নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান বলেছেন, বিগত সময়ে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাতে আমরা দেখেছি যে এটি হঠাৎ করে নেয়া একটি সিদ্ধান্ত এবং আমি মনে করি না এই কার্যক্রম এখন পরিচালিত করার মতো প্রস্তুতি আমাদের আছে। আগামীকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে জন্মদিন, সেটিকে সামনে রেখে যে উদ্যোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে, সেটি যদি আরও আগে গ্রহণ করা হতো এবং প্রস্তুতি নিয়ে শুরু করতো তাহলে উদ্যোগটি ভালোভাবে পরিচালিত করা যেত। এতে একটা জিনিস বোঝা যাচ্ছে যে, তারা এই উদ্যোগটি ২৮ তারিখেই করতে চাচ্ছে এবং তারা বলছে যে ২৮ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে তারা এই ৮০ লক্ষ গণটিকা দেবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি এভাবে সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টি খুবই ভালো অবশ্যই। সম্মান প্রদর্শনের জন্য তারা আসলে এটা করছে।
আগামীকাল একযোগে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আগামীকাল করোনাভাইরাসের ৮০ লক্ষ ডোজ টিকা প্রদানের গণটিকা কার্যক্রম সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ডা. ইকবাল আর্সলান।
ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, অতীতে তারা এই পর্যন্ত সর্বোচ্চ যে টিকা দিয়েছিলেন, সেটি হচ্ছে ৩০ লক্ষ। গণটিকা দেয়ার সময় যে অব্যবস্থাপনা, মানুষের দুর্ভোগ, হয়রানি ইত্যাদি আমরা যা পর্যবেক্ষণ করেছি, এতে আমি মনে করি না যে এই মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তাই যদি হতো, তাহলে এই ঘোষণাটি আরও আগেই আসতো। যেহেতু হঠাৎ করে আগের দিন এই ঘোষণাটি এলো এবং কোনো প্রস্তুতি ছাড়া জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হলো, এই কর্মসূচি দ্বারা মানুষের হয়রানি করাটাকে আমি মনে করি না কোনো ভালো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সরকারের সর্বোচ্চ সক্ষমতা ছিল ৩২ লাখ। সেখানে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বলছে ৭৫ লাখ আবার সংবাদ সম্মেলনে বললো ৮০ লাখ ডোজ টিকা এবং সেটি একদিনেই কেন দিতে হবে। এটা এক ধরণের চাটুকারিতা বা অতি উৎসাহ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করার জন্যে বা এই ধরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের চাইতে যে অসম্মান প্রদর্শন সেটি আসলে এখানে উদ্ভাসিত হবে। এটা তো অবশ্যই চাটুকারিতা।
করোনা সংক্রমণ তো এখন কমে গেছে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। এখন তো মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। আপনি কি মনে করেন বা এমন কোন শঙ্কা করেন যে সংক্রমণ আবার বাড়ার কোন সম্ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাড়ার তো সম্ভাবনা আছেই। কারণ কোভিড সংক্রমণ কিন্তু হচ্ছে এবং সামাজিক যোগাযোগে যেগুলো আমরা দেখি বা জানতে পারি তাতে কিন্তু সংক্রমণ আছে। এখন কথা হচ্ছে যে মানুষের যে অসতর্কতা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার প্রবণতা এবং যে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বিভিন্ন পর্যায়ের অনুষ্ঠানে দেখতে পাচ্ছি তারা মাস্ক ছাড়া একজন আরেকজনের গায়ে গায়ে বসে ফটোসেশন করছে এগুলো তো সেখানে উপস্থিত যে সমস্ত সাধারণ মানুষ আছেন তারা কিন্তু একটি ভুল বার্তা পাচ্ছেন। এই ভুল বার্তার ফলে আমাদের মত যে সমস্ত দায়িত্বশীল ব্যক্তিত্ব সে রাজনৈতিক হোক, সামাজিক হোক আর প্রশাসনিক হোক তাদেরকেই নিতে হবে। তারা কিন্তু এই ভুল বার্তাটা সাধারণ মানুষকে দিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।