নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৫ এএম, ২২ মে, ২০১৯
নাহ, সংসারটা টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সঙ্গীর সঙ্গে কিছুতেই মানিয়ে চলা যাচ্ছে না, সম্পর্ক দিন দিন তিক্ত হচ্ছেই। শান্তিতে যে সঙ্গীর সঙ্গে দুটো কথা শেয়ার করবেন তাও আপনি পারছেন না। সন্তান, পরিবার আর সমাজের জন্য বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তও নিয়ে দোটানায় পড়েছেন আপনি। কিন্তু একসময় বিচ্ছেদের ব্যাপারে আপনি অটল হয়ে গেলেন। এই যে যত্নে গড়া সম্পর্কটা, সেটা খুটিনাটি সমস্যার কারণে তাকে বিসর্জন দিয়ে দেবেন- তার আগে কিছু ভেবে নেওয়া, নিজেকে কিছু প্রশ্ন করে নিলেই কিন্তু সমস্যার সমাধানও হয়ে যেতে পারে। প্রশ্নগুলো এমন হতে পারে-
এখনো ভালোবাসা লুকিয়ে আছে কিনা দেখুন
যাকে ছেড়ে দেবেন, তাকে নিয়েই স্বপ্ন বুনেছেন এতদিন। যাকে দেখলে অতীতের সব গ্লানি, যন্ত্রণা ঘুচতো, বেঁচে থাকার জীবনীশক্তি পেতেন সেই কিনা এখন চোখের বালি হয়ে গেছে। তার সঙ্গে থাকতে রাজি নন আপনি। কিন্তু আগে নিশ্চিত তো, তাকে আর ভালোবাসেন না? ডিভোর্স কিন্তু দাম্পত্য খুনসুটি নয় যে, যখন আপনি আবার বুঝতে পারবেন ওই মানুষটাকে ছাড়া আপনার চলছে না, তখন সবটা আবার আগের মতো হয়ে যাবে। তাই এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিশ্চিত হন যে মানুষটার জন্য আপনার আর বিন্দুমাত্র মায়া বেঁচে আছে কি না। বিচ্ছেদ হয়ে গেলে কিন্তু লুকানো ভালোবাসা কষ্ট দেবে, পরের জীবনে সুখ খুঁজে পাবেন না।
সন্তানের কথা ভেবে নিন
ডিভোর্সের পর সব গুছিয়ে নিলেন যে যার মতো, কিন্তু আপনাদের সন্তান? তাকে ভাগ করবেন কীভাবে? অধিকারবোধের জায়গা থেকে সন্তানকে নিয়ে টানাটানিও শুরু হয়ে। এর মাশুল দিতে হয় সন্তানকেই। ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভালো কথা, কিন্তু ডিভোর্সপরবর্তী সন্তানের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করার নিশ্চয়তা নিশ্চয়ই দিতে পারবেন না। বাবা-মা আলাদা হলে সন্তান যে ধাক্কা খাবে, সেটা সামাল দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব? ডিভোর্স পরবর্তী কোনো সম্পর্ককে সন্তান মেনে নিতে পারবে? মানসিক বিকাশ ঘটবে? এগুলো ভেবে তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরেকবার ভাবুন ঠাণ্ডা মাথায়।
ডিভোর্সের যুক্তিপূর্ণ কারণটি কি?
বিবাহিত জীবনে মান-অভিমান খুব সাধারণ ইস্যু। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকলে মতবিরোধ, মন কষাকষি বা মনোমালিন্য হবেই। বিয়ে হলো দুটি সম্পূর্ণ আলাদা মানসিকতার মানুষ একই ছাদের নিচে বসবাস, সংগ্রাম করা বেঁচে থাকার জন্য। সেখানে সামান্য কিছু নিয়েও মতের অমিল নিয়ে ঝামেলা হবেই, সেটা সব সম্পর্কেই হয়। কিন্তু এই সূত্রেই ডিভোর্স করতে হবে, তাহলে ভুল করবেন। ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন ডিভোর্স চান সেটার যুক্তিপূর্ণ কারণ খুঁজে বের করুন। সামান্য কারণে বার বার ডিভোর্স শব্দটা টেনে আনলে একদিন সামান্য কারনেই এটা সত্যি হয়ে যাবে।
সিদ্ধান্তটা আবেগ নাকি বাস্তবের
আপনি ডিভোর্সের জন্য প্রস্তুত, অর্থাৎ আপনি আবেগের বশে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি, ডিভোর্স আপনার সম্পূর্ণ বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত। কিন্তু ভাবুন এর মধ্যে কোনো আবেগ আছে কিনা। আবেগ আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করার আগে আপনি আবেগের লাগাম টেনে ধরুন। একবার ডিভোর্স হয়ে গেলে জীবনটা পাল্টে যাবে, আশেপাশে সব বদলে যাবে। কিন্তু বিচ্ছেদ হয়ে গেলে তো সম্পর্কটা থাকছে না। সেসময় আপনার আশেপাশের লোকগুলোও যদি পাশে না থাকে তখন আর পাশে কেউ থাকবে না। তাই আবেগের বশে কিছু না করে ভুল সিদ্ধান্তকে এড়িয়ে চলতে হবে।
ডিভোর্স পরবর্তী পরিস্থিতি সামলাতে পারবেন কী?
আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট বিচ্ছেদকে এখনো স্বাভাবিক চোখে দেখে না। আপনি ডিভোর্সি হলেই আপনার দিকে বাঁকাচোখে তাকাবে, বাঁকা কথা বলবে। পরিবার থেকে কর্মস্থল পর্যন্ত সব জায়গায় আপনাকে নিয়ে গুঞ্জন, গল্প আর সমালোচনা চলবেই। এগুলো মেনে নেওয়ার মতো মানসিকতা আপনার আছে কিনা ভাবুন। এর মাঝখানে যুদ্ধ করে জীবন চালাতে পারবেন তো? যদি মন থেকে দৃঢ় আত্মবিশ্বাস পান যে লোকের গুঞ্জন আপনার নতুন জীবনে কোনো প্রতিবন্ধকতা আনবে না, তবে সিদ্ধান্ত নেবেন। আর মনে ভয় থাকলে সংসার নিয়ে নতুন করে ভাবুন।
ডিভোর্সের পর আপনার করণীয় কী, ভাবুন
পুরনো সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে বেরিয়ে ডিভোর্স পরবর্তী জীবনটা সাজাবেন কীভাবে সেটা একবার ভাবুন। এই সমস্ত দায়দায়িত্ব কিন্তু আপনাকেই নিতে হবে। আপনার বৈবাহিক জীবনের ইতির সিদ্ধান্তের সময়েই ভেবে ফেলুন বিবাহবিচ্ছেদ পরবর্তী করণীয় কী হবে। যা আছে কপালে তা-ই হবে, এই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন সবার আগে, মনে রাখবেন আপনার জীবন আপনাকেই গুছিয়ে নিতে হবে। আশেপাশে কতো কথাই তো হবে! আপনি যদি একটা গোছানো পরিকল্পনা করে ডিভোর্স পরবর্তী জীবনটা নিয়ে অগ্রসর হন, তাহলে আপনার সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত।
কিন্তু ভালোবাসা দিয়ে বুনে যে সম্পর্ক শুরু করেছিলেন, সংসারের ঘানি টেনেছিলেন একসঙ্গে- তাকে একেবারে দূর করে দেওয়ার আগে অনেকবার করে ভাবুন। একটি সম্পর্ক যখন ডিভোর্সের পর্যায়ে এসে দাঁড়ায়, তখন সে সম্পর্কে ঘৃণা, রাগ, ক্রোধ আর অন্ধ ইগো এত বেশি পরিমাণে বেড়ে যায় যে, মানুষ না চাইলেও এই সময়টায় অনেক ভুল কাজ করে ফেলে। যার ফলে ডিভোর্স পরবর্তী জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তাই তাড়াহুড়ো করে অন্ধ আবেগ বা ইগোকে প্রশ্রয় না দিয়ে বাস্তবতা আর পারিপার্শ্বিক সবকিছু মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নিন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।
ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।
আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।
আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।
শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।
কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।
স্বাভাবিক ত্বক
যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস
যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে। ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো প্যাক
টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে।
সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত
মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে
হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট
এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের
দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু
হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।
দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী
২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের
স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন
ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।
পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা
বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল
নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক
১টি শিশু।
গবেষণা দ্য ল্যানস গর্ভবতী শিশু জন্ম
মন্তব্য করুন
প্রাণিজগতের মধ্যে মানব মস্তিষ্কই সবচেয়ে জটিল। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের
মস্তিষ্কের আয়তন পুরুষের প্রায় ১৫০০ সিসি ও মহিলাদের প্রায় ১৩০০ সিসি এবং মানব ভ্রূণের
প্রাথমিক অবস্থায় মস্তিষ্ক প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত থাকে। পূর্ণাঙ্গ মানুষে এটি
আরও জটিল রূপ ধারণ করে এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়।
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০১৯ এর তথ্য মতে, মানুষের মস্তিষ্কের ধারণ
ক্ষমতা কমপক্ষে ২.৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ গিগাবাইট।
দেখা যায়, সাধারণভাবে, মানুষ কিছু মানসিক ঘটনা-যেমন বিষণ্নতা এবং
স্পর্শের মাধ্যমে তাপমাত্রা শনাক্ত করার ক্ষমতা - অন্যদের তুলনায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
করার মতো আরও বেশি কার্যকর..! যেমন গর্ব অনুভব করা বা প্রথম দর্শনে প্রেমের অভিজ্ঞতা।
তবে, দ্য ডেভিলস ডিকশনারি ইন, অ্যামব্রোস বীরস মনকে "মস্তিষ্কের
গোপন বিষয়টির একটি রহস্যময় রূপ" বলে বর্ণনা করেছেন, যা নিজেকে বুঝা "ইহা
নিজেকে চেনা, অর্থাত নিজেকে বুঝা ছাড়া আর কিছু না" বা বোঝার নিরর্থক প্রচেষ্টা
নিয়ে জড়িত।
বায়ার্সের ১৯১১ সালের প্রকাশের পরে দীর্ঘসময় ধরে আত্মবিজ্ঞান
সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। কোন এক কোরা ব্যবহারকারী জিজ্ঞেস করে: "মানব মস্তিষ্ক
কি নিজেকে বুঝতে যথেষ্ট বুদ্ধিমান?"
দ্য অনিয়ানের একটি বিদ্রুপমূলক শিরোনাম রিপোর্ট করেছে যে, মনোবিজ্ঞানটি
স্থগিত হয়েছে কারণ "ক্লান্ত গবেষকরা বলেছিলেন যে মন সম্ভবত নিজেকে অধ্যয়ন করতে
পারে না।"
কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে মস্তিষ্কে মন আপনার মস্তিষ্কের
শারীরিক কর্মকাণ্ডের বাইরে চলে গেছে। তাই সতর্ক হোন। নিজেকে বুঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে
নিজের আয়েত্বে রাখুন। আপনার জীবনটা আপনারই।
মনোবিজ্ঞানে মস্তিস্কের শনাক্ত করার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের
মধ্যে গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং ইমেজিং স্ক্যানিং সহ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
MRI (Magnetic Resonance Imaging), CT scan (Computed Tomography), EEG
(Electroencephalogram), PET scan (Positron Emission Tomography) ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি
ব্যবহার করা হয় মস্তিস্কের অবস্থান ও কার্যাবলী নির্ধারণে। এই স্ক্যানিং পদ্ধতিগুলি
মস্তিস্কের আনুমানিক অবস্থান এবং কার্যাবলীর উপর আলোকপাত করে এবং মস্তিস্কের বিভিন্ন
অংশের ক্ষমতা এবং সংযোগস্থলের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও মানুষ মস্তিস্কের কথা বা মনোবিজ্ঞানিক ধারণা শোনা বা বোঝা
সম্পর্কে সাধারণভাবে, মনোবিজ্ঞানের সম্পর্কে সাক্ষাৎকার করা, সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
দেখা, মনোবিজ্ঞান নিয়ে পুস্তিকা পড়া, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন করা এবং মনোবিজ্ঞানে
সম্পর্কিত মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্ত করা হতে পারে। আরও পেশাদার উপায়ে, যেমন মনোরোগ
বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা পরামর্শদাতা মানুষকে মস্তিস্কের বিষয়ে সাথে কাজ করা হতে পারে।
মস্তিস্ক মনোবিজ্ঞানে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রাণিজগত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা এক সময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।