআইবি এবং সিপিডি যারা করে এরা একই ঘরানার। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতু জনগণের অর্থায়নে করার ঘোষণা করেন সে সময় এরা বলেছিল বাংলাদেশে এটা অসম্ভব। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করলে অর্থনীতির একটা ধস নামবে, অর্থের অপচয় হবে। টিআইবি তো কোন সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভালো চোখে দেখে না। টিআইবি’র এখানে (বাংলাদেশ) যারা নেতৃত্ব দেন তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে মনগড়া বিবৃতি দেয়। তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝে না বরং তারা পিছনের দরজা দিয়ে কোনো রকম নিজের গাড়িতে একটি পতাকা লাগানো যায় কিনা সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে এবং এই স্বপ্নে বিভোর থাকে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে টিআইবি মনগড়া তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে হাজির করে জাতিকে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।