লিভিং ইনসাইড

প্রযুক্তির যুগে নতুন অসুখ

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

সারা দিনে একবারও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গেলেন না। এ কারণে কখনো কি এমন মনে হয় যে আপনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করছেন? কিংবা অন্যরা খুব ভালো জীবন যাপন করছেন, যা থেকে আপনি বঞ্চিত হচ্ছেন? তাহলে জেনে রাখুন, আপনার মধ্যে একটি বিশেষ প্রবণতা আছে, যেটার নাম ফিয়ার অব মিসিং আউট (ফোমো)। এটি এমন একটি বিষয়, যা আপনার মধ্যে এমন এক অনুভূতির জন্ম দেয় যে অন্যরা হয়তো আপনার অনুপস্থিতিতে অনেক মজা করছেন বা করবেন। অন্যদের দেখে মনে হওয়া যে তাঁরা ভালো জীবন যাপন করছেন, যা আপনি কোনো কারণে পারছেন না। মোট কথা, এটি আপনার মধ্যে এমন একটি অনুভূতির সৃষ্টি করে যে আপনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করছেন। কিন্তু বাস্তবতা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভিন্ন।

 ফোমোর ফলে ব্যক্তির মধ্যে সামাজিক অস্বস্তি, অসন্তোষ, বিষণ্নতা, চাপের অনুভূতি, হীনম্মন্যতা, হিংসা, একাকিত্ব এবং তীব্র ক্রোধের মতো গভীর অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি এটি আপনার আত্মসম্মানকেও প্রভাবিত করতে পারে। ফোমো একটি অপেক্ষাকৃত নতুন ধরনের মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা। বিপণন কৌশলবিদ ড্যান হারম্যান ১৯৯৬ সালে একটি গবেষণাপত্রে শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় পর্যবেক্ষণ করা একটি ঘটনা বর্ণনা করার জন্য ২০০৪ সালে ‘ফোমো’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয়।

 ফোমোর অনুভূতি প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টগুলো থেকে অনুপ্রাণিত হয়। উদ্বেগটি আপনাকে বোঝায় যে একটি উত্তেজনাপূর্ণ বা আকর্ষণীয় ঘটনা বর্তমানে অন্য কোথাও ঘটছে, যেটি সম্পর্কে আপনি অনবরত খোঁজ না রাখলে পিছিয়ে পড়বেন। জীবনকে আরও ভালো করে তুলতে পারে, এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থেকে বঞ্চিত হবেন। ফলে ক্রমাগত সংযুক্ত থাকার ইচ্ছা মানুষকে বারবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দ্বারস্থ করছে, যা তাঁকে এসব তথ্য সম্পর্কে সারাক্ষণ অবগত রাখে।

সে সম্পর্কে মানুষ বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক বেশি জানেন। আর এটা সম্ভব হয়েছে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমের কারণে, যা দেখে অন্যদের জীবনের সঙ্গে নিজের জীবনকে মিলিয়ে ফেলার মতো ঘটনাও বাড়ছে। আগে হয়তো আত্মীয়স্বজনেরাও খুব বিশেষ মুহূর্তগুলোয় উপস্থিত না থাকলে সেভাবে কেউ জানতেন না। মুখে মুখে শুনলেও সেটা মানুষকে সেভাবে স্পর্শ করত না। আর একটু দূরের পরিচিত হলে তো জানারও কোনো উপায় ছিল না। এখন নানা মাধ্যমে প্রযুক্তি আমাদের নিয়ে এসেছে একই ছাতার নিচে। যেখানে কোনো বিষয়, ঘটনা, এমনকি সুখ—সবকিছুই একটি প্রতিযোগিতার মধ্যে আছে বলে মনে হয়। মানুষ তাঁদের বাছাই করা সেরা ছবি দিয়ে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন, যা অন্যদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দেয়। নিজের মধ্যে কী কী অভাব রয়েছে, সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলে।

 নিজের মধ্যে এই ‘ফোমো’ অনুভূতি কমাতে চাইলে কিছু বিষয় মেনে চলার চেষ্টা করতে পারেন।

মনোযোগের পরিবর্তন

আপনার কিসের অভাব রয়েছে, তার ওপর মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে আপনার কী আছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপনার কী নেই, সেই তালিকা যদি বেশি লম্বা করে ফেলেন, তাহলে নিজেকে অসুখী মনে হবে। তাই নিজের যা আছে, সেটার মধ্যে সুখ খোঁজার চেষ্টা করুন।

 ডিজিটাল ডিটক্স করার চেষ্টা করুন

ডিজিটাল ডিটক্স মানে হচ্ছে, সব ডিজিটাল ডিভাইস থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিরতি নেওয়ার প্রক্রিয়া। ফোমো থেকে দূরে থাকতে এবং আপনার বাস্তব জীবনের দিকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার কমাতে হবে। এতে আপনার মধ্যে ফোমোর প্রবণতা কমে আসবে।

 জার্নাল রাখুন

নানা রকম অভিজ্ঞতার স্মৃতি ধরে রাখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করাটা একটা সাধারণ প্রবণতা। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অনলাইনে দেওয়া আপনার অভিজ্ঞতাগুলো সবাই পছন্দ করছেন কি না, সে সম্পর্কে আপনি উদ্বিগ্ন থাকতে পারেন। যার ফলে বারবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দিকে যাবেন। যদি এমন হয়, তাহলে এর পরিবর্তে আপনি আপনার কিছু ছবি এবং স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য একটি ব্যক্তিগত অ্যালবাম বা ডায়েরি রাখুন। এই অভ্যাস আপনাকে আরও ভালো থাকতে সাহায্য করবে।

বাস্তব সম্পর্ক স্থাপন

সব সময় যোগাযোগ ধরে রাখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দ্বারস্থ হওয়া স্বাভাবিক। তবে এ ক্ষেত্রে শুধু ভার্চ্যুয়াল জগতের ওপর নির্ভরশীল না থেকে বাস্তবে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করতে পারেন।

প্রযুক্তির এই সময়ে ‘মনোযোগ অর্থনীতি’ নামক একটি নতুন বিষয়ও আলোচিত। একটি পণ্য বা সেবা বিক্রি করার জন্য প্রযুক্তিগুলো ক্রমাগত আমাদের মনোযোগের দখল নেওয়ার চেষ্টায় আছে। কিছু থেকে বাদ পড়ে না যাওয়ার ভয়ে সব সময় সবকিছুতে অংশগ্রহণ কিংবা সবকিছু সম্পর্কে অবগত থাকার কারণে বারবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দ্বারস্থ হওয়ার চক্র সেই মনোযোগ অর্থনীতিকেই এগিয়ে নিচ্ছে। তাই এটি থেকে বের হয়ে আসা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।


মিস করা   ফোমো   প্রযুক্তি   রোগ   প্রযুক্তিগত রোগ   ডিজিটাল রোগ  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

নারীদের সন্তান জন্মদানের হার কমতে শুরু করেছে: গবেষণা

প্রকাশ: ০৯:৩২ এএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।

দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।

চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।

পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক ১টি শিশু।


গবেষণা   দ্য ল্যানস   গর্ভবতী   শিশু জন্ম  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

মস্তিস্কই আপনার শনাক্তকারী!

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

প্রাণিজগতের মধ্যে মানব মস্তিষ্কই সবচেয়ে জটিল। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্কের আয়তন পুরুষের প্রায় ১৫০০ সিসি ও মহিলাদের প্রায় ১৩০০ সিসি এবং মানব ভ্রূণের প্রাথমিক অবস্থায় মস্তিষ্ক প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত থাকে। পূর্ণাঙ্গ মানুষে এটি আরও জটিল রূপ ধারণ করে এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়।

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০১৯ এর তথ্য মতে, মানুষের মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা কমপক্ষে ২.৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ গিগাবাইট।

দেখা যায়, সাধারণভাবে, মানুষ কিছু মানসিক ঘটনা-যেমন বিষণ্নতা এবং স্পর্শের মাধ্যমে তাপমাত্রা শনাক্ত করার ক্ষমতা - অন্যদের তুলনায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করার মতো আরও বেশি কার্যকর..! যেমন গর্ব অনুভব করা বা প্রথম দর্শনে প্রেমের অভিজ্ঞতা।

তবে, দ্য ডেভিলস ডিকশনারি ইন, অ্যামব্রোস বীরস মনকে "মস্তিষ্কের গোপন বিষয়টির একটি রহস্যময় রূপ" বলে বর্ণনা করেছেন, যা নিজেকে বুঝা "ইহা নিজেকে চেনা, অর্থাত নিজেকে বুঝা ছাড়া আর কিছু না" বা বোঝার নিরর্থক প্রচেষ্টা নিয়ে জড়িত।

বায়ার্সের ১৯১১ সালের প্রকাশের পরে দীর্ঘসময় ধরে আত্মবিজ্ঞান সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। কোন এক কোরা ব্যবহারকারী জিজ্ঞেস করে: "মানব মস্তিষ্ক কি নিজেকে বুঝতে যথেষ্ট বুদ্ধিমান?"

দ্য অনিয়ানের একটি বিদ্রুপমূলক শিরোনাম রিপোর্ট করেছে যে, মনোবিজ্ঞানটি স্থগিত হয়েছে কারণ "ক্লান্ত গবেষকরা বলেছিলেন যে মন সম্ভবত নিজেকে অধ্যয়ন করতে পারে না।"

কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে মস্তিষ্কে মন আপনার মস্তিষ্কের শারীরিক কর্মকাণ্ডের বাইরে চলে গেছে। তাই সতর্ক হোন। নিজেকে বুঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে নিজের আয়েত্বে রাখুন। আপনার জীবনটা আপনারই।

মনোবিজ্ঞানে মস্তিস্কের শনাক্ত করার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং ইমেজিং স্ক্যানিং সহ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। MRI (Magnetic Resonance Imaging), CT scan (Computed Tomography), EEG (Electroencephalogram), PET scan (Positron Emission Tomography) ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা হয় মস্তিস্কের অবস্থান ও কার্যাবলী নির্ধারণে। এই স্ক্যানিং পদ্ধতিগুলি মস্তিস্কের আনুমানিক অবস্থান এবং কার্যাবলীর উপর আলোকপাত করে এবং মস্তিস্কের বিভিন্ন অংশের ক্ষমতা এবং সংযোগস্থলের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও মানুষ মস্তিস্কের কথা বা মনোবিজ্ঞানিক ধারণা শোনা বা বোঝা সম্পর্কে সাধারণভাবে, মনোবিজ্ঞানের সম্পর্কে সাক্ষাৎকার করা, সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর দেখা, মনোবিজ্ঞান নিয়ে পুস্তিকা পড়া, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন করা এবং মনোবিজ্ঞানে সম্পর্কিত মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্ত করা হতে পারে। আরও পেশাদার উপায়ে, যেমন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা পরামর্শদাতা মানুষকে মস্তিস্কের বিষয়ে সাথে কাজ করা হতে পারে।


মস্তিস্ক   মনোবিজ্ঞানে   কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স   প্রাণিজগত  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

আপনি বদলান বিপরীতের মানুষ নয়

প্রকাশ: ০৮:৩৫ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

মানুষের পরিবর্তন হওয়া নিয়ে আমরা প্রতিনিয়তই শুনতে পাই। বছরের পর বছর যেভাবে কাউকে দেখছেন, হয়ত হঠাৎ করেই তিনি হয়ে যেতে পারেন ‘অচেনা’। আচরণ থেকে শুরু করে বদলে যায় অনেক কিছুই। মানুষের এই হঠাৎ ‘বদল’ বিস্ময়কর হলেও বদলে যায় মানুষের চলা, কিংবা কথাবলার ধরন বা তার ব্যবহার।

বিজ্ঞান বলছে, বদলে যাওয়াটা কোনো সহজ কিছু নয়। এখনকার ‘অচেনা’ মানুষটি হয়ত তার নিজ স্বভাবেই আছেন, তাকে চেনার ভুলটি করছেন আপনি নিজেই।

মানুষের বদলানোর কাজটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফল করতে দরকার ব্যক্তির সচেতন চেষ্টা। খুব কম মানুষই পারেন এই কাজটি, ফলে বেশিরভাগ মানুষ জীবন কাটিয়ে দেন একমুখী বৈশিষ্ট্য নিয়ে। তাদের সেই সহজাত বৈশিষ্ট্যকে অনেক সময় আমরা চিনতে ভুল করি বলেই পরে ভাবি, ‘মানুষটি বদলে গেছে’।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, মাঝে মাঝে বদলে গেলে বাস্তবতাও উপলব্ধি করা যেতে পারে। আপনি বুঝে যাবেন আর ওইসব মানুষদের দেখতে পাবেন যারা কখনোই আপনার কাছের মানুষ ছিলো না। অথচ তারাই সবসময় দাবী করে তারা আপনার খুব কাছের। একদম আত্মার আত্মীয়।

আপনি চাইলেও তাদের থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারবেন না কারণ আপনি তাদের মত না। আপনি একদম আলাদা। এটা বলা যায় না যে আপনি খুব ভালো মানুষ কিন্তু আপনি সত্যিই আলাদা। আপনি তাদের মূল্যায়ন করেন মানুষ হিসেবে কিন্তু তারা আপনাকে মূল্যায়ন করবে যন্ত্রের মত করে। অনেকটা পুতুলও ভাবতে পারেন। 

সর্বোপরি, মানুষ প্রিয়জনদের কাছে প্রয়োজনটাই বেশি থাকে। আর এভাবেই চলতে থাকবে। আপনাকে তারা কখনোই আপনার মত করে বুঝতে চায় নি। তারা আপনাকে একদমই যে বোঝে না তাও কিন্তু নয়। তারাও আপনাকে বোঝে কিন্তু তাদের মত করে। আপনি কি বলতে চাইছেন বা কি করতে চাইছেন এটা কেবল আপনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। 

আপনি তাদের ভালোবাসবেন আগের মতই কিন্তু তাদের জন্য আপনার মধ্যে থাকা সেই ফিলিংস গুলো ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে থাকবে। একটা সময় আপনিই থেকে যাবেন কিন্তু তারা কেউই আর থাকবে না। আর এটাই চিরন্তন ধ্রুব সত্য।

মনোবিজ্ঞান  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

দাম্পত্যে বয়সের ব্যবধান কতটা ঝুঁকির?

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

প্রেমের নির্দিষ্ট বয়স বা আকর্ষণ কোন বাঁধ দিয়েও রাখা যায় না। যেকোনো বয়সেই আসতে পারে প্রেম। তবে, সাধারণত তরুণ বয়সটাতেই প্রেমে পড়তে বেশি দেখা যায়। কারণ এই তরুণ বয়সটাতেই ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা, হোক সেটা ৬০ বছরের বৃদ্ধা কিংবা ৪০ এর পুরুষ। তারপর হয় পরিণয় এবং বাকি জীবন একইসঙ্গে কাটানো।

সম্প্রতি রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সিনথিয়া তিশা কে বিয়ে করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয়েছে মিডিয়া পাড়ায়। কারণ সেই শিক্ষার্থীর বয়স ২০ এর নিচে এবং গভর্নিং বডির সদস্যের বয়স হচ্ছে ৬০ এর উপরে। বয়সের ফারাক উপেক্ষা করেই প্রেমে জড়িয়ে পরিবারের অগোচরে বিয়েও করেছেন। যা সমাজ এবং পারিবারক স্থান থেকে প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখেছেন দায়িত্বশীল বাবা মা।

সমাজের সচেতন মহল মনে করছেন, মুশতাক এবং তিশা ঘটনা সমাজের জন্য অসহনীয়। এই ধরনের বিয়েকে নাম দিয়েছেন ‘অসম’ বিয়ে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠরা ‘অসম’ বিয়েকে মেনে নেয় না, তাই এটি অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। যুগ যুগ ধরে সমাজ যে ভাব বহন করছে, তাই সঠিক বলে মেনে নিচ্ছে।

বর্তমান যুগ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যেসব মেয়ে ২০ বছর বয়সে ৬০ বছর এর বেশি বয়সী পুরুষকে বিয়ে করেছে,  আগামী ১০ বছর পরে কোথায় থাকবে তাদের দাম্পত্য জীবন, কতটুকুইবা নীড়াতে পারবে জীবনের পথচলা সেটিই দেখার বিষয়।

যেখানে বাংলাদেশের গড় আয়ু ৭২.৪ বছর সেখানে এমন দম্পতী সমাজে অবস্থান করবে ১০-১৫ বছর। যা কিনা প্রজন্মকে মারাত্মক হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

এছাড়াও দাম্পত্য জীবনে পুরুষের শারীরিক বা যৌন ক্ষমতা থাকা অতিব জরুরি। যদি তা না থাকে তাহলে ওই নারী যৌন আকাঙ্ক্ষায় অন্য পুরুষে আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে করে বেড়ে যায় পরকীয়া। যা সমাজকে অবনতির দিকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

মায়ো ক্লিনিক’য়ের নারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক ডা. ফাবিয়ন সিএনএন’কে বলেন, “যৌনতাকে ভিন্নভাবে দেখতে হচ্ছে। ২০ বছর বয়সে যেমন চল্লিশে সেরকম না, ষাটে যেমন চল্লিশে তেমন না, আবার আশিতে যেরকম ষাটে তেমন না।

ন্যাপলিয়নের বলেছিলেন, আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও আমি একটি শিক্ষিত জাতি দিবো’। তবে কি সেই শিক্ষিত মায়ের প্রভাব এই ব্যপক পার্থক্যের বিয়ে, এতে করে এই মায়ের সন্তান যদিও পৃথিবীতে আসে তাহলে সেই সন্তানের অভিবাবক হয়ে কে থাকবে, কেই বা সেই সন্তানের ভবিষ্যৎ দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে? তা এখন প্রশ্নমুখর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কেননা একজন নারী মানে একটি সমাজ। নারী মানে রাস্ট্র, নারী মানে এক সচেতন জাতী।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটি’র করা গবেষণায় বিজ্ঞানীরা গাণিতিকভাবে গণনা করে দম্পতিদের মধ্যে একটি নিখুঁত বয়সের পার্থক্য বের করেছেন। যাতে বলা হয়েছে, ‘বয়সের পার্থক্য যত বেশি হবে, বিচ্ছেদের ঝুঁকি তত বেশি।’ এই গবেষণার পরিসংখ্যান বলছে, ৫ বছরের বেশি বয়সের পার্থক্য থাকা দম্পতিদের মধ্যে বিচ্ছেদের ঝুঁকি ১৮ শতাংশ।

যদিও প্রচলিত ধারনা হল, বিয়ের ক্ষেত্রে পুরুষের বয়স হবে নারীর বয়সের তুলনায় বেশি। অনেক সময় দেখা যায়, বিস্তর ব্যবধান থাকে নারী পুরুষ বয়সের, কিন্তু প্রেমটা ঠিকই হয়ে যাচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বয়স্ক পুরুষের প্রেমে পড়তে দেখা ‍যায় তরুণীদের। যারা চাইলেই একজন সমবয়সী সঙ্গী পেতে পারেন। তবুও প্রেমের আকাঙ্ক্ষায় বয়স হয়ে উঠে তুচ্ছ।

কিন্তু এ প্রেম ভালোবাসার দাম্পত্য জীবনের ক্ষেত্রে তুচ্ছ মনে হওয়া বয়সটাই হয়ে দাড়ায় প্রশ্নমূখি। কেননা, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দাম্পত্য জীবনের বিষয়টি প্রচলিত রয়েছে হয়ত সমবয়সি, নয়ত নারী প্রেমিকা থেকে পুরুষ প্রেমিকা কিছু বয়সের বড় বা পার্থক্য।

পুরুষ যদি নারী থেকে বয়সে বড় হয় তাহলে তাদের মধ্যে ম্যাচিওরিটিটা থাকে পরিপূর্ণ থাকে। এতে করে সমাজ বা জীবন চলার পথ সহজ হয়, যা কিনা প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ে বা দাম্পত্য পর্যন্ত গড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। নারী-পুরুষের কেবল শারীরিক গঠনই নয়, মানসিক গঠনও আলাদা।

গবেষণা বলছে, বেশি বয়সের পুরুষের ভেতরে কম বয়সী নারীর প্রেমে পড়ার প্রবণতা থাকে। আবার অনেক কম বয়সী নারীও বয়স্ক পুরুষকে বেশি পছন্দ করেন প্রেমিক বা জীবনসঙ্গী হিসেবে।

কিন্তু বয়সের এই পার্থক্যে দাম্পত্য জীবন সূচনা করলে সামাজিক এবং পারিবারিক স্থান থেকে হতে পারে বিপুল বিতর্ক, অসান্তি কিংবা প্রজন্মের হুমকি। যা কিনা পরবর্তী প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

অনেকেই মনে করেন, শারীরিকভাবে প্রাপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের থেকে একটু এগিয়ে থাকেন। অর্থাৎ মেয়েদের শরীর ছেলেদের আগেই প্রাপ্ত বয়স্কদের শরীরের বৈশিষ্ট্যগুলো লাভ করে। আবার  অনেকেরই মত, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা কয়েক বছর আগে শারীরিক পূর্ণতা পায়।

তাহলে কি ২০ বছরের এক তরুণী ৬০ বছরের বৃদ্ধার কাছে জিম্মি। নাকি এটা প্রেম বা ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষা? যেখানে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় কম বয়সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং পরিস্থিতি বোঝার ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে সক্ষমতা রাখে সেখানে ২০ বছরের একজন তরুণী তিন চার দশক বয়সে বড় পুরুষকে ঠিক কতটুকু আপন করার সঠিক সিদ্ধান্ত রাখে। তা নিয়েই চিন্তিত অভিবাবক মহল।

গবেষকরা বলছেন, দম্পতিদের মধ্যে বয়সের পার্থক্য ১০ বছর হলে, বিচ্ছেদের ঝুঁকিও নাটকীয়ভাবে বাড়ে অর্থাৎ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। আর ২০ বা তার বেশি বয়সের পার্থক্য থাকা দম্পতিদের জন্য, ভবিষ্যদ্বাণী সত্যিই নেতিবাচক, কারণ তাদের মধ্যে বিচ্ছেদের ঝুঁকি হতে পারে ৯৫ শতাংশ বেশি।

এছাড়াও ১০ বছরের ব্যবধানে দাম্পত্য জীবন শুরু করলে থাকে বিচ্ছেদের ঝুঁকি, সেখানে যদি কয়েকযুগ ব্যবধানে দাম্পত্য জীবন শুরু করে তাহলে তার দায়ভার সমাজ নিবে? তা ছাড়া বয়সের ব্যবধানে বিয়ে করলে শারীরিক অক্ষমতায় বিচ্ছেদ হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুন বেড়ে যায়।  

বিজ্ঞান বলছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে দ্রুত হরমোনজনিত পরিবর্তন আসে। এর জেরে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় আগে থেকেই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারে।

স্ত্রীর বয়সের চেয়ে ৪০ বছরের বড় স্বামী সমাজে এমন গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না। সমাজের চোখে এমন বিয়েকেও ‘অসম বিয়ে’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। এমন ‘অসময়’ বিয়েগুলো শেষ অবধি পরিনত হয়ে বিবাহ বিচ্চছেদ কিংবা তলাক।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, এক বছরের ব্যবধানে দেশে তালাকের হার বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। তার প্রধান এক কারণ ‘অসময়’ বা বয়সের ব্যবধানের বিয়ে।

‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস’ অনুযায়ী ২০২২ সালে দেশে তালাকের স্থুল হার বেড়ে প্রতি হাজারে ১ দশমিক ৪টি হয়েছে। ২০২১ সালে এই হার ছিল প্রতি হাজারে ০ দশমিক ৭টি। এর মধ্যে গ্রামে তালাকের প্রবণতা বেড়েছে বেশি। গ্রামাঞ্চলে প্রতি হাজারে ১ দশমিক ৫টি আর শহরে হাজারে একটি বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে গত বছর।

এরুপ চলতে থাকলে সমাজে নারীদের অবস্থান যেমন ভাসমান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তেমনি রাষ্ট্রীয় ভাবে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


দাম্পত্য   ঝুঁকি   মুশতাক আহমেদ   শিক্ষার্থী   সিনথিয়া তিশা   বিবাহ   তালাক   গড় আয়ু   ন্যাপলিয়ন   গবেষণা   বিজ্ঞান  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

যুগের পরিবর্তনে আধুনিক সম্পর্কের দৃষ্টি ভঙ্গিতেই কি বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ?

প্রকাশ: ০৮:৫৬ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

সামাজিক একটি বন্ধন হচ্ছে বিয়ে। বিয়ের মাধ্যমে একটি বৈধ চুক্তিতে নারী-পুরুষ দুজন দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন করে, কখনও পারিবারিক সম্মতিতে, আবার কখনওবা নিজেদের পছন্দে। তবে দেশ, কাল, পাত্র, ধর্ম ও বর্ণভেদে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা অনেকটাই ভিন্ন হয়ে থাকে।

বিয়ে মানব জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, যার মাধ্যমে নারী-পুরুষ একত্রে বৈধভাবে মিলিত হয়, রচনা করে স্বপ্নের সুখী নীড় এবং গড়ে তোলে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন। আবার এই সামাজিক বন্ধন বিয়ে টা যেমন সামাজিক মর্যাদায় পারিবারিক দাম্পত্য জীবন শুরু করে তেমন করে বিয়ে বা বিবাহ বিচ্ছেদ ও হয়ে থাকে নিমিশেই। কেননা বিয়ে হচ্ছে একটি শক্তিশালী ও পবিত্র বন্ধন।

একটি বিয়ে শুরু হয় উদযাপন ও ভালবাসায়। এই বন্ধন ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত অনেক কঠিন হলেও জীবন চলার পথে বিভিন্ন কারণে অনেককে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

যুগের পরিবর্তন কালের বিবর্তনে পরিবার ও সমাজের নানান অসঙ্গতির কারনে বিচ্ছেদ হতে পারে। যদি স্বার্থপর বা অসমান যৌথ জীবনের সমস্যা উঠে এবং এটি সমাধান করা সম্ভব না থাকে, তাহলে একটি দাম্পত্য জীবনের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যেতে পারে।

এমনকি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অসম্মান আচরণ বা আধুনিক সম্পর্কের দৃষ্টিভঙ্গি যদি অবধারিত থাকে তাহলে সেই আচরণের বা সম্পর্কের ভিত্তিতে আধুনিক সম্পর্ক সংরক্ষণ করা সম্ভব না হলে বিবাহ বিচ্ছেদ হতে পারে। সবচেয়ে বড় কারন হতে পারে অর্থনৈতিক সমস্যা।

কেননা সংসার জীবনে আর্থিক বিপদ হলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক দূরত্ব তৈরি করতে পারে, এতে করে বিবাহ বিচ্ছেদটা এক ধাপ বেড়ে যায়। যদি একটি পরিবার সামাজিক মূল্যবোধের স্থান থেকে চিন্তাকরা হয় তাহলে, একটা পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বা কোন মামলা বা আইনি জটিলতার কোন বিতর্কের অবস্থা থাকে সে ক্ষেত্রেও পারিবারিক কলরহ হতে পারে এবংকি সেটা বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত ও যাওার সম্ভাবনা থেকে যায়।

দেখা যায়, দম্পতিদের মধ্যে মনোমালিন্য, মারামারি, তর্ক ও, বিশ্বাসঘাতকতা করার কারণেও অনেকেরই বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক দাম্পত্য জীবন ধ্বংস করে দেয়। অ্যালকোহল, ড্রাগে আসক্ত ব্যক্তিরাও সম্পর্ক ও সঙ্গীকে ধরে রাখতে পারেন না. অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্খা কিংবা লোভী নারী-পুরুষ অর্থ, ক্ষমতা, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির লোভে তার চেয়ে তিনগুণ বয়সী নারী-পুরুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। রিবারিক নির্যাতনের কারণেও একটি সংসার ভেঙে যায়।

বিশেষ করে অনেক নারী তার সঙ্গীর কাছ থেকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান। শুধু নারীরাই নন, পুরুষদের ক্ষেত্রেও অনেক সময় এটি দেখা যায়।

বিবাহ বিচ্ছেদের প্রতিকার বিভিন্ন দেশে এবং ধর্মে বিভিন্ন হতে পারে এবং কানুনি নির্ধারণে ভিন্ন হতে পারে। তবে, কিছু সাধারিতভাবে অনুভব হওয়া প্রতিকার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:

আলিমোনি (অনুগ্রহিতা): কিছু দেশে, বিচ্ছেদের পর এক পক্ষে অপর পক্ষকে আলিমোনি বা অনুগ্রহিতা দেওয়া হতে পারে, যা আত্মা-নির্ভরশীলতা এবং আর্থিক সহায়ক সরবরাহ করতে সাহায্য করে।

বাচ্চাদের জন্য পুনর্নির্মাণ অধিকার: বিবাহ বিচ্ছেদ হলে, সাধারণভাবে বাচ্চাদের জন্য পুনর্নির্মাণ অধিকার দেওয়া হতে পারে, এটি তাদের দেখভাল এবং শিক্ষার জন্য অভিভাবকের সাথে মিলে। যা বিচ্ছেদের প্রতিকার হতে পারে।

সম্পত্তির বন্টন: বিবাহ বিচ্ছেদের পর সম্পত্তির মামলা বন্টন করা হতে পারে, এটি বৈধ সম্পত্তি এবং অধিকারের ভিন্নতা নিরসন করে এর ফলে দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যেতে পারে।

আলোচনা এবং সম্ঝোদন: কিছু ক্ষেত্রে, বিচ্ছেদের পর আলোচনা এবং সম্ঝোদনের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে, যাতে দুই পক্ষের মধ্যে সমস্যা সমাধান হতে পারে। যা বিচ্ছেদের পরও সঠিক সমাধান করতে সহায়তা করে।

এই প্রতিকারগুলি একে অপরের মধ্যে ভিন্নতা দেখায় এবং কানুনি নিয়মাবলীর মধ্যে ভিন্নতা থাকতে পারে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে বিবাহবিচ্ছেদ বেড়ে পড়ছে অসংখ্য পরিবারে এর প্রভাব। যা কিনা সমাজ ও জাতিগত দিক থেকে সঠিক নিরসন হওয়া একান্তই জরুরি নলে মনে করেন বিশ্বের একাধিক সমাজবিজ্ঞানীরা।


বিবাহবিচ্ছেদ   দাম্পত্য   বিচ্ছেদ   আধুনিক সম্পর্ক   নির্যাতন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন