নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩২ পিএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭
আয়মান সাদিক নামটি দেশে এখন বেশ পরিচিত। বিশেষ করে তরুণদের কাছে। পড়ালেখা নিয়ে যে কোনো সমস্যার সমাধানের নাম এখন আয়মান সাদিক। সম্প্রতি তাকে শিক্ষামন্ত্রী বানানোর দাবিতে ফেসবুক ইভেন্ট খোলা- নানা বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে।
আপনাকে শিক্ষামন্ত্রী বানানোর দাবিতে ফেসবুকে এক ইভেন্ট খুব সাড়া ফেলেছে; এ সম্পর্কে জানেন কিছু?
ফার্স্ট অফ অল আমি একজন সাধারণ শিক্ষক পার্থক্যটা শুধু আমি অনলাইনে পড়াই। আমার পড়াতে অনেক ভালো লাগতো। আমি যখন পড়াই স্টুডেন্টরা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। তারা বলে এভাবে তো আগে পড়িনি। তাদের এই নতুন কিছু জানা- এই জিনিসটা আমি অনেক উপভোগ করি। তাই আমি অনলাইনে ক্লাস নিই, লাইভে ক্লাস নিই। সবই শুধু আমার ভালো লাগে তাই। আর এটাই চালিয়ে যেতে চাই। আর কোনো যোগ্যতা আমার নাই। আমি ইভেন্টটা দেখে ভয় পেয়েছি। আমার তো এ বিষয়ে ধারণাও ছিল না। আর এই জিনিসটা হয়ত অনেকে ভুলও বুঝতে পারে। ভাবতে পারে, আমরাই এটা করার চেষ্টা করছি যেটা একেবারেই ভুল। ইভেন্ট যেহেতু বড় হয়ে গেছে, তাই রিপোর্টে কাজ হয়নি। ইভেন্ট পেইজে আমরা অনেকবার নক করে বলেছি, ভাই প্লিজ ইভেন্টটা নামান। সবাই ভাবছে, আমরাই কাজটা করছি। মানুষ তো আমাদের গালি গালাজ করবে। কিন্তু এটা মনে হয় ফেক প্রোফাইল ছিলো। কেউ রেসপন্স করেনি।
যারা এই ধরনের কাজ করে তাদের আপনি কি বলতে চান?
আসলে বাঙালি অনেক আবেগি জাতি। আবেগের বশবর্তী হয়ে আমরা অনেক কাজ করে ফেলি। যারা কাজটা করেছে তাদের ইনটেনশনটা হয়ত ভালো ছিল, কিন্তু তারা আমার দিকটা চিন্তা করেনি। এই ধরনের কাজের জন্য উল্টো আমার সম্পর্কে মানুষের মনে খারাপ ধারণা হতে পারে। কারো আবেগ তো আর আমার পক্ষে কন্ট্রোল করা সম্ভব নয়। যখন আমরা আরো প্র্যাক্টিকাল হয়ে চিন্তা করতে শিখব সরকারি সিস্টেমটা আরো ভালো করে বুঝব, তখন হয়ত এই ধরনের কাজ আর কেউ করবে না। তাই সামনে আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে একটা লেকচার রেডি করব।
নিজের তারুণ্য ভিন্নভাবে উপভোগ করার তাড়নাটা এলো কিভাবে?
অনেকগুলো অভিজ্ঞতার ফলাফল এটা। বিশেষ করে যখন আমি মেন্টরসে ক্লাস নিতাম, তখন এরকম অনেক স্টুডেন্ট দেখেছি। অনেকে কোনোমতে কোচিংয়ের টাকাটা দিতে পারলেও এখানে থাকা-খাওয়ার টানাটানিতে মাঝপথে ছেড়ে দিত। আবার অনেকে রিকোয়েস্ট করত যে, ভাইয়া কোচিংয়ে ভর্তির টাকা দেয়ার সামর্থ্য নেই। প্লিজ একটু হেল্প করেন। নিজের তো এত টাকা নেই যে আমি কাউকে টাকা দিয়ে হেল্প করব। আবার কোচিংয়েও ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্ট চাওয়া সম্ভব নয়। আবার স্টুডেন্টকেও বলতে পারি না, কোনো উপায় নাই; গ্রামে ফিরে যাও। এরকম এক দুজন না অনেক স্টুডেন্ট থাকত। আমি হয়ত তাদেরই দেখছি, যারা কোচিংয়ে আসত। কিন্তু এরকম হাজার হাজার স্টুডেন্ট আছে, যারা টাকার অভাবে বা ঢাকা শহরে থাকার জায়গার অভাবে পড়ার সুযোগ পায়না। স্টুডেন্টদের সমস্যাগুলো আমাকে খুব নাড়া দেয়। আর সমস্যা তো হাজারটা আছে। কিন্তু মানুষ যেটা খুব কাছ থেকে নিজে দেখে, সেটাই সে বেশি ফিল করে। ওই সমস্যাগুলো খুব কাছে থেকে দেখেছি। তাই এটা নিয়েই কাজ করার তাড়নাটা বেশি বোধ করেছি। এই সমস্যাগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে আমার ।তাই এটাই নেশা-পেশা হয়ে গেছে।
‘টেন মিনিট’ কে নেশা পেশা বানাতে গিয়ে কি আড্ডাবাজি প্রেম একটুও মিস করেননি?
হ্যাঁ। অনেক আড্ডা মিস করেছি, অনেক স্টে ওভার মিস করেছি, বার্থ ডে পার্টি, সারপ্রাইজ পার্টি মিস করেছি। অনেক সময় ফ্রেন্ডরা বিরক্ত হয়েছে, যে সারাক্ষণ খালি ব্যস্ত আর ব্যস্ত। ওই সময়টা তো আর ফিরে পাবোনা। কারণ সব বয়সের একটা আলাদা আবেদন থাকে। আর এখন তো সবাই ব্যস্ত। তাই ইউনিভার্সিটি লাইফের কিছু পার্ট হয়ত মিস করেছি। যেমন একটা বিগেস্ট পার্ট আমি বলব ব্যাচ ট্রিপ।
অনেক ইন্টারভিউ দেন আয়মান সাদিক। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো ইন্টারভিউয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন শুনতে ভালো লাগে…
বেশিরভাগ ইন্টারভিউয়ের কমন প্রশ্ন থাকে…
শুরুটা কেমন ছিল ?
শুরুতে কিকি বাধা বা সমস্যা পেয়েছেন ?
চাকরি না করে কেন টেন মিনিট স্কুল ?
সমাজ কি বলত ?
এত দূর আসার পেছনে কে কে সাপোর্ট করেছে?
কিন্তু আমার পছন্দের প্রশ্ন হল…
-আপনাদের এখানে তো কোনো ফুল টাইম এমপ্লোয়ি নাই আপনি বাদে, তাহলে পার্টটাইম এমপ্লোয়ি নিয়ে কাজ করেন কিভাবে?
-আপনার এখানে এখনো অনেক কলেজ পড়ুয়া স্টুডেন্ট কাজ করে তারা কিভাবে কাজ করে?
-আমরা শুনেছি আপনারা নাইটে কাজ করেন। রাতে ভিডিও করেন সকাল বেলা বের হয়ে আসেন। এই যে নাইট শিফটে কিভাবে কাজ করেন ?
-আপনি তো ম্যাথ আর ইংলিশ পড়াতেন এখন আবার প্রেজেন্টেশনের ক্লাস নেন কেন?
-একই টিচার কেমিস্ট্রি বায়োলজি ক্লাস নেয় এটা কিভাবে সম্ভব?
-এই ধরনের প্রশ্ন যেটার মধ্যে দিয়ে মানুষ জানতে পারবে টেন মিনিট স্কুল আসলে কিভাবে কাজ করে।
সময়ের অভাবে ও ব্যস্ততার তাড়ায় তিনি এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর না দিতে পারলেও অন্য কোনোদিন উত্তর দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর/টিবি
মন্তব্য করুন
ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।
ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।
আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।
আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।
শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।
কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।
স্বাভাবিক ত্বক
যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস
যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে। ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো প্যাক
টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে।
সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত
মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে
হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট
এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের
দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু
হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।
দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী
২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের
স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন
ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।
পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা
বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল
নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক
১টি শিশু।
গবেষণা দ্য ল্যানস গর্ভবতী শিশু জন্ম
মন্তব্য করুন
প্রাণিজগতের মধ্যে মানব মস্তিষ্কই সবচেয়ে জটিল। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের
মস্তিষ্কের আয়তন পুরুষের প্রায় ১৫০০ সিসি ও মহিলাদের প্রায় ১৩০০ সিসি এবং মানব ভ্রূণের
প্রাথমিক অবস্থায় মস্তিষ্ক প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত থাকে। পূর্ণাঙ্গ মানুষে এটি
আরও জটিল রূপ ধারণ করে এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়।
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০১৯ এর তথ্য মতে, মানুষের মস্তিষ্কের ধারণ
ক্ষমতা কমপক্ষে ২.৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ গিগাবাইট।
দেখা যায়, সাধারণভাবে, মানুষ কিছু মানসিক ঘটনা-যেমন বিষণ্নতা এবং
স্পর্শের মাধ্যমে তাপমাত্রা শনাক্ত করার ক্ষমতা - অন্যদের তুলনায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
করার মতো আরও বেশি কার্যকর..! যেমন গর্ব অনুভব করা বা প্রথম দর্শনে প্রেমের অভিজ্ঞতা।
তবে, দ্য ডেভিলস ডিকশনারি ইন, অ্যামব্রোস বীরস মনকে "মস্তিষ্কের
গোপন বিষয়টির একটি রহস্যময় রূপ" বলে বর্ণনা করেছেন, যা নিজেকে বুঝা "ইহা
নিজেকে চেনা, অর্থাত নিজেকে বুঝা ছাড়া আর কিছু না" বা বোঝার নিরর্থক প্রচেষ্টা
নিয়ে জড়িত।
বায়ার্সের ১৯১১ সালের প্রকাশের পরে দীর্ঘসময় ধরে আত্মবিজ্ঞান
সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। কোন এক কোরা ব্যবহারকারী জিজ্ঞেস করে: "মানব মস্তিষ্ক
কি নিজেকে বুঝতে যথেষ্ট বুদ্ধিমান?"
দ্য অনিয়ানের একটি বিদ্রুপমূলক শিরোনাম রিপোর্ট করেছে যে, মনোবিজ্ঞানটি
স্থগিত হয়েছে কারণ "ক্লান্ত গবেষকরা বলেছিলেন যে মন সম্ভবত নিজেকে অধ্যয়ন করতে
পারে না।"
কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে মস্তিষ্কে মন আপনার মস্তিষ্কের
শারীরিক কর্মকাণ্ডের বাইরে চলে গেছে। তাই সতর্ক হোন। নিজেকে বুঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে
নিজের আয়েত্বে রাখুন। আপনার জীবনটা আপনারই।
মনোবিজ্ঞানে মস্তিস্কের শনাক্ত করার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের
মধ্যে গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং ইমেজিং স্ক্যানিং সহ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
MRI (Magnetic Resonance Imaging), CT scan (Computed Tomography), EEG
(Electroencephalogram), PET scan (Positron Emission Tomography) ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি
ব্যবহার করা হয় মস্তিস্কের অবস্থান ও কার্যাবলী নির্ধারণে। এই স্ক্যানিং পদ্ধতিগুলি
মস্তিস্কের আনুমানিক অবস্থান এবং কার্যাবলীর উপর আলোকপাত করে এবং মস্তিস্কের বিভিন্ন
অংশের ক্ষমতা এবং সংযোগস্থলের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও মানুষ মস্তিস্কের কথা বা মনোবিজ্ঞানিক ধারণা শোনা বা বোঝা
সম্পর্কে সাধারণভাবে, মনোবিজ্ঞানের সম্পর্কে সাক্ষাৎকার করা, সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
দেখা, মনোবিজ্ঞান নিয়ে পুস্তিকা পড়া, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন করা এবং মনোবিজ্ঞানে
সম্পর্কিত মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্ত করা হতে পারে। আরও পেশাদার উপায়ে, যেমন মনোরোগ
বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা পরামর্শদাতা মানুষকে মস্তিস্কের বিষয়ে সাথে কাজ করা হতে পারে।
মস্তিস্ক মনোবিজ্ঞানে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রাণিজগত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা এক সময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।