নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫১ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮
নিজেকে আর নিজের সবকিছুকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, জীবানুমুক্ত রাখতে আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। সেই সঙ্গে খুঁতখুতানিও আছে অনেক। আমরা সাধারণত যা কিছু দিয়ে নিজেদের বা নিজের সবকিছু পরিস্কার রাখি, তা সবসময় ভালো নয়, ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষতিরও কারণ এমন কিছু পরিস্কারের বাতিকের কথা জানালাম:
কটন বাড দিয়ে কান পরিস্কার
কটন বাড দিয়ে কান অহেতুক খোঁচাখুঁচির ফলে কানে আঘাত লাগতে পারে। এমনকি কানের পর্দাও ছিঁড়ে যেতে পারে ৷ যারা প্রায়ই কান পরিষ্কার করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে কানে থাকা ওয়াক্স বের হতে পারে না। বরং কান পরিষ্কার করার প্রক্রিয়ায় এর কিছুটা কটন বাডে ধাক্কা খেয়ে কানের সরুপথের আরও গভীরে গিয়ে আটকা পড়ে। এগুলো জমে কানে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সাবানের অতিরিক্ত ফেনা তৈরি করা
অনেকেরই অভ্যাস থাকে বেশি করে সাবানের ফেনা তৈরি করে গোসল করা বা হাত-মুখ পরিস্কার করা। অনেকের মনে করেন এতে পরিস্কার বেশি হবে। ঠিক সেরকম কাপড় ধোয়ার সময়েও যতো বেশি ফেনা ততো বেশি পরিস্কার। তবে শরীরের ক্ষেত্রে এমনটি ভাবা ভুল। কারণ এতে করে সাবানের ক্ষার এবং কেমিক্যাল বেশি করে শরীরের সংস্পর্শে আসে।
স্যানিটাইজার
স্যানিটাইজার বা হ্যান্ডওয়াশ শুষ্ক ত্বকের অন্যতম কারণ। এতে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বাড়ে যা হরমোনের স্বাভাবিক কাজে বাধার সৃষ্টি করে। এছাড়া এটি ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়। অনেক সময়ে এগুলো সঠিকভাবে কাজ করেনা। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়াও মেরে ফেলে শরীরের শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়, ,যা মানবদেশের জন্য ক্ষতিকর।
গোসলে আরাম করে অতিরিক্ত সময় নেওয়া
ত্বক বেশি পরিস্কার বা সুন্দর হবে এই ভেবে অনেকেই গোসলে বেশি সময় নেয়। আবার অনেকেরই অভ্যাস আছে ধীরে সুস্থ্যে আরাম করে গোসল করে, বিশেষ করে সকালে। এটা আসলে ত্বকের জন্য একদম ভালো না। ত্বক বেশিক্ষণ ভিজে থাকলে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রতিদিন চুল পরিস্কার করা
ধুলো, ময়লা আর ঘাম থেকে বাঁচতে বাইরে থেকে ফিরে অনেকেই গোসলে প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু দেন, যা একদমই ঠিক না। এতে করে চুল পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আমাদের চুল যাতে শুস্ক না থাকে তাই প্রাকৃতিকভাবেই মাথা থেকে তেল নির্গত হয়। এতে করে চুল ভালো আর স্বাভাবিক থাকে। প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে সেই তৈলাক্ত ভাবটা আর থাকে না। সেই সঙ্গে মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
অতিমাত্রায় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা
স্বাভাবিক ত্বকে প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের কাজে বাঁধার সৃষ্টি হয় এবং যন্ত্রণাদায়ক পদার্থের প্রতি ত্বকের সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। ময়েশ্চারাইজারে যে ভিটামিন ই লিনোলিয়েট থাকে তা ফলিকলের সংস্পর্শে আসলে ডারমাটাইটিস বা চর্মরোগ সৃষ্টি করতে পারে। ময়েশ্চারাইজারের মতো কসমেটিক পণ্যই অ্যালার্জিক কন্টাক্ট ডারমাটাইটিস এর মূল কারণ। অকালসিভ সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে খুব সহজেই ঘাম আটকে যায় ও ব্রণের সৃষ্টি হয়।
খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দাঁত ব্রাশ করা
এনামেলের বিষয়টি চিন্তা করে খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দাঁত ব্রাশ করা ঠিক নয়। কারণ খাওয়ার পর দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর দাঁত ব্রাশ করা উচিত। সকালের নাশতা খাওয়ার পর ও রাতের খাবার খাওয়ার পর আধঘণ্টা অপেক্ষা করে তারপর দাঁত ব্রাশ করতে হবে। এ সময়টা দাঁতের এসিড নিষ্ক্রিয় হবার জন্য রাখা উচিৎ।
শরীর ডলে পরিস্কারের প্রবণতা
অনেকেই গোসলে স্ক্রাবার, মাজুনি বা কাপড়ে সাবান লাগিয়ে বেশ জোরে ঘষে শরীর পরিস্কার করে। এটা একদম ঠিক না। এতে করে ত্বকের স্বাভাবিক কোমলতা একদম নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় ত্বক ছড়ে যেতে পারে পর্যন্ত। ত্বকের লোমকূপের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেল উৎপন্ন হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
হাতে নাক ঢেকে হাঁচি দেওয়া
আমাদের যখন তখন হাঁচি আসে, আর তখনই আমরা নাকে হাত দিয়ে হাঁচি দেই। এতে মারাত্মক ভুল করে ফেলি আমরা। ভেতরের যাবতীয় জীবাণু হাতে লেগে যায়। আমরা এই হাত দিয়ে আবার অন্য কাজ করি, খাই, অন্যকে স্পর্শ করি। এতে জীবাণু শুধু ছড়াতেই থাকে।
অন্তর্বাসে সুগন্ধি স্প্রে করা
অন্তর্বাসের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য অনেকেই তাতে বডি স্প্রে, পারফিউম বা ট্যালকম পাউডার লাগায়। এটা নতুন করে জীবাণু উৎপন্ন করতে শুরু করে। এতে সেই জীবাণু এবং সুগন্ধির ক্ষতিকর উপাদান, কেমিক্যাল সরাসরি শরীরের সংবেদনশীল অংশগুলোতে প্রবেশ করে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।
ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।
আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।
আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।
শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।
কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।
স্বাভাবিক ত্বক
যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস
যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে। ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো প্যাক
টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে।
সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত
মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে
হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট
এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের
দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু
হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।
দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী
২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের
স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন
ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।
পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা
বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল
নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক
১টি শিশু।
গবেষণা দ্য ল্যানস গর্ভবতী শিশু জন্ম
মন্তব্য করুন
প্রাণিজগতের মধ্যে মানব মস্তিষ্কই সবচেয়ে জটিল। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের
মস্তিষ্কের আয়তন পুরুষের প্রায় ১৫০০ সিসি ও মহিলাদের প্রায় ১৩০০ সিসি এবং মানব ভ্রূণের
প্রাথমিক অবস্থায় মস্তিষ্ক প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত থাকে। পূর্ণাঙ্গ মানুষে এটি
আরও জটিল রূপ ধারণ করে এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়।
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০১৯ এর তথ্য মতে, মানুষের মস্তিষ্কের ধারণ
ক্ষমতা কমপক্ষে ২.৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ গিগাবাইট।
দেখা যায়, সাধারণভাবে, মানুষ কিছু মানসিক ঘটনা-যেমন বিষণ্নতা এবং
স্পর্শের মাধ্যমে তাপমাত্রা শনাক্ত করার ক্ষমতা - অন্যদের তুলনায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
করার মতো আরও বেশি কার্যকর..! যেমন গর্ব অনুভব করা বা প্রথম দর্শনে প্রেমের অভিজ্ঞতা।
তবে, দ্য ডেভিলস ডিকশনারি ইন, অ্যামব্রোস বীরস মনকে "মস্তিষ্কের
গোপন বিষয়টির একটি রহস্যময় রূপ" বলে বর্ণনা করেছেন, যা নিজেকে বুঝা "ইহা
নিজেকে চেনা, অর্থাত নিজেকে বুঝা ছাড়া আর কিছু না" বা বোঝার নিরর্থক প্রচেষ্টা
নিয়ে জড়িত।
বায়ার্সের ১৯১১ সালের প্রকাশের পরে দীর্ঘসময় ধরে আত্মবিজ্ঞান
সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। কোন এক কোরা ব্যবহারকারী জিজ্ঞেস করে: "মানব মস্তিষ্ক
কি নিজেকে বুঝতে যথেষ্ট বুদ্ধিমান?"
দ্য অনিয়ানের একটি বিদ্রুপমূলক শিরোনাম রিপোর্ট করেছে যে, মনোবিজ্ঞানটি
স্থগিত হয়েছে কারণ "ক্লান্ত গবেষকরা বলেছিলেন যে মন সম্ভবত নিজেকে অধ্যয়ন করতে
পারে না।"
কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে মস্তিষ্কে মন আপনার মস্তিষ্কের
শারীরিক কর্মকাণ্ডের বাইরে চলে গেছে। তাই সতর্ক হোন। নিজেকে বুঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে
নিজের আয়েত্বে রাখুন। আপনার জীবনটা আপনারই।
মনোবিজ্ঞানে মস্তিস্কের শনাক্ত করার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের
মধ্যে গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং ইমেজিং স্ক্যানিং সহ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
MRI (Magnetic Resonance Imaging), CT scan (Computed Tomography), EEG
(Electroencephalogram), PET scan (Positron Emission Tomography) ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি
ব্যবহার করা হয় মস্তিস্কের অবস্থান ও কার্যাবলী নির্ধারণে। এই স্ক্যানিং পদ্ধতিগুলি
মস্তিস্কের আনুমানিক অবস্থান এবং কার্যাবলীর উপর আলোকপাত করে এবং মস্তিস্কের বিভিন্ন
অংশের ক্ষমতা এবং সংযোগস্থলের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও মানুষ মস্তিস্কের কথা বা মনোবিজ্ঞানিক ধারণা শোনা বা বোঝা
সম্পর্কে সাধারণভাবে, মনোবিজ্ঞানের সম্পর্কে সাক্ষাৎকার করা, সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
দেখা, মনোবিজ্ঞান নিয়ে পুস্তিকা পড়া, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন করা এবং মনোবিজ্ঞানে
সম্পর্কিত মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্ত করা হতে পারে। আরও পেশাদার উপায়ে, যেমন মনোরোগ
বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা পরামর্শদাতা মানুষকে মস্তিস্কের বিষয়ে সাথে কাজ করা হতে পারে।
মস্তিস্ক মনোবিজ্ঞানে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রাণিজগত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা এক সময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।