লিভিং ইনসাইড

ধৈর্য কমছে, অল্পতেই অস্থির হচ্ছেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯


Thumbnail

‘ধুর, আমাকে দিয়ে কিছু্ই হবে না, কোনো কাজেই এগোতে পারছি না’- এরকমটা প্রায় প্রতিবেলাতেই মনে হয় আমাদের। ধৈর্য চলে যেতে থাকে, আশেপাশের সবকিছুকে বিরক্ত লাগে। কিন্তু কথায় বলে ‘যে সহে সে রহে’। মানে আপনি যত সহ্য করবেন, আপনার জন্য টিকে থাকা ততটাই সহজ। জীবনের উঁচু নিচু পথ পাড়ি দিতে গিয়ে ধৈর্য হারিয়ে ফেলি। প্রত্যেক সফল মানুষের জীবনের একটি অংশ জুড়ে রয়েছে ব্যর্থতা। কিন্তু তাদের সফলতার রহস্য হলো, প্রবল ধৈর্যের সঙ্গে ইচ্ছা শক্তি।

অনেকেই খুব অল্পতেই হতাশ হয়ে পরেন বা ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। ধৈর্যের পরীক্ষা সাধারণত বন্ধ দরজার ভেতরেই ঘটে থাকে। ধৈর্য না থাকলে দীর্ঘমেয়াদী কোনো কাজ করা সম্ভব নয়।

আপনার ধৈর্য যদি কম হয়ে থাকে তাহলে তা কয়েকটি উপায়ে ধীরে ধীরে অনুশীলনের মাধ্যমে বৃদ্ধি করতে পারেন। জেনে নিন উপায়গুলো-

আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন

নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি শুধু ধৈর্য বাড়ায় তা নয়, সফলতা অর্জনেও সাহায্য করবে। নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেললে মানুষ ধৈর্যহারা হয়ে পড়ে। মনে রাখতে হবে, ‘আমি পারবো’। যেকোনো কঠিন সময়েই নিজের ওপর আস্থা রাখলে, যেকোনো সমস্যা সমাধান হবেই।

নিয়মিত ডায়েরি লেখার অভ্যাস করুন

ডায়েরি লেখার অভ্যাস ধৈর্য শক্তি বৃদ্ধি করে। যেমন- যেকোনো একটি দিনের একটি ঘটনা খুব ভাবাচ্ছে বা যা আপনাকে অস্থির করে তুলছে। একান্তে বসে তা লিখে ফেলুন ডায়েরিতে। দেখবেন লেখার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপারগুলো খুব পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, আর ভাবতেও সাহায্য করছে। যেকোনো ঘটনা বিস্তারিত লিখতে ধৈর্যের প্রয়োজন। তাই নিয়মিত ডায়েরি লেখার অভ্যাস করবেন।

ধীরে ধীরে খাবার খান

প্রশ্ন আসতে পারে, খাবারের সঙ্গে মনের কি কোনো সম্পর্ক আছে? হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। দ্রুত খেলে আপনার পরিপাক ক্রিয়া অস্বাভাবিক হয়ে স্থূলতার কারণ হবে। বড় ব্যাপার, এতে আপনার অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। তাই খাবার ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

সঠিক খাদ্যাভাস গড়ে তুলুন

সঠিক খাদ্যাভাসই সুস্থ দেহ দেয়। শরীর ভালো থাকলেই আমাদের মনের অস্থিরতা কমে যায়। মন ফুরফুরে থাকে।

মেডিটেশন বা ধ্যান করুন

মেডিটেশন বা ধ্যান ধৈর্য বাড়ানোর একটি অনন্য কার্যকরি উপায়। যেকোনো মানসিক চাপ থেকে মুক্তি লাভের উপায় হলো মেডিটেশন। ধৈর্যহীন মানুষের মধ্যে খুব অল্পতেই রেগে ওঠার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। মেডিটেশন আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে মানুষ সহজেই রেগে ওঠে না।

ধ্যান শরীর মন দুই ই ভালো রাখে, তাই প্রতিদিন স্বল্প সময় মেডিটেশনের জন্য ব্যয় করা উচিত। মেডিটেশন শুধু মাত্র ধৈর্য শক্তি বাড়ায় তা নয়, শরীরে এক প্রকার প্রশান্তির আগমন ঘটায়। প্রত্যেক মানুষের প্রতিদিন অন্তত পাঁচ থেকে দশ মিনিট মেডিটেশন করা উচিত।

বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বই পড়া মানসিক চাপ কমায়। মনকে ধীর স্থির করে তোলে। ভালো বই কেবল ধৈর্যশক্তিই বাড়ায় না, জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিও পালটে দেয়। আপনার মস্তিস্ককে বই সচল রাখতে পারে, জীবনটাকে গতিশীল করে তুলতে পারে।

বাস্তববাদী হয়ে উঠুন

বাস্তবতা কঠিন আমরা সবাই জানি। এবং তা মেনে নেওয়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। নিজেকে বোঝাতে হবে, যা হওয়ার ছিল তাই হয়েছে।যা ভবিষ্যতে হওয়ার, তাই হবে। এ নিয়ে হা-হুতাশ করে লাভ নেই। তবে চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখা চলবে না।

নেতিবাচক চিন্তা করবেন না

যেকোনো কাজে অগ্রসর হওয়ার আগে চিন্তা করে নিতে হবে কাজের সুফল ও কুফল। ইংরেজী তে বলা হয় ‘Expect the Unexpected’। শুধুমাত্র লাভের কথা ভেবে অগ্রসর হলেই হবে না। মাথায় রাখতে হবে কী কী লোকসান হতে পারে এবং সে সঙ্গে রাখতে হবে তা থেকে উত্তরণের পরিকল্পনা। তাহলেই, হুট করে কোনো সমস্যা সামনে এসে দাঁড়ালেও ধৈর্য হারাতে হবে না, পরিকল্পনা অনুযায়ী সমাধান করা যাবে।

তুলনা করবেন না

নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করা বন্ধ করতে হবে। অন্যরা কি করল তাতে নজর না দিয়ে নিজের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। আমরা ছোটবেলা থেকেই প্রতিযোগিতা পূর্ণ মনোভাব নিয়ে বড় হই। তাই সবসময় সামনের জনকে টপকে যাওয়ার চিন্তায় অস্থির হয়ে থাকি। আমাদের সম্পূর্ণ ধ্যান-জ্ঞ্যান যেন সামনের জনকে হারানোর মাঝেই। এই মন-মানসিকতা তৎক্ষণাৎ দূর করতে হবে। নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করতে হবে। হতে পারে তাতে সময় বেশি লাগবে, কিন্তু ধৈর্যের এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলেই ধরা দিবে সফলতা। আর ধৈর্যের এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে গেলে বদলাতে হবে মন মানসিকতা।

১০। নিজেকে সময় দিন

মাঝে মাঝে নিজেকে সময় দেওয়া খুব জরুরী। দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে আমরা নিজেকে ভুলে যাই। ভুলে যাই আমাদেরও দরকার বিশ্রামতাই ছোট কোন ছুটি নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। দেখে আসতে পারেন সমুদ্র, ঝর্ণা কিংবা পাহাড়। প্রকৃতির বিশালতা মনকে শান্ত করে। সঙ্গে নিতে পারেন পরিবার, বন্ধুমহল বা প্রিয়জন।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ

 



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

হিট স্ট্রোকের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও চলমান এমন তাপপ্রবাহ নিয়ে কোন সুখবরই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্র আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।  

এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।

ঢাকার আইসিডিডিআর’বি-এর তথ্য মতে, বাইরে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন তাকে হিট স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।

হিটস্ট্রোকের লক্ষণ

শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া, গরমে অচেতন হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, তীব্র মাথা ব্যথা, ঘাম কমে যাওয়া, ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা, বমি হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাস কষ্ট, মানসিক বিভ্রম, খিঁচুনি মত লক্ষন গুলো দেখা দিতে পারে।

কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করনে-

১. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
২. রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে ফেলতে হবে।
৩. শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।


হিট স্ট্রোক   লক্ষণ   চিকিৎসা  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

তীব্র গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়!

প্রকাশ: ০৮:২২ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এর প্রমাণ আমরা পাচ্ছি প্রকৃতিতে। রাজধানীসহ সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসি কেবল ব্যয়বহুল নয়, অনেকেই আছেন যারা এসিতে অল্প সময় থাকলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই প্রচণ্ড গরমে একটু শান্তির জন্য হলেও খুঁজতে হয় বিকল্প ব্যবস্থা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিসনেস ইনদাইডের এক প্রতিবেদনে এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায়, সেই উপায় বলে দেয়া হয়েছে। তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক--

সূর্যের তাপ: ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। প্লাস্টিকের ব্যাকিংসহ মাঝারি রংয়ের ‘ড্রেইপ’ বা পাতলা পর্দা ৩৩ শতাংশ তাপ কমায় এবং ঘরে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়তা করে।

দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহা: রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।

গরম বাতাস বের করে দেয়া: ‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।

আর্দ্র বাতাস:  ঘর ঠাণ্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠাণ্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠাণ্ডা পানির বোতল রাখলে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

ঘরে গাছ রাখুন: ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।

চুলা বন্ধ রাখা: চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।

অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা: ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা: দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হয়  এবং ঠাণ্ডা হয়ে আসে।

 


তীব্র গরম   ঘর ঠাণ্ডা   রাখার উপায়  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

ঈদের আগে ত্বকের যত্ন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।

ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।

আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।

আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।

তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা

তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।

শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।

কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।

স্বাভাবিক ত্বক

যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।

ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস

যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে।  ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

হলুদের প্যাক

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

টমেটো প্যাক

টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।


ঈদ   ত্বক   যত্ন  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বিচ্ছেদের কত দিন পরে নতুন সম্পর্কে জড়াবেন!

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা একসময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।

গল্পটি কাল্পনিক হলেও এমন উদাহরণও অনেক পাওয়া যাবে। কিন্তু দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে নতুন কোনো সম্পর্ক শুরু করার আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি-

ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করুন

মন চাইলো আর প্রেমে জড়িয়ে গেলাম- এমন মানসিকতা দূরে রাখুন। এখন কিছু দিন শুধু নিজেকে সময় দিন, নিজেকে ভালোবাসুন। প্রেম করার মানসিকতা এখন আর রাখবেন না। নতুন সম্পর্কে জড়াতে চাইলে কমপক্ষে ১ বছর সময় ননিতে হবে। তবেই নিজের আগের ভুল কিংবা অভিজ্ঞতা আপনাকে আর পিছু তারা করবে না। আর একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখবেন, যে পুরনোজনের জায়গায় নতুনজনকে রিপ্লেস করবেন। তাহলে আপনি এবং আপনার সঙ্গী ভালো থাকবেন।

তুলনা করবেন না

মনে রাখবেন প্রত্যেক মানুষই আলাদা। একজনের থেকে অন্যজনের স্বভাব, আচরণও আলাদা হবে এটাই স্বাভাবিক। আগেরজন এত ভালো ছিল, দামি উপহার দিত বা অনেক কথা না বললেই বুঝে যেত এসব ভুল তুলনা টানবেন না। প্রথমেই মাথা থেকে এসব বের করে দিন। এছাড়াও স্যালারি নিয়েও কোনো তুলনা টানবেন না।

সময় দিন নিজেকে

হুট করে প্রেম কিংবা রাগারাগি করা যাবে না। সব কিছুতেই সময় নিতে হবে। সময়ে সাথে সাথে অনেককিছু বদলঅবে যেটা অবশ্যই আপনার জন্য ভালো বিষয় হবে। এতে করে একে অপরকে বুঝুতে সহজ হবে এবং সহজেই এই সম্পর্ক খারাপ হবে না। আর একটি বিষয় মাথায় রাখবেন অতিরিক্ত ঘাঁটাবেন না। নিজেও ভাবার মতো সময় নিন। অন্যকেও দিন।

পুরনোর কথা ভাবা যাবে না

পুরনোর কাছে ফিরে যাবেন কিনা এই নিয়ে কোনো দোটানা রাখবেন না। মনে রাখবেন স্বেচ্ছায় এবং দুজনের সিদ্ধান্তেই আপনারা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছেন। যেখানে আছেন সেখানেই মন দিন।

ইতিবাচক ভাবনা রাখুন

হতাশা, দুঃখ, কান্না মনখারাপ একদম নয়। নতুনজনের কাছে সবসময় নিজের হতাশার কথা বলবেন না। ভালো সময় কাটান। গল্প করুন। ইতিবাচক ভাবনা বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
 



প্রেম   বিচ্ছেদ  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

নারীদের সন্তান জন্মদানের হার কমতে শুরু করেছে: গবেষণা

প্রকাশ: ০৯:৩২ এএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।

দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।

চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।

পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক ১টি শিশু।


গবেষণা   দ্য ল্যানস   গর্ভবতী   শিশু জন্ম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন