নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৯ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
অধিকাংশ মানুষের জীবনেই বিয়ে একটি বহুলপ্রতীক্ষিত বিষয়। সবারই প্রত্যাশা থাকে বিয়ের দিনটি যেন ধুমধাম ও জাঁকজমকপূর্ণ করে সবার সামনে উপস্থাপন করা যায়। কোন কাজ কীভাবে হবে, কে করবে তা নিয়ে হিমশিম খেতে হয় বাড়ির ছোট-বড় সবাইকে। তাই বিয়ের প্রতিটি অনুষ্ঠান স্মরণীয় করতে চাই পূর্ব পরিকল্পনা। মধ্যবিত্তের বাজেটের মধ্যে কীভাবে নির্বিঘ্নে একটি বিয়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, সেজন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।
প্রস্তুতি
সবার আগে ব্যাংকের একটা আলাদা অ্যাকাউন্টে বিয়ের বাজেটের পুরো টাকা পাঠিয়ে নিন। আর সিদ্ধান্ত নিন ওই বাজেটের বাইরে চলবেন না, যতই প্রলোভন আসুক। বাজেট কত হবে, সেটাও ঠিক করে নিন আগে থাকে।
বিয়ের স্থান
নিজের বা পরিচিত কারো বড় বাড়ি থাকলে অনায়াসে সেখানে বিয়ের আয়োজন করে ফেলা যায়। সেখানে ৫০০-৬০০ লোকের জায়গা হয়েই যায় তাহলে বাইরে বিয়ের আয়োজন করার প্রয়োজন পড়ে না। এছাড়া তো রয়েছে সরকারি বেসরকারি কমিউনিটি হল, ম্যারেজ হল, হোটেল, সরকারি সম্পত্তি, ক্লাব হাউজ। এদের মধ্যে যেকোনো একটি বুক করতে পারেন বাজেটের কথা মাথায় রেখে। আর অবশ্যই বেশ কিছুদিন আগেই বুক দিয়ে রাখবেন। বেশি দূরত্বের মধ্যে বিয়ের ভেন্যু ঠিক করবেন না। যাতায়াতে সময় নষ্ট ও পরিশ্রম হতে পারে। নিজের বাড়ি হলে ছাদ থেকে শুরু করে, বাড়িবারান্দা, বাগান, গ্যারাজ সবেতেই প্যান্ডেল করে নিন। বাড়িভাড়া পুরোটাই বেঁচে যাবে।
অনুষ্ঠান সাজানো
বিয়ের অনুষ্ঠান সাজাতে হলে খরচের বিষয়টি মাথায় রাখুন। খরচ কমাতে হলে থিম বেছে নিন। যেকোনো একটি রং বেছে নিন। সেই রঙের ফুল, কাপড়, ইন্টেরিয়র বেছে নিন। আসল ফুলের দাম বেশি মনে হলে নকল ফুল কিনে নিন, কিনুন সুগন্ধি স্প্রে। ফুলের উপর সুগন্ধি ছড়িয়ে দিন। আর পরিচিত ইন্টেরিয়র ডিজাইনারকে দিয়ে সাজগোজগুলো করে নিতে পারেন।
বিয়ের কার্ড
বিয়ের আমন্ত্রণ কার্ডের ব্যবহার অতিথিদের নিমন্ত্রণ জানানোর জন্য। বিয়ের দিনের পরে এই কার্ড আর কোনো কাজে আসে না। তাই কার্ডের পিছনে অযথা খরচ করার প্রয়োজন পড়ে না। সাধারণ এবং অবশ্যই রূচিসম্মত বিয়ের কার্ড করুন। বড় দোকান বা ডিজাইনার কার্ড শপে গেলে দাম বেশি পড়বে। নিজে ডিজাইন করে কাস্টমাইজড কার্ডও বানাতে পারেন। সুন্দর হবে, দামও কম লাগবে।
অতিথিদের তালিকা
বিয়ে জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে এই দিনে পরিবার, আত্মীয়-বন্ধুদের পাশে রাখা জরুরি। অযথা লোক বাড়িয়ে কখনো তালিকা বাড়াবেন না। যাদের সঙ্গে আসলেই সুসম্পর্ক এবং যাদের নিমন্ত্রণ না করলেই নয়, সামাজিকতার খাতির বিবেচনায় আপনার অতিথির তালিকা করে নিন। মনে রাখবেন যে যত সংক্ষিপ্ত তালিকা, খরচ আর ঝামেলা তত কম।
খাবার পরিবেশন
একটি বিয়ে বাড়িতে অতিথিদের সন্তুষ্ট করার প্রধান উপায় ভালো খাবার পরিবেশন। ভালো খাবার মেন্যু সবসময়ের জন্য অতিথিদের মনে থেকে যায়। বর্তশান সময়ে ট্রেন্ডের কথা মাথায় রেখে নানা রকম প্ল্যাটার, কন্টিনেন্টাল রাখেন মেন্যুতে। একদিনেই বেশি রকমের খাবার খাওয়া সম্ভব নয়, তাই অল্প পদের মধ্যেই সুস্বাদু খাবার পরিবেশনের চেষ্টা করুন। এতে অতিথিরা তৃপ্তি করে খাবে, খরচও নিয়ন্ত্রণ হবে।
ওয়েডিং ফটোগ্রাফি
এখন বিয়ের অন্যতম একটি অনুসঙ্গ হলো ওয়েডিং ফটোগ্রাফি। বিয়ের সুন্দর মুহূর্তগুলোকে যত্ন করে রাখতেই এই ফটোগ্রাফি। নামকরা সংস্থা বা ফটোগ্রাফারকে দিয়ে ফোটোগ্রাফি করালে স্বাভাবিকভাবেই বেশি খরচ হবে। এক্ষেত্রে নতুন ফটোগ্রাফার, ফ্রেশারদের দিয়ে ফটোগ্রাফি করালে খরচ কমবে। আবার পরিচিত বা বন্ধুবান্ধবের ফটোগ্রাফির হাত ভালো থাকলে তাকেও বিশেষ আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন।
পোষাক ও গয়না
নিজের বিয়েতে সুন্দর করে সাজবেনা, সেটা তো হয় না। অনেকেই প্রফেশনাল ডিজাইনারদের থেকে বিশেষ পছন্দের পোষাক, শাড়ি কিনতে গিয়ে বেশি খরচ করে ফেলেন। ডিজাইনার পোষাক না কিনে ব্র্যান্ডেড দোকান থেকে কিনলে অনেকটাই কম দামে ভাল মানের পোষাক পাবেন। আর গয়নার ক্ষেত্রে ব্রান্ডের দিকে না ঝুকে পরিচিত দোকানে সব গয়না একসঙ্গে বানাতে দিন।
আলোকসজ্জা
আজকালকার বিয়েকে জাকজমকপূর্ণ করে তুলতে ডেকোরেশনের দিকে বেশি মনোযোগ দেন। ফলে আলোকসজ্জা বা আলোর ব্যবহার বেশি করে ফেলে । কিন্তু এই চোখ ধাধানো সৌন্দর্য বাড়াতে গিয়ে কি অন্যদিকে মনোযোগ না দিয়ে বেশি খরচ ফেলছেন কি না আগেই ভেবে নিন। অতিথি আপ্যায়ন ও সুন্দর ছবি ওঠার জন্য যতটা প্রয়োজন ততোটা আলোকসজ্জা করুন।
বিয়েতে সাজগোজ
বিয়ের আগে থেকেই বর কনে সাজগোজ নিয়ে বেশ চিন্তিত থাকবেন। বিয়েতে একটু আলাদা জমকালো সাজতে তো চায় সবাই। কিন্তু সাজের ক্ষেত্রেও মধ্যবিত্ত বাজেটেরে কথা অবশ্যই মাথায় রাখবেন। কিন্তু পার্লার ও মেকআপ একটা বিরাট ব্যাপার। বিয়ের দু’দিন আগে পার্লারে দিয়ে ফেশিয়াল, ওয়্যাক্সিং, থ্রেডিং, পেডিকিওর ও ম্যানিকিওর করিয়ে আসুন। পরিচিত পার্লার বা ব্রাইডাল মেকআপ প্যাকেজ গ্রহণ করবেন। এতে কম খরচে সব সেবাই পাবেন। আর প্রফেশনাল পরিচিত কাউকে দিয়ে মেকঅাপ পুরোটা করিয়ে নিতে পারলেই সেটা আরও ভালো হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।
ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।
আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।
আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।
শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।
কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।
স্বাভাবিক ত্বক
যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস
যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে। ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো প্যাক
টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে।
সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত
মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে
হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট
এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের
দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু
হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।
দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী
২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের
স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন
ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।
পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা
বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল
নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক
১টি শিশু।
গবেষণা দ্য ল্যানস গর্ভবতী শিশু জন্ম
মন্তব্য করুন
প্রাণিজগতের মধ্যে মানব মস্তিষ্কই সবচেয়ে জটিল। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের
মস্তিষ্কের আয়তন পুরুষের প্রায় ১৫০০ সিসি ও মহিলাদের প্রায় ১৩০০ সিসি এবং মানব ভ্রূণের
প্রাথমিক অবস্থায় মস্তিষ্ক প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত থাকে। পূর্ণাঙ্গ মানুষে এটি
আরও জটিল রূপ ধারণ করে এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়।
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০১৯ এর তথ্য মতে, মানুষের মস্তিষ্কের ধারণ
ক্ষমতা কমপক্ষে ২.৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ গিগাবাইট।
দেখা যায়, সাধারণভাবে, মানুষ কিছু মানসিক ঘটনা-যেমন বিষণ্নতা এবং
স্পর্শের মাধ্যমে তাপমাত্রা শনাক্ত করার ক্ষমতা - অন্যদের তুলনায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
করার মতো আরও বেশি কার্যকর..! যেমন গর্ব অনুভব করা বা প্রথম দর্শনে প্রেমের অভিজ্ঞতা।
তবে, দ্য ডেভিলস ডিকশনারি ইন, অ্যামব্রোস বীরস মনকে "মস্তিষ্কের
গোপন বিষয়টির একটি রহস্যময় রূপ" বলে বর্ণনা করেছেন, যা নিজেকে বুঝা "ইহা
নিজেকে চেনা, অর্থাত নিজেকে বুঝা ছাড়া আর কিছু না" বা বোঝার নিরর্থক প্রচেষ্টা
নিয়ে জড়িত।
বায়ার্সের ১৯১১ সালের প্রকাশের পরে দীর্ঘসময় ধরে আত্মবিজ্ঞান
সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। কোন এক কোরা ব্যবহারকারী জিজ্ঞেস করে: "মানব মস্তিষ্ক
কি নিজেকে বুঝতে যথেষ্ট বুদ্ধিমান?"
দ্য অনিয়ানের একটি বিদ্রুপমূলক শিরোনাম রিপোর্ট করেছে যে, মনোবিজ্ঞানটি
স্থগিত হয়েছে কারণ "ক্লান্ত গবেষকরা বলেছিলেন যে মন সম্ভবত নিজেকে অধ্যয়ন করতে
পারে না।"
কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে মস্তিষ্কে মন আপনার মস্তিষ্কের
শারীরিক কর্মকাণ্ডের বাইরে চলে গেছে। তাই সতর্ক হোন। নিজেকে বুঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে
নিজের আয়েত্বে রাখুন। আপনার জীবনটা আপনারই।
মনোবিজ্ঞানে মস্তিস্কের শনাক্ত করার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের
মধ্যে গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং ইমেজিং স্ক্যানিং সহ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
MRI (Magnetic Resonance Imaging), CT scan (Computed Tomography), EEG
(Electroencephalogram), PET scan (Positron Emission Tomography) ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি
ব্যবহার করা হয় মস্তিস্কের অবস্থান ও কার্যাবলী নির্ধারণে। এই স্ক্যানিং পদ্ধতিগুলি
মস্তিস্কের আনুমানিক অবস্থান এবং কার্যাবলীর উপর আলোকপাত করে এবং মস্তিস্কের বিভিন্ন
অংশের ক্ষমতা এবং সংযোগস্থলের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও মানুষ মস্তিস্কের কথা বা মনোবিজ্ঞানিক ধারণা শোনা বা বোঝা
সম্পর্কে সাধারণভাবে, মনোবিজ্ঞানের সম্পর্কে সাক্ষাৎকার করা, সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
দেখা, মনোবিজ্ঞান নিয়ে পুস্তিকা পড়া, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন করা এবং মনোবিজ্ঞানে
সম্পর্কিত মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্ত করা হতে পারে। আরও পেশাদার উপায়ে, যেমন মনোরোগ
বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা পরামর্শদাতা মানুষকে মস্তিস্কের বিষয়ে সাথে কাজ করা হতে পারে।
মস্তিস্ক মনোবিজ্ঞানে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রাণিজগত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা এক সময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।