লিভিং ইনসাইড

কীভাবে বুঝবেন সন্তান মাদকাসক্ত?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:৪২ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

আপনার সন্তান ধীরে ধীরে আপনার চোখের সামনেই আদরে, শাসনে বেড়ে উঠতে থাকে। আপনি অবশ্যই তাকে সবার চেয়ে আলাদাভাবে মানুষ করতে চান, আপনি চান সে বিশ্বসেরা হোক। কিন্তু আপনার সেই স্বপ্নে ভাটা পড়ে যখন সন্তান কুপথে চলে যেতে থাকে। তারুণ্য ধ্বংসের অন্যতম প্রধান মূলমন্ত্র মাদক। অসৎসঙ্গে পড়ে অনেক সন্তানই মাদকাসক্ত হয়, ধীরে ধীরে নিজের জীবন আর পরিবারকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে কখনোবা আত্মঘাতী হতেও দ্বিধা করেনা। এজন্য সবার আগে বাবা-মাকে সাবধান হতে হবে, এই লক্ষণগুলো দেখে নিশ্চিত হতে হবে যে সন্তান মাদকে আসক্ত কি না:

তাঁকে বেশি নিদ্রালু বা উত্তেজিত দেখাতে পারে

জীবনে আবেগ অনুভুতি কমবেশি সবসময়েই আসে। কিশোর আর যৌবনে সেটা বেশিই আসে। সেটা আলাদা বিষয়।

আপনার সন্তানকে যদি প্রায়ই দেখেন যে পড়ার টেবিলে ঘুমিয়ে পড়ছে বা দীর্ঘক্ষণ ঘুমিয়ে থাকছে তাহলে একটু সাবধান হন। সে রাতে কম ঘুমিয়েছে বলেই এমন হুটহাট ঘুমিয়ে পড়ছে সেটা ভাববেন না। আবার কখনো যদি দেখেন আপনার সন্তান রিল্যাক্স থাকছে না, কারণ ছাড়া নার্ভাস থাকে তাহলে সেটি মাদক সেবনের অন্যতম লক্ষণ ধরে নিন। আপনার কিশোর সন্তানের মধ্যে অত্যধিক ক্লান্তি বা উত্তেজনা দেখা দিলে তাকে একজন ক্লিনিশিয়ান বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।

খিটখিটে মেজাজ করে আপনার সঙ্গে কথা বন্ধ করলে

অভিমান বা বিরক্তি প্রকাশ, কথাবার্তা কমিয়ে দেওয়া কিশোরদের মধ্যে হামেশাই ঘটে। তবে আপনার সঙ্গে সন্তান যদি একেবারেই যোগাযোগ বন্ধ করে দুরত্ব রেখে চলে তাকলে তার দিকে নজর দিন। মাদক ব্যবহার করলে সে এমনটা করতে পারে। হয়তো বাবা-মাকে সে সহ্য করতে পারেনা বা নিজেকে লুকিয়ে রাখতে চায় বলে সে এমনটা করে, কখনোবা ঝগড়া-তর্কও করতে পারে। তাকে নীরবে পর্যবেক্ষণ করুন। সে মাদকের সঙ্গে জড়িত হোক বা না হোক তাকে কখনো আঘাত করবেন না। কৌশলে কোমল ভাষায় কথা বলতে পারেন। সে কেন আপসেট, কি সমস্যা জানবেন। আপনি তার পাশে আছেন এটা বুঝাবেন।

যদি তার বন্ধু পরিবর্তন হয়

কিশোরদের ব্যবহারে সঙ্গী বা বন্ধুদের প্রচুর প্রভাব পড়ে। তাই সে কি রকম বন্ধু নির্বাচন করছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার বন্ধু চক্র ভালো হলে চিন্তার তেমন কিছু নেই। তবে যদি দেখেন হঠাৎ করে সে বন্ধু পাল্টে ফেলেছে, অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করেছে, লুকিয়ে তাদের সঙ্গে মিশছে, টাকাপয়সা বেশি খরচ করছে তাহলে খুব সাবধান হতে হবে আপনাকে। কোনোভাবে যদি জানতে পারেন যে বন্ধুরা মাদকাসক্ত তাহলে যেভাবেই হোক তাকে সেই চক্র থেকে বের করুন।

সচরাচরের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করলে

প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সন্তান যদি টাকা বেশি চাইতে থাকে বা খেয়াল করলেন যে তার খরচের হাত বেড়ে গেছে তাহলে খেয়াল রাখবেন। অনেক সময়ে আপনাকে লুকিয়েও খরচাপাতি করতে পারে। আবার আপনি হয়তো সৎ বিশ্বাসে আপনি হয়তো চাইলেই তাকে টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। এভাবে আস্তে আস্তে তার খরচের অভ্যাস বেড়ে যায়। এটা খারাপ লক্ষণ। এজন্য আপনাকে তাদের অজ্ঞাত ব্যয়ের উৎস খুঁজে বের করতে হবে। কারণ মাদকসেবন করলে তাকে বড় একটি টাকার অংশ  খরচ করতে হয় আর যেভাবেই হোক সেই টাকা তাকে জোগাড় করতে হয়।

পড়াশুনায় অমনোযোগী

স্কুল, কলেজ বা প্রাইভেট পড়লে আপনার সন্তানকে পড়াশুনার নির্দিষ্ট সময় মেনে চলতে হয়। কিন্তু আস্তে আস্তে দেখলেন যে আপনার সন্তান পড়াশুনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে আপনি বকাঝকা করলেও সেটা শুনছে না, উল্টে আপনার সঙ্গে তর্ক শুরু করে তাহলে বুঝবেন তার কোনো সমস্যা হচ্ছে। হতে পারে সে মাদকাসক্ত। এজন্য সাবধান হন। শিক্ষকের সঙ্গে পরামর্শও করতে পারেন। প্রয়োজনে কনসালটেশনের জন্য কোনো বিশেষজ্ঞের কাছে যান।

খাওয়ার অভ্যাস বদলে গেলে

মাদকে অভ্যস্ত হয়ে গেলে খাওযার রূচি চলে যায়। ওজন কমে যেতে থাকে। আবার কোকেন বা অ্যাম্ফিট্যামাইনের মতো উত্তেজক কোনোকিছু সেবনে ওজন হ্রাস পেতে পারে। অনেক কিশোর ওজন কমানোর জন্য এগুলো সেবন করে। আপনার কিশোর সন্তান খাওয়ার প্রতি উদাসীনতা দেখালে, ওজন হ্রাস পেলে, খুব অলস হয়ে পড়লে, অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগে অনীহা দেখালে এবং ওজন বৃদ্ধি পেলে পিডিয়াট্রিশিয়ান বা ক্লিনিশিয়ানের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। এতে নির্ণয় হতে পারে যে সে মাদক বা অন্যকোনো আসক্তিতে রয়েছে কিনা।

প্রিয় কাজে অনীহা থাকলে

সবারই কোনো না কোনো প্রিয় কাজ থাকে। কিন্তু মাদক সেবনে সেই প্রিয় কাজেও অনীহা চলে আসে। ক্লান্তি, উদাসীনতা এবং কোনোকিছু করার মোটিভেশনের অভাবে পড়ার জন্য মাদক দায়ী হতে পারে। মাদক কিশোরের উদ্যম থামিয়ে দেয়, অ্যাকাডেমিক উজ্জ্বল সম্ভাবনা এবং সামাজিক দক্ষতা অর্জনে বাধা দেয়।

শারীরিক স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকলে

মাদকে আসক্ত হলে তার শরীরে অবশ্যই কিছু পরিবর্তন আসবে। এই যেমন তার রক্তরাঙা চোখ, বিস্তৃত পিউপিল বা শরীরে খোঁস-পাঁচড়া থাকে তাহলে মনে সন্দেহ আনুন। ঘনঘন ব্লাডি নোজ বা রানি নোজ অথবা মুখ, ঠোঁট বা হাতে যেকোনো ধরনের ক্ষত হতে পারে কোকেন বা মিথঅ্যাম্ফিট্যামাইন ব্যবহারের লক্ষণ। সন্তান এগুলো আপনার কাছে লুকাতে চাইলে বেশি সতর্ক হন। কখনো এগুলোকে প্রশ্রয় দেবেন না।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

ঈদের আগে ত্বকের যত্ন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।

ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।

আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।

আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।

তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা

তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।

শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।

কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।

স্বাভাবিক ত্বক

যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।

ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস

যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে।  ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

হলুদের প্যাক

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

টমেটো প্যাক

টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।


ঈদ   ত্বক   যত্ন  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বিচ্ছেদের কত দিন পরে নতুন সম্পর্কে জড়াবেন!

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা একসময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।

গল্পটি কাল্পনিক হলেও এমন উদাহরণও অনেক পাওয়া যাবে। কিন্তু দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে নতুন কোনো সম্পর্ক শুরু করার আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি-

ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করুন

মন চাইলো আর প্রেমে জড়িয়ে গেলাম- এমন মানসিকতা দূরে রাখুন। এখন কিছু দিন শুধু নিজেকে সময় দিন, নিজেকে ভালোবাসুন। প্রেম করার মানসিকতা এখন আর রাখবেন না। নতুন সম্পর্কে জড়াতে চাইলে কমপক্ষে ১ বছর সময় ননিতে হবে। তবেই নিজের আগের ভুল কিংবা অভিজ্ঞতা আপনাকে আর পিছু তারা করবে না। আর একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখবেন, যে পুরনোজনের জায়গায় নতুনজনকে রিপ্লেস করবেন। তাহলে আপনি এবং আপনার সঙ্গী ভালো থাকবেন।

তুলনা করবেন না

মনে রাখবেন প্রত্যেক মানুষই আলাদা। একজনের থেকে অন্যজনের স্বভাব, আচরণও আলাদা হবে এটাই স্বাভাবিক। আগেরজন এত ভালো ছিল, দামি উপহার দিত বা অনেক কথা না বললেই বুঝে যেত এসব ভুল তুলনা টানবেন না। প্রথমেই মাথা থেকে এসব বের করে দিন। এছাড়াও স্যালারি নিয়েও কোনো তুলনা টানবেন না।

সময় দিন নিজেকে

হুট করে প্রেম কিংবা রাগারাগি করা যাবে না। সব কিছুতেই সময় নিতে হবে। সময়ে সাথে সাথে অনেককিছু বদলঅবে যেটা অবশ্যই আপনার জন্য ভালো বিষয় হবে। এতে করে একে অপরকে বুঝুতে সহজ হবে এবং সহজেই এই সম্পর্ক খারাপ হবে না। আর একটি বিষয় মাথায় রাখবেন অতিরিক্ত ঘাঁটাবেন না। নিজেও ভাবার মতো সময় নিন। অন্যকেও দিন।

পুরনোর কথা ভাবা যাবে না

পুরনোর কাছে ফিরে যাবেন কিনা এই নিয়ে কোনো দোটানা রাখবেন না। মনে রাখবেন স্বেচ্ছায় এবং দুজনের সিদ্ধান্তেই আপনারা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছেন। যেখানে আছেন সেখানেই মন দিন।

ইতিবাচক ভাবনা রাখুন

হতাশা, দুঃখ, কান্না মনখারাপ একদম নয়। নতুনজনের কাছে সবসময় নিজের হতাশার কথা বলবেন না। ভালো সময় কাটান। গল্প করুন। ইতিবাচক ভাবনা বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
 



প্রেম   বিচ্ছেদ  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

নারীদের সন্তান জন্মদানের হার কমতে শুরু করেছে: গবেষণা

প্রকাশ: ০৯:৩২ এএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।

দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।

চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।

পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক ১টি শিশু।


গবেষণা   দ্য ল্যানস   গর্ভবতী   শিশু জন্ম  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

মস্তিস্কই আপনার শনাক্তকারী!

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

প্রাণিজগতের মধ্যে মানব মস্তিষ্কই সবচেয়ে জটিল। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্কের আয়তন পুরুষের প্রায় ১৫০০ সিসি ও মহিলাদের প্রায় ১৩০০ সিসি এবং মানব ভ্রূণের প্রাথমিক অবস্থায় মস্তিষ্ক প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত থাকে। পূর্ণাঙ্গ মানুষে এটি আরও জটিল রূপ ধারণ করে এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়।

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০১৯ এর তথ্য মতে, মানুষের মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা কমপক্ষে ২.৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ গিগাবাইট।

দেখা যায়, সাধারণভাবে, মানুষ কিছু মানসিক ঘটনা-যেমন বিষণ্নতা এবং স্পর্শের মাধ্যমে তাপমাত্রা শনাক্ত করার ক্ষমতা - অন্যদের তুলনায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করার মতো আরও বেশি কার্যকর..! যেমন গর্ব অনুভব করা বা প্রথম দর্শনে প্রেমের অভিজ্ঞতা।

তবে, দ্য ডেভিলস ডিকশনারি ইন, অ্যামব্রোস বীরস মনকে "মস্তিষ্কের গোপন বিষয়টির একটি রহস্যময় রূপ" বলে বর্ণনা করেছেন, যা নিজেকে বুঝা "ইহা নিজেকে চেনা, অর্থাত নিজেকে বুঝা ছাড়া আর কিছু না" বা বোঝার নিরর্থক প্রচেষ্টা নিয়ে জড়িত।

বায়ার্সের ১৯১১ সালের প্রকাশের পরে দীর্ঘসময় ধরে আত্মবিজ্ঞান সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। কোন এক কোরা ব্যবহারকারী জিজ্ঞেস করে: "মানব মস্তিষ্ক কি নিজেকে বুঝতে যথেষ্ট বুদ্ধিমান?"

দ্য অনিয়ানের একটি বিদ্রুপমূলক শিরোনাম রিপোর্ট করেছে যে, মনোবিজ্ঞানটি স্থগিত হয়েছে কারণ "ক্লান্ত গবেষকরা বলেছিলেন যে মন সম্ভবত নিজেকে অধ্যয়ন করতে পারে না।"

কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে মস্তিষ্কে মন আপনার মস্তিষ্কের শারীরিক কর্মকাণ্ডের বাইরে চলে গেছে। তাই সতর্ক হোন। নিজেকে বুঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে নিজের আয়েত্বে রাখুন। আপনার জীবনটা আপনারই।

মনোবিজ্ঞানে মস্তিস্কের শনাক্ত করার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং ইমেজিং স্ক্যানিং সহ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। MRI (Magnetic Resonance Imaging), CT scan (Computed Tomography), EEG (Electroencephalogram), PET scan (Positron Emission Tomography) ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা হয় মস্তিস্কের অবস্থান ও কার্যাবলী নির্ধারণে। এই স্ক্যানিং পদ্ধতিগুলি মস্তিস্কের আনুমানিক অবস্থান এবং কার্যাবলীর উপর আলোকপাত করে এবং মস্তিস্কের বিভিন্ন অংশের ক্ষমতা এবং সংযোগস্থলের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও মানুষ মস্তিস্কের কথা বা মনোবিজ্ঞানিক ধারণা শোনা বা বোঝা সম্পর্কে সাধারণভাবে, মনোবিজ্ঞানের সম্পর্কে সাক্ষাৎকার করা, সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর দেখা, মনোবিজ্ঞান নিয়ে পুস্তিকা পড়া, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন করা এবং মনোবিজ্ঞানে সম্পর্কিত মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্ত করা হতে পারে। আরও পেশাদার উপায়ে, যেমন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা পরামর্শদাতা মানুষকে মস্তিস্কের বিষয়ে সাথে কাজ করা হতে পারে।


মস্তিস্ক   মনোবিজ্ঞানে   কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স   প্রাণিজগত  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

আপনি বদলান বিপরীতের মানুষ নয়

প্রকাশ: ০৮:৩৫ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

মানুষের পরিবর্তন হওয়া নিয়ে আমরা প্রতিনিয়তই শুনতে পাই। বছরের পর বছর যেভাবে কাউকে দেখছেন, হয়ত হঠাৎ করেই তিনি হয়ে যেতে পারেন ‘অচেনা’। আচরণ থেকে শুরু করে বদলে যায় অনেক কিছুই। মানুষের এই হঠাৎ ‘বদল’ বিস্ময়কর হলেও বদলে যায় মানুষের চলা, কিংবা কথাবলার ধরন বা তার ব্যবহার।

বিজ্ঞান বলছে, বদলে যাওয়াটা কোনো সহজ কিছু নয়। এখনকার ‘অচেনা’ মানুষটি হয়ত তার নিজ স্বভাবেই আছেন, তাকে চেনার ভুলটি করছেন আপনি নিজেই।

মানুষের বদলানোর কাজটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফল করতে দরকার ব্যক্তির সচেতন চেষ্টা। খুব কম মানুষই পারেন এই কাজটি, ফলে বেশিরভাগ মানুষ জীবন কাটিয়ে দেন একমুখী বৈশিষ্ট্য নিয়ে। তাদের সেই সহজাত বৈশিষ্ট্যকে অনেক সময় আমরা চিনতে ভুল করি বলেই পরে ভাবি, ‘মানুষটি বদলে গেছে’।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, মাঝে মাঝে বদলে গেলে বাস্তবতাও উপলব্ধি করা যেতে পারে। আপনি বুঝে যাবেন আর ওইসব মানুষদের দেখতে পাবেন যারা কখনোই আপনার কাছের মানুষ ছিলো না। অথচ তারাই সবসময় দাবী করে তারা আপনার খুব কাছের। একদম আত্মার আত্মীয়।

আপনি চাইলেও তাদের থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারবেন না কারণ আপনি তাদের মত না। আপনি একদম আলাদা। এটা বলা যায় না যে আপনি খুব ভালো মানুষ কিন্তু আপনি সত্যিই আলাদা। আপনি তাদের মূল্যায়ন করেন মানুষ হিসেবে কিন্তু তারা আপনাকে মূল্যায়ন করবে যন্ত্রের মত করে। অনেকটা পুতুলও ভাবতে পারেন। 

সর্বোপরি, মানুষ প্রিয়জনদের কাছে প্রয়োজনটাই বেশি থাকে। আর এভাবেই চলতে থাকবে। আপনাকে তারা কখনোই আপনার মত করে বুঝতে চায় নি। তারা আপনাকে একদমই যে বোঝে না তাও কিন্তু নয়। তারাও আপনাকে বোঝে কিন্তু তাদের মত করে। আপনি কি বলতে চাইছেন বা কি করতে চাইছেন এটা কেবল আপনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। 

আপনি তাদের ভালোবাসবেন আগের মতই কিন্তু তাদের জন্য আপনার মধ্যে থাকা সেই ফিলিংস গুলো ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে থাকবে। একটা সময় আপনিই থেকে যাবেন কিন্তু তারা কেউই আর থাকবে না। আর এটাই চিরন্তন ধ্রুব সত্য।

মনোবিজ্ঞান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন