লিভিং ইনসাইড

ভালোবাসা যদি দূর দেশে থাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

পেট বড় দায়। কোন মানুষই স্বেচ্ছায় প্রবাসী হতে চায় না। কিন্তু কর্মসূত্রের কারণে এখন অনেক মানুষই প্রবাসী জীবন যাপন করতে একরকম বাধ্য হচ্ছে বলা চলে। যারা পরিবার পরিজন ছেড়ে বাইরে দিন কাটায় তারাই একমাত্র এ যন্ত্রণার জ্বালা মর্মে  মর্মে উপলব্ধি করতে পারে। কিন্তু দূরে থেকেও আমরা আমাদের সম্পর্ককে সুন্দর রাখতে  পারি। ‘লং ডিস্টেন্স রিলেশনশিপ’ মজবুত রাখতে পারি। ভালোবাসার মানুষটা যখন দূর দেশে থাকে তখন মন টা পড়ে থাকে তাঁর কাছে,  তাঁর অতি নিকটে।

এখন চারিদিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, উঠতি বয়সের যুবক সম্প্রদায় বেশিরভাগ ই সদ্য বিবাহ করে কর্মের তাগিদে চলে যেতে হচ্ছে বাইরে। এই সব মানুষগুলোর অবস্থা কতটা শোচনীয় সেটা ভাবলেই কষ্ট হয়। কত মানুষের শুধুমাত্র অর্থের প্রয়োজন জীবনের সুন্দর সুন্দর মূহুর্ত গুলো নীরবে নিভৃতে পার হয়ে যায়।

যেদিন আজ চলে যায় সেদিন আর কখনোই ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু কোন উপায় ও থাকে না। কারণ খালি পকেটে প্রেম খুব বেশি দিন সুস্থ থাকে না। তবে আমরা আমাদের সম্পর্কগুলোকে দূরে থাকার সত্ত্বেও সুন্দর রাখতে পারি,ভালো রাখতে পারি, যত্ন নিতে পারি। তার জন্য চাই শুধুমাত্র মানসিক ইচ্ছার।

দূরে থেকেও কীভাবে একটি সম্পর্ক ঠিক রাখা যায় তার ১০টি টিপস:

প্রতিদিন নিয়ম করে যোগাযোগ রাখা:

বর্তমানে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা খুবই সহজ সরল একটি ব্যাপার। একটা ফোন করলেই দূর এখন ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। টেলিফোন সত্যিই একটি চমৎকার আবিষ্কার। অবশ্য  টেলিফোন আবিষ্কারের মূলেই ছিল দূরের মানুষকে কাছে অনুভব করানোর একটি পন্থা হিসাবে। যত কাজই থাক,যতই ব্যস্ত থাকো না কেন প্রতিদিন কিছুটা সময় অতিবাহিত করতে হবে ফোনে কথা বলার মাধ্যমে। যাঁরা দূরে থাকে তাঁদের মনটা সব সময় বাড়ির মানুষের কাছে থাকে। তাই তাঁরা নিয়ম করে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে ভালোবাসে। এতে তাঁদের মনটা ভালো থাকে।

বিশ্বাসের মর্যাদা রাখা:

বিশেষ করে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাসের মূল্য সর্বাঙ্গে। অনেকটা বিশ্বাস করে, তাঁর সঙ্গীনির উপর নির্ভর করে একজন মানুষ তাঁকে দেশে রেখে অন্য দেশে কর্মক্ষেত্রে যেতে সাহস পায়। তাই  প্রাণ থাকতে এ বিশ্বাসের মর্যাদা ক্ষুন্ন করা উচিত নয়।

একে অপরের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার দায়িত্ব নেওয়া:

এক্ষেত্রে দুজনেরই উচিত একে অপরের সুখ দুঃখের খোঁজ নেওয়া। একটা সংসারে শুধু অর্থ দিলেই সব  সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না। বাড়িতে যে মানুষ টা আছে সে সব কিছু কতটা সামলাতে পারছে, তাঁর কখন কোন  কাজটা করা উচিত, কি করলে সে সব কিছু সুন্দর করে পরিচালনা করতে পারবে,এই সব কিছু আলোচনার মাধ্যমে করলে মনে একটা ভরসা পাওয়া যায়। এছাড়া সে কতটা মানসিক দিক দিয়ে খুশি আছে,তাঁর বিশেষ কিছু প্রয়োজন কিনা।তাঁর কোন কিছুতে অসুবিধা হচ্ছে কিনা, কারো ব্যবহারে সে কষ্ট পাচ্ছে কিনা, এগুলো ও জানা উচিত। অপরদিকে যে মানুষটা বাইরে কাজ করছে তাঁর উপরেও অনেক প্রেশার থাকে, অনেক সময় কাজের চাপ থাকে, বাড়ির জন্য মন খারাপ লাগে, নিজের জন্মভূমির কথা মনে পড়লে কষ্ট হয়, এতে করে একটা মানসিক চাপ মনের মধ্যে কাজ করে।

প্রতিদিনকার ঘটনা শেয়ার করা:

এমন প্রচুর মানুষ আছে যাঁরা সারাদিনের সমস্ত ঘটনা পাশের মানুষের সঙ্গে বলতে পছন্দ করে। ছোট্ট ছোট্ট ঘটনা মনে রেখে দিনের শেষে বলতে বেশ লাগে। এতে করে সম্পর্কের বন্ধনটা সুন্দর হয়। একে অপরকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

মন খারাপে সঙ্গ দেওয়া:

‘লং ডিস্টেন্স রিলেশনশিপ’ মধ্যে মন খারাপ হওয়াটই  স্বাভাবিক।এমন অনেক মূহুর্ত উপস্থিত হয় যখন কাছের মানুষ টাকে খুব কাছে, একান্ত করে পেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু কোন মূল্যেই  তখন কাছে যাওয়াা সম্ভব নয়।এমন অবস্থায় মন হঠাৎ করে খুুুব খারাপ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় পাশের মানুষটার সঙ্গে কথা বলতে খুব ইচ্ছে করে, অনেক টা সময় ধরে মনের সব কষ্ট প্রকাশ করতে ইচ্ছে করে।তখন পাশের মানুষ টা র উচিত একটু ধৈর্য্য ধরে তাঁর মন যাতে ভালো হয়।সে যাতে আবার একটু হাসে সেই চেষ্টা করা। এক্ষেত্রে কথা বলাটা ভীষণ জরুরী। ঠিক এই সময় ই যদি সে এমন কাউকে পাশে পায় যে তাঁর কষ্টের কথা শুনছে এবং তাঁর কষ্ট বুঝে তাঁকে একটু হাসানোর চেষ্টা করছে, বা তাঁর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তাহলে সে ক্ষেত্রে এই মানুষটার টাল খাওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়। আর যত অবৈধ সম্পর্ক গুলো তৈরি হয়, সব গুলোই এই শুন্যস্থান পূরণের জন্য। যদিও এটা কখনোই উচিত নয়, এতে করে কখনো ভালো থাকা যায় না। এতে আরো জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। জীবনের সব শান্তি চিরতরে চলে যায়। কারণ আপনার মন কখনো আপনাকে ছাড়বে না, সে আপনাকে আত্মগিলানী তে জর্জরিত করে ফেলবে। তাই এমন রাস্তায় পা না দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

মাঝে মাঝে না জানিয়ে উপহার পাঠানো:

বাচ্চা থেকে বড় প্রত্যেকেই যদি হঠাৎ কোন উপহার পায় তাহলে তাঁর খুশির আর শেষ থাকে না। আর উপহার টা যদি পার্সেল হয়ে আসে তাহলে তো কোন কথায় নেই।তখন যেন আরো মন খুলে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে, প্রাণ খুলে  কথা বলতে ইচ্ছে করে। এ খুশির রেশ যেন সহজে যেতে চায় না।

নিয়ম করে খেয়েছে কি না খোঁজ নেওয়া:

এটা কিন্তু একটি সম্পর্কের মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি  বিষয়। খাওয়ার খোঁজ নেওয়াটা একটা আদর, মোহব্বত এর মধ্যে  পড়ে। এটা খুব মিষ্টি একটা অনুভূতি।

একে অপরের প্রশংসা করা:

যখন একজন মানুষ তাঁর সঙ্গী কে রেখে বাইরের কাজে যায় তখন সেই মাানুষটির উপরে অনেক দায়িত্ব এসে পড়ে।আর যে কাজ করে তার অনেক ভুল ও হয়। কিন্তু সেই ভুল নিয়ে  তাঁকে  কখনোই কথা  শোনানো উচিত নয়। বরং তাঁকে প্রশংসা করা উচিত। সে যে সব দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছে তার জন্য তাঁকে বাহবা দেওয়া প্রয়োজন।

পুরানো রোমান্টিক স্মৃতি মনে করে দু`জনে মন খুলে হাসা:

পুরানো স্মৃতি মনে পড়লে সকলের ই ভালো লাগে। আর সেই স্মৃতি যদি হয় প্রেমের তাহলে তো কোন কথায় নেই। আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজের চাপে বর্তমানে একটু মিষ্টি করে, হেসে কথা বলতেই যেন কষ্ট বোধ করি।যার ফল স্বরূপ জীবন টা,কেবল কর্তব্য পালন করে চলেছে মনে হয়। সব রোমান্টিকতা বাক্স বন্দী হয়ে জীবন যেন কোন মতে বয়ে চলেছে।

আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি সেটা মুখে উচ্চারণ করে বলা:

দুটি মানুষ অনেক টা সময় একসঙ্গে আছে মানে অবশ্যই তাঁদের মধ্যে ভালোবাসা টা আছে।কিন্তু আমরা সেই ভালোবাসার কথাটা মুখে জানাতে চাই না। এই সমস্যা টা সব থেকে বেশি দেখা যায় যাদের সমন্ধ করে বিয়ে হয় তাঁদের মধ্যে। তাঁরা কোন দিনও একে অপরকে ভালোবাসি বলে কিনা সন্দেহ আছে। একটা সম্পর্ক কখনোই দায়িত্ব আর কিছু কর্তব্য পালন করলেই সুস্থ থাকে না। এখানে ছোট্ট ছোট্ট অনেক ভালো লাগাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

ঈদের আগে ত্বকের যত্ন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।

ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।

আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।

আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।

তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা

তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।

শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।

কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।

স্বাভাবিক ত্বক

যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।

ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস

যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে।  ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

হলুদের প্যাক

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

টমেটো প্যাক

টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।


ঈদ   ত্বক   যত্ন  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বিচ্ছেদের কত দিন পরে নতুন সম্পর্কে জড়াবেন!

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা একসময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।

গল্পটি কাল্পনিক হলেও এমন উদাহরণও অনেক পাওয়া যাবে। কিন্তু দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে নতুন কোনো সম্পর্ক শুরু করার আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি-

ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করুন

মন চাইলো আর প্রেমে জড়িয়ে গেলাম- এমন মানসিকতা দূরে রাখুন। এখন কিছু দিন শুধু নিজেকে সময় দিন, নিজেকে ভালোবাসুন। প্রেম করার মানসিকতা এখন আর রাখবেন না। নতুন সম্পর্কে জড়াতে চাইলে কমপক্ষে ১ বছর সময় ননিতে হবে। তবেই নিজের আগের ভুল কিংবা অভিজ্ঞতা আপনাকে আর পিছু তারা করবে না। আর একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখবেন, যে পুরনোজনের জায়গায় নতুনজনকে রিপ্লেস করবেন। তাহলে আপনি এবং আপনার সঙ্গী ভালো থাকবেন।

তুলনা করবেন না

মনে রাখবেন প্রত্যেক মানুষই আলাদা। একজনের থেকে অন্যজনের স্বভাব, আচরণও আলাদা হবে এটাই স্বাভাবিক। আগেরজন এত ভালো ছিল, দামি উপহার দিত বা অনেক কথা না বললেই বুঝে যেত এসব ভুল তুলনা টানবেন না। প্রথমেই মাথা থেকে এসব বের করে দিন। এছাড়াও স্যালারি নিয়েও কোনো তুলনা টানবেন না।

সময় দিন নিজেকে

হুট করে প্রেম কিংবা রাগারাগি করা যাবে না। সব কিছুতেই সময় নিতে হবে। সময়ে সাথে সাথে অনেককিছু বদলঅবে যেটা অবশ্যই আপনার জন্য ভালো বিষয় হবে। এতে করে একে অপরকে বুঝুতে সহজ হবে এবং সহজেই এই সম্পর্ক খারাপ হবে না। আর একটি বিষয় মাথায় রাখবেন অতিরিক্ত ঘাঁটাবেন না। নিজেও ভাবার মতো সময় নিন। অন্যকেও দিন।

পুরনোর কথা ভাবা যাবে না

পুরনোর কাছে ফিরে যাবেন কিনা এই নিয়ে কোনো দোটানা রাখবেন না। মনে রাখবেন স্বেচ্ছায় এবং দুজনের সিদ্ধান্তেই আপনারা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছেন। যেখানে আছেন সেখানেই মন দিন।

ইতিবাচক ভাবনা রাখুন

হতাশা, দুঃখ, কান্না মনখারাপ একদম নয়। নতুনজনের কাছে সবসময় নিজের হতাশার কথা বলবেন না। ভালো সময় কাটান। গল্প করুন। ইতিবাচক ভাবনা বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
 



প্রেম   বিচ্ছেদ  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

নারীদের সন্তান জন্মদানের হার কমতে শুরু করেছে: গবেষণা

প্রকাশ: ০৯:৩২ এএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বে নারীদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার হার কমতে শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতে এই হার এতোটাই কমবে যে চলতি শতকের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার র্নিধারিত মাত্রা বজায় রাখার কঠিন হবে। অবশ্য বিশ্বের বেশিরভাগ জীবিত শিশুর জন্ম দরিদ্র দেশগুলোতে হবে। বুধবার (২০ মার্চ) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্সের সিনিয়র গবেষক স্টেইন এমিল ভলসেট এক বিবৃতিতে বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বেশি সংবেদনশীল নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার সাথে এই প্রবণতাটি সারা বিশ্বে ‘শিশু বুম’ এবং ‘শিশু হ্রাস’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে।

দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ১৫৫টিতে বা ৭৬ শতাংশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের স্তরের নীচে উর্বরতার হার থাকবে। ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১৯৮টি বা ৯৭ শতাংশে উন্নীত হবে।

চলতি শতাব্দি শেষ নাগাদ তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি শিশুর জন্ম নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটবে, যার অর্ধেকেরও বেশি আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে।

পরিসংখ্যানে বলছে, ১৯৫০ সালে যেখানে প্রতি নারীর শিশু জন্মদান ক্ষমতা বা উর্বরতার হার ছিল ৫, সেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। ২০২১ সাল নাগাদ ১১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রতি নারীর জন্য জনসংখ্যা প্রতিস্থাপনের হার ছিল ২ দশমিক ১টি শিশু।


গবেষণা   দ্য ল্যানস   গর্ভবতী   শিশু জন্ম  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

মস্তিস্কই আপনার শনাক্তকারী!

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

প্রাণিজগতের মধ্যে মানব মস্তিষ্কই সবচেয়ে জটিল। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্কের আয়তন পুরুষের প্রায় ১৫০০ সিসি ও মহিলাদের প্রায় ১৩০০ সিসি এবং মানব ভ্রূণের প্রাথমিক অবস্থায় মস্তিষ্ক প্রধান তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত থাকে। পূর্ণাঙ্গ মানুষে এটি আরও জটিল রূপ ধারণ করে এবং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়।

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০১৯ এর তথ্য মতে, মানুষের মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা কমপক্ষে ২.৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ গিগাবাইট।

দেখা যায়, সাধারণভাবে, মানুষ কিছু মানসিক ঘটনা-যেমন বিষণ্নতা এবং স্পর্শের মাধ্যমে তাপমাত্রা শনাক্ত করার ক্ষমতা - অন্যদের তুলনায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করার মতো আরও বেশি কার্যকর..! যেমন গর্ব অনুভব করা বা প্রথম দর্শনে প্রেমের অভিজ্ঞতা।

তবে, দ্য ডেভিলস ডিকশনারি ইন, অ্যামব্রোস বীরস মনকে "মস্তিষ্কের গোপন বিষয়টির একটি রহস্যময় রূপ" বলে বর্ণনা করেছেন, যা নিজেকে বুঝা "ইহা নিজেকে চেনা, অর্থাত নিজেকে বুঝা ছাড়া আর কিছু না" বা বোঝার নিরর্থক প্রচেষ্টা নিয়ে জড়িত।

বায়ার্সের ১৯১১ সালের প্রকাশের পরে দীর্ঘসময় ধরে আত্মবিজ্ঞান সীমা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। কোন এক কোরা ব্যবহারকারী জিজ্ঞেস করে: "মানব মস্তিষ্ক কি নিজেকে বুঝতে যথেষ্ট বুদ্ধিমান?"

দ্য অনিয়ানের একটি বিদ্রুপমূলক শিরোনাম রিপোর্ট করেছে যে, মনোবিজ্ঞানটি স্থগিত হয়েছে কারণ "ক্লান্ত গবেষকরা বলেছিলেন যে মন সম্ভবত নিজেকে অধ্যয়ন করতে পারে না।"

কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রমাণ দেখায় যে মস্তিষ্কে মন আপনার মস্তিষ্কের শারীরিক কর্মকাণ্ডের বাইরে চলে গেছে। তাই সতর্ক হোন। নিজেকে বুঝার চেষ্টা করুন। নিজেকে নিজের আয়েত্বে রাখুন। আপনার জীবনটা আপনারই।

মনোবিজ্ঞানে মস্তিস্কের শনাক্ত করার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে গবেষণা, পর্যবেক্ষণ এবং ইমেজিং স্ক্যানিং সহ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। MRI (Magnetic Resonance Imaging), CT scan (Computed Tomography), EEG (Electroencephalogram), PET scan (Positron Emission Tomography) ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা হয় মস্তিস্কের অবস্থান ও কার্যাবলী নির্ধারণে। এই স্ক্যানিং পদ্ধতিগুলি মস্তিস্কের আনুমানিক অবস্থান এবং কার্যাবলীর উপর আলোকপাত করে এবং মস্তিস্কের বিভিন্ন অংশের ক্ষমতা এবং সংযোগস্থলের কার্যক্ষমতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও মানুষ মস্তিস্কের কথা বা মনোবিজ্ঞানিক ধারণা শোনা বা বোঝা সম্পর্কে সাধারণভাবে, মনোবিজ্ঞানের সম্পর্কে সাক্ষাৎকার করা, সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর দেখা, মনোবিজ্ঞান নিয়ে পুস্তিকা পড়া, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন করা এবং মনোবিজ্ঞানে সম্পর্কিত মাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্ত করা হতে পারে। আরও পেশাদার উপায়ে, যেমন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা পরামর্শদাতা মানুষকে মস্তিস্কের বিষয়ে সাথে কাজ করা হতে পারে।


মস্তিস্ক   মনোবিজ্ঞানে   কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স   প্রাণিজগত  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

আপনি বদলান বিপরীতের মানুষ নয়

প্রকাশ: ০৮:৩৫ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

মানুষের পরিবর্তন হওয়া নিয়ে আমরা প্রতিনিয়তই শুনতে পাই। বছরের পর বছর যেভাবে কাউকে দেখছেন, হয়ত হঠাৎ করেই তিনি হয়ে যেতে পারেন ‘অচেনা’। আচরণ থেকে শুরু করে বদলে যায় অনেক কিছুই। মানুষের এই হঠাৎ ‘বদল’ বিস্ময়কর হলেও বদলে যায় মানুষের চলা, কিংবা কথাবলার ধরন বা তার ব্যবহার।

বিজ্ঞান বলছে, বদলে যাওয়াটা কোনো সহজ কিছু নয়। এখনকার ‘অচেনা’ মানুষটি হয়ত তার নিজ স্বভাবেই আছেন, তাকে চেনার ভুলটি করছেন আপনি নিজেই।

মানুষের বদলানোর কাজটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফল করতে দরকার ব্যক্তির সচেতন চেষ্টা। খুব কম মানুষই পারেন এই কাজটি, ফলে বেশিরভাগ মানুষ জীবন কাটিয়ে দেন একমুখী বৈশিষ্ট্য নিয়ে। তাদের সেই সহজাত বৈশিষ্ট্যকে অনেক সময় আমরা চিনতে ভুল করি বলেই পরে ভাবি, ‘মানুষটি বদলে গেছে’।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, মাঝে মাঝে বদলে গেলে বাস্তবতাও উপলব্ধি করা যেতে পারে। আপনি বুঝে যাবেন আর ওইসব মানুষদের দেখতে পাবেন যারা কখনোই আপনার কাছের মানুষ ছিলো না। অথচ তারাই সবসময় দাবী করে তারা আপনার খুব কাছের। একদম আত্মার আত্মীয়।

আপনি চাইলেও তাদের থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারবেন না কারণ আপনি তাদের মত না। আপনি একদম আলাদা। এটা বলা যায় না যে আপনি খুব ভালো মানুষ কিন্তু আপনি সত্যিই আলাদা। আপনি তাদের মূল্যায়ন করেন মানুষ হিসেবে কিন্তু তারা আপনাকে মূল্যায়ন করবে যন্ত্রের মত করে। অনেকটা পুতুলও ভাবতে পারেন। 

সর্বোপরি, মানুষ প্রিয়জনদের কাছে প্রয়োজনটাই বেশি থাকে। আর এভাবেই চলতে থাকবে। আপনাকে তারা কখনোই আপনার মত করে বুঝতে চায় নি। তারা আপনাকে একদমই যে বোঝে না তাও কিন্তু নয়। তারাও আপনাকে বোঝে কিন্তু তাদের মত করে। আপনি কি বলতে চাইছেন বা কি করতে চাইছেন এটা কেবল আপনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। 

আপনি তাদের ভালোবাসবেন আগের মতই কিন্তু তাদের জন্য আপনার মধ্যে থাকা সেই ফিলিংস গুলো ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে থাকবে। একটা সময় আপনিই থেকে যাবেন কিন্তু তারা কেউই আর থাকবে না। আর এটাই চিরন্তন ধ্রুব সত্য।

মনোবিজ্ঞান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন