ইনসাইড ট্রেড

এই মৌসুমে ঘোরাফেরা, চাই পুরোপুরি প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৩ এএম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯


Thumbnail

শীতকাল ভ্রমণের মৌসুম। এ মৌসুমে দেশে বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার আদর্শ সময় বলা হয়ে থাকে। কিন্তু চাইলেই তো যাওয়া যায় না। এ বিষয়ে আগেই খোঁজ নিতে হয়। ঘুরতে-ফিরতে গেলে তো আর যেকোনোভাবে পরিকল্পনা ছাড়া যাওয়া সম্ভব না। এজন্য দরকার পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা।

কি করবেন তার তালিকা করুন

প্রথমেই সময় নিয়ে নির্বাচন করুন কোথায় যাবেন। কারণ এর ওপর নির্ভর করে আপনার ভ্রমণের ব্যয়, সময় এবং সেখানের কোথায় কোথায় ঘুরতে পারবেন সেগুলো। তালিকা করুন, সেখানে যুক্ত করুন নির্বাচিত দেশের কোন কোন জায়গাগুলো আপনার পক্ষে ভ্রমণসাধ্য। আপনার বাজেটের মধ্যে যেখানে যেখানে যেতে পারবেন সেটা তালিকায় লিখুন। এই ধাপেই সময় নির্ধারণ করে ফেলুন। কতদিন থাকবেন, কোথায় কত সময় কাটাবেন, সঙ্গে কে কে থাকছে এগুলো লিখে ফেলুন।

পাসপোর্ট এবং ভিসা প্রসঙ্গ

যথাযথ উপায়ে পাসপোর্ট করে নিন। এখন খুব সহজে, কম সময়ে পাসপোর্ট করে ফেলা যায়। নিকটস্থ ব্যাংক এবং পাসপোর্ট অফিসে খোঁজ নিলেই বিস্তারিত জানা যাবে। সাধারণত ভ্রমণের ক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট ভিসাই গ্রহণযোগ্য। জেনে নিন ভিসার মেয়াদ, খরচ এবং পরিপূর্ণ ব্যবহার সম্পর্কে। ভিসা প্রদানকারী অফিসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন, ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেন। আর বিদেশে ভ্রমণের সময় পাসপোর্ট এবং ভিসা নিজের কাছে রাখবেন।

মানি এক্সচেঞ্জ

যে দেশে যাবেন, সে দেশের মুদ্রা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। কারণ এই স্টেজে নির্ধারণ করতে হবে কতটাকা খরচ হবে ভ্রমণে। তাই মানি এক্সচেঞ্জ অফিসে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে প্লানমাফিক মানি এক্সচেঞ্জ করিয়ে নিতে পারেন। ভ্রমণের বিষয়ে বিপদ-আপদের চিন্তা করে নির্ধারিত বাজেটের চেয়ে বেশি টাকা হাতে রাখা ভালো।

হোটেল বুকিং

থাকার জায়গা অবশ্যই পূর্বনির্ধারিত হতে হবে। অনলাইন বা পরিচিত কারো মাধ্যমে হোটেল বুকিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া ভালো। কারণ ট্রাভেলিং সিজনে অনেক হোটেলই ছাড় দিয়ে থাকে ট্যুরিস্টদের জন্য। চেষ্টা করবেন আপনার ভ্রমণের জন্য নির্ধারিত জায়গার কাছাকাছি অবস্থিত হোটেলকে বেছে নিতে।

ব্যাকপ্যাক

এটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেজ। আপনার ব্যাকপ্যাকে কি রাখবেন আর কি রাখবেন না সেটার ওপরেই নির্ভর করছে আপনার ভ্রমণ কতটা আরামদায়ক হবে কি হবে না। ব্যাগে এমন কিছু রাখবেন না যা আপনার টানাটানি করতে অসুবিধা হয়। আবহাওয়া বুঝে পোশাক নির্ধারণ করুন। সঙ্গে ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন স্মার্টফোন, ক্যামেরা, পাওয়ার ব্যাংক, হেডফোন রাখুন। আপনার ফোন আর ক্যামেরার চার্জিং এর ব্যাকআপ রাখুন।

স্বাস্থ্য সচেতনতা

অসুস্থ শরীরে বা নিজেকে ভ্রমণের জন্য আত্মবিশ্বাসী মনে না হলে ভ্রমণের চিন্তা আনবেন না মাথায়। সুস্থ শরীরে ঘুরতে যান, সঙ্গে রাখুন দরকারি ওষুধপথ্য, ফাস্ট এইড বা বেসিক মেডিকিট। নির্দিষ্ট কোনো রোগ থাকলে চিকিৎসকের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন বা পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

নির্ধারিত দেশের নীতিসমূহ

দেশের সঙ্গে তো বিদেশের বিস্তর পার্থক্য। তাই যে দেশে যাচ্ছেন, সেখানের স্থানীয় নীতি, ট্রাফিক এবং ট্রাভেলিং নীতি জেনে নিন আগেই। কারেণ দেশের ভিন্নতায় রীতিনীতির পার্থক্য রয়েছে। নিজে বিপদে পড়তে পারেন এমন আচরণ বর্জন করতে এইসব প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো জেনে রাখা ভালো।

গাইডবুক সংগ্রহ

যেখানে যাচ্ছেন সেখানের গাইডবুক সঙ্গে রাখা আপনার জন্য নিরাপদ, এতে করে কষ্টও কমবে। বিভিন্ন রুট এবং রেস্তোরা সম্পর্কে জানতে এই গাইডবুক আপনাকে যথেষ্ট সাহায্য করতে পারে। যেখানে যাবেন, কীভাবে যাবেন- সেটাও আপনার জানা থাকবে।

পরিবহণ নির্বাচন

আপনার ভ্রমণের জন্য পছন্দমতো এবং সুবিধামতো পরিবহন নির্বাচন করুন। কারণ অনেক সময়েই দেখা যায়, অনেকের কাছে এয়ার ট্রাভেলিং বা বাস ট্রাভেলিং বিপত্তিজনক মনে হওয়ায় সেগুলো এড়িয়ে চায়। তাই আগে জেনে নিন কি কি উপায়ে সেখানে ভ্রমণ করা যায়। তারপর নিজের সুবিধামতো পরিবহন বেছে নিন।

ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ

সর্বশেষ টিপস হলো, বিশ্বস্ত কোনো ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের প্যাকেজগুলোতে চোখ বুলিয়ে নিজের পছন্দমতো ট্যুর প্যাকেজ নির্বাচন করা। এতে আপনার ভ্রমণের দায়িত্বটা তারাই বুঝে নেবে।

কোথায় যাবেন, কিভাবে যাবেন, কিভাবে টিকেট বুকিং দেবেন, ভিসা প্রসেস করবেন কীভাবে ইত্যাদি বিষয়ে জানতে ঢুঁ মারতে হবে ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাইটে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাইট দেওয়া হলো-

জাতীয় তথ্য কোষ

এটি সরকারি ওয়েবসাইট। এখানে প্রায় সব ধরনের জাতীয় তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে। এছাড়া পর্যটন নামক পেজে বাংলাদেশের দর্শনীয় এলাকার বর্ণনা দেওয়া আছে। দর্শনার্থীরা সেখানে কী ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন, সে সম্পর্কেও আলোচনা করা আছে। পেজটি দেখতে ভিজিট করুন-www.infokosh.bangladesh.gov.bd ঠিকানায়।

পর্যটন করপোরেশন

সাইটটির বাংলা, ইংরেজি ও জাপানিজ ভার্সন রয়েছে। দেশের সব পর্যটন স্থানগুলো পর্যটন আর্কষণ মেনুতে সাজানো। এখানে দেশের নামকরা হোটেল, মোটেল ও রেস্তোরাঁ সম্পর্কে তথ্য রয়েছে। ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন www.parjatan.gov.bd ঠিকানায়।

ট্রাভেল নিউজ

ওয়েবসাইটটি মূলত দেশ ও দেশের বাইরে ভ্রমণের খোঁজখবর দিয়ে থাকে। এখানে পাওয়া যাবে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির ঠিকানা, ট্যুরিস্ট স্পটগুলোর সমসাময়িক খবর, হোটেল বা রিসোর্টের খবর, যাতায়াত ব্যবস্থাসহ অনেক কিছু। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের ঠিকানা ও সমসাময়িক নীতিমালা সম্পর্কে তথ্য এখানে পাওয়া যাবে। সাইটটি দেখতে bdtravelnews.com ঠিকানায় ভিজিট করুন।

সুন্দরবন ট্যুরস

সাইটটিতে সুন্দরবন ভ্রমণসংক্রান্ত তথ্য মিলবে। এখানে Travel Around, How to go এবং Gallery-সহ বেশকিছু বিভাগ রয়েছে। How to go বিভাগে সুন্দরবনে যাওয়ার বেশকিছু তথ্য মিলবে। সাইটটি sundarbantours.com ঠিকানায় দেখা যাবে।

পর্যটন বিচিত্রা

প্রিন্ট ভার্সনের পাশাপাশি এই ম্যাগাজিনটির একটি ওয়েব ভার্সনও রয়েছে। সম্পূর্ণ বাংলায় তৈরি এই ওয়েবসাইটটিতে রয়েছে পর্যটন শিল্প ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ইভেন্ট, পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সংবাদ। এছাড়া প্রতি সংখ্যাতেই দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের বিস্তারিত তথ্য ফিচার আকারে তুলে ধরা হয়। সাইটটির জন্য www.parjatanbichitra.com ঠিকানা ভিজিট করুন।

টুরিস্টগাইড২৪ডটকম

‘টুরিস্টগাইড২৪ডটকম’ সম্পূর্ণ ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাইট। বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভার্সনে সাইটটি সাজানো। ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন www.touristguide24.com ঠিকানায়।

গ্রীন বাংলাদেশ ট্যুরস

দেশের দর্শনীয় স্থানগুলোর বিবরণসমৃদ্ধ এ সাইটটির Popular Tours বিভাগ থেকে আপনার কাঙ্ক্ষিত স্থান নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়াও এখানে বেশ কয়েকটি বিভাগ রয়েছে। দেশের যেকোনো স্থানে যাওয়ার উপায় এবং ভাড়ার বিস্তারিত greenbangladeshtours.com ঠিকানায় পাওয়া যাবে।

ডিসকভারি বাংলাদেশ

সাইটটিতে মিলবে বিভিন্ন জায়গার ছবি, যাতায়াতের বিস্তারিত, হোটেলের ঠিকানাসহ বেশ কিছু তথ্য। সাইটটির দেখতে পাবেন discoverybangladesh.com ঠিকানায়।

কুয়াকাটা ট্যুরস

এখানে কুয়াকাটা ও তার আশেপাশের এলাকায় উপভোগ করার মত কি আছে, তা ছবিসহ বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়া কুয়াকাটা ভ্রমণের বিস্তারিত তথ্য www.kuakatatours.com ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

ট্রাভেল লিংক বাংলাদেশ

এ ওয়েবসাইটটিতে দেশে ও বিদেশে ভ্রমণের স্বল্পমূল্যে প্যাকেজ অফার করে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন পর্যটন দেশে ভ্রমণের ভিসা বুকিং দেওয়া হয় এ সাইটের মাধ্যমে। সাইটটি দেখতে ক্লিক করুন এই ঠিকানায়- http://travellinkbangladesh.com/



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

সোনার দোকান উদ্বোধন করলেন পিবিআই প্রধান

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দুবাই এর স্বর্ণ ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ার হোসেন এর ঢাকার নয়াপল্টনের রূপায়ন টাওয়ারে নব-প্রতিষ্ঠিত ‘হ্যালো পিওর গোল্ড’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার। 

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে ঢাকার নয়াপল্টনের রূপায়ন টাওয়ারে নবপ্রতিষ্ঠিত এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার। 

এ সময় পিবিআই প্রধান বলেন, ভেজালের ভীড়ে খাঁটী জিনিস পাওয়া খুবই কঠিন। স্বর্ণ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কথাটি আরো বেশি প্রযোজ্য। তিনি আরো বলেন, সততাই ব্যবসায়ের মূলধন। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার  আনোয়ার সাহেব সততা নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবেন মর্মে পিবিআই প্রধান প্রত্যাশা করেন। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পিবিআই এর পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আখতার উল আলম, পুলিশ সুপার (লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া) মো. আবু ইউসুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. নাসিম মিয়াসহ অনেকে।


পিবিআই প্রধান   বনজ কুমার মজুমদার   হ্যালো পিওর গোল্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

ঢাকায় পেঁয়াজের বড় দরপতন

প্রকাশ: ০৮:২৭ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে এমন তথ্য মিলেছে। ঢাকার নর্দ্দা, নতুনবাজার, কারওয়ানবাজার, মগবাজারে দেখা যায়-এদিন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

নতুনবাজারের ব্যবসায়ী বিশারত আলি বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো আছে। পাবনা ও ফরিদপুর থেকে পণ্যটি প্রচুর আসছে। তাই দর হ্রাস পেয়েছে। আগের সপ্তাহে সাধারণ মানের পেঁয়াজের দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এই সপ্তাহে সেটা বেচছি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। মাত্র ২/৩ টাকা লাভে তা বিক্রি করছি আমরা।

নর্দ্দা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রহিম মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই পেঁয়াজের দাম কমছে। এখন ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৬০ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগেও যা ছিল ১০০ টাকা। তবে মূল্য কেন কমছে বা বাড়ছে-সেই সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। সাধারণত,  আমরা যেমন দামে কিনি, তেমন দামেই বিক্রি করি।

বাংলাদেশে পাঠাতে কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। সোমবার (১৮ মার্চ) দেশটির রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল) এমন তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি কেজি এই পেঁয়াজের দাম পড়বে ২৯ রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা। এই সংবাদেই রান্নাঘরের মুখ্য পণ্যটির দরপতন ঘটছে।

রাজধানী   পেঁয়াজের দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

মাছ-মাংসসহ ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিল সরকার

প্রকাশ: ০৬:২৬ পিএম, ১৫ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২৯টি পণ্যের মূল্য বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮-এর ৪(ঝ) ধারার ক্ষমতাবলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দামে কৃষিপণ্য কেনাবেচার জন্য অনুরোধ করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নতুন নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী মুগ ডালের পাইকারি বাজার মূল্য হবে ১৫৮ দশমিক ৫৭ টাকা ও খুচরা ১৬৫ দশমিক ৪১ টাকা।

এছাড়া মাসকলাইয়ের পাইকারি বাজার মূল্য ১৪৫ দশমিক ৩০ টাকা ও খুচরা ১৬৬ দশমিক ৪১, ছোলার (আমদানিকৃত) পাইকারি বাজার মূল্য ৯৩ দশমিক ৫০ টাকা ও খুচরা ৯৮ দশমিক ৩০, মসুরডাল (উন্নত) পাইকারি বাজার মূল্য ১২৫ দশমিক ৩৫ টাকা ও খুচরা ১৩০ দশমিক ৫০, মসুরডাল (মোটা) পাইকারি বাজার মূল্য ১০০ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ১০৫ দশমিক ৫০, খেসারিডাল পাইকারি বাজার মূল্য ৮৩ দশমিক ৮৩ টাকা ও খুচরা ৯২ দশমিক ৬১।

পাংগাস (চাষের মাছ) পাইকারি বাজার মূল্য ১৫৩ দশমিক ৩৫ টাকা ও খুচরা ১৮০ দশমিক ৮৭, কাতল (চাষের মাছ) পাইকারি বাজার মূল্য ৩০৩ দশমিক শূন্য ৯ টাকা ও খুচরা ৩৫৩ দশমিক ৫৯।

গরুর মাংস কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৬৩১ দশমিক ৬৯ টাকা ও খুচরা ৬৬৪ দশমিক ৩৯, ছাগলের মাংস পাইকারি বাজার মূল্য ৯৫২ দশমিক ৫৮ টাকা ও খুচরা ১০০৩ দশমিক ৫৬, বয়লার মুরগী পাইকারি বাজার মূল্য ১৬২ দশমিক ৬৯ টাকা ও খুচরা ১৭৫ দশমিক ৩০, সোনালী মুরগী পাইকারি বাজার মূল্য ২৫৬ দশমিক ১০ টাকা ও খুচরা ২৬২।

ডিম (পিস) পাইকারি বাজার মূল্য ৯ দশমিক ৬১ টাকা ও খুচরা ১০ দশমিক ৪৯।

দেশী পেঁয়াজ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৫৩ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ৬৫ দশমিক ৪০, দেশী রসুন কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৯৪ দশমিক ৬১ টাকা ও খুচরা ১২০ দশমিক ৮১, আদা আমদানিকৃত পাইকারি বাজার মূল্য ১২০ দশমিক ২৫ টাকা ও খুচরা ১৮০ দশমিক ২০, শুকনো মরিচ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৫৩ দশমিক ২৬ টাকা ও খুচরা ৩২৭ দশমিক ৩৪, কাঁচামরিচ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৪৫ দশমিক ৪০ টাকা ও খুচরা ৬০ দশমিক ২০।

বাঁধাকপি কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৩ দশমিক ৪৫ টাকা ও খুচরা ২৮ দশমিক ৩০, ফুলকপি কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৪ দশমিক ৫০ টাকা ও খুচরা ২৯ দশমিক ৬০, বেগুন কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৩৮ দশমিক ২৫ টাকা ও খুচরা ৪৯ দশমিক ৭৫, সিম কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৪০ দশমিক ৮২ টাকা ও খুচরা ৪৮, আলু কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৩ দশমিক ৩০ টাকা ও খুচরা ২৮ দশমিক ৫৫, টমোটো কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৩০ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ৪০ দশমিক ২০, মিষ্টি কুমড়া কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ১৬ দশমিক ৪৫ টাকা ও খুচরা ২৩ দশমিক ৩৮, খেঁজুর জাহিদী পাইকারি বাজার মূল্য ১৫৫ দশমিক ৫৩ টাকা ও খুচরা ১৮৫ দশমিক ০৭, মোটা চিড়া পাইকারি বাজার মূল্য ৫২ দশমিক ৭৫ টাকা ও খুচরা ৬০, সাগর কলা হালি পাইকারি বাজার মূল্য ২২ দশমিক ৬০ টাকা ও খুচরা ২৯ দশমিক ৭৮ ও বেসন পাইকারি বাজার মূল্য ৯৯ দশমিক ০২ টাকা ও খুচরা ১২১ দশমিক ৩০ টাকা।

মূল্য তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর   দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

রমজানের প্রথম দিনেই লেবুর হালি ৮০ টাকা!

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ১২ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র রমজানে ইফতারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এক সপ্তাহ আগে প্রতিপিস লেবুর বাজারে বিক্রি হয়েছে পাঁচ টাকায়। ২০ টাকা হালিতে পাওয়া গেছে লেবু। তবে রমজান শুরুর প্রথম দিনেই এক লাফেই লেবুর হালি ৮০ টাকা হয়ে গেছে। এছাড়া শসা বাজারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

সবজির দামও রাতারাতি বেড়েছে। একদিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি বেগুনের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা।

এদিকে শসা ও খিরা বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। সবধরনের সবজির দামও বেড়ে গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজান মাস শুরু না হতেই বাজারে অস্বাভাবিক উত্তাপ ছড়িয়েছে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম। লেবু, শসা, পেঁয়াজ, আলু, বেগুনসহ সেহরি ও ইফতার সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের দাম যেন আকাশছোঁয়া। রমজান শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই শসা এবং লেবুর দাম বাড়তে শুরু করে অস্বাভাবিকভাবে। এক হালি লেবুর দাম সাইজ ভেদে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

রাজধানীর কুড়িল কুড়াতলী বাজারে লেবু কিনতে গিয়ে হতাশ কবিরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, রাস্তায় ঝাঁকা নিয়ে বসা লেবু বিক্রেতার কাছে দাম জানতে চাইলে বড় সাইজের লেবু ৮০ টাকা হালি চেয়েছেন, আর একটু ছোট সাইজটা ৬০ টাকা। মাত্র কয়েকদিন আগেও একই লেবু কিনেছি ৪০ টাকায়। 

এদিকে রাজধানীর ভাটার নতুনবাজার, বাড্ডা ও রামপুরার বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে ছোট সাইজের লেবু  ৬০-৭০ টাকা হালি, মাঝাড়ি সাইজ ৭০-৮০ টাকা এবং বড় সাইজ লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা হালিতে। দামাদামি করে সাধ্যের মধ্যে লেবু কিনছেন কেউ কেউ। 

রমজান   লেবুর দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

রমজানের আগে চিনির দাম বাড়লো কেজিতে ২০ টাকা

প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।   

এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।


বিএসএফআইসি   মাহে রমজান   চিনি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন