নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৭ মে, ২০১৯
ঈদ আসছে, বেশ কয়দিনের ছুটি রয়েছে হাতে। কত পরিকল্পনাই তো করে রেখেছেন। বহুদিন পরে বাড়িতে যাবেন বা প্রকৃতির কাছাকাছি ঘুরতে যাবেন পরিবার পরিজন নিয়ে। কিন্তু নিজের যত্নের বাড়িঘর ফেলে যে ঘুরতে যাবেন, সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দিকেও তো আপনাকে খেয়াল রেখে যেতে হবে। তাই নির্বিঘ্নে চিন্তামুক্ত হয়ে বাড়িতে যেতে জেনে রাখুন এই বিষয়গুলো-
যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন
বাসা ছেড়ে বেশ কিছুদিনের জন্য যেহেতু যাচ্ছেন, তাই কয়দিনের জন্য আপনার খালি বাসায় বাড়তি নিরাপত্তার জন্য একটি অতিরিক্ত তালাচাবির ব্যবস্থা করে নিন। পুরো বাড়ি যদি খালি করে যেতে হলে প্রতিবেশীদের বলুন যেন খেয়াল রাখে আপনার বাড়ির। আর যাওয়ার সময়ে বাড়ির দারোয়ান এবং প্রতিবেশীদের নাম্বার মনে করে সঙ্গে নিন।
বাসায় গাছপালা আর পশুপাখি থাকলে
আশেপাশে নির্ভরযোগ্য কোনো ব্যক্তি থাকলে আগে থেকে সব বুঝিয়ে দিয়ে যান। তাদের কাছেই পশুপাখির অতিরিক্ত খাবার কিনে দিয়ে রাখুন। পশুপাখির খাঁচা থাকলে সেটি আলো বাতাসপূর্ণ স্থানে রেখে বেশি পরিমাণ খাবার ও পানি দিয়ে রেখে যেতে পারেন। আর সঙ্গে নেওয়ার মতো সুযোগ থাকলে নিয়ে গেলে সবচেয়ে ভালো।
আর আপনার গাছের যত্ন নিজেই খেয়াল রাখুন। গাছগুলো আপনার বারান্দায় রেখে পুরনো পানির বোতলে পানি ভর্তি করে মুখে ছোট একট ছিদ্র করে ছিদ্রযুক্ত অংশ নিচের দিক সামান্য কিছু গাছের গোড়ায় মাটিতে পুতে দিন। একেবারে কড়া রোদে দিয়ে রাখবেন না, তাহলে গাছের ক্ষতি হবে। বৃষ্টি থেকেও নিরাপদে রাখবেন।
পথেঘাটে কি খাবেন
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই নামতে হবে ভ্রমণযুদ্ধে। ভ্রমণে খাওয়াদাওয়া নিয়েও আপনাকে ভাবতে হবে। একেবারে খালি পেটে ভ্রমণ না করাই ভালো। আবার একেবারে ভরা পেটেও ভ্রমণ করবেন না। ভ্রমণের সময়ে তেল বা মসলাদার খাবার না খেয়ে হালকা খাবার খান। পথে খাওয়ার জন্য রাস্তার খোলা খাবার কিনে না খেয়ে সঙ্গে রাখুন পানি, ফল ও হালকা বিস্কুট বা ক্র্যাকার্স।
বৃষ্টি থেকে বাঁচতে
এই মৌসুমে কখন হুট করে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়, তার ঠিক নেই। যেহেতু এখন সময়টা এমন যে এই রোদ আবার এই ঝুম বৃষ্টি। তাই বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচনেও লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রথমেই নিয়ে নিন ছাতা বা রেইন কোট। ব্যাগের ক্ষেত্রে নির্বাচন করুন রেক্সিন, প্লাস্টিক বা রাবার জাতীয় উপকরণে তৈরি ব্যাগ। কাদা-পানি থেকে রক্ষার জন্য নিতে পারেন রাবার, রেক্সিন বা স্পঞ্জের জুতা। আর বাসার জিনিসপত্রও বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করে যান।
ওষুধগুলো ঠিকমতো নিয়ে নিন
ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মতো শারীরিক সমস্যা হলে নিয়মিত কিছু ওষুধ খেতেই হবে। এছাড়া ভ্রমণে অনেকের বমি হয়, আবার ঈদের খাবার খেয়ে হতে পারে অ্যাডিটির সমস্যা। এই রোগগুলোর ওষুধ ছাড়াও কিছু স্যালাইন আর মাথাব্যথার ওষুধও সঙ্গে নিন। অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম, ব্যথানাশক ক্রিমও নিয়ে নিন সঙ্গে।
বৈদ্যুতিক সংযোগ ঠিকমতো দেখে বের হন
খেয়াল রাখতে হবে বাসার বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির দিকে। টেলিভিশন, ফ্রিজ, কম্পিউটার, ওভেন ও ওয়াশিং মেশিনের মতো নানা যন্ত্রপাতিগুলো ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখে যেতে হবে। বজ্রপাতে কখন কি বিপদ হয় তা কেউই বলতে পারে না। ফাঁকা ঘরে বজ্রপাতের সময় এসব যন্ত্রের বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া থাকলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেশি থাকে। ফ্রিজে বেশি খাবার জমে থাকলে সেটা এখনই শেষ করে ফেলতে থাকুন। কারণ, বাড়ি ছাড়ার আগেই ফ্রিজ খালি করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
গ্যাসের চুলার দিকে খেয়াল রেখে বের হন
বাসা থেকে চলে যাওয়ার আগে অবশ্যই মনে করে গ্যাসের চুলা বন্ধ কিনা দেখে যান। চুলার সামনের দিকের নব ছাড়াও পেছনের দিকে থাকা চাবিও বন্ধ করে রেখে যান। রান্নাঘরে ভেন্টিলেটর না থাকলে জানালা অল্প করে খোলা রাখুন। যাতে ভেতরে বাতাস চলাচল করতে পারে। না হলে বদ্ধ ঘরে গ্যাস ছড়িয়ে আগুন ধরে যেতে পারে।
যাবতীয় বিল শোধ করে যান
ছুটিতে যাওয়ার আগে এই মাসে যত বিল জমা আছে তা শোধ করে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ ছুটি শেষ করে ফিরতে ফিরতে আপনার অনেকটা দেরি হয়ে যাবে। তাই সাবধান থাকাই ভালো।
ধোয়া-মোছা করবেন
সম্ভব হলে বেড়াতে যাওয়ার আগে বিছানার চাদর, বালিশের কভার, ময়লা পোশাকগুলো ধুয়েমুছে শুকিয়ে গুছিয়ে রেখে যান। এতে ফিরে কাজের চাপ কম থাকবে। এসে আর এগুলো ধুতে হবে না।
গ্যাজেটগুলোতে পর্যাপ্ত চার্জ দিয়ে নিন
আপনার মোবাইল, ল্যাপটপ, পাওয়ার ব্যাংকে ভালো করে চার্জ দিয়ে নিন। এর পাশাপাশি হেডফোন, চার্জার, ব্যাগ কভার নিতে একদম ভুলে যাবেন না।
আশেপাশে জানিয়ে যান
যেখানেই যান না কেন, আশেপাশে জানিয়ে যান আপনি কোথায় যাচ্ছেন, কতদিন থাকবেন, কোনদিন কোন এলাকায় ঘুরতে যাবেন। ফোন নাম্বার দিয়ে যান এবং সবসময় যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখুন। এতে আপনার কোনো বিপদ হলে তারা টের পাবেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।
ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।
আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।
আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।
শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।
কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।
স্বাভাবিক ত্বক
যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস
যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে। ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো প্যাক
টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে।
সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত
মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে
হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট
এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের
দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু
হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।
দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী
২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের
স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন
ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।
পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা
বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল
নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক
১টি শিশু।
গবেষণা দ্য ল্যানস গর্ভবতী শিশু জন্ম
মন্তব্য করুন
প্রাণিজগতের মধ্যে মানব মস্তিষ্কই সবচেয়ে জটিল। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের
মস্তিষ্কের আয়তন পুরুষের প্রায় ১৫০০ সিসি ও মহিলাদের প্রায় ১৩০০ সিসি এবং মানব ভ্রূণের
প্রাথমিক অবস্থায় মস্তিষ্ক প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত থাকে। পূর্ণাঙ্গ মানুষে এটি
আরও জটিল রূপ ধারণ করে এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়।
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০১৯ এর তথ্য মতে, মানুষের মস্তিষ্কের ধারণ
ক্ষমতা কমপক্ষে ২.৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ গিগাবাইট।
দেখা যায়, সাধারণভাবে, মানুষ কিছু মানসিক ঘটনা-যেমন বিষণ্নতা এবং
স্পর্শের মাধ্যমে তাপমাত্রা শনাক্ত করার ক্ষমতা - অন্যদের তুলনায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
করার মতো আরও বেশি কার্যকর..! যেমন গর্ব অনুভব করা বা প্রথম দর্শনে প্রেমের অভিজ্ঞতা।
তবে, দ্য ডেভিলস ডিকশনারি ইন, অ্যামব্রোস বীরস মনকে "মস্তিষ্কের
গোপন বিষয়টির একটি রহস্যময় রূপ" বলে বর্ণনা করেছেন, যা নিজেকে বুঝা "ইহা
নিজেকে চেনা, অর্থাত নিজেকে বুঝা ছাড়া আর কিছু না" বা বোঝার নিরর্থক প্রচেষ্টা
নিয়ে জড়িত।
বায়ার্সের ১৯১১ সালের প্রকাশের পরে দীর্ঘসময় ধরে আত্মবিজ্ঞান
সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। কোন এক কোরা ব্যবহারকারী জিজ্ঞেস করে: "মানব মস্তিষ্ক
কি নিজেকে বুঝতে যথেষ্ট বুদ্ধিমান?"
দ্য অনিয়ানের একটি বিদ্রুপমূলক শিরোনাম রিপোর্ট করেছে যে, মনোবিজ্ঞানটি
স্থগিত হয়েছে কারণ "ক্লান্ত গবেষকরা বলেছিলেন যে মন সম্ভবত নিজেকে অধ্যয়ন করতে
পারে না।"
কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে মস্তিষ্কে মন আপনার মস্তিষ্কের
শারীরিক কর্মকাণ্ডের বাইরে চলে গেছে। তাই সতর্ক হোন। নিজেকে বুঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে
নিজের আয়েত্বে রাখুন। আপনার জীবনটা আপনারই।
মনোবিজ্ঞানে মস্তিস্কের শনাক্ত করার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের
মধ্যে গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং ইমেজিং স্ক্যানিং সহ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
MRI (Magnetic Resonance Imaging), CT scan (Computed Tomography), EEG
(Electroencephalogram), PET scan (Positron Emission Tomography) ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি
ব্যবহার করা হয় মস্তিস্কের অবস্থান ও কার্যাবলী নির্ধারণে। এই স্ক্যানিং পদ্ধতিগুলি
মস্তিস্কের আনুমানিক অবস্থান এবং কার্যাবলীর উপর আলোকপাত করে এবং মস্তিস্কের বিভিন্ন
অংশের ক্ষমতা এবং সংযোগস্থলের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও মানুষ মস্তিস্কের কথা বা মনোবিজ্ঞানিক ধারণা শোনা বা বোঝা
সম্পর্কে সাধারণভাবে, মনোবিজ্ঞানের সম্পর্কে সাক্ষাৎকার করা, সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
দেখা, মনোবিজ্ঞান নিয়ে পুস্তিকা পড়া, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন করা এবং মনোবিজ্ঞানে
সম্পর্কিত মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্ত করা হতে পারে। আরও পেশাদার উপায়ে, যেমন মনোরোগ
বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা পরামর্শদাতা মানুষকে মস্তিস্কের বিষয়ে সাথে কাজ করা হতে পারে।
মস্তিস্ক মনোবিজ্ঞানে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রাণিজগত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা এক সময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।