নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯
দিনটা পেরোলেই বড়দিন। আপনার নিশ্চয়ই সব আয়োজন এরই মধ্যে শেষ। বড়দিনে কেক হবে না, সেটা অসম্ভব। ওদিকে বাড়িতে হয়ত ওভেন নেই বা নষ্ট হয়ে রয়েছে, বাইরে থেকে অনেকগুলো কেক আনা খরচের ব্যাপার, অথবা আপনার ইচ্ছে করছে নিজের হাতে কেক বানিয়ে প্রিয় মানুষগুলোকে আপ্যায়ন করতে। ঘরে কেক বানানোর জন্য কিছু টিপস আর ওভেন ছাড়াই ভ্যানিলা কেক বানানোর রেসিপি থাকছে বড়দিনকে সামনে রেখে-
ময়দার পরিমাণ ঠিক রাখুন। কৌটা থেকে বের করে সরাসরি মেজারিং কাপে ময়দা রাখুন। যেটা বাড়তি থাকবে ছুড়ি দিয়ে ছেঁচে ফেলে দিন। উপকরণগুলোর একটু হেরফের হলেই স্বাদ পাল্টে যাবে।
হাতে যদি খুব বেশি সময় না থাকে, তাহলে ফ্রিজ থেকে ঠাণ্ডা ডিম বের করে দেবেন না। তাতে কেক হতে সময় লাগবে। তার চেয়ে বরং ডিম ছাড়াই কেক করুন। কেক বেকিংয়ের পাত্রে মাখন লাগাতে ব্যবহার করুন পার্টি ব্রাশ।
কেকে মাখন বা ডিম যা-ই ব্যবহার করুন তা রুম টেম্পারেচারে আনার পরই মেশাবেন। তাহলে বাকি মিশ্রণের সঙ্গে এটা তাড়াতাড়ি মিশে যাবে এবং ভালোভাবেই। সরাসরি কেকের ব্যাটারের (মিশ্রণের) উপর ডিম ফেটাবেন না। অন্য একটা কাপে ফেটিয়ে তারপর মিশ্রণের সঙ্গে মেশান।
কেক পুরোপুরি হয়েছে কি না তা বোঝার জন্য ওভেনে কেকে একটা কাঠি ঢুকিয়ে দেখুন। কাঠিটা যদি ঠিকমতো ঢুকে যায় আর তারপর পরিষ্কারভাবে বেরিয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে কেক রেডি। আর কাঠিতে যদি কোনও উপকরণ লেগে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে ভিতরটা কাঁচা রয়েছে।
আর কেক তৈরির আগে ওভেনের টেম্পারেচার ঠিকমতো অ্যাডজাস্ট করে নিন। বেকিং শেষ হওয়ার পরও ওভেনে স্ট্যান্ডিং টাইম দিয়ে কেক খানিকক্ষণ বসিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা হলে বের করলে নরম ব্যাপরাটা থাকবে।
শীতের দিন কেক বাইরেই রাখতে পারেন, তবে কোনো এয়ারটাইট কন্টেনারে। একটু ফাঁকা করে। কেক আরও সুস্বাদু করতে চিনি, ময়দা, মাখন দিয়ে যখন ব্যাটারটা করবেন তাতে খানিকটা পাতিলেবু বা কমলালেবুর রস ফেলে দিতে পারেন।
ময়দা বা অন্যান্য সামগ্রী মেশানোর সময় যাতে ডেলা না পাকিয়ে যায়, তাই হ্যান্ড ব্যাটার মিক্স যন্ত্রও কিনে নিতে পারেন। কেক পরিবেশনের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই প্লেটে আটকে যায় তোলার সময়। এর হাত থেকে বাঁচতে চিনি পাউডার প্লেটে ছড়িয়ে তার উপর কেকটা রাখুন। কাটার সময় আর আটকাবে না।
কেক ভালোভাবে হয়েছে কিনা বুঝতে চুলায় দেওয়ার ২০ মিনিট পর টুথপিক কেক এর মিশ্রণে ঢুকিয়ে যদি দেখেন টুথপিক এর গায়ে কিছু লাগেনি তাহলে বুঝবেন কেক তৈরি হয়ে গিয়েছে।
বাজারে হেভিক্রিম বা হুইপ ক্রিম কিনতে পাওয়া যায়। এই ক্রিম ঠান্ডা অবস্থায় সামান্য সফট বাটার সহ ইলেক্ট্রিক বিটারে বিট করে নিয়েও ক্রিম রেডি করে নিতে পারেন কেকের জন্য।
চলুন ওভেন ছাড়া ভ্যানিলা কেক বানানোর একটা রেসিপি দেখে নেই-
ডিম ২ টি, ময়দা ৪ টেবিল চামচ বা ১ কাপ, তেল ২ টেবিল চামচ, বেকিং পাওডার ১/২ চা চামচ, ভেনিলা ১/২ চা চামচ এবং লেবুর রস ১ চা চামচ, গুড়ো দুধ ২ টেবিল চামচ, চিনি ৪ টেবিল চামচ বা ১ কাপ, মোরব্বা বা কিসমিস ।
কীভাবে বানাবেন
প্রথমে শুকনো আইটেমগুলো ময়দা, বেকিং পাউডার ও দুধ একত্রে চালুনি দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। এরপর তেলের মধ্যে চিনি দিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে। চিনি অবশ্যই আগে তেলে মিশিয়ে নিতে হবে ময়দার মিশ্রণ বা ডিমের সঙ্গে মেশালে কেক হবে না। তেল এবং চিনি মেশানো হয়ে গেলে এখন ২টা ডিম ফেটে এতে মেশাতে হবে।
এরপর অল্প করে ময়দার মিশ্রণ ভালোভাবে মেশাতে হবে। মেশানো হয়ে গেলে ভ্যানিলা এবং এক চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মেশান। কেকের পাত্রে তেল ব্রাশ করে নিন। এখন মিশ্রণটির ৩/২ ভাগ কেকের পাত্রে ঢালুন। কিসমিস বা মোরব্বা শুকনো ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে কেকের মিশ্রণের উপর ছিটিয়ে দিন এবং বাকি মিশ্রনটুকু উপরে ঢেলে দিন।
এবার একটি বড় হাঁড়িতে হাঁড়ি রাখার স্টেন রেখে মৃদু আঁচে গরম করে নিতে হবে। কেকের পাত্রটি স্টেনের উপর রাখতে হবে। হাঁড়িতে ঢাকনা দিয়ে মৃদু আঁচে ৩৫ মিনিটের মতো চুলায় রাখতে হবে। কেক হয়েছে কিনা তা টুথপিক দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। কেক হয়ে গেলে গরম গরম পাত্র থেকে ঢেলে ফেলুন এবং পছন্দমতো মাপে কেটে পরিবেশন করুন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।
ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।
আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।
আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।
শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।
কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।
স্বাভাবিক ত্বক
যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস
যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে। ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো প্যাক
টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে।
সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত
মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে
হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট
এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের
দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু
হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।
দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী
২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের
স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।
চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন
ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।
পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা
বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল
নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক
১টি শিশু।
গবেষণা দ্য ল্যানস গর্ভবতী শিশু জন্ম
মন্তব্য করুন
প্রাণিজগতের মধ্যে মানব মস্তিষ্কই সবচেয়ে জটিল। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের
মস্তিষ্কের আয়তন পুরুষের প্রায় ১৫০০ সিসি ও মহিলাদের প্রায় ১৩০০ সিসি এবং মানব ভ্রূণের
প্রাথমিক অবস্থায় মস্তিষ্ক প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত থাকে। পূর্ণাঙ্গ মানুষে এটি
আরও জটিল রূপ ধারণ করে এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়।
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০১৯ এর তথ্য মতে, মানুষের মস্তিষ্কের ধারণ
ক্ষমতা কমপক্ষে ২.৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ গিগাবাইট।
দেখা যায়, সাধারণভাবে, মানুষ কিছু মানসিক ঘটনা-যেমন বিষণ্নতা এবং
স্পর্শের মাধ্যমে তাপমাত্রা শনাক্ত করার ক্ষমতা - অন্যদের তুলনায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
করার মতো আরও বেশি কার্যকর..! যেমন গর্ব অনুভব করা বা প্রথম দর্শনে প্রেমের অভিজ্ঞতা।
তবে, দ্য ডেভিলস ডিকশনারি ইন, অ্যামব্রোস বীরস মনকে "মস্তিষ্কের
গোপন বিষয়টির একটি রহস্যময় রূপ" বলে বর্ণনা করেছেন, যা নিজেকে বুঝা "ইহা
নিজেকে চেনা, অর্থাত নিজেকে বুঝা ছাড়া আর কিছু না" বা বোঝার নিরর্থক প্রচেষ্টা
নিয়ে জড়িত।
বায়ার্সের ১৯১১ সালের প্রকাশের পরে দীর্ঘসময় ধরে আত্মবিজ্ঞান
সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। কোন এক কোরা ব্যবহারকারী জিজ্ঞেস করে: "মানব মস্তিষ্ক
কি নিজেকে বুঝতে যথেষ্ট বুদ্ধিমান?"
দ্য অনিয়ানের একটি বিদ্রুপমূলক শিরোনাম রিপোর্ট করেছে যে, মনোবিজ্ঞানটি
স্থগিত হয়েছে কারণ "ক্লান্ত গবেষকরা বলেছিলেন যে মন সম্ভবত নিজেকে অধ্যয়ন করতে
পারে না।"
কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে মস্তিষ্কে মন আপনার মস্তিষ্কের
শারীরিক কর্মকাণ্ডের বাইরে চলে গেছে। তাই সতর্ক হোন। নিজেকে বুঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে
নিজের আয়েত্বে রাখুন। আপনার জীবনটা আপনারই।
মনোবিজ্ঞানে মস্তিস্কের শনাক্ত করার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের
মধ্যে গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং ইমেজিং স্ক্যানিং সহ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
MRI (Magnetic Resonance Imaging), CT scan (Computed Tomography), EEG
(Electroencephalogram), PET scan (Positron Emission Tomography) ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি
ব্যবহার করা হয় মস্তিস্কের অবস্থান ও কার্যাবলী নির্ধারণে। এই স্ক্যানিং পদ্ধতিগুলি
মস্তিস্কের আনুমানিক অবস্থান এবং কার্যাবলীর উপর আলোকপাত করে এবং মস্তিস্কের বিভিন্ন
অংশের ক্ষমতা এবং সংযোগস্থলের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও মানুষ মস্তিস্কের কথা বা মনোবিজ্ঞানিক ধারণা শোনা বা বোঝা
সম্পর্কে সাধারণভাবে, মনোবিজ্ঞানের সম্পর্কে সাক্ষাৎকার করা, সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
দেখা, মনোবিজ্ঞান নিয়ে পুস্তিকা পড়া, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন করা এবং মনোবিজ্ঞানে
সম্পর্কিত মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্ত করা হতে পারে। আরও পেশাদার উপায়ে, যেমন মনোরোগ
বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা পরামর্শদাতা মানুষকে মস্তিস্কের বিষয়ে সাথে কাজ করা হতে পারে।
মস্তিস্ক মনোবিজ্ঞানে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রাণিজগত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা এক সময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।