নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ২৯ জুন, ২০২১
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনিকে ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ এবং তার বন্ধু তুহিন সিদ্দিকী অমির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে তাদের বিরুদ্ধে আরও দুই মামলা থাকায় আপাতত কারামুক্ত হতে পারছেন না।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন।
অন্যদিকে নাসির-অমির আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমীদা পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে বিমানবন্দর থানার মাদক আইনের মামলায় নাসিরের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এছাড়া বিমানবন্দর থানায় মাদক, মানবপাচার ও পাসপোর্ট আইনে মামলা থাকায় গ্রেফতার রয়েছেন আসামি অমি। তাই তারা এখনই কারামুক্ত হতে পারছেন না বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।
এর আগে গত ২৩ জুন পরীমনির মামলায় ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান এই দুজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৪ জুন ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে আরও চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমনি সাভার থানায় মামলা করেন।
১৫ জুন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় করা মাদক মামলায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি (৩০), অমি (৪০) ও বনিসহ (২০) দু’টি গাড়িতে করে তারা উত্তরার উদ্দেশে রওনা হন। পথে অমি বলে বেড়িবাঁধের ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে।’
‘অমির কথামতো তারা সবাই রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করায়। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলে। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। অমি ক্লাবের ভেতরে গিয়ে বলে এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পার।’
এজাহারে পরীমনি আরও বলেন, ‘তখন আমার ছোট বোন বনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করে ও বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করে। টয়লেট থেকে বের হতেই এক নম্বর বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আসামি মদপানের জন্য জোর করেন। আমি মদপান করতে না চাইলে এক নম্বর আসামি জোর করে আমার মুখে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে আমি সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই।’
‘এক নম্বর আসামি (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন ও আমাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি উত্তেজিত হয়ে টেবিলে থাকা গ্লাস ও মদের বোতল ভাঙচুর করে আমার গায়ে ছুড়ে মারেন। তখন কস্টিউম ডিজাইনার জিমি নাসির উদ্দিন মাহমুদকে বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করে জখম করেন।’
এর আগে গত ১৩ জুন রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে বিচার চান পরীমনি। এরপর বিষয়টি নিয়ে রাতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
মন্তব্য করুন
সারা দেশে প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার
শুনানিতে আইনজীবীদের গাউন পরার আবশ্যকতা শিথিল করা হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের আদেশ অনুসারে
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য
জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার শুনানিকালে
আইনজীবীদের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করা হলো। এ নির্দেশনা ২১ এপ্রিল (রবিবার)
থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।’
এছাড়াও প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুপ্রিম
কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ
করা হয়।
আগামীকাল রবিবার (২১ এপ্রিল) খুলছে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ
(আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ)
এর আগে, ৪ এপ্রিল অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত বা ট্রাইব্যুনালের
বিচারক এবং আইনজীবীদের মামলা পরিচালনার সময় পরিধেয় পোশাকের বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের সব অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত
বা ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং আইনজীবী ক্ষেত্রমতো সাদা ফুলশার্ট বা সাদা শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ
ও সাদা নেকব্যান্ড বা কালো টাই পরিধান করবেন। এ ক্ষেত্রে কালো কোট ও গাউন পরিধানের
আবশ্যকতা নেই। এ নির্দেশনা ৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে
বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য করুন
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা
সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে নতুন করে জামিন আবেদন করতে যাচ্ছেন। আগামী রোববার এই জামিন
আবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হবে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) মিন্নির অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট
মো. শাহিনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আগামী রোববার মিন্নির জামিন আবেদন বিচারপতি মো. রুহুল
কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে জমা দেওয়া হবে।
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা
সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় এসেছে।
বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের
হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকা বিষয়টি ৪৯৭ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। আদালতে মিন্নির পক্ষে
শুনানি করবেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান খান, অ্যাডভোকেট
জামিউল হক ফয়সাল।
এর আগে গত বছরের ৮ মে বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায়
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। তবে জামিন আবেদনটি
কার্যতালিকায় আসলেও পরে আর শুনানি হয়নি।
গত বছরের ১১ জানুয়ারি বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপরাগতা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিক ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি
শুনতে অপারগতা জানান।
উল্লেখ, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের
বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিন্নিসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০
আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৬ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে
জরিমানার দণ্ডে দণ্ডিত করেন। বাকি ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
পরে নিয়ম অনুসারে একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ
অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা
আপিল করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে
রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন
হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
খালাস পান- মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও
কামরুল ইসলাম সাইমুন।
২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের
ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড
ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।
এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন
বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ/ ছয়জনের বিরুদ্ধে বরগুনা
থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের
বাবা।
পরে ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট
এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন।
হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ওই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা
থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার
সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওই দিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
পরে একই বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট মিন্নিকে জামিন দেন। ১ সেপ্টেম্বর
২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক, দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র
জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন রয়েছেন। ২০২০ সালের
১ জানুয়ারি প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ,
যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়।
অপরদিকে বিচার শেষে ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের
বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।
রায়ে ছয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।
বাকি তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মন্তব্য করুন
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা
মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত ড. ইউনূস শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন
চেয়ে আবেদন করেছেন। সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিন
চেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ড. ইউনূসের আইনজীবী
ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ আবেদন দাখিল করেছেন। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের
করা মামলায় ড. ইউনূস আজ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হবেন। সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল
শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে
দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে
জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত।
সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন
চেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি
যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিলও করেছিলেন তিনি।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি
৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা
সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা
শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায়
শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ
সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম
ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি
১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই
আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ০৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার)
টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫,০০০/-(পঁচিশ
হাজার) টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া
হলো।
গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে
দায়ের করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে আপিল
করার শর্তে ড. ইউনূসসহ আসামিদের ১ মাসের জামিন দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয়
ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বির হলের সিট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ
সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে ইমতিয়াজের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট
শাহ মঞ্জরুল হক।
বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ
হোসেন রাব্বির হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে
ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলে সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে ব্যারিস্টার
হারুনুর রশিদ এ রিট দায়ের করেন। বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
উল্লেখ্য, বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাসের ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেনের হলের সিট বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
হাইকোর্ট বুয়েট শিক্ষার্থী রাব্বি
মন্তব্য করুন