নাগরিক কবি জন্মদিন শ্রদ্ধা স্মরণ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যান্ড জগতের কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে এইবার বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে "রূপালি গিটার"। বইটি প্রকাশিত
হয়েছে আজব প্রকাশনী থেকে এবং সংকলন ও সম্পাদনায় রয়েছে সংগীতশিল্পী,
লেখক ও প্রকাশক জয়
শাহরিয়ার। কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের আত্নকথনমূলক জীবনী
গ্রন্থের পর কিংবদন্তিদের জীবনীগ্রন্থ
নিয়ে এটি তার দ্বিতীয় বই।
১৩৯ পাতার এই বইয়ে আছে আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত সাক্ষাৎকার, বিভিন্ন সময়ে আলোচিত তার প্রায় ৬০০ গানের তথ্য এবং তার জীবনের নানান দিক নিয়ে তার কাছের মানুষদের স্মৃতিকথন৷ বইয়ের একদম শুরুতেই আছে খ্যাতিমান ও ভিন্ন ধারার গীতিকবি শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর 'বাচ্চুর সেই সময়' শীর্ষক স্মৃতিকথন। আছে কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে স্মৃতিকথন 'বাচ্চু আমার বন্ধু'। এছাড়াও রয়েছে একাধিক স্মৃতিকথন।
আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন বাংলা রক ব্যান্ড জগৎ এর কিংবদন্তী একজন পুরূষ। যাদের হাত ধরে দেশীয় ব্যান্ড সংগীত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাদের একজন ছিলেন তিনি।
চার দশকের নিরবিচ্ছিন্ন সংগীতজীবনে আইয়ুব বাচ্চুর কথা, সুর ও সংগীতায়োজন ও কন্ঠে তৈরী হয়েছে হাজার হাজার গান। নিজের ব্যান্ড এল আর বি নিয়ে বাংলা গানের প্রসারে তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। শয়ের অধিক শিল্পীর কন্ঠে তিনি তুলে দিয়েছেন নিজের গান। নিজের সৃষ্টি দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীত। তাই রুপালি গিটার ফেলে চলে গেলেও আমাদের সবার প্রিয় আইয়ুব বাচ্চু বা এবি, কিন্তু আজও প্রাণবন্ত হয়ে আছেন আমাদের মত সকল ভক্তদের হৃদয়ে, আছেন প্রতিদিনের চর্চায়, ভালোবাসায়, শ্রদ্ধায়, স্মরনে। আইয়ুব বাচ্চুর জীবনিকেন্দ্রিক এই বই উৎসর্গ করা হয়েছে বিশ্বজুড়ে সকল আইয়ুব বাচ্চুর ভক্তদের। অকালে ঝরে পড়া বাংলা গানের এই প্রবাদ পুরুষের প্রতি চিরকাল ঋণী থাকবে বাংলা রক। অকালে ঝরে পড়ায় তার থেকে শোনা হয়নি তার আইয়ুব বাচ্চু হয়ে উঠার গল্প। তবু ও জয় শাহরিয়ার এর প্রচেষ্টায় তার সম্পর্কে তার কাছের মানুষদের স্মৃতিকথন নিয়ে সংকলিত হয়েছে 'রূপালী গিটার'। যারা প্রিয় সংগীতশিল্পীর জীবনের নানা অপ্রকাশিত তথ্য সম্পর্কে জানতে উদগ্রীব তারা এই বই পড়ে জানতে পারবে আইয়ুব বাচ্চুর জীবন সম্পর্কে নানান তথ্য।
মন্তব্য করুন
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কমিটি ২০২২’র সদস্যদের সম্মতিক্রমে এবং বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২২’ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর ১৫ জনকে পুরস্কার দেওয়া হবে।
২৫ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেবেন।
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২২ প্রাপ্তরা হলেন, কবিতায় ফারুক মাহমুদ ও তারিক সুজাত, কথাসাহিত্যে তাপস মজুমদার ও পারভেজ হোসেন, প্রবন্ধ বা গবেষণায় মাসুদুজ্জামান, অনুবাদে আলম খোরশেদ, নাটকে মিলন কান্তি দে ও ফরিদ আহমদ দুলাল, শিশুসাহিত্যে ধ্রুব এষ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় মুহাম্মদ শামসুল হক, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় সুভাষ সিংহ রায়, বিজ্ঞান বা কল্পবিজ্ঞান বা পরিবেশ বিজ্ঞানে মোকারম হোসেন, আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা বা ভ্রমণকাহিনিতে ইকতিয়ার চৌধুরী, ফোকলোরে আবদুল খালেক ও মুহম্মদ আবদুল জলিল।
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২২ বইমেলা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৪ তম জন্মদিন আজ। হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। টিভিতে প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। চ্যানেল আই আয়োজন করেছে হিমু মেলার।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর লেখকের
ধানমন্ডির ‘দখিন হাওয়া’ জন্মদিনের কেক ফ্ল্যাটে কাটা হয়েছে। হুমায়ূনকে স্মরণ
করে দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে কেক কেটেছেন লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। অন্যদিকে,
রাত ১২টা ১ মিনিটে নুহাশ পল্লীতে মোমবাতি জ্বালানো হয়। রবিবার ভোরে শাওন তার দুই ছেলেকে
নিয়ে যাবেন হুমায়ূনের স্মৃতিধন্য গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামের নূহাশ পল্লীতে। সেখানে
লেখকের সমাধিতে নিবেদন করবেন ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি। এছাড়া কেকও কাটবেন।
১৯৪৮ সালের আজকের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ
করেন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। বাবা ফয়জুর রহমান
আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, আর মা ছিলেন গৃহিণী। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার
বড়। খ্যাতিমান কম্পিউটারবিজ্ঞানী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
এবং জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল তার ছোট ভাই। সবার ছোট ভাই আহসান হাবীব নামকরা
কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক।
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ
তিনি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পদক ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি
পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩),
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৩৯ পাতার এই বইয়ে আছে আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত সাক্ষাৎকার, বিভিন্ন সময়ে আলোচিত তার প্রায় ৬০০ গানের তথ্য এবং তার জীবনের নানান দিক নিয়ে তার কাছের মানুষদের স্মৃতিকথন৷ বইয়ের একদম শুরুতেই আছে খ্যাতিমান ও ভিন্ন ধারার গীতিকবি শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর 'বাচ্চুর সেই সময়' শীর্ষক স্মৃতিকথন। আছে কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে স্মৃতিকথন 'বাচ্চু আমার বন্ধু'। এছাড়াও রয়েছে একাধিক স্মৃতিকথন।