নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০১ এএম, ০৯ জুন, ২০১৯
‘তুমি যদি অফিস থেকে ফিরেও সারাক্ষণ ফেসবুকেই কাটায় দাও, তো জরুরি কথাটা তোমাকে বলবো কখন!’- এটা বর্তমান সময়ের দম্পতিদের একটি খুব কমন অভিযোগ। দাম্পত্য মানে একে অন্যকে বোঝা, সময় দেওয়া, বোঝাপড়া, একসঙ্গে সংসারটা সামলানো। কিন্তু বর্তমান প্রযুক্তির যুগে গা ভাসিয়ে দিয়ে সারাক্ষণ যদি ফেসবুকসহ অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে বুঁদ হয়ে থাকেন তো সঙ্গীকে বুঝবেন কখন, সময় দেবেন কখন, সংসারে মন দেবেন কীভাবে? ভালোলাগা, ভালোবাসার প্রকাশটাই বা করবেন কীভাবে?
সারাদিন ক্লাস, কাজ বা অফিসের ফাঁকে, ঘুমাতে যাবার আগে অথবা ঘুম থেকে উঠেও কখনও প্রথম কাজটাই হয় নিউজফিড একবার চেক করে দেখা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বিয়ে বিচ্ছেদের সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমগুলোর অত্যধিক ব্যবহারই দায়ী। গবেষণা এটাও বলে, যে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিচ্ছিন্ন, তারা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য দম্পতির চেয়ে কিছুটা হলেও সুখী।
সামাজিক মাধ্যম ঠিক কীভাবে প্রভাব ফেলে, সেটা নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা-
শুরু হয় সন্দেহ, ঈর্ষা বা লুকোচুরি
অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দাম্পত্য জীবনে সন্দেহ বাড়ায়। লুকিয়ে সঙ্গীর ফোন, মেসেজ চেক করা, এমনকি অফিসিয়াল মেইলগুলো চেক করার ঘটনাও ঘটে। একজন আরেকজনের সঙ্গে মন খুলে কথা বলা যায় না। সন্দেহের কোনো কারণ না থাকলেও ফোন, ল্যাপটপ নিয়ে বসে থাকলে মনে হয় এই বুঝি লুকিয়ে ফেসবুকে কার না কার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে!
অস্বচ্ছতা তৈরি হয়
দুর্ভাগ্যবশত বা সঙ্গত কারণবশতই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর কাছে খুব কাছের বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুর কথা বলতে দ্বিধা হয়। যেকোনো সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ রাখলেও মেসেজ বা ফোনকলের লিস্ট মুছে ফেলতে হয়। কখনো হঠাৎ করে সঙ্গীর সামনে সেই বন্ধু বা কাছের কলিগের ফোন বা মেসেজ ভেসে উঠলেই শুরু হয় লংকাকাণ্ড। এটা নিয়ে এক-দুই কথায় ভয়াবহ কিছু ঘটে যেতে পারে। বন্ধুত্ব বা ভালো সম্পর্কগুলো এই সামাজিক মাধ্যম আর অবিশ্বাসের কারণেই দূরে সরে যায়, দাম্পত্যেও চিড় ধরতে পারে এবং ধরেও। এই কারণে ভেঙে যেতে পারে সাধের সংসারটিও। অথবা একেবারেই নিজেকে গুটিয়ে বাঁচাতে হয়।
স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যাঘাত ঘটতে পারে
সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার অনেকের কাছে এখন অন্যান্য কাজের চেয়েও জরুরি। কিছুক্ষণ পর পর ফেসবুকের নিউজফিড চেক করা, ইন্সট্রাগ্রামে আপলোড করার জন্য ছবি তোলা, ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করা, সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত খবরটা বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে করার মতো ব্যাপারগুলো ঘটে।
এগুলো অন্যজনের কাছে কোনোভাবেই কাম্য নয়। বার বার ফোনের কাছে ছুটে যাওয়া, নাওয়া খাওয়া ফেলে চোখের সামনে ফোনটা ফেলে রাখা দৃষ্টিকটু এবং সন্দেহজনক। অনেকেই রাতজেগে ফেসবুক, টুইটার, স্কাইপে বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এটাও অসম্ভব হয়ে পড়ে কখনো কখনো। আবার সম্পর্ক কুল রাখতে সঙ্গীর কাছে পাসওয়ার্ডটি আবার তুলে দিতে হতে পারে। মানে আপনি পড়ে গেলেন একেবারে নজরদারির মধ্যে।
এখানেই ঘটনার শেষ নয়। যখনই মনে একটু সন্দেহ উঁকি দেয় তখন অন্যজনের ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা ভাইবারে একটা ঢুঁ মেরে আসাই হয় প্রতিদিনের কাজ। কে কোথায় কি কমেন্ট করলো তা খুটিয়ে খুটিয়ে দেখা চাই। এতে স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়। ‘ও তোমার ছবিতে লাইক দিলো কেন, আজকাল অমুকের সঙ্গে এত চ্যাট করছো কেন, ফোন নম্বর কি ফেসবুকেই দিছো নাকি’- এই প্রশ্নগুলো রীতিমতো অত্যাচার হয়ে যায়।
আবার অনেকসময় সাধারণ কোনো ঝগড়াও গিয়ে শেষ হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তার মাধ্যমে এমন কিছু কারণ উঠে আসে যা হয়ত আপনি কখন ভাবেননি। এসব কারণে তিক্ততার সৃষ্টি হয় অনেক বেশি। একপক্ষ ভাবা শুরু করলো যে, এইটুক বিষয় নিয়ে কীভাবে এতগুলো কথা শুনতে হলো। অপরপক্ষ ভাবছে কীভাবে আপনি এমনটা করতে পারলেন। কিন্তু সমস্যা এখানেই ডালপালা গজাতে থাকে।
সামাজিক মাধ্যমগুলো সত্যিই আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করেছে। কিন্তু এটি যখন আমাদের বাস্তবজীবন থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয় তখনই শুরু হয় ঝামেলা। কিছু সুঅভ্যাস আপনাকে এই সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে-
১. গল্পের বই পড়ুন। বই পড়লে সাধারণত সামাজিক মাধ্যমের দিকে ঝোঁক কমে আসে। নিয়মিত প্রতিদিন পড়ার চেষ্টা করুন।
২. ফোনে অ্যালার্ম সিস্টেম দিয়ে রাখুন। প্রাথমিক অবস্থায় একঘণ্টা করে অ্যালার্ম দিতে পারেন। ভাবুন অ্যালার্ম না বাজা পর্যন্ত কোনোভাবেই মুঠোফোনের কাছে গিয়ে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো না।
৩. গান শুনুন। একটানা কাজ করলে শরীর এবং মন দুটোই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তখন বিরতি হিসেবে ফেসবুক স্ক্রল না করে একটা পছন্দমত গান শুনে ফেলুন।
৪. ফোনেই অন্য কাজ করুন। এই ধরুন কোনো কুইজ খেললেন, মজার কোনো গেম খেললেন কিছুক্ষণ, মুভি দেখলেন, ইন্টারনেটে জানা-অজানা পড়াশুনা করলেন।
৫. পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। ঘুরতে যান, বন্ধুদের সঙ্গে স্বশরীরে দেখা করুন। সামাজিক মাধ্যমে সামাজিক না হয়ে সত্যিকার অর্থে সামাজিক হওয়ার চেষ্টা করুন, পারবেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।
ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।
আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।
আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।
শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।
কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।
স্বাভাবিক ত্বক
যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস
যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে। ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো প্যাক
টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে।
সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত
মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে
হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট
এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের
দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু
হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।
দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী
২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের
স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন
ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।
পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা
বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল
নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক
১টি শিশু।
গবেষণা দ্য ল্যানস গর্ভবতী শিশু জন্ম
মন্তব্য করুন
প্রাণিজগতের মধ্যে মানব মস্তিষ্কই সবচেয়ে জটিল। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের
মস্তিষ্কের আয়তন পুরুষের প্রায় ১৫০০ সিসি ও মহিলাদের প্রায় ১৩০০ সিসি এবং মানব ভ্রূণের
প্রাথমিক অবস্থায় মস্তিষ্ক প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত থাকে। পূর্ণাঙ্গ মানুষে এটি
আরও জটিল রূপ ধারণ করে এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়।
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০১৯ এর তথ্য মতে, মানুষের মস্তিষ্কের ধারণ
ক্ষমতা কমপক্ষে ২.৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ গিগাবাইট।
দেখা যায়, সাধারণভাবে, মানুষ কিছু মানসিক ঘটনা-যেমন বিষণ্নতা এবং
স্পর্শের মাধ্যমে তাপমাত্রা শনাক্ত করার ক্ষমতা - অন্যদের তুলনায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
করার মতো আরও বেশি কার্যকর..! যেমন গর্ব অনুভব করা বা প্রথম দর্শনে প্রেমের অভিজ্ঞতা।
তবে, দ্য ডেভিলস ডিকশনারি ইন, অ্যামব্রোস বীরস মনকে "মস্তিষ্কের
গোপন বিষয়টির একটি রহস্যময় রূপ" বলে বর্ণনা করেছেন, যা নিজেকে বুঝা "ইহা
নিজেকে চেনা, অর্থাত নিজেকে বুঝা ছাড়া আর কিছু না" বা বোঝার নিরর্থক প্রচেষ্টা
নিয়ে জড়িত।
বায়ার্সের ১৯১১ সালের প্রকাশের পরে দীর্ঘসময় ধরে আত্মবিজ্ঞান
সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। কোন এক কোরা ব্যবহারকারী জিজ্ঞেস করে: "মানব মস্তিষ্ক
কি নিজেকে বুঝতে যথেষ্ট বুদ্ধিমান?"
দ্য অনিয়ানের একটি বিদ্রুপমূলক শিরোনাম রিপোর্ট করেছে যে, মনোবিজ্ঞানটি
স্থগিত হয়েছে কারণ "ক্লান্ত গবেষকরা বলেছিলেন যে মন সম্ভবত নিজেকে অধ্যয়ন করতে
পারে না।"
কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে মস্তিষ্কে মন আপনার মস্তিষ্কের
শারীরিক কর্মকাণ্ডের বাইরে চলে গেছে। তাই সতর্ক হোন। নিজেকে বুঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে
নিজের আয়েত্বে রাখুন। আপনার জীবনটা আপনারই।
মনোবিজ্ঞানে মস্তিস্কের শনাক্ত করার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের
মধ্যে গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং ইমেজিং স্ক্যানিং সহ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
MRI (Magnetic Resonance Imaging), CT scan (Computed Tomography), EEG
(Electroencephalogram), PET scan (Positron Emission Tomography) ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি
ব্যবহার করা হয় মস্তিস্কের অবস্থান ও কার্যাবলী নির্ধারণে। এই স্ক্যানিং পদ্ধতিগুলি
মস্তিস্কের আনুমানিক অবস্থান এবং কার্যাবলীর উপর আলোকপাত করে এবং মস্তিস্কের বিভিন্ন
অংশের ক্ষমতা এবং সংযোগস্থলের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও মানুষ মস্তিস্কের কথা বা মনোবিজ্ঞানিক ধারণা শোনা বা বোঝা
সম্পর্কে সাধারণভাবে, মনোবিজ্ঞানের সম্পর্কে সাক্ষাৎকার করা, সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
দেখা, মনোবিজ্ঞান নিয়ে পুস্তিকা পড়া, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন করা এবং মনোবিজ্ঞানে
সম্পর্কিত মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্ত করা হতে পারে। আরও পেশাদার উপায়ে, যেমন মনোরোগ
বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা পরামর্শদাতা মানুষকে মস্তিস্কের বিষয়ে সাথে কাজ করা হতে পারে।
মস্তিস্ক মনোবিজ্ঞানে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রাণিজগত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা এক সময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।