যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান বা দুর্বৃত্তরা মনোনয়ন পাওয়ার অভিযোগের প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দেখুন আসলে বিজ্ঞ মনোনয়ন বোর্ড যার সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে প্রার্থীদের মনোনয়ন দিচ্ছি। এ মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে দু-একটি জায়গায় ভুল-ত্রুটি হতে পারে, তবে এরকম হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ প্রার্থীর নাম ইউনিয়ন থেকে উপজেলায় পাঠানো হয়, উপজেলা থেকে জেলায় পাঠানো হয়। কাজেই ভুল যদি হয়ে থাকে, তাহলে পরে তৃণমূল পর্যায় থেকে ভুল করেছে এবং সেটি সমর্থন অযোগ্য। এ ধরণের কোনো অভিযোগ থাকলে দেখে আমরা সংশোধন করে নেবো।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।
একটা কথা বলা হচ্ছে যে তৃণমূল থেকে যে নামগুলো পাঠানো হচ্ছে ওখানেই বাণিজ্য হচ্ছে এবং টাকা-পয়সার বিনিময়ে তৃণমূলের লোকরা এমন সব বিতর্কিত লোকদের নাম পাঠাচ্ছে। এ ধরণের অভিযোগ আপনাদের কাছে এসেছে কি না জানতে চাইলে নানক বলেন, আমাদের কাছে এ ধরণের কোনো অভিযোগ আসেনি। আমাদের কাছে এ ধরণের অভিযোগ আসলে আমরা খুবই সতর্ক এবং আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো তাদের বিরুদ্ধে।
মনোনয়ন কেন পরিবর্তন করেছেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, সে ধরণের কিছু মনোনয়ন পরিবর্তন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে বিতর্কিত করতে বা আওয়ামী লীগের যে অর্জন সে অর্জনগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। এবং তারাই এ ধরণের মনোনয়নগুলো পাঠাচ্ছে বা এ ধরণের মনোনয়ন নিয়ে বিভিন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তারা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে।
আপনার কখনো কি এ রকম মনে হয় প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেখুন আমি এ ধরণের কথা বলবো না। আমি শুধু একটা কথাই বলবো যে, দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যদি কোনো ভুল করে, সেটা সজ্ঞানে অথবা অজ্ঞানে যদি করে থাকে, সেটি অমার্জনীয় অপরাধ। এ অমার্জনীয় অপরাধের জন্য তাদেরকে অবশ্যই খেসারত দিতে হবে।
বিএনপি অফিসিয়ালি বলছে যে, তারা নির্বাচন করবে না এবং তারা বলেছে এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেও তারা নির্বাচন করবে না। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রায় সব ইউনিয়নেই তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছে। এটা তাদের একটি কৌশল। আওয়ামী লীগ কি বিএনপির এই কৌশল নিয়ে সচেতন বা কৌশল মোকাবেলায় আপনাদের পাল্টা কৌশল কি হবে জানতে চাইলে নানক বলেন, দেখেন আমরা এ ব্যপারটি নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক। তারা কৌশল নিয়েছে। তারা উপরে বলছেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। আর তারা ভিতরে বার্তা দিয়ে দিয়েছে যে, যেখানে পারে নির্বাচন করার জন্য। কাজেই আমরা সেটিকে মাথায় রেখেই আমরা যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিচ্ছি।
বিদ্রোহী প্রার্থী বা বিদ্রোহ দমনের ক্ষেত্রে কথা বলতে গিয়ে নানক বলেন, যেখানে বিদ্রোহ হচ্ছে বা বিদ্রোহী প্রার্থীদের শান্ত রাখার জন্য স্থানীয়ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপরেও যদি তারা বিদ্রোহ করে তবে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের পরিষ্কার বক্তব্য হলো বিদ্রোহী প্রার্থীদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।
বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যারা বিদ্রোহ করেছেন এবং যাদের তালিকা আমাদের হাতে এসেছে তাদেরকে আমলেই নেওয়া হচ্ছে না। অর্থাৎ তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কাজেই তারা তাদের কপাল খেয়েছে।
আপনি কি বিশ্বাস করেন প্রভাবশালী নেতা বা এমপি মন্ত্রীদের মদদ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে একজন বিদ্রোহী প্রার্থী হতে পারে, আপনি একজন রাজনৈতিকবিদ হিসেবে এটা কি বিশ্বাস করেন
বিদ্রোহীদের মদদের ক্ষেত্রে প্রভাবশালী নেতা বা এমপি মন্ত্রীদের মদদ আছে কিনা সে সম্পর্কে তিনি বলেন, না আমি বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি না যে তার পেছনে কোনো মদদ ছাড়া আওয়ামী লীগের কোনো কেন্দ্রীয় নেতা অথবা এমপি সাহেবদের মদদ ছাড়া কেউ বিদ্রোহ করতে পারে নেত্রীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে, আমি এটা বিশ্বাস করি না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।