লিট ইনসাইড

আইয়ুব বাচ্চুর জীবনকেন্দ্রিক বই 'রূপালী গিটার'

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ ব্যান্ড জগতের কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে এইবার বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে "রূপালি গিটার"। বইটি প্রকাশিত হয়েছে আজব প্রকাশনী থেকে এবং সংকলন ও সম্পাদনায় রয়েছে সংগীতশিল্পী, লেখক ও প্রকাশক জয় শাহরিয়ার। কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের আত্নকথনমূলক জীবনী গ্রন্থের পর কিংবদন্তিদের জীবনীগ্রন্থ নিয়ে এটি তার দ্বিতীয় বই।

১৩৯ পাতার এই বইয়ে  আছে আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত সাক্ষাৎকার, বিভিন্ন সময়ে আলোচিত তার প্রায় ৬০০ গানের তথ্য এবং তার জীবনের নানান দিক নিয়ে তার কাছের মানুষদের স্মৃতিকথন৷ বইয়ের একদম শুরুতেই আছে খ্যাতিমান ও ভিন্ন ধারার গীতিকবি শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর 'বাচ্চুর সেই সময়' শীর্ষক স্মৃতিকথন। আছে কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে স্মৃতিকথন 'বাচ্চু আমার বন্ধু'।  এছাড়াও রয়েছে একাধিক স্মৃতিকথন।

আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন বাংলা রক ব্যান্ড জগৎ এর কিংবদন্তী একজন পুরূষ। যাদের হাত ধরে দেশীয় ব্যান্ড সংগীত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাদের একজন ছিলেন তিনি।

 চার দশকের নিরবিচ্ছিন্ন সংগীতজীবনে আইয়ুব বাচ্চুর কথা, সুর ও সংগীতায়োজন ও কন্ঠে তৈরী হয়েছে হাজার হাজার গান। নিজের ব্যান্ড এল আর বি নিয়ে বাংলা গানের প্রসারে তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। শয়ের অধিক শিল্পীর কন্ঠে তিনি তুলে দিয়েছেন নিজের গান। নিজের সৃষ্টি দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীত। তাই রুপালি গিটার ফেলে চলে গেলেও আমাদের  সবার প্রিয় আইয়ুব বাচ্চু বা এবি, কিন্তু আজও  প্রাণবন্ত হয়ে আছেন আমাদের মত সকল ভক্তদের হৃদয়ে, আছেন প্রতিদিনের চর্চায়, ভালোবাসায়, শ্রদ্ধায়, স্মরনে। আইয়ুব বাচ্চুর জীবনিকেন্দ্রিক এই বই উৎসর্গ করা হয়েছে বিশ্বজুড়ে সকল আইয়ুব বাচ্চুর ভক্তদের।  অকালে ঝরে পড়া বাংলা গানের এই প্রবাদ পুরুষের প্রতি চিরকাল ঋণী থাকবে বাংলা রক। অকালে ঝরে পড়ায় তার থেকে শোনা হয়নি তার আইয়ুব বাচ্চু হয়ে উঠার গল্প। তবু ও জয় শাহরিয়ার এর প্রচেষ্টায় তার সম্পর্কে তার কাছের মানুষদের স্মৃতিকথন নিয়ে সংকলিত হয়েছে 'রূপালী গিটার'। যারা প্রিয় সংগীতশিল্পীর জীবনের নানা অপ্রকাশিত তথ্য সম্পর্কে জানতে উদগ্রীব তারা এই বই পড়ে জানতে পারবে আইয়ুব বাচ্চুর জীবন সম্পর্কে নানান তথ্য।



মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

তিনটি বইয়ের জন্য ‘বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার’-এ ভূষিত বঙ্গবন্ধু

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail তিনটি বইয়ের জন্য ‘বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার’-এ ভূষিত বঙ্গবন্ধু।

ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার (এফওএসডব্লিউএএল) বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার তিনটি বইয়ের জন্য ‘বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করেছে। সার্ক সাহিত্য পুরস্কার হল ২০০১ সাল থেকে ফাউন্ডেশন অফ সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার প্রদত্ত একটি বার্ষিক পুরস্কার। বঙ্গবন্ধুর তিনটি বই হলো- অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা এবং আমার দেখা নয়াচীন ১৯৫২।

রোববার (২৬ মার্চ) প্রখ্যাত পাঞ্জাবি ঔপন্যাসিক এবং এফওএসডব্লিউএএল -এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অজিত কৌর আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনের আঞ্চলিক সম্মেলনে সফররত বাংলাদেশি লেখক ও গবেষক রামেন্দু মজুমদার এবং মফিদুল হকের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আজ রবিবার সকালে শুরু হয়েছে এফওএসডব্লিউএএল -এর তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক সাহিত্য সম্মেলন। সম্মেলনে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক বিশিষ্ট লেখক-সাহিত্যিক অংশগ্রহণ করছেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে সম্মেলনের উদ্বোধনের তাৎপর্য বর্ণনা করে অজিত কাউর এর আগে এক বার্তায় লিখেছিলেন যে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় কোনো ছোট ঘটনা ছিল না।

তিনি আরও লিখেন, বাংলা জাতির পিতার দৃঢ় প্রত্যয়ের সবচেয়ে অনন্য সাহসিকতার মাধ্যমে এটি একটি অনন্য কৃতিত্ব ছিল- যাকে ভালোবাসায় ‘বঙ্গবন্ধু’ বলা হয়। যিনি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষা রক্ষার জন্য সিংহের মতো লড়াই করেছিলেন। যে কোনো মানুষের জীবনের চেয়েও একটি দেশের মর্যাদা সংরক্ষণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ!

মিসেস কাউর লিখেন, বিশ্বজুড়ে মানুষ ভূমি ও অঞ্চলের জন্য, বিদেশি নিপীড়ক বা রাজা ও স্বৈরশাসকদের কাছ থেকে তাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল ভিন্ন ও অনন্য। কারণ এটি ছিল ‘মানুষের প্রাণবন্ত আত্মা’ সংরক্ষণ যা- শুধুমাত্র তার নিজস্ব সংস্কৃতি এবং নিজস্ব ভাষায় স্পন্দিত এবং বিকাশ লাভ করে!

বার্তায় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে না থাকলেও তিনি আমাদের জন্য তিনটি মূল্যবান ও চিন্তাশীল বই রেখে গেছেন। তাই এই মহান মানবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাকে (বঙ্গবন্ধু) এফওএসডব্লিউএএল সাহিত্য উৎসব-২০২৩-এর সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ থেকে এফওএসডব্লিউএএল আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন বিশিষ্ট লেখক সেলিনা হোসেন, রামেন্দু মজুমদার, মহিদুল হক ও মোহিত কামাল। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ এবং হাইকমিশনের পক্ষে কনস্যুলার (রাজনৈতিক) সফিউল আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


তিনটি বই   বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার   ভূষিত   বঙ্গবন্ধু  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

দেশের সেরা ১০ বই

প্রকাশ: ০৫:১২ পিএম, ১২ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

‘চেতনায় ঐতিহ্য’ শ্লোগানকে ধারণ করে ‘দেশ পাবলিকেশন্স’ পথ চলছে একযুগ ধরে। দেশ প্রতিবছর নির্বাচিত বই প্রকাশ করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় অমর একুশে বইমেলায় (২০২৩) ‘দেশ পাবলিকেশন্স’ প্রকাশ করেছে ৫৭টি নতুন বই। প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে বিক্রির শীর্ষে থাকা ‘দেশের সেরা ১০ বই’ শিরোনামে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে দেশ পাবলিকেশন্স।

দেশ-এর সেরা ১০টি বই- আনায়ার হোসেন এর গল্পগ্রন্থ ‘নিদাঘ’, জাহারা মিতুর কবিতার বই ‘কবিতার নাম প্রেমিকা’, রিক্তা রিচির ‘আমাকে লিখে রাখো’, সৈয়দা রোজীর ‘হিজল জলে ফাঁদ’, মুনীর আহমেদ ‘ গভীর বিশ্বাসের প্রহর’, মমতাজ বেগমের ‘গহিনের রোদন’, খোন্দকার শাহ্ আলমের ভিন্ন ধরণের উপন্যাস ‘হ্যালো আমরিন’, মোস্তফা মাসুম তৌফিকের কবতিার বই ‘কোন বনে পালিয়ে যাই’, সাকিনা কাইউমের ‘আমারে ছাইড়া কই যাও  পাগল’ এবং জহরত আরার ইতিহাস ভিত্তিক উপন্যাস ‘গডমাদার’।

দেশের সেরা ১০ তালিকা প্রকাশ করে দেশ পাবলিকেশন্সের প্রকাশক কবি-সাংবাদিক অচিন্ত্য চয়ন বলেন, বিগত বছরগুলোর মতোই তরুণদের প্রেরণা দেওয়ার জন্যই দেশের সেরা ১০ বই নির্বাচন করা হয়েছে। সেরা ১০ ছাড়াও অনেক তরুণের বই বেশ ভালো বিক্রি হয়েছে। এই ১০ জনের বাহিরের বইগুলো যে খারাপ বই তা নয়। আমরা নির্বাচিত বই করেছি। তবে বিক্রির উপর নির্ভর করে এই সেরা দশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আশা করি সবাই ইতিবাচক হিসাবেই দেখবেন। সবাই পাশে থাকলে আগামীতে আরো ভালো কাজ করার ইচ্ছে আছে। অন্যদিকে চলতি মাসে  দেশের যুগপূর্তি হচ্ছে। নতুন চিন্তায় কিছু কাজ করতে চাই। বিশেষ করে ‘দেশ সাহিত্য উৎসব’ করে শিল্প-সাহিত্যের বিভন্ন শাখায় ১২ গুণীজনকে সম্মান করতে চাই। দেশ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করতে চাই। সবাই দেশের সঙ্গেই থাকুন। সবার সহযোগিতা নিয়েই দেশ পথ চলছে ১২ বছর হলো। আগামীতে আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।


বইমেলা   জাহারা মিতু  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বইমেলায় ওয়াসীম পলাশের গল্পগ্রন্থ 'জানালাবিহীন ঘর'

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ওয়াসীম পলাশের গল্পগ্রন্থ জানালাবিহীন ঘর। বইটি প্রকাশ করেছে কাগজা প্রকাশন। ১০ টি গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে এই বইটি। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সব্যসাচী হাজরা। মূল্য ২৩০ টাকা।

ওয়াসীম পলাশ বইটি সম্পর্কে বলেন, "আসলে আমরা তো একটা বদ্ধ সময়ের মধ্যে আছি। মাঝে মাঝে আমাদের দম বন্ধ হয়ে আসে, নি:শ্বাস নিতে পারি না। এখানে মূলত রাজনৈতিক-সামাজিক যে সংকট আমাদের রয়েছে, ভূবনবিহীন মানুষের সংকট, সর্বোপরি বৈশ্বিক সংকটই আমি উঠিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। এই যে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন বা অগ্রগিত, এর কারণেই অনেক মানুষ প্রান্তিক হয়ে গেছে, বিপন্ন হয়ে গেছে। পৃথিবীজুড়ে এই সংকটাপন্ন মানুষগুলো একই দুর্দশায় আবদ্ধ। সেই কথাগুলোই আমি আমার গল্পে বলতে চেয়েছি।"

বইটির পাঠকপ্রিয়তা নিয়ে লেখক বলেন, "আমার বইটি মেলায়ায় একটু দেরিতে এসেছে। গত সপ্তাহে এসেছে৷ বইটি। এই এক সপ্তাহেই বইটিকে পাঠক যেভাবে গ্রহণ করেছে তাতে আমি আপ্লুত।"

লেখক ওয়াসীম পলাশ পেশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক। বর্তমানে তিনি সেপিয়েঞ্জা ইউনিভার্সিটি অফ রোমের রিসার্চ স্কলার।



মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে শফিক হাসানের ৪ টি নতুন বই

প্রকাশ: ০৮:২৬ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

এবার অমর একুশে বইমেলায় শফিক হাসানের ৪ টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। বইগুলোর নাম ফরমালিনের রাজ্যে ফল চিরঞ্জীব’, অটোগ্রাফের ফাঁদে, ঘুমের বাদ্যে রাষ্ট্র নাচে, মানুষও উড়বে আকাশে। 

ফরমালিনের রাজ্যে ফল চিরঞ্জীব বইটি একটি রম্যরচনা। বইটি প্রকাশ করেছে চন্দ্রবিন্দু প্রকাশনা। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন লুৎফিরুনা। বইটির মুদ্রিত মূল্য ২৮০ টাকা। ‘অটোগ্রাফের ফাঁদে’ বইটি একটি রম্যগল্প সংকলন। এই বইটি প্রকাশ করেছে টাঙ্গন প্রকাশনা। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন উন্মাদ পত্রিকার সম্পাদক আহসান হাবিব। এই বইটির মুদ্রিত মূল্য ৩০০ টাকা। ঘুমের বাদ্যে রাষ্ট্র নাচে বইটি মূলত কাব্যগ্রন্থ। এই বইটির প্রচ্ছদ করেছেন আল নোমান। বইটির মূদ্রিত মূল্য ৩০০ টাকা। মানুষও উড়বে আকাশে একটি শিশুতোষ গল্পের বই। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ছোটদের সময় প্রকাশনা থেকে।



ফরমালিনের রাজ্যে ফল চিরঞ্জীব বইটি নিয়ে লেখক বলেন, ‘দৈনিক প্রথম আলোর আল-পিন, সমকালের প্যাঁচাল ইত্যাদি ফান ম্যাগাজিনগুলোতে বিভিন্ন সময়ে আমি বিভিন্ন ইস্যুতে এই লেখাগুলো লিখেছিলাম। দুর্নীতি, সামাজিক অস্থিরতা – এধরণের বিভিন্ন ইস্যুতে তাৎক্ষণিক যে প্রতিক্রিয়া নিয়ে লেখা এ বইয়ের লেখাগলো। এগুলো নিয়ে বই করবো এমন ইচ্ছা ছিলো না।’



অটোগ্রাফের ফাঁদে বইটির গল্পগুলো নিয়ে লেখক বলেন, ‘সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে স্যাটায়ার করে এই বইয়ের সবগুলো গল্প লেখা। দুইটি গল্প নিয়ে একটু করে বলি। এই বইয়ের প্রথম গল্পের নাম “বেস্ট সেলার ব-কলম লেখক”। এই গল্পটি বইমেলায় আমাদের সবার পরিচিত একটি বিষয় নিয়ে লেখা। বইমেলায় দেখা যায় স্টলের সামনে লেখক থাকেন। দেখা যায় সেই লেখকেরা তাঁর চেনা-পরিচিত মানুষদের পাকরাও করার চেষ্টা করেন। বই কিনতে পরোক্ষ ভাবে চাপ দেন বা বাধ্য করেন। তখন ওই পরিচিত ব্যক্তি একটি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। এই বিষয়টি খুবই অপ্রীতিকর। নানাভাবে কারসাজি করে লেখকেরা নিজের বইকে বেস্টসেলার বানানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বেস্টসেলার কি বানানোর বিষয়? এভাবে তো একটি বইকে বেস্টসেলার বানানো যায় না। এমনই আরও কিছু সামাজিক অনাচার বা ব্যধি নিয়ে স্যাটায়ার করে লেখা গল্প দিয়ে আমার এই বইটি সাজানো।’ 

তিনি আরও যোগ করেন, ‘রম্য রচনা আর রম্য গল্পকে কিন্তু অনেকে এক করে ফেলেন। তবে দুইটি বিষয় একেবারেই আলাদা। দুটোকে এক করে ফেলার কোনো সুযোগ নাই।’



কাব্যগ্রন্থ ‘ঘুমের বাদ্যে রাষ্ট্র নাচে’ নিয়ে তিনি বলেন, ‘মূলত আমি গদ্যই লিখি। তবে, বিভিন্ন সময় বিচ্ছিন্নভাবে আমার কিছু কবিতা লেখা ছিলো। আর বর্তমান পরিস্থিতির যে অস্থিরতা, এই অস্থিরতায় আমি স্থির থাকতে পারিনি। কিছু লেখা সময় আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছে। এই বইয়ের কবিতাগুলোতে উঠে এসেছে রাষ্ট্রের কথা, মানুষের কথ, মানুষের অধিকারের কথা। মোটা দাগে মানুষের কথাই আমি বলতে চেয়েছি এই কবিতাগুলোতে।রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক শোবো বিষয়গুলোই তুলে ধরতে চেয়েছি।’



শিশুতোষ বই ‘মানুষও উড়বে আকাশে’-এর ব্যাপারে লেখক বলেন, ‘বাচ্চাদের বইতে তো খুব বেশী কঠিন কথা লিখার সুযোগ নেই। বাচ্চারা আসলে চারপাশকে কীভাবে দেখে, একটি বাচ্চার দৃষ্টিতে দেশের সামাজিক অবস্থানটাই আমি এই বইয়ে তুলে আনতে চেয়েছি। যে বাচ্চা এই বইটি পড়বে সে একটা মূলয়বোধ অর্জন করতে পারে এখান থেকে সেটাই চাই।’

‘ফরমালিনের রাজ্যে ফল চিরঞ্জীব’, অটোগ্রাফের ফাঁদে’, ‘ঘুমের বাদ্যে রাষ্ট্র নাচে’, ‘মানুষও উড়বে আকাশে’ বইগুলো অমর একুশে গ্রন্থমেলায় পাওয়া যাবে যথাক্রমে ৬৫-৬৬(চন্দ্রবিন্দু), ৩২১(টাঙ্গন), ৪১৭-১৮-১৯(দেশ পাবলিকেশন্স) ও ৪৭৩(ছোটদের সময়) নম্বর স্টলে।

বইমেলা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

শেষের দশ দিনে বিক্রি বেড়েছে বইমেলায়; সন্তুষ্ট বিক্রেতারা

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

বইমেলার শেষ সময়ে বেচা-বিক্রিতে হাসি ফুটেছে প্রকাশকদের মুখে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাবসায়িক হিসেবে বইমেলা জমেনি বলে শোনা যাচ্ছিলো। তবে মেলার ২৬ তম দিনে সার্বিক বেচা-বিক্রিতে সন্তুষ্ট প্রকাশকরা।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩ এর শুরু থেকে ২১ এ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বইমেলায় বিকি-কিনি নিয়ে অসন্তোষ ছিলো প্রকাশকদের। বৈশ্বিক সংকটের এ সময়ে কাগজ থেকে শুরু করে প্রকাশনা খাতের সাথে যুক্ত সবকিছুর মূল্য বেড়ে যাওয়ায় গত বছরগুলোর তুলনায় এবছর বইয়ের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক শতাংশ। একইসাথে ক্রয়ক্ষমতা কমেছে জনসাধারণের। সব মিলয়ে এবছর বইমেলায় বইয়ের বাজার কিছুটা মন্দাই যাচ্ছিলো। তবে মেলা শেষের সময়ে সেই মন্দা কাটিয়ে বই কিনছেন পাঠকরা।

বইমেলার সার্বিক বিক্রি নিয়ে সন্তোষ জানিয়ে ছাপাখানার ভূত প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত রেদওয়ানুল ইসলাম বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, "আমাদের বিক্রি এবার অনেক ভালো। শুরুর দিকে কিছুটা কম হলেও গত এক সপ্তাহে বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। আমাদের একটি বই এর গত কয়েকদিন এতো চাহিদা ছিলো যে বই শেষ হয়ে যাওয়ায় পাঠককে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।"

একই সুরে গলা মিলিয়ে বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হায়দার হোসেন বলেন, "এবার বইমেলার অবস্থা গত বছরগুলোর তুলনায় ভালো। আমাদের বিক্রির যে প্রত্যাশা ছিলো তা আমরা পূরণ করতে পেরেছি। আশা করি সামনের দুইদিনও অনেক ভালো যাবে।"

শুধু প্রকাশক নন, শেষ সপ্তাহে বইমেলার এ পালটে যাওয়া চিত্রে খুশী লেখকরাও। দেরিতে আসলেও বইয়ের আশানুরূপ বিক্রি হয়েছে বলেই জানিয়েছেন লেখক মহসিন পলাশ। তিনি বলেন, "আমার বইটা বইমেলায় একটু দেরিতেই এসেছে। গত সপ্তাহে এসেছে বইটি। তবে এই এক সপ্তাহেই যে পরিমাণ সাড়া পেয়েছি তাতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি সামনের দুইদিনও একইভাবে সাড়া পাবো।"

বইমেলার শেষ দু'দিনের বিক্রি প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যাবে এমনই আশা করছেন প্রকাশক ও বিক্রেতারা।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন