নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ২৮ অগাস্ট, ২০১৮
ধরুন পাশে কেউ ঘুমাচ্ছে, সেই ঘুমের মধ্যেই মানুষটি এলোমেলো কথা বলতে শুরু করল। আর সেটা একদমই ঘুমের ঘোরে, অবচেতন মনে। সে নিজেই টের পাচ্ছে না যে সে কথা বলছে বা ঘুম ভাঙার পরে সেই কথা তার মনেও থাকছে না। এই ঘুমের ঘোরে কথা বলার অভ্যাস ছোট-বড় যে কারোই থাকতে পারে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না এই কথা বলার সমস্যাটি কেন হয় বা এর প্রতিকার কি।
ঘুমের ঘোরে কথা বলার কারণ
মানসিক উদ্বেগ
মানসিক উদ্বেগ বা অবসাদের ফলে ঘুমের মধ্যে কথা বলে অনেকেই। সারাদিনের এলোমেলো চিন্তাগুলো ঘুমের মধ্যে মস্তিস্কের মধ্যে ঘুরেফিরে চলে আসে বলে ঘুমের মধ্যে মানুষ কথা বলে।
ঘুমের সময়
ঘুমের নির্ধারিত সময় না থাকলে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। আবার দিনে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া বা ঘুমের স্থান পরিবর্তন করলেও ঘুমের মধ্যে ব্যাঘাত ঘটে আর ঘুমের মধ্যে মানুষ কথা বলে।
অত্যাধিক ক্যাফেইন গ্রহণ করলে
মদ্যপান বা ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় গ্রহণের ফলে মানুষ ঘুমের মধ্যে কথা বলতে পারে।
ভারী খাবার খাওয়া
ঘুমানোর আগে যদি একটু বেশি ভারী খাবার খাবার খাওয়া হয়ে যায় তাহলে ঘুমে একটু ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তার ফলে ঘুমের মধ্যে এলোমেলো কথা বলার প্রবণতা তৈরি হয়।
মানসিক বা শারীরিক অসুস্থতা
যদি মানসিকভাবে জটিল কোনো সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে কথা বলতেই পারে। আবার শারীরিক কোনো রোগ যেমন- জ্বর, কোথাও তীব্র ব্যথা, অনিদ্রার সমস্যা থাকলে মানুষ ঘুমের ঘোরে কথা বলতে পারে।
ওষুধের কারণে
যাদের বিভিন্ন রোগের জন্য শক্তিশালী ওষুধ খেতে হয় বা ওষুধ গ্রহণ করতে হয় তাদের শরীরে বেশকিছু পরিবর্তন হতে পারে। যাতে করে ঘুমের বা স্নায়বিক কোনো সমস্যা শুরু হয়। এতে করে ঘুমের মধ্যে এলোমেলো বকতে পারে মানুষ।
যেভাবে প্রতিকার মিলবে
১. এই সমস্যার সমাধানে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় গ্রহণের প্রবণতা কমানো প্রয়োজন। এছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
২. আর মানসিক উদ্বেগ দূর করতে দুই-এক দিনের ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসুন। একটু হালকা হতে চেষ্টা করুন।
৩. এছাড়াও বিভিন্ন ব্রিদিং এক্সারসাইজ বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করে করে মানসিক উদ্বেগ দূর করুন। বিভিন্ন বই পড়ে, শরীরচর্চা করে, গান শুনে মেজাজ ভালো রাখুন।
৪. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠুন। আর নিয়মিত অবশ্যই আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ঘুম কম হলে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা ততই বাড়বে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।