নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০২১
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশ একটি শান্তির এবং সম্প্রীতির বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন যাবত ই বিএনপি-জামায়াত তর্জন-গর্জন দিচ্ছিল, যে ঢাকা দখলের কথা বলেছিল এবং আন্দোলন-হুমকির কথা বলেছিল। অর্থাৎ দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য তাদের যে অভিপ্রায় ছিল, সেই অভিপ্রায় থেকে তারা এই বাঙ্গালীর একটি ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে তারা ব্যবহার করে।
সম্প্রতি কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা, মন্দিরে হামলায় জড়িত আসামিদের ইউপি নির্বাচনে নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, একটি পবিত্র কোরআন শরিফ একটি মূর্তির নিচে রাখার কোন যৌক্তিক কারণ নেই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই কোরআন শরীফ রেখে কুমিল্লা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের কয়েকটি এলাকায় তারা হিন্দু সমাজের ওপর হামলা করলো, মূর্তি ভাংচুর করলো। এটি একটি সুগভীর উগ্র, ধর্মীয় উগ্রবাদী, মৌলবাদীদের ষড়যন্ত্র। দেশকে অচল পরিস্থিতি তৈরি করা। আমি বিশ্বাস করি যে দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষেরা এর নিন্দা জানায়, ঘৃণা জানায়, প্রতিবাদ করে এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দিরে হামলায় ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত অভিযুক্ত দুই আসামির মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই শঙ্কার বিষয়। তবে সু স্পষ্ট কথা হলো আমার যে, আমাদের মনোনয়নের ব্যাপারে কতগুলি স্তর পার করে চূড়ান্তভাবে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের কাছে আছে। কাজেই এদেরকে যারা চিহ্নিত করে নাই, অথবা এদের পরিচয় যারা গোপন রেখেছে, যে স্তরে বা সংগঠনের যে পর্যায়ে এটি হাইড করেছে বা গোপন করেছে এদের পরিচয় গুলি, সংগঠনের সেই স্তরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।
তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন সংবাদে এটাই প্রমাণ করে এরা ঢুকে পড়েছে। শুধু ঢুকেই পড়ে নাই, এরা বিভিন্ন নেতাদের কাঁধে সহায় হয়েছে। কাজেই, যে নেতার কাঁধে সহায় হয়েছে সে নেতাকে ঘার ধরে বের করে দেয়া উচিৎ এ দল থেকে। অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ এবং দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ যাতে আর কখনো কেউ এই অপকর্ম না করে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নেয়া উচিৎ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।