নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৩ এএম, ২২ এপ্রিল, ২০১৯
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আজকাল অস্বস্তি লাগে, কেমন নিস্প্রাণ লাগে চেহারা। কে যেন সেদিন বলেই বসলো যে সেকি, মুখ এমন মলিন কেন, চেহারা কেমন যেন বুড়িয়ে গেছে। কেন এমন হলো! এই সমস্যা আমাদের অনেকেরই। বয়সের আগেই চেহারা বুড়িয়ে যাচ্ছে। বলিরেখা, দাগ, ভাজ পড়ে একেবারে একাকার। কেউ চায় না বয়সের আগেই বুড়িয়ে যেতে। আবার তারুণ্য ধরে রাখতে আমরা প্রতিদিন কত নিয়মই না মেনে চলি, কত পণ্য, কসমেটিকসই তো ব্যবহার করি। কিন্তু নিয়ম মেনে চলতে গিয়ে আমরা বেশ কিছু ভুল ধারণাও সত্যি বলে ভেবে নিই, যা আমাদের অজান্তেই ত্বকের ক্ষতি করে থাকে। বয়সের আগেই আমাদের ত্বক তাই বুড়িয়ে যায়।
তাই আজ থাকছে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে দূরে থাকার কিছু সাধারণ টিপস-
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য প্রয়োজন সবুজ জুস
সবুজ কোনো ফল বা সবজির জুস আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। বয়স ধরে রাখতে, সুন্দর, লাবণ্যময় ত্বক পেতে তাই প্রতিদিনের খাবারে সবুজ জুস রাখা যেতে পারে। কিন্তু এটাকেই আবার ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখার একমাত্র উপায় এটি মোটেও ঠিক নয়। সবুজ জুসের পাশাপাশি আপনার প্রতিদিন ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে হবে। এর জন্য নিয়মিত ক্লেন্সিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং, রোদে গেলে সানস্ক্রিন লাগানো, পর্যাপ্ত ব্যায়াম ও ব্যালেন্সড ডায়েট খাবারও সমানভাবে প্রয়োজনীয়।
বেশি বেশি পানি খাওয়ার অভ্যাস
পানির অপর নাম সত্যিই জীবন। আমাদের শরীরের জন্য পানি খুবই প্রয়োজন। পানি শরীর ও ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে ও শরীরের জন্য ক্ষতিকর উপাদানগুলো শরীর থেকে বের করে দেয়। কিন্তু শুধু পানি আপনার শরীরকে ভালো রাখার জন্য যথেষ্ট নয়। পানির পাশাপাশি শাকসবজি ও ফলমূলও খেতে হবে।
একটি অ্যান্টি-এজিং ময়েশ্চারাইজার
ময়েশ্চারাইজার আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি বাইরের ধুলাবালি থেকেও ত্বককে নানাভাবে রক্ষা করে থাকে। সঠিকভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলে ত্বক দীর্ঘদিন তারুণ্য ধরে রাখতে পারে। কিন্তু ত্বকে বয়সের ছাপ পড়াতে না চাইলে অবশ্যই রাত ও দিনের আলাদা আলদা ময়েশ্চারাইজার রাখার পাশাপাশি সিরাম ও অয়েলের ব্যবহারও জানতে হবে। দিনে যখনই বাইরে যান না কেন ত্বকে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না। মেঘ থাকলেও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি দিনের আলোতে উপস্থিত থাকে, যা আপনার ত্বকের ক্ষতি করে।
নিদ্রাহীনতা
নানা ব্যস্ততা, যানজট, এখানে-সেখানে দৌঁড়াদৌড়ির কারণে বাড়ি ফিরতে দেরি হয়। আবার ঘরের কাজ সামলাতেও ব্যয় হয় অনেকটা সময়। তাই নিদ্রাহীনতা আমাদের অনেকেরই দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম অংশ হয়ে গেছে। কারণে কিংবা অকারণে এই যে রাতজাগার অভ্যাস বয়স্ক দেখানোর বড় একটি কারণ। ঘুম কম হলে মানুষের ত্বকের স্বাভাবিক মসৃণতা কমে যায়। চোখের নিচে ভাঁজ পড়ে যায়, ঢিলা হয়ে আসে ত্বক। তাই তারুণ্য ধরে রাখতে নিদ্রাহীনতার অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি।
আর উপুড় হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস বাদ দিন। এর ফলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে পারে। গবেষণামতে, এভাবে ঘুমালে চেহারার কোষগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। আর খাবারের তালিকায় কিছুটা চর্বি রাখা উচিৎ। বিশেষ করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছের চর্বি ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এটি ত্বক ও চেহারায় উজ্জ্বলতা এনে দেয়। তাই বয়স্ক হওয়ার আগেই বুড়ো হতে না চাইলে আপনাকে প্রতিদিনের এসব অভ্যাস সম্পর্কে এখনই সতর্ক হতে হবে।
অতিরিক্ত চিনি খাওয়া বাদ দিতে হবে
যারা খুব বেশি চিনি খেতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য বয়স ধরে রাখা মুশকিল। কারণ অতিরিক্ত চিনি বা চিনিজাতীয় খাবার চেহারায় দ্রুত বয়স্ক ভাব ফুটিয়ে তোলে। তাই আজ থেকেই ছেড়ে দিন বেশি চিনি খাওয়ার অভ্যাস।
ডায়েটিং হোক বুঝেশুনে
শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলতে অনেকেই মাত্রাতিরিক্ত ডায়েটিং করেন। এটাই অনেকের ক্ষেত্রে পুষ্টিহীনতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত ডায়েটিংয়ের ফলে দেহে অ্যান্টি-অক্সিজেনসহ বেশকিছু ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি দেখা দেয়। এসব ঘাটতি চেহারায় বয়স্ক ভাব বাড়িয়ে দেয়। ফলে ডায়েটিং করুন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী। প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করুন।
কম বা বেশি ব্যায়াম
একেবারে ব্যায়াম বা শরীরচর্চা না করা কিংবা অতিরিক্ত ব্যায়াম করা এই দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। চেহারায় বয়সের ছাপ বাড়িয়ে তুলতে এই দুটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই বয়স, শরীরের গঠন, জীবনযাপনের ধরন অনুযায়ী পর্যাপ্ত ব্যায়াম করা উচিত।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।
ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।
আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।
আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।
শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।
কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।
স্বাভাবিক ত্বক
যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস
যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে। ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো প্যাক
টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে।
সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত
মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে
হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট
এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের
দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু
হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।
দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী
২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের
স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন
ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।
পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা
বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল
নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক
১টি শিশু।
গবেষণা দ্য ল্যানস গর্ভবতী শিশু জন্ম
মন্তব্য করুন
প্রাণিজগতের মধ্যে মানব মস্তিষ্কই সবচেয়ে জটিল। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের
মস্তিষ্কের আয়তন পুরুষের প্রায় ১৫০০ সিসি ও মহিলাদের প্রায় ১৩০০ সিসি এবং মানব ভ্রূণের
প্রাথমিক অবস্থায় মস্তিষ্ক প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত থাকে। পূর্ণাঙ্গ মানুষে এটি
আরও জটিল রূপ ধারণ করে এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়।
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০১৯ এর তথ্য মতে, মানুষের মস্তিষ্কের ধারণ
ক্ষমতা কমপক্ষে ২.৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ গিগাবাইট।
দেখা যায়, সাধারণভাবে, মানুষ কিছু মানসিক ঘটনা-যেমন বিষণ্নতা এবং
স্পর্শের মাধ্যমে তাপমাত্রা শনাক্ত করার ক্ষমতা - অন্যদের তুলনায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
করার মতো আরও বেশি কার্যকর..! যেমন গর্ব অনুভব করা বা প্রথম দর্শনে প্রেমের অভিজ্ঞতা।
তবে, দ্য ডেভিলস ডিকশনারি ইন, অ্যামব্রোস বীরস মনকে "মস্তিষ্কের
গোপন বিষয়টির একটি রহস্যময় রূপ" বলে বর্ণনা করেছেন, যা নিজেকে বুঝা "ইহা
নিজেকে চেনা, অর্থাত নিজেকে বুঝা ছাড়া আর কিছু না" বা বোঝার নিরর্থক প্রচেষ্টা
নিয়ে জড়িত।
বায়ার্সের ১৯১১ সালের প্রকাশের পরে দীর্ঘসময় ধরে আত্মবিজ্ঞান
সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। কোন এক কোরা ব্যবহারকারী জিজ্ঞেস করে: "মানব মস্তিষ্ক
কি নিজেকে বুঝতে যথেষ্ট বুদ্ধিমান?"
দ্য অনিয়ানের একটি বিদ্রুপমূলক শিরোনাম রিপোর্ট করেছে যে, মনোবিজ্ঞানটি
স্থগিত হয়েছে কারণ "ক্লান্ত গবেষকরা বলেছিলেন যে মন সম্ভবত নিজেকে অধ্যয়ন করতে
পারে না।"
কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে মস্তিষ্কে মন আপনার মস্তিষ্কের
শারীরিক কর্মকাণ্ডের বাইরে চলে গেছে। তাই সতর্ক হোন। নিজেকে বুঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে
নিজের আয়েত্বে রাখুন। আপনার জীবনটা আপনারই।
মনোবিজ্ঞানে মস্তিস্কের শনাক্ত করার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের
মধ্যে গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং ইমেজিং স্ক্যানিং সহ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
MRI (Magnetic Resonance Imaging), CT scan (Computed Tomography), EEG
(Electroencephalogram), PET scan (Positron Emission Tomography) ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি
ব্যবহার করা হয় মস্তিস্কের অবস্থান ও কার্যাবলী নির্ধারণে। এই স্ক্যানিং পদ্ধতিগুলি
মস্তিস্কের আনুমানিক অবস্থান এবং কার্যাবলীর উপর আলোকপাত করে এবং মস্তিস্কের বিভিন্ন
অংশের ক্ষমতা এবং সংযোগস্থলের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও মানুষ মস্তিস্কের কথা বা মনোবিজ্ঞানিক ধারণা শোনা বা বোঝা
সম্পর্কে সাধারণভাবে, মনোবিজ্ঞানের সম্পর্কে সাক্ষাৎকার করা, সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
দেখা, মনোবিজ্ঞান নিয়ে পুস্তিকা পড়া, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন করা এবং মনোবিজ্ঞানে
সম্পর্কিত মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্ত করা হতে পারে। আরও পেশাদার উপায়ে, যেমন মনোরোগ
বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা পরামর্শদাতা মানুষকে মস্তিস্কের বিষয়ে সাথে কাজ করা হতে পারে।
মস্তিস্ক মনোবিজ্ঞানে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রাণিজগত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা এক সময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।