নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৯ এএম, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
প্রায় এক বছর হলো একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে কাজ করছেন শাকিলা বাশার। পড়াশুনায় বরাবরই তিনি ভালো, তাঁকে নিয়ে বাবা-মা আর আত্মীয়-স্বজনের প্রত্যাশাও ছিল অনেক। মেয়ে লেখাপড়ায় ভালো বলে তাঁকে প্রফেশন আর ক্যারিয়ারের পিছনেই বেশি আগ্রহী করে তুলেছেন বাবা-মা। শাকিলা নিজেও নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে খুব প্রত্যাশী ছিল। সে অনুযায়ী ফলও পেয়েছে সে, সব পরীক্ষাতে ভালো ফল, ভালো চাকরি। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেছে অনেক। ক্যারিয়ারের বাইরে পরবর্তী বাস্তব জীবন নিয়ে ভাবনা চিন্তায় ভাটা পড়েছে তাঁর।
আধুনিক যুগে মেয়েরা পড়াশুনা আর ক্যারিয়ার নিয়ে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। কিছু ক্ষেত্রে তারা পুরুষের সমান বা তার চেয়েও এগিয়ে এবং অবশ্যই সফল। এখন একটা মেয়ের পূর্ণাঙ্গ নারী হয়ে ওঠা মানে ক্যারিয়ারে সফলতা। এই বিষয়গুলো মানিয়ে চলতে চলতে সময় পেরিয়ে যায় অনেকটা সময়। নিজের সংসার, বিবাহিত জীবন নিয়ে ভাবার অবকাশ হয়ে ওঠেনা। বর্তমান দিনে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। ক্যারিয়ার আর সফলতার পিছনে ছুটতে গিয়ে কতো সমস্যার মুখেই তো পড়ছে সেই সফল নারীরা। সবচেয়ে বড় কথা, বিয়ের বিষয়ে তাদের মধ্যে অনীহা তৈরি হচ্ছে। পড়াশুনার সময়টা বিয়ের জন্য সঠিক নয়, পড়াশুনা শেষ করে বিয়ে। এই ভাবনা শেষে পড়াশুনা যখন শেষ হলো, তখন মনে হলো আগে প্রতিষ্ঠিত হই। চাকরি হলো, সেই চাকরিতে আরেকটু গুছিয়ে নিতে নিতে আরও দেরি।
কেন এই অনীহা
বিয়ে মানে একটি সামাজিকতা। বিয়ের পর মেয়েদের সম্পূর্ণ নতুন একটা পরিবেশে মানিয়ে চলতে হয় বিধায় মানসিকতার ওপরে একটা চাপ পড়ে। বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা মেনে চলা, স্বামী-সংসার-সন্তানকে সময় দিতে গিয়ে নিজের মেধা আর ক্যারিয়ারকে অনেক সময়ে পাশ কাটিয়ে চলতে হয়। ফলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠা বাধাগ্রস্ত হয়। অর্থাৎ বিয়েকে ক্যারিয়ারের অন্যতম বাধা মনে করতে থাকে তারা।
আমাদের দেশে মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স ১৮ বছর নির্ধারিত। আধুনিকতার বদৌলতে সেটা আগাতে আগাতে এখন বয়সের সীমা নেই কোনো। একটা মেয়ের লেখাপড়া শেষ করে প্রতিষ্ঠিত হতে হতে যথেষ্ট বয়স পার হয়। কখনো কখনো তা ৩০ পেরিয়েও যেতে পারে। আমাদের সমাজব্যবস্থাতে একটা মেয়ে যখন এই বয়সটি অবিবাহিত অবস্থায় পার করে, তাকে অনেকটা প্রতিকূল পরিস্থিতি পার করতে হয়। তাকে আশেপাশে থেকে অনেক কথা শুনতে হয়। তাতে করে বরং আরও মানসিকতা নষ্ট হতে থাকে।
উপযুক্ত পাত্র পেতে সমস্যা
এই কথা আমাদের সমাজে বেশ প্রচলিত যে বয়স বেশি হলে বা বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে একটা মেয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্র পাওয়া কঠিন হয়। এটা অনেকটাই সত্য। কারণ পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত একটি মেয়ে আর তার পরিবার পাত্র হিসেবে তার সমকক্ষ বা তার চেয়েও বেশি প্রতিষ্ঠিত সঙ্গী চাইবে। সেই সঙ্গে বয়সটাও খাপ খাওয়ানো চাই। সবকিছু মিলিয়ে পাত্র পাওয়া বেশ দুস্কর হয়। বিয়ের সময়টা আরও বাড়তে পারে। আবার ক্রমাগত পারিবারিক ও সামাজিক চাপের কারণে অনেক নারীই ভুল মানুষটিকে বেছে নেন বিয়ের জন্য। ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, যাকে সামনে পেলাম, তাকেই বিয়ে করে ফেললাম।
পরবর্তীতে সন্তান নিতে সমস্যা
সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় যখন সন্তান ধারণের সঠিক বয়সটাই পার হয়ে যায়। গবেষণা অনুযায়ী, মা হওয়ার জন্য ২৫-৩০ বছর বয়সটাই একেবারে উপযুক্ত এবং শেষ সময় বলা যায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত হতে গিয়ে যদি ৩০ বছরেই লেগে যায় আর বিয়ে, সন্তানধারণে ৩৫ বছর পর্যন্ত পৌঁছে যায় তাহলে সেই ক্ষেত্রে একজন নারী বড় সমস্যার মুখে পড়তে পারেন। সন্তান ধারণ, গর্ভকালীন বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়।
বিয়ে পরবর্তী দূরত্ব
দেরি করে বিয়ে মানে সবদিক থেকে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। আর তার মাঝখানের সময়টাতে বিয়ের প্রতি অনীহাবোধ। এর ফলে একটা মেয়ে যখন সংসারজীবনে প্রবেশ করে, সবকিছু মানিয়ে নিতে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়। সম্পূর্ণ একটা নতুন পরিবেশ, মানুষের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর মন মানসিকতা তৈরি হতে চায় না সাধারণত। ফলে কেমন একটা দুরত্ব তৈরি হয়। মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা চলে আসে।
আপনার ক্যারিয়ারকে অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে। কেননা এই বিশ্বে, এই সমাজে টিকে থাকতে হলে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু বিয়েটাকে ক্যারিয়ারের কোনো প্রতিবন্ধক ইস্যু মনে না করে সাধারণ কোনো ঘটনা মনে করুন। দেরিতে বিয়ের নেতিবাচক দিকগুলো বিবেচনা করুন। বিয়ের পরেও প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব। সেটা মাথায় রাখুন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।
ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।
আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।
আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।
শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।
কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।
স্বাভাবিক ত্বক
যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস
যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে। ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো প্যাক
টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে।
সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত
মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে
হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট
এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের
দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু
হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।
দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী
২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের
স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন
ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।
পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা
বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল
নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক
১টি শিশু।
গবেষণা দ্য ল্যানস গর্ভবতী শিশু জন্ম
মন্তব্য করুন
প্রাণিজগতের মধ্যে মানব মস্তিষ্কই সবচেয়ে জটিল। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের
মস্তিষ্কের আয়তন পুরুষের প্রায় ১৫০০ সিসি ও মহিলাদের প্রায় ১৩০০ সিসি এবং মানব ভ্রূণের
প্রাথমিক অবস্থায় মস্তিষ্ক প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত থাকে। পূর্ণাঙ্গ মানুষে এটি
আরও জটিল রূপ ধারণ করে এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়।
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০১৯ এর তথ্য মতে, মানুষের মস্তিষ্কের ধারণ
ক্ষমতা কমপক্ষে ২.৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ গিগাবাইট।
দেখা যায়, সাধারণভাবে, মানুষ কিছু মানসিক ঘটনা-যেমন বিষণ্নতা এবং
স্পর্শের মাধ্যমে তাপমাত্রা শনাক্ত করার ক্ষমতা - অন্যদের তুলনায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
করার মতো আরও বেশি কার্যকর..! যেমন গর্ব অনুভব করা বা প্রথম দর্শনে প্রেমের অভিজ্ঞতা।
তবে, দ্য ডেভিলস ডিকশনারি ইন, অ্যামব্রোস বীরস মনকে "মস্তিষ্কের
গোপন বিষয়টির একটি রহস্যময় রূপ" বলে বর্ণনা করেছেন, যা নিজেকে বুঝা "ইহা
নিজেকে চেনা, অর্থাত নিজেকে বুঝা ছাড়া আর কিছু না" বা বোঝার নিরর্থক প্রচেষ্টা
নিয়ে জড়িত।
বায়ার্সের ১৯১১ সালের প্রকাশের পরে দীর্ঘসময় ধরে আত্মবিজ্ঞান
সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। কোন এক কোরা ব্যবহারকারী জিজ্ঞেস করে: "মানব মস্তিষ্ক
কি নিজেকে বুঝতে যথেষ্ট বুদ্ধিমান?"
দ্য অনিয়ানের একটি বিদ্রুপমূলক শিরোনাম রিপোর্ট করেছে যে, মনোবিজ্ঞানটি
স্থগিত হয়েছে কারণ "ক্লান্ত গবেষকরা বলেছিলেন যে মন সম্ভবত নিজেকে অধ্যয়ন করতে
পারে না।"
কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে মস্তিষ্কে মন আপনার মস্তিষ্কের
শারীরিক কর্মকাণ্ডের বাইরে চলে গেছে। তাই সতর্ক হোন। নিজেকে বুঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে
নিজের আয়েত্বে রাখুন। আপনার জীবনটা আপনারই।
মনোবিজ্ঞানে মস্তিস্কের শনাক্ত করার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের
মধ্যে গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং ইমেজিং স্ক্যানিং সহ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
MRI (Magnetic Resonance Imaging), CT scan (Computed Tomography), EEG
(Electroencephalogram), PET scan (Positron Emission Tomography) ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি
ব্যবহার করা হয় মস্তিস্কের অবস্থান ও কার্যাবলী নির্ধারণে। এই স্ক্যানিং পদ্ধতিগুলি
মস্তিস্কের আনুমানিক অবস্থান এবং কার্যাবলীর উপর আলোকপাত করে এবং মস্তিস্কের বিভিন্ন
অংশের ক্ষমতা এবং সংযোগস্থলের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও মানুষ মস্তিস্কের কথা বা মনোবিজ্ঞানিক ধারণা শোনা বা বোঝা
সম্পর্কে সাধারণভাবে, মনোবিজ্ঞানের সম্পর্কে সাক্ষাৎকার করা, সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
দেখা, মনোবিজ্ঞান নিয়ে পুস্তিকা পড়া, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন করা এবং মনোবিজ্ঞানে
সম্পর্কিত মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্ত করা হতে পারে। আরও পেশাদার উপায়ে, যেমন মনোরোগ
বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা পরামর্শদাতা মানুষকে মস্তিস্কের বিষয়ে সাথে কাজ করা হতে পারে।
মস্তিস্ক মনোবিজ্ঞানে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রাণিজগত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা এক সময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।