ঔষধের
যথাযথ ব্যবহার বা সঠিক নিয়মে
ঔষধ গ্রহণ যেকোনো রোগ নিরাময়ের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। ডব্লিউএইচও-এর মতে, চিকিৎসার
নিয়ম মেনে চলার অভাব রোগীদের মধ্যে বড় ধরনের সমস্যার জন্ম দেয়, বেশিরভাগই দীর্ঘ্যস্থায়ী অসুস্থতায়। “সঠিক পদ্ধতিতে ঔষ ধগ্রহণ” কমপক্ষে
৫টি সঠিক বিষয়ের উপর নির্ভর করে—সঠিক রোগী, সঠিক ঔষধ, সঠিক সময়, সঠিক ডোজ এবং সঠিক রুট বা গমনপথ। “সঠিকভাবে
সেবন না করলে ঔষধ
কাজ করবেনা”—এই সহজ সত্যটি
বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই অনুধাবন করেননা, ফলস্বরূপ এখনো উন্নত বিশ্বে দীর্ঘ্যস্থায়ী রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অর্ধেকের বেশিই সঠিক নিয়মে ঔষধ গ্রহণ করেননা–বলছে ডব্লিউএইচও।
দীর্ঘ্যস্থায়ী রোগে আক্রান্ত রোগীদের এটি মেনে চলা বিশেষভাবে কঠিন হতে পারে কারণ তাদের প্রায়শই দীর্ঘ্য সময়ের জন্য তাদের ওষুধ সেবন করতে হয়,
কখনও কখনও তাদের বাকিজীবনের জন্য। সেন্টার্স ফর ডিসিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুমান করে যে ওষুধের অপরিমিত ব্যবহার ৩০%
থেকে ৫০% দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসাকে ব্যর্থতার দিকে পরিচালিত করে। চিকিৎসা গাইডলাইনের প্রতি দুর্বল আনুগত্য আশানুরূপ ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হয়,
রোগের লক্ষণ গুলি আরও খারাপ হতে পারে এবং স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে পারে।
যুক্তরাজ্যে প্রায় অর্ধেক প্রেস্ক্রিপশনকৃত ঔষধ প্রয়োজন অনুযায়ী নেওয়া হয়না এবং অতি সম্প্রতি ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ রোগী ১৮ সপ্তাহের মধ্যে সঠিক চিকিৎসা পেতে ব্যর্থহয়। নিউজিলান্ড-ভিত্তিক প্যাশেন্ট প্রেফারেন্স এন্ড এডহেয়ারেন্স জার্নালসূত্রে জানা যায় খোদ মার্কিন মুল্লুকেই সঠিক নিয়মে ঔষধ গ্রহণ না করা অন্তত ১০%
হস্পিটালাইজেশন, বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলার চিকিৎসা ব্যয় এবং লক্ষাধিক রোগীর মৃত্যুর কারণ। একটি সাম্প্রতিক কানাডিয়ান সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৩০% রোগী নির্দেশ দেওয়ার আগে তাদের ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং চারজনের মধ্যে একজন তাদের প্রেসক্রিপশন পূরণ করেননা বা নির্ধারিত ঔষধের চেয়ে কম গ্রহণ করেন।ঔষধের অনুপযুক্ত ব্যবহার প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫০০ বিলিয়ন ডলারের মোট পরিহারযোগ্য খরচের অর্ধেকেরও বেশি অবদান রাখে।
ঔষধ সঠিকভাবে গ্রহণ না করার ক্ষেত্রে অনুন্নত,
উন্নয়নশীল দেশ এবং পশ্চিমা তথাকথিত উন্নত বিশ্বে আজব মিল খুঁজে পাওয়া যায়।বিশ্বব্যাপী অর্ধেকেরও বেশি অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি হয় এবং সিডিসি বলেছে,
হাসপাতাল-কর্তৃক নির্ধারিত অ্যান্টিবায়োটিক গুলির ৩০%
থেকে ৫০% অনুপযুক্ত বা অপ্রয়োজনীয়। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন,
ওয়েলকাম ট্রাস্টের অর্থায়নে ল্যানসেটদ্বারা প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণাতে বলা হয়েছে যে ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় অর্ধকোটি মৃত্যু ছিল ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধের সাথে সম্পর্কিত,
যেটি ২০৫০ সাল নাগাদ দ্বিগুণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী নন-স্টেরয়েড ব্যাথার ঔষধ থেকে সৃষ্ট অন্ত্রের প্রদাহ বছর-প্রতি অন্তত ৬,৫০,০০ হস্পিটালাইজেশন এবং ১,৬৫,০০০ মৃত্যু'র কারণ। এই শ্রেণীর ঔষধগুলোর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কিডনি ইনজুরির কারণ হয়ে থাকে এবং কিডনিরোগীদের ক্ষেত্রে এদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ৩ থেকে ৪ গুণ পর্যন্ত হতে পারে।এই ঔষধগুলোর ব্যাপক অপব্যবহার ডেঙ্গু,
চিকুনগুনিয়া এবং কোভিডরোগীদের ক্ষেত্রে রিপোর্ট করেছে অনেকগুলো গবেষণা।বিশেষ করে ডেঙ্গু কিংবা কোভিড রোগীদের ব্যাথার ঔষধ দিয়ে জ্বর নামানোর চেয়ে শরীরের হাইড্রেশন লেভেল বজায় রাখা বেশি জরুরি।বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্যারাসিটামল সিরাপ বা সাপোজিটরি'র ব্যবহার পেট ব্যাথা বা হজমের গোলযোগ সৃষ্টি করে,
ফলে বাচ্চার হস্পিটালাইজেশন জরুরি হয়ে পরে।ঘরোয়া পরিবেশে শুধু স্যালাইন কিংবা ফলের রস দিয়ে অথবা শুধু পানি বেশি গ্রহণ করে শরীরের পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করতে পারলেই বেশিরভাগ হস্পিটালাইজেশন বা আইসিইউ এডমিশন ঠেকানো যেতো,
কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া।
প্রায় ৪০%
কোভিড রোগী ঘুমের সমস্যা রিপোর্ট করেন--কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে বেনজোডায়াজেপিন ব্যবহার ডেলিরিয়ামের প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে,শ্বাসকষ্টের রোগীদের শ্বাসযন্ত্রের দমন করে এবং এগুলো কিছু ভাইরাস-প্রতিরোধী ঔষধের সাথে সেবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন মরফিন-গোত্রের ব্যাথার ঔষধ ব্যৱহৃত হয়,
যার ১% এরও কম দরিদ্র দেশগুলো পায়--বলছে অমেরিকান জার্নাল অফ পাবলিক হেলথ। কাজেই এদের অপব্যবহার এবং এতদসংক্রান্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলোও উন্নত বিশ্বই হজম করে।
ডব্লিউএইচও-এর রিপোর্ট অনুসারে, উন্নত দেশগুলিতে দীর্ঘ্যস্থায়ী রোগের জন্য চিকিৎসা গাইডলাইন সঠিকভাবে প্রতিপালন করেন অর্ধেক রোগী,
যা কিনা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আরো অনেক কম।দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রায় অর্ধেক রোগীই তাদের নির্ধারিত ওষুধের ব্যবহার মেনে না চলে তীব্র ও দীর্ঘ্যমেয়াদী জটিলতার ঝুঁকিতে রয়েছেন,
যার ফলে হাসপাতালে ভর্তির হার এবং চিকিৎসা খরচ বৃদ্ধি পায়।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রকাশ করেছে যে উচ্চ রক্ত চাপের রোগীরা চিকিৎসার নির্দেশিকা অনুসরণ করেনা কারণ--(১) সাবঅপ্টিমালডোজ অথবা ভুল ঔষধ নির্ধারণ (২) বীমার অভাববা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাথে কদাচিৎ যোগাযোগ এবং
(৩) নির্ধারিত ঔষধের বা অন্যান্য জীবনধারার গাইডলাইন মেনে চলতে রোগীর ব্যর্থতা।
বিশ্বব্যাপী বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে তিন-চতুর্থাংশই সঠিক নিয়মে দীর্ঘ্য মেয়াদী চিকিৎসা প্রতি পালনে অক্ষম—কারণ একাধিক শারীরিক জটিলতা এবংঅতিরিক্ত ঔষধের বোঝা। বয়স্ক রোগী যারা কম পক্ষে৫টি ঔষধ গ্রহণ করেন তাদের বুদ্ধি প্রতিবন্ধকতা,
স্মৃতিভ্রংশ, পতন, দুর্বলতা, অক্ষমতা এবং মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে,
যেখানে অতিরিক্ত ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বয়স্ক রোগীদের ৫%
থেকে ২৮% হাসপাতালে ভর্তির জন্য দায়ী বলে অনুমান করা হয়।
চিকিৎসা খরচ দরিদ্রদেশ গুলোতে দীর্ঘমেয়াদী রোগের সঠিক ক্লিনিকাল গাইডলাইন মেনেচলার প্রতিবন্ধকতা--এমনটি অনেক ফোরামে আলোচিত হলেও ভুলে যাওয়া,
ঔষধ ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সময়কাল সম্পর্কে বিভ্রান্তি এবং ঔষুধের সামগ্রিক কার্যকারিতা সম্পর্কে অবিশ্বাস মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল মেনে নাচলার অন্যতম কারণ।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে আজও মৃগীরোগ কোনো অশুভ আত্মাবা‘ জ্বীনেরআসর’বলে ধরাহয়--যদিওদুই-তৃতীয়াংশ রোগী পর্যাপ্ত চিকিৎসায় খিঁচুনি মুক্ত হতে পারে,
কিন্তু সঠিক নির্দেশিকার প্রতিদুর্বল আনুগত্যএরকার্যকরী পুনরুদ্ধারের জন্য একটি বড় সমস্যা।
বিভিন্ন গবেষণায় নিম্নলিখিত কারণ গুলোদীর্ঘ্য স্থায়ী রোগের জন্য চিকিৎসা গাইডলাইন মেনে না চলার জন্য চিহ্নিত হয়েছে:
১.
রোগীরআর্থ-সামাজিক অবস্থান: দুর্বল স্বাস্থ্য-শিক্ষা, পারিবারিক বা সামাজিক সহায়তা নেটওয়ার্কের অভাব,
অস্থিতিশীল জীবনযাপন বা গৃহহীনতা,
আর্থিক নিরাপত্তাহীনতা
২.
চিকিৎসা-সম্পর্কিত: চিকিৎসা পদ্ধতির জটিলতাও সময়কাল,
ঔষধের নিয়মে ঘন ঘন পরিবর্তন,
তাৎক্ষণিক ফলাফলের অভাব,
প্রকৃত বা অনুভূত অপ্রীতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া,
জীবনযাত্রায় হস্তক্ষেপ
৩.
স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা:
উচ্চচিকিৎসা-খরচ, রোগীর শিক্ষা এবং ফলো আপের জন্য সীমিত স্বাস্থ্যব্যবস্থা,
চিকিৎক-রোগীর সম্পর্ক, স্বাস্থ্য-সেবার প্রতি রোগীর আস্থা, দীর্ঘ অপেক্ষা, রোগীর তথ্য উপকরণের অভাব
৪. রোগীর সাথে সম্পর্কিত: দৃষ্টি-শ্রবণ এবং জ্ঞান প্রতিবন্ধকতা, গতিশীলতা এবং দক্ষতা, মনস্তাত্ত্বিক এবং আচরণ গতকারণ, অনুভূত রোগের সংবেদনশীলতার ঝুঁকি, কুসংস্কার ও রোগ দ্বারা কলঙ্ক-বোধ, সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় ইত্যাদি
পরিশেষে এটাই বলা যেতে পারে যে, রোগ সম্পর্কে রোগীদের জ্ঞান এবং উপলব্ধি হল চিকিৎসা-ব্যবস্থার প্রতিতাদের আনুগত্য নির্ধারণের মূল চালিকাশক্তি। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের রোগের প্রতিরোগীদের দৃষ্টিভঙ্গি, ঔষুধের প্রতি আস্থা, মনস্তাত্ত্বিক চাপ শনাক্ত করতে এবং ঔষধ সঠিকভাবে গ্রহণ বাড়াতে আরও কার্যকর স্বাস্থ্য-শিক্ষা প্রদানের জন্য অন্বেষণ করা উচিত।
মন্তব্য করুন
ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।
ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।
আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।
আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।
শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।
কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।
স্বাভাবিক ত্বক
যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস
যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে। ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো প্যাক
টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে।
সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত
মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে
হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট
এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের
দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু
হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।
দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী
২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের
স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন
ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।
পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা
বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল
নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক
১টি শিশু।
গবেষণা দ্য ল্যানস গর্ভবতী শিশু জন্ম
মন্তব্য করুন
প্রাণিজগতের মধ্যে মানব মস্তিষ্কই সবচেয়ে জটিল। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের
মস্তিষ্কের আয়তন পুরুষের প্রায় ১৫০০ সিসি ও মহিলাদের প্রায় ১৩০০ সিসি এবং মানব ভ্রূণের
প্রাথমিক অবস্থায় মস্তিষ্ক প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত থাকে। পূর্ণাঙ্গ মানুষে এটি
আরও জটিল রূপ ধারণ করে এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়।
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০১৯ এর তথ্য মতে, মানুষের মস্তিষ্কের ধারণ
ক্ষমতা কমপক্ষে ২.৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ গিগাবাইট।
দেখা যায়, সাধারণভাবে, মানুষ কিছু মানসিক ঘটনা-যেমন বিষণ্নতা এবং
স্পর্শের মাধ্যমে তাপমাত্রা শনাক্ত করার ক্ষমতা - অন্যদের তুলনায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
করার মতো আরও বেশি কার্যকর..! যেমন গর্ব অনুভব করা বা প্রথম দর্শনে প্রেমের অভিজ্ঞতা।
তবে, দ্য ডেভিলস ডিকশনারি ইন, অ্যামব্রোস বীরস মনকে "মস্তিষ্কের
গোপন বিষয়টির একটি রহস্যময় রূপ" বলে বর্ণনা করেছেন, যা নিজেকে বুঝা "ইহা
নিজেকে চেনা, অর্থাত নিজেকে বুঝা ছাড়া আর কিছু না" বা বোঝার নিরর্থক প্রচেষ্টা
নিয়ে জড়িত।
বায়ার্সের ১৯১১ সালের প্রকাশের পরে দীর্ঘসময় ধরে আত্মবিজ্ঞান
সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। কোন এক কোরা ব্যবহারকারী জিজ্ঞেস করে: "মানব মস্তিষ্ক
কি নিজেকে বুঝতে যথেষ্ট বুদ্ধিমান?"
দ্য অনিয়ানের একটি বিদ্রুপমূলক শিরোনাম রিপোর্ট করেছে যে, মনোবিজ্ঞানটি
স্থগিত হয়েছে কারণ "ক্লান্ত গবেষকরা বলেছিলেন যে মন সম্ভবত নিজেকে অধ্যয়ন করতে
পারে না।"
কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে মস্তিষ্কে মন আপনার মস্তিষ্কের
শারীরিক কর্মকাণ্ডের বাইরে চলে গেছে। তাই সতর্ক হোন। নিজেকে বুঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে
নিজের আয়েত্বে রাখুন। আপনার জীবনটা আপনারই।
মনোবিজ্ঞানে মস্তিস্কের শনাক্ত করার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের
মধ্যে গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং ইমেজিং স্ক্যানিং সহ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
MRI (Magnetic Resonance Imaging), CT scan (Computed Tomography), EEG
(Electroencephalogram), PET scan (Positron Emission Tomography) ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি
ব্যবহার করা হয় মস্তিস্কের অবস্থান ও কার্যাবলী নির্ধারণে। এই স্ক্যানিং পদ্ধতিগুলি
মস্তিস্কের আনুমানিক অবস্থান এবং কার্যাবলীর উপর আলোকপাত করে এবং মস্তিস্কের বিভিন্ন
অংশের ক্ষমতা এবং সংযোগস্থলের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও মানুষ মস্তিস্কের কথা বা মনোবিজ্ঞানিক ধারণা শোনা বা বোঝা
সম্পর্কে সাধারণভাবে, মনোবিজ্ঞানের সম্পর্কে সাক্ষাৎকার করা, সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
দেখা, মনোবিজ্ঞান নিয়ে পুস্তিকা পড়া, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন করা এবং মনোবিজ্ঞানে
সম্পর্কিত মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্ত করা হতে পারে। আরও পেশাদার উপায়ে, যেমন মনোরোগ
বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা পরামর্শদাতা মানুষকে মস্তিস্কের বিষয়ে সাথে কাজ করা হতে পারে।
মস্তিস্ক মনোবিজ্ঞানে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রাণিজগত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা এক সময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।