লিভিং ইনসাইড

ভিন্ন ধর্মে বিয়ে: আইন ও সামজিকতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:১৯ পিএম, ০৮ জানুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

সম্পর্কের ৬ বছর পার করে বিয়ের পিড়িতে বসেছে নওশাবা আর ভাস্বর। বিয়ে সম্পন্ন করতে তাদের নামতে হয়েছে রীতিমত যুদ্ধে। পরিবারকে ম্যানেজ করতে হয়েছে, সমাজের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজেদের অবস্থানে শক্ত থেকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। একটা বিয়েতে এত যুদ্ধ কেন? কারণ, দুজন ভিন্ন ধর্মের। আধুনিক এই দম্পতি নিজ ধর্মে থেকেই বিয়েটা সেরেছেন। ভাস্বর তার হিন্দুপ্রথা আর নওশাবা তার মুসলিম প্রথা মেনে দিব্যি কাটিয়ে দিচ্ছে সংসার। বাধাবিপত্তি এলেও থেমে থাকেনি কিছুই। সমাজ আর পরিবার এই ধরনের বিয়েতে বৈধতা দিতে বরাবরই নারাজ। কিন্তু তাই বলে কি থেমে থাকছে অন্যধর্মের বিয়ে? মোটেও না। ভালোবাসা আর শক্ত সিদ্ধান্তের কাছে ধর্ম বাধা থাকছে না। এজন্য এগিয়ে এসেছে আইনব্যবস্থাও।

আমাদের দেশি বিদেশি অসংখ্য পর্দা কাঁপানো তারকা এই ভালোবাসার টানেই ভিন্ন ধর্মে বিয়ে করেছেন। আমাদের দেশে সবার আগে আসে স্বনামধন্য তারকা দম্পতি রামেন্দু মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদার। নিজ ধর্ম বজায় রেখে এখনও সমান জনপ্রিয় দম্পতি তারা। তাদের একমাত্র সন্তান ত্রপা মজুমদার তার নিজ পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত। বাপ্পা মজুমদার-চাঁদনী, শাকিব খান- অপু বিশ্বাস, বৃন্দাবন দাস-শাহনাজ খুশি, বন্যা মির্জা-মানস চৌধুরীসহ অসংখ্য ভিন্নধর্মের দম্পতির কথা আমি জানি। বলিউডেও এই সংখ্যা নেহায়েতই কম নয়।

নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস অটুট রেখে সংসার করছেন অনেক দম্পতি। এটাকে সমাজের অনেক বড় পরিবর্তন বলছেন সমাজবিজ্ঞানীরা। ধর্ম পরিবর্তন না করেই দুটি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে বিয়ের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। একই ধর্মের দুজন বিয়ে করে ঘর সংসার করতে হবে এমন ধারণা থেকে বের হয়ে আসছেন অনেকেই। দুই ধর্মের দুজন তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস ঠিক রেখে বিয়ে করছেন। আচার-আচরণ পালন করছেন যে যার বিশ্বাসমতোই।

ধর্ম পরিবর্তন করে নিতে চাইলে

ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিয়ের ক্ষেত্রে ১৮৭২ সালের বিশেষ বিয়ে আইন রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী বিশেষ বিয়ের জন্য একজন রেজিস্টার থাকে। প্রথমত বৈধ বিয়ে করা হচ্ছে এই হিসেবে এফিডেভিট করতে হয়, নাম ধর্ম পাল্টে পরে রেজিস্টারের কাছে হলফনামা জমা দেয়। এর ১৪ দিন পর একটি নোটিশ দেওয়া হয়। পরে নোটিশ নিয়ে রেজিস্টারের কাছে গেলে বিয়ে নিবন্ধিত করা হয়।

ধর্ম অটুট রেখে কীভাবে বিয়ে সম্ভব

বাংলাদেশের বিশেষ বিবাহ আইন ১৮৭২ (সংশোধিত ২০০৭) অনুযায়ী এই বিয়ে হচ্ছে। এই আইন অনুযায়ী, একজন মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিখ, ইহুদি বা অন্য কোনো ধর্মের যে কেউ যে কারো সঙ্গে বিয়ে করতে পারবে। ধর্মের পরিবর্তন করা লাগবে না। বা দুজনই ধর্মীয় বিশ্বাস বাদ দিয়ে বিয়ে করতে পারবে। বা একজন অন্যজনের ধর্ম মেনে নিতে পারবে।

ভিন্ন ধর্মের দুইজন যদি বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে চান তবে তাদের বিয়েটি রেজিস্ট্রি করার জন্য বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন এলাকায় ম্যারেজ রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এই ম্যারেজ রেজিস্ট্রারদের অফিসে যেয়ে, নির্ধারিত ফরম পূরণ করে ও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত রেজিস্ট্রি ফি পরিশোধ করে বিয়েটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আরও প্রয়োজন হবে ৪ কপি পার্সপোর্ট সাইজ ছবি, ৩ জন সাক্ষী, জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি কপি, যদি দুজনের কেউ বাংলাদেশী নাগরিক না হন  তবে সে ক্ষেত্রে তার পাসপোর্টের কপি। এই ধরনের বিয়ে  রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আর একটি বিশেষ বিষয় হল যে বিয়ের ১৪ দিন আগে একটি নোটিশ দিতে হয়। যেকোনো এক পক্ষ এই নোটিশ প্রদান করলেই চলে। এই নোটিশটি ও মেরেজ রেজিস্ট্রারের অফিসে গিয়ে নির্ধারিত ফরম পূরন করে ম্যারেজ রেজিস্ট্রারকে দিতে হবে যে তারা বিয়ে করতে চান।

কি হচ্ছে উত্তরাধিকারদের

এই অন্য ধর্মে বিয়ের ফলে একেবারে নতুন একটি প্রজন্ম বা উত্তরাধিকার তৈরি হচ্ছে। যারা উত্তরাধিকার সূত্রে কোনো ধর্মীয় পরিচয় বহন করছেন না। আধুনিক সমাজে সেটা অবশ্য প্রয়োজনও মনে করছেন না অনেকে। এই উত্তরাধিকারদের মধ্যে আবার কেউ কেউ নিজেই একটি ধর্ম বেছে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ধর্ম বিশ্বাস থেকেই সরে আসছেন।

তবে রাষ্ট্র আইন করে এমন বিয়ের ব্যবস্থা করলেও এসব পরিবারের সম্পত্তি বণ্টনের জন্য কোনো আইন নেই। বাংলাদেশে ইসলাম, হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মীয় আইনে সম্পত্তি ভাগ হয়। কিন্তু এই পরিবারের সম্পত্তি যদি বাবা-মা ভাগ করে দিয়ে না যান বা উইল না করেন, তবে ভাগ করার কোনো নিয়ম নেই।

এটা তো গেলো আইনগত দিক। বিয়ে তো হয়ে গেলেই তারা হয়ে গেলেন দম্পতি। কিন্তু সমাজকে উপেক্ষা করে সারাজীবন একসঙ্গে কাটানো, বিশাল বড় এক চ্যালেঞ্জ বৈকি। গত কয়েক বছরে এই বিয়ের সংখ্যা বেড়েছে। অনেকে আছেন আবেগে বিয়ে করছেন। কেউ জেনেবুঝে নিজেদের গণ্ডি ভাঙছেন। অনেক পরিবার এই বিয়ে মেনে নিচ্ছেন, অনেকে মানছে না।

কি ধরনের সমস্যা হতে পারে

সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা হয় তা হলো আরেকটা ধর্মের পরিবারের সঙ্গে মিলেমিশে যাওয়া। স্বভাবতই সেই পরিবারটি একেবারেই ধর্মীয় অনুষ্ঠান আর আচারে অভ্যস্ত। সেখানে অন্যধর্মের কাউকে গ্রহণ করে নিতে একটু সমস্যা হয়ই। তাদের রূচি, খাদ্যাভাসও পুরোপুরি ভিন্নরকমের থাকে।

সমাজ আর পরিবারে অসংখ্য প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে হলো, আরেকধর্ম ছেড়ে আসতে হলো কেন- এই প্রশ্ন সবসময়েই আসতে থাকে। এতে বরাবরই বিব্রত হতে হয়।

অনেক সময়ে নাম আর পদবী নিয়েও পড়তে হয় বিপাকে। অন্যধর্মে বিয়ে করে কেন ধর্ম পরিবর্তন হলো না, স্বামীর ধর্ম কেন মেনে চলা হচ্ছে না, নাম আর পদবী কেন আগের মতোই রয়ে গেছে- এগুলো নিয়ে কটূকথা খুব চলতে থাকে।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় সন্তান প্রতিপালনের ক্ষেত্রে। সন্তানকে তারা নিজেদের মতো করে পালন করলো ঠিক আছে। কিন্তু সমাজ সেটা শুভদৃষ্টিতে দেখে না। তাদের স্কুল, কলেজে ভর্তি করতে গিয়ে পিতামাতার নাম দেখে তারা বিভ্রান্ত হয়। সন্তানের বিয়েশাদির ক্ষেত্রেও ঘটে বিড়ম্বনা।

কিন্তু বিষয়টি হচ্ছে পুরোপুরি দুটো মানুষের। যারা পুরো ধর্ম আর সমাজব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে শুধু ভালোবাসা আর একসঙ্গে থাকার খাতিরে এত বড় সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের সমাজ থেকে উপেক্ষা করা হয়তো উচিৎ না। তারা যদি আইনের আওতায় বিয়েটা করে, একসঙ্গে থাকার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় তবে সেটা সমাজের জন্য আসলেই ক্ষতিকর নয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো একসঙ্গে ভালো থাকা। সেটা সম্ভব হলে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা না রাখলেও চলে।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ

 



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

হিট স্ট্রোকের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও চলমান এমন তাপপ্রবাহ নিয়ে কোন সুখবরই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্র আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।  

এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।

ঢাকার আইসিডিডিআর’বি-এর তথ্য মতে, বাইরে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন তাকে হিট স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।

হিটস্ট্রোকের লক্ষণ

শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া, গরমে অচেতন হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, তীব্র মাথা ব্যথা, ঘাম কমে যাওয়া, ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা, বমি হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাস কষ্ট, মানসিক বিভ্রম, খিঁচুনি মত লক্ষন গুলো দেখা দিতে পারে।

কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করনে-

১. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
২. রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে ফেলতে হবে।
৩. শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।


হিট স্ট্রোক   লক্ষণ   চিকিৎসা  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

তীব্র গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়!

প্রকাশ: ০৮:২২ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এর প্রমাণ আমরা পাচ্ছি প্রকৃতিতে। রাজধানীসহ সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসি কেবল ব্যয়বহুল নয়, অনেকেই আছেন যারা এসিতে অল্প সময় থাকলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই প্রচণ্ড গরমে একটু শান্তির জন্য হলেও খুঁজতে হয় বিকল্প ব্যবস্থা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিসনেস ইনদাইডের এক প্রতিবেদনে এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায়, সেই উপায় বলে দেয়া হয়েছে। তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক--

সূর্যের তাপ: ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। প্লাস্টিকের ব্যাকিংসহ মাঝারি রংয়ের ‘ড্রেইপ’ বা পাতলা পর্দা ৩৩ শতাংশ তাপ কমায় এবং ঘরে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়তা করে।

দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহা: রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।

গরম বাতাস বের করে দেয়া: ‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।

আর্দ্র বাতাস:  ঘর ঠাণ্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠাণ্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠাণ্ডা পানির বোতল রাখলে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

ঘরে গাছ রাখুন: ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।

চুলা বন্ধ রাখা: চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।

অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা: ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা: দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হয়  এবং ঠাণ্ডা হয়ে আসে।

 


তীব্র গরম   ঘর ঠাণ্ডা   রাখার উপায়  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

ঈদের আগে ত্বকের যত্ন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।

ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।

আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।

আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।

তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা

তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।

শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।

কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।

স্বাভাবিক ত্বক

যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।

ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস

যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে।  ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

হলুদের প্যাক

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

টমেটো প্যাক

টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।


ঈদ   ত্বক   যত্ন  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বিচ্ছেদের কত দিন পরে নতুন সম্পর্কে জড়াবেন!

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা একসময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।

গল্পটি কাল্পনিক হলেও এমন উদাহরণও অনেক পাওয়া যাবে। কিন্তু দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে নতুন কোনো সম্পর্ক শুরু করার আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি-

ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করুন

মন চাইলো আর প্রেমে জড়িয়ে গেলাম- এমন মানসিকতা দূরে রাখুন। এখন কিছু দিন শুধু নিজেকে সময় দিন, নিজেকে ভালোবাসুন। প্রেম করার মানসিকতা এখন আর রাখবেন না। নতুন সম্পর্কে জড়াতে চাইলে কমপক্ষে ১ বছর সময় ননিতে হবে। তবেই নিজের আগের ভুল কিংবা অভিজ্ঞতা আপনাকে আর পিছু তারা করবে না। আর একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখবেন, যে পুরনোজনের জায়গায় নতুনজনকে রিপ্লেস করবেন। তাহলে আপনি এবং আপনার সঙ্গী ভালো থাকবেন।

তুলনা করবেন না

মনে রাখবেন প্রত্যেক মানুষই আলাদা। একজনের থেকে অন্যজনের স্বভাব, আচরণও আলাদা হবে এটাই স্বাভাবিক। আগেরজন এত ভালো ছিল, দামি উপহার দিত বা অনেক কথা না বললেই বুঝে যেত এসব ভুল তুলনা টানবেন না। প্রথমেই মাথা থেকে এসব বের করে দিন। এছাড়াও স্যালারি নিয়েও কোনো তুলনা টানবেন না।

সময় দিন নিজেকে

হুট করে প্রেম কিংবা রাগারাগি করা যাবে না। সব কিছুতেই সময় নিতে হবে। সময়ে সাথে সাথে অনেককিছু বদলঅবে যেটা অবশ্যই আপনার জন্য ভালো বিষয় হবে। এতে করে একে অপরকে বুঝুতে সহজ হবে এবং সহজেই এই সম্পর্ক খারাপ হবে না। আর একটি বিষয় মাথায় রাখবেন অতিরিক্ত ঘাঁটাবেন না। নিজেও ভাবার মতো সময় নিন। অন্যকেও দিন।

পুরনোর কথা ভাবা যাবে না

পুরনোর কাছে ফিরে যাবেন কিনা এই নিয়ে কোনো দোটানা রাখবেন না। মনে রাখবেন স্বেচ্ছায় এবং দুজনের সিদ্ধান্তেই আপনারা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছেন। যেখানে আছেন সেখানেই মন দিন।

ইতিবাচক ভাবনা রাখুন

হতাশা, দুঃখ, কান্না মনখারাপ একদম নয়। নতুনজনের কাছে সবসময় নিজের হতাশার কথা বলবেন না। ভালো সময় কাটান। গল্প করুন। ইতিবাচক ভাবনা বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
 



প্রেম   বিচ্ছেদ  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

নারীদের সন্তান জন্মদানের হার কমতে শুরু করেছে: গবেষণা

প্রকাশ: ০৯:৩২ এএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।

দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।

চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।

পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক ১টি শিশু।


গবেষণা   দ্য ল্যানস   গর্ভবতী   শিশু জন্ম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন