লিট ইনসাইড

বইমেলায় করোনা আতঙ্কে প্রকাশকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

প্রকাশ: ০৮:৫২ এএম, ২৯ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail বইমেলায় করোনা আতঙ্কে প্রকাশকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

অপেক্ষার প্রহর কদাচিৎ মধুর-তিক্ত দুটোই হলেও বইমেলার ক্ষেত্রে অপেক্ষাটা মধুরই হয়। মাসব্যাপী এই গ্রন্থমেলার মধুর স্বাদ পেতে সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন বইপ্রেমীরা। কেননা এই মেলা লেখক-পাঠক-প্রকাশকের মিলনমেলা। আর মাত্র কয়েকদিন পরই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ তো বটেই, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানও বইপ্রেমীদের পদচারণে মুখরিত থাকবে। যারা নিয়মিত বই পড়েন না, তারাও অন্তত একবারের জন্য হলেও আসবেন নতুন কোনো বই এসেছে কি না সেই খোঁজ নিতে। বাংলা একাডেমি আয়োজিত এই মেলা শুধু বইয়ের প্রচার কিংবা বিক্রি নয়, এটি আজ পরিণত হয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসবে।

বইমেলাকে ঘিরে এবার প্রকাশকরাও বেশ ব্যস্ত। অন্তত গতবারের তুলনায় এবার বেশি বই প্রকাশের কথা জানিয়েছেন বেশ কিছু প্রকাশক। তবে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের মতো এবারও বইমেলায় অংশগ্রহণেচ্ছু প্রকাশকরা দুশ্চিন্তায় আছেন।

একাধিক প্রকাশক জানিয়েছেন, সংক্রমণ আরও বাড়লে মেলা হবে কি না, হলেও জমবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। সংক্রমণ বাড়া অব্যাহত থাকলে ভয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বইমেলায় অনেকেই আসবেন না। বিশেষ করে এরই মধ্যে মেলা দু'সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ায় তা আরও বেশি করে ভাবাচ্ছে প্রকাশকদের। তবে আশাও ছাড়তে চাইছেন না তারা।

অন্বেষা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, কোভিডের কারণে গতবার যেহেতু আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম, সে কারণে এবারের মেলা নিয়ে আমাদের একটু বেশি প্রত্যাশা ছিল। তবে এবারও করোনার থাবা আমাদের প্রত্যাশাকে হতাশার ছায়ায় ঢেকে দিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা গেলে এবারের মেলায় করোনা কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারবে না বলেই আমি মনে করি।

এবার বেশি বই প্রকাশের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, গতবারের চেয়ে প্রায় সবাই এবার বেশি বই প্রকাশের প্রস্তুতি নিয়েছেন। আমার প্রকাশনা সংস্থা থেকে এবার ৫০টির মত নতুন বই প্রকাশ হবে। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ১২ খণ্ডে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ’ এর সংকলনগ্রন্থ।

অন্যপ্রকাশের নির্বাহী পরিচালক মাযহারুল ইসলাম বলেন, মেলার দর্শনার্থী, পাঠক, ক্রেতা ও বিক্রেতা সবাইকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা উচিত। এবারের মেলায় আমাদের প্রতিষ্ঠান অন্যপ্রকাশ নতুন শতাধিক বই প্রকাশ করছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান স্যার সম্পাদিত ‘কিংবদন্তী’ বইটি আমাদের বিশেষ বইয়ের তালিকায় রয়েছে। মৃত্যুর আগেই স্যার বইটি সম্পাদনা করে গেছেন।

আগামী প্রকাশনীর ওসমান গণি বলেন, গতবছর প্রকাশকরা বইমেলা থেকে তাদের খরচও ওঠাতে পারেননি। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিও জটিল। এমন অবস্থায় মেলা করে খুব একটা লাভ হবে তা ভাবার নেই। মেলা নিয়ে প্রকাশকদের ভাবা উচিত। এই অবস্থায় মেলা না করাই ভালো এবং গতবারের মতো টাকা না ওঠার বিষয় আছে। পরপর দু'বছর প্রকাশকদের এভাবে ক্ষতির মুখে ঠেলে দেওয়া উচিত না। বিশেষ করে মেলা শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন নির্দেশনা যেমন- আজ চারটা পর্যন্ত, আজ তিনটা পর্যন্ত নিয়ম বেঁধে দেওয়া সুখকর নয়। আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারতে কলকাতা বই মেলাও একবার বন্ধ ছিল। তাতে খুব বড় ক্ষতি হয়নি- এ বিষয়গুলো আমাদের ভাবা উচিত।

তিনি বলেন, এটা ঠিক যে বইমেলাকে কেন্দ্র করে অনেক নতুন বই আসে, প্রকাশ হয়। তবে যারা প্রকৃত প্রকাশক তারা সারাবছরই বই প্রকাশ করেন। আমার প্রকাশনী থেকেও প্রায় ৪০টি নতুন বই প্রকাশ হয়েছে।

এদিকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, গত বছরের মতো এবারও বিশাল আয়তনজুড়ে মেলার অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। উদ্যানের পূর্ব ও পশ্চিম এবং দক্ষিণ দিকে শ্রমিকরা মাটিতে বাঁশের খুঁটি গেড়ে ছোট ও বড় স্টলের ফ্রেম তৈরি করছেন। গোটা উদ্যান জুড়ে বৃহৎ কর্মযজ্ঞ।

এর আগে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অমর একুশে বইমেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় তা দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। দুই সপ্তাহ পর কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। আর যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিতব্য বইমেলাতে প্রবেশের ক্ষেত্রে করোনার টিকা সনদ ও কোভিড টেস্টের সনদ প্রদর্শন করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বইমেলা   প্রকাশক   করোনাভাইরাস  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন