লিভিং ইনসাইড

প্রথম চাকরির প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৬ এএম, ১১ জুলাই, ২০১৯


Thumbnail

পরিশ্রমী জাতি হিসেবে চীনের জনগণের বেশ সুনাম রয়েছে। আজ থেকে প্রায় ২ হাজার ৬০০ বছর আগে লেখা চীনা কিছু ঐতিহাসিক লিপিতে বিখ্যাত একটি উক্তি পাওয়া যায়, যা চীনারা মনেপ্রাণে বিশ্বাস এবং অনুসরণ করে। তা হলো, ‘হাজার মাইলের লম্বা পথ অতিক্রমের শুরু হয় মাত্র এক পা এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে’ (A journey of thousands miles begins with a single step). সেই প্রাচীনকালে চীনের দার্শনিক এবং লেখক লাওজী’র (Laozi) লেখায় এই প্রবাদটি পাওয়া যায়, যা অনুসরণ করে চীনারা সাফল্যের শিখরে উঠতে পেরেছে বলে সবাই বিশ্বাস করে।

এই প্রবাদের সূত্র ধরেই বলা যায়, বিশাল শিল্পগোষ্ঠী বা কর্পোরেট হাউজের শীর্ষ কর্মকর্তার কর্মজীবনের শুরুতে তিনিও একটি অফিসে একজন নতুন কর্মী বা কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই। তাই যারা নতুন কর্মী বা এক্সিকিউটিভ হিসেবে কোনো কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করবে, প্রথমেই তাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলবো তুমি দৌড়ের ট্র্যাকে উঠে গেছ। দৌড় শুরুর বাঁশিও বেজে গেছে। সামনে, পিছনে, ডানে, বামে সবাই ছুটছে শেষপ্রান্তের লালফিতার দিকে। সুতরাং বসে থাকার বা পিছিয়ে পড়ার আর কোনো সুযোগ নেই। সামনে যখন এগুতেই হবে, এসো জেনে নিই কীভাবে এগুলে হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা নেই; বরং রয়েছে অগ্রযাত্রা আর সাফল্যের সোনালি সম্ভাবনা।

মানসিক প্রস্তুতি

এতদিন ছিলে শিক্ষার্থী। স্যার বা ম্যাডাম বলে যাদের জানতে, তারা স্নেহের চোখে দেখতো তোমাকে। একটু দেরি, একটু ক্যাজুয়াল পোশাক, একটু অগোছালোভাব- এসবকে বড় কিছু মনে করতেন না কেউই। এখন কর্মজীবী হিসেবে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তোমার কাছে প্রত্যাশাটাও ভিন্ন। বিষয়টা নিয়ে ভেবেছ কি? এই ভাবনাটাই হোক তোমার মানসিক প্রস্তুতির শুরু। এরপর এতদিন অফিসের সময়ে কি করতে যা আর করা যাবে না, তা নিয়ে ভাবতে পারো। অফিসের সময়টায় যারা ফোন করতো, আড্ডা দিতো, হ্যাংআউট প্লান করতো- তাদের অফিসের সময়টা জানিয়ে রাখতে পারো। মনে রেখো, এ এক নতুন যুদ্ধ। আর তুমিই যুদ্ধে সেনাপতি।

জামা-কাপড় তৈরি তো?

কর্পোরেট অফিসে লিখিত বা প্রচলিত একটি ড্রেসকোড থাকে, যা মোটামুটি সবাই অনুসরণ করে। ইন্টারভিউ দেওয়ার সময়ে যে ফরমাল ড্রেস পরতে হয়েছিল সেরকম পোশাকই যে পরতে হবে, তা নাও হতে পারে। সুতরাং মানবসম্পদ বিভাগ বা অফিসের পরিচিত কারো কাছ থেকে ড্রেস কোডটা জেনে নিতে হবে। আবার অফিসিয়াল ওয়েবপেইজ বা ফেইসবুক পেইজে থাকা ছবিগুলো লক্ষ্য করলেও ড্রেসকোডের ওপর একটা ধারণা পাওয়া যাবে। সেই ধারণার ওপর ভিত্তি করে প্রথম সপ্তাহের ড্রেস তৈরি করা চাই।

আরও জানতে হবে

নতুন প্রতিষ্ঠান বা অফিস সম্পর্কে আরও জানতে হেবে। ইন্টারভিউ দেওয়ার আগে যা জেনেছ, তা কিন্তু যথেষ্ট নয়। ওয়েবপেইজ, ফেইসবুক, টুইটারসহ যত সোশ্যাল মিডিয়া  আছে, সবকিছু দেখতে থাকো। অফিসে যারা কাজ করছে তাদের প্রোফাইল খুঁজে খুঁজে জানতে থাকো সবার সম্পর্কে। বিশেষ করে যারা শীর্ষস্থানীয়, তাদের প্রোফাইল দেখতে লিংকড ইন এবং অন্যান্য সব তথ্যভাণ্ডার খুঁজতে থাকো। এতে নিজেকে প্রস্তুত করতে এবং যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে সুবিধা হবে। আর প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস, কাজের ধরন, সাফল্য, চলমান প্রকল্প, আসন্ন প্রকল্প বা প্রোডাক্ট- এসব বিষয়ে যতই জানবে, ততই তুমি সেরা হয়ে উঠবে।

যাওয়াটা যেন জুতসই হয়

নিজের বাসস্থান থেকে নতুন কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য জুতসই একটা পরিকল্পনা করতে হবে। সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে সময়ের দিকে। প্রথম দিনগুলোতে কোনোভাবেই দেরি করা চলবে না। বৃষ্টি, যানজট, গাড়ি না পাওয়া, লিফটে লম্বা লাইন- এসব অজুহাত কেউ আশা করে না। প্রয়োজনে যোগ দেওয়ার আগে প্রতিদিন যেভাবে যেতে চাও তা সরেজমিনে দুএকবার অভ্যাস বা প্র্যাকটিস করো। বিকল্প ব্যবস্থাও ভেবে রেখো। উবার, পাঠাও, সহজ বা অন্য কোনো মাধ্যম ব্যবহার করতে চাইলে প্র্যাকটিসের সময় ঘড়ির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এরপর অফিসেই হয়তো একটা দল বা আশেপাশের সহকর্মীর সঙ্গে একসঙ্গে যাওয়া যাবে। বাহনের কথা মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচনটাও জরুরি।

কাগজপত্র গুছিয়ে রাখো

নতুন অফিসে যোগ দেওয়া মাত্র যেসব কাগজ জমা দিতে হবে তার একটা তালিকা করে নাও এবং একে একে সব কাগজ গুছিয়ে নাও। আগে জমা দিলেও এক কপি বায়োডাটা, ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, সত্যায়িত শিক্ষাগত যোগ্যতার কপি, প্রশংসাপত্র বা অভিজ্ঞতার সনদ, ব্যাংক হিসাব নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের কপি প্রায় সব অফিসেই চেয়ে থাকে। তাই এগুলো রেডি করে রাখা ভালো।

প্রথম থেকেই কথা বলতে হবে সাবধানে

নতুন হিসেবে তোমাকে পরিচিত হতে হবে সবার সঙ্গে। পেশাদার কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগ নতুন কেউ আসার আগেই একটা ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম তৈরি করে রাখে। তবে প্রোগ্রাম তৈরি থাকুক বা না থাকুক, তোমাকে নিজ মুখে নিজের পরিচয় তুলে ধরতে হবে। কর্তাব্যক্তি থেকে টি-বয় পর্যন্ত সবাই তোমার সম্পর্কে জানতে চাইবে। বায়োডাটা তো সবার কাছে যাবে না, তাই মুখের কথাতে নিজেকে তুলে ধরতে হবে। সুতরাং কোন পর্যায়ের সহকর্মীকে কীভাবে কি বলবে তা আগেই ভাবতে হবে। বিব্রতকর বা ব্যক্তিগত প্রশ্নও করতে পারে কেউ। সুতরাং স্মার্টলি সবকিছুর উত্তর দিতে হবে। এজন্য সাবধানতা এবং পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে কথা বলাই বাঞ্ছনীয়। নিজেকে বড় কিছু হিসেবে জাহির করা, কোনোকিছু বানিয়ে বলা, নিজের অসহায়ত্ব তুলে ধরা- কিছুই প্রত্যাশিত নয় নতুনদের কাছ থেকে। বিয়ে করেননি কেন, বাচ্চা নিচ্ছেন না কেন- এমন অবান্তর প্রশ্নও সামনে আসতে পারে। তুমি কি তৈরি? লিফটেই হয়ত দেখা হয়ে যাবে সিইওর সঙ্গে জিজ্ঞেস করবে কোন ফ্লোরে যাবেন, কার কাছে যাবেন? উত্তর রেডিতো?

প্রযুক্তি বিষয়ে জেনে নিন

প্রযুক্তির এই যুগে প্রায় সব অফিসেরই কিছু পলিসি থাকে যা জানা প্রয়োজন। যেমন কিছু অফিসে ব্যক্তিগত ল্যাপটপ নেওয়া নিষেধ। এছাড়া ট্যাব, ক্যামেরা, স্মার্টওয়াচ, এমনকি পেনড্রাইভের মতো এক্সটারনাল বা মেমোরি ডিভাইসও নিষিদ্ধ হতে পারে। অফিস চলাকালে কোনো সোশ্যাল মিডিয়া বা সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে। এসব না জানলে শুরুতে বিপত্তি ঘটতে পারে। আবার অনেক অফিসে নিজস্ব ডিভাইস ব্যবহার প্রত্যাশিত যা Bring your own device বা BYOD Policy নামে পরিচিত। সুতরাং অফিসে ঢোকার আগে জানার চেষ্টা করলে দোষ নেই- বরং লাভের সম্ভাবনাই বেশি।

ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কেও জানতে হবে

হাতে সময় থাকলে নিজ অফিসের বাইরে একই ধরনের আরও প্রতিষ্ঠান বা সার্বিকভাবে এই ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কেও জানতে হবে। ধরা যাক, তুমি কোনো বেসরকারি বিমান সংস্থায় যোগ দিচ্ছ। সুতরাং শুধু নিজের বিমান সংস্থাই নয়, দেশ-বিদেশের অন্যান্য বিমানসংস্থা বিষয়েও জেনে নিতে পারো। এই পূর্বপ্রস্তুতি পরবর্তীতে কাজে লাগবে।

নিজেকেও সময় দিতে হবে

একটা চাকরির জন্য হয়ত অনেক টেনশন গেছে। চেহারাও খারাপ হয়ে গেছে ছুটতে ছুটতে। এবার একটু স্থির হতে হবে। নিজেকে নিয়ে ভাবতে হবে। প্রয়োজনে সেলুন বা পার্লার থেকে ঘুরে আসো অফিস শুরুর আগেই। বাবা-মা বা নিকটাত্মীয়র সঙ্গে দেখা করে আসো। বন্ধু বা প্রিয় কারো সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেওয়ারও প্রয়োজন আছে জীবনে। কি স্বপ্ন ছিল, কি হতে পারতাম, কি হারালাম- এসব নিয়ে এখন ভাবার দরকার নেই। বরং নতুন অফিসে প্রথম থেকেই কীভাবে মানিয়ে নিবে তা নিয়ে ভাবো।

নামায ও খাবার পরিকল্পনা

অফিস শুরুর আগেই নামাযের সময় এবং নামাযের নির্দিষ্ট এলাকা সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো। নিজ অফিস বা নিজ বিল্ডিংয়ে অযু ও নামাযের ব্যবস্থা থাকলেতো ভালো। না থাকলে আশেপাশে কোথায় নামায পড়বে তা দেখে রাখা উচিৎ। একই কথা খাবারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। নতুন বলে লজ্জায় না খেয়ে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সময়মতো খেয়ে নতুন উদ্যমে কাজ করাটাই সমীচীন। তাই নাস্তা বা দুপুরের লাঞ্চের জায়গাটা আগেই নির্বাচন করে রেখো। এতে সময় বাঁচবে। অফিসে খাবার সরবরাহ বা বাসা থেকে নেওয়া খাবার সংরক্ষণ এবং খাওয়ার ব্যবস্থা জানা থাকা ভালো। ধূমপানের বদঅভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করার এটাই উত্তম সুযোগ। আজকাল অধিকাংশ অফিসে ধূমপান নিষিদ্ধ। কোনো সিনিয়র ধূমপান করলে নতুন যোগ দেওয়া কেউ ধূমপান করবে- এটা মানবে না কেউই। তাই ধূমপানের আলাদা জায়গা না খুঁজে ছেড়েই দাও ধূমপান। অনেকে তো আবার ধূমপানের পর মুখে আর হাতে যে গন্ধ হয় সেটাও সহ্য করতে পারে না। তোমার বস যদি এমনই কেউ হয়!

ব্রিটিশ সব্যসাচী লেখক ও চিত্রশিল্পী উইলিয়াম হাজলিট (William Hazlitt) উনিশ শতকের শুরুতে লিখেছিলেন যে, ‘প্রথম সাক্ষাতে যা দেখা যায়, তা-ই সবচেয়ে বেশি সত্য হয়ে থাকে (First impressions are often the truest)। আবার ইংরেজিতে প্রবাদ আছে, ‘প্রথম অনুভূতিই শেষ অনুভূতি’ (First impression is the last impression)। সেনাবাহিনীতে প্রচলিত কথা ‘হলো একটি ভালো শুরু মানেই অর্ধেক যুদ্ধ’ (A good start is half of the battle)।

হে নতুন, তোমার শুরুটা শুভ হোক।

 

লেখক: কলামিস্ট ও গবেষক। সেনাবাহিনী ও কর্পোরেট জগতে চাকরি করেছেন দীর্ঘদিন। বিদেশে স্কুল পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এক দশক।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ

 



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

হিট স্ট্রোকের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও চলমান এমন তাপপ্রবাহ নিয়ে কোন সুখবরই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্র আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।  

এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।

ঢাকার আইসিডিডিআর’বি-এর তথ্য মতে, বাইরে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন তাকে হিট স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।

হিটস্ট্রোকের লক্ষণ

শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া, গরমে অচেতন হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, তীব্র মাথা ব্যথা, ঘাম কমে যাওয়া, ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা, বমি হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাস কষ্ট, মানসিক বিভ্রম, খিঁচুনি মত লক্ষন গুলো দেখা দিতে পারে।

কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করনে-

১. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
২. রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে ফেলতে হবে।
৩. শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।


হিট স্ট্রোক   লক্ষণ   চিকিৎসা  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

তীব্র গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়!

প্রকাশ: ০৮:২২ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এর প্রমাণ আমরা পাচ্ছি প্রকৃতিতে। রাজধানীসহ সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসি কেবল ব্যয়বহুল নয়, অনেকেই আছেন যারা এসিতে অল্প সময় থাকলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই প্রচণ্ড গরমে একটু শান্তির জন্য হলেও খুঁজতে হয় বিকল্প ব্যবস্থা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিসনেস ইনদাইডের এক প্রতিবেদনে এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায়, সেই উপায় বলে দেয়া হয়েছে। তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক--

সূর্যের তাপ: ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। প্লাস্টিকের ব্যাকিংসহ মাঝারি রংয়ের ‘ড্রেইপ’ বা পাতলা পর্দা ৩৩ শতাংশ তাপ কমায় এবং ঘরে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়তা করে।

দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহা: রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।

গরম বাতাস বের করে দেয়া: ‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।

আর্দ্র বাতাস:  ঘর ঠাণ্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠাণ্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠাণ্ডা পানির বোতল রাখলে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

ঘরে গাছ রাখুন: ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।

চুলা বন্ধ রাখা: চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।

অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা: ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা: দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হয়  এবং ঠাণ্ডা হয়ে আসে।

 


তীব্র গরম   ঘর ঠাণ্ডা   রাখার উপায়  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

ঈদের আগে ত্বকের যত্ন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।

ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।

আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।

আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।

তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা

তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।

শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।

কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।

স্বাভাবিক ত্বক

যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।

ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস

যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে।  ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

হলুদের প্যাক

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

টমেটো প্যাক

টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।


ঈদ   ত্বক   যত্ন  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বিচ্ছেদের কত দিন পরে নতুন সম্পর্কে জড়াবেন!

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা একসময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।

গল্পটি কাল্পনিক হলেও এমন উদাহরণও অনেক পাওয়া যাবে। কিন্তু দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে নতুন কোনো সম্পর্ক শুরু করার আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি-

ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করুন

মন চাইলো আর প্রেমে জড়িয়ে গেলাম- এমন মানসিকতা দূরে রাখুন। এখন কিছু দিন শুধু নিজেকে সময় দিন, নিজেকে ভালোবাসুন। প্রেম করার মানসিকতা এখন আর রাখবেন না। নতুন সম্পর্কে জড়াতে চাইলে কমপক্ষে ১ বছর সময় ননিতে হবে। তবেই নিজের আগের ভুল কিংবা অভিজ্ঞতা আপনাকে আর পিছু তারা করবে না। আর একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখবেন, যে পুরনোজনের জায়গায় নতুনজনকে রিপ্লেস করবেন। তাহলে আপনি এবং আপনার সঙ্গী ভালো থাকবেন।

তুলনা করবেন না

মনে রাখবেন প্রত্যেক মানুষই আলাদা। একজনের থেকে অন্যজনের স্বভাব, আচরণও আলাদা হবে এটাই স্বাভাবিক। আগেরজন এত ভালো ছিল, দামি উপহার দিত বা অনেক কথা না বললেই বুঝে যেত এসব ভুল তুলনা টানবেন না। প্রথমেই মাথা থেকে এসব বের করে দিন। এছাড়াও স্যালারি নিয়েও কোনো তুলনা টানবেন না।

সময় দিন নিজেকে

হুট করে প্রেম কিংবা রাগারাগি করা যাবে না। সব কিছুতেই সময় নিতে হবে। সময়ে সাথে সাথে অনেককিছু বদলঅবে যেটা অবশ্যই আপনার জন্য ভালো বিষয় হবে। এতে করে একে অপরকে বুঝুতে সহজ হবে এবং সহজেই এই সম্পর্ক খারাপ হবে না। আর একটি বিষয় মাথায় রাখবেন অতিরিক্ত ঘাঁটাবেন না। নিজেও ভাবার মতো সময় নিন। অন্যকেও দিন।

পুরনোর কথা ভাবা যাবে না

পুরনোর কাছে ফিরে যাবেন কিনা এই নিয়ে কোনো দোটানা রাখবেন না। মনে রাখবেন স্বেচ্ছায় এবং দুজনের সিদ্ধান্তেই আপনারা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছেন। যেখানে আছেন সেখানেই মন দিন।

ইতিবাচক ভাবনা রাখুন

হতাশা, দুঃখ, কান্না মনখারাপ একদম নয়। নতুনজনের কাছে সবসময় নিজের হতাশার কথা বলবেন না। ভালো সময় কাটান। গল্প করুন। ইতিবাচক ভাবনা বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
 



প্রেম   বিচ্ছেদ  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

নারীদের সন্তান জন্মদানের হার কমতে শুরু করেছে: গবেষণা

প্রকাশ: ০৯:৩২ এএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।

দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।

চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।

পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক ১টি শিশু।


গবেষণা   দ্য ল্যানস   গর্ভবতী   শিশু জন্ম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন