নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
জীবনে ভালোকিছুই করতে পারলাম না, আশেপাশে সবাই তরতর করে এগিয়ে গেলো, আমি পড়ে থাকলাম তলানিতে। পরীক্ষার ফলাফলটা খারাপ হলো, বাবা-মায়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হলো, ভালো কোনো চাকরি জুটলো না ভাগ্যে। এদিকে ভালোবাসার মানুষের সঙ্গেও বনিবনা না হওয়ায় সম্পর্কটাও টিকলো না। হতাশা আর দুশ্চিন্তায় মনে হলো বেঁচে থাকা এতো কঠিন? এরচেয়ে তো মরে যাওয়াও সহজ। ব্যস, এর থেকেই মনে দানা বাঁধতে লাগলো আত্মহত্যার চিন্তা।
কেন হয় আত্মহত্যার চিন্তা, সেটা জানা জরুরি-
বিমর্ষতা
প্রায়ই বিষণ্ণতা ভর করে আমাদের। জীবন শূন্য মনে হয়। এ থেকেই বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। কোনো এক কারণে তারা হতাশ এবং বিষণ্ণ। বেঁচে থাকার মানে খুঁজে না পেয়ে বেছে নেয় আত্মহননের পথ। মনে হয় সবাই আমাকে ছাড়াই সুখী হবে, আমার জন্যেই অমুকে সুখী হতে পারছে না, আমি সবার জন্য বোঝা- এরকম মনে হতে থাকে। অথচ এমনটা ভাবার কোনো কারণই নেই। বিষণ্ণতা সারিয়ে তোলা কঠিন। তাই কাছের মানুষদের মাঝে এই লক্ষণ দেখলে বিশেষ নজর প্রয়োজন।
কোনো মানসিক সমস্যা
সিজোফ্রেনিয়া জাতীয় মানসিক সমস্যা থাকলে আত্মহননের ইচ্ছা জাগে। তাদের মনে হয় কেউ তাদেরকে আত্মহত্যায় প্রলুব্ধ করছে, অত্যাচার করছে সর্বক্ষণ। মাথায় এমন কথা এভাবে আসলে আত্মহত্যার ইচ্ছা জাগতেই পারে। জীবনে সফলতার পেছনে ছুটতে থাকা ব্যর্থ মানুষেরা সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। তাদের পক্ষে আত্মহত্যা করা সম্ভব।
যারা অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ
কিছু মানুষ অতিমাত্রায় আবেগপ্রবণ। তারা অল্পতেই ভেঙে পড়ে, কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে না। আবার অনেকসময় মাদক গ্রহণের ফলে খুব বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মানুষ। কিন্তু ঘোর কেটে গেলে এবং শান্ত হয়ে এলে অন্য কথা। তবে এরপরেও তারা আবার আত্মহত্যার চেষ্টা করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত হয়ে বলা যায় না। মাদক গ্রহণের পরে, নিয়মিত মাদক হাতের কাছে না পেলে মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারেন। মাদকাসক্ত মানুষের আত্মহত্যার ঘটনা অসংখ্য। আর তাই সবার আগে প্রয়োজন তাদের মাদকাসক্তি দূর করা।
যাদের সাহায্য প্রয়োজন হলেও তা পাচ্ছে না
কারো জীবনে খুব বড় একটা সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান তারা একা করতে পারছে না। অন্য কারও কাছে সাহায্য চাওয়াও সম্ভব না। এমন অবস্থায় বেঁচে থাকা কঠিন মনে হয়, আত্মহত্যা করতে চান অনেকে।
নিজের কোনো ভুলে
জীবনে মানুষ অনেক ভুল করে ফেলে। বিশেষ করে কম বয়সে। এসময় ভুলের মাশুল গুণতেই অনেকের জীবনের ওপরই বিতৃষ্ণা এসে পড়ে এবং তারা আত্মহননের পথ বেছে নেয়।
আবার কিশোর কিশোরীদের যারা অবহেলা, কটূক্তি, অপরাধ প্রবণতা, পারিবারিক সহিংসতা এবং যৌন নিপীড়নের শিকার হয় তারা আত্মঘাতী এবং আত্মহত্যাপ্রবণ বেশি হয়ে থাকে।
আর পারিবারিক সমস্যা, খারাপ ফলাফল করা, ঋণ পরিশোধ করতে না পারা, ব্যর্থতা, প্রতারণার শিকার- এগুলো আত্মহত্যার অন্যতম কারণ সেটা নতুন করে ব্যাখ্যা করতে হয় না।
কিন্তু মনের মধ্যে থেকে সবার আগে আত্মহত্যার প্রবণতাকে বের করে ফেলতে হবে নিজেকেই। এজন্য মনে রাখবেন কিছু বিষয়-
সবসময় আশা রাখুন
সমস্যা যত কঠিনই হোক, বিষণ্ণতা যত গভীর হোক—আশা ছাড়বেন না। হাল ছাড়বেন না। নিজেকে বলুন, সময় সবকিছু ঠিক করে দেবে। প্রকৃতি ভালোকিছু রাখবেই আপনার জন্য।
দুর্বল মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত নয়
একাবোধ করছেন বা বাঁচার কোনো কারণই পাচ্ছেন না, এসব কষ্ট কোনোমতেই পাত্তা দেবেন না। এসবের চাপে চট করে কোনো সিদ্ধান্তেও যাবেন না। নিজেকে সময় দিন। একটু ভাবুন। দেখুন কী কী করলে অবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব? কারো জন্য বা কিছুর জন্য তো জীবন থেমে থাকে না।
কাছের মানুষকে বলুন
আপনার সমস্যা পরিবার বা কাছের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। প্রয়োজন হলে কাউন্সিলরের সাহায্য নিন। কোথায় কোন সমস্যা হচ্ছে, সবকিছু থেকে পালাতে ইচ্ছে হচ্ছে কেন তা কাউকে না কাউকে জানান। কোনো সমাধান অবশ্যই পাবেন।
চারপাশটা দেখুন
একাবোধ করছেন বা জীবনের বোঝা আর টানতে পারছেন না, আশপাশে তাকান। দেখবেন, কেউ না কেউ রয়েছে আপনার চেয়েও খারাপ অবস্থায়। সমস্যা ছাড়া তো জীবন হয় না। একটু দেখুন, কীভাবে তাঁরা তাঁদের সমস্যাকে সামলায়। সমাধানের কোনো না কোনো উপায় আপনারও বের হয়ে যাবে।
আত্মহত্যাই তো সমাধান নয়
একবার ভাবুন আপনার মা-বাবার কথা, সন্তানের কথা বা যে মানুষগুলো আপনাকে ভালোবাসে, তাঁদের কথা। আপনি মারা গেলে তাঁদের কতটা কষ্ট হবে সেটা ভাবুন। আপনি হয়ত সব ভুলে চলে গেলেন, কিন্তু আপনার স্মৃতি আকড়ে তারা কীভাবে বাঁচবে, সেটাও তো ভাবতে হবে আপনাকে।
দুঃখ সাময়িক
জীবন অনেক বড়। কিছুদিন বিবেচনায় পুরো জীবন মাপা যায় না। আর অল্পদিনের কষ্টেই জীবনটাকে শেষ করে ফেলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন? প্রকৃতির ওপর ভরসা রাখুন। বার বার বলুন, আমার ভালো হবেই, অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন হবেই।
কোনো মদ্যপান বা নেশা করবেন না
মদ্যপান করা বা মাদক সেবন করা থেকে বিরত থাকুন। বিষণ্ণতা কাটাতে এগুলো সাহায্য তো করেই না, বরং আপনাকে আরো হতাশায় জড়িয়ে ফেলে। এর বদলে নিজেকে কর্মক্ষম রাখুন। কাজের মধ্যে ডুবে থাকুন। পাশাপাশি পছন্দের কাজগুলো করতে চেষ্টা করুন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।
ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।
আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।
আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।
শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।
কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।
স্বাভাবিক ত্বক
যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস
যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে। ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো প্যাক
টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে।
সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত
মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে
হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট
এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের
দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু
হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।
দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী
২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের
স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন
ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।
পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা
বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল
নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক
১টি শিশু।
গবেষণা দ্য ল্যানস গর্ভবতী শিশু জন্ম
মন্তব্য করুন
প্রাণিজগতের মধ্যে মানব মস্তিষ্কই সবচেয়ে জটিল। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের
মস্তিষ্কের আয়তন পুরুষের প্রায় ১৫০০ সিসি ও মহিলাদের প্রায় ১৩০০ সিসি এবং মানব ভ্রূণের
প্রাথমিক অবস্থায় মস্তিষ্ক প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত থাকে। পূর্ণাঙ্গ মানুষে এটি
আরও জটিল রূপ ধারণ করে এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়।
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০১৯ এর তথ্য মতে, মানুষের মস্তিষ্কের ধারণ
ক্ষমতা কমপক্ষে ২.৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ গিগাবাইট।
দেখা যায়, সাধারণভাবে, মানুষ কিছু মানসিক ঘটনা-যেমন বিষণ্নতা এবং
স্পর্শের মাধ্যমে তাপমাত্রা শনাক্ত করার ক্ষমতা - অন্যদের তুলনায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
করার মতো আরও বেশি কার্যকর..! যেমন গর্ব অনুভব করা বা প্রথম দর্শনে প্রেমের অভিজ্ঞতা।
তবে, দ্য ডেভিলস ডিকশনারি ইন, অ্যামব্রোস বীরস মনকে "মস্তিষ্কের
গোপন বিষয়টির একটি রহস্যময় রূপ" বলে বর্ণনা করেছেন, যা নিজেকে বুঝা "ইহা
নিজেকে চেনা, অর্থাত নিজেকে বুঝা ছাড়া আর কিছু না" বা বোঝার নিরর্থক প্রচেষ্টা
নিয়ে জড়িত।
বায়ার্সের ১৯১১ সালের প্রকাশের পরে দীর্ঘসময় ধরে আত্মবিজ্ঞান
সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। কোন এক কোরা ব্যবহারকারী জিজ্ঞেস করে: "মানব মস্তিষ্ক
কি নিজেকে বুঝতে যথেষ্ট বুদ্ধিমান?"
দ্য অনিয়ানের একটি বিদ্রুপমূলক শিরোনাম রিপোর্ট করেছে যে, মনোবিজ্ঞানটি
স্থগিত হয়েছে কারণ "ক্লান্ত গবেষকরা বলেছিলেন যে মন সম্ভবত নিজেকে অধ্যয়ন করতে
পারে না।"
কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে মস্তিষ্কে মন আপনার মস্তিষ্কের
শারীরিক কর্মকাণ্ডের বাইরে চলে গেছে। তাই সতর্ক হোন। নিজেকে বুঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে
নিজের আয়েত্বে রাখুন। আপনার জীবনটা আপনারই।
মনোবিজ্ঞানে মস্তিস্কের শনাক্ত করার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের
মধ্যে গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং ইমেজিং স্ক্যানিং সহ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
MRI (Magnetic Resonance Imaging), CT scan (Computed Tomography), EEG
(Electroencephalogram), PET scan (Positron Emission Tomography) ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি
ব্যবহার করা হয় মস্তিস্কের অবস্থান ও কার্যাবলী নির্ধারণে। এই স্ক্যানিং পদ্ধতিগুলি
মস্তিস্কের আনুমানিক অবস্থান এবং কার্যাবলীর উপর আলোকপাত করে এবং মস্তিস্কের বিভিন্ন
অংশের ক্ষমতা এবং সংযোগস্থলের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও মানুষ মস্তিস্কের কথা বা মনোবিজ্ঞানিক ধারণা শোনা বা বোঝা
সম্পর্কে সাধারণভাবে, মনোবিজ্ঞানের সম্পর্কে সাক্ষাৎকার করা, সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
দেখা, মনোবিজ্ঞান নিয়ে পুস্তিকা পড়া, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন করা এবং মনোবিজ্ঞানে
সম্পর্কিত মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্ত করা হতে পারে। আরও পেশাদার উপায়ে, যেমন মনোরোগ
বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা পরামর্শদাতা মানুষকে মস্তিস্কের বিষয়ে সাথে কাজ করা হতে পারে।
মস্তিস্ক মনোবিজ্ঞানে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রাণিজগত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা এক সময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।