লিট ইনসাইড

'অস্কারনামা’ নিয়ে বইমেলায় নাবিল

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

বিশ্বে চলচ্চিত্র বিষয়ক অন্যতম সেরা বার্ষিক পুরস্কার অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড বা অস্কারের সেরা চলচ্চিত্রগুলোর উপর বিশ্লেষণধর্মী একটি গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবারের ঢাকা অমর একুশে বইমেলায়। 'অস্কারনামা' শিরোনামের বইটি লিখেছেন মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল যা প্রকাশিত হয়েছে ‘শোভা প্রকাশ’ থেকে।

বইটি প্রসঙ্গে এর লেখক আলতামিশ নাবিল বলেন, ১৮৯৫ সালে ফ্রান্সে লুমিয়ের ব্রাদার্সের বানানো প্রামাণ্য ধাঁচের স্বল্পদৈর্ঘ্য বড়পর্দায় প্রদর্শনের মাধ্যমে পৃথিবীতে চলচ্চিত্র নামক নতুন এক শিল্পমাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়। এরপর চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কেটে গেছে একশো বছরের বেশী সময়। আইএমডিবির এক তথ্যমতে যেই ১৯০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বে প্রতিবছর গড়ে ২,৫৭৭ টি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। ক্ষুদ্র এই জীবনে সাধারণ দর্শকের পক্ষে এর ১ শতাংশ চলচ্চিত্র দর্শনও বাস্তবিকঅর্থে সম্ভব নয়। বিশ্বে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করতে চালু আছে নানা চলচ্চিত্র পুরস্কার। তন্মধ্যে অস্কার বা অ্যাকাডেমি পুরস্কার সর্বজনস্বীকৃত। অস্কারনামা বইটিতে ১৯২৯ সালে অস্কারের প্রথম আসরের সেরা ছবি ‘উইংস’ থেকে বইটি প্রকাশকাল পর্যন্ত সর্বশেষ অস্কারজয়ী সেরা ছবি ‘কোডা’ পর্যন্ত বিজয়ী সমস্ত সেরা চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য সিনেমাগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি লেখাগুলোর শেষে যুক্ত করা হয়েছে কিউআর কোড যার মাধ্যমে মোবাইলে স্ক্যান করেই পাঠকেরা দেখতে পারবে অস্কারজয়ী কালজয়ী চলচ্চিত্রগুলোর ট্রেলার।

আলতামিশ নাবিল নিয়মিত লেখালেখি ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি বিভাগীয় প্রধান হিসেবে বর্তমানে কর্মরত আছেন মিয়াকি নামের একটি বহুজাতিক আইসিটি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে।

এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক সংগঠন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা থেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন বি পজেটিভ ফাউন্ডেশন।

অস্কারনামা তাঁর প্রকাশিত পঞ্চম একক বই। এর আগে তিনি প্রকাশ করেছেন ‘মহারাজা তোমারে সেলাম’, 'লুমিয়ের থেকে হীরালাল', ‘লেট দেয়ার বি লাইট’ এবং ‘বাংলার চলচ্চিত্রপাঠ’। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সাজ্জাদুল ইসলাম সায়েম। বইমেলায় শোভা প্রকাশ (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, প্যাভিলিয়ন নম্বর ১১) বইটি পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া এটি কেনা যাবে বইয়ের জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট রকমারি ডট কমসহ দেশের সকল প্রধান বইঘর থেকে।



মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

দেশের সেরা ১০ বই

প্রকাশ: ০৫:১২ পিএম, ১২ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

‘চেতনায় ঐতিহ্য’ শ্লোগানকে ধারণ করে ‘দেশ পাবলিকেশন্স’ পথ চলছে একযুগ ধরে। দেশ প্রতিবছর নির্বাচিত বই প্রকাশ করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় অমর একুশে বইমেলায় (২০২৩) ‘দেশ পাবলিকেশন্স’ প্রকাশ করেছে ৫৭টি নতুন বই। প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে বিক্রির শীর্ষে থাকা ‘দেশের সেরা ১০ বই’ শিরোনামে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে দেশ পাবলিকেশন্স।

দেশ-এর সেরা ১০টি বই- আনায়ার হোসেন এর গল্পগ্রন্থ ‘নিদাঘ’, জাহারা মিতুর কবিতার বই ‘কবিতার নাম প্রেমিকা’, রিক্তা রিচির ‘আমাকে লিখে রাখো’, সৈয়দা রোজীর ‘হিজল জলে ফাঁদ’, মুনীর আহমেদ ‘ গভীর বিশ্বাসের প্রহর’, মমতাজ বেগমের ‘গহিনের রোদন’, খোন্দকার শাহ্ আলমের ভিন্ন ধরণের উপন্যাস ‘হ্যালো আমরিন’, মোস্তফা মাসুম তৌফিকের কবতিার বই ‘কোন বনে পালিয়ে যাই’, সাকিনা কাইউমের ‘আমারে ছাইড়া কই যাও  পাগল’ এবং জহরত আরার ইতিহাস ভিত্তিক উপন্যাস ‘গডমাদার’।

দেশের সেরা ১০ তালিকা প্রকাশ করে দেশ পাবলিকেশন্সের প্রকাশক কবি-সাংবাদিক অচিন্ত্য চয়ন বলেন, বিগত বছরগুলোর মতোই তরুণদের প্রেরণা দেওয়ার জন্যই দেশের সেরা ১০ বই নির্বাচন করা হয়েছে। সেরা ১০ ছাড়াও অনেক তরুণের বই বেশ ভালো বিক্রি হয়েছে। এই ১০ জনের বাহিরের বইগুলো যে খারাপ বই তা নয়। আমরা নির্বাচিত বই করেছি। তবে বিক্রির উপর নির্ভর করে এই সেরা দশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আশা করি সবাই ইতিবাচক হিসাবেই দেখবেন। সবাই পাশে থাকলে আগামীতে আরো ভালো কাজ করার ইচ্ছে আছে। অন্যদিকে চলতি মাসে  দেশের যুগপূর্তি হচ্ছে। নতুন চিন্তায় কিছু কাজ করতে চাই। বিশেষ করে ‘দেশ সাহিত্য উৎসব’ করে শিল্প-সাহিত্যের বিভন্ন শাখায় ১২ গুণীজনকে সম্মান করতে চাই। দেশ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করতে চাই। সবাই দেশের সঙ্গেই থাকুন। সবার সহযোগিতা নিয়েই দেশ পথ চলছে ১২ বছর হলো। আগামীতে আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।


বইমেলা   জাহারা মিতু  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বইমেলায় ওয়াসীম পলাশের গল্পগ্রন্থ 'জানালাবিহীন ঘর'

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ওয়াসীম পলাশের গল্পগ্রন্থ জানালাবিহীন ঘর। বইটি প্রকাশ করেছে কাগজা প্রকাশন। ১০ টি গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে এই বইটি। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সব্যসাচী হাজরা। মূল্য ২৩০ টাকা।

ওয়াসীম পলাশ বইটি সম্পর্কে বলেন, "আসলে আমরা তো একটা বদ্ধ সময়ের মধ্যে আছি। মাঝে মাঝে আমাদের দম বন্ধ হয়ে আসে, নি:শ্বাস নিতে পারি না। এখানে মূলত রাজনৈতিক-সামাজিক যে সংকট আমাদের রয়েছে, ভূবনবিহীন মানুষের সংকট, সর্বোপরি বৈশ্বিক সংকটই আমি উঠিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। এই যে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন বা অগ্রগিত, এর কারণেই অনেক মানুষ প্রান্তিক হয়ে গেছে, বিপন্ন হয়ে গেছে। পৃথিবীজুড়ে এই সংকটাপন্ন মানুষগুলো একই দুর্দশায় আবদ্ধ। সেই কথাগুলোই আমি আমার গল্পে বলতে চেয়েছি।"

বইটির পাঠকপ্রিয়তা নিয়ে লেখক বলেন, "আমার বইটি মেলায়ায় একটু দেরিতে এসেছে। গত সপ্তাহে এসেছে৷ বইটি। এই এক সপ্তাহেই বইটিকে পাঠক যেভাবে গ্রহণ করেছে তাতে আমি আপ্লুত।"

লেখক ওয়াসীম পলাশ পেশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক। বর্তমানে তিনি সেপিয়েঞ্জা ইউনিভার্সিটি অফ রোমের রিসার্চ স্কলার।



মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে শফিক হাসানের ৪ টি নতুন বই

প্রকাশ: ০৮:২৬ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

এবার অমর একুশে বইমেলায় শফিক হাসানের ৪ টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। বইগুলোর নাম ফরমালিনের রাজ্যে ফল চিরঞ্জীব’, অটোগ্রাফের ফাঁদে, ঘুমের বাদ্যে রাষ্ট্র নাচে, মানুষও উড়বে আকাশে। 

ফরমালিনের রাজ্যে ফল চিরঞ্জীব বইটি একটি রম্যরচনা। বইটি প্রকাশ করেছে চন্দ্রবিন্দু প্রকাশনা। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন লুৎফিরুনা। বইটির মুদ্রিত মূল্য ২৮০ টাকা। ‘অটোগ্রাফের ফাঁদে’ বইটি একটি রম্যগল্প সংকলন। এই বইটি প্রকাশ করেছে টাঙ্গন প্রকাশনা। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন উন্মাদ পত্রিকার সম্পাদক আহসান হাবিব। এই বইটির মুদ্রিত মূল্য ৩০০ টাকা। ঘুমের বাদ্যে রাষ্ট্র নাচে বইটি মূলত কাব্যগ্রন্থ। এই বইটির প্রচ্ছদ করেছেন আল নোমান। বইটির মূদ্রিত মূল্য ৩০০ টাকা। মানুষও উড়বে আকাশে একটি শিশুতোষ গল্পের বই। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ছোটদের সময় প্রকাশনা থেকে।



ফরমালিনের রাজ্যে ফল চিরঞ্জীব বইটি নিয়ে লেখক বলেন, ‘দৈনিক প্রথম আলোর আল-পিন, সমকালের প্যাঁচাল ইত্যাদি ফান ম্যাগাজিনগুলোতে বিভিন্ন সময়ে আমি বিভিন্ন ইস্যুতে এই লেখাগুলো লিখেছিলাম। দুর্নীতি, সামাজিক অস্থিরতা – এধরণের বিভিন্ন ইস্যুতে তাৎক্ষণিক যে প্রতিক্রিয়া নিয়ে লেখা এ বইয়ের লেখাগলো। এগুলো নিয়ে বই করবো এমন ইচ্ছা ছিলো না।’



অটোগ্রাফের ফাঁদে বইটির গল্পগুলো নিয়ে লেখক বলেন, ‘সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে স্যাটায়ার করে এই বইয়ের সবগুলো গল্প লেখা। দুইটি গল্প নিয়ে একটু করে বলি। এই বইয়ের প্রথম গল্পের নাম “বেস্ট সেলার ব-কলম লেখক”। এই গল্পটি বইমেলায় আমাদের সবার পরিচিত একটি বিষয় নিয়ে লেখা। বইমেলায় দেখা যায় স্টলের সামনে লেখক থাকেন। দেখা যায় সেই লেখকেরা তাঁর চেনা-পরিচিত মানুষদের পাকরাও করার চেষ্টা করেন। বই কিনতে পরোক্ষ ভাবে চাপ দেন বা বাধ্য করেন। তখন ওই পরিচিত ব্যক্তি একটি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। এই বিষয়টি খুবই অপ্রীতিকর। নানাভাবে কারসাজি করে লেখকেরা নিজের বইকে বেস্টসেলার বানানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বেস্টসেলার কি বানানোর বিষয়? এভাবে তো একটি বইকে বেস্টসেলার বানানো যায় না। এমনই আরও কিছু সামাজিক অনাচার বা ব্যধি নিয়ে স্যাটায়ার করে লেখা গল্প দিয়ে আমার এই বইটি সাজানো।’ 

তিনি আরও যোগ করেন, ‘রম্য রচনা আর রম্য গল্পকে কিন্তু অনেকে এক করে ফেলেন। তবে দুইটি বিষয় একেবারেই আলাদা। দুটোকে এক করে ফেলার কোনো সুযোগ নাই।’



কাব্যগ্রন্থ ‘ঘুমের বাদ্যে রাষ্ট্র নাচে’ নিয়ে তিনি বলেন, ‘মূলত আমি গদ্যই লিখি। তবে, বিভিন্ন সময় বিচ্ছিন্নভাবে আমার কিছু কবিতা লেখা ছিলো। আর বর্তমান পরিস্থিতির যে অস্থিরতা, এই অস্থিরতায় আমি স্থির থাকতে পারিনি। কিছু লেখা সময় আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছে। এই বইয়ের কবিতাগুলোতে উঠে এসেছে রাষ্ট্রের কথা, মানুষের কথ, মানুষের অধিকারের কথা। মোটা দাগে মানুষের কথাই আমি বলতে চেয়েছি এই কবিতাগুলোতে।রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক শোবো বিষয়গুলোই তুলে ধরতে চেয়েছি।’



শিশুতোষ বই ‘মানুষও উড়বে আকাশে’-এর ব্যাপারে লেখক বলেন, ‘বাচ্চাদের বইতে তো খুব বেশী কঠিন কথা লিখার সুযোগ নেই। বাচ্চারা আসলে চারপাশকে কীভাবে দেখে, একটি বাচ্চার দৃষ্টিতে দেশের সামাজিক অবস্থানটাই আমি এই বইয়ে তুলে আনতে চেয়েছি। যে বাচ্চা এই বইটি পড়বে সে একটা মূলয়বোধ অর্জন করতে পারে এখান থেকে সেটাই চাই।’

‘ফরমালিনের রাজ্যে ফল চিরঞ্জীব’, অটোগ্রাফের ফাঁদে’, ‘ঘুমের বাদ্যে রাষ্ট্র নাচে’, ‘মানুষও উড়বে আকাশে’ বইগুলো অমর একুশে গ্রন্থমেলায় পাওয়া যাবে যথাক্রমে ৬৫-৬৬(চন্দ্রবিন্দু), ৩২১(টাঙ্গন), ৪১৭-১৮-১৯(দেশ পাবলিকেশন্স) ও ৪৭৩(ছোটদের সময়) নম্বর স্টলে।

বইমেলা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

শেষের দশ দিনে বিক্রি বেড়েছে বইমেলায়; সন্তুষ্ট বিক্রেতারা

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

বইমেলার শেষ সময়ে বেচা-বিক্রিতে হাসি ফুটেছে প্রকাশকদের মুখে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাবসায়িক হিসেবে বইমেলা জমেনি বলে শোনা যাচ্ছিলো। তবে মেলার ২৬ তম দিনে সার্বিক বেচা-বিক্রিতে সন্তুষ্ট প্রকাশকরা।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩ এর শুরু থেকে ২১ এ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বইমেলায় বিকি-কিনি নিয়ে অসন্তোষ ছিলো প্রকাশকদের। বৈশ্বিক সংকটের এ সময়ে কাগজ থেকে শুরু করে প্রকাশনা খাতের সাথে যুক্ত সবকিছুর মূল্য বেড়ে যাওয়ায় গত বছরগুলোর তুলনায় এবছর বইয়ের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক শতাংশ। একইসাথে ক্রয়ক্ষমতা কমেছে জনসাধারণের। সব মিলয়ে এবছর বইমেলায় বইয়ের বাজার কিছুটা মন্দাই যাচ্ছিলো। তবে মেলা শেষের সময়ে সেই মন্দা কাটিয়ে বই কিনছেন পাঠকরা।

বইমেলার সার্বিক বিক্রি নিয়ে সন্তোষ জানিয়ে ছাপাখানার ভূত প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত রেদওয়ানুল ইসলাম বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, "আমাদের বিক্রি এবার অনেক ভালো। শুরুর দিকে কিছুটা কম হলেও গত এক সপ্তাহে বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। আমাদের একটি বই এর গত কয়েকদিন এতো চাহিদা ছিলো যে বই শেষ হয়ে যাওয়ায় পাঠককে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।"

একই সুরে গলা মিলিয়ে বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হায়দার হোসেন বলেন, "এবার বইমেলার অবস্থা গত বছরগুলোর তুলনায় ভালো। আমাদের বিক্রির যে প্রত্যাশা ছিলো তা আমরা পূরণ করতে পেরেছি। আশা করি সামনের দুইদিনও অনেক ভালো যাবে।"

শুধু প্রকাশক নন, শেষ সপ্তাহে বইমেলার এ পালটে যাওয়া চিত্রে খুশী লেখকরাও। দেরিতে আসলেও বইয়ের আশানুরূপ বিক্রি হয়েছে বলেই জানিয়েছেন লেখক মহসিন পলাশ। তিনি বলেন, "আমার বইটা বইমেলায় একটু দেরিতেই এসেছে। গত সপ্তাহে এসেছে বইটি। তবে এই এক সপ্তাহেই যে পরিমাণ সাড়া পেয়েছি তাতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি সামনের দুইদিনও একইভাবে সাড়া পাবো।"

বইমেলার শেষ দু'দিনের বিক্রি প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যাবে এমনই আশা করছেন প্রকাশক ও বিক্রেতারা।



মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বইমেলায় শাহরিয়ার সোহাগের উপন্যাস ‘প্রাক্তন'

প্রকাশ: ১২:৫৮ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

এবারের অমর একুশে বইমেলায় শাহরিয়ার সোহাগের উপন্যাসপ্রাক্তনপ্রকাশিত হয়েছে। এটি একটি রোম্যান্টিক উপন্যাস। এই বইটি লেখকের প্রকাশিত ১১ তম বই।

প্রাক্তনবইটি প্রকাশ করেছে শোভা প্রকাশ, প্যাভিলিয়ন ১১। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন প্রখ্যাত শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া। মূল্য ২২৫ টাকা।

শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, ‘বইটির নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এটি রোম্যান্টিক ঘরানার একটি উপন্যাস। উপন্যাসটিতে আমি বলতে চেয়েছি যে আমাদের জীবনে ভালোবাসার মানুষ থাকে। কিন্তু দেখা যায় কালের আবর্তনে সেই মানুষটির সাথে আমাদের যোগাযোগ থাকে না, একটি দূরত্ব তৈরী হয়ে যায়। অনেকগুলো বছর যদি দূরত্ব তৈরী হয়ে যাওয়া ভালোবাসার মানুষটির সাথে হঠাৎ দেখা হয় তাহলে সময়টাতে আমরা কী অনুভব করি। দিনটি আসলে আমাদের কেমন যায়। বর্তমানে থেকেও অতীতের সেই স্মৃতিচারণ, বর্তমান সময়ের ব্যস্ততার সাথে অতীতের যে মিশেল সেটিই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি এই উপন্যাসে। এই উপন্যাসে আসলে একটি দিনের গল্প বলা হয়েছে। অনেক বছর দুজন ভালোবাসার মানুষের দেখা হয়েছে, তাঁদের দিনটি আসলে কেমন যেতে পারে সেটিই বলতে চেয়েছি আমি।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটি কিন্তু আমার নিজের জীবনের গল্প নয়। আমি একজন পেশাদার লেখক। মানুষের অনুভূতি নিয়েই লিখি। সেই জায়গা থেকেই লেখা।

টিভি নাটক লেখা, টিভি মঞ্চতে অভিনয় এবং ফটোগ্রাফিতে ব্যস্ত সময় পার করেন সময়ের এই ব্যস্ততম লেখক। সামাজিক দায়বন্ধতা থেকে বেশকিছু সামাজিক সংগঠনের সাথেও যুক্ত আছেন এই লেখক



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন