নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৩ পিএম, ৩১ অগাস্ট, ২০১৮
তরতাজা সবজি আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য সবসময়েই প্রয়োজন। প্রতিটি সবজিই আমাদের শরীরে ভিন্ন ভিন্নভাবে উপকারে আসে। গরমের সবজিগুলোর মধ্যে ঢেঁড়স আমাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। গবেষণাতেও বলা হয়েছে, প্রতিদিন ১০০ গ্রাম ঢেঁড়স খেলে শরীরে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, নিয়াসিন, ভিটামিন সি, ই, কে, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের ঘাটতি অনেকটাই মেটানো যায়। তাই অবশ্যই ঢেঁড়স খাওয়ার প্রতি মনোযোগ দিন এই কারণগুলো ভেবে-
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
আমরা যারা খাদ্যরসিক বাঙালি, তাদের খাবারদাবারে রূচির বিভিন্ন বৈচিত্র্য আছে। এই বিভিন্ন স্বাদ মেটাতে কতো রকমের মশলা, ভাজাপোড়া, বিভিন্ন ঢঙে রান্না খাবার খেলে পেটে হজমজনিত অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই অবস্থায় ঢেড়স খেয়ে দেখতে পারেন। এজন্য সপ্তাহে ২-৩ দিন ঢেঁড়স সেদ্ধ খাওয়া শুরু করুন। এতে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটবে, বিভিন্ন পেটের রোগও চলে যাবে।
সানস্ট্রোক থেকে বাঁচায়
বিশ্বে তাপমাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়ছেই। এতে করে বাড়ছে বিভিন্ন রোগবালাই, শারীরিক-মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা। এজন্য সচেতনতার পাশাপাশি খাবারেও কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিৎ। এজন্য আপনি খেতে পারেন ঢেড়স। কেননা এই সবজিটি আমাদের শরীরে কিছু পরিবর্তন করতে পারে, শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে ঠাণ্ডা করে তোলে। ফলে সানস্ট্রোকে আক্রান্তের আশঙ্কা কমে।
কিডনির ক্ষমতা বাড়ে
গবেষণায় প্রমাণিত যে, নিয়মিত এক বাটি ঢেঁড়সের তরকারি খেলে কিডনির ভেতরে জমে থাকা ক্ষতিকর উপাদানগুলো বের হয়ে যায় শরীর থেকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কিডনির সমস্যা সহজে আক্রান্ত করতে পারে না। সেই সঙ্গে কিডনির যেকোনো ইনফেকশন দূর করে দিতে পারে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়
ঢেঁড়সে থাকা ফাইবার পেটের বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমায়। সেই সঙ্গে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যারও সমাধান করে। ঢেঁড়স খেলে স্কিন টোনের উন্নতি ঘটে। ঢেঁড়সে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে ত্বকের বয়স কমিয়ে দিতে পারে।
শরীর সচল করে তোলে
শরীরকে সচল এবং রোগমুক্ত রাখতে নিয়মিত ফলেট উপাদানটি খুবই প্রয়োজনীয়। ঢেঁড়সে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলেট থাকে বলে শরীরে অসাড়তা আসতে পারে না সহজে। তাই নিয়মিত ঢেঁড়স খাওয়া শুরু করে দিন। রোগবালাই কম হবে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে।
খুশকির প্রকোপ কমে
গবেষণায় প্রমাণিত, নিয়মিত ঢেঁড়স খাওয়া শুরু করলে স্কাল্প বা মাথার ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে। ফলে খুশকি কমে যেতে থাকে। এছাড়া মাথায় বিভিন্ন চুলকানি, ইনফেকশনের প্রকোপও কমার সুযোগ থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে
ঢেঁড়সে থাকা ফাইবার আমাদের হার্টের পরিচর্চা করে। সেই সঙ্গে বাওয়েল মুভমেন্ট উন্নতি ঘটায়। অর্থাৎ মলত্যাগের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। ঢেঁড়স খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা কমে যায়। তাই প্রতিদিন না খান, নিয়মিত ঢেঁড়স খাওয়ার চেষ্টা করুন। এচঅড়া ঢেঁড়স কোলন ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়।
হাড় সুস্থ রাখে
ঢেঁড়সে থাকা ফলেট হাড়ের গঠনে উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগকে দূরে রাখে। আর বয়স ৪০ পার হলেই হাড়ের রোগগুলো একটু বেশি হয়, তাই খাওয়াদাওয়ায় একটু পরিবর্তন আনা উচিৎ। বিশেষ করে নারীদের এই বয়সটাতে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে বিভিন্ন হাড়ের রোগ শরীরে আক্রমণ করে। তাই নারীদের জন্য ঢেঁড়স খাওয়া বেশি জরুরি।
ক্যানসার প্রতিহত করে
ঢেঁড়সে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে প্রতিদিন এই সবজি খেতে হবে। এতে করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, শরীরের বিভিন্ন কোষগুলোর বিভাজন ঠিকমতো হয়। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান কোষ গঠনে পরিবর্তন করার সুযোগ থাকে না। ফলে ক্যানসার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কাও কমে।
বাজে কোলেস্টরলের মাত্রা কমে
শরীরে থাকা বাজে কোলেস্টরলের মাত্রা কমানোর জন্য ঢেঁড়সের কোনো বিকল্প নেই। ঢেঁড়সে ফাইবার থাকে বলে শরীরে কোনো ক্ষতিকর কোলেস্টরল কমতে পারে না। তাই যাদের ডায়বেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের জন্য নিয়মিত ঢেঁড়স খাওয়া উচিৎ।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
বিশ্বে এখন ডায়বেটিস ভয়াবহ এক রোগের নাম। প্রতিবছর নতুন করে ডায়বেটিস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখা এবং ডায়বেটিস থেকে নিজেকে দূরে রাখার জন্য নিয়মিত ঢেঁড়স খাওয়া উচিৎ। গবেষণা অনুযায়ী, প্রতিদিন ৬-৮ টা ঢেঁড়স খেলে শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে ডায়বেটিস রোগে আক্রান্তের আশঙ্কা কমে যায়।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।
ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।
আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।
আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।
শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।
কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।
স্বাভাবিক ত্বক
যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস
যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে। ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো প্যাক
টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে।
সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত
মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে
হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট
এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের
দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু
হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।
দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী
২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের
স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন
ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।
পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা
বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল
নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক
১টি শিশু।
গবেষণা দ্য ল্যানস গর্ভবতী শিশু জন্ম
মন্তব্য করুন
প্রাণিজগতের মধ্যে মানব মস্তিষ্কই সবচেয়ে জটিল। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের
মস্তিষ্কের আয়তন পুরুষের প্রায় ১৫০০ সিসি ও মহিলাদের প্রায় ১৩০০ সিসি এবং মানব ভ্রূণের
প্রাথমিক অবস্থায় মস্তিষ্ক প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত থাকে। পূর্ণাঙ্গ মানুষে এটি
আরও জটিল রূপ ধারণ করে এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়।
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০১৯ এর তথ্য মতে, মানুষের মস্তিষ্কের ধারণ
ক্ষমতা কমপক্ষে ২.৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ গিগাবাইট।
দেখা যায়, সাধারণভাবে, মানুষ কিছু মানসিক ঘটনা-যেমন বিষণ্নতা এবং
স্পর্শের মাধ্যমে তাপমাত্রা শনাক্ত করার ক্ষমতা - অন্যদের তুলনায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
করার মতো আরও বেশি কার্যকর..! যেমন গর্ব অনুভব করা বা প্রথম দর্শনে প্রেমের অভিজ্ঞতা।
তবে, দ্য ডেভিলস ডিকশনারি ইন, অ্যামব্রোস বীরস মনকে "মস্তিষ্কের
গোপন বিষয়টির একটি রহস্যময় রূপ" বলে বর্ণনা করেছেন, যা নিজেকে বুঝা "ইহা
নিজেকে চেনা, অর্থাত নিজেকে বুঝা ছাড়া আর কিছু না" বা বোঝার নিরর্থক প্রচেষ্টা
নিয়ে জড়িত।
বায়ার্সের ১৯১১ সালের প্রকাশের পরে দীর্ঘসময় ধরে আত্মবিজ্ঞান
সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। কোন এক কোরা ব্যবহারকারী জিজ্ঞেস করে: "মানব মস্তিষ্ক
কি নিজেকে বুঝতে যথেষ্ট বুদ্ধিমান?"
দ্য অনিয়ানের একটি বিদ্রুপমূলক শিরোনাম রিপোর্ট করেছে যে, মনোবিজ্ঞানটি
স্থগিত হয়েছে কারণ "ক্লান্ত গবেষকরা বলেছিলেন যে মন সম্ভবত নিজেকে অধ্যয়ন করতে
পারে না।"
কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে মস্তিষ্কে মন আপনার মস্তিষ্কের
শারীরিক কর্মকাণ্ডের বাইরে চলে গেছে। তাই সতর্ক হোন। নিজেকে বুঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে
নিজের আয়েত্বে রাখুন। আপনার জীবনটা আপনারই।
মনোবিজ্ঞানে মস্তিস্কের শনাক্ত করার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের
মধ্যে গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং ইমেজিং স্ক্যানিং সহ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
MRI (Magnetic Resonance Imaging), CT scan (Computed Tomography), EEG
(Electroencephalogram), PET scan (Positron Emission Tomography) ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি
ব্যবহার করা হয় মস্তিস্কের অবস্থান ও কার্যাবলী নির্ধারণে। এই স্ক্যানিং পদ্ধতিগুলি
মস্তিস্কের আনুমানিক অবস্থান এবং কার্যাবলীর উপর আলোকপাত করে এবং মস্তিস্কের বিভিন্ন
অংশের ক্ষমতা এবং সংযোগস্থলের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও মানুষ মস্তিস্কের কথা বা মনোবিজ্ঞানিক ধারণা শোনা বা বোঝা
সম্পর্কে সাধারণভাবে, মনোবিজ্ঞানের সম্পর্কে সাক্ষাৎকার করা, সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
দেখা, মনোবিজ্ঞান নিয়ে পুস্তিকা পড়া, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন করা এবং মনোবিজ্ঞানে
সম্পর্কিত মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্ত করা হতে পারে। আরও পেশাদার উপায়ে, যেমন মনোরোগ
বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা পরামর্শদাতা মানুষকে মস্তিস্কের বিষয়ে সাথে কাজ করা হতে পারে।
মস্তিস্ক মনোবিজ্ঞানে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রাণিজগত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা এক সময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।