নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৪ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১
হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ, ঘৃণা ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের’ নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এবং ‘বাঁচতে শেখার’ নির্বাহী পরিচালক এঞ্জেলা গোমেজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আকাশ ঘোষ নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন। আদালত পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে আগামী ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রনজিত চন্দ্র দে জানান, হিন্দু আইন পরিবর্তনের কথা বলে শাহীন আনাম এবং এঞ্জেলা গোমেজ বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সভা-সেমিনার করে আসছেন। এতে সরলমনা হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব, বিভেদ ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। একইসঙ্গে হিন্দু সমাজকে বিভ্রান্ত করার মধ্য দিয়ে সরকারের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করানোর পাঁয়তারাও করা হচ্ছে। এসব অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
তিনি আরও জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মহসিন অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। আগামী ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার রাজধানীর সূত্রাপুরে শাহীন আনামদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে হিন্দু সম্প্রদায়। তাঁরা শাহীন আনাম, তাঁর স্বামী মাহফুজ আনামসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে অভিযুক্তদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এ ছাড়া এ ইস্যুতে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন, সভা-সেমিনার করে আসছেন।
হিন্দু মহাজোটের নেতারা দাবি করেছেন, আইন পরিবর্তনের নামে কৌশলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে বিভেদ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। এনজিওটির নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম ও তাঁর স্বামী ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐক্য ও ঐতিহ্য বিলীন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। এর মাধ্যমে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের পাশাপাশি সরকার ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করানোর পাঁয়তারা চলছে বলেও অভিযোগ তাঁদের।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, শাহীন আনাম ও এঞ্জেলা গোমেজ পরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে সেমিনার ও অনলাইন ওয়েবিনার মাধ্যমে হিন্দু ধর্মীয় বিধিবিধান নিয়ে নানা কল্পিত উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রচার করে ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করছেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভেদের বীজ বপন করে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উত্তেজিত করে বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি করেছেন। গত ৪ মার্চ তারা ওয়েবিনারের মাধ্যমে “খসড়া হিন্দু উত্তরাধিকার আইন ২০২০” নামে উদ্দেশ্যমূলক একটি হিন্দু ধর্মীয় উত্তরাধিকার আইন তৈরি করে প্রচার করে। এতে সারা দেশের হিন্দু সম্প্রদায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। দেশের বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, বিক্ষোভ সমাবেশসহ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, শাহীন আনাম শুধুমাত্র সমাজবিরোধী কর্মকা- করেই ক্ষান্ত নন, তিনি নিজ সংগঠনের রীনা রায় নামে একজন কর্মীকে দিয়ে কিছু এনজিওর সুবিধাভোগী ব্যাক্তিদের দিয়ে হিন্দু আইন সংস্কার করার জন্য একটি কমিটি করায়। এ ছাড়া তিনি তাঁর স্বামী মাহফুজ আনাম সম্পাদিত ডেইলি স্টারে বিভিন্ন সময় কল্পকাহিনী ছাপিয়ে প্রচার করে হিন্দু ধর্মীয় বিধি বিধানের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে হিন্দু জনসাধারনকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছেন। উদ্ভট তথ্য দিয়ে কল্পকাহিনি ছাপিয়ে তা দেশে-বিদেশে হিন্দু সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে।
মামলায় বলা হয়, শাহীন আনাম গং উদ্দেশ্যমূলকভাবে হিন্দু সম্প্রদায়কে আওয়ামী লীগ সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে নিজেদের ফায়দা লুটতে তৎপর রয়েছে। তারা এমন একটি পরিবেশ তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত, যাতে হিন্দু সম্প্রদায় আওয়ামী লীগের প্রতি নাখোশ হয়ে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তারা বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করে এবং অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে এক-এগারোর মত অগণতান্ত্রিক সরকার তৈরির অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে মাঠে নেমেছেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।
মামলার বাদি আকাশ ঘোষ বলেন, দেশে হাজার হাজার হিন্দু আইনজীবী, আইনবিদ, বিভিন্ন মঠ মন্দিরে শত শত সাধু সন্যাসী এবং হিন্দু সমাজ সেবক রয়েছেন। হিন্দু আইন বা বিধি বিধানে কোন সমস্যা বা অসঙ্গতি হলে তা পর্যালোচনা করে দেখার জন্য পর্যাপ্ত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি হিন্দু সমাজে আছেন। আসামীদ্বয় হিন্দু সমাজের কেউ নন। হিন্দু বিধি বিধানের ভাল-মন্দ তাদের স্পর্শ করে না। সে কারণে হিন্দু আইন বিধি বিধান পরিবর্তন পরিবর্ধন বা সংস্কারের সুপারিশ করার কোন এখতিয়ার তাদের নেই। আইনগত অধিকারও নেই। অথচ তাঁরা হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সেমিনার, ওয়েবিনার, সংবাদ সম্মেলন করে হিন্দু সমাজের মধ্যে পক্ষে বিপক্ষে দলাদলি সৃষ্টি করে হিন্দু সমাজকে উত্তেজিত করে তুলেছেন।
দেশে বিশৃঙ্খলা ও অরাজক পরিস্থিতি ঠেকাতে এবং বর্ণিত অপরাধের শাস্তি বিধান করতে আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা না হলে হিন্দু সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাশাপাশি দেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও বিনষ্টের আশংকরা রয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা
সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে নতুন করে জামিন আবেদন করতে যাচ্ছেন। আগামী রোববার এই জামিন
আবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হবে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) মিন্নির অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট
মো. শাহিনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আগামী রোববার মিন্নির জামিন আবেদন বিচারপতি মো. রুহুল
কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে জমা দেওয়া হবে।
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা
সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় এসেছে।
বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের
হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকা বিষয়টি ৪৯৭ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। আদালতে মিন্নির পক্ষে
শুনানি করবেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান খান, অ্যাডভোকেট
জামিউল হক ফয়সাল।
এর আগে গত বছরের ৮ মে বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায়
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। তবে জামিন আবেদনটি
কার্যতালিকায় আসলেও পরে আর শুনানি হয়নি।
গত বছরের ১১ জানুয়ারি বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপরাগতা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিক ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি
শুনতে অপারগতা জানান।
উল্লেখ, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের
বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিন্নিসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০
আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৬ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে
জরিমানার দণ্ডে দণ্ডিত করেন। বাকি ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
পরে নিয়ম অনুসারে একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ
অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা
আপিল করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে
রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন
হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
খালাস পান- মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও
কামরুল ইসলাম সাইমুন।
২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের
ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড
ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।
এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন
বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ/ ছয়জনের বিরুদ্ধে বরগুনা
থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের
বাবা।
পরে ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট
এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন।
হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ওই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা
থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার
সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওই দিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
পরে একই বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট মিন্নিকে জামিন দেন। ১ সেপ্টেম্বর
২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক, দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র
জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন রয়েছেন। ২০২০ সালের
১ জানুয়ারি প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ,
যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়।
অপরদিকে বিচার শেষে ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের
বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।
রায়ে ছয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।
বাকি তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মন্তব্য করুন
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা
মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত ড. ইউনূস শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন
চেয়ে আবেদন করেছেন। সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিন
চেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ড. ইউনূসের আইনজীবী
ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ আবেদন দাখিল করেছেন। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের
করা মামলায় ড. ইউনূস আজ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হবেন। সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল
শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে
দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে
জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত।
সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন
চেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি
যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিলও করেছিলেন তিনি।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি
৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা
সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা
শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায়
শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ
সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম
ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি
১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই
আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ০৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার)
টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫,০০০/-(পঁচিশ
হাজার) টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া
হলো।
গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে
দায়ের করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে আপিল
করার শর্তে ড. ইউনূসসহ আসামিদের ১ মাসের জামিন দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয়
ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বির হলের সিট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ
সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে ইমতিয়াজের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট
শাহ মঞ্জরুল হক।
বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ
হোসেন রাব্বির হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে
ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলে সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে ব্যারিস্টার
হারুনুর রশিদ এ রিট দায়ের করেন। বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
উল্লেখ্য, বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাসের ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেনের হলের সিট বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
হাইকোর্ট বুয়েট শিক্ষার্থী রাব্বি
মন্তব্য করুন
ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচনে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা
নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছেন। ১২টি পদের মধ্যে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা আটটি এবং আওয়ামী
লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা চারটি পদে জয়লাভ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর
আগে বৃহস্পতিবার সমিতির হলরুমে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, মোট ভোটার ২৪৫ হলেও ২৩৬ জন ভোট
প্রদান করেন। নির্বাচনে দুইটি প্যানেলে ২৪ জন এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।
বিএনপি সমর্থিত অ্যাডভোকেট মো. জয়নাল আবেদীন (১৩৬ ভোট) সভাপতি পদে,
সহ-সভাপতি (১) পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত অ্যাডভোকেট হাসীনুজ্জামান মিলার (১৩৯), সহ-সভাপতি
(২) বিএনপি সমর্থিত অ্যাডভোকেট মো. একরামুল হক (১১২), সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি সমর্থিত
অ্যাডভোকেট মো. ইন্তাজুল হক (১২১), সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি সমর্থিত অ্যাডভোকেট
মো. রাহাদ জামিল (১২৪), লাইব্রেরি সম্পাদক পদে বিএনপি সমর্থিত অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন
(১৪৪), ট্রেজারি সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ (১২০), কমনরুম
ও কালচারাল সম্পাদক পদে বিএনপি সমর্থিত অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা (১৫২ ভোট) নির্বাচিত
হয়েছেন।
এ ছাড়া সদস্য পদে বিএনপি সমর্থিত অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান (১৪৩), অ্যাডভোকেট মুরাদ হোসেন রানা (১১৩), আওয়ামী লীগ সমর্থিত অ্যাডভোকেট মোবারক আলী (১০৭) ও অ্যাডভোকেট সোহেল রানা (১৪৭ ভোট) নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ জেলা আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন