মন্তব্য করুন
প্রকৃতি উপভোগ করতে হয় নিজেকে ও জীবনকে আনন্দ প্রদানের জন্য। তবে যদি আনন্দ পেতে গিয়ে জীবনটাই হারিয়ে যায়, তবে আফসোসের সীমা থাকে না। বর্ষায় পাহাড়ে ভ্রমণ পরিকল্পনা করার আগে বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়।
বর্ষায় পাহাড়ে যাওয়ার আগে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে:
১) হাতে অতিরিক্ত দিন রাখুনঃ চার দিনের ভ্রমণ পরিকল্পনা থাকলে হাতে এক-দু’দিন সময় বাড়তি রেখে টিকিট কাটুন। বর্ষায় পাহাড়ে মাঝেমধ্যেই ধস নামে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তায় বেরোনোও বন্ধ হতে পারে, তাই বাঁধাধরা সময় হাতে নিয়ে গেলে আপনার ঘোরার মজাটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
২) দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পাহাড়ে ভ্রমণ নয়ঃ পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করার আগে আবহাওয়া কেমন থাকবে সে বিষয়ে খোঁজ নিন। ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলে কখনোই পাহাড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন না। কারণ এই সময় পাহাড়ের রূপ বদলে যায় হঠাৎ করেই। ঝিরিতে পানি বেড়ে যায়, সৃষ্টি হয় ফ্ল্যাশ ফ্লাডের। পাহাড়ের এই রূপ যদিও সুন্দর, তবে কাছ থেকে দেখতে যাওয়া ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ।
৩) লোকাল গাইড নেবেন অবশ্যইঃ পাহাড় ভ্রমণে যেতে চাইলে লোকাল গাইড নেবেন। ভ্রমণের খরচ কমানোর জন্য গাইড ছাড়া নিজেরাই পাহাড়ি দুর্গম অঞ্চলে প্রবেশের পরিকল্পনা করবেন না।
৪) জুতো ও জামাকাপড়ে নজরঃ বর্ষায় ঘুরতে যাওয়ার আগে রেনকোট কিনতে ভুলবেন না। এই সময় পাহাড়ের আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা হয়ে যায়, তাই হালকা শীতের পোশাকও সঙ্গে রাখতে হবে। একটা ভাল ওয়াটারপ্রুফ জুতো কিনুন। বর্ষায় ভাল জুতো না হলে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে।
৫) মশা মারার ধূপ ও ক্রিমঃ বর্ষায় চারদিকে পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ে। তাই যেখানেই যাচ্ছেন সঙ্গে মশা মারার ধূপ, মশা থেকে দূরে থাকার জন্য গায়ে মাখার ক্রিম সঙ্গে রাখুন।
৬) প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখুন সঙ্গেঃ পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি এই সময় ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি, কাশির মতো রোগ দেখা দেয়। আবার হঠাৎ পরড়ে গিয়ে ব্যথা পাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই জ্বর, ব্যথা কিংবা প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখবেন। কারণ দুর্গম পাহাড়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পাওয়াটা সহজ নয়।
৭) আবহাওয়ার পূর্বাভাসের দিকে নজরঃ পাহাড়ে পৌঁছনোর পর কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে বা ট্রেক করতে যাওয়ার আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখতে ভুলবেন না। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলে ট্রেকে না যাওয়াই ভাল। মাঝপথে নইলে বিপদে পড়তে হবে।
৮) স্থানীয়দের উপর ভরসাঃ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কিংবা বৃষ্টি হলে সেই পরিস্থিতি কোথায় ঘুরতে যাওয়া নিরাপদ হবে, তার জন্য গুগলের উপর ভরসা না করে স্থানীয়দের উপর ভরসা রাখাই ভাল। ভারী বর্ষার মধ্যে নিজে নিজে কোথাও বেরিয়ে পড়া নিরাপদ হবে না, একান্তই কোথাও বেরোতে হলে স্থানীয় ড্রাইভার সঙ্গে রাখুন।
মন্তব্য করুন
একটু রোদ আর সামান্য যত্নে সহজেই চাষ করা যায় মরিচ গাছ। বাসার বারান্দায় বা ছাদে এমন স্থান বেছে নিতে হবে, যেখানে আলো-বাতাস আছে। মরিচ ছায়ায়ও ভালো হয়। তবে মাঝে মাঝে রোদে দিতে হবে বা জানালার কাছে রাখতে হবে। ছাদে অথবা বারান্দায় মরিচ চাষের ক্ষেত্রে মাটি অথবা প্ল্যাস্টিকের টব ব্যবহার করা ভালো। এছাড়া পলিব্যাগ, টিনের কৌটা বা প্ল্যাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।
মরিচ গাছের জন্য মাঝারি আকৃতির টব হলেই চলে। মাঝারি আকৃতির টবে চারটি মরিচ গাছের চাষ করা সম্ভব। বীজ বপন করার আগে অবশ্যই ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সাধারণত মরিচ চাষের উপযুক্ত সময় হলো মে-জুন। এছাড়া শীতকালের শুরুতে অক্টোবর মাসেও মরিচের বীজ বপন করা যায়। এসময় বীজ বপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
বপনের ক্ষেত্রে টবের অথবা উপযুক্ত পাত্রের মাটিতে শুকনা বীজ ছড়িয়ে দিন বা বুনে দিন। কিছুদিন পরে দেখা যাবে বেশকিছু চারা গাছ গজিয়েছে। সেখান থেকে শক্তিশালী চারাগুলো রেখে বাকি চারাগুলো উপড়ে ফেলুন। শুকনো মরিচের ভেতরে যে বীজ থাকে সেগুলোও বের করে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
প্ল্যাস্টিকের কনটেইনার ব্যবহার করলে অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়ার জন্য আগেই কনটেইনারটিতে কয়েকটি ছোট ছিদ্র করে নিতে পারেন। গাছের গোড়ায় দিনে একবার অবশ্যই পানি দেবেন। সব সময় সঠিক নিয়মে পরিমাণমতো পানি দিন। পানি দিলে অনেক সময় গাছ হেলে যেতে পারে। তাই গাছের গোড়ায় কাঠি বেঁধে দিন। গাছে পানি দেওয়ার সময় লক্ষ্য রাখুন পাতা যেন ভিজে না যায়। পাতা ভিজে গেলে রোগবালাই হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পানি জমে গাছ মারা যেতে পারে; তাই টব থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন।
যখন মরিচের চারা বড় হয়, সে সময়ে মাটি আর্দ্র রাখা খুবই জরুরি। যথেষ্ট আলো বাতাস ও পানির প্রয়োজন হয় মরিচ গাছ বাড়ার জন্য। এদের ছাদে, বারান্দা অথবা জানালার পাশের রৌদ্রোজ্জ্বল স্থানে রাখুন। খুব বেশি রোদ যেন না লাগে। সকাল অথবা বিকেলে মরিচ গাছের যত্ন নিন।
মরিচের কচি চারার ডগা খাওয়ার জন্য পিঁপড়া বা ছোট পাখি আসে। তাই টবের চারপাশে কীটনাশক চকের দাগ দিয়ে রাখতে পারেন অথবা পাউডার জাতীয় কীটনাশক দিতে পারেন। পাখির হাত থেকে বাঁচার জন্য শক্ত নেট ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া পানিতে কয়েক ফোটা তরল সাবান মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে পারেন। অথবা পোকামারা কীটনাশক ব্যবহার করুন।
মরিচ গাছে ফুল এলে দু-তিন দিন পরই ফুল ঝরে যাবে। ধীরে ধীরে মরিচ বড় হবে। কিছুদিন পর থেকে মরিচ সংগ্রহ করতে পারেন। মরিচ বড় হলে টান দিয়ে না ছিড়ে কাঁচি দিয়ে সাবধানে কেটে নিন। তাহলে গাছের কোনো ক্ষতি হবে না। গাছ বেশি পরিমাণ ফলন দেয়।
একটি মরিচ গাছ থেকে মোটামুটি দুই দফায় ভালো মরিচ পাওয়া যায়। ঝাল মরিচের একটি গাছে এক দফায় কমপক্ষে ৫০ থেকে ৭৫টি করে, দুই দফায় ১০০ থেকে ১৫০টি মরিচ পাওয়া সম্ভব। যার ওজন প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম।
পাকা মরিচ ১৫ দিন পরপর সংগ্রহ করা যায়। মরিচ গাছ নির্বাচন করে পরিপূর্ণ পাকা মরিচ সংগ্রহ করতে হবে। তারপর ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে বীজ বের করে নিতে হবে। বীজ শুকিয়ে আর্দ্রতা ৬-৮ শতাংশ করে নিয়ে বায়ুরোধী পাত্র বা পলিথিন প্যাকেটে সংরক্ষণ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
পুরোদমে শুরু
গেছে বর্ষাকাল। প্রায় প্রতিদিনই দেখা মিলছে বৃষ্টির। বছরের এই সমইয়টা অনেকে উপভোগ করেন,
আবার অনেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি মোটেও পছন্দ করেন না। কারণ বর্ষাকাল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের
পাশাপাশি কিছু সমস্যাও নিয়ে আসে।
অনেকে এই সময়ে
সহজে জামাকাপড় শুকাতে চায় না, চুল ভেজা থাকে, সেইসঙ্গে বাসাবাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব
লেগে থাকে। পিঁপড়া, মশার পাশাপাশি ঘরে কেন্নোর উপদ্রবও দেখা যায়। স্যতঁস্যাঁতে পরিবেশের
কারণেই মূলত বর্ষকালে বাড়িতে কিংবা বাড়িসংলগ্ন বাগানে কেন্নোর আনাগোনা বেড়ে যায়।
বাড়ির ফাঁকফোঁকর
বা জানালে দিয়ে ঘরে সহজেই প্রবেশ করে কেন্নো। তবে কিছু সহজ উপায় মেনে বর্ষাকালে খুব
সহজেই কেন্নোর উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
কেন্নোর উপদ্রব
কমাতে এবং এর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে কিছু বিষয় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবেঃ
১। কেন্নো যেহেতু
আদ্র জায়গাই বেশি পছন্দ করে, তাই ঘর যদি আর্দ্র ও স্যাঁতস্যাতে হয় তাহলে সমস্যা বাড়বে।
ঘর, বারান্দা, রান্নাঘর, দেওয়াল এবং বাড়ির চারপাশ যত আর্দ্রতা মুক্ত থাকবে, ততই কেন্নো
আসার সম্ভাবনাও কমবে। দিনের বেলায় জানালা, দরজা খুলে দিন, যাতে ঘরে ভালো করে রোদ আসে।
২। কেন্নো মারার
জন্য ঘরের কোণে, দরজার ফাঁকের মধ্যে, জানলার পাশে, বাগানে ডায়াটোমেসিয়াস আর্থ পাউডার
ছড়িয়ে রাখুন। এই পাউডারের সংস্পর্শে এলে কেন্নোর শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায় এবং এরা
শুকিয়ে মারা যায়।
৩। কেন্নো তাড়াতে
ব্যবহার করতে পারেন বোরিক অ্যাসিড। এটি কেন্নোর শরীরের হজম ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়।
স্যাঁতস্যাঁতে বা ভেজা জায়গায় বোরিক অ্যাসিড ছড়িয়ে দিন। তবে বাচ্চা বা পোষা জীব থাকলে
বোরিক অ্যাসিড ব্যবহার করবেন না।
৪। ঘরের দেওয়াল
বা মেঝের কোথাও কোনো ফাঁক বা ফাটল থাকলে তা ভরাট করুন। নোংরা ও আবর্জনা যেন জমে না
থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। বাড়িতে কোথাও ভাঙাচোড়া কিছু থাকলে তা সারিয়ে ফেলুন, পাশাপাশি
ওয়ারিং ও প্লাম্বিংয়ে কোনো সমস্যা থাকলে তারও মেরামত করুন।
৫।কেন্নো ধরতে
ফাঁদ পাতুন। ফাঁদ তৈরির জন্য লাগবে একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল, একটি ইঞ্চি ছয়েক লম্বা
পাইপ, টেপ, ছোটো করে কাটা কয়েক টুকরো পাকা ফল। প্রথমে বোতলে ফলের টুকরো ভরে নিন। তারপর
বোতলের মুখে পাইপটি ইঞ্চি দুয়েক ঢুকিয়ে ভালো করে টেপ দিয়ে আটকে দিন। এইভাবে বোতলটি
মাটিতে শুইয়ে রাখুন। ফল পচতে শুরু করলে কেন্নো বোতলের ভিতরে প্রবেশ করবে। কেন্নো জমলে
বোতলটি ফেলে দিন।
৬। টি ট্রি
অয়েল, পেপারমিন্ট অয়েলের সাহায্যে কেন্নোকে দূরে রাখা যায়। পানির সঙ্গে মিশিয়ে এই তেলগুলো
ব্যবহার করুন। ঘরের সীমানা, দরজার ফাঁকের মধ্যে, বাড়িতে কোনো গাছ থাকলে তার মাটিতে,
বাগানে বা এমন কোনো স্থান যেখানে কেন্নো থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে এসেনশিয়াল অয়েল
ছড়িয়ে দিতে পারেন।
ঘরে ঠিকমতো
বাতাস চলাচল হওয়াও জরুরি। কোথাও যাতে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
পানি জমতে দেবেন না। নর্দমা পরিষ্কার রাখুন।
মন্তব্য করুন
রান্না করতে গেলে চাল, ডাল, লবণের পরেই প্রয়োজন হয় কাঁচা মরিচের। এর ঝাল ও ঘ্রাণ অনেকের কাছে ভীষণ প্রিয়। তবে সম্প্রতি সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে কাঁচা মরিচের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। তাই এখন আর ভাংতি টাকায় পাওয়া যাচ্ছে না কাঁচা মরিচ। ক্রেতাকে সর্বনিম্ন খরচ করতে হচ্ছে বাজারভেদে ৫০ টাকা। কাঁচা মরিচের এই ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে এখনই লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন ক্রেতারা। এই অবস্থায় বেশি দিন কীভাবে এই মরিচ সংরক্ষণ করা যায় সেই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
অনেক সময় কাঁচা মরিচ বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না। মাঝে মাঝে রেফ্রিজারেটরে রাখলেও পচে যায় বা শুকিয়ে যায়। কাঁচা মরিচ কিনে বাড়িতে এনে ঠিকমতো রাখা হয় না বলে তা পচে যায় এবং তীব্র গন্ধ হয়। কিন্তু কাঁচা মরিচ সহজে ও কম খরচে সংরক্ষণ করে রাখার কয়েকটি প্রচলিত পদ্ধতি আছে। সে পদ্ধতিগুলো জেনে নিলে খুব সহজেই অনেক দিন পর্যন্ত সুরক্ষিত রাখতে পারবেন কাঁচা মরিচ। পদ্ধতিগুলো হলঃ-
১। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের ব্যবহারঃ
অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েলে টিফিন প্যাক করেন অনেকে। সেভাবেই ফয়েল পেপারে বোঁটা ছাড়ানো মরিচ রাখুন। দুই প্রান্ত ভালো করে মুড়িয়ে দিন। কাঁচা মরিচ অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারেন। ফ্রিজে রাখার ৫ ঘণ্টা পর ফ্রিজ থেকে বের করে হিমায়িত মরিচগুলো বায়ুরোধক পাত্রে ঢুকিয়ে ফের রেখে দিন রেফ্রিজারেটরে। এভাবে রাখলে দীর্ঘ সময় কাঁচা মরিচ ভালো রাখা সম্ভব।
২। বোঁটা ছিঁড়ে রাখুনঃ
দীর্ঘ দিনের জন্য সংরক্ষণ করতে চাইলে কাঁচা মরিচ বোঁটা ছিঁড়ে সংরক্ষণ করুন। কাঁচা মরিচ কিনে এনেই রেফ্রিজারেটরে ঢুকিয়ে রাখবেন না। এয়ারটাইট বক্সে সংরক্ষণ করতে হবে। তবে রাখার আগে বক্সের নিচে নরম কাপড় বিছিয়ে দেবেন। আর মরিচের বোঁটা ছিঁড়ে রাখতে হবে। এতে সহজে পচবে না। এবার বক্সটি অন্য একটি নরম কাপড়ে ঢেকে দিতে হবে। এই কাপড় মরিচের পানি ধীরে ধীরে শুষে নেবে। এভাবে রাখলে ফ্রিজের বাইরে অনেকদিন ভালো থাকবে।
৩। বায়ুরোধী ব্যাগঃ
বাইরে থেকে বাতাস ঢুকতে পারে না এমন কোনো পাত্রে কাঁচা মরিচ রাখবেন না।কাঁচা মরিচ রাখতে পারেন বায়ুরোধী কোন ব্যাগে। এভাবে রাখতে চাইলেও আগে মরিচের বোঁটা ছিঁড়ে নিতে হবে। এরপর মরিচগুলো ব্যাগে রেখে ব্যাগটি রেফ্রিজারেটরে রাখুন। তবে মনে রাখবেন, যে উপায়ই অবলম্বন করুন না কেন, তাতে দুই সপ্তাহের বেশি কাঁচা মরিচ সতেজ রাখা সম্ভব হবে না।
৪। রোদে শুকিয়ে নিনঃ
কাঁচা মরিচগুলো ভালো করে ধুয়ে বোটা ছাড়িয়ে নিন। পচা মরিচগুলো আলাদা করে ফেলুন। এবার একটি বড় কাগজের উপর মরিচগুলো ছড়িয়ে রোদে শুকিয়ে নিন কয়েকদিন ধরে। তবে এখন যেহেতু বর্ষাকাল তাই রোদের দেখা পাওয়া মুশকিল। তাই এ সময় গ্যাসের চুলায় হালকা গরম করে কাঁচা মরিচ শুকিয়ে নিতে পারেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
একটু রোদ আর সামান্য যত্নে সহজেই চাষ করা যায় মরিচ গাছ। বাসার বারান্দায় বা ছাদে এমন স্থান বেছে নিতে হবে, যেখানে আলো-বাতাস আছে। মরিচ ছায়ায়ও ভালো হয়। তবে মাঝে মাঝে রোদে দিতে হবে বা জানালার কাছে রাখতে হবে। ছাদে অথবা বারান্দায় মরিচ চাষের ক্ষেত্রে মাটি অথবা প্ল্যাস্টিকের টব ব্যবহার করা ভালো। এছাড়া পলিব্যাগ, টিনের কৌটা বা প্ল্যাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।
রান্না করতে গেলে চাল, ডাল, লবণের পরেই প্রয়োজন হয় কাঁচা মরিচের। এর ঝাল ও ঘ্রাণ অনেকের কাছে ভীষণ প্রিয়। তবে সম্প্রতি সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে কাঁচা মরিচের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। তাই এখন আর ভাংতি টাকায় পাওয়া যাচ্ছে না কাঁচা মরিচ। ক্রেতাকে সর্বনিম্ন খরচ করতে হচ্ছে বাজারভেদে ৫০ টাকা। কাঁচা মরিচের এই ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে এখনই লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন ক্রেতারা। এই অবস্থায় বেশি দিন কীভাবে এই মরিচ সংরক্ষণ করা যায় সেই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
কুরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কুরআন ও হাদিসে এর গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরতের পর প্রতি বছর কুরবানি করেছেন। তিনি কখনও কুরবানি পরিত্যাগ করেননি; বরং কুরবানি পরিত্যাগকারীদের ওপর অভিসম্পাত করেছেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কুরবানি করল না, সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে।’