নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩২ এএম, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
শরীফ আর আরশির বিয়ে ১৪ বছর হতে চলেছে। দুজনেই চাকরি করেন, বেশ ব্যস্ত। বাসায় একটি মাত্র ছেলে আর শরীফের বাবা-মা সারাদিন বাসায় থাকে। একদিকে সারাদিন একটি শিশু বেড়ে উঠছে বাবা-মাকে ছাড়া, আবার বৃদ্ধ বাবা-মাও বন্দি জীবন পার করে দিচ্ছে শহরের একটি ফ্ল্যাটে। এদিকে তারা স্বামী স্ত্রী অফিস থেকে ফেরে চোখে ক্লান্তি নিয়ে।
পরিবারে কর্তা এবং কর্ত্রী দুজনই যখন জীবনজীবিকা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন অর্থাৎ চাকরি করেন, সংসারটা একেবারে ভিন্নভাবে চলে। তাদের সন্তান, আত্মীয় পরিজন কাছে থেকেও অনেকটা দূরে থাকার মতোই। সারাদিনের ব্যস্ততা আর কাজের চাপে পরিবারকে নিয়ে ভাবার সময়ও হয়তো মেলে না। আর বাসায় ফিরলেই চেপে ধরে একগাদা ক্লান্তি। দেখা যায় ক্লান্তি নিয়ে ফিরে কারো সঙ্গে ভালোমতো কথাও বলা হয়না, আবার এমন অনেক পেশার বৈচিত্র্য আছে যেখানে চাকরিজীবি স্বামী-স্ত্রী কারো সঙ্গে কারো দেখাও হয়তো হয় না। কিন্তু চাইলেই ব্যস্ততার বাইরের সময়টিকে দারুণভাবে কাজে লাগানোই যায়।
একদিকে সংসার আরেক দিকে পেশা সামলানো খুব সহজ বিষয় নয়। কারো সঙ্গে ভালোমন্দ দুটো কথা বলা, সমস্যা শেয়ার করারও ইচ্ছে আর থাকে না। অথচ একটু হিসাব মতো বুঝেশুনে সময়কে ভাগ করে নিয়ে পরিবারকে ‘কোয়ালিটি টাইম’ দেওয়াই যায়।
কোয়ালিটি টাইম বিষয়টি কি
কোয়ালিটি টাইম বলতে মূলত সন্তান বা পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রতি নিরবচ্ছিন্নভাবে মনোযোগ দিয়ে তাদের সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু সময় কাটানোকে বোঝায়। কোয়ালিটি টাইম খুব স্বল্প সময়ের হলেও মানুষের মনোযোগের চাহিদার অনেকখানি পূরণ করতে পারে যেটি সারাদিন স্বাভাবিক সময় দিলেও পূরণ হতে চায় না। কারণ সারাদিন আমাদের অনেক কাজেই করতে হয়। আবার সেই সঙ্গে পরিবার বা সন্তানদের নিয়েও ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়। অর্থাৎ প্রথমে মনোযোগটাকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করি, সেই মনোযোগের কিছু অংশ পরিবারকে দিই আমরা। অর্থাৎ, একট নির্দিষ্ট সময় পরিবারকে দিতে হয়। কোয়ালিটি টাইম যদি ভালোভাবে উপভোগ বা কাজে লাগাতে হয় তবে পুরোপুরি মনোযোগ পরিবার বা সন্তানদেরকে দিতে হয়।
তবে কোয়ালিটি টাইম দেওয়া মানেই যে ও ‘অনেকটা’ সময় দিতে হবে, তা না। অনেকখানি সময় তাদের সঙ্গে থেকেও যদি সময়টার সদ্ব্যবহার করা না যায়, তাহলে তেমন কোনো লাভই নেই। পরিবার অনেক বড় একটি বিষয়, ব্যস্ততার অজুহাতে তাদের সময় কম দেওয়া মানে নিজের অস্তিত্বের একটি অংশকে আড়াল করে রাখা।
কেমন হতে পারে আদর্শ কোয়ালিটি টাইম
একজন কর্মজীবি স্বামী বা স্ত্রী যখন সঙ্গী বা সন্তানদের সঙ্গে থাকেন তখন সময়টা কেবল তাদের জন্যই বরাদ্দ রাখা উচিৎ। এতে করে সন্তানের কখনো এটা ভাবার অবকাশ থাকবে না যে বাবা বা মা তাদেরকে পর্যাপ্ত সময়টা দিতে পারছে না। ঠিক একইভাবে পেশাগত কাজ করতে করতে সন্তান আর পরিবারকে সবসময় ভাবতে হবে বা সময় দিতেই হবে এমনটা নয়। কাজের সময়ে কাজে মন দেওয়াই ভালো। নিতান্ত প্রয়োজনের বাইরে কাজের সময়ে পরিবারকে না ভাবলেও চলে। এর চেয়ে বরং পরিবারের সঙ্গে যখন থাকা হয়, তখন যে শুধু তাদেরকেই ভাবা হয় বা কাছে রাখা হয়। এতে সন্তান বুঝতে পারে যে, বাবা-মায়েরা আসলেই তাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে ভালোবাসা আর টান দৃঢ় হয়।
বিশেষ করে কর্মজীবী মা ও একক পরিবারের শিশুদের জন্য বিষয়টি খুব প্রয়োজনীয়। শিশুদের নানা রকম আচরণগত সমস্যাগুলো হয় তাদের মনোযোগের চাহিদা সঠিকভাবে পূরণ না হওয়ার কারণে হতে পারে। কোয়ালিটি টাইম দিলে শিশুদের মধ্যে মনোযোগের চাহিদা অনেকখানি পূরণ হয়। তাদের নেতিবাচক আচরণ করার প্রবণতা কমে। এছাড়া, মা-বাবার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় হয় এবং সেই সঙ্গে শিশুদের রাগ, জেদ, অন্যায় আবদার ইত্যাদির পরিমাণও কমে যায়। ফলে মায়ের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য কোনো নেতিবাচক আচরণ করে না তারা।
সঙ্গী পরস্পরকে কোয়ালিটি টাইম দিলে দুজনের সম্পর্ক আরও গভীর হয়, মতের মিল বাড়ে, দুরত্ব থাকলেও সেটা কমে যেতে থাকে। ভালোবাসার আস্থা দৃঢ় হয়, একজন আরেকজনের গুরুত্ব বুঝতে শেখে।
কোয়ালিটি টাইম এর জন্য কিছু পরামর্শ
১. সঙ্গী ও সন্তানদের সময় দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্য কাজ থেকে দূরে থাকবেন। এই যেমন টিভি দেখা, ল্যাপটপ বা মোবাইলে কোনো কাজ করা বা অফিসের কোনো কাজ করে আপনাদের সময়টাকে যেন কোনোভাবেই নষ্ট করবেন না।
২. অবশ্যই সন্তানদের পড়াশোনা, বন্ধুবান্ধবের ব্যাপারে খোঁজ নেবেন। কিশোর বয়সী সন্তান হলে তাকে উপদেশের পাশাপাশি তার বিভিন্ন কথাবার্তা, আচরণের ওপর মনোযোগ দিন। সবচেয়ে ভালো হয় একটা হালকা পরিবেশ তৈরি করলে। এতে করে সে সে নির্ভয়ে ও বিশ্বাসের সঙ্গে মনের কথা বলবে। এতে করে সমস্যা থাকলে তার সমাধানও হয়ে যাবে।
৩. শিশুদের সঙ্গে একেবারেই মিশে যান। তাদের সঙ্গে তাদের মতো করেই কিছুক্ষণ খেলুন কিংবা মজার মজার গল্প বলুন। মনে রাখবেন যে আপনার সন্তানটি অনেক কিছুই বোঝে। সামান্যতম মনোযোগের সুষম বা অসম বণ্টনও তার চোখে পড়ে। তাই তাদের প্রতি নিজের পুরোটা মনোযোগ দিতে চেষ্টা করুন।
৪. পুরো সপ্তাহ যত কাজই থাকুক না কেন, ছুটির দিনটি অবশ্যই পরিবারের জন্য রাখুন। এই দিনটি পরিবারকে অবহেলা করার কথা ভাববেন ও না। আগেই সবাই মিলে পরিকল্পনা করুন দিনটিকে সুন্দর করে কাটানোর।
৫. সঙ্গী, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যগুলোর প্রতি সবদিক থেকে মনোযোগী হন। কাজ থেকে বাসায় ফিরে ক্লান্তিভাব দেখাবেন না। ফ্রেশ হয়ে সবাই মিলে হালকা নাস্তা করে নেবেন অবশ্যই। সম্ভব হলে স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে রাতের রান্নটা সেরেও নিতে পারেন।
৬. সারাদিন যে যার কাজে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে সময়টা নিতান্তই পরিবারের সবার। রাতে সবাই একসঙ্গে একটু বিনোদন নিতেই পারেন। একসঙ্গে টেলিভিশন বা ল্যাপটপে যেকোনো পছন্দের নতুন নাটক, সিনেমা বা কোনো শো দেখতে পারেন। আবার সবাই মিলে মজার কোনো খেলা খেলে দারুণ কিছু সময় কাটাতেই পারেন।
৭. সারা সপ্তাহের ব্যস্ততার অজুহাত কাটিয়ে সন্ধ্যের পর কাজে বা ঘুরতে বাইরে বের হতে পারেন। পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে নিন। সম্ভব হলে মাঝেমাঝে সবাই মিলে বাইরে খাওয়াদাওয়াও করে আসতে পারেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।
ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।
আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।
আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।
শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।
কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।
স্বাভাবিক ত্বক
যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস
যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে। ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো প্যাক
টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে।
সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত
মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে
হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট
এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের
দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু
হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।
দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী
২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের
স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন
ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।
পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা
বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল
নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক
১টি শিশু।
গবেষণা দ্য ল্যানস গর্ভবতী শিশু জন্ম
মন্তব্য করুন
প্রাণিজগতের মধ্যে মানব মস্তিষ্কই সবচেয়ে জটিল। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের
মস্তিষ্কের আয়তন পুরুষের প্রায় ১৫০০ সিসি ও মহিলাদের প্রায় ১৩০০ সিসি এবং মানব ভ্রূণের
প্রাথমিক অবস্থায় মস্তিষ্ক প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত থাকে। পূর্ণাঙ্গ মানুষে এটি
আরও জটিল রূপ ধারণ করে এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়।
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০১৯ এর তথ্য মতে, মানুষের মস্তিষ্কের ধারণ
ক্ষমতা কমপক্ষে ২.৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ গিগাবাইট।
দেখা যায়, সাধারণভাবে, মানুষ কিছু মানসিক ঘটনা-যেমন বিষণ্নতা এবং
স্পর্শের মাধ্যমে তাপমাত্রা শনাক্ত করার ক্ষমতা - অন্যদের তুলনায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
করার মতো আরও বেশি কার্যকর..! যেমন গর্ব অনুভব করা বা প্রথম দর্শনে প্রেমের অভিজ্ঞতা।
তবে, দ্য ডেভিলস ডিকশনারি ইন, অ্যামব্রোস বীরস মনকে "মস্তিষ্কের
গোপন বিষয়টির একটি রহস্যময় রূপ" বলে বর্ণনা করেছেন, যা নিজেকে বুঝা "ইহা
নিজেকে চেনা, অর্থাত নিজেকে বুঝা ছাড়া আর কিছু না" বা বোঝার নিরর্থক প্রচেষ্টা
নিয়ে জড়িত।
বায়ার্সের ১৯১১ সালের প্রকাশের পরে দীর্ঘসময় ধরে আত্মবিজ্ঞান
সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। কোন এক কোরা ব্যবহারকারী জিজ্ঞেস করে: "মানব মস্তিষ্ক
কি নিজেকে বুঝতে যথেষ্ট বুদ্ধিমান?"
দ্য অনিয়ানের একটি বিদ্রুপমূলক শিরোনাম রিপোর্ট করেছে যে, মনোবিজ্ঞানটি
স্থগিত হয়েছে কারণ "ক্লান্ত গবেষকরা বলেছিলেন যে মন সম্ভবত নিজেকে অধ্যয়ন করতে
পারে না।"
কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে মস্তিষ্কে মন আপনার মস্তিষ্কের
শারীরিক কর্মকাণ্ডের বাইরে চলে গেছে। তাই সতর্ক হোন। নিজেকে বুঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে
নিজের আয়েত্বে রাখুন। আপনার জীবনটা আপনারই।
মনোবিজ্ঞানে মস্তিস্কের শনাক্ত করার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের
মধ্যে গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং ইমেজিং স্ক্যানিং সহ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
MRI (Magnetic Resonance Imaging), CT scan (Computed Tomography), EEG
(Electroencephalogram), PET scan (Positron Emission Tomography) ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি
ব্যবহার করা হয় মস্তিস্কের অবস্থান ও কার্যাবলী নির্ধারণে। এই স্ক্যানিং পদ্ধতিগুলি
মস্তিস্কের আনুমানিক অবস্থান এবং কার্যাবলীর উপর আলোকপাত করে এবং মস্তিস্কের বিভিন্ন
অংশের ক্ষমতা এবং সংযোগস্থলের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও মানুষ মস্তিস্কের কথা বা মনোবিজ্ঞানিক ধারণা শোনা বা বোঝা
সম্পর্কে সাধারণভাবে, মনোবিজ্ঞানের সম্পর্কে সাক্ষাৎকার করা, সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
দেখা, মনোবিজ্ঞান নিয়ে পুস্তিকা পড়া, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন করা এবং মনোবিজ্ঞানে
সম্পর্কিত মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্ত করা হতে পারে। আরও পেশাদার উপায়ে, যেমন মনোরোগ
বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা পরামর্শদাতা মানুষকে মস্তিস্কের বিষয়ে সাথে কাজ করা হতে পারে।
মস্তিস্ক মনোবিজ্ঞানে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রাণিজগত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা এক সময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।