উইজডেনের চোখে বিশ্বকাপের সেরা যে ‘পাঁচ’ ইনিংস

আরো পড়ুন...

নিউজ হেডলাইন

উইজডেনের চোখে বিশ্বকাপের সেরা যে ‘পাঁচ’ ইনিংস

সময় : 22:15



বিশ্বকাপ মানেই বিশেষ কিছু ঘটবে, বিশেষ কিছু ম্যাচ হবে। আর বিশেষ ম্যাচে হবে বিশেষ কোনও রেকর্ড। যা ক্রিকেট ভক্তদের মনে গেঁথে থাকে যুগের পর যুগ। ওই বিশেষ ম্যাচগুলোই দলগুলোকে নিয়ে যায় বিশ্বকাপের চূড়ান্ত সাফল্যের দিকে।

 

এবারের বিশ্বকাপের এমনই দূর্দান্ত ৫টি ইনিংসকে সেরা বলে ঘোষণা করেছে 'ক্রিকেটের বাইবেল'খ্যাত ম্যাগাজিন উইজডেন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক উইজডেনের চোখে বিশ্বকাপের সেই সেরা ইনিংসগুলো-

 

১। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১২৪ বলে ২০১*):

শুধু উইজডেনের নয়। পুরো ক্রিকেটবিশ্বের চোখেই এটি সেরা ইনিংস। মুম্বাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

 

ম্যাচের মাঝখানে ইনজুরিতে পড়ে মাঠে শুয়ে পড়েছিলেন এই অসি ব্যাটার। সেখান থেকে উঠে একপায়ে দাঁড়িয়ে খেললেন ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসের সেরা ইনিংস। ২৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া ৯১ রানে হারিয়েছিল ৭ উইকেট। সেখান থেকে দলকে একাই টেনে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেন ম্যাক্সওয়েল।

 

 

 

২। ট্রাভিস হেড (১২০ বলে ১৩৭):

ফাইনালের চোখ ধাঁধানো ইনিংস। দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে হেড একাই শিরোপাবঞ্চিত করে দিয়েছেন ভারতকে। আহমেদাবাদে ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া অস্ট্রেলিয়াকে ষষ্ঠ শিরোপা তুলে দিলেন হেডই। জয়ের জন্য অসিদের প্রয়োজন ছিল ২৪১ রান। হেড একাই করলেন ১৩৭ রান।

 

৩। ডেভিড মিলার (১১৬ বলে ১০১):

দলের কঠিন সময়ে ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার ডেভিড মিলার। তখন প্রোটিয়াদের ২৪ রানে ৪ উইকেট নেই। কলকাতায় প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার এমন চাপের মুখে প্রোটিয়া ব্যাটার তুলে নিলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। দলকে এনে দিলেন ২১২ রানের সম্মানজনক পুঁজি। যদিও অসিদের কাছে শেষমেষ হেরে বিদায় নিতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে, তবে মিলারের ইনিংসেই পাওয়া পুঁজি নিয়েই শেষ পর্যন্ত মরণপন লড়াই করে তারা।

 

৪। ফখর জামান (৮১ বলে ১২৬):

দল থেকে বাদই পড়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে এসে বেঙ্গালুরুর মাঠে ঝড় তুললেন পাকিস্তানের ওপেনার ফখর জামান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে খেললেন দুর্দান্ত ১২৬ রানের ইনিংস। ওই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪০২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল কিউইরা। বৃষ্টির কারণে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ওই ম্যাচে ২১ রানের জয় পায় পাকিস্তান। সেই ম্যাচে জয়ের নায়ক ছিলেন ফখর।

 

 

৫। রহমানুল্লাহ গুরবাজ (৫৭ বলে ৮০):

সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গুরবাজের ম্যাচজয়ী ইনিংস এটি। গুরবাজের ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের উপর ভর করে ২৮৪ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২১৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। দিল্লির ওই ম্যাচে আফগান স্পিনারদের তোপের মুখে পড়েই মূলত খেই হারিয়ে ফেলেছিল ইংলিশরা।


বিশ্বকাপের সেরা একাদশ ঘোষণা, অধিনায়ক রোহিত

সময় : 16:28



নাটকীয় ফাইনাল হতে পারতো। তবে ক্লাইমেক্সে ঠাসা আর হলো কোথায়? ভারতের স্বল্প পুঁজিতে অজিরা রান তাড়া করতে নেমে ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারানো ছাড়া আর কোনও মোমেন্ট টার্ম পাওয়া যায়নি। অজিরা স্বভাবজাতভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। ভারতের মাটিতেই প্রায় দেড় লাখ দর্শককে স্তব্ধ করে দিয়ে কাপ নিয়ে চলে গেল। এটাই নাটক বা বড় বিস্ময় হতে পারে।

এদিকে বিশ্বকাপ শেষে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ব্যস্ত বিশ্বকাপের সেরা ও ফ্লপ একাদশ বাছাই করতে। এরই মধ্যে নিজেদের সেরা একাদশ প্রকাশ করেছে উইজডেন।

 

তাদের প্রকাশিত বিশ্বকাপের সেরা একাদশের ৬ জনই বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়া ভারতীয় দলের। সেই একাদশে ওপেনার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন রোহিত শর্মা। তার সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ট্র্যাভিস হেড।

 

উইকেটরক্ষক হিসেবে উইজডেন একাদশে রেখেছে লোকেশ রাহুলকে। পেসার হিসেবে একাদশে জায়গা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার জেরাল্ড কোয়েটজি, ভারতের মোহাম্মদ শামি ও বুমরাহ। স্পিনার হিসেবে রয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা।

 

উইজডেনের বিশ্বকাপ একাদশঃ রোহিত শর্মা, ট্র্যাভিস হেড, বিরাট কোহলি, ড্যারেল মিচেল, লোকেশ রাহুল (উইকেটরক্ষক), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, রবীন্দ্র জাদেজা, জেরাল্ড কোয়েটজি, অ্যাডাম জাম্পা, মোহাম্মদ শামি, জাসপ্রিত বুমরাহ।

 


সময় : 14:20



এই দূর্দমনীয় ভারতকে কেউ থামাতে পারবে কে ভেবেছিল! সেমির লড়াই পর্যন্ত টানা ১০ ম্যাচে জিতে আকাশে উড়ছিল ভারত। কিন্তু, একবার না একবার নামতেই যে হয় প্রকৃতির নিয়মে। সেই নিয়মের উপলক্ষ্য হয়ে এলো যেন অস্ট্রেলিয়া। 

যে দলটির সেমিতে উঠা ছিল অনিশ্চয়তার ঘেরা টোপে। সেই দলটিই কিনা শেষ পর্যন্ত এলো ফাইনালে। এলো তো এলো ফাইনালে অপরাজিত ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবার স্বাদটাও নিয়ে নিলো। মানে, কার খাবার কে খেলো এমন বিষয় আর কি। 

গ্রুপ পর্বে অজিরা ৯ ম্যাচের সাতটিতেই জিতেছিল। এমনকি গ্রুপ পর্বের শুরুর ম্যাচে এই ভারতের সঙ্গেই কি করুণভাবে না হারলো!

এই দলটি পিছিয়ে থেকেও কিভাবে মগডালে উঠলো সেই জিজ্ঞাসাই সামনে আসে এখন। কি অবলীলায় বলে কয়েই যেন প্রথম দেখায় হারা ভারতকেই ফাইনালে হারিয়ে দিল। অজিরা যে বড় সমুদ্রের মাছ তা প্রায়শই বুঝিয়ে দেয় হাই ভোল্টেজের ম্যাচ জিতে নিয়ে। 

১৩তম বিশ্বকাপ আসরে মূলত দূর্বল চিত্ত নিয়ে লড়াই করা অস্ট্রেলিয়া হারতে হারতে যখন নিজেদের মনোবল হারাতে বসেছিল তখনই তারা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ালো। আর ঘুরে দাঁড়াবার মূল রসদটি তারা পেয়েছে ৯০% জিতে যাওয়া আফগানদের হারিয়ে। 

৭ নভেম্বর মুম্বাইতে যখন ৯৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচে হারছে বলে পুরো ড্রেসিং রুম মানসিকভাবে প্রস্তুতিই নিয়ে ফেলেছে সেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আফগানরা যখন ইতিমধ্যে সাবেক ৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সর্বাধিক বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে গোঁফে তেল দিয়েছে। তখনই যেন ক্রিকেটের রবিন হুড হয়ে ম্যাক্সওয়েল হাজির অজিদের ত্রাতা হিসেবে। গভীর সমুদ্রে ডুবতে থাকা হলুদ জার্সিদের তিনি ডুবুরির মতো উদ্ধার করে এক অসাধ্য সাধন করলেন। দু’বার মাঠে পড়েও গেলেন ইনজুরি নিয়ে। কিন্তু, এক প্রান্ত আগলে রেখে শুধু বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারিতে ভর করে ম্যাক্সওয়েল স্ট্রাইক নিয়ে এক ঐশ্বরিক খেলা খেলে দলকে জেতালেন। খেললেন অপরাজিত ২০১ রানের ইনিংস। বোধহয় স্বয়ং ক্রিকেট ঈশ্বর ম্যাক্সওয়েলের উপর ভর করলেন আর তারই দেখানো পথে অসুস্থ্য ম্যাক্সিই ম্যাচ জেতালেন। তা না হলে এই অসাধ্য সাধন কী করে হয়! এখনও ক্রিকেট দর্শকদের বিশ্বাসের মূলে যেন ধরে না এই ম্যাচ। আফগানদের দুঃসহ রূপকথায় জায়গা করে নিলো অস্ট্রেলিয়া। 

ওই যে গভীর সমুদ্র থেকে প্রাণের সঞ্চার করা ম্যাক্সওয়েল দলকে সমুদ্র থেকে ডাঙ্গায় আনলেন এরপর অস্ট্রেলিয়া হয়ে উঠলো এক অপ্রতিরোধ্য। যেন ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সাল এই ১২ বছরে যে প্রতাপশালী অস্ট্রেলিয়াকে দেখা গিয়েছিল এই বিশ্বকাপেও নিজেদের হারিয়ে খুঁজে ফেরা অজিরা যেন ১৬ বছর আগে ফিরে গেলেন। জয় করলেন বিশ্বকাপ ষষ্ঠবারের মতো। অবিস্মরণীয় সে জয়। ক্রিকেটের গুডবুকে রাখার মতো সে জার্নি। শেষ পর্যন্ত অজিদের এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবার টার্নিং পয়েন্ট আফগানদের সঙ্গে ৭ নভেম্বরের ওই ম্যাচটিকে বললে ভুল হয়তো হবে না।


শুধু গ্যালারি নয়, পুরো ভারতকেই ‘নিশ্চুপ’ করে ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন’ অস্ট্রেলিয়া

সময় : 22:27



ফাইনালের আগের সংবাদ সম্মেলনে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেছিলেন তিনি গ্যালারিতে থাকা ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শককে চুপ করিয়ে দিতে চান। অবিশ্বাস্যভাবে তার দল অস্ট্রেলিয়া পেরেছেও তাই। শুধু পুরো গ্যালারি যেন নয় গোটা ভারতকে ‘নিশ্চুপ’ করিয়ে দিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ জয় করলো অস্ট্রেলিয়া। অবশেষে ভারতের মাঠেই অপরাজিত ভারতকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারালো অস্ট্রেলিয়া।

 

৪৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্য সেই ২৪১ রান ছুঁয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। আউট হওয়ার আগে ট্রাভিস হেড খেলেন ১২০ বলে ১৩৭ রানের ইনিংস। আর লাবুশানে অপরাজিত থাকেন ১১০ বলে ৫৮ রানে। ট্রাভিস হেড হন প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ।

পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই আধিপত্য বিস্তার করে ম্যাচ জিতেছে ভারত। সেমিফাইনাল পর্যন্ত তারা ছিলেন অপরাজিত। অথচ, ৮ ম্যাচ জিতে ফাইনালে আসা অজিরা সেই ভারতকে ফাইনালে বলে কয়ে হারিয়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়া হলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন!

৪৭ রানে ৩ উইকেটের পতনের পর দলের হাল ধরেন ট্রাভিস হেড ও লাবুশানে। তারা ১৯২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে ষষ্ঠ শিরোপার স্বাদ এনে দেন সতীর্থদের।

প্রথম ৫০ রান তুলতে ব্যাক টু ব্যাক ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে চাপে পড়লেও ওপেনার ট্রাভেস হেডের চাপমুক্ত ব্যাটিংয়ে ভারতের বেঁধে দেওয়া সহজ লক্ষ্য (২৪০ রান) সহজ করেই পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটার ট্রাভেস হেড ও মারনুস লাবুশানে। ২৩৯ রানের মাথায় ১৩৭ রান করে সিরাজের বলে শুভমান গিলের হাতে ধরা পড়েন হেড।

হেড ৯৫ বলে ১৪টি চার ও এক ছয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন। ওদিকে লাবুশানে হেডকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে ৯৯ বলে তিনটি চারের সাহায্যে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন।

শামি দ্বিতীয় ওভারে এসেই সফলও হলেন। ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারালো অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নাার ফিরলেন ৩ বলে ৭ রান করে ইনিংসের সপ্তম বলে।

অজিদের ইনিংসের ৪.৩ ওভারে বুমরাহ অফ স্টাম্পের বাইরের বল করলে ব্যাটের নিচের অংশে লেগে কে এল রাহুলের হাতে ক্যাচ দেন মিচেল মার্শ। দলীয় ৪১ রানে মার্শ ১৫ বলে ১৫ রান করে ফেরেন।

প্রথম ৪ ওভারে উঠেছিল ৪১ রান। পরের ১৫ বলে ২ রান। ফুললেংথে স্লোয়ার বল করে বুমরাহ স্মিথকে লাইন মিস করিয়ে এলবিডব্লু করলেন। স্মিথ আর রিভিউ নেওয়ারও প্রয়োজন মনে করেননি।

প্রথম ১০ ওভারের পাওয়ারে প্লের চ্যালেঞ্জে পেছনে পড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। তারা ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান করে। এসময় ভারতের ছিল ২ উইকেটে ৮০ রান।

 


কম পুঁজিতেও পাওয়ার প্লেতে জমিয়ে লড়াই, ৩ উইকেট ৬০ অজিদের

সময় : 19:50



বুমরার বলে বেঁচে গিয়েছিলেন। কিন্তু, দূর্দান্ত ফর্মে থাকা শামির বলে আর বাঁচলেন না ডেভিড ওয়ার্নার। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন ওয়ার্নার, প্রথম তালুবন্দী করে ফেললেন কোহলি। শামি দ্বিতীয় ওভারে এসেই সফলও হলেন। ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারালো অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নাার ফিরলেন ৩ বলে ৭ রান করে ইনিংসের সপ্তম বলে।

অজিদের ইনিংসের ৪.৩ ওভারে বুমরাহ অফ স্টাম্পের বাইরের বল করলে ব্যাটের নিচের অংশে লেগে কে এল রাহুলের হাতে ক্যাচ দেন মিচেল মার্শ। দলীয় ৪১ রানে মার্শ ১৫ বলে ১৫ রান করে ফেরেন।

প্রথম ৪ ওভারে উঠেছিল ৪১ রান। পরের ১৫ বলে ২ রান। ফুললেংথে স্লোয়ার বল করে বুমরাহ স্মিথকে লাইন মিস করিয়ে এলবিডব্লু করলেন। স্মিথ আর রিভিউ নেওয়ারও প্রয়োজন মনে করেননি।

প্রথম ১০ ওভারের পাওয়ারে প্লের চ্যালেঞ্জে পেছনে পড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। তারা ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান করে। এসময় ভারতের ছিল ২ উইকেটে ৮০ রান।

 

 


পুরো ভারতকে নিশ্চুপ করতে অজিরা রোহিতদের আটকালো ২৪০ রানে

সময় : 19:50



সর্বশেষ ২০০৩ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত অস্ট্রেলিয়াকে পেয়েছিল। সেবার প্রথম ব্যাটিং করে অজিরা করেছিল ৩৫৯ রান। আর ভারত ২৩৪ রানে শেষ হয়ে যায়। এবার ভারত যে গতিতে ছিল পুরো টুর্নামেন্টে সে অনুপাতে ফাইনালে মুড়ির মতো চুপসে গেল। প্রথমে ব্যাট করে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৪০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে। রান তোলার গড় ৪.৮০।

শুরু থেকেই অজিরা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি দারুণ ফিল্ডিংয়ে ভারতের গত ১০ ম্যাচের ছন্দে বাঁধ সেঁধেছে। ভারতকে কম রানে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখতে মূল ভূমিকা রাখেন মিচেল স্টার্ক। তিনি ১০ ওভারে ৫৫ রানে ৩ উইকেট নেন।

ভারতের পক্ষে কে এল রাহুল ১০৭ বলে ৬৬ ও ভিরাট কোহলি ৬৩ বলে ৫৪ রান করেন।

 

প্রথম পাওয়ার প্লেতে ভালো শুরু করেছে ভারত। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের উপযুক্ত জবাব দিচ্ছিলেন ভারত অধিনায়ক ও উদ্বোধনী ব্যাটার রোহিত শর্মা।

প্রথম ১০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৮০ রান। রান তোলার গড় ছিল ৮.০০। রান তোলার হিসেবের ধারা অনুযায়ী বলা যায় ভালো শুরুর আভাস ছিল।

৪.২ ওভারে শুভমান গিল স্টার্কের বলে জাম্পার হাতে ধরা পড়েন দলীয় ৩০ রানে। গিল ৭ বলে ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। অন্যদিকে রোহিত দারুন শুরু করেও ৯.৪ ওভারে দলীয় ৭৬ রানে ট্রাভিস হেডের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হন ম্যাক্সওয়েলের বলে। রোহিত ফেরার সময় ৩১ বলে ৪৭ রান করেন ৪টি চারের সাহায্যে। আজকের ম্যাচে ৮টি চার হাঁকাতে পারলে ওয়ানডেতে ১ হাজার চার মারার রেকর্ড গড়তে পারতেন রোহিত।

রোহিতের পর শ্রেয়াস আয়ার ফেরেন ৫ রানের ব্যবধানে। এরপর আশা জাগাচ্ছিলেন দূর্দান্ত ফর্মে থাকা ভিরাট কোহলি। তিনি দূর্ভাগ্যজনকভাবে ইনসাইডেজ হয়ে আউট হয়েছেন ১৪৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫৪ রান করে। এরপর রবীন্দ্র জাদেজা ২৮.৩ ওভারে দলীয় ১৭৮ রানে ব্যক্তিগত ২২ বলে ৯ রান করেন। ২০৩ রানের মাথায় ৪১.৩ ওভারে শেষ নির্ভরযোগ্য ব্যাটার কে এল রাহুল আউট হয়ে যান ১০৭ বলে ৬৬ রান করে।

এরপর মোহাম্মদ শামি, জাসপ্রিত বুমরাহ, সূর্যকুমার যাদব, কুলদ্বীপ যাদবরা অজিদের বোলিং তোপের কাছে খুব বড় কিছু করতে পারেননি।

দ্বিতীয় পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেটে এসেছিল ১১৭ রান। শেষ পাওয়ার প্লেতে টেইল-ইন্ডাররা পুরোই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। এসময় ৫ উইকেটে এসেছে মাত্র ৪৩ রান।

মিচেল স্টার্ক দারুণ বল করেছেন। তিনি ১০ ওভারে ৫৫ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া জোস হ্যাজেলউড ১০ ওভারে ৬০ রানে ২ উইকেট ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ১০ ওভারে ৩৪ রানে ২ উইকেট দখল করেন।

তবে উইকেট যে বোলিং সহয়াক তা ভারতীয় ব্যাটারদের বেশি বল খেলায় খানিকটা অনুমান করা যায়। অস্ট্রেলিয়ার শুরুতে ফিল্ডিং নেওয়ার কারণটাও এখানে অনেকটা পরিস্কার হয়ে যায়।


বিশ্বকাপের ফাইনালে মাঠে ঢুকলো দর্শক, কি বার্তা দিলো?

সময় : 17:53



ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ চলছে। এদিকে বিশ্বকাপের মাঠে যুদ্ধ হচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার। এই যুদ্ধের মধ্যেই আরেক যুদ্ধ বন্ধের বার্তা নিয়ে হাজির হলেন এক দর্শক। তিনি নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেস্টনী ভেদ করে কী করে মাঠে ঢুকলেন এই প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে।

দর্শকাসনে রয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী রিচার্ড মার্লেসের। তার পরেও ফাইনালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। ভারতের ইনিংসের ১৪তম ওভারে ঢুকে পড়লেন এক দর্শক। খেলা ৪৫ সেকেন্ড বন্ধ রাখতে হয়। রাজনৈতিক বার্তা লেখা জার্সি, হাতে প্যালেস্টাইনের পতাকা এবং মুখে প্যালেস্টাইনের পতাকা আঁকা মাস্ক পরে মাঠে ঢুকে পড়েন তিনি।

 

সেই সময় বল করছিলেন অ্যাডাম জ়াম্পা। ব্যাট করছিলেন বিরাট কোহলি। চতুর্থ বলের আগেই মাঠে ঢুকে পড়েন এক দর্শক। তিনি সোজা চলে যান কোহলির কাছে। তার সাদা জার্সিতে লেখা ছিল ‘স্টপ বোম্বিং। এরপর তিনি কোহলিকে জড়িয়ে ধরেন। স্বাভাবিকভাবেই কোহলি অপ্রস্তুত হয়ে ওই দর্শককে সরিয়ে দিতে চান। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে সরিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু দর্শকাসন থেকেই সবই দেখতে পেয়েছেন অমিত শাহ এবং তাঁর পুত্র তথা বোর্ড সভাপতি জয় শাহ। রাজনৈতিক বার্তাও নিশ্চয়ই তাদের নজর এড়ায়নি। কারণ, ভারত ইসরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছে।

 

ফাইনালে মোদী আসবেন বলে ম্যাচের আগের দিন থেকে কড়া নিরাপত্তা ছিল। নির্ধারিত এলাকার বাইরে গেলেই তেড়ে আসছিলেন নিরাপত্তারক্ষী এবং পুলিশেরা। সঙ্গে সঙ্গে বার করে দিচ্ছিলেন সেই এলাকা থেকে। স্থানীয় পুলিশ এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে প্রত্যেকে সতর্ক ছিলেন। তা সত্ত্বেও সে ধরনের ঘটনা এড়ানো গেল না।

 

 


নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম যেন ‘নীল পদ্ম’

সময় : 16:56



ভারতের আহমেদাাবাদে চলছে ১৩তম বিশ্বকাপ আসরের ফাইনাল ম্যাচ। প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে ক্রিকেট বিশ্বের দুই পরাশক্তি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। দুটি দলই এর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপে বিশ্ব চ্যাপিম্পয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিল। এরমধ্যে বেশিবার শিরোপা জয়ের ম্বাদ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।

হলুদ জার্সিরা এর আগে পাঁচবার বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরে। আর নীল জার্সিরা ধরে দুইবার।

এবারের বিশ্বকাপ আসরে ভারত এখন পর্যন্ত অপরাজিত। তারা ১০টি ম্যাচের মধ্যে সবগুলোতেই জিতেছে। এমনকি এই অস্ট্রেলিয়াকে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও তারা ফেভারিট হয়েই হারিয়েছিল। আজ অজিদের সঙ্গেই ফাইনাল ম্যাচ।

নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় এই ম্যাচ শুরু হয়। কিন্তু, সকাল থেকেই এই ১ লাখ ৩২ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে শুধু নীলের মেলা। পুরো স্টেডিয়াম যেন এক নীল সমুদ্র। নীলাভ আভায় আচ্ছাদিত নরেন্দ্র মোদী মাঠ।

চার-ছয় হলেই পুরো গ্যালারি যখন দাঁড়িয়ে যায় মনে হয় কতগুলো নীল পদ্ম ফুটে উঠতে মাথা চাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। তারা ভারতের তৃতীয় শিরোপার খোঁজে মাঠে এসেছে। পুরো শহরও যেন ছেঁয়ে গেছে নীলে।

 

 


ফাইনালের আমেজেই খেলছে ২ দল, পাওয়ার প্লেতে ভারত ৮০

সময় : 15:27



প্রথম পাওয়ার প্লেতে ভালো শুরু করেছে ভারত। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের উপযুক্ত জবাব দিচ্ছিলেন ভারত অধিনায়ক ও উদ্বোধনী ব্যাটার রোহিত শর্মা।

প্রথম ১০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৮০। রান তোলার গড় ছিল ৮ করে। রান তোলার হিসাব ধারা অনুযায়ী বলা যায় ভালো শুরুর আভাস।

৪.২ ওভারে শুভমান গিল স্টার্কের বলে জাম্পার হাতে ধরা পড়েন দলীয় ৩০ রানে। গিল ৭ বলে ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। অন্যদিকে রোহিত দারুন শুরু করেও ৯.৪ ওভারে দলীয় ৭৬ রানে ট্রাভিস হেডের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হন ম্যাক্সওয়েলের বলে। রোহিত ফেরার সময় ৩১ বলে ৪৭ রান করেন ৪টি চারের সাহায্যে। আজকের ম্যাচে ৮টি চার হাঁকাতে পারলে ওয়ানডেতে ১ হাজার চার মারার রেকর্ড গড়তে পারতেন রোহিত।

অন্যদিকে অস্ট্রেলিার ফিল্ডাররাও দারুণ ফিল্ডিং করছেন শুরু থেকেই। পুরো গ্যালারি নীলাভ হয়ে আছে। পুরো গ্যালারি ভারত ভারত ধ্বনিতে মুখর। এটা অজি খেলোয়াড়দের জন্য দারুণ মানসিক চাপ। সেই মানসিক চাপকে সামলে তারা দারুণ লড়ে যাচ্ছেন। শুরু থেকেই ফাইনালের আমেজে খেলছে দুই দল।

 


৬ষ্ঠ শিরোপার প্রত্যাশায় টস জিতে ফিল্ডিংয়ে অজিরা

সময় : 14:21



টসে জিতে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অবশ্য ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেছেন, তিনি টস জিতলে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নিতেন। তাই টস হারায় বিশেষ ক্ষতি হয়নি ভারতের।

ভারতের এবার তৃতীয় শিরোপার হাতছানি। নিজেদের মাটিতে এর আগে ২০১১ সালে তারা ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল দ্বিতীয়বারের মতো। এবার জিতলে তারা তৃতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হবে।

এদিকে অস্ট্রেলিয়া ১৯ ৭৫ সাল থেকে বিশ্বকাপ ট্রফির প্রচলন থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। এবার শিরোপা জিতলে তারা ৬ষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তুলবে।

 

সেমিফাইনালের একাদশ অপরিবর্তিত রেখেছে দুই দলই।

 

ভারত একাদশঃ রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল (উইকেটকিপার), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, যশপ্রীত বুমরা, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ শামি ও মোহাম্মদ সিরাজ।

 

অস্ট্রেলিয়া একাদশঃ ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মারনাস লাবুশেন, জশ ইংলিস, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যাডাম জ্যাম্পা, মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড।

 


বিশ্বকাপের ফটোসেশন কোথায় করা হলো?

সময় : 22:19



রোববার বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবার বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে দুই দলের অধিনায়কের ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলা হয়। শনিবার সেই ছবি পোস্ট করে আইসিসি। অদালজ কুয়াতে দেখা যায় জার্সি পরে রোহিত এবং কামিন্স ছবি তুলছেন। তাদের মাঝে রয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি।

 

সেই ম্যাচের আগে ছবি তুলতে কুয়ার মধ্যে ঢুকতে হল রোহিত শর্মা এবং প্যাট কামিন্সকে। গান্ধীনগরের অদালজ কুয়োতে ঢুকে ছবি তোলেন তারা।  

 

অদালজ কুয়ার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। ১৪৯৮ সালে তৈরি হয়েছিল এই কুয়ো। ৫২৫ বছর আগে রাজা বীর সিংহের স্মরণে এই কুয়ো তৈরি করেছিলেন তার স্ত্রী রানি রুদাদেবী। এটি এমন একটি কুয়া, যেখানে সিঁড়ি রয়েছে। উপর থেকে সিঁড়ি ভেঙে নীচে নামা যায়। সেখানেই নেমে ছবি তুললেন রোহিতেরা।

 

 

২০০৩ সালের পর বিশ্বকাপের ফাইনালে আবার ভারত-অস্ট্রেলিয়া লড়াই। এই বছর টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। সেবার ভারতকে হারিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। এবার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেই বদলা নিতে চাইবে ভারত।


বিশ্বকাপ ফাইনালে অধিনায়কদের নিয়ে যে চমক থাকছে

সময় : 16:52



ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের ফাইনালের প্রস্তুতি চলছে। রাত ফুরালেই দুপুর আড়াইটায় হবে এই মহারণ। ফাইনালে ভারত মোকাবেলা করবে অস্ট্রেলিয়ার। ভারতের আয়োজনে এই বিশ্বকাপকে রাঙিয়ে তুলতে তারা অন্যরকম এক উদ্যোগ নিয়েছে।

১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদে ফাইনালের দিন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সকল চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়কদের। সেখানে ফাইনাল ম্যাচের আগে তাদের একটি বিশেষ ব্লেজার দেওয়া হবে। সেটি পরে ফাইনাল ম্যাচটি উপভোগ করবেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়করা।

এ যাবতকালের বিশ্বকাপ জয়ী দেশগুলোর অধিনায়কদের মধ্যে থাকছেন ক্লাইভ লয়েড (ওয়েস্ট-ইন্ডিজ), কপিল দেব (ভারত), অ্যালান বোর্ডার (অস্ট্রেলিয়া), অর্জুনা রানাতুঙ্গা (শ্রীলঙ্কা), স্টিভ ওয়াহ (অস্ট্রেলিয়া), রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া), মহেন্দ্র সিং ধোনি (ভারত), মাইকেল ক্লার্ক (অস্ট্রেলিয়া), ইয়ন মরগানরা (ইংল্যান্ড) উপস্থিত থাকবেন আহমেদাবাদে।

শুধুমাত্র ১৯৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খান আসতে পারবেন না এই অনুষ্ঠানে। রাজনৈতিক কারণে বর্তমানে পাকিস্তানের জেলে বন্দী ইমরান।

বিশ্বকাপের ফাইনালকে সামনে রেখে যেন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে আহমেদাবাদ। ফাইনালে ওঠা দুই দল ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে অবস্থান করছে আহমেদাবাদে। ১৯ নভেম্বরের ফাইনাল ম্যাচটা বেশ রোমাঞ্চ আর উত্তেজনায় ঠাসা হবে বলেই আশা করা যাচ্ছে।

 

টুর্নামেন্টে এখনও অপরাজিত দল ভারত। ১০ ম্যাচের মধ্যে ১০টিতেই জিতেছে তারা। অন্যদিকে লিগ পর্বে তৃতীয় হয়ে সেমিফাইনালে উঠে অস্ট্রেলিয়া সেমির ম্যাচে চোকার্স দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে।

 

আগামী ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়।  

 


সিরাজের আবেগঘন স্ট্যাটাস, কার কথা মনে পড়লো তার?

সময় : 19:14



হায়দ্রাবাদের অটোচালক তার বাবা। বাবার স্বপ্ন ছেলে একদিন দেশের হয়ে ওই চির চেনা নীল জার্সি গায়ে খেলবে। কিন্তু, ক্রিকেটতো রাজকীয় খেলা। এই খেলার সরঞ্জাম কিনতে অনেক খরচ হয়। আর যাদের নূন আনতে গেলেই পান্তা ফুরিয়ে যায় তাদের জন্যতো আরও কঠিন ব্যাপার। গরীবের কাছে এই খেলার সরঞ্জাম কেনা মানে বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। ছেলেকে নতুন জুতো কিনে দেওয়ার জন্য সারা রাত অটো চালিয়ে টাকা জোগাড় করেছিলেন সিরাজের বাবা মোহাম্মদ ঘাউস।

সিরাজ যখন ফাস্ট বোলার হিসেবে ভারতীয় দলে সুযোগ পান তখন তার প্রথম বিদেশ সফরের সময়ই বাবার মৃত্যু হয়। জাতীয় দলে ছেলের সুযোগ পাওয়ার খবর শুনলেও খেলতে দেখে যেতে পারেননি। তাইতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল জেতার পর বাবার কথা মনে পড়ছে মোহাম্মদ সিরাজের।

 

১৫ নভেম্বর প্রথম সেমির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেছেন সিরাজ। দেখা যাচ্ছে একটি মোবাইলের স্ক্রিনে লেখা রয়েছে ‘ড্যাড কলিং’। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘তোমার অভাব অনুভব করছি’। দিয়েছেন কান্নার ইমোজিও। সিরাজের পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ভারত বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর প্রয়াত বাবার কথা মনে পড়ছে সিরাজের। ছেলেকে দেশের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হিসাবে দেখলে নিশ্চয় গর্ব অনুভব করতেন বাবা ঘাউস। ছেলেকেতো তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ২২ গজে সফল হিসেবেই দেখতে চেয়েছিলেন।

 

গত সেপ্টেম্বরের এশিয়া কাপে বেশ ভাল ফর্মে ছিলেন সিরাজ। বিশ্বকাপে সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি। প্রায় প্রতি ম্যাচেই প্রচুর রান দিয়ে ফেলছেন। ছন্দ পেয়ে গেলে সিরাজ অবশ্য একাই প্রতিপক্ষের ইনিংসে ধস নামাতে পারেন। সেই আশায় তাঁকে খেলিয়ে চলেছেন রাহুল দ্রাবিড়, রোহিত শর্মারা। সেমিফাইনালের পর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়া সিরাজও নিশ্চয়ই ফাইনালে বল হাতে জ্বলে উঠতে চাইবেন। দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে হয়তো বাবাকেই উৎসর্গ করবেন।


ক্রিকেটের মাঠে সবচেয়ে বেশিবার কাঁদা দলটি বোধহয় দ.আফ্রিকাই!

সময় : 16:31



প্রজন্মের পর প্রজন্ম চোকার্স তকমা বয়ে নিয়ে বেড়াবে দক্ষিণ আফ্রিকা? কেন এমনটা হচ্ছে? বিশ্ব ক্রিকেটের বড় কোনও আসরে তারা ভালো শুরু করে। সেমিফাইনালের আগ পর্যন্ত কি এক দাপুটে খেলা প্রোটিয়াদের! তাদের ক্ল্যাসিক ব্যাটিং-বোলিং যেন পটে আঁকা ছবির মতো নান্দনিক। পুরো পারফর্মেন্স যেন হট কেকের মতো। এরপর! দূর্দান্ত প্রতাপে সেমিতে গিয়েই এই দলটিকে বিচ্ছিন্ন, অচেনা মনে হয়। নীরবেই ছিটকে পড়ে যায় আসর থেকে। যেন এক বীর দলের নীরব প্রস্থান। আহা!

এবারের ভারত বিশ্বকাপেও সেই চিত্র চোখে পড়লো। কি এক প্রতাপশালী, অভিজাত শুরু দলটির। অথচ, এক রাতেই জমিদারী খুইয়ে, শাসনের ভার প্রতিপক্ষকে অর্পণ করে সাধারণ প্রজা হয়ে হেঁটে চলে যায় দূর দেশে। 

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে যুগের পর যুগ তাদের সঙ্গী হলো আক্ষেপ। নামী-দামি ব্যাটার,  বোলার, বাঘা বাঘা অলরাউন্ডারে বেষ্টিত একটি দল হওয়ার পরও দক্ষিণ আফ্রিকার ললাটে জোটেনি বিশ্বকাপ ফাইনাল। হোক সেটা ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি সংস্করণ। দক্ষিণ আফ্রিকার এই দলটাই আবার গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে নেদারল্যান্ডসের মতো পুচকে দলের কাছে হেরে। বড় ম্যাচে স্নায়ূ চাপের নিয়ন্ত্রণ বড়ই দরকার। 

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরেও নেদারল্যান্ডসের কছে হেরে সেমিতে উঠতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের সেমিতে উঠতে কেবল নেদারল্যান্ডসের সাথে জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত ছিল। কিন্তু, ওই চাপটিই তারা নিতে পারেনি। গার্ডিয়ানের ক্রিকেট বিশ্লেষক স্যাম প্যারির মতে, এটা একটা ‘প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বয়ে যাওয়া মানসিক আঘাত’। আসলেই তাই। প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মই যেন এই আঘাতটাই বহন করছে। 

বড় ম্যাচ বা মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের চাপ নিতে পারে না প্রোটিয়ারা। স্নায়ূ দূর্বল হলেই কেবল এমনটি হয়। আর এজন্যই তাদের ‘চোকার্স’ বলা হয়। ক্রিকেটে এই চোকার্স তকমা ৩১ বছরেও ঘুঁচাতে পারলো না দক্ষিণ আফ্রিকা। 

তার প্রমাণ এর আগের চারটি একদিনের বিশ্বকাপ। ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে সেমিতে এসে দিক খুঁজে না পাওয়া আফ্রিকা। সর্বশেষ ২০২৩ সালে একই ঘটনা ঘটলো। এ যেন এক দিক হারা নাবিকের জাহাজ। কোনবারই ফাইনালের সন্ধান পায়নি তারা। আর দুঃখের বিষয় হলো এর মধ্যে দুইবারই হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। এবার তৃতীয়বারের মতো অজিদের মোকাবেলা করলো সেমিফাইনালে। ফলাফল ফাইনালের স্বাদ অধরা রেখেই হেরে বিদায় নিতে হলো। 

১৯৯৯ বিশ্বকাপে এজবাস্টনে নাটকীয়ভাবে অস্ট্রেলিার কাছে পরাজিত ম্যাচটি এখনো প্রোটিয়াদের কাছে দগদগে ঘায়ের মতো। ম্যাচটি টাই হলেও গ্রুপ পর্বে এগিয়ে থাকার কারণে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। 

২০১৫ সালে সেন্ট লুসিয়ায় মাত্র ১৪৯ রানে গুটিয়ে যাবার পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭ উইকেটে পরাজিত হয়ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। 

এবারের আসরে গ্রুপ পর্বে ৯টি ম্যাচের সাতটিতেই জিতে দূর্দান্ত দাপটের সঙ্গে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪২৮ রান করে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়া ছাড়াও এ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই রানের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ডি কক-বাভুমারা।

সর্বশেষ চার মোকাবেলায় প্রতিটিতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ী হয়েছে প্রোটিয়ারা। এর মধ্যে ৪ সপ্তাহ আগে লক্ষ্ণৌতে গ্রুপ পর্বে ১৩৪ রানে জয়ী হবার ম্যাচটিও রয়েছে। অথচ, আগের ম্যাচে জিতে সেমির সাক্ষাতে পরাজিত হতে হলো। 

নেওয়া হলো না ফাইনালের স্বাদ। এবারও কাঁদতে কাঁদতে বিদায়! ক্রিকেটে বোধহয় এমন আফসোসে বেশিবার কাঁদা দলটির নামও বোধহয় নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। কি জানি! এই কান্না একদিন স্পৃহা হয়েও ফিরে আসতে পারে।


নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লিটন নাকি সোহান?

সময় : 14:46



লিটন নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আসন্ন টেস্ট খেলতে চাইছেন না। কারণটা ইনজুরি নয়, পারিবারিক। লিটন ১৬ নভেম্বর বাবা হয়েছেন। পরিবারকে সময় দিতেই তিনি কিউইদের সঙ্গে টেস্ট ম্যাচে বিশ্রাম চাচ্ছেন। বিসিবির সবুজ সংকেতও তাতে মিলেছে।

এই মাসের ২৮ তারিখ থেকে মাঠে গড়াবে নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। ফলে আবারো ব্যস্ত হয়ে ওঠবেন তারা।

 

চোটের কারণে এই টেস্ট সিরিজ থেকে আগেই ছিটকে গেছেন সাকিব আল হাসান। এবার কন্যা সন্তানের বাবা হওয়ার কারণে পরিবারকে সময় দিতেই বিসিবির কাছে ছুটি চেয়েছেন লিটন। যতটুকু খবর বিসিবিও সাই দিয়েছে তাতে!

 

লিটন না থাকায় নতুন অধিনায়ক এবং একজন উইকেটকিপার ব্যাটারের ব্যাপারে ভাবতে হচ্ছে ক্রিকেট বোর্ডকে। সেক্ষেত্রে নুরুল হাসান সোহান হতে পারেন প্রথম পছন্দ। আসন্ন দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তার খেলার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ চলমান জাতীয় লিগে ব্যাট হাতে পুরো ইনফর্ম তিনি।

 

এদিকে অধিনায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে খানিকটা বিপাকেই পড়তে হতে পারে বিসিবিকে। টেস্টের অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে উপরের সারিতে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। এ ব্যাপারে বোর্ডের সিদ্ধান্ত কার দিকে যায় এটা অল্প সময়ের মধ্যেই জানা যাবে।  


৫মবারের মতো সেমিতে হেরে বিদায় দ. আফ্রিকার, ভারতের সাথী অস্ট্রেলিয়া

সময় : 22:45



কথা রাখতে পারলো না দক্ষিণ আফ্রিকা। আবারও বিশ্বকাপের মঞ্চে সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিতে হলো তাদের। বাজে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বাজে ফিল্ডিং তাদের হারের জন্য দায়ী। বড় ম্যাচে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া ব্যাটিংয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি প্রোটিয়ারা। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩ উইকেটে হারতে হলো প্রোটিয়াদের। অজিরা ৪৭.২ ওভারে ২১৫ রান করে জয় তুলে নেয়।

বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের সাথী হতে টস জিতে ব্যাটিং নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু, শুরুর ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি চোকার্স তকমা পাওয়া আফ্রিকার দলটি। শেষ পর্যন্ত তাদের রান মেশিন থামে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১২ রানে।

২১৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অজিরা শুরুটা স্বাচ্ছন্দ্যে খেললেও পরে এসে দারুণ চাপে পড়ে যায়। দুই প্রোটিয়া স্পিনার তারবিজ শামসি ও কেশব মহারাজের ঘূর্ণি জাদুতে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়ে। তবে অজি ব্যাটারদের ব্যাটিং ফর্ম অনুপাতে ছোট লক্ষ্য হওয়ায় শেষ পর্যন্ত জিতে যায় তারা। ফলে ফাইনালে ভারতের সাথী হলো অস্ট্রেলিয়া।

অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন ট্রেভস হেড (৪৮ বলে ৬২ রান)। এছাড়া স্টিভ ম্মিথ ৬২ বলে ৩০ রান করেন।

প্রোটিয়াদের পক্ষে তারবিজ শামসি ১০ ওভারে ৪২ রানে ২ উইকেট ও গ্যারেল কোয়েতজি ২ উইকেট নেন।

এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এবারের আসরে দলীয় সর্বোচ্চ রান করা প্রোটিয়ারা প্রথম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১ রানে অধিনায়ক বাভুমাকে হারায় শূন্য রানে।

মিচেল স্টার্কের অফ স্টাম্পের কিছুটা বাইরে পিচ করা ডেলিভারি বেরিয়ে যাওয়ার মুখে খোঁচা মারেন বাভুমা। ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় পেছনে। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন জশ ইংলিস।

 

হেইজেলউডের লেংথ ডেলিভারি বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন ডি কক। একদমই টাইমিং হয়নি। উঠে যায় বেশ উঁচুতে। বলে চোখ রেখে মিড অন থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে মাথার উপর থেকে চমৎকার ক্যাচ নেন প্যাট কামিন্স। ১৪ বলে কেবল ৩ রান করেন ডি কক।

 

তখন ৬ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২ উইকেটে ৮। ক্রিজে তখন রাসি ফন ডার ডাসেনের সঙ্গী এইডেন মার্করাম।

আগের ওভারে চার হজম করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। নতুন ওভারের প্রথম বলে হজম করেছিলেন আরেকটি বাউন্ডারি। তবে মার্করামের সঙ্গে দ্বৈরথে শেষ হাসি হাসলেন বাঁহাতি এই পেসারই। তার বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়লেন মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকার এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ২০ বলে দুই চারে করেছেন ১০ রান।

 

১১ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২২। ক্রিজে রাসি ফন ডার ডাসেনের সঙ্গী হাইনরিখ ক্লসেন।

অনেকটা ফুলার লেংথের বল পা বাড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ফন ডার ডাসেন। ঠিক মতো খেলতে পারেননি, ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে স্টিভেন স্মিথের হাতে ধরা পড়েন। ৩১ বলে ফন ডার ডাসেন করেন ৬ রান।

 

ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই চার পেয়ে যান ডেভিড মিলার। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে দুই স্লিপ ফিল্ডারের মাঝ দিয়ে বল চলে যায় বাউন্ডারিতে।

 

১২ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৪ উইকেটে ২৮। ক্রিজে মিলারের সঙ্গী হাইরিখ ক্লসেন। অনেকটা ফুলার লেংথের বল পা বাড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ফন ডার ডাসেন। ঠিক মতো খেলতে পারেননি, ব্যাটের কানায় লেগে জমে পড়ে স্লিপে, স্টিভেন স্মিথের হাতে। ৩১ বলে ফন ডার ডাসেন করেন ৬ রান।

 

চতুর্থ উইকেট জুটিতে হেনরিক ক্লসেন ও মিলার ৯৫ রানের জুটি গড়ে প্রোটিয়া শিবিরে আলো জ্বালেন। কিন্তু, ১১৯ রানের মাথায় হেডের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। হেডের পরের বলেই কাটা পড়েন মারকো জনসেন। এরপর কোয়েতজিকে নিয়ে আবারও ৫৩ রানের ছোট জুটি গড়েন মিলার। কোয়েতজি ১৯ রানে প্যাট কামিন্সের শিকার হলে আবার বিপর্যয়ে পড়ে দ. আফ্রিকানরা। কেশভ মহারাজ কাটা পড়েন ১৯১ রানে।

এতক্ষণ তারা হয়ে জ্বলা ডেভিড মিলার সেঞ্চুরি পান ১১৫ বলে। এরপর দলীয় ২০৩ রানে ১০১ রান করে আউট হয়ে যান।

অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। তিনি ১০ ওভার বল করে একটি মেডেনে ৩৪ রান দিয়ে পান ৩ উইকেট। এছাড়া প্যাট কমিন্স ৯.৪ ওভার বল করে ৫১ রানে নেন ৩ উইকেট। হ্যাজেলউড ও ট্রাভিস হেড দুটি করে উইকেট পান।

 

 


গ্রেট শচীনের উদারতা, পরিপ্রেক্ষিতে আমরা

সময় : 19:50



একটা সময় পাকিস্তানী ড্যাশিং ওপেনার সাঈদ আনোয়ার ও ভারতীয় গ্রেট শচীন টেন্ডুলকারের মধ্যে কার সেঞ্চুরি বেশি হবে সেই প্রতিযোগীতা চলতো । কখনো শচীন সাঈদকে ছাড়িয়ে যেত কখনো সাঈদ আনোয়ার শচীনকে ছাড়িয়ে যেত। ওই ১৮-২০টি সেঞ্চুরিকেই মনে হতো পাহাড় সমান। এক সময় সাঈদ আনোয়ার অবসরে যান। আর শচীন সাঈদ আনোয়ারকে পেছনে ফেলে সেঞ্চুরির এভারেস্ট গড়েন। শেষ পর্যন্ত ৪৯তম সেঞ্চুরিতে এসে থামেন ভারতীয় গ্রেট শচীন টেন্ডুলকার । তখন মনে হতো এই রেকর্ড হয়তো কেউ ছুঁতেই পারবেন না। কারণ ক্রিকেট গ্রেট শচীনের উচ্চতায় যাওয়া কোনও ব্যাটসম্যান এক শতাব্দীতে জন্মাবে কি না সন্দেহ! 

কিন্তু, সেই সন্দেহকে ভুল প্রমান করেছেন তারই দেশী ভিরাট কোহলি। কোহলি অনায়াসেই তার ২৯১তম ম্যাচে এসে ৫০তম সেঞ্চুরি করে গড়লেন এক অনন্য রেকর্ড। ভিরাটের এই অনন্য রেকর্ড গড়ার সময় মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ের মাঠে স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেট গ্রেট, লিটল মাস্টার শচীন টেন্ডুলকার। তিনি তার রেকর্ড ভাঙার সময় উঠে দাঁড়িয়ে কোহলিকে হাত তালি দিয়ে অভিবাদন জানান। 

এরপর ভিরাট তার স্মরণীয় সেঞ্চুরি উদযাপন করেন শচীনকে সম্মান জানিয়েই। তিনি শচীন টেন্ডুলকারকে প্রণাম জানিয়েছেন মাঠেই। ওয়াংখেড়ে শচীনের ঘরের মাঠ। আর সেই মাঠেই শচীনের ৪৯টি শতরানের রেকর্ড ভেঙে দিলেন কোহলি।

এসময় শচীনের মনে পড়ে গিয়েছে ভিরাটের সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাতের কথা। ভিরাটের ৫০তম শতরানের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেন, ‘ভারতের সাজঘরে তোমার সঙ্গে যখন প্রথম দেখা হয়েছিল, সতীর্থেরা তোমাকে মজা করে বলেছিল আমাকে প্রণাম করতে। তাতে নাকি ক্যারিয়ার ভালো হবে। এটাই নাকি ভারতীয় দলের সাজঘরের নিয়ম। তুমি সেই ইয়ার্কি না বুঝে আমাকে প্রণাম করতে গিয়েছিলে। আমি হাসি থামাতে পারিনি। আজ তুমি আমার মন ছুঁয়ে নিলে। তোমার প্রতিভা এবং খেলার প্রতি আবেগ আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছে। সেই বাচ্চা ছেলেটা আজ ভিরাট হয়ে গিয়েছে। আমি প্রচণ্ড খুশি।’

একজন গ্রেটের অনন্য রেকর্ড আরেকজন ভাঙার পর কেউ এতটা আবেগ দিয়ে লিখে তার উদারতা এত চমৎকারভাবে প্রকাশ করতে পারেন! শচীন পেরেছেন, কারণ তিনি গ্রেট। আর গ্রেটরা এমনই হন। তাদের মনের সংকীর্ণতা থাকে না। তারা উদার। কী অবলীলায় তিনি তারই রেকর্ড ভাঙার পর অনুজের কৃতকর্মের প্রশংসা করতে সময় নিলেন না। 

শচীন আরও খুশি তার রেকর্ড কোনও ভারতীয় ব্যাটার ভেঙেছেন বলে। তিনি লেখেন, ‘আমি সব থেকে খুশি একজন ভারতীয় আমার এই রেকর্ড ভেঙেছেন। আর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো বড় মঞ্চে করার কৃতিত্বটাই আলাদা। আর আমার ঘরের মাঠে সেঞ্চুরি  করাটা সত্যিই কেকের উপর রাখা চেরির মতো।’

কথায় আছে না, যে দেশে গুণীর কদর হয় না, সেদেশে গুণী জন্মায় না। আমাদেরওতো সাকিব-মাশরাফি-তামিম-রিয়াদ-মুশফিকরা আছেন। কজন তাদের কদর করি! কতজন তাদের সম্মান দেই? মানুষ মাত্রই ভুল হবে আর এতটুকু সুযোগ পেলে আমরা তাদের ধুয়ে দিতে ছাড়ি না। গুণীর কদর করাটা একটি শিক্ষা, প্রথা আর উচ্চমার্গীয় ভদ্রত।


সেমিতে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ২১২ রান, ‘চোকার্স’ তকমা কাটবেতো?

সময় : 19:46



পুরো বিশ্বকাপ আসর দক্ষিণ আফ্রিকা যেভাবে খেলে এসেছিল সেমিফাইনালের মতো মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসে তা পাওয়া গেল না প্রোটিয়াদের কাছ থেকে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে রীতিমতো হতাশ করেছেন ডি কক, ভ্যান ডার ডুসন, মার্কামরা। অজিদের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিপরীতে শেষ পর্যন্ত রান ঠেকেছে ৪৯.৪ ওভারে সবগুলো উইকেটে হারিয়ে ২১২-তে। দলের ভরসা হয়ে ডেভিড মিলারের সেঞ্চুরিতে দুইশোর কোটা পার করা সম্ভব হয়।   

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এবারের আসরে দলীয় সর্বোচ্চ রান করা প্রোটিয়ারা প্রথম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১ রানে অধিনায়ক বাভুমাকে হারায় শূন্য রানে।

মিচেল স্টার্কের অফ স্টাম্পের কিছুটা বাইরে পিচ করা ডেলিভারি বেরিয়ে যাওয়ার মুখে খোঁচা মারেন বাভুমা। ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় পেছনে। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন জশ ইংলিস।

 

হেইজেলউডের লেংথ ডেলিভারি বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন ডি কক। একদমই টাইমিং হয়নি। উঠে যায় বেশ উঁচুতে। বলে চোখ রেখে মিড অন থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে মাথার উপর থেকে চমৎকার ক্যাচ নেন প্যাট কামিন্স। ১৪ বলে কেবল ৩ রান করেন ডি কক।

 

তখন ৬ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২ উইকেটে ৮। ক্রিজে তখন রাসি ফন ডার ডাসেনের সঙ্গী এইডেন মার্করাম।

আগের ওভারে চার হজম করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। নতুন ওভারের প্রথম বলে হজম করেছিলেন আরেকটি বাউন্ডারি। তবে মার্করামের সঙ্গে দ্বৈরথে শেষ হাসি হাসলেন বাঁহাতি এই পেসারই। তার বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়লেন মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকার এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ২০ বলে দুই চারে করেছেন ১০ রান।

 

১১ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২২। ক্রিজে রাসি ফন ডার ডাসেনের সঙ্গী হাইনরিখ ক্লসেন।

অনেকটা ফুলার লেংথের বল পা বাড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ফন ডার ডাসেন। ঠিক মতো খেলতে পারেননি, ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে স্টিভেন স্মিথের হাতে ধরা পড়েন। ৩১ বলে ফন ডার ডাসেন করেন ৬ রান।

 

ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই চার পেয়ে যান ডেভিড মিলার। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে দুই স্লিপ ফিল্ডারের মাঝ দিয়ে বল চলে যায় বাউন্ডারিতে।

 

১২ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৪ উইকেটে ২৮। ক্রিজে মিলারের সঙ্গী হাইরিখ ক্লসেন। অনেকটা ফুলার লেংথের বল পা বাড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ফন ডার ডাসেন। ঠিক মতো খেলতে পারেননি, ব্যাটের কানায় লেগে জমে পড়ে স্লিপে, স্টিভেন স্মিথের হাতে। ৩১ বলে ফন ডার ডাসেন করেন ৬ রান।

 

চতুর্থ উইকেট জুটিতে হেনরিক ক্লসেন ও মিলার ৯৫ রানের জুটি গড়ে প্রোটিয়া শিবিরে আলো জ্বালেন। কিন্তু, ১১৯ রানের মাথায় হেডের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। হেডের পরের বলেই কাটা পড়েন মারকো জনসেন। এরপর কোয়েতজিকে নিয়ে আবারও ৫৩ রানের ছোট জুটি গড়েন মিলার। কোয়েতজি ১৯ রানে প্যাট কামিন্সের শিকার হলে আবার বিপর্যয়ে পড়ে দ. আফ্রিকানরা। কেশভ মহারাজ কাটা পড়েন ১৯১ রানে।

এতক্ষণ তারা হয়ে জ্বলা ডেভিড মিলার সেঞ্চুরি পান ১১৫ বলে। এরপর দলীয় ২০৩ রানে ১০১ রান করে আউট হয়ে যান।

অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। তিনি ১০ ওভার বল করে একটি মেডেনে ৩৪ রান দিয়ে পান ৩ উইকেট। এছাড়া প্যাট কমিন্স ৯.৪ ওভার বল করে ৫১ রানে নেন ৩ উইকেট। হ্যাজেলউড ও ট্রাভিস হেড দুটি করে উইকেট পান।


ইডেনে বৃষ্টিতে বন্ধ খেলা, দারুণ চাপে দ.আফ্রিকা

সময় : 16:25



খেলা বন্ধ হওয়ার আগে কঠিন চাপে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৪ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৪ রান। যদিও প্যাট কামিন্সের করা সবশেষ ওভার থেকে তারা নিয়েছে ১২ রান।

ফাইনালে ভারতের সঙ্গী হওয়ার দারুণ আশা নিয়ে ‍দ্বিতীয় সেমিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু, শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় প্রোটিয়া ব্যাটাররা। প্রথম ওভারেই অধিনায়ক বাভুমা শূন্য রানে ফেরেন। এরপর বিরতি দিয়ে এই উইকেট পড়ার ধারা অব্যাহত থাকে।

প্রথম পাওয়ার প্লেতে মাত্র ১৮ রান তোলে ১০ ওভারে। রান তোলার গড় ছিল ১.৮০। অথচ, পুরো টুর্নামেন্টেই কি দূর্দান্তই না খেললো প্রোটিয়ারা। ঠিক সেমিতে এসেই তারা তাদের ভেতরের নার্ভাস রূপটি প্রকাশ্যে আনতে মরিয়া হয়ে ওঠে।

দলীয় ১ রানে ফেরেন অধিনায়ক বাভুমা। মিচেল স্টার্কের অফ স্টাম্পের কিছুটা বাইরে পিচ করা ডেলিভারি বেরিয়ে যাওয়ার মুখে খোঁচা মারেন বাভুমা। ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় পেছনে। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন জশ ইংলিস।

 

হেইজেলউডের লেংথ ডেলিভারি বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন ডি কক। একদমই টাইমিং হয়নি। উঠে যায় বেশ উঁচুতে। বলে চোখ রেখে মিড অন থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে মাথার উপর থেকে চমৎকার ক্যাচ নেন প্যাট কামিন্স। ১৪ বলে কেবল ৩ রান করেন ডি কক।

 

তখন ৬ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২ উইকেটে ৮। ক্রিজে তখন রাসি ফন ডার ডাসেনের সঙ্গী এইডেন মার্করাম।

আগের ওভারে চার হজম করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। নতুন ওভারের প্রথম বলে হজম করেছিলেন আরেকটি বাউন্ডারি। তবে মার্করামের সঙ্গে দ্বৈরথে শেষ হাসি হাসলেন বাঁহাতি এই পেসারই। তার বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়লেন মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকার এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ২০ বলে দুই চারে করেছেন ১০ রান।

 

১১ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২২। ক্রিজে রাসি ফন ডার ডাসেনের সঙ্গী হাইনরিখ ক্লসেন।

অনেকটা ফুলার লেংথের বল পা বাড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ফন ডার ডাসেন। ঠিক মতো খেলতে পারেননি, ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে স্টিভেন স্মিথের হাতে ধরা পড়েন। ৩১ বলে ফন ডার ডাসেন করেন ৬ রান।

 

ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই চার পেয়ে যান ডেভিড মিলার। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে দুই স্লিপ ফিল্ডারের মাঝ দিয়ে বল চলে যায় বাউন্ডারিতে।

 

১২ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৪ উইকেটে ২৮। ক্রিজে মিলারের সঙ্গী হাইরিখ ক্লসেন। অনেকটা ফুলার লেংথের বল পা বাড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ফন ডার ডাসেন। ঠিক মতো খেলতে পারেননি, ব্যাটের কানায় লেগে জমে পড়ে স্লিপে, স্টিভেন স্মিথের হাতে। ৩১ বলে ফন ডার ডাসেন করেন ৬ রান।

 

 


ভারতের সাথে ফাইনাল খেলতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে ‘চোকার্স’ প্রোটিয়ারা

সময় : 14:24



অজিদের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘চোকার্স’ দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বাভুমা। আজকে ভারত বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফানাল। ইতিমধ্যে ভারত গতকাল নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেছে। এখন অপেক্ষা ফাইনালে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কে হবে তার জন্য। আজকের ম্যাচের জয়ীদের সঙ্গে একটি উত্তেজনাকর ফাইনাল হওয়ার আশা ক্রিকেটমোদীদের।

 

এবারের বিশ্বকাপে ভারতের পর সব থেকে ধারাবাহিক দলের একটি দক্ষিণ আফ্রিকাই। আসরের সব থেকে বড় দলীয় সংগ্রহ গড়েছিলেন প্রোটিয়ারাই। ৯ ম্যাচের সাতটিতেই জিতে দ্বিতীয় দল হিসেবে নিশ্চিত করেছে সেমিফাইনাল।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অঘটনের ম্যাচে পরাজিত হলেও প্রত্যাবর্তন করেছে দারুণভাবেই। শিরোপার দৌড়ে তাই অন্যতম ফেভারিট এবার আফ্রিকার দেশটিই।

 

দ. আফ্রিকা একাদশঃ কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, এইডেন মার্করাম, হেনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো জ্যানসেন, কাগিসো রাবাদা, কেশব মহারাজ, জেরাল্ড কোয়েটজি ও তাবরাইজ শামসি।

অস্ট্রেলিয়া একাদশঃ ডেভিড ওয়ার্নার, ট্র্যাভিস হেড, মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন, জস ইংলিশ,গ্লেন ম্যাক্সওয়ে, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজলউড।


আশরাফুলের আশা পূরণ করেছেন কোহলি

সময় : 22:27



মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে আশরাফুলের আশা ছিল ভিরাট কোহলি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই তার পঞ্চাশতম সেঞ্চুরি করবেন। কোহলির কানে হয়তো পৌঁছায়নি এই কথা। তবে আশরাফুলকে নিরাশ করেননি তিনি। চলতি বিশ্বকাপেই কিউইদের বিপক্ষে কোহলি তার ৫০তম সেঞ্চুরি পূরণ করে গ্রেট শচীন টেন্ডুলকারের এত বছরের রেকর্ড ভাঙলেন।

এই বিশ্বকাপে আজকের ম্যাচের আগে ২টি সেঞ্চুরি করেছিলেন ভারতের ব্যাটিং সেনসেশন ভিরাট কোহলি। এর আগে আরও দুটি ম্যাচে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে আউট হয়েছিলেন। আউট না হলে নিশ্চয় এতদিনে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৫২টি সেঞ্চুরির মালিক হয়ে যেতেন তিনি।

 

৫ নভেম্বর নিজের ৩৫তম জন্মদিনেই বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি করে ছুঁয়েছিলেন আরেক ভারতীয় কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারকে। দু’জনেরই ওয়ানডে ক্রিকেটে সেঞ্চুরির সংখ্যা সমান ৪৯টি করে।

১৫ নভেম্বর সেমিফাইনালে মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় ভারত। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক এবং টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ আশরাফুল আশা করেছিলেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ৫০তম সেঞ্চুরির হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলবেন বিরাট কোহলি। অ্যাশের সেই আশা পূরণ করেছেন কোহলি। ১১৩ বলে তিনি ১১৭ রান করেছেন।


শচীনের সামনেই তার সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি

সময় : 18:04



ভারতীয় গ্রেট শচীন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরির রেকর্ড তারই সামনে এবং শচীনের নিজ শহর মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভাঙলেন আরেক কিংবদন্তী ভিরাট কোহলি। বিশ্বকাপে নিজেদের দশম ম্যাচে এবং প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই সেঞ্চুরি করেন।

১০৬ বলে তিনি সেঞ্চুরির দেখা পান ৯টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ভিরাট এই সেঞ্চুরি করেন। এর মাধ্যমে ভিরাট একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে শচীনের করা সর্বোচ্চ ৪৯টি সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙে ফেললেন। এটি তার ব্যক্তিগত ৫০তম সেঞ্চুরি।

ভিরাটের সেঞ্চুরির সময় শচীন টেন্ডুলকার ওয়াংখেড়ের গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন। ভিরাটের এই রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরির সময় তিনি গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে কোহলিকে অভিবাদন জানান।

এই প্রিয় মূহুর্তে শচীনের পাশাপাশি ভিরাটের সহধর্মীনি ও বলিউড তারকা আনুশকা শর্মাকেও খুবই উচ্ছসিত দেখায়।

ভিরাট অবশেষে ১১৩ বলে ১১৭ রানে থামেন টিম সাউদির বলে কনওয়ের হাতে ধরা পড়ে।

এ পর্যন্ত ২৯১ ওয়ানডে ম্যাচে ৭১টি হাফ সেঞ্চুরি ও ৫০টি সেঞ্চুরি সহযোগে রান করেছেন ১৩ হাজার ৭৯৪।


দুই খেলার ২ সেরা বিশ্বকাপের সেমিতে

সময় : 18:03



ওয়াংখেড়েতে ভারত-নিউজ়িল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচ দেখতে এসেছেন সাবেক ইংলিশ ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম। শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। প্রথম সেমিফাইনালের আগে দুই দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা গেল বেকহ্যামকে। সচিন এবং বেকহ্যাম একসঙ্গে মাঠে নামেন। তারপর দুই দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলান।

 

ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবলার বেকহাম বুধবার ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল দেখতে এসেছেন ইউনিসেফের দূত হিসাবে। বেকহাম মানেই বাঁকানো শটে গোল আর শচীন মানে নিখুঁত স্ট্রেট ড্রাইভ। একজনের পায়ে বল পড়লে ভয় পেতেন ডিফেন্ডাররা। আর শচীন ব্যাট করতে নামা মানে বোলারদের ঘুম উড়ে যাওয়া। দুই ভিন্ন খেলার দুই অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ওয়াংখেড়েতে একসঙ্গে।

 

জাতীয় সঙ্গীতের সময় বেকহাম এবং শচীনকে দেখা গেল বাউন্ডারিতে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে রয়েছেন। বেকহামের দেশ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু ইংরেজ ফুটবলার চলে এসেছেন ক্রিকেটের সেমিফাইনাল দেখতে।

২০১১ সালে ওয়াংখেড়ের মাঠেই বিশ্বকাপ জিতেছিল মাহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভারত। সেই মাঠেই ১২ বছর পর সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছেন রোহিত শর্মারা। চার বছর আগে নিউজ়িল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল ভারতকে। সেই ম্যাচের বদলা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে তাদের।


হাফ সেঞ্চুরির দেখা না পেয়েওে যে রেকর্ড গড়লেন রোহিত

সময় : 16:51



বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি রোহিত। মাত্র তিন রান দূরে থেকে অর্থাৎ, ২৯ বলে ৪৭ রান করে আউট হন ভারত অধিনায়ক। কিন্তু, ২০২৩ বিশ্বকাপ শুরুর ম্যাচ থেকে রোহিত ছয়ের রেকর্ড ভাঙার দিকেই হাঁটছিলেন।

বিশ্বকাপে নিজেদের দশম ম্যাচে এসে ভাঙলেনও সেই রেকর্ড। একদিনের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড এখন রোহিত শর্মার। রোহিত টপকালেন ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইলকে। ওয়াংখেড়েতে নিউজ়িল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে এই রেকর্ড গড়লেন রোহিত শর্মা।

এতদিন পর্যন্ত বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড ছিল গেইলের দখলে। ক্যারিবিয়ান ব্যাটার ৪৯টি ছক্কা মেরেছিলেন এক দিনের বিশ্বকাপে। রোহিত তাকে টপকে মারলেন ৫০টি ছক্কা। ২৭টি ইনিংস খেলে ৫১টি ছক্কা মারলেন তিনি।

 

বুধবার চারটি ছক্কা মারেন রোহিত। তার ৪৭ রানের ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কা। এর মধ্যে তৃতীয় ছক্কাটি মেরে গেইলের রেকর্ড ভাঙেন রোহিত। ৪.২ ওভারে রোহিত বিশ্বকাপে নিজের ৫০তম ছক্কাটি মারেন। এসময় দ্রুত রান তুলছিলেন তিনি।

 

বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি ছক্কা মারার তালিকায় গেইলের পরে রয়েছেন গ্লেইন ম্যাক্সওয়েল। এবারের বিশ্বকাপে দ্বিশতরান করা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার বিশ্বকাপে ৪৩টি ছক্কা মেরেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডিভিলিয়ার্স মেরেছেন ৩৭টি ছক্কা। ডেভিড ওয়ার্নারও ৩৭টি ছক্কা মেরেছেন। ওয়ার্নারের পক্ষে রোহিতকে ছোঁয়া বেশ কঠিন। তবে ম্যাক্সওয়েল টক্কর দিতে পারেন রোহিতকে।

 

রোহিত এবারের বিশ্বকাপে আক্রমণাত্মক ভাবেই খেলছেন। প্রতি ম্যাচেই রান করেছেন তিনি। শতরানও করেছেন। সেমিফাইনালেও ভারতকে ভাল শুরু এনে দিয়েছেন রোহিত।  


প্রথম পাওয়ার প্লেতেই বড় স্কোরের আভাস ভারতের

সময় : 15:28



গত আসরের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম সেমিফাইনালে স্বাগতিক ভারত মুখোমুখি হয়েছে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। টস জিতে ভারত ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম ওভার থেকেই দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের মারমুখী ব্যাটিংয়ে ভালো শুরুর দারুণ আভাস মেলে।

প্রথম পাওয়ার প্লেতে ভারতের সংগ্রহ এক উইকেটে ৮৪ রান। ভারত একমাত্র উইকেটটি হারিয়েছে রোহিত শর্মার। অফ সাইডের দিকে বেরিয়ে যাওয়া টিম সাউদির হাফ ভলি ধরনের একটি বল তুলে মারতে যান ভারত অধিনায়ক রোহিত। কিন্তু ঠিকমতো কানেক্ট না হওয়ায় মিড অফে বেশ খানিকটা পিছিয়ে ক্যাচ নেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।

রোহিত আজকেও হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। তিনি ২৯ বলে ৪টি চার ও ৪টি ছয়ে করেন ৪৭ রান। ক্রিজে আছে দারুণ ছন্দে থাকা ভিরাট কোহলি ও শুভমান গিল। শুভমান আছেন ২৬ বলে ৩০ রানে আর ভিরাট ৫ বলে ৪ রানে।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারত ১০ ওভার শেষে এক উইকেট হারিয়ে করেছে  ৮৪ রান।


প্রথম সেমিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে ভারত

সময় : 14:24



এলো সেই সেমির মহারণ। পর পর দুই আসরে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড। আজকের ম্যাচের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে গত আসরের মতো এবারও কিউইরা ফাইনাল খেলতে পারবেন কি না। এরই মধ্যে হয়েছে টস। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

 

আয়োজক দেশ ভারত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আসরে রীতিমতো উড়ছে ঘরের মাঠে। ইতিমধ্যে টানা ৯ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে  

ভারত একাদশঃ রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল (উইকেটকিপার), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও মোহাম্মদ শামি।

 

নিউজিল্যান্ড একাদশঃ ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র, কেইন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ড্যারিল মিচেল, টম ল্যাথাম (উইকেটকিপার), গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চাপম্যান, মিচেল স্যান্টনার, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি ও লকি ফার্গুসন।

 


প্রথম সেমিতে বৃষ্টি হলে কে যাবে ফাইনালে?

সময় : 14:59



এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে অপ্রতিরোধ্য দলের নাম ভারত। এই স্বাগতিক দেশটি লিগ পর্বের ৯ ম্যাচের একটি ম্যাচেও এখনও হারেনি। বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে শিরোপার অন্যতম দাবিদ্বার ভারত।

প্রথম সেমিফাইনালে ৫ ম্যাচ জেতা কিউইদের বিপরীতে মাঠে নামবে ভারত। বুধবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। এই ম্যাচে কি বিঘ্ন ঘটাতে পারে বৃষ্টি? যদিও আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার মুম্বাইয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। প্রকৃতির লীলাতো বোঝা যায় না। যদি কোনও কারণে বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে যায় তাহলেই বা কোন দল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠবে?  

 

মুম্বাই আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, তাপমাত্রা থাকবে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকবে ৪৯ শতাংশ। কিন্তু নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মুম্বাইয়ে স্থানীয় মেঘ থেকে অনেক সময় বৃষ্টি হয়। তেমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে কী হবে?

 

বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে সেমিফাইনালের জন্য এক দিন করে রিজার্ভ দিন রাখা হয়েছে। যদি কোনও কারণে বুধবার খেলা না হয়, তা হলে বৃহস্পতিবার রিজার্ভ দিন হিসেবে রয়েছে। দু’টি দিনের মধ্যে দু’লকে অন্তত ২০ ওভার করে ব্যাট করতে হবে। তা হলেই খেলার ফলাফল ঠিক হয়ে যাবে। বৃষ্টিতে ওভার কমলে সেখানে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়ম কাজে আসবে।

 

যদি কোনওভাবেই দু’দিন ধরে দু’টি দলের ২০ ওভার করে ব্যাটিং না হয় সে ক্ষেত্রে খেলা ভেস্তে যাবে। যদি খেলা ভেস্তে যায় তা হলে রাউন্ড রবিন পর্বে পয়েন্ট তালিকায় যে দল উপরে ছিল সেই দল ম্যাচ জিতবে।

 

এই জায়গায় নিরাপদ ভারত। ভারত নিজেদের সব ক’টি ম্যাচ জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে রাউন্ড রবিন পর্ব শেষ করেছে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে শেষ করেছে নিউজ়িল্যান্ড। অর্থাৎ, কোনও কারণে যদি খেলা না হয় তাহলে পয়েন্ট তালিকার উপরে থাকায় ফাইনালে উঠে যাবে ভারত। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেবে নিউজ়িল্যান্ডকে।


সেমিতে থাকবেন যে আম্পায়াররা

সময় : 14:08



দেখতে দেখতে ভারত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লগ্ন চলে এলো। লিগ পর্বের খেলা শেষ হলো। এবার বিশ্বকাপে মোট ১০ দলের অংশগ্রহণ ছিল। এর মধ্যে ৬ দল সেমিতে কোয়ালিফাই করতে পারেনি। বাকি ৪ দল করছে। দিন পেরুলেই প্রথম সেমিফাইনাল খেলবে স্বাগতিক ভারত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।  

আগামী বুধ ও বৃস্পতিবার মুম্বাই ও কলকাতায় অনুষ্ঠিত হবে দুটি সেমিফাইনাল। তার আগে সেমিফাইনাল ম্যাচে কোন আম্পায়াররা দায়িত্ব পালন করবেন সেই তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি।

 

ভারত-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম সেমিফাইনালে অন ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন রিচার্ড ইলিংওর্থ ও রড টাকার। টিভি আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন জোয়েল উইলসন। চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন আদ্রিয়ান হোল্ডস্টোক। আর ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন অ্যান্ডি পাইক্রফট।

 

এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অন ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন রিচার্ড কেটেলবরা ও নিতিন মেনন। টিভি তথা থার্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন ক্রিস গাফানি। চতুর্থ আম্পায়ার মাইকেল গফ। আর ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথ।

 

৯ ম্যাচের ৯টিতেই জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে ভারত। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া ৭টি করে ম্যাচ জিতে জায়গা করে নেয় শেষ চারে। আর নিউ জিল্যান্ড ৫টি ম্যাচ জিতে নিশ্চিত করে ফাইনালে ওঠার লড়াই।


কোহলি এক পায়ে দাঁড়িয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে

সময় : 16:14



বিশ্বকাপ এমনই এক বৈশ্বিক আসর যেখানে সব দলই তাদের সেরাটা নিয়ে অংশগ্রহণ করে সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে। তাই প্রতিযোগীতাটাও জমে ওঠে ব্যাটে-বলে। এবার দল হিসেবে ভারত সেরা ও অপরাজিত। আর তাদের ব্যাটাররাও আছেন দূর্দান্ত ফর্মে। সেই জায়গায় জীবন্ত লিজেন্ড কোহলিতো প্রায় ম্যাচেই কোনও না কোনও রেকর্ড গড়েই যাচ্ছেন।

ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের লিগ পর্বে এখন পর্যন্ত হয়েছে মোট ৪৫টি ম্যাচ। এরই মধ্যে ভারত বিশ্বকাপে বেশ কিছু চমক দেখে ফেলেছে ক্রিকেট বিশ্ব। দুই দফায় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও হয়ে গেল। আবার হয়েছে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। আবার রেকর্ড রানতাড়ার দেখাও মিলেছে এবারের আসরে। এছাড়া ব্যক্তিগত এবং দলভেদে রেকর্ডের দেখাও মিলেছে বেশ কয়েকটি ম্যাচে।

 

টুর্নামেন্টের শেষ চারের লড়াইয়ে টিকে গেছে ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া।   

 

রানের এই বিশ্বকাপে বেশ কয়েকবারই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় রদবদল এসেছে। ভারতের রোহিত শর্মা-ভিরাট কোহলি, দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক, নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র কিংবা রাসি ভ্যান ডার ডুসেন বেশ কয়েকবারই শীর্ষে উঠেছেন, আবার নেমেও গিয়েছেন।

 

৯ ম্যাচ শেষে এখন শীর্ষে আছেন রান সংগ্রহের দিক থেকে শীর্ষে আছেন ভিরাট কোহলি। তিনি ৯ ম্যাচে করেছেন ৫৯৪ রান। গড়- ৯৯। এবারের বিশ্বকাপেই ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডে শচীনের পাশে উঠে এসেছেন তিনি। ৯ ম্যাচে পেয়েছেন ২ সেঞ্চুরি।

 

দুইয়ে আছেন কুইন্টন ডি কক। ৪ ইনিংসে শতরান করেছেন। পঞ্চাশ পূর্ণ করা সব ইনিংসই তিনি টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন শতরান পর্যন্ত। ৬৫.৬৬ গড় তার। কোহলির থেকে মাত্র ৩ রান কম এই প্রোটিয়া ব্যাটারের। করেছেন ৫৯১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিশ্বকাপের সেমিতে তোলার ক্ষেত্রে বড় অবদানই রেখেছেন ডি কক।

 

তালিকার পরের দুজনও ৫০০ রানের কোটা পার করেছেন। রাচিন রবীন্দ্র করেছেন ৫৬৫ রান। ২৩ বছরের আগে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড এরইমাঝে করে ফেলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই কিউই ব্যাটার। বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজও বলা যায় রাচিনকে। ৩ সেঞ্চুরি আর ২ হাফ-সেঞ্চুরির মালিক রাচিন। চারে থাকা রোহিত শর্মার রান ৫০৩। এবারের আসরে ১টি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি। তাতেই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক হয়েছেন তিনি।

 

পাঁচে থাকা ওয়ার্নারের রান ৪৯৯। ২ সেঞ্চুরি আর ২ হাফসেঞ্চুরি আছে তার নামের পাশে। সেরা বিশে অবশ্য নেই কোন বাংলাদেশি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আছেন ২১ নম্বরে। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার করেছেন ৩২৮ রান। ১ সেঞ্চুরি আর ১ হাফসেঞ্চুরির সাহায্যে এই রান করেছেন রিয়াদ।


ব্যর্থ হলেও বিশ্বকাপে কত টাকা পেল বাংলাদেশ?

সময় : 16:39



বিশ্বকাপের দামামা শেষ। বাড়িও ফিরেছে লিটন-শান্তরা। এখন বিশ্রাম নিয়ে নতুন মিশন শুরুর অপেক্ষা। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ব্যর্থতাই উপহার দিয়েছে। জয় পেয়েছে মাত্র দুই ম্যাচে। বাকি ৭ ম্যাচে পরাজয়।

ধারাবাহিক ব্যর্থতায় বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়েছে পয়েন্ট টেবিলের আট নম্বরে থেকে। হতাশাজনক পারফরম্যান্স। তারপরও আইসিসিরি নিয়ম অনুযায়ী প্রাইজ মানি পাবে বাংলাদেশ। সেই অঙ্কটা কত হলো সাকিবদের?

বিশ্বকাপের প্রাইজমানি থেকে বাংলাদেশ এবার দেড় কোটিরও বেশি টাকা পাচ্ছে।

চলমান বিশ্বকাপ আসরের জন্য মোট ১০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১১০ কোটি টাকা প্রাইজমানি বরাদ্দ রেখেছে আইসিসি। সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নেওয়া প্রতিটি দল পাবে এক লাখ ডলার বা প্রায় এক কোটি ১০ লাখ টাকা। এছাড়া রাউন্ড রবিন লিগে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য একটি দল ৪০ হাজার ডলার করে পেয়েছে।

বাংলাদেশ এবারের আসরে ৯টির মধ্যে দুটি ম্যাচ জিতেছে। এছাড়া প্রথম রাউন্ডে খেলার জন্য বরাদ্দ মিলিয়ে তাদের প্রাপ্ত অর্থ দাঁড়িয়েছে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ ডলার বা এক কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এটি চলতি আসরে কোনো দলের সর্বনিম্ন প্রাপ্ত অর্থ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ তিনটি দল দুই ম্যাচ করে জিতেছে। শ্রীলঙ্কা সবার আগে বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরলেও, আরেক দল নেদারল্যান্ডস আজ (রোববার) মুখোমুখি হয়েছে ভারতের।

 

সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের প্রাইজমানির হিসাবে নজর রাখলে দেখা যায়– বিশ্বকাপজয়ী দল ৪০ লাখ ডলার (প্রায় ৪৪ কোটি টাকা) পুরস্কার পাবে এবং রানার্সআপ দলের পকেটে ঢুকবে ২০ লাখ ডলার (প্রায় ২২ কোটি টাকা)। সেমিফাইনালে পরাজিত দু’দলই সমান অঙ্কের টাকা পাবে। দুই দলকে দেওয়া হবে আট লাখ ডলার (প্রায় ৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা) করে। ইতোমধ্যে সেমিফাইনালে পা রেখেছে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। এছাড়া চারটি করে জয় নিয়ে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এবং তিন জয় নিয়ে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে।

 


বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ডাচদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ভারত

সময় : 14:19



বিশ্বকাপের ৪৫তম ম্যাচে বেঙ্গালুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। আজ বিশ্বকাপে ডাচদের শেষ ম্যাচ। আজ জিতুক হারুক ডাচদের বিদায়ী ম্যাচ এটি।

শুধুই নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। তারপরও বুকটা দূরু দূরু। নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ভারত হারবে এজন্য! না, এমন কোনও ভয়ের কারণ নেই। খেলায় হারজিত থাকবেই। তারপরও ভারতের হারানোর কিছু নেই। কারণ তারা এখন পর্যন্ত অপরাজিত। আসল  সমস্যায় আছে বাংলাদেশ। কোনওভাবে ডাচরা জিতে গেলে বাংলাদেশ বাদ পড়বে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে।

 

ভারত একাদশঃ রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ শামি, জাসপ্রিত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ।

নেদারল্যান্ডস একাদশঃ ওয়েসলি বারেসি, ম্যাক্স ওডাউড, কলিন অ্যাকারম্যান, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখ্ট, স্কট এডওয়ার্ডস (উইকেটরক্ষক/অধিনায়ক), বাস ডি লিড, তেজা নিদামানুরু, লোগান ভ্যান বেক, রোয়েলফ ভ্যান ডার মেরওয়ে, আরিয়ান দত্ত, পল ভ্যান মিকারেন।

 


গোটা বাংলাদেশ আজ যে কারণে ভারতকে সাপোর্ট করবে

সময় : 13:01



বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচটি বাকি। আজ দুপুর আড়াইটায় বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। এই ম্যাচে দুই অসম শক্তির লড়াই হবে। বিশ্বকাপের প্রচণ্ড প্রতাপশালী ভারত ও একেবারেই অনভিজ্ঞ দল নেদারল্যান্ডস। এই ম্যাচটি শুধুই নিয়মরক্ষার ম্যাচ।

আট ম্যাচের মধ্যে আটটি জিতে ভারত ইতিমধ্যেই শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে। অন্যদিকে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে নেদারল্যান্ডস।

কিন্তু এই ম্যাচ যে শুধুই নিয়মরক্ষার নয়। কারণ, এই ম্যাচের উপর নির্ভর করছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য। বিশেষ করে বলতে গেলে বাংলাদেশের ভাগ্য।

 

চলতি বিশ্বকাপ থেকেই ঠিক হয়ে যাবে কারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাচ্ছে। বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার প্রথম ৮টি দল সুযোগ পাবে ২০২৫ সালের এই প্রতিযোগিতায়। আয়োজক দেশ হিসাবে পাকিস্তান এমনিতেই খেলবে। তারা বাদে বাকি সাতটি দল ঠিক হবে বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকা থেকে। আটটি দলের মধ্যে ইতিমধ্যেই সাতটি দল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে একটি দল।

 

পয়েন্ট তালিকার প্রথম সাতটি দল যথাক্রমে ভারত (১৬ পয়েন্ট), দক্ষিণ আফ্রিকা (১৪ পয়েন্ট), অস্ট্রেলিয়া (১৪ পয়েন্ট), নিউজ়িল্যান্ড (১০ পয়েন্ট), পাকিস্তান (৮ পয়েন্ট), আফগানিস্তান (৮ পয়েন্ট) ও ইংল্যান্ড (৬ পয়েন্ট)। এই সাতটি দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলবেই। বাকি রয়েছে বাংলাদেশ (৪ পয়েন্ট), শ্রীলঙ্কা (৪ পয়েন্ট) ও নেদারল্যান্ডস (৪ পয়েন্ট)। এই তিনটি দলের পয়েন্ট এক হলেও নেট রানরেটে বাকি দু’জনের থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এখনও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট পাকা করতে পারেনি তারা।

 

যদি বেঙ্গালুরুতে শেষ ম্যাচে ভারতকে নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দেয় তাহলে তাদের পয়েন্ট হবে ৬। সেক্ষেত্রে আট নম্বর দল হিসাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা সুযোগ পেয়ে যাবে। বাদ পড়তে হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে। আর যদি নেদারল্যান্ডস ভারতের কাছে হারে তা হলে নেট রানরেটে আট নম্বর দল হিসাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার ছাড়পত্র পেয়ে যাবে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে বাদ পড়বে নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ, বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নির্ভর করছে ভারতের উপর।

রোহিতেরা জিতলে তবেই খেলার সুযোগ হবে বাংলাদেশের। রবিবার গোটা বাংলাদেশ হয়তো প্রার্থনা করবে ভারতের জয়ের। যদি কোনও কারণে বৃষ্টিতে খেলা ভেস্তে যায় তা হলেও ১ পয়েন্ট পাবে নেদারল্যান্ডস। সেক্ষেত্রেও বাদ পড়বে বাংলাদেশ। তাই প্রকৃতির উপরে কিছুটা হলেও সাকিবদের ভাগ্য নির্ভর করছে।


টেনেটুনে ২ ম্যাচে পাশ, ৭ ম্যাচে ফেল করে ফিরেছে বাংলাদেশ

সময় : 11:52



বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান স্বীকার করেছেন এবারের বিশ্বকাপটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ গেল। আসলেইতো তাই। কারণ, এই বিশ্বকাপে অন্য যেকোনও বিশ্বকাপের চেয়ে প্রত্যাশার পারদ উপরের দিকে ছিল দল ও সমর্থকদের। কিন্তু, সেই প্রত্যাশার চরম ভরাডুবি হয়েছে। টেনেটুনে দুই ম্যাচে পাশ আর ৭ ম্যাচে ফেল করে দেশে ফিরেছে শান্ত-মুশফিকরা।

আজ রোববার (১২ নভেম্বর) পুনে থেকে সকাল ৬টায় আইসিসির ভাড়া করা বিমানে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় বাংলাদেশ দল। ঘণ্টা তিনেক পর ৯টা ৪৫ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখে তারা।

ক্রিকেটাররা সবাই দেশে ফিরলেও ফেরেননি বিদেশী কোচিং স্টাফের কেউ। বিশ্বকাপ শেষে ছুটিতে গেছেন কোচিং স্টাফের সবাই। ভারত থেকেই যে যার যার দেশে চলে গেছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি মাসের শেষ দিকে টেস্ট সিরিজের আগে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাদের।

এবারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়ে গেলেও সবার আগে শেষ চারের লড়াই থেকে বাদ পড়ে যায় বাংলাদেশ। মোট ৯ ম্যাচ খেলে কেবল দুই জয় পায় বাংলাদেশ। চার পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের আটে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করে সাকিব আল হাসানের দলের।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে ধর্মশালায় আফগানিস্তানকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর টানা ছয় ম্যাচে হারের মুখ দেখে তারা। ৮ম ম্যাচে দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর শেষ ম্যাচে আবারো দেখতে হয় হারের মুখ।  


সেমিতে কোন দল কবে, কার মুখোমুখি হচ্ছে?

সময় : 11:04



সময় হয়ে এলো বিশ্বকাপের শিরোপা কার হাতে উঠে তা দেখার। আর মাত্র এক ধাপ বাকি। তারপরই নির্ধারিত হবে ফলাফল। ফাইনালের আগে সেমি ফাইনালের লড়াই শুরু হবে। খেলবে চার দল।

ভারত বিশ্বকাপের একটি সেমিফাইনাল আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। শনিবার নিশ্চিত হয়ে গেল আরও একটি সেমিফাইনাল। রাউন্ড রবিন পর্যায়ে এখনও ভারতের শেষ ম্যাচ বাকি। তার আগেই সেমিফাইনালে কাদের মুখোমুখি হবে তারা তা ঠিক হয়ে গেল।

আগামী ১৫ নভেম্বর, অর্থাৎ বুধবার প্রথম সেমিফাইনালে ভারত খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচ হবে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। পরের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে অস্ট্রেলিয়া খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

 

গতবারের বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে এবারও। গতবার ভারত রাউন্ড রবিনে শীর্ষস্থানে ছিল। চতুর্থ স্থানে ছিল নিউজ়িল্যান্ড। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। পাকিস্তানকে ছিটকে দিয়ে নিউজ়িল্যান্ড শেষ চারের টিকিট জিতে নিল। গতবার রাউন্ড রবিনে ভারত অপ্রতিরোধ্য থেকেও সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের কাছে। এবার ভারত রাউন্ড রবিন পর্বেই নিউজ়িল্যান্ডকে হারিয়েছে। মিটিয়েছে ২০ বছরের খরা।

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে যে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে, তারা খেলেছিল ২৪ বছর আগেও। ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপের সেই সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া আগে ব্যাট করে ২১৩ রান তুলেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা রান তাড়া করে একই রান তোলে। কিন্তু জয়ের রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান অ্যালান ডোনাল্ড। রান রেটে ফাইনালে উঠে যায় অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রকৃত অর্থে ‘চোকার্স’ তকমা পাওয়া শুরু করেছিল ওই ম্যাচের পর থেকেই।


চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যে সমীকরণে খেলবে বাংলাদেশ

সময় : 17:22



বাংলাদেশের বিশ্বকাপ নিয়ে দেখা স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হয়েছে আগেই। এখন সম্মান বাঁচানোর লড়াই। বিশ্বকাপের দলগুলোর মধ্যে আট নম্বরে থেকে বিশ্বকাপটি শেষ করলেই যেন বড় বাঁচা বেঁচে যায় বাংলাদেশ। কারণ, এতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারবে বাংলাদেশ।

সংশয়, বাংলাদেশ কি পারবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে? এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকায় টাইগাররা সেরা আটের মধ্যেই আছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে যদি বড় ব্যবধানে হেরে যায় তাহলে পয়েন্ট টেবিলে ওলট-পালট হবে। হিসেবও উল্টে যাবে। কেননা এখানে রানরেটের একটা হিসেব আছে।

 

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে অবস্থান করছে যথাক্রমে ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা আর নেদারল্যান্ডস। ইংল্যান্ড এখন সাতে। আজ পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হারলে তাদেরও নিচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

 

তবে বাংলাদেশের মূল সমীকরণটা আসলে অস্ট্রেলিয়াকে যত ওভার পর্যন্ত আটকে রাখা যায়, তার ওপর। সেক্ষেত্রে আজ যদি অস্ট্রেলিয়াকে রান তাড়ায় ২২.৪ ওভার পর্যন্ত আটকে রাখতে পারে বাংলাদেশ, তবে শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশি রানরেট ধরে রেখে কমপক্ষে আটে থেকে শেষ করার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।

 

অর্থাৎ বাংলাদেশ যে অস্ট্রেলিয়াকে ৩০৭ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছে, তা ২২.৪ ওভারে অসিরা তাড়া করে ফেলতে পারলেই কেবল রানরেট লঙ্কানদের নিচে চলে যাবে টাইগারদের। সহজ হিসেব হলো, অস্ট্রেলিয়াকে কোনোমতেই এই ওভারের মধ্যে জিততে দেওয়া যাবে না।

তবে একটু কিন্তু থেকেই যায় নেদারল্যান্ডসের জন্য। নেদারল্যান্ডস যদি ভারতের সঙ্গে কোনও অঘটন ঘটিয়ে দেয় তবে বাংলাদেশের আর কোনও সম্ভাবনা থাকবে না।  

 


টাইমড আউট নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে এমসিসি

সময় : 17:21



টাইমড আউট নিয়ে কম আলোচনা হলো না। এই আউট নিয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্বই দুই ভাগে ভাগ হয়ে মতামত দেয়। এই আউটের আপিল করায় সাকিবকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ম্যাচে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও আলোচনা থেমে নেই।

এই সাকিব আল হাসানের করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের এই আউট নিয়ে এবার বিবৃতি দিয়েছে ক্রিকেটের আইন প্রণয়ন সংস্থা- মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ দল, আম্পায়াররা কোনো ভুল করেননি বলে জানিয়েছে, বরং আউটের জন্য ম্যাথুজের ভুল পেয়েছে এমসিসি।

 

এমসিসির আইন-

নিয়মের উল্লেখযোগ্য দিক হলো, নতুন ব্যাটারকে আগের আউটের দুই মিনিটের মধ্যে প্রথম বল খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। মাঠে ঢোকা বা উইকেটে থাকাও টাইমড আউট এড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রথম বল খেলার অবস্থায় থাকতে হবে ব্যাটারকে। 

 

ম্যাথুজের আউট নিয়ে-

আম্পায়ারদের মনে হয়েছে, দুই মিনিট সময়ের মধ্যে প্রথম বল মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না ম্যাথুজ।

 

এরপর তার হেলমেটেও সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে আরো সময় নষ্ট হয়।

সময় চাইতে পারতেন ম্যাথুজ-

ত্রিশ গজের বৃত্তে যেতেই ৯০ সেকেন্ড লেগে যাওয়ায় ম্যাথুজ হয়তো বুঝতে পারেন, সময়ের চেয়ে পিছিয়ে আছেন তিনি। তাই বাকি পথ কিছুটা দৌড়েই যান।

 

আগের উইকেট পড়ার ১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের মাথায় তার হেলমেটের সমস্যা দেখা দেয়। ওই মুহূর্তে পর্যন্ত তিনি গার্ড নেননি এবং বল খেলার জন্যও প্রস্তুত ছিলেন না।

যখন হেলমেটে সমস্যা হলো, তখন আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেননি ম্যাথুজ। সাধারণত নতুন সরঞ্জাম আনার ক্ষেত্রে তা করতে হয়। কিন্তু তিনি নতুন হেলমেটের জন্য সরাসরি ড্রেসিং রুমের দিকে ইশারা করেন।

 

তিনি যদি আম্পায়ারকে বলতেন কী হয়েছে এবং সময় চাইতেন, তাহলে তারা (আম্পায়ার) হয়তো টাইমড আউটের বিষয়টি এড়িয়ে হেলমেট পরিবর্তনের জন্য সময় দিতেন।

টাইমড আউট ক্রিকেটীয় চেতনা বিরোধী কি না-

 

এই নিয়ম ছাড়া একজন ব্যাটার উইকেট পড়ার পর সময়জ্ঞানের পরিচয় না দিয়ে অযথা সময় অপচয় করতে পারেন। যখন দিনের আলো কমতে থাকে এবং ড্র সম্ভাব্য ফল হতে পারে, তখন এই সময় অপচয় একটি সমস্যা হতে পারে। এছাড়া সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মন্থর ওভার রেটের কারণে ফিল্ডিং দলকে শাস্তির মুখেও পড়তে হয়। এমনকি ব্যাটারের ভাবনায় যদি সময় অপচয় নাও থাকে, তবু খেলাটির গতি ধরে রাখতে ও দুই উইকেটের মাঝে অহেতুক বিরতি এড়াতে টাইমড আউটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

 


টাইমড আউট নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে এমসিসি

সময় : 16:36



টাইমড আউট নিয়ে কম আলোচনা হলো না। এই আউট নিয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্বই দুই ভাগে ভাগ হয়ে মতামত দেয়। এই আউটের আপিল করায় সাকিবকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ম্যাচে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও আলোচনা থেমে নেই।

এই সাকিব আল হাসানের করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের এই আউট নিয়ে এবার বিবৃতি দিয়েছে ক্রিকেটের আইন প্রণয়ন সংস্থা- মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ দল, আম্পায়াররা কোনো ভুল করেননি বলে জানিয়েছে, বরং আউটের জন্য ম্যাথুজের ভুল পেয়েছে এমসিসি।

 

এমসিসির আইন-

নিয়মের উল্লেখযোগ্য দিক হলো, নতুন ব্যাটারকে আগের আউটের দুই মিনিটের মধ্যে প্রথম বল খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। মাঠে ঢোকা বা উইকেটে থাকাও টাইমড আউট এড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রথম বল খেলার অবস্থায় থাকতে হবে ব্যাটারকে। 

 

ম্যাথুজের আউট নিয়ে-

আম্পায়ারদের মনে হয়েছে, দুই মিনিট সময়ের মধ্যে প্রথম বল মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না ম্যাথুজ।

 

এরপর তার হেলমেটেও সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে আরো সময় নষ্ট হয়।

সময় চাইতে পারতেন ম্যাথুজ-

ত্রিশ গজের বৃত্তে যেতেই ৯০ সেকেন্ড লেগে যাওয়ায় ম্যাথুজ হয়তো বুঝতে পারেন, সময়ের চেয়ে পিছিয়ে আছেন তিনি। তাই বাকি পথ কিছুটা দৌড়েই যান।

 

আগের উইকেট পড়ার ১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের মাথায় তার হেলমেটের সমস্যা দেখা দেয়। ওই মুহূর্তে পর্যন্ত তিনি গার্ড নেননি এবং বল খেলার জন্যও প্রস্তুত ছিলেন না।

যখন হেলমেটে সমস্যা হলো, তখন আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেননি ম্যাথুজ। সাধারণত নতুন সরঞ্জাম আনার ক্ষেত্রে তা করতে হয়। কিন্তু তিনি নতুন হেলমেটের জন্য সরাসরি ড্রেসিং রুমের দিকে ইশারা করেন।

 

তিনি যদি আম্পায়ারকে বলতেন কী হয়েছে এবং সময় চাইতেন, তাহলে তারা (আম্পায়ার) হয়তো টাইমড আউটের বিষয়টি এড়িয়ে হেলমেট পরিবর্তনের জন্য সময় দিতেন।

টাইমড আউট ক্রিকেটীয় চেতনা বিরোধী কি না-

 

এই নিয়ম ছাড়া একজন ব্যাটার উইকেট পড়ার পর সময়জ্ঞানের পরিচয় না দিয়ে অযথা সময় অপচয় করতে পারেন। যখন দিনের আলো কমতে থাকে এবং ড্র সম্ভাব্য ফল হতে পারে, তখন এই সময় অপচয় একটি সমস্যা হতে পারে। এছাড়া সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মন্থর ওভার রেটের কারণে ফিল্ডিং দলকে শাস্তির মুখেও পড়তে হয়। এমনকি ব্যাটারের ভাবনায় যদি সময় অপচয় নাও থাকে, তবু খেলাটির গতি ধরে রাখতে ও দুই উইকেটের মাঝে অহেতুক বিরতি এড়াতে টাইমড আউটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

 


শেষ ম্যাচে অজিদের ৩০৭ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিল বাংলাদেশ

সময় : 15:25



বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ করলো ৮ উইকেটের ৩০৬ রান। ওয়ার্নারদের লক্ষ্য ৩০৭ রানের। অজিদের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। দুই দলের সর্বশেষ দেখা হয়েছিল ২০১৯ বিশ্বকাপে। সেবার পরে ব্যাট করে অজিদের বেঁধে দেওয়া ৩৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ করেছিল ৩৩৩ রান।

টেইল-ইন্ডারদের ব্যর্থতায় ডেথ ওভারে আশানুরূপ রান আসেনি। ডেথ ওভারে বাংলাদেশ ছিল একেবারেই ফ্যাকাশে। তার উপর রান আউটের মহড়া দেখা গেছে এই ম্যাচে। তিন তিনটি রান আউট হয়েছে এই ম্যাচে।

ভারত বিশ্বকাপের ৪৩তম ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। লিটন-তানজিদে ভর করে দারুণ স্টার্ট পেয়েছিল টাইগাররা। প্রথম ১০ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬২ রান আসে।

এই ভালো শুরুটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। তানজিদ তামিম দলীয় ৭৬ রানে শন অ্যাবোটের বলে তার হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৩৪ বলে ৩৬ রান করে। এরপর তার সঙ্গী লিটনও ১০৬ রানের মাথায় ফেরেন লাবুশানের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে। ফেরার সময় তার ঝুলিতে ছিল ৪৫ বলে ৩৬ রান। 

নাম্বার তিনে নামা অধিনায়ক শান্ত অকারণে রান আউটে কাটা পড়েন। তিনি ইনিংসটোকে বড় না করতে পারার আক্ষেপ নিয়ে ৪৪ রানে মাঠ ছাড়েন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাওহীদ হৃদয় ভালো জুটি গড়েও তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে রান আউটে ফেরেন রিয়াদ। তিনি ৩টি ছয় ও একটি চারে ২৮ বলে ৩২ রান করেন।

২৫১ রানের মাথায় মুশফিকুর রহিম প্যাট কামিন্সের হাতে ক্যাচ দেন জাম্পার বলে। ২৪ বলে ২১ রান করেন মুশি। দারুণ খেলেও ইনিংসটা বড় করতে পারলেন না তাওহীদ হৃদয়। তিনি ২৮৬ রানের মাথায় মার্কাস স্টয়নিসের ফুলটস বলে লাবুশানের ক্যাচে পরিণত হন। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে হৃদয় করেন ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭৯ বলে ৭৪ রান।

 

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা। তিনি ১০ ওভার বল করে ৩২ রানে নেন ২ উইকেট। এছাড়া শন অ্যাবোটও নেন ২ উইকেট। মার্কুস স্টাইনিস নেন একটি উইকেট।

এই শেষ ম্যাচে অজিদের সঙ্গে ৩১.৫ ওভারে (১৯৩ বলে) ২০০ রান পূর্ণ করে ৩ উইকেট হারিয়ে।

এর আগে প্রথম ৫০ রান হয়েছিল ৫০ বলে। এরপর ১০০ রান হয় ৯২ বলে। ১৫০ রান হয় ১৪৮ বলে। ২৫০ রান আসে ২৫৩ বলে। আর ৩০০ রানের ম্যাজিক ফিগারে যেতে ২৯৫ বল লেগেছে।

 

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া এ যাবৎ ২১ বার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল। এর মধ্যে ১৯টি ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। একটি ম্যাচ হয়েছিল পরিত্যাক্ত। সেটি ২০১৫ বিশ্বকাপে। আর বাংলাদেশ কার্ডিফে ২০০৫ সালে প্রথম ও শেষবার জিতেছিল অজিদের বিপক্ষে।

 


১৯৩ বলে দুইশো রান করে বড় রানের আভাস টাইগারদের

সময় : 13:33



পাওয়ার প্লেতে ভালো শুরু বাংলাদেশের। এরপর থেকে জুটি গড়ে উঠছে প্রতি অর্ডারে। আজকে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করে চলেছেন টাইগাররা। বলা যায় এই বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচটিতে এসে ব্যাটিংয়ে দারুণ সূচনা।

পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ভারতের বেশিরভাগ পিচই ব্যাটিং বান্ধব হওয়ার পরও বাংলাদেশ মোটেও সুবিধা করতে পারেনি। এই শেষ ম্যাচে অজিদের সঙ্গে ৩১.৫ ওভারে (১৯৩ বলে) ২০০ রান পূর্ণ করে ৩ উইকেট হারিয়ে।

এর আগে প্রথম ৫০ রান হয়েছিল ৫০ বলে। এরপর ১০০ রান হয় ৯২ বলে। ১৫০ রান হয় ১৪৮ বলে।  

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৩ ওভারে করেছে ২০৩ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আছেন ১৯ বলে ২৫ রান করে আর তাওহীদ হৃদয় আছেন ৪৫ বলে ৪২ রান করে।


পাওয়ার প্লেতে ভালো শুরু বাংলাদেশের

সময় : 12:14



পাওয়ার প্লতে ভালো শুরু বাংলাদেশের। এবারের বিশ্বকাপের নিয়মিত দৃশ্য পাওয়ার প্লেতে ভরাডুবি। তবে এই আসরের শেষ ম্যাচে প্রথম ১০ ওভারে ভালো শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস আজ আর আউট হননি। তাদের দূর্দান্ত শুরুতে ৬২ রান পায় কোনও উইকেট না হারিয়ে।

আজ অজিদের বিপক্ষে ৪৯ বলে অর্ধশত রান পূণ্য হয় টাইগারদের। এসময় তানজিদ ২৪ ও লিটন ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন।

পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের সঙ্গে টস করতে নেমে হেরেছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশের এখনও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওঠার বিসয়টি নিশ্চিত নয়। তবে কিছুটা এগিয়ে আছে এটাই স্বস্তির বিষয়। আজ অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গেলেও যদি ন্যূনতম ১২৩ রান করে এবং অস্ট্রেলিয়াকে ২৫ ওভারের আগেই জিততে না দেয় তাহলে হয়তো সর্বশেষ দল হিসেবে খেলতে পারবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এরপরও নেদারল্যান্ডস ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে সাকিবদের।


বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে অসিদের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

সময় : 12:13



আজ আস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং পেয়েছে টাইগাররা। টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

বাংলাদেশের একাদশ : লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, শেখ মাহেদী, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

 

অস্ট্রেলিয়া একাদশ : ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রাভিস হেড, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল মার্শ, মার্নাস লাবুশানে, জস ইংলিশ, মার্কাস স্টয়নিস, প্যাট কামিন্স, অ্যাডাম জাম্পা, জশ হ্যাজেলউড ও শ্যান অ্যাবট।


শামিকে বিয়ের প্রস্তুাব দিয়ে বিতর্ক উস্কে দিলেন বাঙালি নায়িকা

সময় : 20:41



বিশ্বকাপের শুরুর ম্যাচগুলোতে ডাগ আউটেই বসে ছিলেন মোহাম্মদ শামি। হার্দিক পান্ডিয়ার ইনজুরিতে সুযোগ হয় শামির। আর সুযোগ পেয়েই রীতিমতো বিশ্বকাপে নিজেদের মাটে আগুন ঝড়াচ্ছেন এই ভারতীয় ফাস্ট বোলার। তিনি এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে তুলে নিয়েছেন ১৬ উইকেট।

এর মধ্যেই বিশ্বকাপে ভালো খেলার সুবাদে শামি একটি প্রস্তাবও পেয়ে গেছেন। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের সুর। এরই মধ্যে শামি পেলেন বাঙালি নায়িকার বিয়ের প্রস্তাব। তিনি অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ পায়েল ঘোষ। শামিকে দিয়েছেন বিয়ের প্রস্তাব।

 

কলকাতায় জন্ম নেয়া পায়েল সেন্ট পল্স মিশন স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে স্কটিশ চার্চ কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন করেন। এরপর অভিনয় জগতে পা দেন তিনি। পরিচালক চন্দ্রশেখর ইয়েলেতির হাত ধরে বলিউডে পা রাখলেও, এখন পর্যন্ত তেমন সাড়া ফেলতে পারেননি পায়েল।

 

তবে হঠাৎ করে আলোচনায় এসেছেন ভারতীয় এই অভিনেত্রী। বিশ্বকাপে মোহাম্মদ শামির দুর্দান্ত পারফর্মেন্স দেখে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন পায়েল ঘোষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পায়েল লিখেছেন, ‘শামি, তুমি নিজের ইংরেজি ঠিক করো, আমি তোমাকে বিয়ে করতে প্রস্তুত।’

 

যদিও পোস্টের শেষে তিনি হাসির ইমোজি জুড়ে দিয়েছেন। ফলে অনেকেই এটাকে মজা হিসেবেই দেখছে। তবে এমন পোস্টের পর পায়েল নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন। এদিকে এখনো এ নিয়ে শামির প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

 

শামি ২০১৪ সালে মডেল হাসিন জাহানকে বিয়ে করেন। পরের বছর দুজনে মেয়ের বাবা–মা হলেও পারিবারিক কলহে এখন আলাদা বসবাস করছেন। শামির বিরুদ্ধে অত্যাচার, বিশ্বাসভঙ্গ ও ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে আদালতে মামলাও ঠুকেছেন হাসিন জাহান।


বিপদ কাটিয়ে আফগানদের সংগ্রহ ২৪৫ রান

সময় : 18:55



এই ম্যাচে ৪৩৮ রানের ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে জিততে পারলে তবেই সেমিতে যাওয়ার সুযোগ থাকতো আফগানদের। তবে তা আর সম্ভব হলো না। ২৪৫ রানে তোলা সম্ভব হলো তাদের পক্ষে। ভালো শুরু করেও মাঝে পটাপট ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে আফগানিস্তান।

 

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তিনি ১০৬ বলে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

 

৪১ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয়। আউট হন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তিনি ২২ বলে ২৫ রান করে আউট হন। এরপরই দলীয় ৪১ রানেই আউট হয়ে যান ইব্রাহিম জাদরান (৩০ বলে ১৫)। দলীয় ৪৫ রানে মহারাজের শিকার হয়ে ফেরেন অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহীদি (৭ বলে ২ রান )। আজমতউল্লাহ ওমজাইয়ের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়ে এনগিডির শিকার হয়ে ফিরে যান রহমত শাহ (৪৬ বলে ২৬ রান)।

দলীয় ১১২ রানে ইকরাম আলী খিল আউট হলে আফগানরা ৫ উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে পড়ে যায়। এরপর রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীরা ওমরজাইকে ভালো সঙ্গ দিতে না পারলেও নূর আহাম্মদ ও মুজিব-উর রহমান দুজনই ছোট ছোট পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন ওমরজাইয়ের সঙ্গে।

শেষ পর্যন্ত আজমতউল্লাহ ওমরজাই তার সেঞ্চুরিটা করতে পারেননি। ৯৭ রানেই অপরাজিত থাকতে হয়েছে তাকে।

 

প্রোটিয়া বোলারদের পক্ষে গ্যারেল্ড কোটেজ সর্বোচ্চ ৪ উইকেট দখল করেন। এছাড়া কেশব মহারাজ ও লুঙ্গি এনগিড ২টি করে উইকেট লাভ করেন।

 

 

 


নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র হলেন আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার

সময় : 17:47



ভারত বিশ্বকাপে রাচিন রবীন্দ্রকে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব চিনেছে। দারুণ অলরাউন্ডিং পারফর্মেন্সে তিনি নিউজিল্যান্ডকে শিরোপার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। সেই সাথে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকাতেও তার নাম রেখেছেন।

নিউজিল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৯টি ম্যাচ। নয় ইনিংসে শতক হাঁকিয়েছেন ৩টি। আর ২টি অর্ধশতকসহ ৭০.৬২ গড়ে করেছেন ৫৬৫ রান। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকও তিনিই।

 

রবীন্দ্র বিশ্বকাপে তাঁর ৩টি শতকের দুটিই করেছেন অক্টোবর মাসে, অধর্শতক ২টিও অক্টোবরেই। একই সঙ্গে অক্টোবর মাসে বিশ্বকাপে ৩টি উইকেটও নিয়েছেন এই কিউই অলরাউন্ডার। রবীন্দ্র মাসজুড়ে দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের পুরস্কারও পেলেন্ আইসিসির কাছ থেকে।

আইসিসির অক্টোবর মাসের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন তিনি। মাসের সেরা পুরুষ ক্রিকেটার হওয়ার দৌঁড়ে ছিলেন কুইন্টন ডি কক ও যসপ্রীত বুমরা।

 

২৩ বছর বয়সী রবীন্দ্র বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন মাত্র ১২টি ওয়ানডে। কিন্তু বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচে খেলেছেন অপরাজিত ১২৩ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। আহমেদাবাদে তাঁর এই ইনিংসে ভর করেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে দারুণ শুরু করে নিউজিল্যান্ড।

 

এ ছাড়া নেদারল্যান্ডস ও ভারতের বিপক্ষে অর্ধশতকের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পেয়েছেন শতক। ৮৯ বলে খেলেছেন ১১৬ রানের ইনিংস। সব মিলিয়ে অক্টোবর মাসে ৬ ইনিংস খেলে রবীন্দ্র ৮১.২০ গড়ে করেছেন ৪০৬ রান।

 

 


বিদায় বেলায় ডোনাল্ডকে নিয়ে যা বললেন হাথুরু

সময় : 16:22



ডোনাল্ডের সঙ্গে হাথুরুর সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয় বলে খবর আছে। এই প্রোটিয়া কোচের সিদ্ধান্তকে নাকি হাথুরু খুব একটা রাখে না। চলতি মাসের ৩০ তারিখ  থেকেই ডোনাল্ডের সঙ্গে চুক্তি শেষ বিসিবির। ইতিমধ্যে ৯ নভেম্বর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি আর চুক্তি বাড়াবেন না।

তার মানে এই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচের সঙ্গে সঙ্গে ডোনাল্ডের বাংলাদেশ অধ্যায়ও শেষ হচ্ছে। পারিবারিক কারণ দেখিয়েই ছেড়ে যাচ্ছেন ডোনাল্ড।

 

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সেখানে ডোনাল্ডের চলে যাওয়া নিয়ে জানতে চাইলে হাথুরু বলেন, ‘আমি জানি না কি আলাপ হচ্ছে। আমি যতটা জানি বিশ্বকাপের পর কয়েকজন কোচের চুক্তি শেষ হচ্ছে।’

 

সম্প্রতি ম্যাথিউসকে করা টাইমড আউট নিয়ে বিদেশী এক গণমাধ্যমে মন্তব্য করেন ডোনাল্ড। যা নিয়ে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট ক্ষুব্ধ।তার সঙ্গে কোনো আলাপ হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হাথুরু বলেন, 'না, আমার সঙ্গে এ নিয়ে কোনো কথা হয়নি তার।'

 

তবে ডোনাল্ডের কাজের প্রশংসা করে হাথুরু বলেন, ‘সে এখানে (বাংলাদেশে) আসার পর থেকে অসাধারণ কাজ করেছে। আমাদের পেস বোলারদের সাফল্যের পেছনে ভূমিকা রেখেছে। দলের সার্বিক সাফল্যেও তার ভূমিকা ছিলো। সে অনেক অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিত্ব নিয়ে এসেছিল দলে। কোচ হিসেবে সে ছিল দারুণ এক সংযুক্তি। তার মতন অভিজ্ঞ একজনের সঙ্গে কাজ করা মিস করব।'


শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান

সময় : 16:21



দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে আফগানিস্তান। তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেমির আশায় আছেন হাশমতউল্লাহ শহীদির দল।

 

শুক্রবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর আড়াইটায় শুরু হচ্ছে ম্যাচটি।

 

জটিল হয়ে গেছে সেমিফাইনালে পৌঁছার সমীকরণ। আজ ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে আগেই শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করা দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি আফগানিস্তান।

বাংলাদেশের বিপক্ষে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা আফগানরা এরপর টানা তিন ম্যাচে পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও নেদারল্যান্ডসকে হারায়।

 

সেমিফাইনালে উঠতে হলে প্রোটিয়াদের ৪৩৮ রানে হারাতে হবে আফগানদের, যা প্রায় অসম্ভব। তবে সেমিফাইনালে না খেলতে পারলেও ইতোমধ্যে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে আফগানরা। আজ আরেকটা অঘটন ঘটাতে পারলে সেরা ছয়ে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করার সুযোগ থাকবে রশিদ খান-মোহাম্মদ নবিদের।

 

আফগানিস্তান একাদশঃ রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি (সি), আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, ইকরাম আলীখিল (ডাব্লু), মুজিব উর রহমান, নূর আহমদ, নবীন-উল হক।

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশঃ কুইন্টন ডি কক (ডব্লিউ), টেম্বা বাভুমা (সি), রাসি ভ্যান ডের ডুসেন, এইডেন মার্করাম, হেনরিখ ক্লাসেন, অ্যান্ডিলে ফেহলুকওয়ায়ো, ডেভিড মিলার, জেরাল্ড কোয়েটজি, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি।

 


নান্নুকে অবসর দিয়ে নির্বাচক হতে চান আশরাফুল

সময় : 22:24



দলের সফলতায় নির্বাচকদের নিয়ে কোনও কথা উঠে না। তাদের খেলোয়াড় সিলেকশনে বাংলাদেশ সাফল্য পেল সেই কথা কেউ বলে না। বাহবাতো দূর-দূরান্তের কথা! কিন্তু, যখনই দল খারাপ করে তখনই নির্বাচকদের ‍মণ্ডুপাত করা হয়। যেন সব দোষ তাদেরই। আসলে খেলোয়াড়রা মাঠে খারাপ করলে তাদের করণীয় কি হতে পারে? দুয়ো ধ্বনি দেওয়া হয় নির্বাচকদের সরিয়ে দেবার জন্য।

 

 

এবারের বিশ্বকাপ দলে বাংলাদেশের ভরাডুবি। খুবই বাজে খেলে দল প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তাতে প্রধান নির্বাচক পদে নান্নুকে আর রাখা হবে কিনা তা নিয়েই চলছে যেন নানা আলোচনা। সেই আলোচনায় এবার যোগ দিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম পোস্টারবয় মোহাম্মদ আশরাফুল।

 

ভারত বিশ্বকাপে দলের বিপর্যয় মাঠ থেকে দেখেছেন তিনি। তাইতো প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে মিনহাজুল আবেদীনের বদলের দাবিও তুললেন। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে আশরাফুল বলেছেন, ‘অবশ্যই (বদল চাই)। একটা মানুষ ১২ বছর ধরে আছেন। শুধু আমি নই বিশ্বে সব জায়গায়। হয়তো আমি আরেকবার বলেছিলাম। তিনি উদাহরণ দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার একজন ছিলেন। তখন অস্ট্রেলিয়া টানা ১২–১৩ টেস্ট জিতেছিল। ওটা হিসাব করবেন না।’

 

আইসিসির ইভেন্টে মিনহাজুলের ভরাডুবি প্রসঙ্গে আশরাফুল যোগ করেন, ‘আমাদের সবশেষ তিনটি আইসিসির ইভেন্ট ভালো হয়নি। এবারও ভালো হয়নি। দুটি ম্যাচ জিতে আটে আছি। এ কারণে অবশ্যই নতুন মেধার দরকার। এটা লম্বা সময়ে থাকার পজিশন নয়। এটা ২–৪ বছর থাকার পজিশন। নতুন মানুষ এলে নতুন ভাবনা আসবে। ২৩ বছরে ১০–১২ কোচ কেন পরিবর্তন করলাম। নতুন কিছু চিন্তার জন্যই তো পরিবর্তন করেছি।’


টাইমড আউটের পক্ষে ছিলেন না ডোনাল্ড

সময় : 21:07



ভারত বিশ্বকাপে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে লঙ্কান অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে ‘টাইমড আউট’ করেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এ নিয়েতো আলোচনা-সমালোচনা, পক্ষ-বিপক্ষ চলছেই। এরই মধ্যে নিজের ঘরেই আগুন। কারণ, এই আউটটি পছন্দ হয়নি বাংলাদেশ বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডেরও। ব্যাপারটি নিয়ে প্রকাশ্য সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এমন ধরনের আউট নাকি বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে যায় না বলে মন্তব্য করেছিলেন এই প্রোটিয়া কোচ।

 

টাইমড আউট নিয়ে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকব্লগ ডটনেট’-কে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড। তিনি বলেছিলেন, ‘(ক্রিকেট মাঠে) আমি এমন কিছু দেখতে চাই না। আমার মন বলছিল মাঠে ঢুকে বলি, যা হয়েছে যথেষ্ট হয়েছে, আমরা এর পক্ষে না। আমরা এমন দল না যে এর পক্ষ নেব। আমি শুধু সেখানে গিয়ে বলতে চাচ্ছিলাম, যথেষ্ট হয়েছে আর না।’

 

‘টাইমড আউট’ ব্যাপারটা ক্রিকেটের চেতনার বাইরে বলেও মনে করেন ডোনাল্ড। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আপনি এই খেলার প্রতি সম্মান ও মর্যাদার কথা বলুন। ক্রিকেটের চেতনার কথা বলুন। কিন্তু আমি এমন জিনিস দেখতে চাই না। আমার কথা হচ্ছে, এটা হতে পারে না। এটা একেবারেই হতে পারে না।’

 

বিশ্বেকাপ আসরে ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে বাংলাদেশের সেমিফাইনালের আশা। এখন টাইগারদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা টিকিয়ে রাখা।


সবার আগে ভারত ছাড়লো শ্রীলঙ্কা, সেমির পথে পা কিউইদের

সময় : 20:38



দারুণ শুরু করে আরও বড় ব্যবধানে জয়ের আশা জাগিয়ে তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। অবশেষে তাদের ৫ উইকেট হারাতে হয়েছিল। তবে দারুণ রানরেট ছিল কিউইদের। এ ব্যাপারটায় তারা সচেতন ছিল।

২৩.২ ওভারে ৭.৩৭ রান রেটে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান তুলে কিউইরা পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে লঙ্কানদের হারালো। হাতে ছিল ১৬০ বল। এরই মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্বকাপে সবার আগে ভারত ছাড়া হলো লঙ্কানরা। আর সেমির পথে পা বাড়ালো কিউইরা। তিনি ১০ ওভারে ৩টি মেডেনসহ ৩৭ রানে ৩ উইকেট দখল করায় প্লেয়ার অব দ্যাম ম্যাচ নির্বাচিত হন ট্রেন্ট বোল্ট।

কিউই ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান তোলে ডেভন কনওয়ে। তিনি ৪২ বলে ৪৫ রান ও রাচিন রবীন্দ্র করেন ৩৪ বলে ৪২ রান। এছাড়া ড্যারেল মিচেল ৩১ বলে ৪৩ রান করেন।

লঙ্কানদের পক্ষে অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুস ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট দখল করেন।

কিউইদের রান তোলার গতি ছিল দ্রুত। তারা প্রথম পাওয়ার প্লতে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৭৩ রান তোলে। তবে দ্বিতীয় পাওয়ার প্লেতে তারা ৯৯ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। কম পুঁজি হওয়ায় অবশ্য চাপও সামলে নেয় তাদের ব্যাটাররা।

 

ইনিংসের শুরুতে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা। ৩, ৩০, ৩২, ৭০, ৭০ এই দলীয় রানের সংখ্যাগুলোতে প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারেই শ্রীলঙ্কার ৫ উইকেট নেই। অর্থাৎ, প্রথম পাওয়ার প্লেতে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ৭৪ রান। ভঙ্গুর টপ অর্ডার ব্যাটিং লাইনআপে অর্জন বলতে লঙ্কান ওপেনার কুশল পেরেরার এই বিশ্বকাপের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটিই। শেষমেষ লঙ্কানরা ৪৬.৪ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানেই শেষ হয়ে যায়।

পেরেরা ২২ বলে ৯টি চার ও ২চি ছক্কার সাহায্যে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেন। এছাড়া আর কোনও ব্যাটার সেভাবে খেলতে পারেননি। টেলিফোনের ডিজিটের মতোই ২, ৬, ১, ৮ এই সংখ্যাগুলোই স্কোরবোর্ডে বেশি ছিল। শেষমেষ মাহিষ থিকসানা দলকে টেনেছেন। তিনি ৯১ বলে ৩৯ রান করেন।

লঙ্কানরা শুরুতে দ্রুতই রান তুলছিলেন পেরেরার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে। প্রথম ৫০ রান আসে ৩৬ বলেই। আর শত রান আসে ৯৬ বলে। দ্বিতীয় পাওয়ার প্লে’তে ৮১ রান আসে ৪ উইকেটের বিনিময়ে।

লঙ্কানদের বিপাকে ফেলার মূল কাজটি করেন ট্রেন্ট বোল্ট। তিনি ১০ ওভারে ৩টি মেডেনসহ ৩৭ রানে ৩ উইকেট দখল করেন। এছাড়া লকি ফার্গুসন ও মিচেল স্যান্টনার ও রাচিন রবীন্দ্র নেন ২টি করে উইকেট।

কিউই বোলারদের মধ্যে একমাত্র টিম সাউদিই খরুচে ছিলেন। তিনি ৮ ওভারে ৫২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন।

 

 

 

 

 


ভারত-পাকিস্তান কোন সমীকরণে সেমিতে খেলতে পারে?

সময় : 19:01



অস্ট্রেলিয়া বিপদেই ছিল। তারা সেমির লড়াইয়ে টিকতে পারবে কি না এই নিয়ে। মাঠের খেলাও সেটা সত্য বলে প্রমাণিত হয়েও শেষ পর্যন্ত বিজয়ের মালা পরেছে অস্ট্রেলিয়া।

নিজেরা শুধু শেষ চারে জায়গাই পাকা করেনি, পাশাপাশি সেমিফাইনালে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হওয়ার পথও তৈরি করে দিয়েছে। যদিও ব্যাপারটি অত সহজ নয়। এখনও পাকিস্তানের সেমিতে উঠতে বেশ কিছু সমীকরণের খেলাও খেলতে হবে।

 

সেমির চার নম্বর স্থানটির জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের লড়াই চলছে। তিন দলের পয়েন্ট সমান ৮। নেট রান রেটে নিউজিল্যান্ড (০.৩৯৮) চার নম্বরে, পাকিস্তান (০.০৩৬) পাঁচে ও আফগানিস্তান (-০.৩৩৮) আছে ছয় নম্বরে।

 

ভারত ৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। ৮ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট সমান ১২। নেট রান রেটে দ্বিতীয় দক্ষিণ আফ্রিকা ও তৃতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া। প্রোটিয়ারা শেষ গ্রুপ ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এবং অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের। তাই কারও পক্ষে শীর্ষে থাকা ভারতকে ছোঁয়া সম্ভব নয়। আর দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া শেষ ম্যাচ হেরে গেলেও অন্যদের পক্ষে এ দুই দলকে টপকানো সম্ভব না।

 

যার মানে, ১৬ নভেম্বর কলকাতার ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া সেমিতে মুখোমুখি হচ্ছে। ১৫ নভেম্বর শীর্ষে থাকা ভারতের মুখোমুখি হবে চার নম্বরে থাকা দল। সে চার নম্বর দল হতে আগামী ক’দিন চলবে তিন দলের লড়াই। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলবে নিউজিল্যান্ড। আগামীকাল আফগানিস্তান খেলবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে। এ দুই ম্যাচের ফলাফল দেখে ১১ নভেম্বর পাকিস্তান খেলতে নামবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

 

নেট রান রেটে অনেক এগিয়ে থাকায় জিতলেই নিউজিল্যান্ড সেমির পথে এগিয়ে যাবে। কারণ, কিউইরা যদি ১ রানেও জেতে, তখন পাকিস্তানকে শেষ ম্যাচ জিততে হবে ১৩১ রানের ব্যবধানে। আফগানদের আরও বড় ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে হবে, যা আপাতদৃষ্টিতে প্রায় অসম্ভবই মনে হচ্ছে। পাকিস্তানের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে প্রকৃতি। ৯ নভেম্বর বেঙ্গালুরুতে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যে কারণে ম্যাচটি পণ্ড হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। পণ্ড হলে উভয় দল ১ পয়েন্ট করে পাবে। তখন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেই শেষ চার নিশ্চিত হয়ে যাবে পাকিস্তানের।


কিউইদের বিপক্ষে দুইশও করতে পারলো না লঙ্কানরা

সময় : 18:04



৩, ৩০, ৩২, ৭০, ৭০ এই দলীয় রানের সংখ্যাগুলোতে প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারেই শ্রীলঙ্কার ৫ উইকেট নেই। অর্থাৎ, প্রথম পাওয়ার প্লেতে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ৭৪ রান। ভঙ্গুর টপ অর্ডার ব্যাটিং লাইনআপে অর্জন বলতে লঙ্কান ওপেনার কুশল পেরেরার এই বিশ্বকাপের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটিই। শেষমেষ লঙ্কানরা ৪৬.৪ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানেই শেষ হয়ে যায়।

পেরেরা ২২ বলে ৯টি চার ও ২চি ছক্কার সাহায্যে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেন। এছাড়া আর কোনও ব্যাটার সেভাবে খেলতে পারেননি। টেলিফোনের ডিজিটের মতোই ২, ৬, ১, ৮ এই সংখ্যাগুলোই স্কোরবোর্ডে বেশি ছিল। শেষমেষ মাহিষ থিকসানা দলকে টেনেছেন। তিনি ৯১ বলে ৩৯ রান করেন।

লঙ্কানরা শুরুতে দ্রুতই রান তুলছিলেন পেরেরার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে। প্রথম ৫০ রান আসে ৩৬ বলেই। আর শত রান আসে ৯৬ বলে। দ্বিতীয় পাওয়ার প্লে’তে ৮১ রান আসে ৪ উইকেটের বিনিময়ে।

লঙ্কানদের বিপাকে ফেলার মূল কাজটি করেন ট্রেন্ট বোল্ট। তিনি ১০ ওভারে ৩টি মেডেনসহ ৩৭ রানে ৩ উইকেট দখল করেন। এছাড়া লকি ফার্গুসন ও মিচেল স্যান্টনার ও রাচিন রবীন্দ্র নেন ২টি করে উইকেট।

কিউই বোলারদের মধ্যে একমাত্র টিম সাউদিই খরুচে ছিলেন। তিনি ৮ ওভারে ৫২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন।

 


চলতি বিশ্বকাপে দ্রুততম ‘হাফ সেঞ্চুরি’ কুশল পেরেরার

সময় : 15:56



একদিনের ক্রিকেট সংস্করণে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড আছে এ বি ডি ভিলিয়ার্সের। তিনি ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৬ বলে ফিফটি করে ১৭ বলে করা জয়সুরিয়ার রেকর্ডটি ভাঙেন।

আর এদিকে চলতি বিশ্বকাপে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন লঙ্কান ব্যাটার কুশল পেরেরা। তিনি ২২ বলে ৯টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে অর্ধশতক পূরণ করেন। যা এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম অর্ধশতক।

এর আগে বিশ্বকাপে আরেক লঙ্কানের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে। তিনি চলতি বিশ্বকাপে আলোচিত অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। ম্যাথুস ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন।

চলতি বিশ্বকাপে কুশল পেরেরা ছাড়া আরও দুটি দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড এই কিউইদের বিপক্ষেই চলতি বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন।

এর আগে ধর্মশালায় শ্রীলঙ্কার কুশল মেন্ডিস দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন।

তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির মালিক নিউজিল্যান্ডে ব্রান্ডন ম্যাককুলাম। তিনি ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেন।

 

 

 


মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে কিউইরা

সময় : 14:23



নিজেদের নবম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের ৪১তম ম্যাচে বেঙ্গালুরুতে সেমির লড়াইয়ে এগিয়ে যেতে টস জেতে ফিল্ডিং নেয় কিউই অধিনায়ক।

আজকের ম্যাচটি দুই দলের জন্যই মহাগুরুত্বপূর্ণ এজন্য যে, কিউইরা আজ জিতলে সেমির লড়াইয়ে টিকে থাকবে। সেক্ষেত্রে রান রেটের হিসাবও সামনে আসবে। তাই রানরেট বাড়িয়েই খেলতে হবে তাদের। অন্যদিকে লঙ্কানদের আর সেমিতে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফি। বিশ্বকাপে সেরা আটের মধ্যে থাকতে হলে তাদের জয়ের বিকল্প নেই।

 

নিউজিল্যান্ড একাদশঃ ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ড্যারিল মিচেল, মার্ক চ্যাপম্যান, গ্লেন ফিলিপস, টম ল্যাথাম (উইকেটরক্ষক), মিচেল স্যান্টনার, টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন।

শ্রীলঙ্কা একাদশঃ ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক),  ড্যারিল মিচেল, মার্ক চ্যাপম্যান, গ্লেন ফিলিপস, মিচেল স্যান্টনার, টম ল্যাথাম (উইকেটরক্ষক), টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট।

 


শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন সাকিব, বিদায় ‘লিজেন্ড’

সময় : 13:45



সাকিব আল হাসান নামটি অনেক ক্রিকেটমোদীকে আমোদিত করে। কাউকে কাউকে বিদ্বেষী করে তোলে। কেউবা, আবার সাকিব মানেই মনে করেন এক ‘স্পিরিট’ এক উৎসাহ। কারণ, এই তরুণ প্রজন্মের বাংলাদেশে যারাই ক্রিকেট দেখেন এবং ক্রিকেটার হতে চান তাদের বেশীরভাগই সাকিব হতে চান। তাই মাঠের বাইরের বিতর্ককে ছাপিয়ে সাকিব এক উদ্দীপনার নাম উৎসাহের নাম। আর এই লাল-সবুজের ক্রিকেট উদ্দীপকের সম্ভবত এবারই ছিল শেষ বিশ্বকাপ। সম্ভবত শব্দটি এজন্য বলতে হলো যে তিনি নিজ মুখে এখনও ঘোষণা করেননি এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। তবে তিনি আগেই বলেছিলেন ২০২৩ বিশ্বকাপই তার শেষ বিশ্বকাপ। তারপরও তার বয়স অনুপাতে এটা বলা যায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবারই তিনি হয়তো তার শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন। প্রায় ৩৭ বছর ছুঁই ছুঁই সাকিব এই বিশ্বকাপে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করে গেছেন। নিজের ক্যারিয়ারে ৬টি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ২টি বিশ্বকাপে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০৭ বিশ্বকাপে সুযোগ পান সাকিব আল হাসান। পোর্ট অব স্পেনে ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ৫ উইকেটের জয়ের ম্যাচেই ফিফটির দেখা পান আল হাসান। ৮৬ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ৫৩ রান। ২০০৭ বিশ্বকাপে সুপার এইটে যেতে বারমুডাকে হারাতেই হতো বাংলাদেশকে। পোর্ট অব স্পেনে সেই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকিব। ৩ ওভার বোলিং করে ১২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। বৃষ্টি আইনে ৭ উইকেটে জিতে সুপার এইট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ভারতের পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেই বিশ্বকাপেই বাংলাদেশ দেখায় দ্বিতীয় চমক। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সুপার এইটের ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৮৭ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে মার্ক বাউচার ও জাস্টিন কেম্প-এই দুই প্রোটিয়া ব্যাটারের গুরুত্বপূর্ণ ২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। ভারতের পর সেই বিশ্বকাপে আরও এক ফিফটি পেয়েছেন তিনি। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিবের ৯৫ বলে ৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংস ভেস্তে যায় বাংলাদেশ ৪ উইকেটে হেরে যাওয়ায়। নিজের প্রথম বিশ্বকাপে ২৮.৮৫ গড় ও ৫৭.২২ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২০২ রান। আর বোলিংয়ে ৪.৯৬ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৭ উইকেট। ২০১১ সালে নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপেই সাকিব খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবে। সেই ম্যাচ বাংলাদেশ ৩টি ম্যাচ হেরেছিল এবং জয়ের রেকর্ডও ছিল তিন ম্যাচে। ইংলিশদের প্রথমবারের মতো তারা বিশ্বকাপেই হারিয়ে দেবার স্বাদ পায়। সেবার বিশ্বকাপে বোলিংয়ে ৪.৮১ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৮ উইকেট। তবে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেননি সাকিব। চার বছর পর অর্থাৎ ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ খেলতে যায় নিজেদের পঞ্চম বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপকে এখনো পর্যন্ত ধরা হয় বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ডকে ছিটকে দিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। নিজের তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া সাকিব এই বিশ্বকাপে ব্যাটিংয়ে ছিলেন দুর্দান্ত। ৩৯.২০ গড় ও ৯৩.৭৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৯৬ রান। আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত দুটি ফিফটি করেছেন। ২০১৯ বিশ্বকাপে ভেন্যু বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে ফরম্যাটও বদলে যায়। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপ ছিল ১০ দলের রাউন রবিন ফরম্যাটে। এই বিশ্বকাপে সাকিব ছিলেন অতিমানবীয় ফর্মে। ব্যাটিংয়ে ৮৬.৫৭ গড় ও ৯৬.০৩ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৬০৬ রান। যে ৮ ম্যাচ বাংলাদেশ খেলার সুযোগ পেয়েছিল, তার মধ্যে ৭ টিতেই পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান-যে তিন ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল, সবগুলোতেই দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে হয়েছেন ম্যাচসেরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কার্ডিফে ১১৯ বলে ১২১ রানের ইনিংসটাই ছিল সাকিবের বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন সাকিব। দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান-পাঁচ ম্যাচেই করেছেন ফিফটি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন সাকিব। বোলিংয়ে এই বিশ্বকাপে ৫.৩৯ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ২০১৯ বিশ্বকাপের মতো ১০ দল ও রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে হচ্ছে ২০২৩ বিশ্বকাপ। ভারতের মাঠে হওয়া এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন সাকিব। এশিয়ান কন্ডিশনে হওয়ায় সাকিবের থেকে ভক্ত সমর্থকদের প্রত্যাশা একটু বেশি ছিল। তবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি নানা কারণে। দলেরও পারফরম্যান্স হয়েছে হতাশাজনক। তবে শেষ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটি রাঙিয়েছেন সাকিব। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৫ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় করেছেন ৮২ রান। যা এবারের বিশ্বকাপে তাঁর প্রথম ফিফটি। দূর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ২ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরাও। বাংলাদেশের ৩ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ও শেষ দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছেন সাকিব। আর এই জয়ের ম্যাচটি আরেকটি কারণে ইতিহাসের পাতায় তার নাম উঠে থাকবে। তা হলো ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে টাইমড আউটের আবেদনটি তিনিই অধিনায়ক হিসেবে করেছিলেন। ২০০৭ থেকে ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলে ৩৬ ম্যাচে ৪১.৬২ গড় ও ৮২.২৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৩৩২ রান। বিশ্বকাপে রান সংগ্রাহকদের তালিকায় আছেন ৭ নম্বরে। ২ সেঞ্চুরি ও ১১ ফিফটিতে ১৩টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন তিনি। পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলার রেকর্ডে শচীন টেন্ডুলকার (২১), বিরাট কোহলির (১৪) পরেই আছেন সাকিব। আর বোলিংয়ে বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারে ৫.১৪ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৪৩ উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে বিশ্বকাপে সাকিবের ওপরে শুধুই আছেন ৬৮ উইকেট নেওয়া মুত্তিয়া মুরালিধরন।


জিতলো ইংল্যান্ড, বাঁচলো চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফির আশা

সময় : 22:04



১৬০ রানের বড় ব্যবধানে ডাচদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফির আশা জিইয়ে রাখলো ইংল্যান্ড। ৩৭.২ ওভারে ১৭৯ রানে সবকটি উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। মঈন আলী ও আদিল রশিদ ইংলিশ শিবির ধ্বসিয়ে দিতে বড় অবদান রাখেন।

 

টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখলো ইংলিশরা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই বারেসির জীবন ফিরে পান জো রুটের ক্যাচ মিস হওয়ায়। তবে ব্রেকথ্রু পেতে ইংলিশদের বেশি দেরি হয়নি। ইনিংসের ৫ম ওভারে ক্রিস ওকসের ৫ রান করে আউট হন ম্যাক্স ডিঅড। এর ঠিক পরের ওভারেই শূন্য রান করে উইলির বলে আউট হন অ্যাকারম্যান।

 

তৃতীয় উইকেট জুটিতে বারেসি ও এঙ্গেলব্রেখট ৫৪ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। কিন্তু তাদের জুটি ভাঙে মঈন আলির ১৮তম ওভারে। ক্রিস ওকসের দারুণ থ্রোতে মঈন স্ট্যাম্প ভেঙে দিলে রানআউটের শিকার হন বারেসি।

 

এঙ্গেলব্রেখটও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩৩ রান করে উইলির বলে আউট হন তিনি। ছয়ে নেমে বাস ডি লিড ১০ রান করে আউট হলে ১০০ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক এডওয়ার্ডস ও নিধামানুরু ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে সম্মানজনক পরাজয়ের দিকে নিয়ে যান। এডওয়ার্ডসকে মঈন আলি আউট করলে আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ডাচদের ইনিংস।

শেষদিকে আদিল রশিদ ও মঈন আলির ঘূর্ণি জাদুতে মাত্র ১৭৯ রানেই অলআউট হয় ডাচরা।

নিদামানুরু সর্বোচ্চ ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। ইংলিশদের হয়ে মঈন আলি ও আদিল রশিদ ৩টি করে উইকেট নেন।

এর আগে, বেন স্টোকস ও ডেভিড মালানের ব্যাটিং ঝড়ে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ৩৩৯ রান। ডাচরা লক্ষ্য পেল ৩৪০ রানের। ডাচ বোলারদের মধ্যে বাজ ডে লিডে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট দখল করেন।

প্রথম পাওয়ার প্লেতে ইংলিশরা এক উইকেট হারিয়ে ৭০ রান সংগ্রহ করে। তবে দ্বিতীয় পাওয়ার প্লেতে রান তোলার গড় দ্বিগুণ হয়। এসময় আরও ৫টি উইকেট হারায় তারা। দুটি বড় জুটি গড়ে ইংলিশ ব্যাটাররা। ৪৮ রানে জনি বেয়ারেস্টা আউট হয়ে যাবার পর ডেভিড মালান ও জো রুট ৮৫ রানের দারুণ একজুটি গড়ে তোলে।

এরপর ৩৫.২ ওভারে ১৯২ রানে মঈন আলী আউট হবার পর ক্রিস ওকস ও বেইন স্টোকস ১২৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন। স্টোকস ৮৪ বলে ১০৮ রান করে আউট হন।

শেষ পাওয়ার প্লে অর্থাৎ, ৪১ থেকে ৫০ ওভারে ইংলিশ ব্যাটাররা ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তোলেন।

 


ম্যাথুসের টাইমড আউট টিয়ে আম্পায়াররা যা জানালেন

সময় : 19:45



সোমবার (৬ নভেম্বর) দিল্লিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ খেলায় ব্যাট করতে যাওয়ার সময় অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস জানতেন যে তিনি সময় শেষ হওয়ার ঝুঁকিতে ছিলেন এমনটাই লেখা হয়েছে ইএসপিএনক্রিকইনফোতে।

 

ইএসপিএনক্রিকইনফো জানায়, ম্যাথুস সাদিরা সামারাবিক্রমার আউটের পর মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে ফিল্ড আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ তাকে বলেছিলেন যে বোলারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য তার ৩০ সেকেন্ড সময় বাকি আছে।

হেলমেটের একটি ফিতা ছেড়া থাকার কারণে ম্যাথুস নির্ধারিত ২ মিনিটের মধ্যে বল মোকাবেলা করতে পারেননি। এরপর ম্যাচ শেষে লঙ্কানদের পরাজয়ের পর ম্যাথুস বলেছিলেন, যে তিনি "ভুল" কিছু করেননি এবং পরামর্শ দিয়েছিলেন যে ম্যাচ কর্মকর্তারা সরঞ্জামের ত্রুটির জন্য "সাধারণ জ্ঞান" ব্যবহার করতে পারতেন।

 

বিশ্বকাপের জন্য আইসিসির খেলার শর্তে বলা হয়েছে যে নতুন ব্যাটারকে আগের উইকেট পতনের দুই মিনিটের মধ্যে বোলারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রোটোকল অনুযায়ী টিভি আম্পায়ার আগের উইকেটের পতনের সাথে সাথে সময় গণনা শুরু করেন।

 

৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় সামারাবিক্রমার ক্যাচ দেওয়ার এক মিনিট ১০ সেকেন্ড পর ব্যাট করতে নামেন ম্যাথিউস। আম্পায়ার ইলিংওয়ার্থের কাছে তার ৩০ সেকেন্ড বাকি আছে বিষয়টি জানার পর ম্যাথুস ক্রিজে চলে যান এবং ব্যাটিং ক্রিজের কাছে নন-স্ট্রাইকার চারিথ আশালাঙ্কার সাথে কথা বলেন। দ্রুত কথা বলেন এবং গ্লাভ বাম্প বিনিময় করেন।

 

ম্যাথুসের হেলমেটের সমস্যা মিটছে না এবং এই ব্যাপারে তিনি মাঠের আম্পায়ারদের জানানোর পরিবর্তে আবারও ডাগ আউটে ইশারা করে। ডাগ আউটে কিছু চাওয়ার আগে মাঠের আম্পায়ারদেরকে অবহিত করা সম্মানের বিষয় হিসাবে বিবেচিত হয়।  এবং এতে করে ম্যাচ অফিসিয়ালরাও ম্যাচ পরিচালনার সময়ের ব্যাপারে হিসাব রাখতে পারে।

 

ম্যাথুস যখন নতুন হেলমেট পেলেন, তখন উইকেট পড়ে গেছে প্রায় আড়াই মিনিট আগে। সে সময় অধিনায়ক সাকিব বোলিং করতে গিয়েছিলেন।

ম্যাথুস আবেদন করেছিলেন এবং যুক্তি দিয়েছিলেন যে হেলমেটের ত্রুটির কারণে তিনি সাকিবের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত হতে পারেননি। এবং ম্যাচের পরে তিনি এটিকে বিস্তৃত করে যুক্তি দিয়েছিলেন যে এটি একটি নিরাপত্তা সমস্যা এবং তিনি একটি নতুন হেলমেট ছাড়া বল ফেস করতে পারতেন না।

 

২ মিনিট শেষ হয়ে গেলে টিভি আম্পায়ার নীতিন মেনন দুই ফিল্ড আম্পায়ার ইরাসমাস এবং ইলিংওয়ার্থ উভয়কেই জানিয়েছিলেন বিষয়টি। প্রোটোকল অনুসারে, মাঠের আম্পায়াররা কেবলমাত্র মনে রাখবেন যে ফিল্ডিং ক্যাপ্টেন আপিল না করলে সময়সীমার নিয়ম কার্যকর হবে না। আম্পায়াররা ফিল্ডিং দলকে বলেন না কতটা সময় অতিবাহিত হয়েছে।

 

ম্যাথুস পরামর্শ দিয়েছেন যে স্ট্র্যাপটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে যা ঘটে, তা দুই মিনিট অতিবাহিত হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই ঘটে। ম্যাথুসের দাবি তার মাঠে আসার বিষয়টিই সময়ের বিবেচনায় ধরা উচিত, হেলমেটের ত্রুটির বিষয়টি নয়।  


ডাচদের বিপক্ষে ইংলিশদের রানের পাহাড়

সময় : 18:47



ডাচ বোলাররা ইংলিশ ব্যাটারদের কাছে পাত্তাই পেল না। বেন স্টোকস ও ডেভিড মালানের ব্যাটিং ঝড়ে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ৩৩৯ রান। ডাচরা লক্ষ্য পেল ৩৪০ রানের। ডাচ বোলারদের মধ্যে বাজ ডে লিডে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট দখল করেন।

 প্রথম পাওয়ার প্লেতে ইংলিশরা এক উইকেট হারিয়ে ৭০ রান সংগ্রহ করে। তবে দ্বিতীয় পাওয়ার প্লেতে রান তোলার গড় দ্বিগুণ হয়। এসময় আরও ৫টি উইকেট হারায় তারা। দুটি বড় জুটি গড়ে ইংলিশ ব্যাটাররা। ৪৮ রানে জনি বেয়ারেস্টা আউট হয়ে যাবার পর ডেভিড মালান ও জো রুট ৮৫ রানের দারুণ একজুটি গড়ে তোলে।

এরপর ৩৫.২ ওভারে ১৯২ রানে মঈন আলী আউট হবার পর ক্রিস ওকস ও বেইন স্টোকস ১২৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন। স্টোকস ৮৪ বলে ১০৮ রান করে আউট হন।

শেষ পাওয়ার প্লে অর্থাৎ, ৪১ থেকে ৫০ ওভারে ইংলিশ ব্যাটাররা ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তোলেন।

 

 

 


‘টাইমড আউট’ করায় সাকিবকে হুমকি

সময় : 15:06



অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুসের আউট নিয়ে আলোচনার রেশ এখনও আছে। আর লঙ্কানরাতো এই ক্ষত এখনও ভুলতেই পারেননি। তাই অন্যদেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা ম্যাক্সওয়েল কান্ড নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও লঙ্কানরা এখনও ম্যাথুস কাণ্ড নিয়ে পড়ে আছেন।

এই বিতর্কে এবার প্রকাশ্যে জড়ালো ম্যাথুসের পরিবার। তার পরিবার চায় না বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান শ্রীলঙ্কায় আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ কিংবা লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) খেলুক।

 

পেশাদারি নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় এলে সাকিবকে পাথর মারার রীতিমতো হুমকি দিয়ে রেখেছেন ম্যাথুসের ভাই ট্রেভিন ম্যাথুস। ট্রেভিনও ক্লাব পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডেকান ক্রনিকলকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা খুবই হতাশ। বাংলাদেশের অধিনায়কের কোনো ক্রীড়ানুরাগী মনোভাব নেই এবং ভদ্রলোকের খেলায় মানবতা দেখাননি (সাকিব)। আমরা কখনোই তাঁর কাছ থেকে বা দলের বাকি সদস্যদের কাছে এমনটা আশা করিনি।’

 

সাকিবকে একরকম হুমকি দিয়ে ট্রেভিন বলেছেন, ‘সাকিবকে শ্রীলঙ্কায় স্বাগত জানানো হবে না। যদি সে এখানে কোনো আন্তর্জাতিক বা এলপিএল ম্যাচ খেলতে আসে, তাহলে তাকে পাথর ছুড়ে মারা হবে কিংবা ভক্তদের অসন্তোষের মুখে পড়তে হবে।’

 

হেলমেটের ফিতা ছেঁড়া হওয়ায় ক্রিজে ঠিক সময়ে মাঠে নেমেও বলের মুখোমুখি হতে পারেননি ম্যাথুস। আইসিসির বেঁধে দেওয়া দুই মিনিট সময়ের মধ্যে প্রথম বলটা খেলতে পারেননি এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। এর পরই টাইমড আউটের আবেদন করেছিলেন সাকিব। ট্রেভিনের মতে, এখানে দোষ ছিল না তাঁর ভাইয়ের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বললেন,‘অ্যাঞ্জেলো নির্ধারিত সময়ে তার ক্রিজের মধ্যে ছিল, তবে হেলমেটের স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে যাওয়া, এটি তার দোষ ছিল না।’


২ পরিবর্তনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে ইংলিশরা

সময় : 14:25



বিশ্বকাপের ৪০তম ম্যাচে পুনেতে দুপুর আড়াইটায় মোকাবেলা করছে ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস। টস জিতে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজকের ম্যাচে ২ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে ইংলিশরা। অপরদিকে ডাচ শিবিরে একটি পরিবর্তন আছে।

ডাচ শিবিরে জুলফিকারের জায়গায় এসেছে তেজা নিদামানুরু। ইংলিশ শিবিরে

দুই দলই নিজেদের অষ্টম ম্যাচে মুখোখি হচ্ছে। তবে এবারের বিশ্বকাপ আসরে ডাচরাই দুই ম্যাচে জিতে এগিয়ে আছে। অপরদিকে ইংলিশরা ৭ ম্যাচে মাত্র একটিতে জিতেছে।

 

ইংল্যান্ড একাদশঃ জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড মালান, জো রুট, বেন স্টোকস, হ্যারি ব্রুক, জস বাটলার (উইকেটরক্ষক/অধিনায়ক), মঈন আলী, ক্রিস ওকস, ডেভিড উইলি, গাস অ্যাটকিনসন, আদিল রশিদ।

 

নেদারল্যান্ডস একাদশঃ ওয়েসলি বারেসি, ম্যাক্স ওডাউড, কলিন অ্যাকারম্যান, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখ্ট, স্কট এডওয়ার্ডস (উইকেটরক্ষক/অধিনায়ক), বাস ডি লিড, তেজা নিদামানুরু, লোগান ভ্যান বেক, রোয়েলফ ভ্যান ডার মেরওয়ে, আরিয়ান দত্ত, পল ভ্যান মিকারেন।


ম্যাক্সওয়েলে অস্ট্রেলিয়ার ঐশ্বরিক জয়

সময় : 22:56



এমন জয় ক্রিকেট বিশ্ব কবে দেখেছিল ঠাওর করে বলা মুশকিল। স্বয়ং ক্রিকেট ঈশ্বর ভর না করলে পেশির টান নিয়েও শুধু এক প্রান্ত আগলে রেখে চার-ছয়ের বন্যায় ২৯১ রান টপকে জেতাতে পারে দলকে! ৯১ রানে সপ্তম উইকেট পড়ে গেলে সেখান থেকে একা ম্যাক্সওয়েল দলকে টেনে নিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিলেন। এটি ওয়ানডে বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান। ৩ উইকেটের জয় তুলে নিল অজিরা। আফগানদের ব্যাটিং কনফিডেন্স দেখেই অনেকটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল আজকের ম্যাচে অজিদের না হারালেও একটা ভালো লড়াই হবে। কিন্তু ম্যাক্সওয়েলে ভর করে অজিরা যে লড়াইটা দেখালো তা ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল। শেষ পর্যন্ত আফগানদের হার মানতেই হলো। ওয়ানডে বিশ্বকাপেতো নয়ই এর আগেও একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কখনো জয় পায়নি আফগানিস্তান। ওয়ানডেতে মোট তিনবার মোকাবেলা হয়েছে দুই দলের। তিনবারই জয়ের মুখ দেখেছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপেও সমান সমান তিনবার দেখা হলো। অজিদের ২টি করে উইকেটের পতন ঘটিয়েছে নাভিন উল হক, আজমতউল্লাত ওমরজাই ও রশিদ খান। অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের শুরুতেই নাবিন উল হকের বলে ট্রাভেস হেডকে (২ বলে ০ রান) ৪ রানের মাথায় হারিয়ে চাপে পড়ার ইঙ্গিত দেয়। এরপর ৪৩ রানের মাথা মিচেল মার্শকে (১১ বলে ২৪ রান) লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলে সেই নাভিন উল হক। দলীয় ৪৯ রানে ডেভিড ওয়ার্নার (২৯ বলে ১৮ রান) আজমত উল্লাহ ওমরজাইয়ের শিকার হন। এই ৪৯ রানেই ওমরজাইয়ের শিকার হন জশ ইংলিশ (১ বলে ০ রান)। প্রায় হ্যাট্রিক হতে হতে আর হলো না। ম্যাক্সওয়েল কোনওরকমে বলটি আটকে দিয়েছেন। দলীয় ৬৯ রানে মার্নুশ লাবুশানে (২৮ বলে ১৪ রান) আউট হয়ে গেলে পরিস্কার হয়ে যায় এই ম্যাচে ফেরা মুশকিল হয়ে যাবে অস্ট্রেলিয়ার। এরপর ৮৭ রানে স্টেইনিশ (৭ বলে ৬ রান) রশিদ খানের বলে লেগ বিফর হয়ে গেলে স্কোর বোর্ডে অজিদের বড্ড অসহায় লাগছিল। ৯১ রানে মিচেল স্টার্ক (৭ বলে ৩ রান) রশিদ খানের শিকার হলে মনে হচ্ছিল একশোর আগেই বোধহয় অজিরা শেষ হয়ে যাবে। সপ্তম উইকেটে ম্যাক্সওয়েল প্যাট কামিন্সকে নিয়ে অজিদের ইনিংসে বড় জুটিটা গড়ে তোলেন। দলীয় ৯১ রানে আউট হওয়ার আগে এই জুটিতে রান আসে ২০২ রান। কামিন্স অপরাজিত থাকেন ৬৮ বলে ১২ রান করে। এর আগে, অজি বোলারদের যেন পাত্তাই দেয়নি রশিদ-জাদরানরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান সংগ্রহ করে অজিদের ২৯৩ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিল। ইব্রাহিম জাদরানের ১২৯ রানের হার না মানা ইনিংসের সঙ্গে ফিনিশারের ভূমিকায় রশিদ খানের ঝড়ো ইনিংসে (১৮ বলে ৩৫ রান) লড়াই করার দারুণ পুঁজি পায় আফগানরা। অজিদের হয়ে ৩৯ রানে ২ উইকেট শিকার করেছেন জশ হ্যাজেলউড। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া আফগানিস্তান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় সংগ্রহ পেল। অজিদের বিপক্ষে ফেভারিটদের মতোই ব্যাট করেছে আফগানিস্তান। এদিন আফগানদের ভালো শুরু এনে দেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরানের ওপেনিং জুটি। ৩৮ রান যোগ করার পর অষ্টম ওভারে জশ হ্যাজেলউডের বলে স্টার্কের হাতে ধরা পড়েন গুরবাজ। ফলে ২১ রান করেই তাকে সাজঘরে ফিরতে হয় এই ওপেনারকে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জাদরান ও রহমত মিলে ৮৩ রান যোগ করেন। ৪৪ বলে ১ চারে ৩০ রান করে ম্যাক্সওয়েলের বলে ফেরেন রহমত। রহমত লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে জস হ্যাজেলউডের হাতে ধরা পড়েছেন ৪৪ বলে ৩০ রান করে। চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক শাহীদিকে নিয়ে আবারও ৫২ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম। অবশ্য মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে শেষ হয় শহীদির ২৬ রানের ইনিংস। উইকেটে এসে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা আজমতউল্লাহ ওমরজাই আউট হন জাম্পার বলে অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। এরপর মোহাম্মদ নবি ১২ রান করে ফিরলেও রশিদকে নিয়ে ইনিংস শেষ করে আসেন ইব্রাহিম। এই আফগান ওপেনার তার ইনিংস জুড়ে ৩টি ছক্কা ও ৮টি চারের মার মেরেছেন। রশিদ খেলেন এক ঝড়ো ইনিংস। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৮ বলে ৩৫ রান করে। ইনিংস জুড়ে ৩টি ছক্কার পাশাপাশি রশিদ মেরেছেন ২টি চার।


সাকিবের সঙ্গে দেশে ফিরলেন লিটনও

সময় : 19:58



সাকিব চোটের কারণে দেশে ফিরছেন। এই বিশ্বকাপে আর খেলা হচ্ছে না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। তাই পুনর্বাসনের জন্য তিনি দেশে ফিরলেন। সাথে ফিরলেন লিটন দাস। বিশ্বকাপের মাঝে দ্বিতীয়বারের মতো দেশে ফিরেছেন লিটন দাস।

আজ সন্ধ্যায় চোটে পড়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে একই ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তিনি। জরুরি পারিবারিক কারণে লিটন দেশে ফিরেছেন। অবশ্য আগামী ৯ নভেম্বরে ভারতে আবার দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা তার।

 

এর আগে গত ১ নভেম্বর একই কারণে দেশে ফিরেছিলেন লিটন। কলকাতায় পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচের পর দল দিল্লিতে গেলেও ঢাকায় এসেছিলেন। এরপর ২ নভেম্বরের আগেই দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। গতকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দিল্লিতে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়।

 

তবে সে ম্যাচে ব্যাটিংয়ে আঙুলে চোট পেয়েছেন সাকিব। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগামী ১১ নভেম্বর পুনের ম্যাচটি তাই খেলতে পারবেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, আজই দেশে ফিরে আসবেন সাকিব। লিটন সঙ্গী হয়েছেন তাঁর।

 

এর আগে বিশ্বকাপের মধ্যে ফর্মহীনতায় থাকা সাকিব দেশে ফিরে কাজ করেছিলেন শৈশবের কোচ নাজমূল আবেদীনের সঙ্গে। অবশেষে গতকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে টাইমড-আউট করার বিতর্কের মাঝে হন ম্যাচসেরাও।


অজিদের বিপক্ষে আফগানদের ফেভারিটের মতো ব্যাটিং, লক্ষ্য ২৯২

সময় : 19:58



অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণ আধিপত্য বিস্তার করে খেললো আফগানিস্তান। অজি বোলারদের যেন পাত্তাই দিল না রশিদ-জাদরানরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান সংগ্রহ করে অজিদের ২৯৩ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিল।

ইব্রাহিম জাদরানের ১২৯ রানের হার না মানা ইনিংসের সঙ্গে ফিনিশারের ভূমিকায় রশিদ খানের ঝড়ো ইনিংসে (১৮ বলে ৩৫ রান) লড়াই করার দারুণ পুঁজি পায় আফগানরা। অজিদের হয়ে ৩৯ রানে ২ উইকেট শিকার করেছেন জশ হ্যাজেলউড।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া আফগানিস্তান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় সংগ্রহ পেল। অজিদের বিপক্ষে ফেভারিটদের মতোই ব্যাট করেছে আফগানিস্তান।

এদিন আফগানদের ভালো শুরু এনে দেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরানের ওপেনিং জুটি। ৩৮ রান যোগ করার পর অষ্টম ওভারে জশ হ্যাজেলউডের বলে স্টার্কের হাতে ধরা পড়েন গুরবাজ। ফলে ২১ রান করেই তাকে সাজঘরে ফিরতে হয় এই ওপেনারকে।

 

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জাদরান ও রহমত মিলে ৮৩ রান যোগ করেন। ৪৪ বলে ১ চারে ৩০ রান করে ম্যাক্সওয়েলের বলে ফেরেন রহমত। রহমত লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে জস হ্যাজেলউডের হাতে ধরা পড়েছেন ৪৪ বলে ৩০ রান করে।

 

চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক শাহীদিকে নিয়ে আবারও ৫২ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম। অবশ্য মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে শেষ হয় শহীদির ২৬ রানের ইনিংস। উইকেটে এসে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা আজমতউল্লাহ ওমরজাই আউট হন জাম্পার বলে অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।

 

এরপর মোহাম্মদ নবি ১২ রান করে ফিরলেও রশিদকে নিয়ে ইনিংস শেষ করে আসেন ইব্রাহিম। এই আফগান ওপেনার তার ইনিংস জুড়ে ৩টি ছক্কা ও ৮টি চারের মার মেরেছেন। রশিদ খেলেন এক ঝড়ো ইনিংস। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৮ বলে ৩৫ রান করে। ইনিংস জুড়ে ৩টি ছক্কার পাশাপাশি রশিদ মেরেছেন ২টি চার।


বিশ্বকাপে সাকিবের বদলি এনামুল বিজয়

সময় : 18:14



আঙুলের চোটে সাকিবের বিশ্বকাপ শেষ এটা সবার জানা হয়ে গেছে। কিন্তু, আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সাকিবের স্থলাভিষিক্ত কে হচ্ছেন? এজন্য বেশি সময় নেয়নি বিসিবি। সর্বশেষ এনামুল হক বিজয় এশিয়া কাপেও দলের সঙ্গে ছিলেন। তাই তাকেই বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে সাকিবের জায়গায় পাঠানো হচ্ছে।

সাকিব আল হাসানের বদলি হিসেবে বাংলাদেশ দলে এনামুল হক বিজয়কে সংযুক্তির আবেদন অনুমোদন করেছে আইসিসির ইভেন্ট টেকনিক্যাল কমিটি।

গতকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ে ৮২ রানের ইনিংস খেলার সময় আঙুলে চোট পেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পরে এক্স-রেতে চিড় ধরা পড়ে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বাকি একটি ম্যাচ না খেলেই আজ সন্ধ্যায় দেশে ফিরছেন সাকিব।

 

৩০ বছর বয়সী এনামুলকে সাকিবের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নেওয়ার কথা আইসিসিকে জানিয়েছিল বিসিবি। এরপর ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির ইভেন্ট টেকনিক্যাল কমিটি তাঁকে খেলার অনুমতি দিল। বদলি খেলোয়াড়কে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করতে টেকনিক্যাল কমিটির অনুমোদন লাগে। আজ আইসিসির ওয়েবসাইটে এনামুলকে বদলি হিসেবে অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।

 

বিজয় বাংলাদেশের হয়ে ৪৫টি ওয়ানডে খেলেছেন। ২৯.৯৫ গড়ে ৩টি শতকসহ ১২৫৮ রান করেছেন। এ নিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলবেন এনামুল। এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচ খেলেছেন এনামুল। আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ২ ম্যাচেই ২৯ রানে আউট হন। চোটের কারণে মাঝপথেই বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছিল এনামুলের।

 

১১ নভেম্বর বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সাকিবকে ছাড়াই ম্যাচটি খেলতে হবে মুশফিকদের। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা নিশ্চিত করতে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য বাঁচামরার লড়াই।

 


বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গেলেন সাকিব, আজই দেশে ফিরছেন

সময় : 17:28



সাকিব নামের আরেক সমার্থক শব্দ যেন আলোচনা। তিনি যেখানেই থাকবেন সেখানেই বিস্তর আলোচনা ঘিরে থাকবে তাকে। বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশ টানা ব্যর্থ। সেখানে বারবারেই সাকিবের নাম। টানা ৬ ম্যাচ হেরে অষ্টম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সাথে জয় হলো। কিন্তু, সাকিব আলোচনায় ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টাইম আউট করিয়ে। এই জয়ের কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতে আরেক আলোচনায় সাকিব। যদিও খবরটি খুবই দূর্ভাগ্যজনক। সাকিবের বিশ্বকাপ শেষ।

 

চোটে পড়ে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গেছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার। আজ নিজেদের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। বিসিবিও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাকিবের চোটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

 

বাম হাতের তর্জনীতে চোট পেয়েছেন সাকিব। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময়ই এই চোট পান তিনি। বাংলাদেশের ৩ উইকেটে জয়ের ম্যাচটিতে ৬৫ বলে ৮২ রান করেন সাকিব, তার আগে বল হাতে নেন ২ উইকেট। দলের জয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখায় হন ম্যাচসেরাও।

 

ম্যাচ শেষে সাকিবের এক্স-রে করা হয়। সাকিবের চোট নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফিজিও বায়জেদুল ইসলাম খান আইসিসিকে বলেন, ‘সাকিব ব্যাটিংয়ের সময় বাম হাতের তর্জনীতে চোট পান। ব্যথানাশক ঔষুধ ও হাতে সাপোর্টিং ট্যাপ পেঁচিয়ে তিনি ব্যাটিং চালিয়ে যান।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘দিল্লিতে তাঁর জরুরী এক্স-রে করা হয় ম্যাচ শেষে। সেখানে জানানো হয়, তাঁর আঙুলে চিড় ধরেছে। সেরে উঠতে তিন থেকে চার সপ্তাহ লাগতে পারে। সে আজ পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেবে।’

 

বাংলাদেশ বিশ্বকাপে তাদের শেষ ম্যাচ খেলবে পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, ১১ নভেম্বর। চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলা হবে না সাকিবের। তাঁর অবর্তমানে মাঠে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেন সহ-অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

 

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ৮ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে রাউন্ড রবিনের ৭ নম্বরে। এই স্থানে থাকতে পারলে নিশ্চিত হবে সাকিবদের আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলাও।


সাকিবের “টাইমড আউট” নিয়ে ক্রিকেটা তারকা থেকে দর্শকরা কে কি বলছেন?

সময় : 15:49



অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুসকে টাইমড আউট করানোয় শ্রীলঙ্কানরাতো ক্ষুব্ধ হয়েছেনই। সেই সাথে বিশ্বের অনেক ক্রিকেটার, বিশ্লেষকরাও এর পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলেছেন। এমনকি বাংলাদেশের সমর্থকরাও দুইভাগে বিভক্ত হয়েছেন। কেউ বলছেন সাকিব আবেদন না করে বড় মনের পরিচয় দিতে পারতেন। কেউ বলছেন দেশের জন্য লড়তে এসে সাকিব সর্বস্যটাই দেবেন এটাই হওয়া উচিত। সে তো ক্রিকেটের নিয়মের বাইরে কিছু করেনি। তাহলে তার ভুলটা কোথায়?

এমসিসির আইনের ৪০.১.১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ‘একজন ব্যাটারের আউট হয়ে যাওয়া বা রিটায়ার্ড হার্টের পর যে ব্যাটসম্যান আসবেন, তাকে অথবা অন্য ব্যাটসম্যানকে ৩ মিনিটের মধ্যে বলের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। অন্যথায় যে ব্যাটসম্যান নামছেন, তাকে আউট হতে হবে।’

 

অবশ্য বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনে বলা আছে, এক্ষেত্রে সময়টা ২ মিনিট। ম্যাথিউস এদিন অতিক্রম করে গেছেন দুটিই। যার ফলে, বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে আউট দেন আম্পায়াররা।

 

এমসিসির বানানো আইনটির প্রয়োগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা গেল দেড়শ বছর পর। অথচ অন্য অনেক আইন ক্রিকেট মাঠে হরহামেশা দেখা যায়। নতুন করে প্রয়োগ হওয়া আইনটি নিয়ে মানুষ ‘ক্রিকেট অব স্পিরিটে’র দুয়ো তুলছেন। যা সরাসরি আবার ক্রিকেটীয় আইনের বিরুদ্ধে যায়! এত বছর পর ‘টাইমড আউটে’র প্রয়োগ দেখে আইন প্রণয়নকারীরা গর্বিত হতেন বলে মন্তব্য করেছেন মাশরাফি।

টাইগার ক্রিকেটের অন্যতম সফল এই অধিনায়ক তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রায় দেড়শ বছরের ইতিহাসের উনিশ হাজার ছয়শ সাতান্ন তম ম্যাচে এসে প্রথম টাইম আউট। যারা এতো বছর আগে আইনটা করেছিল তারা বেঁচে থাকলে আজ নিজেদের গর্বিত ভাবতে পারতো।’

আজকের ম্যাচে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন সাবেক দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটার ওয়াকার ইউনিস ও রমিজ রাজা। নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ওয়াকার বলেন, ‘এটা ক্রিকেটের জন্য ভালো কিছু নয়। এটা ক্রিকেটের চেতনার পরিপন্থী।’ আরেক ধারাভাষ্যকার ও সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা বলেন, ‘এ ঘটনার পর শ্রীলঙ্কা নিশ্চয়ই আরও একটু বেশি আবেগ ও রাগ নিয়ে খেলবে।’

অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার ওসমান খাজা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, 'ম্যাথিউস ক্রিজে চলে এসেছিল এরপর তার হেলমেটের স্ট্র্যাপ ভেঙে গিয়েছে। এটা কীভাবে টাইমড আউট? টাইমড আউট হতো যদি সে ক্রিজে না যেত কিন্তু এটা হাস্যকর। কোনো পার্থক্য নেই একজন ব্যাটার ক্রিজে গিয়ে তৈরি হতে তিন মিনিট সময় নিয়েছে কি নেয়নি।'

 

এদিকে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার মার্ক ওয়াহ লিখেছেন, 'ভুলে যান স্পিরিট অব দ্য গেমের কথা, নিয়মের কথাও ভুলে যান, একজন ভালো মনের ক্রিকেটার কীভাবে এমন একটি আউটের জন্য আবেদন করতে পারে? কীভাবে একটি আউট এভাবে নিতে পারে।'

 

 

গৌতম গম্ভীর বলেন, 'আজকে দিল্লিতে যা হয়েছে এটা সত্যিই হতাশাজনক।'

স্টিভ হারমিসন বলেছেন,'আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ ধরনের ঘটনা প্রথম। এটি বেশ অভাবনীয় যে ম্যাথিউস তার হেলমেটটাও দেখে আনলেন না। তিনি এটি কীভাবে করলেন? প্লেয়িং কন্ডিশন ও নিয়ম অনুযায়ী সাকিবের সিদ্ধান্ত সঠিক, আমার অবস্থানও তার পক্ষে।'

 

একজন বাংলাদেশী সমথক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টাইমড আউট হলেন অ্যাঞ্জেলা মেথিউস!! অনেকেই এই আউটের সমালোচনা করছেন কিন্তু কেন? আউট ইজ আউট!!  খেলা ইজ খেলা!!  আর এই আউট রুলসের মধ্যেই আছে, তাহলে সমালোচনা কেনো???

নিয়ম অনুযায়ী ম্যাথিউস আউট। যদি এই আউট নিয়ে তর্কাতর্কি হয় তাহলে কি নিয়ম ঘাস কাটার জন্য ব্যবহার করা হবে?

বাংলাদেশ যদি আপিল না করতো আর এই ৩ মিনিটের জন্য যদি স্লো ওভাররেট ধরিয়ে দিতো, একজন ফিল্ডার কম নিয়ে খেলতে হতো বা জরিমানা দিতে হতো, তখন স্পিরিট অফ ক্রিকেট বা কন্ট্রোভার্সি কোথায় থাকতো ভাই?

আরেকজন লিখেছেন, মানে আমাদের এত খারাপ অবস্থা যে এরকম অখেলোয়াড়সুলভ উপায়ে এঞ্জেলো ম্যাথিউসের মত একজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে মাঠ থেকে বিদায় করতে হয়!

আরেকজন বলেছেন, নিয়ম যেহেতু আছে আমি এই উইকেটের পক্ষে। প্রতিপক্ষের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে নিজে হেরে যাওয়া উচিত নয়। দিন শেষে মানুষ মনে রাখবে ম্যাচের ফলাফল।

আরেকজন লিখেন, সাকিবের পক্ষে তিনি। চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফিতে চান্স পাওয়া যেখানে অনেক গুরুত্বপূণ সেখানে এমন উদারতা দেখানোটা কতটা যৌক্তিক? সময় বেশি যাওয়ার জন্য স্লো ওভার রেটের জন্য জরিমানা হলে তখন সবাই সাকিবের সমালোচনা করতো।


টাইমড আউটকে ছাপিয়ে জয় খরা কাটালো বাংলাদেশ

সময় : 22:38



বিশ্বকাপে টানা হার। অর্থাৎ, আসরের প্রথম ম্যাচে আফগানদের পরাজিত করার পর টানা ৬ ম্যাচে নিজেরা পরাজিত হয়েছে। এরপর নিজেদের অষ্টম ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেছে ম্যাচটাকে কঠিন করে। আর বাংলাদেশের জয়কে ছাপিয়ে অ্যাঞ্জেলা ম্যাথসের টাইমড আউট বেশি আলোচনায় ছিল। অবশেষে, ৩ উইকেটের জিতলো টাইগাররা।

 

প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ হন সাকিব আল হাসান।
 

 

দলের পক্ষে নাজমুল হোসেন শান্ত সর্বোচ্চ ১০১১ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৬৫ বলে ৮২ রান করেন। মূলত সাকিব-শান্তর ১৬৯ রানের জুটিই বাংলাদেশের জয়ে বড় অবদান রেখেছে।

লঙ্কানদের পক্ষে মাধুশঙ্কা ১০ ওভার বল করে একটি মেডেনসহ ৩ উইকেট নেন। এছাড়া অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুস ও থিকসানা দুটি করে উইকেট নেন।

 

এর আগে দিল্লীতে বিশ্বকাপের ৩৮তম ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ। দিল্লীর দূষিত আবহাওয়ার মাঝে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস জিতে সাকিব আল হাসান ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা ৪৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭৯ রান করে। দলের পক্ষে আশালঙ্কা সর্বোচ্চ ১০৮ রান করেন ১০৪ বলে।

 

দুই দলের বিশ্বকাপে আর কিছু পাওয়ার নেই। এখন তারা একই টার্গেটে লড়বে। তা হলো ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফি। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই দারুণ ব্রেক থ্রু এনে দেন শরীফুল। শরীফুলের বলে সুপারম্যানের মতো উড়ে গিয়ে কুশল পেরেরার দারুণ এক ক্যাচ লুফে নেন মুশি। কুশল ৪ রানে মাঠে ছাড়েন।

এরপর এরপর বড় জুটির আভাস দিয়ে খেলতে থাকে কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা। কিন্তু অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বলে শরীফুলের ক্যাচে ৬১ রানের জুটি ভাঙে।

৬৬ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটলে স্কোর বোর্ডে আর ৬ রান যোগ হতেই এরপর আঘাত হানেন আরেক সাকিব (তানজিম হাসান সাকিব)। তিনি বিশ্বকাপে এটি তার অভিষেক ম্যাচ।

আর অভিষেকেই উইকেট দখল করলেন পাথুম নিশাঙ্কার। নিশাঙ্কা হাফ সেঞ্চুরির দিকেই যাচ্ছিলেন। তিনি ৩৬ বলে ৪১ রানে তানজিম সাকিবের বলে বোল্ড আউট হয়ে যান দলীয় ৭২ রানে।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে বিতর্ক শুরু হলো ২৪.২ ওভারে। সামারাবিক্রমাকে সাকিবের বলে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচে পরিণত করার পর মাঠে নামেন অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুউজ। এরপর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি কোনও বল মোকাবেলা না করায় তাকে টাইম আউট দেওয়া হয়। ২১৩ রানের মাথায় ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে স্ট্যাম্পড করে দেন মুশফিক। ২৫৮ রানে শরীফুলের শিকার হন থিকসানা। দলের সেঞ্চুরিয়ান ১০৮ রানে থামেন দলীয় ২৭৮ রানে।

বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে অভিষিক্ত তানজিম সাকিব ১০ ওভারে ৮০ রান দিয়ে ৩ উইকেট দখল করেন। এছাড়া অধিনায়ক সাকিব ও শরীফুল ২টি করে উইকেট দখল করেন।


সাকিবকে আউট করে ম্যাথুস বললেন তোমারও ‘টাইমড আউট’

সময় : 22:01



অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুসকে টাইম আউটের আবেদন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানই করেছিলেন। এরপর এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কম তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে না। এরই মাঝে সাকিব সেঞ্চুরির পথে গিয়ে আউটি হয়ে গেলেন সেই অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুসের বলেই।

 

সাকিব কি অ্যাঞ্জেলাকে মোকাবেলা করতে খানিকটা স্নায়ুচাপে ভূগছিলেন? শুরুর দিকে অন্তত তাই মনে হচ্ছিল। আর সেই ম্যাথুসের বলেই ফিরে গেলেন সাকিব। আর সাকিবকে আউট করেই অ্যাঞ্জেলা দাঁড়িয়ে সাকিবকে উদ্দেশ্য করে আঙুল দিয়ে বাম হাতে কল্পনার ঘড়ি দেখিয়ে বলার চেষ্টা করছিলেন ‘টাইমড আউট’।  

অ্যাঞ্জেলা যেন বলার চেষ্টা করছিলেন তোমারও টাইম শেষ। সেঞ্চুরি করতে দিলাম না। আমাকে এক বলও খেলতে দাওনি। আমিও তোমাকে আউট করে মাঠেই প্রতিশোধ নিয়ে নিলাম।

ক্রিজে থেমে আসা বলে লিডিং-এজে সাকিব মিড অফে ধরা পড়েছেন আশালঙ্কার হাতে। এর আগে ৮ রানে ব্যাটিংয়ের সময় ম্যাথুসের বলেই আসালাঙ্কার হাতে বেঁচে গিয়েছিলেন সাকিব। এবার সেই সুযোগ এলে আর হাতছাড়া করেননি আশাালঙ্কা। আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক খেলেছেন ৮২ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। আউট হবার আগে বাংলাদেশকে দারুণ এক অবস্থানে রেখেই ফিরেছেন সাকিব।


শান্ত-সাকিবের ফিফটি, পার্টনারশিপে ১০০ রান

সময় : 21:02



অনেকদিন পর শান্তর ব্যাট হাসলো। বিশ্বকাপের শুরুর ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ম্যাচ জেতানো ৫৯ রান। এরপর সাত ম্যাচে তিনি হারিয়ে গিয়েছিলেন। বিশ্বকাপের শেষ সময়ে অর্থাৎ, ৮ম ম্যাচে আবারও তার ব্যাট কথা বললো। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পেলে অর্ধশতকের দেখা। ৮টি চারের সাহায্যে তিনি ৫৮ বলে অর্ধশতক রান করেন।

তানজিদ তামিম ৯ রান করে দলীয় ১৭ রানে আউট হলে ক্রিজে আসেন শান্ত। এরপর লিটন দলীয় ৪১ রানে এবং ব্যক্তিগত ২৩ রানে আউট হলে আসেন অধিনায়ক সাকিব।

এরপর সাকিব-শান্ত শত রানের পার্টনারশিপ উপহার দেন। তারা তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯৫ বলে একশো রান করেন।

সাকিব নিজেও অর্ধশতকের দেখা পান। তিনি ৪৭ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ ২৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৬১ রান।


আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো ‘টাইম আউট’ দেখলো বিশ্ব

সময় : 17:20



বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে বিতর্ক শুরু হলো ২৪.২ ওভারে। সামারাবিক্রমাকে সাকিবের বলে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচে পরিণত করার পর মাঠে নামেন অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুউজ। শুরু হয় দারুণ এক নাটক। দিল্লীর মাঠে খেলা বন্ধ। ম্যাথুউজ একবার আম্পায়ারদের কাছে একবার বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিবের কাছে আসছেন কথা বলছেন।

দর্শক-ধারাভাষ্যকাররা কেউই আঁচ করতে পারেননি কি ঘটনা ঘটছে মাঠে। নানাভাবে বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছিল আসলে কি হয়েছে। পরে যখন ম্যাথু্উজ ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠ থেকে বের হয়ে এলেন তখন বোঝা গেল এটা ‘টাইম আউট’। বিশ্ব ক্রিকেটে এই আউট সাধারণত দেখা যায় না। আর বিশ্বকাপের ইতিহাসেতো এই আউট ঘটলো প্রথমবার।

শেষমেষ মাঠে নেমে কোনও বল না খেলেই আউট হয়ে ফিরতে হল শ্রীলঙ্কার ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে। সাকিব আল হাসানদের আবেদন মেনে নিলেন আম্পায়ার। মাঠে নেমে নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরিতে স্ট্রাইক নেওয়ায় ফিরতে হল তাকে।

 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টাইম আউট হলেন অ্যাঞ্জেলা। ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, একজন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ব্যাটসম্যানকে ৩ মিনিটের মধ্যে খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। কিন্তু ম্যাথুস সেটি হতে পারেননি। অবশ্য এবারের বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনে বলা আছে, এক্ষেত্রে সময় ২ মিনিট। ফলে কার্যকরী হবে সেটিই।

 

যে হেলমেট নিয়ে তিনি নেমেছিলেন, তাতে পুরো নিরাপদ বোধ করেননি বলে পরে আরেকটি হেলমেট আনা হয়, কিন্তু সেটিও উপযুক্ত মনে করেননি ম্যাথুস। এভাবেই তিন মিনিট ওভার হয়ে গেলে সাকিব আম্পায়ারের কাছে আপিল করলে ম্যাথুউজ ক্রিকেটের নিয়মানুযায়ী আউট হয়ে যান। ম্যাথুউজের আউট হয়ে ফেরার সময় বোঝা যাচ্ছিল, এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তিনি। ডাগ আউটের কাছে এসে তিনি হেলমেটটি ছুড়ে ফেলেন।

তখন ধারাভাষ্যকাররা বলেন, বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে টাইম আউট দিয়েছেন আম্পায়াররা।


২ সাকিবে চাপে লঙ্কানরা

সময় : 15:52



প্রথম উইকেট ৫ রানে পড়ে যায়। এরপর বড় জুটির আভাস দিয়ে খেলতে থাকে কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা। কিন্তু অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বলে শরীফুলের ক্যাচে ৬১ রানের জুটি ভাঙে।

৬৬ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটলে স্কোর বোর্ডে আর ৬ রান যোগ হতেই এরপর আঘাত হানেন আরেক সাকিব (তানজিম হাসান সাকিব)। তিনি বিশ্বকাপে এটি তার অভিষেক ম্যাচ।

আর অভিষেকেই উইকেট দখল করলেন পাথুম নিশাঙ্কার। নিশাঙ্কা হাফ সেঞ্চুরির দিকেই যাচ্ছিলেন। তিনি ৩৬ বলে ৪১ রানে তানজিম সাকিবের বলে বোল্ড আউট হয়ে যান দলীয় ৭২ রানে।

আজ দিল্লীতে বিশ্বকাপের ৩৮তম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন তানজিম সাকিব।

 

 


প্রথম ওভারেই শরীফুলের আঘাত, মুশফিকের দূর্দান্ত ক্যাচ

সময় : 15:51



দিল্লীতে বিশ্বকাপের ৩৮তম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ওভার করতে আসেন শরীফুল ইসলাম। শরীফুলের ওভারের শেষ বলটিতে অফ সাইড দিয়ে খানিকটা বেরিয়ে যাচ্ছিল। লঙ্কান ব্যাটার কুশল পেরেরা বলটিকে কাভার ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন। তার ব্যাটের কানায় লেগে প্রথম স্লিপে ক্যাচ উঠে যায়। মুশফিক যেন বাজ পাখির ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচটি লুফে নেন। লঙ্কানরা দলীয় প্রথম ওভারেই উইকেট হারায়। শরীফুল টাইগারদের পক্ষে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিলেন দারুণ এক ডেলিভারিতে। দলীয় ৫ রানে এক উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। কুশল পেরেরা ৪ রানে প্যাভিলিয়নে চলে যান। দুই দলের বিশ্বকাপে আর কিছু পাওয়ার নেই। এখন তারা একই টার্গেটে লড়বে। তা হলো ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফি। আজ বাংলাদেশ দলে তানজিম সাকিবের অভিষেক হলো। তিনি মোস্তাফিজের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।


টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, অভিষেক তানজিম সাকিবের

সময় : 14:17



দিল্লীতে বিশ্বকাপের ৩৮তম ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হচ্ছে শ্রীলঙ্কার। দিল্লীর দূষিত আবহাওয়ার মাঝে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস জিতে সাকিব আল হাসান ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। দুই দলের বিশ্বকাপে আর কিছু পাওয়ার নেই। এখন তারা একই টার্গেটে লড়বে। তা হলো ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফি।

 

হেড কল করেছিলেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস, পড়েছে টেলস। টসে জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো উইকেটে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মেন্ডিস বলেছেন, ব্যাটিং করতে কোনোই আপত্তি করতেন না তিনি।

 

মোস্তাফিজুর রহমান ফিট নন বলে জানিয়েছেন সাকিব। এ বাঁহাতি পেসারের জায়গায় খেলছেন তানজিম হাসান সাকিব, বিশ্বকাপে এটি তাঁর প্রথম ম্যাচ।

 

দুটি পরিবর্তন আছে শ্রীলঙ্কা দলে। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কুশল পেরেরা দলে এসেছেন। দুশান হেমন্ত ও দিমুথ করুনারত্নের জায়গায় খেলবেন তাঁরা।

 

 

 

বাংলাদেশ একাদশঃ

লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও শরীফুল ইসলাম।

 

শ্রীলঙ্কা একাদশঃ

পাতুম নিশাঙ্কা, কুশল পেরেরা, কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিত আসালাঙ্কা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, মহীশ তিকশানা, কাসুন রাজিতা, দুষ্মন্ত চামিরা ও দিলশান মাদুশঙ্কা।


হাই ভোল্টেজ ম্যাচকে লজ্জার লো-ভোল্টেজ বানিয়ে হারলো দ.আফ্রিকা

সময় : 21:11



আকাশে উড়ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু, সপ্তম আকাশে যে আকাশী ভারত! ঠিকই হারিয়ে দিল চোকার্স দ. আফ্রিকাকে। আগেই বলা হচ্ছিল ফাইনালের দাবিদার এই দুই দলের ম্যাচটিও হয়তো হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কিন্তু, কিসের কি! হাইভোল্টেজ এই ম্যাচকে লো ভোল্টেজ ম্যাচে পরিণত করে ২৪৩ রানের বিশাল ব্যবধানে লজ্জার হার হারলো দক্ষিণ আফ্রিকা। অথচ, প্রায় প্রতি ম্যাচে তিনশো প্লাস রান করা প্রোটিয়ারা এদিন ৮৩ রান করতেই দারুণ কষ্ট করলো। ২৭. ১ ওভারে প্রোটিয়ারা ৮৩ রানেই অল আউট হয়ে যায়।

ভিরাট কোহলির জন্মদিনে সেঞ্চুরি ও দ. আফ্রিকাকে লজ্জায় ডুবিয়ে হারাতে পারা নিশ্চয় জন্মদিনের বড় উপহারই বলতে হবে। জন্মদিনে দারুণ এক সেঞ্চুরি করায় প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ হন ভিরাট কোহলি।

 

শুরুতেই চাপে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। দলের সবচেয়ে ইনফর্ম ব্যাটার কুইন্টন ডি কক দলীয় ৬ রানের মাথায় মোহাম্মদ সিরাজের বলে ১০ বলে ৬ রান করে বোল্ড আউট হয়ে যান। এরপর দলীয় ২২ রানের মাথায় অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ১৯ বলে ১১ রান করে জাদেজার বলে লাইন মিস করে ক্লিন বোল্ড হয়ে যান। এইডেন মার্কারমও টিকতে পারেননি। তিনি শামির বলে রাহুলকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ৬ বলে ৯ রান করে। প্রথম পাওয়ার প্লেতে দূর্দান্ত দক্ষিণ আফ্রিকা মিইয়ে যায়। তারা ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান তোলে।

এরপর স্কোর বোর্ডে ৪০ রান হতেই পর পর দুজন লেগ বিফরের ফাঁদে পড়ে আউট হয়ে যান হেনরিক ক্লাসেন ও রাসি ভ্যান ডের ডুসেন। তারা যথাক্রমে জাদেজা ও শামির বলে ড্রেসিং রুমে ফেরেন রান করতে না পারার হতাশা নিয়ে। প্রোটিয়াদের আশার প্রদীপ হয়ে ছিলেন ডেভিড মিলার। তিনিও ১১ বলে ১১ রান করে দলীয় ৫৯ রানের মাথায় জাদেজার বলে বোল্ড আউট হয়ে ফিরে যান।

এরপর স্কোর বোর্ডে ৮ রান যোগ হতেই কেশব মহারাজের বিদায় ঘন্টা বেজে ওঠে। তিনি ৬৭ রানের মাথায় ১১ বলে ৭ রান করে জাদেজার শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর আর ফেরার পথ পায়নি প্রোটিয়ারা। ম্যাক্রো জানসেন ৩০ বলে ১৪ রান করে কুলদীপ জাদবের শিকার হয়ে ফেরেন। এরপরই কাগিজো রাবাদা জাদেজাকে ৫ উইকেট নিতে দারুণ সাহায্য করেন। তিনি কট এন্ড বোল্ড হয়ে ২৬ বলে ৬ রান করে ফিরে যান।

 

মোহাম্মদ সিরাজ প্রোটিয়া শিবিরে প্রথম আঘাত হানলেও তাদের দূর্গ গুড়িয়ে দিতে প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি ৯ ওভার বলে করে একটি মেডেনসহ ৩৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট দখল করেন। এছাড়া মোহাম্মদ শামি ও কুলদীপ যাদব ২টি করে উইকেট দখল করেন।

 

 

ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ভারত প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। দারুণ শুরু এনে দেয় দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম দলীয় পঞ্চাশ রান আসে মাত্র ২৭ বলে। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৯-এর উপরে রান রেট ছিল ভারতের।

দলীয় ৬২ রানে রোহিত শর্মা আউট হন। তিনি ২৪ বলে ৪০ রান করেন। শুভমান গিল ২৪ বলে ২৩ রান করে আউট হন দলীয় ৯৩ রানের মাথায়।

এরপর জুটি গড়ে তোলেন ভিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আয়ার। একসময় মনে হচ্ছিল ভিরাট ও শ্রেয়াস দুজনই সেঞ্চুরি করবেন। কিন্তু, তিনি দলীয় ২২৭ রানে ৮৭ বলে ৭৭ রানে আউট হয়ে গেলে তাদের ১৩৪ রানের জুটি ভেঙে যায়।

এরপর কে এল রাহুল ও সূর্যকুমার যাদব খুব বেশি অবদান রাখতে পারেননি। তবে ভিরাট একপাশ আগলে ছিলেন। শেষে রবীন্দ্র জাদেজা এসে দারুণভাবে ফিনিশারের কাজটি করেন। তিনি ১৫ বলে ৩টি চার ও ১টি ছয়ে ২৯ রান করলে টোটাল স্কোর দাঁড়ায় ৩২৭ রানে।

দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায় বাভুমা ৬জন বোলারকে ব্যবহার করেছেন। এরমধ্যে একমাত্র মার্করাম ছাড়া বাকি লুঙ্গি এনগিডি, মার্কো জনসেন, কাগিসো রাবাদা, কেশভ মহারাজ ও তাবরেজ শামসি প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট পান।


আফ্রিকা বধে ভারতের ৩২৭ রানের চ্যালেঞ্জ

সময় : 18:50



বিশ্বকাপের ৩৭তম ম্যাচে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে দিয়েছে রোহিত-কোহলিরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ভারত করেছে ৩২৭ রান। দলের পক্ষে ভিরাট কোহলি সর্বোচ্চ ১২১ বলে ১০১ রান করেন।

এই ম্যাচ জিততে হলে আফ্রিকানদের করতে হবে ৩২৮ রান। ভারতের ইনিংসের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ভিরাট কোহলির ৩৫তম জন্মদিনে ৪৯তম সেঞ্চুরি পাওয়া। তিনি এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে গ্রেট শচীন টেন্ডুলকারকে ছুঁয়ে ফেললেন।

 

টস জিতে ভারত প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। দারুণ শুরু এনে দেয় দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম দলীয় পঞ্চাশ রান আসে মাত্র ২৭ বলে। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৯-এর উপরে রান রেট ছিল ভারতের।

দলীয় ৬২ রানে রোহিত শর্মা আউট হন। তিনি ২৪ বলে ৪০ রান করেন। শুভমান গিল ২৪ বলে ২৩ রান করে আউট হন দলীয় ৯৩ রানের মাথায়।

এরপর জুটি গড়ে তোলেন ভিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আয়ার। একসময় মনে হচ্ছিল ভিরাট ও শ্রেয়াস দুজনই সেঞ্চুরি করবেন। কিন্তু, তিনি দলীয় ২২৭ রানে ৮৭ বলে ৭৭ রানে আউট হয়ে গেলে তাদের ১৩৪ রানের জুটি ভেঙে যায়।

এরপর কে এল রাহুল ও সূর্যকুমার যাদব খুব বেশি অবদান রাখতে পারেননি। তবে ভিরাট একপাশ আগলে ছিলেন। শেষে রবীন্দ্র জাদেজা এসে দারুণভাবে ফিনিশারের কাজটি করেন। তিনি ১৫ বলে ৩টি চার ও ১টি ছয়ে ২৯ রান করলে টোটাল স্কোর দাঁড়ায় ৩২৭ রানে।

দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায় বাভুমা ৬জন বোলারকে ব্যবহার করেছেন। এরমধ্যে একমাত্র মার্করাম ছাড়া বাকি লুঙ্গি এনগিডি, মার্কো জনসেন, কাগিসো রাবাদা, কেশভ মহারাজ ও তাবরেজ শামসি প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট পান।

 

 

 


কোহলি জন্মদিন রাঙালেন সেঞ্চুরি দিয়ে, ছুঁলেন শচীনকেও

সময় : 18:17



ভিরাট কোহল এক জীবন্ত কিংবদন্তীর নাম। শুধু ভারত নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি। আজ তার ৩৫তম জন্মদিন। আর জন্মদিনটা রাঙালেন এক নজরকাড়া সেঞ্চুরিতে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের ৩৭তম ম্যাচে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে তিনি ১১৯ বলে ১০০ রান পূরণ করেন। সব মিলিয়ে ৪৯তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করলেন ভিরাট।

এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে ভিরাট কোহলি আরেক ভারতীয় গ্রেট শচীন টেন্ডুলকারকে ছুঁয়ে ফেললেন। এখন বিশ্ব ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক শচীন ও ভিরাট।  সেঞ্চুরিতে শচীনকে ছুঁয়ে ফেললেও এখনও ফিফটিতে তাকে ছুঁতে পারেননি কোহলি। টেন্ডুলকারের মোট ফিফটি ৯৬টি। আর কোহলির ৭০টি।

আর এই জন্মদিনে সেঞ্চুরিটা করলেন দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচে। এই কারণে হাইভোল্টেজ ম্যাচ বলতে হচ্ছে কারণ এবারের বিশ্বকাপে আফ্রিকানরা দারুণ দাপটের সাথে খেলছে। তাদের খেলার ধরন বলে দেয় এই বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদ্বার তারাও।

আজকের সেঞ্চুরির মাধ্যমে এই বিশ্বকাপেও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় ভিরাট কোহলি আরও এগিয়ে গেলেন।

 

 


বিশ্বকাপের পর কি বাংলাদেশের কোচ থাকছেন হাথুরু?

সময় : 17:26



সাত ম্যাচের মধ্যে টানা ৬টিতে হার। এরপর বাংলাদেশ বিশ্বকাপের লড়াই থেকেই ছিটকে পড়লো। যে দলটি বিশ্বকাপের আগেও হিরোর মতো পারফর্মেন্স ছিল সেই দলটিই কি না বিশ্বকাপে জিরো হয়ে গেল! প্রধান কোচ হাথুরুসিংহের দাপট আর তার আদেশেই একে বাদ ওকে নাও। এসব নীতির পর টালমাটাল টাইগার টিম। যার ফলাফল হাতেনাতে এলো বিশ্বকাপ আসরেই। প্রত্যাশার সমীকরণে একরকম শূন্য হাতেই ফিরতে হচ্ছে টাইগারদের।

 

এরপর অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গেছে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুযোগ পাওয়ার বিষয়টিও। আর এই ব্যর্থতার জন্য সবমিলিয়ে কাঠগড়ায় প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। অবশ্য বিশ্বকাপের আগে থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে নানা ঘটনা ঘটে যাওয়ার নেপথ্যে অনেকেই হাথুরুকে দায়ী করেছেন। সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালও পরোক্ষভাবে হাথুরুর দিকেও আঙুল তুলেছিলেন।

দেশী ক্রিকেটের অনেক ভক্ত-সমর্থক চান না হাথুরু এই যাবতীয় ব্যর্থতার দায় নিয়ে বাংলাদেশের কোচ থাকুক। বিশ্বকাপে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকার জন্যও হাথুরুর দিকে আঙুল তাক করেছেন কেউ কেউ।

খোদ হাথুরুসিংহের কাছে আজ রোববার (০৫ নভেম্বর) দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয়েছিল বিশ্বকাপ শেষে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকবেন কিনা? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উত্তরে হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘আমি কোচ থাকবো কি না এটা আমার ওপর নির্ভর করে না। এটা আসলে বোর্ডের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত আসতে হবে।’

 

তবে কোচ থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা বললেও নিজের কাজ বিশ্বকাপের পরেই শুরু হবে বলে মন্তব্য এই কোচের। এর আগে কিছুই করার ছিল না বলেও জানিয়েছেন এই কোচ। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার প্রশ্নে টাইগারদের প্রধান এই কোচ বলেন, 'আমার আসল কাজ শুরু হবে বিশ্বকাপের পরে। আগের সাত মাসে কিছুই করার ছিল না।'

হাথুরুসিংহে বলেন, ‘দলটা যে অবস্থায় ছিল সেখান থেকে নিয়ে এখনকার জন্য প্রস্তুত করেছি। আসলে আমার কাজ শুরু হবে এরপর। বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হওয়া একরকম, আর দলকে সামনে নিয়ে যাওয়া আরেক চ্যালেঞ্জ।'

 

গত সাতমাসে অনেককিছুই নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ঘটেছে বলে মন্তব্য হাথুরুসিংহের, ‘দেখুন আমি সাত মাস আগে কাজ শুরু করেছি। আমার হাতে কেবল সাত মাস সময় ছিল। এর মাঝে বেশ কিছু জিনিস ঘটেছে যা আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। আমার মনে হয় এটা নিয়ে আলোচনা করা কিংবা ভাবার সঠিক সময় নয়।’


বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতা, দায় কাঁধে নিলেন হাথুরু

সময় : 16:10



এই বিশ্বকাপে পুরো ব্যর্থ যে দলটি তা হলো বাংলাদেশ। যে দলটির আাশা ছিল গগনচুম্বী সেই দলটিই আকাশ ছুঁতে পারেনি, পড়ে আছে মাটিইতেই। কত পরিকল্পনা, কত কাটাছেঁড়া কোচের। অথচ, ফলাফল জিরো।

যে দলটি বছর খানেক আগেও ওয়ানডেতে দারুণ ছন্দে ছিল সেই দলটিই প্রিয় ফরমেটের বিশ্বকাপে তলানির সবচেয়ে নিচের দলটি হয়েই দেশে ফেরে কি না সন্দেহ!

এমনকি ওয়ানডে সুপার লিগেও তৃতীয় স্থানে থেকে শেষ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দ্বিতীয় মেয়াদে কোচ হয়ে ফেরার পর সব যেন উলট-পালট হয়ে গেছে! সেমির স্বপ্ন নিয়ে ভারতে যাওয়া সাকিবদের এখন সেরা আটে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ! দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সের দায় নিজের কাঁধে নিলেন হাথুরুসিংহে।

 

শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশ কোচ বলেন, 'আমি এই দলের বাকিদের মতোই দায় নিচ্ছি। আমরা সমর্থক ও নিজেদেরকে হতাশ করেছি। সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারিনি কিন্তু প্রথম ম্যাচ থেকে এখন এসে কিছুই বদলে যায়নি। কেবল আমরা যা শুনছি, সেটা বদলেছে। স্কিল কোথাও চলে যায়নি।'

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার মনে হয় আমরা নিজেদেরকে বাড়তি প্রত্যাশা দিয়ে দমিয়ে রেখেছি। এই একটা ব্যাপার নিয়েই আমরা ভাবতে পারি, কারণ আপনি ঠিকই বলেছেন, সামর্থ্য অনুযায়ী অথবা বিশ্বকাপে আসার আগে খেলা সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারিনি। সেদিক থেকে আমাদের আয়নায় তাকাতে হবে আর দেখতে হবে কী ভুল হলো।'-


ম্যাচ জয়ী ফখর জামানকে কত টাকা পুরস্কার দিচ্ছে পিসিবি?

সময় : 15:15



ভারত বিশ্বকাপে জয় একরকম অধরাই ছিল পাকিস্তানের। জয়ের জন্য মরিয়া এই দলটি বার বার হারতে হারতে সমালোচনার বেড়াজালে বন্দী হয়ে ছিল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে পয়েন্ট টেবিলের নিচের সারিতে নামতে থাকা সেই দলটিই জয় তুলে নিল। আক্ষরিক অর্থে এই ম্যাচটি ছিল তাদের বাঁচা-মরার লড়াই।

এমন ম্যাচে কিউইদের রান পাহাড়ের জবাব দিতে নেমে টর্নেডো গতিতে সেঞ্চুরি তুলে নেন ফখর জামান। মূলত তার সেঞ্চুরিতেই বৃষ্টি আইনে ২১ রানে জিতে যায় পাকিস্তান। ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলায় ফখরকে পুরস্কৃত করতে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

 

ম্যাচে ৮১ বলে ১৫৫.৫৫ স্ট্রাইক রেটে ১২৬ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেওয়া ওপেনার ফখরকে ১ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি পুরস্কৃত করতে যাচ্ছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবি মিডিয়ার বরাত দিয়ে এ খবর নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান।

 

জানা গেছে, ম্যাচের পর পিসিবি ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ ফখর জামানের সাথে টেলিফোন কথা বলেছেন। তার সুন্দর ইনিংসের প্রশংসা করেন। ফখরের জন্য ১ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি পুরস্কার ঘোষণার পাশাপাশি তিনি পুরো দলকে শুভেচ্ছা জানান এবং ভবিষ্যতে একই ধরনের পারফরম্যান্সে সাফল্যের সঙ্গী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪০১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ১ উইকেট হারালেও বাবরকে নিয়ে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন ফখর। ৮টি চার ও ১১টি ছক্কার সাহায্যে ৮১ বলে ১২৬ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসের সুবাদে রানরেটে এগিয়ে থাকায় বৃষ্টি আইনে ২১ রানে জিতে যায় পাকিস্তান।


জমজমাট ম্যাচের আশায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে ভারত

সময় : 14:25



কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে এই ম্যাচটিকে হাইভোল্টেজ বলা যায় এই অর্থে যে, দুই দল এই আসরের সবচেয়ে শক্তিশালী। দুই দলই এরই মধ্যে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। এই দুই মহা শক্তির লড়াইয়ে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

অনেকেই বলছেন ফাইনালেও এই দুই দলের দেখা হতেও পারে। সেই জায়গা থেকে যেন ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল হতে যাচ্ছে।

 

সাত খেলা থেকে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ভারত এখন পয়েন্ট টেবিলে নেতৃত্ব দিচ্ছে। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল স্বাগতিকরা। আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে তাদের। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকারও সেমিফাইনাল নিশ্চিত। তবে তারা অপরাজিত নয়। একটা ম্যাচ হারায় সাত ম্যাচ থেকে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে প্রোটিয়ারা।

 

ভারত একাদশঃ রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ শামি, জাসপ্রিত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ।

 

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশঃ কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), রাসি ভ্যান ডের ডুসেন, এইডেন মার্করাম, হেনরিক ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো জানসেন, কেশব মহারাজ, তাবরেজ শামসি, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি।

 


বৃষ্টি আর ফখর হার মানালো নিউজিল্যান্ডকে

সময় : 21:01



ডার্কলুইস পদ্ধতির নিয়মানুযায়ী জিতেই গেলে পাকিস্তান। ৪০১ রানের বিশাল সংগ্রহ করেও নিউজিল্যান্ড অবশেষে হেরে গেল বৃষ্টি নিয়মের কাছে। বৃষ্টি না হলে পাকিস্তানকে সেমির লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে ৩৫ ওভারে করতে হতো ৪০২ রান। কিন্তু, বৃষ্টির নিয়মে পাকিস্তানের ৯ ওভার কমিয়ে করা হলো ৪১ ওভারে ৩৪২ করতে পারলে জিতে যাবে পাকিস্তান।

২১.৩ ওভারে পাকিস্তান ১ উইকেটে ১৬০ রান তোলার পর এক পশলা বৃষ্টিতে ভিজে গেল মাঠ। এরপর ২৫. ৩ ওভারে আবারও বৃষ্টিতে বন্ধ হলো খেলা।

দ্বিতীয় দফা বৃষ্টিতে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান। এখন নতুন লক্ষ্যে পাকিস্তানকে বাকি ১৯.৩ ওভারে আরও ১৮২ রান যোগ করতে হতো। অর্থাৎ, মোট ৩৪২ রান করতে হবে তাদের ৪১ ওভারে।

বাবর ও ফখরের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে অবশ্য ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে পার স্কোরে ২১ রান এগিয়েই রয়েছে পাকিস্তান। ২৫.৩ ওভারে নিয়মানুযায়ী ১৭৯ রান থাকলেই হতো। সেখানে বাবররা ২১ রানে এগিয়ে আছেন। ফলে আর খেলা শুরু না হলেও বৃষ্টির নিয়মানুযায়ী জিতবে পাকিস্তান। যেহেতু বৃষ্টির কারণে খেলা হলো না তাই রান রেটে এগিয় থাকা পাকিস্তানই জিতে গেল।

দুই অপরাজিত ব্যাটার ফখর জামান ছিলেন ৮১ বলে ১২৬ রানে আর বাবর আজম ছিলেন ৬৩ বলে ৬৬ রানে।

প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন পাকিস্তানের হয়ে দূর্দান্ত খেলা ফখর জামান।

 


বৃষ্টিতে খেলা না হলে জিতবে কে, পাকিস্তান নাকি নিউজিল্যান্ড?

সময় : 20:06



বলতে হবে একটি হাইভোল্টেজ ম্যাচ হচ্ছে। যেখানে পাকিস্তান শর্ত মেনে জিতলে সেমির লড়াইয়ে টিকে থাকবে আর নিউজিল্যান্ডের সেমির ভিত শক্ত হয়ে যাবে।

কিন্তু বেঙ্গালুরুতে বারবারই বাধ সাধছে বৃষ্টি। ৪০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২১.৩ ওভারে পাকিস্তান ১ উইকেটে ১৬০ রান তোলার পর এক পশলা বৃষ্টিতে ভিজে গেল মাঠ। এরপর ২৫. ৩ ওভারে আবারও বৃষ্টিতে বন্ধ হলো খেলা।

দ্বিতীয় দফা বৃষ্টিতে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান। এখন নতুন লক্ষ্যে পাকিস্তানকে ১৯.৩ ওভারে ১৮২ করতে হবে। অর্থাৎ, মোট ৩৪২ রান করতে হবে তাদের ৪১ ওভারে।

বাবর ও ফখরের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে অবশ্য ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে পার স্কোরে ২১ রান এগিয়েই রয়েছে পাকিস্তান। ২৫.৩ ওভারে নিয়মানুযায়ী ১৭৯ রান থাকলেই হতো। সেখানে বাবররা ২১ রানে এগিয়ে আছেন। ফলে আর খেলা শুরু না হলেও বৃষ্টির নিয়মানুযায়ী জিতবে পাকিস্তান।

এখন দুই অপরাজিত ব্যাটার ফখর জামান আছেন ৮১ বলে ১২৬ রানে আর বাবর আজম আছেন ৬৩ বলে ৬৬ রানে।

 

 


ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮৬ রানের লড়াইয়ের পুঁজি দিল অস্ট্রেলিয়া

সময় : 19:17



ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম পাওয়ার প্লেতেই ২ ওপেনারকে হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেট জুটিতে স্মিথ ও লাবুশানের ৭৫ রানের জুটিতে  তারা কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত অজিরা ৪৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান করে। জয়ের লক্ষ্যে ইংল্যান্ডকে করতে হবে ২৮৭ রান।

 

এই আসরে তারা মোটামুটি মানের পারফর্মেন্স করছে। লোয়ার মিডল অর্ডারের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে অজিরা।

 

শনিবার (৪ নভেম্বর) আহমেদাবাদে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে অজিরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেছেন লাবুশানে। ইংলিশদের হয়ে ৫৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন ক্রিস ওকস।

নতুন বলে দুর্দান্ত শুরু করেন ইংলিশ পেসাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ট্রাভিস হেডকে সাজঘরে ফেরান ক্রিস ওকস। ১১ রান করে এই ওপেনার ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নারও। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ রান।

৩৮ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে যখন ধুঁকছে অজিরা, তখন হাল ধরেন স্টিভেন স্মিথ ও মার্নাস ল্যাবুশেন। তৃতীয় উইকেটে এই দুইজনের ৭৫ রানের জুটিতে লড়াইয়ে ফেরে দল। ৪৪ রান করে ফেরেন স্মিথ। তবে ফিফটি পেয়েছেন লাবুশানে। সাজঘরে ফেরার আগে ৮৩ বলে করেছেন ৭১ রান।

 

ফিফটি পেতে পারতেন ক্যামেরুন গ্রিনও। তবে ভাগ্য তার সঙ্গে ছিল না। ৪৭ রানে বোল্ড হয়েছেন। গ্রিন ফেরায় ঘুরে যায় খেলার মোড়ও। শেষদিকে প্যাট কামিন্স-মিচেল স্টার্করা দ্রুত ফেরায় তিনশো ছোঁয়ার আগেই অলআউট হয় অজিরা।


বৃষ্টিতে যে নতুন লক্ষ্য পেল পাকিস্তান

সময় : 18:53



টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান। এরপর ব্যাট করতে নেমে পাক বোলারদের উপর স্টিম রোলার চালিয়েছেন কিউই ব্যাটাররা। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৪০১ রান করে।

ব্যাট করতে নেমে পাক ব্যাটার ফখর জামান রীতিমতো ভয় ধরিয়ে দেয় কিউই বোলারদের। তিনি ৬৩ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন। দলীয় ১৬০ রানের মাথায় নেমে আসে বৃষ্টি। এরপর নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ হয়।

 

বৃষ্টি নামার আগ পর্যন্ত ২১.৩ ওভারের খেলা হয়েছে। পাকিস্তান এই সময়ে করেছে এক উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান। ফখর অপরাজিত আছেন ৬৯ বলে ১০৬ রানে।

এখন নতুন লক্ষ্যে পাকিস্তানকে ১৯.৩ ওভারে ১৮২ করতে হবে। অর্থাৎ, মোট ৩৪২ রান করতে হবে তাদের ৪১ ওভারে।

 


৬৩ বলে ফখরের সেঞ্চুরি, বিশাল রান তাড়ায় লড়ছে পাকিস্তান

সময় : 18:31



দূর্দান্ত ফর্মে আছেন ফখর জামান। তাইতো নিউজিল্যান্ডের দেওয়া বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে রীতিমতো তার ব্যাট চোখ রাঙাচ্ছে। রান তাড়ায় ফখরের ব্যাটে ভর করে উড়ছে পাকিস্তানও।

এরই মধ্যে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ফখর। বৃষ্টির কারণে এখন খেলা বন্ধ। বৃষ্টি নামার আগ পর্যন্ত ফখরের সংগ্রহ ৬৯ বলে অপরাজিত ১০৬ রান। তিন অংকে পৌঁছাতে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৯টি ও চার মেরেছেন সাতটি। অধিনায়ক বাবর আজম আছেন ৫১ বলে ৪৭ রানে।

পাকিস্তান ফখররের ব্যাটে ভর করে ২১ ওভার ৩ বলে এক উইকেট হারিয়ে করেছে ১৬০ রান। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন টিম সাউদি।

 

বড় রান তাড়ায় দলীয় ৬ রানের মাথায় ওপেনার আবদুল্লাহ শফিককে হারায় পাকিস্তান। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে এখন পর্যন্ত ১৫৪ রান যোগ করেছেন ফখর-বাবর জুটি।

 

এর আগে বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।

 

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রাচিন রাবিন্দ্রার সেঞ্চুরি আর কেন উইলিয়ামসনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে ৬ উইকেটে ৪০১ রানের পাহাড় গড়ে নিউজিল্যান্ড।

 


ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেরা “পাঁচ” সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর

সময় : 18:02



ওয়ানডে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের এই রেকর্ডটি ভারত বিশ্বকাপেই হয়েছে। ২০২৩ বিশ্বকাপে ৪২৮ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যা শুধু চলতি আসরেই নয় এ যাবৎকালের একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই রানটি সর্বোচ্চ।

 

দ.ক্ষিণ আফ্রিকা বনাম শ্রীলঙ্কাঃ

৭ অক্টোবর বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই রেকর্ডসংখ্যক রান করে প্রোটিয়ারা। তারা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪২৮ রান করে ৫ উইকেট হারিয়ে। জবাবে লঙ্কানরা ৩২৬ রানে থেমে যায়। এই ম্যাচে প্রোটিয়া ব্যাটাররা ৩টি সেঞ্চুরি করেন। এরমধ্যে অধিনায় মার্করাম বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন। তিনি ৫৪ বলে ১০৬ রান করেন।

অস্ট্রেলিয়া বনাম আফগানিস্তানঃ

এবারের বিশ্বকাপের আগে এই রেকর্ডটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার দখলে। তারা ২০১৫ বিশ্বকাপে পার্থে আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেছিল ৪১৭ রান। জবাবে আফগানরা ১৪২ রানে আউট হয়ে যায়। ২৭৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে যায়। ডেভিও ওয়ার্নার এই ম্যাচে ১৩৩ বলে করেছিলেন ১৭৮ রান।

ভারত বনাম বারমুডাঃ

অস্ট্রেলিয়ার আগে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ডটি ছিল ভারতের দখলে। ভারত ২০০৭ বিশ্বকাপ বারমুডার বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েন। ভারত সেই ম্যাচে ৪১৩ রান করে ৫ উইকেট হারিয়ে। জবাবে বারমুডা ১৫৬ রানেই গুটিয়ে যায়। এই ম্যাচে বীরেন্দের শেবাগ ৮৭ বলে ১১৪ রান করেন।

 

দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম আয়ারল্যান্ডঃ

২০১৫ বিশ্বকাপে এই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি দক্ষিণ আফ্রিকার ছিল। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হাশিম আমলার ১২৮ বলে ১৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে তারা ৪ উইকেটে ৪১১ রান করে। জবাবে আইরিশরা ২১০ রানেই শেষ হয়ে যায়।

 

দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ওয়েস্ট-ইন্ডিজঃ

দক্ষিণ আফ্রিকা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডের ক্ষেত্রে বরাবরই সামনে। নিজেরাই নিজেদের রেকর্ড ভেঙে যেন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে তারা সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিল ৪০৮ রান। এ বি ডি ভিলিয়ার্সের ৬৬ বলে ১৬২ রানের ব্যাটিং তান্ডবে তারা এত বড় সংগ্রহ পায়। এই ম্যাচে ক্যারিবীয়রা ১৫১ রানেই গুটিয়ে ২৫৭ রানের বড় ব্যবধানে পরাজয় বরণ করে নেয়।  


পাকদের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের টার্গেট কিউইদের

সময় : 15:25



পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ে যেন ছেলেখেলা করলো কিউই ব্যাটাররা। বিশ্বকাপের ৩৫তম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়তো ভুলই করেছে পাকিস্তান। অন্তত নিউজিল্যান্ড ব্যাটারদের ব্যাটিংয়ে তাই মনে হয়েছে। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড রাচিন রাবিন্দ্রর সেঞ্চুরি আর কেন উইলিয়ামসনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে বাবর আজমদেরকে ৪০২ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে।

 

টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়াটা যে চরম একটি ভুল ছিল, তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটাররা। বাঁ-হাতি স্লো অর্থোডক্স হিসেবে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন কিউই ক্রিকেটার রাচিন রাবিন্দ্রা। কিন্তু বিশ্বকাপে এসে তিনি হয়ে গেলেন পুরোপুরি একজন ব্যাটার। এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে তিনটি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি।

 

আজও পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি এলো এই কিউই ব্যাটারের ব্যাট থেকে। ৯৪ বলে ১০৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। ১৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কার মার মারেন ১টি। সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু ৫ রানের আক্ষেপ থেকে গেলো তার। ৯৫ রানে আউট হয়ে যান ইফতিখার আহমেদের বলে। ৭৯ বলে ১০ বাউন্ডারি এবং ২ ছক্কায় এই রান করেন তিনি।

 

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার সময়ই হাতের আঙ্গুলে চোট পান উইলিয়ামসন। এরপর বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। অবশেষে আজ মাঠে ফিরেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেন কিউই অধিনায়ক।

 

ওপেনার ডেভন কনওয়ে ৩৫ রান করে হাসান আলির বলে আউট হন। ২৯ রান করে হারিস রউফের বলে বোল্ড হন ড্যারিল মিচেল।


ডাচদের হারিয়ে সেমির লড়াইয়ে এগিয়ে গেল আফগানরা

সময় : 20:42



খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি আফগানদের। বরং, ডাচদের ১৭৯ রানের সংগ্রহটাকে মামুলি হিসেবেই দেখেছেন আর সেভাবে ধরে খেলেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছেন তারা। ৩১.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

এই জয়ের মাধ্যমে তারা পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়াকে সেমির লড়াইয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাখলো। এখন সামনের ২ ম্যাচে জিততে পারলে রান রেটের হিসেবে তাদের সেমিফাইনালের স্বপ্ন পূরণও হতে পারে।

দলের পক্ষে অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ জাহেদি সর্বোচ্চ ৬৪ বলে ৫৬ রান করেন। এছাড়া রহমত শাহ ৫৪ বলে ৫২ রান করেন।

ডাচ বোলার লগান ভ্যান বিক, রোয়েলফ ভ্যান ডার মারওয়ে ও সাকিব জুলফিকার একটি করে উইকেট নেন।

ম্যাচ সেরা হন ৯.৩ ওভার বল করে একটি মেডেনসহ ২৮ রানে ৩ উইকেট নেওয়া মোহাম্মদ নবী।

 

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নেদারল্যান্ডস। শুরুটা ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত বেশ কষ্ট করতে হয়েছিল ডাচদের। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া কমলা জার্সিরা আফগানদের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিপরীতে ৪৬.৩ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৭৯ রান।  

 

ডাচদের ইনিংসের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল চারজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারের রান আউট হওয়া। এছাড়া ডাচদের রানটা আরও বেশিও হতে পারতো।

প্রথমে দলীয় ৩ রানের মাথায় ওয়েজলি ব্যারেজিকে হারিয়ে ধাক্কা খায় ডাচরা। সেখান থেকে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ম্যাক্স ও’দাউড ও কলিন আকারম্যান ৭০ রান যোগ করেন। এরপর আর কোনও জুটি গড়ে ওঠেনি ডাচদের।

৯২ রান থেকে ৯৭ রান করতেই ৩ উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে পড়ে যায় কমলা জার্সিরা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখ্ট। তিনি রান আউট হওয়ার আগে ৬টি চারের সাহায্যে ৮৬ বলে ৫৮ রান করেন। এছাড়া ম্যাক্স ও’ডাউদ ৪০ বলে ৪২ রান করেন।

প্রথম পাওয়া প্লেতে তাদের সংগ্রহ ছিল এক উইকেটে ৬৬ রান। দ্বিতীয় পাওয়ার প্লেতে ১০১ রান তুলতে হারায় ৭ উইকেট।

রশিদ খান ১০ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকলেও মোহাম্মদ নবী ৯.৩ ওভার বল করে একটি মেডেনসহ ২৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া নুর আহমেদও ২ উইকেট দখল করেন।

 


দুঃসময়ে সাকিবদের পাশে দাঁড়ালেন তামিম ও নারী অধিনায়ক জ্যোতি

সময় : 19:48



বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ফলাফল সবাই জানে। খুবই খারাপ সময় যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের। অনেক সমালোচনার মাঝে সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল শত অভিমান চাপা রেখেও মন থেকে দলকে সমর্থন যুগিয়ে যেতে বলেছেন। সমালোচনা নয়, বরং এই কঠিন সময়ে দলের পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তামিম ইকবাল।

বিশ্বকাপে শীর্ষ আটে থেকে ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলাও এখন হুমকির মুখে। দলের এ কঠিন অবস্থায় সমর্থন চেয়েছেন বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়া এ বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান, ‘এখন আমরা একটু কঠিন সময় দিয়ে যাচ্ছি সবাই। আমি বলব, চেষ্টা করেন এই মুহূর্তে দলের পাশে থাকতে যতটা সম্ভব। সবাই কোনো না কোনো জায়গায় হতাশা বের করে নেয়।

 

সাকিবদের সমর্থনে পাশে আছেন নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজের অবস্থান জানিয়ে দেন।

 

ক্রিকেটারদের খারাপ সময়ে তাদের পাশে থাকার কথা বলতে গিয়ে টাইগ্রেস অধিনায়ক জানান, ‘বাংলাদেশের হয়ে খেলছি তাই বলে না, অবশ্যই বাংলাদেশের অনেক বড় ফ্যান। সময় খারাপ যাচ্ছে আমি বলবো। যা-ই করতে যাচ্ছি আমরা, হয়তো আমাদের দিকে আসছে না। তার মানে কিন্তু এই না যে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি না।’

 

‘অনেকে অনেক কথা বলবে কিন্তু একজন ক্রিকেটার ও দলের সমর্থক হিসেবে এখন আমাদের উচিত সবাইকে ব্যাক করা। তাদেরকে সমর্থন দেওয়া ও ইতিবাচক ভাইব তৈরি করা, কারণ এখনও দুটো ম্যাচ আছে আমাদের।’

 

 


অনুশীলন বাতিল করেছে বাংলাদেশ

সময় : 18:42



ভারত বিশ্বকাপে ভালো অবস্থানে নেই বাংলাদেশ দল। চারদিকে নানান সমালোচনা। এছাড়া কোনও ভালো খবরে নেই তারা। বিশ্বকাপে হাতে আছে আর দুই ম্যাচ। এখন বাংলাদেশ দল দিল্লীতে অবস্থান করছে।

সেখানে ২ দিন বিশ্রামের পর, শুক্রবার (৩ নভেম্বর) প্রথম অনুশীলনে নামার কথা ছিল টাইগারদের। তবে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার অনুশীলন করছে না বাংলাদেশ দল।

তবে ম্যাচের আগের দুইদিন অর্থাৎ, শনিবার (৪ নভেম্বর) ও রোববার (৫ নভেম্বর) যথাসময়ে এবং আগের ভেন্যুতেই অনুশীলন করবে তারা।

 

বিশ্বকাপের সেমি থেকে ছিটকে গেলেও, শেষ দুই ম্যাচের একটিতে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। না'হলে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্বপ্ন ধুলিশ্যাৎ হয়ে যাবে সাকিবের।

 

ধারণা করা হচ্ছিল কলকাতায় হয়তো বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কারণ, আবহাওয়া, খাদ্যাভাস, ভাষা, উইকেট-কন্ডিশন সবকিছু বিবেচনায় ইডেন গার্ডেন্স পর্বটা ক্রিকেটারদের হোম সিকনেস অনেকটাই কমিয়ে দেবে বলেও আশা করেছিলেন সবাই।

 

 


ডাচদের ১৭৯ রানের লক্ষ্যে মাঠে নামবে আফগানরা

সময় : 17:44



শুরুটা ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত বেশ কষ্ট করতে হলো ডাচদের। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া কমলা জার্সিরা আফগানদের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিপরীতে ৪৬.৩ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ১৭৯ রান। জিততে হলে আফগানদের করতে হবে ১৮০ রান।

 

ডাচদের ইনিংসের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল চারজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারের রান আউট হওয়া। এছাড়া ডাচদের রানটা আরও বেশিও হতে পারতো।

প্রথমে দলীয় ৩ রানের মাথায় ওয়েজলি ব্যারেজিকে হারিয়ে ধাক্কা খায় ডাচরা। সেখান থেকে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ম্যাক্স ও’দাউড ও কলিন আকারম্যান ৭০ রান যোগ করেন। এরপর আর কোনও জুটি গড়ে ওঠেনি ডাচদের।

৯২ রান থেকে ৯৭ রান করতেই ৩ উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে পড়ে যায় কমলা জার্সিরা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখ্ট। তিনি রান আউট হওয়ার আগে ৬টি চারের সাহায্যে ৮৬ বলে ৫৮ রান করেন। এছাড়া ম্যাক্স ও’ডাউদ ৪০ বলে ৪২ রান করেন।

প্রথম পাওয়া প্লেতে তাদের সংগ্রহ ছিল এক উইকেটে ৬৬ রান। দ্বিতীয় পাওয়ার প্লেতে ১০১ রান তুলতে হারায় ৭ উইকেট।

রশিদ খান ১০ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকলেও মোহাম্মদ নবী ৯.৩ ওভার বল করে একটি মেডেনসহ ২৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া নুর আহমেদও ২ উইকেট দখল করেন।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পেল নেপাল ও ওমান

সময় : 16:14



বাহরাইনকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ওমান। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে নেপাল। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১০ বছর পর আবারও বিশ্বকাপের মূলপর্বে নেপাল।

 

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। আসন্ন এই বিশ্বকাপে জায়গা করে নিলো নেপাল ও ওমান। এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্বের সেমিফাইনালে যার যার ম্যাচে জয় পেয়েছে দুই দলই।

 

মূলত ফুটবলের মতো ক্রিকেটকে পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলতে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়িয়েছে আইসিসি। যদিও ফুটবল বিশ্বকাপ ও গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টগুলোতে ৩২টি দল অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছে ফিফা। প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকা আইসিসি এবার তাই ২০ দল নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিল ১২ দল নিয়ে।

 

স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্টের সঙ্গে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স বিবেচনায় আসন্ন আসরে উঠেছে ১২টি দল। গত বিশ্বকাপের শীর্ষ আট দল- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা এবং রেংকিং বিবেচনায় রয়েছে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ।

 

কোয়ালিফায়ার খেলে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, কানাডা ও পাপুয়া নিউগিনির পর মূলপর্ব নিশ্চিত করল এশিয়ার আরও দু্ই দেশ নেপাল ও ওমান। বাকি তিন দল নির্ধারণ হবে আমেরিকা (একটি), আফ্রিকা (দুটি) থেকে। ২০টি দলকে প্রথম রাউন্ডের জন্য ৪টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রুপে থাকবে ৫টি দল। এখান থেকে শীর্ষ দুটি দল নিয়ে হবে সুপার এইট। এখানেও ৪টি দল নিয়ে দুটি গ্রুপ ভাগ হয়ে খেলবে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল খেলবে সেমিফাইনালে।


টস জিতে ব্যাটিংয়ে ডাচরা, সেমির লক্ষ্যে আফগানরা

সময় : 16:13



সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানদের হারিয়ে দারুণ ফর্মে আছে আফগানিস্তান। সেখানে নবীন নেদারল্যান্ডসকে হারাতে হয়তো খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। সেই জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামছে আফগানরা। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) লখনৌর ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী ইকানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আফগানদের ফিল্ডিংয়ে পাঠায় ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।

ইতিমধ্যে তিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে আফগানিস্তান। একই লক্ষ্যে আরও একটি লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে আফগানরা। শেষ চারের আশা টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে নেমেছে তারা।

 

ডাচদের মুখোমুখি হয়েছে আফগানরা। আসরে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই আফগানদের। জয়ের সাথে রানরেটও বাড়িয়ে নিতে চাইবে হাসমতউল্লাহ শহিদির দল। তবে ম্যাচ জয়ের দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছে নেদারল্যান্ডসও।

 

বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচ খেলে তিনটিতে জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। সমান ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের জয় ২টিতে।

 

আফগানিস্তান একাদশঃ রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), আজমতুল্লাহ ওমরজাই, ইকরাম আলীখিল (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকী ও নূর আহমদ।

 

নেদারল্যান্ডস একাদশঃ ওয়েসলি বারেসি, ম্যাক্স ওডাউড, কলিন অ্যাকারম্যান, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখ্ট, স্কট এডওয়ার্ডস (উইকেটরক্ষক ও অধিনায়ক), বাস ডি লিড, সাকিব জুলফিকার, লোগান ভ্যান বেক, রোয়েলফ ভ্যান ডার মারওয়ে, আরিয়ান দত্ত ও পল ভ্যান মিকারেন।

 

 


বিশ্বকাপে পাওয়ার প্লেতে লজ্জার রেকর্ড গড়লো শ্রীলঙ্কা

সময় : 20:26



ভারতের বোলিং তোপের কাছে দারুণভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপের ফাইনালেও রেকর্ড করে হেরেছিল শ্রীলঙ্কা। এবার এই দলটিই ভারতের কাছে আবার মিইয়ে গেল। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম পাওয়ার প্লেতে সর্বনিম্ন রান ও বেশি উইকেট হারানোর রেকর্ড গড়ে ফেললো শ্রীলঙ্কা।

বিশ্বকাপের ৩৩তম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ১০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে করেছেন ১৪ রান।

চলতি বিশ্বকাপেই চেন্নাইতে এই রেকর্ড গড়েছিল ভারত। প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ভারত ৩ উইকেট হারিয়ে রান করেছিল ২৭।

এর আগে সর্বোচ্চ উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান। তারা ২০১৫ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪ রান তুলতে ২ উইকেট হারিয়েছিল।

এবারের বিশ্বকাপেও এই ১৪ রানই করলো শ্রীলঙ্কা। তবে তারা উইকেটের দিক থেকে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ৬ উইকেট হারিয়েছে।

পাওয়ার প্লেতেই লঙ্কানদের ধ্বসিয়ে দেওয়ার কাজটি করতে মূল ভূমিকা রাখেন দুই সিমার মোহাাম্মদ সিরাজ ও শামি। সিরাজ ৩ ও শামি ২ উইকেট নিয়ে লঙ্কান টপ অর্ডারকে বিদায় করে দিয়েছেন।

 

 


ভিরাট-গিল জুটিতে ভারতের বিশাল টার্গেট লঙ্কানদের

সময় : 18:54



টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল ভারত। মাত্র ৪ রানের মাথায় দারুণ ফর্মে থাকা রোহিতকে হারায় ভারত। কিন্তু, সেই সুখ স্মৃতি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। গিল ও ভিরাটের জুটিতে তারা ৭ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ৩৫৭ রান সংগ্রহ করে। লঙ্কানদের জিততে হলে করতে হবে ৩৫৮ রান।

 

রান তোলার গড় ছিল ৭.১৪।

 

শুভমান গিল আর ভিরাট কোহলি জুটি দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শতরান পেরিয়ে ১৮৯ রানের জুটি গড়েন। সাথে নিজেরাও ছোটেন শতরানের দিকে। এরপর গিল ৯২ বলে ৯২ রান করে আউট হলে সেই জুটির বিচ্ছেদ হয়। এরপর কোহলিও ৩ রান যোগ করে ৮৮ রান করে আউট হয়ে যান।

 

যেভাবে খেলছিলেন শুভমান গিল ও ভিরাট কোহলি তাতে মনে হয়েছিল দুজনই নিশ্চিত সেঞ্চুরি করবেন। কিন্তু মাত্র ৮ রানের জন্য গিল পারলেন না তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে। কোহলিও সেই পথেই হাঁটলেন।

 

মাদুশঙ্কার কাটারে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গিল। নিজের পরের ওভারে এসে মাদুশঙ্কা তুলে নেন সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় থাকা আরেক ব্যাটার ভিরাট কোহলিকেও।

 

এবারও সেই কাটার। কোহলি বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন শর্ট কভারে। ৯৪ বলে ১১ বাউন্ডারিতে ৮৮ রানেই থামে কোহলির ইনিংস।

 

এরপর লোকেশ রাহুল (১৯ বলে ২১), সূর্যকুমার যাদব (৯ বলে ১২) ইনিংস বড় করতে না পারলেও ঝোড়ো ব্যাটিং করে দলকে সাড়ে তিনশর দরজায় নিয়ে গেছেন শ্রেয়াস আয়ার। যদিও তাকেও ফিরতে হয়েছে সেঞ্চুরি না করতে পারার আক্ষেপ নিয়ে।

 

৫৬ বলে ৩ চার আর ৬ ছক্কায় ৮২ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে সেই মাদুশঙ্কার শিকার হন শ্রেয়াসও। শেষদিকে রবীন্দ্র জাদেজা ২৩ বলে করেন হার না মানা ৩৪।

 

শ্রীলঙ্কার পেসার দিলশান মাদুশঙ্কা ৮০ রানে একাই নেন ৫টি উইকেট।

এর আগে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানান লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস।


ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে মামলা

সময় : 18:16



ভারতের বিশ্বকাপ আয়োজনে অনেকরকম ভুল সামনে এসেছে। সমালোচনা হয়েছে মাঠের অবস্থা ও গ্যালারি নিয়েও। ব্যবস্থাপনা নিয়েও কম সমালোচনা হয়নি। নিখুঁত ব্যবস্থাপনা যে হয়নি তা নিয়ে ক্ষোভ অনেকেই ঝেড়েছেন। হয়েছে টিকেট নিয়ে কালোবাজারি। এবার সেই টিকেট ইস্যুতেই হতাশ হয়ে মামলা করেছেন এক সমর্থক।

 

ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছে। ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই ম্যাচটি এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের দুই সেরা দলের লড়াই। তাই এই ম্যাচটি মাঠে বসেই দেখতে চাইবেন ভারতীয়রা।

 

অনলাইনে টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইট ‘বুক মাই শো’তে এ ম্যাচের কোনো টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কালোবাজনে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ম্যাচের টিকিট।

 

এ নিয়ে হতাশ এক সমর্থক ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই), ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) এবং ‘বুক মাই শো’র বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।

 

টিকিটের একটা বিশাল অংশ সাধারণ দর্শকদের জন্য ছাড়ার কথা বলা হলেও বিসিসিআই, সিএবি এবং বুক মাই শো ব্যক্তিগত মুনাফার উদ্দেশে কালোবাজারে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ করেছেন সেই সমর্থক।

 

কলকাতা পুলিশও দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল এবং বুক মাই শোর উদ্দেশে নোটিশ জারি করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা যেন তদন্তের কাজে সহযোগিতা করেন। বিসিসিআই এবং বুক মাই শো অবশ্য এ নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

 

 


কার অনুপ্রেরণায় বিশ্বকাপে জ্বলে উঠেছেন মাহমুদউল্লাহ

সময় : 17:11



চলতি বিশ্বকপে বাংলাদেশ দল চলছে যেন ওয়ান ম্যান শো আর্মির মতো। মানে দলের কেউই ধারাবাহিকভাবে রানে নেই। সেখানে একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই ব্যতিক্রম। যদিও লিটন বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন। তবে তিনি কোনওভাবেই ধারাবাহিক নন।

অথচ, এই মাহমুদউল্লাহই বিশ্বকাপের আগে মার্চ মাস থেকে কোনও এক অজানা কারণে দলের বাইরে ছিলেন। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তিনি যে সুযোগ পাবেন তারও কোনও নিশ্চয়তা ছিল না।

 

রিয়াদ মাঠের খেলায় যেমন সাইল্যান্ট তেমনি মাঠের বাইরেও সাইল্যান্ট। তিনি তার কাজটি নীরবেই করে যান। দল থেকে বাদ পড়ার পর কোথাও কোনো অভিযোগ কিংবা বা খারাপ লাগার কথা জানাননি তিনি।

 

নিজের ব্যাটিং নিয়ে দিনের পর দিন কাজ করে গেছেন নিরবে-নিভৃতে। যার সুফল বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দেখাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। ৫ ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে করেছেন ২৭৪ রান। যেখানে এক সেঞ্চুরি এবং এক ফিফটির রয়েছে তার। মাহমুদউল্লাহর এই সফলতার কারণ কি? কিভাবে এত সফল হলেন তিনি? জানা গেল মাহমুদউল্লাহর অনুপ্রেরণার কথা।

 

বিশ্বকাপ শুরুর পর এক ভিডিওবার্তায় বাবাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন তার বড় ছেলে রাইদ। সম্প্রতি সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন মাহমুদউল্লাহপত্নী জান্নাতুল কাওসার মিষ্টি। ড্রেসিংরুমে এই ভিডিও দলের সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে বসে দেখেছেনও মাহমুদউল্লাহ।

 

ভিডিওটি প্রকাশ করে মিষ্টি লেখেন, ‘এভাবেই রাইদ তার বাবাকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। এটা ছিল পুরোটাই চমক এবং টিম মিটিং রুমে অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখানো হয়েছে! আলহামদুলিল্লাহ সে এই বিশ্বকাপকে বিশেষ করে তুলতে পারে, মাশাআল্লাহ!’

 

ভিডিওতে বাবা মাহমুদউল্লাহর উদ্দেশে ছেলে রাইদকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি জানি তুমি এই বিশ্বকাপটাকে স্পেশাল করে রাখতে চাও। আমি বিশ্বাস করি তুমি পারবে। শুভকামনা বাবা, তুমি আমার গল্পের নায়ক।’


বাংলাদেশের ক্রিকেট কর্তাদের দুষলেন ইরফান পাঠান

সময় : 15:20



জয় ছাড়া বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে এই ধারাবাহিকতা চলছে বাংলাদেশের। যে দলটি বেশ কয়েককটি সিরিজ ধরেই ভালো করে আসছিল সেই দলটিই কি না বিশ্বকাপে শোনাচ্ছে নিরাশার বাণী। দেশেতো বটেই বিদেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরাও বাংলাদেশকে নিয়ে মেতেছে সমালোচনায়। বিশ্বকাপের ৭ ম্যাচের মধ্যে টানা ৬ ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ কেন এত খারাপ করছে? এর কারণ আসলে কি? এ বিষয়ে উত্তর খুঁজেছেন ইরফান পাঠান। সম্প্রতি স্টার স্পোর্টসের এক অনুষ্ঠানে সাকিবদের এমন বাজে পারফর্ম করার ব্যাখ্যা দেন সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান।

 

বাংলাদেশের হারের ব্যাখ্যা দিয়ে ইরফান বলেন, ‘আমি এটাকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় পতন হিসেবেই দেখছি। বাংলাদেশে এমন নয় যে বিদেশী লিগ খেলা ক্রিকেটার নেই। মোস্তাফিজ, তাসকিন বিদেশে লিগ খেলছে। দলে মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, সাকিবের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাও রয়েছে। তবে দল হিসেবে তারা পারফর্ম করতে পারছে না।’

 

অন্যদিকে দলের নানা ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, ‘সামর্থ্যের অভাব বাংলাদেশের সমস্যা নয়। এই দলে আরও অন্য সমস্যা আছে। বাংলাদেশের এখন মাঠ এবং মাঠের বাইরের সমস্যার সমাধান করতে হবে।

 

এদিকে বাংলাদেশ বোর্ডের সমস্যা নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সাবেক ভারতীয় এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমি সব সময় বলি— বাংলাদেশ ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের ভুল ও বাজে সিদ্ধান্তের কারণেই বাংলাদেশ ক্রিকেট ডুবছে। আমরা তাদের মাঠের বাইরের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানি। এই দলে অবশ্যই তামিম থাকা দরকার ছিল।

 

সাকিব-লিটনদের চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে যে ধরনের পারফরম করছে, তাতে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা অনিশ্চিত তাদের। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে হলে বাংলাদেশ দলকে বিশ্বকাপের বাকি দুই ম্যাচে জিততেই হবে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তাদের পরবর্তী দুই ম্যাচে মুখোমুখি হবে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।


টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো শ্রীলঙ্কা

সময় : 14:29



ভারত বিশ্বকাপের ৩৩ নাম্বার ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক ভারত ও শ্রীলঙ্কা। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে লঙ্কানরা স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠালো। ভারত ইতিমধ্যে ৬ ম্যাচ খেলে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। আর সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে শ্রীলঙ্কার অবস্থান নাম্বার সাতে।

 

ভারত একাদশঃ রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, ভিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, মোহাম্মদ শামি, জাসপ্রিত বুমরা, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ।

শ্রীলঙ্কা একাদশঃ পথুম নিসাঙ্কা, দিমুথ করুনারত্নে, কুসল মেন্ডিস (অধিনায়ক/উইকেটরক্ষক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আশালঙ্কা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, দুশান হেমান্থ, মহেশ থেকশানা, কাসুন রাজিথা, দুশমন চামেরা।


বাংলাদেশের ব্যর্থ ওপেনিং, ইমরুল কায়েসকে স্মরণেও আনলো না বিসিবি!

সময় : 14:29



মর্নিং শো’জ দ্যা ডে। সকাল দেখেই বোঝা যায় বাকি দিনটা কেমন যাবে। যেকোনও কাজের শুরুটা একটা বড় ব্যাপার। শুরু যত ভালো হয় মাঝের সময় আর শেষটা ভালো যায়। চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ওপেনিংয়ের অবস্থা এখন এতটাই খারাপ যে প্রতি ম্যাচেই দুই ওপেনারের বাজে পার্টনারশিপে দলে কোনও অবদান থাকছে না। তাইতো শুরু থেকেই পুরো অর্ডার পরিকল্পনামাফিক রান করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ব্যর্থতার জায়গায় এবারের বিশ্বকাপের ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের দারুণ মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।  

তবে ওপেনিংয়ের ব্যর্থতা আবার মিলে যাচ্ছে ১৯৯৯ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সময়ের মতো। ১৯৯৯ আসরে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশ খেলেছিল মোট পাঁচ ম্যাচ। এর মাঝে কেবল একটি ইনিংসে কোনও রান যোগ করার আগেই ভাঙে ওপেনিং জুটি। সেবার ৫ ম্যাচ থেকে ৯৩ রান করেছিলেন টাইগার ওপেনাররা। রান এসেছিল ১৮.৬ গড়ে। প্রতিপক্ষ এবং নিজেদের সামর্থ্যের বিচারে সেবার বেশ বড় রকমের আশাই দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। 

প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি বিচারে ২০০৩ বিশ্বকাপটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বাজে অধ্যায় ছিল। ৬ ম্যাচের কোনটিতেই জয় আসেনি। হারতে হয়েছিল কানাডার কাছেও। সেবার এক ম্যাচে কোন রান না করেই ভেঙেছিল ওপেনিং জুটি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলায় চামিন্দা ভাসের হ্যাটট্রিকের দিনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচে টাইগার ওপেনাররা করেছিলেন ৯০ রান। গড় কাটায় কাটায় ১৫। 

২০০৭ বিশ্বকাপে তারুণ্যনির্ভর এক দল নিয়ে হাজির হয়েছিল বাংলাদেশ। ক্রিকেটে তামিম ইকবালের উত্থানটাও হয় সেবার। তবে বিষ্ময়কর ব্যাপার, সেই বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের ওপেনারদের কাছ থেকে ভাল কিছু দেখা যায়নি। ৯ ম্যাচ খেলে মাত্র ১৯.১১ গড়ে রান তুলেছেন টাইগার ব্যাটাররা। রান উঠেছিল মাত্র ১৭২। তবে সেবার কোনও ইনিংসে রানের খাতা খোলার আগে উইকেট পড়েনি। সর্বনিম্ন ১ রানে ঘটেছিল ওপেনিং জুটি ভাঙার ঘটনা। 

তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা ওপেনিং জুটি ধরা হয় ইমরুল কায়েস এবং তামিম ইকবালের জুটিকে। সেই প্রমাণ মেলে ২০১১ বিশ্বকাপে। সেবারেই প্রথম ২০ এর বেশি গড়ে রান তুলেছিলেন তারা। দুইবার শুন্য রানে আউট হওয়ার ঘটনা থাকলেও গড় ছিল ২৪ এর বেশি। সেই গড়টা অবশ্য ২০১৫ বিশ্বকাপে ১৫.৩৩ এ নেমে আসে। 


২০১৯ বিশ্বকাপেই ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে ভাল কিছু দিতে পেরেছেন দেশের ওপেনাররা। ৮ ম্যাচ খেলতে নেমে ২৭৬ রান উপহার দিয়েছিল তামিম-সৌম্য জুটি। সেবার ৩৪.৫ গড়ে রান তুলেছিলেন দুই ওপেনার। কোন ম্যাচেই শুন্য রানে ওপেনার আউট হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। 


এরপরেই ২০২৩ বিশ্বকাপ। যেখানে এখন পর্যন্ত একেবারেই ব্যর্থ বাংলাদেশের ওপেনাররা। ৭ ম্যাচে লিটন দাস এবং তানজিদ তামিম মিলে তুলেছেন ১৭৫ রান। ম্যাচপ্রতি এসেছে ২৫ রান। যদিও ভারতের বিপক্ষে ৯৩ রানের জুটি সরিয়ে নিলে তা অনেকটাই নিচে নেমে আসে। ৬ ম্যাচে গড় নেমে আসে ১৩.৬৬ এ। 

ওপেনারদের এমন ব্যর্থতায় খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই বাংলাদেশও। এখন পর্যন্ত শেষ হওয়া ৭ ম্যাচের মধ্যে ৬টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাদ দিয়ে এখন খেলতে হচ্ছে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেওয়ার আশায়। তবে সেটাও যে খুব একটা সহজ হচ্ছেনা, তা বলাই বাহুল্য।

এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ৭ ম্যাচে বরাবর ১০০ রান করেছেন ভবিষ্যত তামিম। গড় ১৪.২৮। স্ট্রাইকরেটও আহামরি না। ৮৮ এর উপর স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালিয়েছেন এই ওপেনার। ভারতের বিপক্ষে ৫১ রানের ইনিংস বাদ দিলে তানজিদ তামিম খেলেছেন হতাশাজনক ক্রিকেট। দলের ব্যর্থতার দায় অনেকটা তার কাঁধেও আসছে। 

ওপেনারের এই সঙ্কটে অভিজ্ঞ ইমরুলকে কি একবারও মনে পড়েনি নির্বাচকদের। বিপিএল কিংবা ঘরোয়া লিগেতো তিনি নিয়মিতই রান করেন। আন্তর্জাতিক ম্যাচেও তিনি টানা ব্যর্থ কখনোই ছিলেন না। আর বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে হুট করেই ছোট তামিমকে পেয়েই আত্মহারা হতে হলো? ইমরুল কায়েসের মতো রান করা ওপেনাররা সুযোগ পান না। অভিজ্ঞতা কি এতটাই মূল্যহীন বাংলাদেশ ক্রিকেটে?


বিশ্বকাপ চলাকালে সাকিবের পর দেশে লিটন, কি কারণ?

সময় : 22:31



বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভরাডুবি। চারদিকে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। ওপেনার লিটন দাস একেবারেই ধারাবাহিক নন ব্যাটে। ওপেনিং পার্টনারশিপ যেন এক দুঃখের ইতিহাস। এরই মধ্যে খবর হলো লিটন দাশ বিশ্বকাপের আসর থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। পাকিস্তান ম্যাচের আগে অধিনায়ক সাকিবও দেশে এসেছিলেন।

বুধবার বিকেলে দেশে ফেরেন এই ডানহাতি ওপেনার।

 

বিসিবির একটি সূত্রে জানা গেছে, লিটন দাসের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। স্ত্রীর পাশে থাকতেই তিনি দেশে ফিরেছেন। পরিবারিক কারণ হওয়ায় বিসিবিও তাকে ছুটি দিয়েছে।

 

বাংলাদেশ বিশ্বকাপে নিজেদের অষ্টম ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দিল্লিতে আগামী ৬ নভেম্বর ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। ওই ম্যাচ খেলতে দিল্লিতে পৌঁছেছে দল। আর লিটন এসেছেনে ঢাকা। সব ঠিক থাকলে লঙ্কা ম্যাচের আগে দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন লিটন।

 

টানা হারে বিশ্বকাপের শেষ চারে যাওয়ার আশা শেষ হয়েছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলাও।

 

ব্যাট হাতে বাংলাদেশ দলের বড় ভরসার জায়গা ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু প্রত্যাশা মিটিয়ে পারফর্ম করতে পারেননি তিনি। আসরের ৭ ম্যাচে দুই ফিফটিতে তার ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ২২৫ রান। বিশ্বকাপের আগেও ছন্দে ছিলেন না তিনি। ১০ ইনিংসে ফিফটি পেয়েছিলেন মাত্র একটি।

 


আইসিসি থেকে যে সুখবর পেলেন মাহমুদউল্লাহ

সময় : 22:06



ভারত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুঃসংবাদ বৈ কোনও সুসংবাদ নেই। একের পর এক ম্যাচে হার। নেই কোনও লড়াই করার সামর্থ্য। পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়ে এই বাংলাদেশকে নিয়েই। পুরো দলকে নিয়ে দারুণ সমালোচনা হলেও যাকে বিশ্বকাপেই নিতে চাওয়া হয়নি সেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত হয়েছেন। এক সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে দলের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান তিনিই করেছেন।

তাইতো সমর্থকদের ভালোবাসা পাওয়ার পাশাপাশি এ ব্যাটার সুখবর পেয়েছেন আইসিসি থেকেও।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অন্যরকম উদযাপনে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

 

বুধবার (১ নভেম্বর) ওয়ানডে রেংঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে ব্যাটারদের রেংকিংয়ে দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে মাহমুদউল্লাহর।

 

চলতি বিশ্বকাপে জ্বলে উঠতে পারছে না বাংলাদেশি ব্যাটাররা। তবে রিয়াদই লাল-সবুজের সমর্থকদের খেলা দেখার আগ্রহ খানিকটা হলেও জিইয়ে রেখেছেন। তিনি একাই দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন। ফিটনেস ইস্যুতে ভারত বিশ্বকাপের ছাড়পত্রই যেন মিলছিল না কোচ, অধিনায়ক ও টিম ম্যানেজমেন্টর পক্ষ থেকে। নিজের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে যাওয়া নিয়ে যার অনিশ্চিয়তা ছিল, সেই ৩৭ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহই এবারের আসরে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান। এক সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে ৫ ইনিংসে ২৭৪ রান করে টাইগারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি। আর তাতেই উন্নতির ছাপ পড়েছে তার রেংঙ্কিংয়েও।

 

 

গত সপ্তাহের প্রকাশিত রেংঙ্কিংয়ে তার অবস্থান ছিল ৫০তম। ৫৪৬ রেটিং নিয়ে দুই ধাপ এগিয়ে বর্তমানে তিনি যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শের সঙ্গে অবস্থান করছেন ৪৮তম স্থানে।

 

বাংলাদেশিদের মধ্যে সবার ওপরে থাকা মুশফিকুর রহিমের অবস্থান ৩০তম। তার রেটিং ৬১০। দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডসের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে বাজে ব্যাটিংয়ে চার ধাপ অবনতি হয়েছে তার। তালিকার ৪৬তম স্থানে সাকিব আল হাসান আর ৫১তম স্থানে অবস্থান লিটন দাসের। শীর্ষে স্থান দখলে রেখেছেন বাবর আজম।

 


নিউজিল্যান্ডকে ১৯০ রানে হারিয়ে সেমিতে পা দিল দ.আফ্রিকা

সময় : 21:48



ডানা মেলা দক্ষিণ আফ্রিকাকে কোনওভাবেই ধরতে পারলো না নিউজিল্যান্ড। টস জিতলেও ম্যাচ জেতা হলো না কিউইদের। প্রোটিয়াদের দেওয়া রানের পাহাড় (৩৫৭ রান) টপকাতে পারলো না ব্ল্যাক ক্যাপার্সরা। ১৯০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারতেই হলো।

 

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা নিউজিল্যান্ডকে ৩৫৮ রানের লক্ষ্য দেয়। জবাবে নিউজিল্যান্ড ৩৫.৩ ওভারে ১৬৭ রান করতে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ফেলে। দলের পক্ষে গ্লেন ফিলিপস সর্বোচ্চ ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৬০ রান করেন ৫০ বলে। এছাড়া উইল ইয়ং ৩৭ বলে করেন ৩৩ রান।

দ. আফ্রিকার পক্ষে আগুন ঝড়ানো বোলিং করেন কেশব মহারাজ। ৯ ওভারে ৪৬ রানে ৪ উইকেট দখল করে কিউইদের পরাজয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। এছাড়া ম্যাক্রো জনসেন ৮ ওভারে ৬১ রান দিয়ে ৩ উইকেট দখল করেন।

 

এর আগে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়ারা কিউইদের বিপক্ষে ৩৫৭ রান তোলে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। তিনি ১১৮ বলে ১৩৩ রান করেন। এসময় তিনি ৯টি চার ও ৫টি ছয়ের মার মারেন। এছাড়া ডি কক ১০টি চার ও ৩টি ছয়ে ১১৬ বলে ১১৪ রান করেন।

এছাড়া ডেভিড মিলার তার মারমুখী রোল প্লে করেন। তার ২ চার ও ৪টি ছয়ে ৩০ বলে ৫৩ রানের ইনিংসটিতে স্কোর বোর্ডে রান দ্রুত বাড়তে থাকে।

তবে কিউই ফিল্ডাররা শুরু থেকেই যেমন ঝাঁপিয়ে পড়ে বাউন্ডারি বাঁচিয়েছেন তেমনি বেশ কয়েকটি ক্যাচও ছেড়েছেন। এই ক্যাচ মিসই তাদের পেছনে ঠেলে দিয়েছে।

প্রথম পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান তুললেও পরের পাওয়ার প্লেতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় পাওয়ার প্লেতে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে তোলে ১৯৫ রান।

ব্যাটারদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪৫.৩ ওভারে ৩০০ রানের কোটা পূর্ণ হয়।

 

কোনও কিউই বোলারই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেননি। দলের পক্ষে টিম সাউদি ১০ ওভারে ৭৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন।

 

 


বাজে পারফর্মেন্স করেও এই বিশ্বকাপে কত টাকা পেতে পারে বাংলাদেশ?

সময় : 21:27



ভারত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এবারের লক্ষ্য ছিল অন্ততপক্ষে সেমিতে খেলার। কিন্তু, সেই আশা লক্ষ্যভেদ হয়নি। বাংলাদেশ পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই রয়ে গেল আর ফুরিয়ে এলো বিশ্বকাপ। আর সেমির স্বপ্ন দেখা সাকিব-তাসকিন-মোস্তাফিজরা উল্টো সবার আগে বিশ্বকাপের সেমির দৌঁড় থেকে বিদায় নিয়েছে।

তবুও পয়েন্টের মারপ্যাঁচে সেমির সম্ভাবনা ছিল। যদি টানা সবগুলো ম্যাচ ভালো অবস্থানে থেকে জিততে পারতো। সে আশাও শেষ হয়ে গিয়েছে সর্বশেষ ৩১ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের পরাজয়ের পর।

 

এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলে এক জয় ও ছয় পরাজয়ে পয়েন্ট টেবিলে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান নবম স্থানে। টাইগারদের হাতে রয়েছে আরও দুইটি ম্যাচ। ওই দুটি ম্যাচ কেবলই নিয়মরক্ষার, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া। নিয়মরক্ষার এই দুই ম্যাচ খেলেই পরের বিশ্বকাপে চোখ রেখে ফিরতে হবে ঘরের মাটিতে। তবে বিশ্বকাপ থেকে একেবারে খালি হাতে ফিরবে না সাকিব-লিটনরা। ফেরার আগে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট থেকে মোটা অঙ্কের প্রাইজমানিও নিয়ে আসবে দলটি।

 

প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়া দলগুলোর জন্যও থাকছে মোটা অঙ্কের প্রাইজমানি। বাদ পড়া ছয় দলের প্রত্যেকে পাবে ১ লাখ ডলার করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ কোটি ১০ লাখ টাকা করে। এছাড়া গ্রুপপর্বে যে ৪৫টি ম্যাচ হচ্ছে, সেখানে ম্যাচজয়ী দলগুলো পাবে ৪৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা করে। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের এখনও বাকি আছে দুটি ম্যাচ। আগামী ৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা ও ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করবে বাংলাদেশ। সে হিসেবে এখন পর্যন্ত হিসেবে করলে বাংলাদেশ পাচ্ছে দেড় কোটি টাকার মতো। শেষ দুই ম্যাচে জিততে পারলে টাকার অঙ্কটা বাড়বে আরও।

 

এবারের বিশ্বকাপে এক কোটি মার্কিন ডলারের আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দেয় বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। আসরের চ্যাম্পিয়ন দল প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ৪০ লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৪ কোটি টাকা)। আর যারা ফাইনালে হারবে, তাদের পকেটে যাবে চ্যাম্পিয়ন দলের অর্ধেক টাকা। অর্থাৎ রানার্স-আপ দলটি পাবে ২০ লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২২ কোটি টাকা)। সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দল দুটি পাবে ৮ লাখ ডলার করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা করে।

 


কোন ৪ দল যেতে পারে বিশ্বকাপের সেমিতে?

সময় : 20:26



পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে ভারত। এরপরই আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দশ দলের এই বিশ্বকাপে সেমিতে যাবে চার দল। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা এই তালিকার উপরেই উঠে আছে। বর্তমান পয়েন্ট টেবিল অনুযায়ী তার পরের সারিতে সেমিতে যাবার লড়াইয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান। নিয়ম অনুযায়ী সেমিতে যাবে চার দল। কোন চার দল যেতে পারে এবারের বিশ্বকাপের সেমিতে?

 

তবে বাকি ম্যাচগুলোতে চমক দেখা গেলে এই গতিপথেও আসতে পারে পরিবর্তন। আগামী ১২ নভেম্বর ভারত-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেষ হবে গ্রুপ পর্বের খেলা। এরপরে ১৫ ও ১৬ নভেম্বর হবে সেমিফাইনালের খেলা। সেই পর্বে কোন ৪ দল যেতে পারে, সেটি এক নজরে দেখে নেয়া যাক-

 

বর্তমানে ৬ ম্যাচের ৬টিতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে স্বাগতিক ভারত। কোনও অঘটন না ঘটলে সেমির জন্য রোহিত-কোহলিরা মোটামুটি নিশ্চিত তা বলা যায়। ভারতের সঙ্গে সেমির দৌড়ে এগিয়ে আছে ৬ ম্যাচের ৫টি জয় ও ১টি হার দেখা দক্ষিণ আফ্রিকা। দলটির পয়েন্ট ১০।

 

সেমির তালিকায় পরের অবস্থানেই রয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৮ পয়েন্ট নিয়ে কিউইদের এবার বাকি তিন ম্যাচে জয় তুলে নিতে হবে, কিংবা ২ ম্যাচ জিতলেও সম্ভাবনা জিইয়ে থাকবে। একই পরিসংখ্যান অস্ট্রেলিয়ার জন্যও। ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশকে হারাতে পারলে অজিদের টপকে শেষ চারে কেউ ঢুকতে পারবে না।

 

তবে ক্রিকেট যেহেতু গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা, সেহেতু এখানে নিশ্চিত করে কিছুই বলা সম্ভব নয়। শেষ চারের লড়াইয়ে এখনও টিকে আছে পাকিস্তান (৭ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট), আফগানিস্তান (৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট) ও শ্রীলঙ্কা (৬ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট)। পরের সবগুলো ম্যাচ জিততে পারলে এই তিনটি দলেরও প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে সেমিতে যাওয়ার। যেখানে পাকিস্তানের রয়েছে ২টি এবং আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার রয়েছে ৩টি করে ম্যাচ বাকি। এই হিসাবে আফগানদের সুযোগ একটু বেশিই (পয়েন্টের দিক থেকে)। কিন্তু নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া নিজেদের ম্যাচগুলো জিতলে আর সুযোগ থাকবে না।

 

 

 


২ সেঞ্চুরিতে দ.আফ্রিকার সংগ্রহ ৩৫৭

সময় : 18:47



কোনও ম্যাচেই থামানো যাচ্ছে না প্রোটিয়া রান মেশিন। প্রতি ম্যাচেই তিনশো প্লাস রান করে প্রতিপক্ষকে দারুণ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন। চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে ২ সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে ৩৫৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে দ.আফ্রিকা। এই ম্যাচে কুইন্টন ডি কক ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন সেঞ্চুরি তুলে নেন।

নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়ারা কিউইদের বিপক্ষে ৩৫৭ রান তোলে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। তিনি ১১৮ বলে ১৩৩ রান করেন। এসময় তিনি ৯টি চার ও ৫টি ছয়ের মার মারেন। এছাড়া ডি কক ১০টি চার ও ৩টি ছয়ে ১১৬ বলে ১১৪ রান করেন।

এছাড়া ডেভিড মিলার তার মারমুখী রোল প্লে করেন। তার ২ চার ও ৪টি ছয়ে ৩০ বলে ৫৩ রানের ইনিংসটিতে স্কোর বোর্ডে রান দ্রুত বাড়তে থাকে।

তবে কিউই ফিল্ডাররা শুরু থেকেই যেমন ঝাঁপিয়ে পড়ে বাউন্ডারি বাঁচিয়েছেন তেমনি বেশ কয়েকটি ক্যাচও ছেড়েছেন। এই ক্যাচ মিসই তাদের পেছনে ঠেলে দিয়েছে।

প্রথম পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান তুললেও পরের পাওয়ার প্লেতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় পাওয়ার প্লেতে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে তোলে ১৯৫ রান।

ব্যাটারদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪৫.৩ ওভারে ৩০০ রানের কোটা পূর্ণ হয়।

 

কোনও কিউই বোলারই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেননি। দলের পক্ষে টিম সাউদি ১০ ওভারে ৭৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন।

 


সময় : 17:47



বিশ্বকাপে ডি ককের ৪ সেঞ্চুরি, বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান

 

 

চলতি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা যেন ভারতের মাটিতে উড়ছে ডানা মেলে। কারণ একাধিক প্রোটিয়া ব্যাটারের ব্যাট যেন রান মেশিন। তাদের ব্যাট প্রতি ম্যাচেই হাসছে। এই দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন কুইন্টন ডি কক। তিনি চলতি বিশ্বকাপে টানা ৪টি সেঞ্চুরি করলেন। সেই সাথে এই বিশ্বকাপে রান সংগ্রহের তালিকায় তিনি শীর্ষে।

এমনকি এক বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহের তালিকাতেও তার নাম। সাবেক প্রোটিয়া অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসকে ছাড়িয়ে গেছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ২০০৭ বিশ্বকাপে ৯ ইনিংসে ৪৮৫ রান করেছিলেন ক্যালিস। তাঁকে ছাড়িয়ে যেতে আজ ডি ককের দরকার ছিল ৫৫ রান।

 

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেটা পেরিয়ে গেছেন তিনি। সব মিলিয়ে এবারের আসরে তাঁর রান ৫৪৫। ডি কক, ক্যালিসের পর তৃতীয় স্থানে আছেন সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স।

 

২০১৫ বিশ্বকাপে সাত ইনিংসে তিনি করেছিলেন ৪৮২ রান। ২০০৭ আসরে সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথের ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৪৩ রান।

 

শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছেন সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। সূত্র- ক্রিকইনফো


বিশ্বকাপ চলাকালেই অবসরের ঘোষণা যে ক্রিকেটারের

সময় : 17:16



পহেলা নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। দীর্ঘ বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। এরপরেই বুটজোড়া তুলে রাখতে চান তিনি। এই বিশ্বকাপে অনেকগুলি ম্যাচ ইতিমধ্যে খেলে ফেলেছেন। তিনি ইংলিশ বোলার ডেভিড উইলি। চলতি বিশ্বকাপের মাঝেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে দিলেন।

২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক উইলির। এরপর অইন মর্গ্যানের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের সাদা বলের ক্রিকেটে যে বিপ্লব ঘটেছিল, সেখানে নিয়মিত সদস্য ছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত ৭০টি এক দিনের ম্যাচে ৯৪টি উইকেট নিয়েছেন। এবারের বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে ৫ উইকেট রয়েছে। সেই সাথে করেছেন ৪২ রান।

তবে উইলির অবসরের নেপথ্যে অন্য কারণও রয়েছে। বিশ্বকাপের একমাত্র সদস্য হিসাবে ইংল্যান্ডের বার্ষিক চুক্তিতে নেওয়া হয়নি তাঁকে। ২৬ জনের জায়গা হলেও ঠাঁই পাননি উইলি। বোর্ড প্রধান রবকির কথাতেও অসন্তুষ্ট হন তিনি। সেই কারণেই তিনি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি।

 

সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে উইলি লিখেছেন, “কোনও দিন চাইনি এই দিনটা আসুক। ছোট থেকে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা স্বপ্ন ছিল। অনেক ভাবনাচিন্তার পর, অনেক আক্ষেপ নিয়েই বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। এই জার্সি পরে বরাবর গর্ববোধ করেছি। যখনই মাঠে নেমেছি নিজের সেরাটা দিয়েছি। অসাধারণ একটা দলের অংশ হতে পেরে গর্বিত। অনেক স্মৃতি রয়েছে। সারা জীবনের জন্যে অনেক ভাল বন্ধুকে পেয়ে গিয়েছি।’


বাংলাদেশের বিদায়, পয়েন্ট টেবিলের কে কোথায়?

সময় : 16:03



বিশ্বকাপের ৩১ নম্বর ম্যাচেই বাংলাদেশর বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। এই বিদায় ঘণ্টা বলতে সেমিতে যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গকেই বোঝানো হয়েছে। পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হারের মধ্য দিয়েই সেমির জিইয়ে রাখা বিন্দু আশাটাও নিভে যায়। তবে এখনও পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের নবম স্থানটিই তাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। আর ইংলিশরা আছে দশম স্থানে।

 

বিশ্বকাপের গতকালের জয়ে পাকিস্তান চলে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের ৫ম স্থানে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে এখনও সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রেখেছে বাবর আজমের দল। যদিও রানরেট তাদের খানিকটা অস্বস্তিতেই রাখবে। ৭ ম্যাচ শেষে তাদের নেট রানরেট -০.০২৪। বিশ্বকাপের সেমিতে যেতে হলে পরের দুই ম্যাচে জয়সহ আরও কিছু সমীকরণ টপকাতে হবে তাদের।

 

সেরা চারের লড়াইয়ে সবার উপরে আছে স্বাগতিক ভারত। ৬ ম্যাচ থেকে ৬ জয় নিয়ে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে রোহিত শর্মার দল। সেমিফাইনালের টিকিট প্রায় নিশ্চিত তাদের। আগামীকাল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় পেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে ভারতের সেমিফাইনাল। এরপরেই আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১০। তারাও প্রায় এক পা দিয়েই রেখেছে সেমিফাইনালে। আজ বুধবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেলেই, তারাও নিজেদের পুরোপুরি নিরাপদ ভাবতে পারে।

 

তৃতীয় আর চতুর্থ স্থান দখলে রেখেছে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া। দুই দলই পেয়েছে ৮ পয়েন্ট করে। পাকিস্তানের পয়েন্ট টেবিলের মূল লড়াইটা মূলত এই দুই দলের সঙ্গেই। নানা সমীকরণ এই তিন দলের মধ্যেই হবে।

 

পঞ্চম স্থানে থাকা পাকিস্তানের সঙ্গে সেমিতে ওঠার দৌড়ে টিকে আছে আফগানিস্তান এবং শ্রীলংকাও। ছয়ে থাকা আফগানদের পয়েন্ট ৬। সাতে আছে লঙ্কানরা। তাদের পয়েন্ট ৪। সমান পয়েন্ট নিয়ে কম রানরেটের কারণে আটে আছে নেদারল্যান্ডস। আর শেষ দুই স্থানে আছে বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ড। 


সেমিতে যাওয়ার লক্ষ্যে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নিউজিল্যান্ড

সময় : 16:02



ভারত বিশ্বকাপে যেভাবে ডানা উড়িয়ে খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা তাতে তাদের সেমিফাইনালে যাওয়া প্রায় নিশ্চিতই বলা যায়। আর একটি ম্যাচ জিততে পারলেই সেমি নিশ্চিত হবে। বুধবার (১ নভেম্বর) বিশ্বকাপের ৩২ নম্বর ম্যাচে পুনেতে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

 

ভারতের মাটিতে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে তারা। পুনের এমসিএ স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টানা চার ম্যাচ জিতে উড়তে থাকা কিউইরা ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে। সেমিফাইনালে উঠতে হলে জয়ের বিকল্প নেই তাদের।

 

বিশ্বকাপের আগে কেউ দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেভাবে হিসেবে ধরেনি। শেষ দল হিসেবে সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছিল টেম্বা বাভুমার দল। কিন্তু বিশ্বকাপে এসে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। দারুণ বোলিং করছেন বোলাররাও। ৬ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতেই হেরেছে তারা। পয়েন্ট তালিকায় ভারতের ঠিক পরেই আছে তাদের নাম।

 

নিউজিল্যান্ড একাদশঃ ডেভন কনওয়ে, উইল ইয়াং, রাচিন রবীন্দ্র, ড্যারিল মিচেল, টম ল্যাথাম (অধিনায়ক/উইকেটরক্ষক), গ্লেন ফিলিপস, জেমস নিশাম, মিচেল স্যান্টনার, ম্যাট হেনরি, টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট।

 

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশঃ কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), রাসি ভ্যান ডের ডুসেন, এইডেন মার্করাম, হেনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো জানসেন, জেরাল্ড কোয়েটজি, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি।

 

এই দুই দলের সবশেষ পাঁচ ম্যাচের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কিউইরা এগিয়ে রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ২ জয়ের বিপরীতে নিউজিল্যান্ডের জয় রয়েছে ৩টি। আর সর্বমোট ৭১ ওয়ানডে ম্যাচের হিসাবে এগিয়ে রয়েছে প্রোটিয়ারা। যেখানে নিউজিল্যান্ডের জয় রয়েছে ২৫টি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ৪১টি। আর পাঁচ ম্যাচে কোনো ফল আসেনি।

 


সেমির স্বপ্ন শেষ, বাড়ির পথে বাংলাদেশ

সময় : 21:20



পারলো না বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে গেল। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ৭ উইকেটে হারতে হলো সাকিব-মুশফিকদের। ৭ ম্যাচের মধ্যে টানা ৬ ম্যাচে হারলো টাইগাররা। এই জয়ের মধ্য দিয়ে জয়ের খরা কাটলো পাকিস্তানের। এরই সাথে শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের সেমিতে যাবার স্বপ্ন। এখন শুধু নিয়ম রক্ষার ম্যাচ খেলবে সাকিবরা।

পাকিস্তান বাংলাদেশের দেওয়া ২০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩২.৩ ওভারে ২০৫ রান করে ৩ উইকেট হারিয়ে। বিশ্বকাপে তৃতীয় দেখায় পাকিস্তান জিতলো ২বার।

পাকিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার আব্দুল্লাহ শফিক ও ফখর জামান দারুণ শুরু করেন। দুজনই হাফ সেঞ্চুরি পান। ১২৮ রানে শফিক আউট হলে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। শফিক ৯টি চার ও ২টি ছক্কার মারে ৬৯ বলে ৬৮ রান করেন।

১৬০ রানে বাবর আজম আউট হন ১৬ বলে ৯ রান করে। এরপর ফখর জামান ৭ ছক্কা ও ৩ চারে ৭৪ বলে ৮১ রান করেন। পাকিস্তানের আউট হওয়া ৩ জনই মেহেদি হাসান মিরাজের শিকার।

প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন ফখর জামান।

 

এর আগে ব্যাটিং বান্ধব এই পিচে বাংলাদেশী কোনও ব্যাটারই বড় কোনও স্কোর গড়তে পারেননি। বরং, বড় স্কোরের আভাস দিয়ে আউট হয়ে গেছেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন এই বিশ্বকাপের একমাত্র ধারাবাহিক ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি ৭০ বলে ৫৬ রান করেন।

ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই বাংলাদেশ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে।   দলীয় শূন্য রানে এলবিডব্লিউ হয়ে শূন্য রানে ফিরেছেন তানজিদ তামিম। উইকেট নিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। একই বোলারের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে শর্ট মিড উইকেটে উসামা মীরের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হয়ে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ৩ বলে ৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন।  

দলীয় ৬ ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। হারিস রউফের বলে খোঁচা দিয়ে রিজওয়ানের তালুবন্দী হন মুশফিক। তানজিদ তামিম, শান্তর পর চলে যান অভিজ্ঞ ক্যাম্পেইনার মুশফিকুর রহিম। ২৩ রানে মুশফিক দলীয় ষষ্ঠ ওভারে আউট হয়ে যান। এরপর থেকে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ও এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন দাস দলকে টেনে নিয়ে গেছেন। লিটন-রিয়াদ জুটি ৬৪ বলে ৫০ রান করে। এরপর ৭৯ রানের জুটি গড়ে লিটন তার স্টাইলে অর্থাৎ লিটনীয় স্টাইলেই আউট হয়ে যান। দলীয় ১০২ রানে ৬৪ বলে ৪৫ রান করে আউট হন লিটন।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলীয় ১৩০ রানে ৩০.৪ ওভারে শাহিন আফ্রিদির বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে আউট হয়ে যান ৭০ বলে ৫৬ রান করে। ৩৯.৩ ওভারে দলীয় ১৮৫ রানে ব্যক্তিগত ৬৪ বলে ৪৩ রান করে আউট হয়ে যান সাকিব। মেহেদি হাসান মিরাজ দলীয় ২০০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরই মধ্য দিয়ে দলের স্বীকৃত ব্যাটারদের অবসান ঘটে। এরপর আর ৪ রান যোগ করতে বাকি ২ উইকেট পড়ে যায়।

পাকিস্তানী বোলারদের পক্ষে শাহিন শাহ আফ্রিদি রীতিমতো আগুন ঝড়ান। তিনি ৯ ওভারে ২৩ রান দিয়ে একটি মেডেনসহ ৩ উইকেট দখল করেন। এছাড়া আরেকজন ৩ উইকেট দখল করন। তিনি হলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। তিনি ৮.১ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট দখল করেন। এছাড়া হারিস রউফ ৮ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।

 

 

 

 


বিশ্বকাপে রানের দৌঁড়ে যে ২ জনকে ফেছনে ফেললেন সাকিব

সময় : 20:02



এই বিশ্বকাপে একেবারেই সফল নন সাকিব আল হাসান। তার পারফর্মেন্সের মুগ্ধতা তিনি ছড়াতে পারছেন না। তবে গত বিশ্বকাপে দূর্দান্ত পারফর্মেন্সের কারণে বেশ কিছু রেকর্ডের মুখে ছিলেন তিনি। এবার এই রেকর্ডগুলো পূর্ণতা পাচ্ছে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে রান সংগ্রহের দিক থেকে তিনি পেছনে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারাকে।

ব্যাট হাতে সময়টা ভালো না গেলেও আরেকটি অর্জন যোগ হলো সাকিব আল হাসানের খাতায়। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভারত বিশ্বকাপের ৩১তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এদিন ব্যাট হাতে ৬৪ বলে ৪টি চারের মারে ৪৩ রান করেছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব। এরপর ক্রিজ ছেড়েছেন হারিস রউফের বলে সালমান আলী আঘাকে ক্যাচ দিয়ে।

 

কিন্তু এর মাঝেও নিজের অর্জনটাকে ছাড়িয়ে গেছেন সাকিব। ওয়ানডে বিশ্বকাপে রান সংগ্রহের দিক থেকে সাবেক প্রোটিয়ার ব্যাটার ডি ভিলিয়ার্স ও ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্যাটার ব্রায়ান লারাকে পেছনে ফেলেছেন টাইগার অধিনায়ক। পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করতে নামার আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৩৫ ম্যাচে তার রান ছিল ১২০৭। যেটা এখন গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫০ রানে। বিশ্বকাপ ইতিহাসে ডি ভিলিয়ার্সের রান ১২০৭ আর লারার রান ১২২৫। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সাকিবের ওপরে আছেন ছয় ব্যাটার।

 


ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০৫ রানে লক্ষ্য দিল পাকদের

সময় : 18:20



বাংলাদেশ ব্যর্থতার ধারাবাহিকতার বৃত্তে বন্দী এই বিশ্বকাপে। কোনওভাবেই উঠে দাঁড়াতে পারছে না। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতেও সুবিধাজনক লক্ষ্য দিতে পারলো না বাবর-রিজওয়ানদের। ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ৪৫ ওভারে ২০৫ রানে লক্ষ্য দিল পাকদের।

 

ব্যাটিং বান্ধব এই পিচে বাংলাদেশী কোনও ব্যাটারই বড় কোনও স্কোর গড়তে পারেননি। বরং, বড় স্কোরের আভাস দিয়ে আউট হয়ে গেছেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন এই বিশ্বকাপের একমাত্র ধারাবাহিক ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি ৭০ বলে ৫৬ রান করেন।

ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই বাংলাদেশ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে।   দলীয় শূন্য রানে এলবিডব্লিউ হয়ে শূন্য রানে ফিরেছেন তানজিদ তামিম। উইকেট নিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। একই বোলারের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে শর্ট মিড উইকেটে উসামা মীরের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হয়ে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ৩ বলে ৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন।  

দলীয় ৬ ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। হারিস রউফের বলে খোঁচা দিয়ে রিজওয়ানের তালুবন্দী হন মুশফিক। তানজিদ তামিম, শান্তর পর চলে যান অভিজ্ঞ ক্যাম্পেইনার মুশফিকুর রহিম। ২৩ রানে মুশফিক দলীয় ষষ্ঠ ওভারে আউট হয়ে যান। এরপর থেকে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ও এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন দাস দলকে টেনে নিয়ে গেছেন। লিটন-রিয়াদ জুটি ৬৪ বলে ৫০ রান করে। এরপর ৭৯ রানের জুটি গড়ে লিটন তার স্টাইলে অর্থাৎ লিটনীয় স্টাইলেই আউট হয়ে যান। দলীয় ১০২ রানে ৬৪ বলে ৪৫ রান করে আউট হন লিটন।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলীয় ১৩০ রানে ৩০.৪ ওভারে শাহিন আফ্রিদির বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে আউট হয়ে যান ৭০ বলে ৫৬ রান করে। ৩৯.৩ ওভারে দলীয় ১৮৫ রানে ব্যক্তিগত ৬৪ বলে ৪৩ রান করে আউট হয়ে যান সাকিব। মেহেদি হাসান মিরাজ দলীয় ২০০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরই মধ্য দিয়ে দলের স্বীকৃত ব্যাটারদের অবসান ঘটে। এরপর আর ৪ রান যোগ করতে বাকি ২ উইকেট পড়ে যায়।

পাকিস্তানী বোলারদের পক্ষে শাহিন শাহ আফ্রিদি রীতিমতো আগুন ঝড়ান। তিনি ৯ ওভারে ২৩ রান দিয়ে একটি মেডেনসহ ৩ উইকেট দখল করেন। এছাড়া আরেকজন ৩ উইকেট দখল করন। তিনি হলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। তিনি ৮.১ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট দখল করেন। এছাড়া হারিস রউফ ৮ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।

 

 

 

 


আজও হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন না সাকিব

সময় : 17:52



ভারত বিশ্বকাপে একটি হাফ সেঞ্চুরির দেখাও পাননি গত আসরে অন্যতম সেরা পারফর্মার সাকিব আল হাসান। এবারের বিশ্বকাপে তার সর্বোচ্চ স্কোর ৪৩ পাকিস্তানের বিপক্ষে। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ৪০ রান। তবুও হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি অধিনায়ক সাকিব। আজকের ম্যাচে অর্ধশতকের দারুণ সুযোগ পেয়েও শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে ব্যাটের কোণায় লেগে সার্কেলেই ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান।

এই বিশ্বকাপে সাকিব ৬ ম্যাচে রান করেছেন ১০৪। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি।

সাকিব ভারত বিশ্বকাপে আছেন রান খরায়। প্রায় প্রতি ম্যাচে নেমেই ধুকতে থাকেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তিনি জ্বলে ওঠার আভাস দিয়েও শেষ পর্যন্ত আলগা বলে আউট হয়ে যাচ্ছেন।

৩৯.৩ ওভারে দলীয় ১৮৫ রানে আউট হয়ে যান সাকিব।

 


১০ রানের ব্যবধানে ফিরলেন রিয়াদ-তাওহীদ

সময় : 17:13



লিটনের সঙ্গে ভালো জুটি গড়ে ও ব্যক্তিগত বড় রানের আভাস দিয়েও টিকতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ভারত বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের টস স্কোরার তিনিই। আজকের ম্যাচে তিনি ৫৮ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন। দলীয় ১৩০ রানে ৩০.৪ ওভারে শাহিন আফ্রিদির বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে যান ৭০ বলে ৫৬ রান করে

এরপর তাওহীদ হৃদয় ক্রিজে আসেন। তিনি সাকিবের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। ৩১.২ ওভারে মোহাম্মদ ওয়াসিমের করা একটি বলে ডিপ মিড উইকেট ‍দিয়ে স্লগ সুইপে একটি ছক্কা হাঁকান। এরপরের বলেই স্লিপে ইফতিখার আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩ বলে ৭ রান করে দলীয় ১৪০ রানে ফেরেন তাওহীদ হৃদয়।

এখন পর্যন্ত একমাত্র লিটন-মাহমুদউল্লাহর ৭৯ রানের জুটি ছাড়া বাংলাদেশের কোনও ব্যাটার বড় জুটি গড়তে পারেননি। পুরো আসরের মতোই আজকের ম্যাচেও রান তুলতে রীতিমতো স্ট্রাগল করছে সাকিব বাহিনী।

 

 

 

 


জুটি গড়ে লিটন আউট হলেন ‘লিটনীয়’ স্টাইলেই

সময় : 16:54



তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে হারিয়ে বাংলাদেশ দারুণ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ২৩ রানে মুশফিক দলীয় ষষ্ঠ ওভারে আউট হয়ে যান। এরপর থেকে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ও এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন দাস দলকে টেনে নিয়ে গেছেন। লিটন-রিয়াদ জুটি ৬৪ বলে ৫০ রান করে। এরপর ৭৯ রানের জুটি গড়ে লিটন তার স্টাইলে অর্থাৎ লিটনীয় স্টাইলেই আউট হয়ে যান।

বেশ কিছু সময় ক্রিজে থাকতে থাকতে হঠাৎ একটি বলে মনোসংযোগ হারিয়ে আউট হয়ে যান লিটন দাস। অনেক ম্যাচেই এই দৃশ্য দেখা গেছে। লিটন হঠাৎ একটি বলে মারবেন কি মারবেন না, খেলবেন কি খেলবেন না এমন চিন্তা থেকে ব্যাট চালিয়ে দিয়ে খুব সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান। এটা লিটনের ট্রেড মার্কিং স্টাইল আউট।

 

তবে লিটন-রিয়াদ এই দুজনের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ খানিকটা চাপ মুক্ত হয়েছ।  

ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট ৩৮ বার। যেখানে ৩৩ জয় নিয়ে বেশ এগিয়ে পাকিস্তান। বাংলাদেশের জয় মাত্র ৫ ম্যাচে। এশিয়া কাপে এই দুই দলের শেষ দেখায় পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ।

 


তানজিদ তামিমকে আউট করে যে রেকর্ডের মালিক হলেন শাহীন আফ্রিদি

সময় : 16:25



এক মাইলফলকের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। তা পূরণ হয়েছে তানজিদ তামিমকে আউট করার মধ্য দিয়ে। নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে উইকেটের সেঞ্চুরি পূরণ করলেন বাঁ-হাতি এই পেসার। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে শাহিন আফ্রিদিকে খেলতে হয়েছে ৫১টি ম্যাচ।

 

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে তানজিদ তামিমকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ৫ বলে শূন্য রান করে সাজঘরে ফেরত যান বাংলাদেশের এই বাঁ-হাতি ওপেনার।

 

তামিমকে আউট করার মধ্য দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ১০০ উইকেট শিকারির তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন শাহীন আফ্রিদি। এ তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন নেপালের স্পিনার সন্দিপ লামিচানে। তিনি ৪২টি ম্যাচ খেলে শততম উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন।

 

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আফগানিস্তানের লেগস্পিনার রশিদ খান। উইকেটের সেঞ্চুরি করতে তাকে খেলতে হয়েছে ৪৪টি ম্যাচ।

 


দায়িত্ব নিতে পারলেন না মুশফিকও, ২৩ রানে ৩ উইকেট হাওয়া

সময় : 15:15



দলীয় ৬ ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট নেই বাংলাদেশের। হারিস রউফের বলে খোঁচা দিয়ে রিজওয়ানের তালুবন্দী হলেন মুশফিক। তানজিদ তামিম, শান্তর পর চলে গেলেন অভিজ্ঞ ক্যাম্পেইনার মুশফিকুর রহিম।

দলীয় শূন্য রানে এলবিডব্লিউ হয়ে শূন্য রানে ফিরেছেন তানজিদ তামিম। উইকেট নিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। একই বোলারের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে শর্ট মিড উইকেটে উসামা মীরের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হয়ে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ৩ বলে ৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন।  

শাহীন আফ্রিদির এই বলটি শরীর থেকে বেশ দূরে থেকে ঘুরিয়ে খেলেছিলেন শান্ত। শর্ট মিডউইকেটে উসামা মির ডানদিকে ঝুঁকে নিয়েছেন ভালো ক্যাচ। তৃতীয় ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারালো বাংলাদেশ দলীয় ৬ রানের মাথায়।

এটাই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মানচিত্র। শুরুতেই টপ অর্ডার ধ্বসে ধুকতে থাকবে।

বাংলাদেশ আজ এক পরিবর্তন নিয়ে আর পাকিস্তান নেমেছে ৩ পরিবর্তন নিয়ে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৭ ওভারে ২৭ রান করে ৩ উইকেট খুইয়েছে বাংলাদেশ।

 

 


তানজিদের পর চলে গেলেন শান্তও

সময় : 15:15



দলীয় শূন্য রানে এলবিডব্লিউ হয়ে শূন্য রানে ফিরেছেন তানজিদ তামিম। উইকেট নিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। একই বোলারের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে শর্ট মিড উইকেটে উসামা মীরের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হয়ে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ৩ বলে ৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন।  

শাহীন আফ্রিদির এই বলটি শরীর থেকে বেশ দূরে থেকে ঘুরিয়ে খেলেছিলেন শান্ত। শর্ট মিডউইকেটে উসামা মির ডানদিকে ঝুঁকে নিয়েছেন ভালো ক্যাচ। তৃতীয় ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারালো বাংলাদেশ দলীয় ৬ রানের মাথায়।

এটাই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মানচিত্র। শুরুতেই টপ অর্ডার ধ্বসে ধুকতে থাকবে।

বাংলাদেশ আজ এক পরিবর্তন নিয়ে আর পাকিস্তান নেমেছে ৩ পরিবর্তন নিয়ে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৫ ওভারে ১০ রান করে ২ উইকেট খুইয়েছে বাংলাদেশ।


আবারও ‘শূন্য’ রানে আউট তানজিদ তামিম

সময় : 14:50



টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই নবীন ওপেনার তানজীদ হাসান তামিমকে হারায় বাংলাদেশ। প্রতি ম্যাচের পরিচিত চিত্র এটি। পাওয়ার প্লেতেই টপ অর্ডারের একাধিক উইকেট পড়ে যায়। বিশেষ করে ওপেনিং জুটি

শাহীন আফ্রিদির প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে তানজিদ তামিম এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। তিনি রিভিউ নিয়েছিলেন। দেখা যায় বলটি লেগ স্ট্যাম্পের বেলে হিট করছিল। আম্পায়ার্স কল থাকায় আর তার পক্ষে সিদ্ধান্ত যাওয়ার সুযোগ ছিল না।

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। এখনো এ বিশ্বকাপ থেকে অর্জনের সম্ভাবনা শেষ হয়নি বাংলাদেশের। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ আটে থাকলে সুযোগ হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার। সেমির স্বপ্ন বাদ দিয়ে পুরো দলেরই মনোযোগ এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে।

 


টস জিতে এক পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

সময় : 14:33



পাাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে দুপুর আড়াইটায় টাইগাররা বিশ্বকাপে তাদের তাদের সপ্তম ম্যাচে খেলতে নামছে। আজ একাদশে একটি পরিবর্তন এসেছে। নাসুম আহমেদের পরিবর্তে তাওহীদ হৃদয় খেলছেন।

 

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। এখনো এ বিশ্বকাপ থেকে অর্জনের সম্ভাবনা শেষ হয়নি বাংলাদেশের। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ আটে থাকলে সুযোগ হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার। সেমির স্বপ্ন বাদ দিয়ে পুরো দলেরই মনোযোগ এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে।

 

এদিকে পয়েন্ট টেবিলের মারপ্যাচে বিশ্বকাপে এখনও টিকে আছে পাকিস্তান। বাকি সবগুলো ম্যাচে জিততেতো হবেই সেই সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে শীর্ষ দলগুলোর হারের জন্য। এমন সমীকরণ নিয়েই পাকরা টাইগারদের মুখোমুখি।

 

ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট ৩৮ বার। যেখানে ৩৩ জয় নিয়ে বেশ এগিয়ে পাকিস্তান। বাংলাদেশের জয় মাত্র ৫ ম্যাচে। এশিয়া কাপে এই দুই দলের শেষ দেখায় পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ একাদশঃ লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।

পাকিস্তান একাদশঃ আবদুল্লাহ শফিক, ফখর জামান, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), সৌদ শাকিল, ইফতিখার আহমেদ, আগা সালমান, শাহীন আফ্রিদি, উসামা মীর, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, হারিস রউফ।

 


বাংলাদেশ- পাকিস্তান, দুই পথহারা পথিকের খেলা

সময় : 14:19



এই বিশ্বকাপে সর্বশ্রেষ্ঠ দুই ভরাডুবি দলের নাম বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। যারা তাদের প্রত্যাশামতো খেলতেও পারেনি, ফলও আনতে পারেনি। তাদের খেলা দেখে মনে হয়েছে, বিশ্বকাপে জয় নয়, অংশগ্রহণই বড় পরিচয়।

পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সমান সংখ্যক ৬টি করে ম্যাচ খেলেছেন এই বিশ্বকাপে। এর মধ্যে পাকরা ৪টিতে হেরে ২ ম্যাচে জয় পেয়েছে। আর বাংলাদেশ ১ ম্যাচে জয় পেয়ে টানা ৫ ম্যাচে হারের ধারা অব্যাহত রেখেছে।

তাই বলা যায় দুই দলই খেঁই হারিয়ে ফেলেছেন। জয়ের পথ হারিয়ে তারা জয়ের দিশা খুঁজে পেতে মরিয়া হয়েছে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের এই ম্যাচটি তাদের জন্য পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।

দুই দলই যেহেতু হারের বৃত্তে আটকে আছে তাহলে এই ম্যাচে কে ফেভারিট? এই প্রশ্নতো মনের কোণায় উঁকি দিতেই পারে। বাংলাদেশ ভাবতে পারে আমরাই ফেভারিট কারণ, সর্বশেষ পাঁচ দেখায় আমরা তিনটিতে জিতেছি। আর পাকিস্তান ভাবতে পারে না আমরাই ফেভারিট কারণ, ওয়ানডে পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের বিপরীতে জয়ের সংখ্যায় আমরাই এগিয়ে। আর বিশ্বকাপে টানা হারলেও শক্তিমত্তার বিচারে আমরাই এগিয়ে কাগজে-কলমে। দুই দলই টানা হারছে। তাই একে অপরকে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরতে আটঘাট বেঁধেই নামবে।

এই যাত্রায় বাংলাদেশের তাগিদটা একটু বেশিই। কারণ, তারা বিশ্বকাপে পয়েন্ট তালিকার ৮ নম্বরে না থাকতে পারলে ২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফিতে অংশ নিতে পারবে না। পাকিস্তান অটো পারবে। কারণ, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী আয়োজক দেশ অটো অংশ নিতে পারে।

 

তবে ইডেনের মাঠে পাকিস্তানের রেকর্ড ভালো। এই মাঠে ছয়টি ওয়ানডে খেলে তারা হেরেছে মাত্র এক ম্যাচ। এই মাঠে ভারতের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয় তাদেরই। তবে দীর্ঘদিন ধরে এখানে খেলা হয় না পাকিস্তানের।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যাবে পাকিস্তানেই এগিয়ে। কারণ, ক্রিকেটে বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানের বয়সটা ঢেড় বেশি। এ পর্যন্ত দুই দলের দেখা হয়েছিল মোট ৩৮ বার। আর স্বভাবতই পাকিস্তান জিতেছে ৩৩বার। আর বাংলাদেশের শিকেয় জয় ভর করেছে মোটে ৫ বার।

বিশ্বকাপে বালাদেশ পাকিস্তানের জয়ের পরিসংখ্যান সমান সমান। দুই দল মোট দু’বার মোকাবেলা করেছিল। এরমধ্যে প্রথমবারের সাক্ষাতেই বাংলাদেশ জয় তুলে নিয়ে অঘটন ঘটিয়ে দিয়েছিল। সময়টা ছিল ১৯৯৯। এরপর ২০১৯-এর বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের সাক্ষাতে বাংলাদেশ হেরেছিল পাকিস্তানের কাছে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান ৩৮৫। সর্বনিম্ন ১৭৫ রান। আগে ব্যাট করে জিতেছে মোট ২১বার আর পরে ব্যাট করে জিতেছে ১২বার।

অপরদিকে, পাকদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ৩২৯। সর্বনিম্ন রান ৮৫। আগে ব্যাট করে জিতেছে ৩বার আর পরে ব্যাট করে ২ বার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে সবচেয়ে সফল বর্তমান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

 


লঙ্কা বধ, লেখা হলো আরেকটি আফগান রূপকথা

সময় : 22:40



এই বিশ্বকাপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ান ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল বিশ্বকে। এরপর আরেক সাবেক চ্যাম্পিয়ান পাকিস্তানকে হারালো। এবার আরেক সাবেক চ্যাম্পিয়ান শ্রীলঙ্কাকেও হারানোর মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপে লেখা হলো আফগান রূপকথা। লঙ্কানদের দেওয়া ২৪১ রানের লক্ষ্যকে সহজেই টপকে যায় আফগানরা। ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় আফগানরা।

 

অধিনায়ক হামমতউল্লাহ শাহিদী ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে এই জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। আফগানিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তিনি ৬৩ বলে ৭৩ রান করেন। এছাড়া রহমত শাহ ৭৪ বলে ৬২ ও হাসমতউল্লাহ শহীদি ৭৪ বলে ৫৮ রান করেন।

ফজলুল হক ফারুকি সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে দারুণ চাপে ফেলে দিয়েছিলেন। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন ফারুকি। এছাড়া ২ উইকেট নিয়েছেন মুজিবুর রহমান।

 

 

এর আগে পুনেতে সোমবার (৩০ অক্টোবর) টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানিস্তান। আগে ব্যাট করতে নেমে শেষ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪১ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। অঘটনের জন্য আফগানিস্তানের দরকার ২৪২ রান।

 

সাবধানী শুরুর পর ২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ফজলহক ফারুকির বলে এলবিডব্লু হয়ে যান দিমুথ করুনারত্নে (১৫)। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দারুণভাবে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশঙ্কা ও ওয়ান ডাউনে নামা অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস।

 

আগের চার ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকানো নিশঙ্কা আজও এগিয়ে যাচ্ছিলেন প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে টানা পঞ্চম অর্ধশতকের পথে। কিন্তু ৬০ বলে ৪৬ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শিকারে পরিণত হন তিনি। ৫ চারের মারে এই ইনিংস খেলেন তিনি। 

 

তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাদিরা সামারাবিক্রমার সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মেন্ডিস। কিন্তু ১৩৪ রানের মাথায় মেন্ডিস বিদায় নেন মুজিব উর রহমানের বলে। ৫০ বলে ৩ চারে ৩৯ রান করেন লঙ্কা দলপতি। চলতি বিশ্বকাপে লঙ্কানদের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সামারাবিক্রমা আর ৫ রান যোগ হতেই মুজিবের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। লঙ্কানদের পতনের শুরু সেখানেই।

 

দলীয় ১৬৭ রানে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (১৪), ১৮০ রানে চরিথ আশালাঙ্কা ও ১৮৫ রানে দুশ্মন্ত চামিরাও বিদায় নেন। তখন দুইশর নিচে অলআউট হওয়ার সম্ভাবনা জাগে শ্রীলঙ্কার। কিন্তু অষ্টম উইকেট জুটিতে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে নিয়ে ৪৫ রান যোগ করেন মাহেশ থিকসানা। তাতে ২৩০ পর্যন্ত পৌঁছে যায় লঙ্কানরা।

 

৩১ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৯ রান করেন থিকসানা। এরপর আর টেকেনি লঙ্কানদের ইনিংস। ২৩৯ রানে ম্যাথুস (২৩) ও ২৪১ রানে কাশুন রাজিথা রানআউট হলে ২৪১ রানে থামে শ্রীলঙ্কা।

 

আফগানদের পক্ষে সফলতম বোলার ফজলহক ফারুকি ১০ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট পান। ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ২ উইকেট পান মুজিব উর রহমান। শততম ওয়ানডে খেলতে নামা রশিদ খান ৫০ রানের বিনিময়ে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার উইকেটটি পান। ওমরজাইও একটি উইকেট পান। 

 


পাকিস্তান ম্যাচের আগে ঘাড়ে চোপ পেলেন সাকিব

সময় : 21:53



নিউজিল্যান্ড ম্যাচে চোটে পড়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এরপর ভারতের সঙ্গে খেলতেই পারলেন না। নেদারল্যান্ডসের সঙ্গেও খুব একটাস্বস্তিতে ছিলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। এবার ইডেন গার্ডেন্সে পাকিস্তান ম্যাচের আগের সন্ধ্যায় নেট অনুশীলনে চোট পেলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

সাকিব মূলত ঘাড়ে চোট পান। তখন নেটেই ফিজিও ডেকে নেন তিনি। এরপর বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে সাকিবের ঘাড়ে চিকিৎসা দিয়েছেন ফিজিও। কিন্তু তারপরও খানিকটা অস্বস্তি বোধ করছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এসময় সাকিবের ঘাড়ে স্প্রে করতেও দেখা যায়।

 

মিনিট দশেকের ট্রিটমেন্টের পর আবারও নেটে ব্যাটিং করতে যান সাকিব। তখন স্বস্তিতেই ব্যাটিং করেছেন। তাই আপাতত ধারণা করা হচ্ছে, তার চোট গুরুত্বর নয়। আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে সমস্যা হবার কথা নয়।

 

এই বিশ্বকাপে এখন সেরা চারে থাকার আর সুযোগ নেই বাংলাদেশের। সেরা আটে থাকতে পারবে কি না তাই নিয়েও রয়েছে সংশয়। তাই সাকিবের ভাবনাজুড়ে এখন কেবলই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।

 

পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব জানালেন, যেভাবেই হোক ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে চায় বাংলাদেশ। তিনি বলেন, 'আমার বলার কিছু নেই। গোটা দলই কথা বলছে আমাদের কী করা প্রয়োজন। আমাদের কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোয়ালিফাই করা, এজন্য আমাদের জয়ের বিকল্প নেই। আমরা এদিকেই মনোযোগ রাখছি।'


সাকিব বললেন, মাঝে মাঝে হাসির দরকার আছে

সময় : 20:18



আগামীকাল দুপুর আড়াইটায় কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দুই দলেরই হারতে হারতে বেহাল দশা। এমন অবস্থায় দুই দলই চাইবে এই হারের সুবিধা নিয়ে জয় তুলে নিতে।

বাংলাদেশের এমন নাজেহাল অবস্থায়ও সাকিবের মুখে ছিল হাসি। চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ানোর আগে সবাইকে হাসালেনও। বললেন, ‘মাঝে মাঝে হাসির দরকার আছে।’

তবে ইডেনের মাঠে পাকিস্তানের রেকর্ড ভালো। এই মাঠে ছয়টি ওয়ানডে খেলে তারা হেরেছে মাত্র এক ম্যাচ। এই মাঠে ভারতের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয় তাদেরই। তবে দীর্ঘদিন ধরে এখানে খেলা হয় না পাকিস্তানের।

সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ইডেনে অপ্রতিরোধ্য পাকিস্তানের বিপক্ষে কেমন হবে বাংলাদেশের কৌশল? ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের সিরিজ না খেলার প্রসঙ্গটিও উঠে এলো। বাংলাদেশ অধিনায়ক এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘যারা আইপিএল খেলেছে, আমি, মোস্তাফিজ ও লিটনের ধারণা আছে। যারা খেলেনি তাদের তো আসলে ধারণা নেই। তাতে খুব বেশি কিছু যে হবে তা আমি বলব না। যদি ওদের (পাকিস্তান) কোচ বলে থাকেন, দুই দলের কাছে অপরিচিত কন্ডিশন, শেষ ১০-১৫ বছরে এখানে খুব একটা খেলা হয়নি। সেদিক থেকে আমাদেরও খুব একটা পরিচিত জায়গা নয়। যদিও কাছাকাছি দেশ।’

এরপরই জানতে চাওয়া হয়, পাকিস্তানের টানা হার বাংলাদেশের জন্য সুবিধার হবে কি না এই ম্যাচে। তখনই সাকিব হেসে বলেন, ‘ওরাও বলতে পারে, আমরা পাঁচ ম্যাচ হেরেছি। এটা ওদের জন্য সুবিধাজনক। কি বলব, আপনি বলেন।’ এরপর হেসে হেসে বলেন, ‘মাঝে মাঝে হাসির দরকার আছে।’

 


কম রানেই লঙ্কানদের আটকে জয়ের আশা রাখছে আফগানরা

সময় : 18:40



আফগানরা শুরু থেকেই লঙ্কান ব্যাটারদের ব্যাট থেকে রান বের করতে দিচ্ছিল না। অথচ, পুনের মাঠ ব্যাটিংস্বর্গ হিসেবে খ্যাত। লঙ্কান ব্যাটারদের ব্যাটিং আর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ায় আদৌ দুইশো রান করতে পারবে কি না তা নিয়ে দেখা গিয়েছিল শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত মাহেশ থিকসানার ব্যাটে  দুইশো পার করতে পেরেছে লঙ্কানরা। ২৪১ রানে থেমেছে শ্রীলঙ্কা। জিততে হলে ২৪২ রান করতে হবে আফগানদের।

 

পুনেতে সোমবার (৩০ অক্টোবর) টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানিস্তান। আগে ব্যাট করতে নেমে শেষ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪১ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। অঘটনের জন্য আফগানিস্তানের দরকার ২৪২ রান।

 

সাবধানী শুরুর পর ২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ফজলহক ফারুকির বলে এলবিডব্লু হয়ে যান দিমুথ করুনারত্নে (১৫)। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দারুণভাবে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশঙ্কা ও ওয়ান ডাউনে নামা অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস।

 

আগের চার ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকানো নিশঙ্কা আজও এগিয়ে যাচ্ছিলেন প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে টানা পঞ্চম অর্ধশতকের পথে। কিন্তু ৬০ বলে ৪৬ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শিকারে পরিণত হন তিনি। ৫ চারের মারে এই ইনিংস খেলেন তিনি। 

 

তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাদিরা সামারাবিক্রমার সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মেন্ডিস। কিন্তু ১৩৪ রানের মাথায় মেন্ডিস বিদায় নেন মুজিব উর রহমানের বলে। ৫০ বলে ৩ চারে ৩৯ রান করেন লঙ্কা দলপতি। চলতি বিশ্বকাপে লঙ্কানদের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সামারাবিক্রমা আর ৫ রান যোগ হতেই মুজিবের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। লঙ্কানদের পতনের শুরু সেখানেই।

 

দলীয় ১৬৭ রানে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (১৪), ১৮০ রানে চরিথ আশালাঙ্কা ও ১৮৫ রানে দুশ্মন্ত চামিরাও বিদায় নেন। তখন দুইশর নিচে অলআউট হওয়ার সম্ভাবনা জাগে শ্রীলঙ্কার। কিন্তু অষ্টম উইকেট জুটিতে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে নিয়ে ৪৫ রান যোগ করেন মাহেশ থিকসানা। তাতে ২৩০ পর্যন্ত পৌঁছে যায় লঙ্কানরা।

 

৩১ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৯ রান করেন থিকসানা। এরপর আর টেকেনি লঙ্কানদের ইনিংস। ২৩৯ রানে ম্যাথুস (২৩) ও ২৪১ রানে কাশুন রাজিথা রানআউট হলে ২৪১ রানে থামে শ্রীলঙ্কা।

 

আফগানদের পক্ষে সফলতম বোলার ফজলহক ফারুকি ১০ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট পান। ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ২ উইকেট পান মুজিব উর রহমান। শততম ওয়ানডে খেলতে নামা রশিদ খান ৫০ রানের বিনিময়ে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার উইকেটটি পান। ওমরজাইও একটি উইকেট পান। 


২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোন কোন দল থাকবে?

সময় : 17:01



আইসিসির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে ২০২৫ সালে। ৮টি দলকে নিয়ে হবে এই প্রতিযোগিতা। কোন কোন দল সুযোগ পাবে তা বিশ্বকাপের মাঝেই জানিয়ে দিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

 

বিশ্বকাপে বাবর আজ়মেরা যতই হারুক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট কেটেই ভারতে এসেছেন তাঁরা। আইসিসির এক দিনের ক্রমতালিকায় এক নম্বর দল থাকার জন্য নয়। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হওয়ার সুবাদে সরাসরি খেলবে পাকিস্তান। বাকি ৭টি দলকে বেছে নেওয়া হবে এবারের বিশ্বকাপের ফলাফল থেকে।

 

বিশ্বকাপের ৪ সেমিফাইনালিস্ট ছাড়াও আরও তিনটি দল সুযোগ পাবে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার। লিগ পর্বের শেষে পয়েন্ট তালিকায় পঞ্চম থেকে সপ্তম স্থানে থাকা দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সুযোগ পাবে। বাবরেরা প্রথম সাতটি দলের মধ্যে থাকলে সুযোগ পাবে লিগ পর্বে অষ্টম স্থানে শেষ করা দল। ২০২১ সালে হওয়া আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে। ২০৩১ সাল পর্যন্ত এই নিয়মেই বেছে নেওয়া হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আটটি দলকে।

 

 

শনিবার পর্যন্ত বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকায় নবম এবং দশম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ড। এই হিসাবে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দেখা যাবে না শাকিব আল হাসান এবং জস বাটলারদের। তবে এই হিসাব পরিবর্তন হতেই পারে বিশ্বকাপের লিগ পর্বের শেষে। তাই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও সব দলই চাইবে প্রথম আট দলের মধ্যে থাকার।


টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল আফগানিস্তান

সময় : 16:50



সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্যে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে আজ মুখোমুখি হচ্ছে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে ৪ পয়েন্ট করে আছে দুই দলেরই।  রান রেটে এগিয়ে থাকায়   টেবিলের পঞ্চম স্থানে আছে লঙ্কানরা আর সপ্তম স্থানে আছে আফগানরা। শেষ ৫ ম্যাচে দুই দলেরই সমানসংখ্যক ২ জয় ও ৩ হার।

আজ টস জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে আফগানরা। পুনেতে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি।

আজকের ম্যাচের জয়ী দল সেমির পথে এক ধাপ এগিয়ে যাবে। অবশ্য হেরে যাওয়া দলেরও সুযোগ থাকছে শেষ চারে খেলার। তবে সেটা অনেক হিসেব-নিকেশের পর। এই মুহূর্তে রাউন্ড রবিন লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে থাকা চার দলের পয়েন্ট ১০ ও ৮ করে। লঙ্কান ও আফগানদের ম্যাচের জয়ী দলের পয়েন্ট হবে ৬।

বিজয়ী দল নিজেদের শেষ তিন ম্যাচ জিতলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের জন্য লড়াই করবে। হেরে যাওয়া দল ৪ নিয়ে শেষ তিন ম্যাচ জিতলে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহে জমা করবে। তখন অন্যান্য দলের সঙ্গে সেমিতে খেলার সুযোগ থাকবে তাদেরও।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে দুই দলই একাদশে এনেছে পরিবর্তন। শ্রীলঙ্কা দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে। তাদের দলে জায়গা পেয়েছেন দুশমন্থ চামিরা এবং করুনারত্নে। এদিকে আফগানিস্তান দলে রয়েছে এক পরিবর্তন। নুরের পরিবর্তে দলে এসেছেন ফজল হক ফারুকী।

এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ১১বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এরমধ্যে শ্রীলঙ্কার জয় ৭, আফগানিস্তানের জয় ৩টিতে এবং ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। বিশ্বকাপে আফগানদের বিপক্ষে দুবারের দেখাতেই জয় পেয়েছে লঙ্কানরা। গত সেপ্টেম্বর সর্বশেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। এশিয়া কাপের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটিতে ২ রানে জিতেছিল লঙ্কানরা।  

 

আফগানিস্তান একাদশঃ রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদী (অধিনায়ক), আজমতুল্লাহ ওমরজাঈ, ইকরাম আলীখিল (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, নবীন-উল-হক, ফজল হক ফারুকী।

শ্রীলঙ্কা একাদশঃ পাথুম নিশাঙ্কা, দিমুথ করুণারত্নে, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক/অধিনায়ক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, মহেশ থিকসানা, কাসুন রাজিথা, দুশমন্থ চামিরা, দিলশান মাদুশঙ্কা।

 


নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে হার কি প্রাপ্য নাকি ‘দূর্ঘটনা’?

সময় : 14:58



বাংলাদেশ ভালো ক্রিকেট খেলছে না সর্বশেষ এশিয়া কাপ থেকেই। কিন্তু, প্রত্যাশার শুরুটা ছিল এই এশিয়া কাপ থেকেই। এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশ জয়ের ধারায় বেশ ধারাবাহিক ছিল। তাই বাংলাদেশী সমর্থকদের প্রত্যাশার পারদও ছিল উর্ধ্বগামী। আর এশিয়া কাপকে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের ট্রায়াল ভার্সন হিসেবেই নিয়েছিল।

 

কিন্তু, ট্রায়ালে ফেল মেরেছিল সাকিবের দল। একটি টুনার্মেন্টে এমনটা হতেই পারে। তাই বলে বিশ্বকাপেও এমন ধারাবাহিক ব্যর্থতা! বাংলাদেশের সমর্থকরা যেন এই বিষয়টি মানতেই পারছেন না। তাইতো তারা গ্যালারিতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সবখানেই দুয়োধ্বনি দিচ্ছেন বাংলাদেশ দলকে। এটি আসলে অপমান নয়, চরম ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। এই দলটির প্রতি অনেক আশা। তাই নিরাশ হলে সমর্থকরা তাদের হতাশা প্রকাশ করবেই।

ভারতীয় ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে বাংলাদেশী সমর্থকদের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন সাকিব, তামিম, মুশফিকদের ব্যাচটি ছাড়া বাংলাদেশ আর কি কোনও বিশ্বমানের খেলোয়াড় তৈরি করতে পেরেছে? অনেক দামি প্রশ্ন, মূল্যবান পর্যবেক্ষণ। এমন ধ্রুব সত্য কেউ বলে না। হার্শা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন।

বাংলাদেশের কি সাকিব-তামিম এই চার পাণ্ডবের পর আছে কি কোনও ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়? আছে কি কোনও ধারাবাহিকতা? উত্তর খুঁজলে ‘না’ ছাড়া ‘হ্যাঁ’ পাওয়া যাবে না।

যেহেতু, বাংলাদেশের নেই ম্যাচ উইনিং প্লেয়ার, নেই জয়ের ধারাবাহিকতা, নেই চলতি আসরের কোনও হিরো। তাহলে ভালো না খেলা এই দলটি নেদারল্যান্ডসের কাছে হার কি আসলেই নিছক দূর্ঘটনা নাকি ডাচরা তাদের ভালো খেলার প্রতিদান পেয়েছেন?

যুক্তিতে আসলে কমলা জার্সিরা তাদের প্রাপ্য সম্মানটাই পেয়েছেন। তারা এই বিশ্বকাপের আসরে নবীন দল হয়েওে তুলনামূলক বাংলাদেশের চেয়ে ভালো খেলছে। এই বিশ্বকাপে পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বর দল যারা ৬ ম্যাচের মধ্যে পাঁচ ম্যাচেই তিনশোর উপরে রান করেছে। সেই উড়তে থাকা প্রোটিয়া উড়োজাহাজকেও ডাচরা ভূপাতিত করেছে।

নেদারল্যান্ডসের কাছে বাংলাদেশ ৮৭ রানে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছিল। এই হারের একটি অন্যতম কারণ খুঁজে বের করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার চেতেশ্বর পূজারা। ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘নেদারল্যান্ডস একটি ইউনিট হয়ে খেলেছে, বাংলাদেশ যা করতেই পারছে না।’

 

এমন ধারাবাহিক হারের বৃত্তে আটকে থাকা বাংলাদেশ আরেকটি ব্যর্থতার প্রতিদান পেতে যাচ্ছে। এই হতশ্রী পারফরম্যান্সের কারণে আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নাও খেলতে পারে বাংলাদেশ।


বিশ্বকাপে হার, চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফিতে খেলতে কি পারবে বাংলাদেশ?

সময় : 22:14



যেভাবে বিশ্বকাপে খারাপ খেলছে বাংলাদেশ তাতে করে সামনে অনেক দুঃসংবাদের আভাস সামনে আসছে। আশা ছিল অন্তত ২টি ম্যাচে জয় মিস করবে না সাকিবরা। এরমধ্যে আফগানিস্তানের সঙ্গে জিতলেও হেরেছে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে। আর তাতেই আইসিসির আয়োজনে চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফিতে না খেলার আশঙ্কা জোড়ালো হচ্ছে।

শেষের দিকে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করার শঙ্কা থেকে এই সংশয় উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সামনে। সেটা হলো, আগামী আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে না পার নিয়ে। কারণ, আইসিসি নতুন করে নিয়ম তৈরি করেছে, স্বাগতিক পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ সাত দেশ সুযোগ পাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার।

 

সুতরাং, ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে হলে বাংলাদেশকে অবশ্যই সেরা সাতটি দলের মধ্যে থেকে এবারের বিশ্বকাপ শেষ করতে হবে। নেদারল্যান্ডসের কাছে পরাজয়ের পর সেরা সাতটি দলের মধ্যে থাকতে পারবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

ডাচদের কাছে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ না পেলেও পরের ম্যাচগুলো জিততে চান তিনি। শুধুমাত্র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা করে নেয়ার জন্য।

 

২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরবর্তী আসর। সেখানে কারা অংশ নেবে এ ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি আইসিসি। যদিও আইসিসির এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, স্বাগতিক পাকিস্তান ও চলতি বিশ্বকাপের সেরা ৭ দল পাবে এই টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ।

 

এ কারণেই মূলত শঙ্কার মুখে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ। এখনও পর্যন্ত ৬ ম্যাচে মোটে ১ জয়, ৫ হারে পয়েন্ট টেবিলে নবম স্থানে বাংলাদেশ। পরের ৩ ম্যাচে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে আফগানিস্তান এবং নেদারল্যান্ডস এখনও পর্যন্ত ২টি করে ম্যাচ জয় করে ফেলেছে।

 

 


ভারত জিতলো ভারতের মতো, ইংল্যান্ড হারলো বাংলাদেশের মতো

সময় : 22:00



শিরোনাম দেখে একটু চিন্তিত হতেই পারেন। ভারত ফর্মে আছে তাই তারা তাদের মতো করেই জিতছে। কিন্তু, ইংল্যান্ড কি করে বাংলাদেশের মতো করে হারে? এবার খোলাসা করা যাক। ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের সঙ্গে ২৮ অক্টোবরের ম্যাচে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের দারুণভাবে একটি ব্যাপার মিলে গেল। ডাচরা প্রথমে ব্যাট করে ২২৯ রান করলো এরপর ম্যাচ জিতে নিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। ঠিক পরের দিন ইংলিশরা ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ২২৯ রানে আটকালো। আর হেরে গেল ১০০  রানের ব্যবধানে। বাংলাদেশ হেরেছিল ৮৭ রানে।

মোহাম্মদ শামি ও জাসপ্রিত বুমরাহ ইংলিশ শিবির গুড়িয়ে দিয়েছেন। প্রথম আঘাত হেনেছিলেন বুমরাহ। এরপর থেকেই ছন্দপতন ইংলিশ শিবিরে। বুমরাহ ৬.৫ ওভার বল করে একটি মেডেনসহ ৩২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আর শামি ছিলেন বিধ্বংসী। তিনি ৭ ওভারে ২২ রানে ২ মেডেনসহ ৪ উইকেট নিয়ে ইংলিশদের বসিয়ে দিয়েছেন।

এছাড়া কুলদ্বীপ যাদব ২ উইকেট ও রবীন্দ্র জাদেজা এক উইকেট দখল করেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন রোহিত শর্মা।

ইংলিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস খেলেছেন লিভিংস্টোন। এছাড়া আর কোনও ব্যাটার উল্লেখ করার মতো রান করতে পারেননি।

 

 

এই বিশ্বকাপে ভারত আছে রাজার মতো। মহা প্রতাপের সঙ্গে বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচে খেলছে তারা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ভারতের সংগ্রহ ছিল ৯ উইকেটে ২২৯ রান। ইংল্যান্ডকে ২৩০ রানের লক্ষ্য দেয় রোহিতের দল।

 

এর আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি ১০১ বলে ৩ ছয়ে ও ১০ চারে করেছেন ৮৭ রান। এছাড়া সূর্যকুমার যাদব করেছেন ৪৯ রান।

আজকের ম্যাচে শুরু থেকেই ইংলিশরা ভারতীয়দের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। প্রথম পাওয়ার প্লে’তে ভারত রীতিমতো ধুঁকছিল। তারা ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৫ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিল।

দ্বিতীয় পাওয়ার প্লেতে ১৪৫ রান এসেছে ৩ উইকেটের বিনিময়ে। লোকেশ রাহুল ও রোহিতের ৭১ রানের জুটিটাই ছিল সর্বোচ্চ রানের জুটি।

১৫০ বলে ১০০ রান আসে ২৫ ওভারে। আর ৪৫.১ ওভারে ২০০ রান স্পর্শ করে ভারত। এতেই বোঝা যায় ভারতকে কতটা ভূগিয়েছে ইংলিশ বোলাররা।

ইংলিশদের পক্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন ডেভিড উইলি। তিনি ১০ ওভারে দুইটি মেইডেনসহ ৪৫ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

 


ইংলিশদের সঙ্গে ভারত ঠিক ভারতের মতো রান করলো না

সময় : 18:35



ভারত এই বিশ্বকাপে নিজেদের মাটিতে একেবারে দূরন্ত, অপারাজেয়। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে এখন ভারতই। সেই ভারতকে এই আসরে এখন পর্যন্ত কেউ হারের স্বাদ দিতে পারেনি। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ান ইংল্যান্ডের সঙ্গে আজকের ম্যাচে ভারত ঠিক তাদের চলতি পারফর্মেন্সটা করতে পারেনি।

বিশ্বকাপের ২৯তম ম্যাচে লক্ষ্নৌতে টস হেরে ব্যাট করে ভারত সংগ্রহ করেছে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৯ রান করে ইংল্যান্ডকে ২৩০ রানের লক্ষ্য দেয় রোহিতের দল।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি ১০১ বলে ৩ ছয়ে ও ১০ চারে করেছেন ৮৭ রান। এছাড়া সূর্যকুমার যাদব করেছেন ৪৯ রান।

আজকের ম্যাচে শুরু থেকেই ইংলিশরা ভারতীয়দের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। প্রথম পাওয়ার প্লে’তে ভারত রীতিমতো ধুঁকছিল। তারা ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৫ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিল।

দ্বিতীয় পাওয়ার প্লেতে ১৪৫ রান এসেছে ৩ উইকেটের বিনিময়ে। লোকেশ রাহুল ও রোহিতের ৭১ রানের জুটিটাই ছিল সর্বোচ্চ রানের জুটি।

১৫০ বলে ১০০ রান আসে ২৫ ওভারে। আর ৪৫.১ ওভারে ২০০ রান স্পর্শ করে ভারত। এতেই বোঝা যায় ভারতকে কতটা ভূগিয়েছে ইংলিশ বোলাররা।

ইংলিশদের পক্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন ডেভিড উইলি। তিনি ১০ ওভারে দুইটি মেইডেনসহ ৪৫ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

 


টাইগারদের দুঃসময়ে পাশে আছে বিসিবি

সময় : 17:57



বিশ্বকাপে পুরো বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। আর বাকি ৩টি ম্যাচ। সর্বশেষ নেদারল্যান্ডসের মতো আইসিসির সহযোগী দেশের সঙ্গেও হেরেছে বাংলাদেশ। বাংলদেশ ক্রিকেট সমর্থকরা যার পর নাই হতাশ সাকিবদের প্রতি। কেউ কেউ সামনাসামনি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ নির্দিষ্ট কোনও ক্রিকেটারকে দোষারোপ করছেন। কলকাতায় আছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি অবশেষে নীরবতা ভেঙে কথা বলেছেন গণমাধ্যমে।

কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে গতকাল যেমন গ্যালারি থেকে দুয়োধ্বনি উঠেছে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে। কেউ পাশে না থাকলেও এই দুঃসময়ে ক্রিকেটারদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি। নীরবতা ভেঙে আজ কলকাতায় দলের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আজ টিম হোটেলে দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নাজমুল।

 

বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাপ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পাপন। যদিও সংবাদমাধ্যমের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। নাজমুল বলেছেন, ‘মানুষ বোর্ডকে বলবে, কোচিং স্টাফকে বলবে, ক্রিকেটারদের বলবে। এটা স্বাভাবিক, এটা নিয়ে বলা উচিত না।

 

ওরা (ক্রিকেটাররা) কথা দিয়েছে ওরা বসবে। এটাও বলেছে, চাওয়ার কিছু নেই। আমি কথা বলে মনে হয়েছে, ওরা এখন অনেক বেশি সিরিয়াস। এটা নিয়ে চিন্তা করছে, কিভাবে আরো ভালো করা যায়। আশা করা ছাড়া উপায় নেই।

আমি বলেছি, খারাপ সময়ে মানুষ অনেক কিছু বলবে। কারণ ভালো সময়ে মানুষ মাথায় নিয়ে নাচে। তাহলে খারাপ সময়ে বলবে না কেন? কিন্তু এই খারাপ সময়ে কেউ না থাকলেও আমরা আছি।’

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বাকি আছে আরো তিন ম্যাচ। এখনো ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন নাজমুল, ‘যেহেতু টুর্নামেন্ট চলছে, আরো তিনটা ম্যাচ বাকি আছে। আবার এই ম্যাচগুলোতে আহামরি কিছু করতে পারব, সেটাও না। তবে আমরা সক্ষম। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এখনো সম্ভব। জয়-পরাজয় বড় কথা না।

ভালো ক্রিকেট খেলাটা আসল। আমাদের ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না। আমি ওদের এটাই বলেছি, তাদের ঘুরে দাঁড়ানো উচিত। ওরা কী চায় বলুক, যখন যা চায় আমরা আছি।’


বাংলাদেশকে নিয়ে ‘চরম বাস্তব’ কথাটাই বললেন হার্শা ভোগলে

সময় : 16:45



বাংলাদেশের অনেক সিরিজ দেখলেই বিষয়টি সহজেই অনুমান করা যায়। কিন্তু, মুখ ফুটে হয়তো কেউ এই কথাটি বলেন না। তবে এবার সেই নিদারুণ সত্য কথাটাই বলে দিলেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে।

বিশ্বকাপে টানা ৬ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিমাত্র ম্যাচে জয়। সেমিতে যাওয়ার স্বপ্ন এখন শুধুই স্বপ্ন বৈ আর কিছুই নয়। তাইতো স্বাভাবিকভাবেই সাকিব আল হাসানের দলের সমালোচনা করছেন সমর্থক ও ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।

এই সমালোচনায় শামিল হয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। তিনি মনে করেন, সিনিয়র ক্রিকেটাররা ছাড়া বাংলাদেশে তেমন বিশ্বমানের ক্রিকেটার গড়ে উঠেনি।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নিজেদেরকে কিছু কঠিন প্রশ্ন করতে হবে। এখন থেকে কয়েক বছর পরে যেগুলো তাদের প্রয়োজন হতে পারে। বাংলাদেশের ভক্তরা, সাকিব, মুশফিক ও তামিমদের ব্যাচের পরে কতজন প্রকৃত বিশ্বমানের খেলোয়াড় উঠে এসেছে, আপনাদের মতে?”

বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া কারো সাথেই লড়াইটাই করতে পারেনি বাংলাদেশ। একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছাড়া ধারাবাহিক ছিলেন না আর কোনও ব্যাটার। যেই লিটন কুমার দাশ, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়দের উপরে টাইগার সমর্থকদের ভরসা ছিল তারা কেউ পারেননি এতটুকু ভরসার প্রতিদান দিতে।  

 


মাহমুদউল্লাহকে ওপরের দিকে খেলানোর অনুরোধ ওয়াসিম আকরামের

সময় : 16:06



বাংলাদেশের বাজে খেলা দেখছে ক্রিকেট বিশ্ব। হতাশ বাংলাদেশী সমর্থকরাও। এর মূল কারণ প্রতি ম্যাচেই বাজে ব্যাটিং করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। টাইগার ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র রিয়াদই কিছুটা ফর্মে আছেন। আর তাইতো পাকিস্তানের ক্রিকেট কিংবদন্তী ওয়াসিম আকরাম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ওপরের সারিতে খেলাতেই অনুরোধ করেছেন টিম ম্যানেজমেন্টকে।

নেদারল্যান্ডসের সঙ্গেও বাংলাদেশের ৮৭ রানে হারের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দেরিতে নামানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম।

 

দেশটির টেলিভিশন চ্যানেল ‘এ স্পোর্টসে’র অনুষ্ঠান দ্য প্যাভিলিয়নের আলোচনায় ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্য আমার খারাপ লাগে। তাদের জন্য অন্তত কিছু ক্লোজ ম্যাচ উপহার দিতে পারতে।’ এসময় তিনি বাংলাদেশের পারফরম্যান্সকে গড়পড়তার চেয়েও নিচু মানের বলে মন্তব্য করেন। তার মতে, রিয়াদকে আরও ওপরে খেলানো উচিৎ।

 

টিম ম্যানেজমেন্ট কেন রিয়াদকে নিচে খেলাচ্ছে সেই প্রশ্ন ওয়াসিম আকরামের, ‘প্লিজ মাহমুদউল্লাহকে ওপরে খেলাও। মিডল অর্ডার যখন ব্যর্থ, তখন দলের সেরা ব্যাটারকে চার বা পাঁচে খেলান। টিম ম্যানেজমেন্ট কী ভাবছে জানি না। মাহমুদউল্লাহকে কেন ৭ নম্বরে নামানো হচ্ছে, কেউ এর কারণটা ব্যাখ্যা করবে আশা করি। তিন উইকেট পড়ে গেলে মাহমুদউল্লাহকে নামানো উচিত, সে একপ্রান্ত আগলে রাখবে।’

 

একই প্রশ্ন আরেক পাকিস্তানি অধিনায়ক মঈন খানের। ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকানো মাহমুদউল্লাহকে কেন সাত নম্বরে খেলানো হলো? সে ফর্মে আছে, তাকে ব্যবহার করা দরকার ছিল।’

 

 


ফেভারিট ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে ইংল্যান্ড

সময় : 15:02



বিশ্বকাপের ২৯তম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে শক্তিশালী ভারত ও ইংল্যান্ড। ভারত এই বিশ্বকাপে রীতিমতো উড়ছে। লক্ষ্নৌতে অটল বিহারী বাজপেয়ী স্টেডিয়ামে আজকের ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ান ইংল্যান্ড।

 

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আজ ভিন্নধর্মী এক ম্যাচ মাঠে গড়াচ্ছে। এ লড়াইয়ে ভারতই ফেভারিট। তারা পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে।

 

ভারত একাদশঃ রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ শামি, জাসপ্রিত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ।

ইংল্যান্ড একাদশঃ জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড মালান, জো রুট, বেন স্টোকস, জস বাটলার (অধিনায়ক/উইকেটরক্ষক), লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলী, ক্রিস ওকস, ডেভিড উইলি, আদিল রশিদ, মার্ক উড।

 


গবেষক হাথুরুর পরীক্ষা-নীরিক্ষা কতটা কার্যকারী হলো?

সময় : 14:29



ভালো খেলেই জিতেছে নেদারল্যান্ড। কারণ, যোগ্য দলই খেলার মাঠে জিতবে। তাই হয়েছে। আরেকটি ২০০৩-এর বিশ্বকাপ কি আমরা দেখতে যাচ্ছি? কলকাতার ইডেন গার্ডেনসের মাঠে বাংলাদেশের অশুভ সূচনা। কমলারা লাল-সবুজকে হারিয়ে দিয়েছে। এ হার সাকিবদের জন্য লজ্জার। হবে নাই বা কেন? যে দলের টপ অর্ডার বলতে কিছু নেই সেই দল বিশ্বকাপে কি ফলাফলটাইবা করবে? আরও চলুক পরীক্ষা-নীরিক্ষা। বিশ্বকাপের মতো আসরে বাংলাদেশের কোচ ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে করে গবেষণা। 

ভারতের ব্যাটিং স্বর্গে এই দলটির ব্যাটিংয়ে সক্ষমতা কতটুকু? ৩০০ রান পার করার সামর্থ্য কি আছে? হয়তো অন্তরে আছে, বাহিরে নেই। কারণ, এই দলটির কোচ একজন অনেক বড় ক্রিকেট গবেষক। তিনি বিশ্বকাপের মতো আসরে তানজিদ তামিমকে দিয়ে দারুণ শুরুর আশা করেন। তাকে প্রতি ম্যাচ খেলান। আর শুরুতেই ভেঙে যায় টপ অর্ডার ব্যাটিং। 

যে ব্যাটার যে অর্ডারে খেলে অভ্যস্ত। কারণ, সেই প্লেয়ারটা জানে তার ওই অর্ডারে কাজটা কি? তাকে কি করতে হবে? যখনই পজিশন পরিবর্তন হয় তখন তিনিও খেই হারিয়ে ফেলেন। কারণ, ৩ নম্বর পজিশনের ব্যাটারকে রান বাড়ানোর যে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হয় সেটা ৬ নম্বর পজিশনের ব্যাটারকে ওপেনিং বা ৩ নম্বরে এনে খেলালে কাজ হবে না। কারণ, মিডল অর্ডার কখনো মারমুখি না। সেই পজিশনের দায়িত্বের সঙ্গেও সে অভ্যস্ত নয়। নতুন বল পুরাতন বলের একটা ব্যাপার থাকে। তাহলে অর্ডার পরিবর্তনের যে নীরিক্ষার খেলায় মেতেছেন হাথুরু তাতে ফলাফল কেমন আসছে তা বিশ্বকাপেই দেখা যাচ্ছে। 

তিনি এমনই গবেষক মেক শিফট ওপেনার মিরাজকে দিয়েও পরীক্ষা চালান। আবার টপ অর্ডারে তাকে নামান। তিনি এমনই গবেষক তাওহীদ হৃদয়ের মতো ব্যাটারকে বসিয়ে রাখেন। এতটাই ক্রিকেটীয় উর্বর মস্তিষ্ক তার যে রিয়াদের মতো ক্ল্যাসিক ব্যাটারকে ৭/৮ নম্বরে সেট করতে চান জোর করেই। 

গবেষক হাথুরু তার প্রথম পর্ব থেকেই এক কৌশল এঁটেছিলেন। তা হলো মিরপুরের স্লো উইকেট বানিয়ে বড় দলগুলোকে ডেকে এনে হারিয়ে দেবেন। এতে সাময়িক ফলাফল এসেছিল। কিন্তু, দীর্ঘমেয়াদি কোনও উপকার হয়নি, হবেও না। কারণ, অন্য দেশে যখন খেলতে যায় তখনই বাংলাদেশের ব্যাটাররা বোঝে এখানে বল স্লো নয় ফাস্ট আসে। ফলাফল লজ্জার হার। হাথুরুর নীরিক্ষা আর তার ক্রিকেটীয় দূরদর্শীতা এখানেই হয় প্রশ্নবিদ্ধ। 

তামিম ইকবালের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারকে দলেই নেওয়া হয়নি তার একগুয়েমির কারণে। তিনি ফুল ফিট প্লেয়ার চান। বিশ্বের কোন প্লেয়ারটা শতভাগ ফিট হয়ে খেলতে পারেন? এখানেই হাথুরুর ইনটেশনটা পরিস্কার। তিনি তামিমকে ব্যক্তিগত আক্রোশে দলে নেবার পক্ষে ভোট দেননি। 

আর তামিমেরও বুঝতে ভুল হয়েছিল। তাকে মিডল অর্ডারে খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে তিনি শুধুই রাগ করে বিশ্বকাপকেই বয়কট করেছেন। বাস্তবতা হচ্ছে এই দলে টপ অর্ডার বলে কিছু নেই। মিডল অর্ডাররাই ১০ ওভারের মধ্যেই টপ অর্ডার হয়ে যান। নতুন বলটাই তামিম খেলতে পারতেন। হায় তামিম!


কমলা রাঙা রাত, সাকিবদের লজ্জা দিয়ে হারালো নেদারল্যান্ডস

সময় : 22:01



কিছুতেই আর কিছু হলো না ভারত বিশ্বকাপে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে বিশ্বকাপ আয়োজনে বুক বেঁধে গিয়েছিল বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের জন্য অন্ধকার রাতটি হয়ে গেল কমলা রাঙা। ভালো খেলেই জিতে গেল ডাচরা। বাজে খেলার ফল ইডেন গার্ডেন্সে পেল বাংলাদেশ। এই হারে সেমির আশা এখানেই শেষ বাংলাদেশের। কমলা জার্সিদের ২২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪২.২ ওভারে ১৪২ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ফলে হার মানতে হলো ৮৭ রানের।

 

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের সঙ্গে ওপেনিং জুটি ভেঙেছিল ১৯ রানে। এরপর ইংল্যান্ডের সঙ্গে ১৪ রানে। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ০ রানে, ভারতের সঙ্গে ৯৩ রানে, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ১০ রানে ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ১৯ রানে।

 

নেদারল্যান্ডসের দেওয়া ২৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ১৯ রান তুলতেই হারিয়েছে দুই উদ্বোধনী ব্যাটারকে। ১২ বলে মাত্র ৩ রানে ফিরে গেছেন লিটন দাস। আরিয়ান দত্তের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেটের ওপরেই ক্যাচ তুলে দেন লিটন।

 

পরের ওভারেই তানজিদ তামিমকে স্কট এডওয়ার্ডসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান লোগান ভন বিক। তিন চারের মারে ১৬ বলে ১৫ রান করেছেন তামিম। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ায় রান তাড়ায় বড় ধাক্কাই খেয়েছে বাংলাদেশ। এই চাপ সামাল দিতে পারলেন না সহঅধিনায়ক শান্ত এবং অধিনায়ক সাকিব। শান্ত ৯ ও সাকিব ৫ রানে আউট হন। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় ৪০ বলে ৩৫ রান করে আউট হয়ে যান সেট হওয়া মিরাজ।

দলীয় ৭০ রানে মুশফিক ভ্যান ম্যাকেরিনের দারুণ এক ইনসুইংগারে বোল্ড হয়ে যান ১ রান করে। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও শেখ মেহেদি জুটি গড়ে তোলেন। দূর্ভাগ্যজনক রান আউটে মেহেদি ফেরেন দলীয় ১০৮ রানে ৩৮ বলে ১৭ রান করে। এরপর গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রিয়াদ ফেরেন ৪১ বলে ২০ রানে ফেরেন ক্যাচ আউট হয়ে। তাসকিন-মোস্তাফিজ জুটি চেষ্টা করেন যতদূর রানটাকে টেনে নেওয়া যায়। কিন্তু, ৪২ ওভারে দলীয় ১৪২ রানে মোস্তাফিজও বোল্ড আউট হয়ে ফিরে যান ৩৫ বলে ২০ রান করে। এর ২ বল পরেই ৩৫ বলে ১১ রান করে আউট হন তাসকিন।

 

কমলা জার্সিদের পক্ষে পল ভ্যান মিকারেন ৭.২ ওভার বল করে ২৩ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। বাজ ডি লিডে ৭ ওভার বল করে ২৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

 

 

 

আজও ওপেনিং জুটি বাজে শুরু করেছে। প্রথম পাওয়ার প্লেতেই ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯ রানেই দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ তামিম সাজ ঘরে ফিরে যান। এরপর শান্ত ১১.৫ ওভারে ৪৫ রানের মাথায় আর অধিনায়ক সাকিব ১৫.৬ ওভারে ৬৩ রানের মাথায় ফিরে যান। সর্বশেষ মিরাজ সেট হয়েই ৪০ বলে ৩৫ রানে আউট হয়ে যান দলীয় ৬৯ রানে।

 

এর আগে ব্যাট করে স্কট এডওয়ার্ডসের ৬৮ রানে ভর করে ২২৯ রানের পুঁজি পায় নেদারল্যান্ডস। একাধিক ক্যাচ মিসের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও নিখুঁত ছিল না বাংলাদেশ। ফলে একপর্যায়ে ১০৭ রানে ৫ উইকেট হারানো ডাচরাই পেয়েছে লড়াইয়ের পুঁজি।

 


বাজে ওপেনিং আর বাজে শটে ৬৯ রানে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের

সময় : 20:04



যেকোনও ম্যাচেই শুরুটা বড় ব্যাপার। অথচ, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ শুরুর জায়গায় এতটাই দূর্বল যে প্রতি ম্যাচেই তার প্রভাব স্পষ্ট। আজও ওপেনিং জুটি বাজে শুরু করেছে। প্রথম পাওয়ার প্লেতেই ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯ রানেই দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ তামিম সাজ ঘরে ফিরে যান। এরপর শান্ত ১১.৫ ওভারে ৪৫ রানের মাথায় আর অধিনায়ক সাকিব ১৫.৬ ওভারে ৬৩ রানের মাথায় ফিরে যান। সর্বশেষ মিরাজ সেট হয়েই ৪০ বলে ৩৫ রানে আউট হয়ে যান দলীয় ৬৯ রানে।

 

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের সঙ্গে ওপেনিং জুটি ভেঙেছিল ১৯ রানে। এরপর ইংল্যান্ডের সঙ্গে ১৪ রানে। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ০ রানে, ভারতের সঙ্গে ৯৩ রানে, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ১০ রানে ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ১৯ রানে।

 

নেদারল্যান্ডসের দেওয়া ২৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে বাংলাদেশ। ১৯ রান তুলতেই হারিয়েছে দুই উদ্বোধনী ব্যাটারকে। ১২ বলে মাত্র ৩ রানে ফিরে গেছেন লিটন দাস। আরিয়ান দত্তের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেটের ওপরেই ক্যাচ তুলে দেন লিটন।

 

 পরের ওভারেই তানজিদ তামিমকে স্কট এডওয়ার্ডসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান লোগান ভন বিক। তিন চারের মারে ১৬ বলে ১৫ রান করেছেন তামিম। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ায় রান তাড়ায় বড় ধাক্কাই খেয়েছে বাংলাদেশ। এই চাপ সামাল দিতে পারলেন না সহঅধিনায়ক শান্ত এবং অধিনায়ক সাকিব।

 

এর আগে ব্যাট করে স্কট এডওয়ার্ডসের ৬৮ রানে ভর করে ২২৯ রানের পুঁজি পায় নেদারল্যান্ডস। একাধিক ক্যাচ মিসের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও নিখুঁত ছিল না বাংলাদেশ। ফলে একপর্যায়ে ১০৭ রানে ৫ উইকেট হারানো ডাচরাই পেয়েছে লড়াইয়ের পুঁজি।

 


সময় : 19:16



একশোতে একশো লড়েই হারলো কিউইরা

 

থেকে গেল ৫ রানের আক্ষেপ। কারণ, একশোতে একশো লড়েও এই পাঁচের কাছেই হারলো নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৩৮৮ রানের লক্ষ্যে ৩৮৩ রানেই থেমে গেল কিউইরা। হার মানলো পাঁচ রানের।

এবারের বিশ্বকাপ আসরে দারুণ লড়ে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। আজ অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দলের সঙ্গে লড়াই করে তাদের অবস্থান কতটা শক্ত তা বুঝিয়ে দিল তারা।

রাচিন রবীন্দ্র আজও সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। তিনি ৮৯ বলে ১১৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে গিয়েছিলেন। ড্যারেল মিচেল ৫১ বলে ৫৪ রান করেন। আর শেষে জয়ের বন্দরে দলকে পৌঁছে দেতে প্রানান্তকর চেষ্টা করে শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৫৮ রানে রান আউট হয়ে যান জেমস নিশাম।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আজও অ্যাডাম জাম্পা আগুন ঝড়িয়েছেন। তিনি ১০ ওভারে ৭৪ রানে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া জোশ হ্যাজেলউড ও প্যাট কামিন্স ২টি করে উইকেট নেন।

অসিরা তাদের ইনিংসের শুরুতে কিউই বোলারদের পাত্তাই দেননি। ঝড়ো গতিতে রান তুলে ৩৮৭ করেছে সবকটি উইকেট হারিয়ে। আর জবাবে কিউইরা ব্যাটে ভালোই জবাব দিচ্ছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ২২.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করেছে। রবীন্দ্র আছেন ৩০ রানে আর মিচেল আছেন ৫৩  রানে।

 

এর আগে ইনিংসের শুরুতে ঝড় তুলেছিলো অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। শেষে ঝড় তুললেন নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। ৬ উইকেটে ৩৮৭ রান থেকে ৩৮৮ রানেই অলআউট হয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। মাত্র ১ রানের ব্যবধানে পড়লো ৪ উইকেট।

টস জিতে বোলিংয়ে কিছুটা সুবিধা আদায় করা যাবে, এ চিন্তা থেকে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো নিউজিল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন দুই অসি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং ট্রাভিস হেড। দু’জন মিলে ১৭৫ রানের বিশাল জুটি গড়েন ১৯.১ ওভারে।

 

৬৫ বলে ৮১ রান করে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার। ট্রাভিস হেড শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি পূরণ করেন ৬০ বলে এবং ৬৭ বলে ১০৯ রান করে আউট হন তিনি। ১০টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৭টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

 

ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ওয়ার্নার এবং ট্রাভিস হেডের ব্যাটে রীতিমত টর্নেডো বইয়ে দিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কিউই বোলারদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে ৪৯.২ ওভারে ৩৮৮ রানে অলআউট হয়েছে প্যাট কামিন্সের দল।

 

ইনজুরির পরও কেন তাকে দলে রাখা হয়েছিলো, প্রমাণ করে দিলেন ওপেনার ট্রাভিস হেড। হাতের ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে প্রথমে ভারতেও আসেননি তিনি। নিজের দেশে থেকেই ইনজুরি সারানোর ব্যবস্থা করেন। অবশেষে বিশ্বকাপে এসে দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে প্রথম সুযোগেই সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি।

 

দুই অসি ওপেনারের ঝড় দেখে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়াটা ভুল হয়ে গেলো কি না, তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম?

 

তবে তাকে স্বস্তি দেন শেষের বোলাররা। বিশেষ করে ম্যাট হেনরি এবং ট্রেন্ট বোল্টের আগুতে বোলিংয়ে শেষের দিকে দ্রুত উইকেট হারায় তারা।

 

ট্রাভিস হেড এবং ওয়ার্নারের জুটিই অস্ট্রেলিয়াকে বড় ইনিংস গড়তে সাহায্য করে। পরের ব্যাটাররা খুব বড় কোনো স্কোর গড়তে পারেননি। মিচেল মার্শ ৫১ বলে করেন ৩৬ রান। স্টিভ স্মিথ ১৭ বলে ১৮ রান সংগ্রহ করেন। মার্নাস লাবুশেন ১৮ রান করেন। ২৪ বলে ৪১ রান করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২৮ বলে ৩৮ রান করেন জস ইংলিস। ১৪ বলে ৩৭ রান করেন প্যাট কামিন্স।

 

৩টি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট এবং গ্লেন ফিলিপস। ২ উইকেট নেন মিচেল সান্তনার। ১টি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি এবং জিমি নিশাম।

 


দারুণ খেলে ডাচরা ২২৯ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশকে

সময় : 18:21



কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। তাদের এই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না তা ব্যাটিংয়েই প্রমাণ করেছেন। অবশেষে ডাচ রকেট থেমেছে ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৯ রানে। বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৩০ রান।

ডাচ অধিনায়কের তিনটি ক্যাচ ছেড়েছেন মিরাজ, মুশফিকরা। দলের পক্ষে তাই ডাচ অধিনায়ক এডওয়ার্ডের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ রান।

প্রথম ৪ রানেই ২ উইকেট হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। শুরুতে ২ উইকেট হারালেও নেদারল্যান্ডস পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করে। প্রথম পাওয়ার প্লে’তে ১০ ওভার শেষে নেদারল্যান্ডসের রান তোলে ২ উইকেটে ৪৭।

বিক্রমজিৎ সিং দলীয় ৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩ রান করে আউট হন তাসকিনের বলে। এরপর দলীয় ৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত শূন্য রানে শরীফুল ফেরান ম্যাক্স ও’দাউদকে। এরপর দলের হাল ধরেন ওয়েসলি বারেসি ও কলিন অ্যাকারম্যান। তারা তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৯ রান যোগ করেন। ৬৩ রানে মোস্তাফিজ ওয়েসলি বারেসিকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি আনেন।

সাথী হারা হয়ে এই ৬৩ রানেই আউট হয়ে যান কলিন অ্যাকারম্যান। তিনি ৩৩ বলে ১৫ রান করে সকিবের শিকারে পরিণত হন। এরপর অধিনায়ক এডওয়ার্ড ও বাজ ডি লিডে ৪৪ রানের জুটি গড়ে দলকে খানিকটা পথ এগিয়ে নেন। দলীয় ১০৭ রানের মাথায় ডি লিডে ৩২ বলে ১৭ রান করে তাসকিনের শিকারে পরিণত হন।

সাতে নামা সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট অধিনায়কের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। এই জুটি ধ্বসে পড়া ডাচ শিবিরকে স্বস্তি এনে বাংলাদেশকে অস্বস্তিতে ফেলে। তারা ৭৮ রানের জুটি গড়েন যা ডাচদের মধ্যে আজকের ম্যাচের সর্বোচ্চ জুটি। এডওয়ার্ডস দলীয় ১৮৫ রানে ব্যক্তিগত ৮৯ বলে ৬৮ রান করে মোস্তাফিজের শিকার হন। এরপর এঙ্গেলব্রেখট শেখ মেহেদির বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরার আগে তিনি ৬১ বলে ৩৫ রান করেন।

এরপর কম সময়েই একাধিক উইকেট শিকার করে বাংলাদেশী বোলাররা। শারিজ আহমেদ ১৯৪ রান ৮ বলে ৬ রান করে রান আউট হয়ে যান।

দলীয় ২১২ রানে ফেরেন আরিয়ান দত্ত। তিনি শরীফুলের শিকার হওয়ার আগে ৬ বলে ৯ রান করেন।

তবে ডেথ ওভারে ভালো হিট করেন ভ্যান বিক। তিনি ১৬ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে ২২৯ রানে নিয়ে আসেন।

বাংলাদেশের পক্ষে শরীফুল, তাসকিন, মোস্তাফিজ ও শেখ মেহেদি ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেন ১ উইকেট।

 

 


কবে থামতে চান, নিজেই জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

সময় : 17:28



অনিশ্চিত মাহমুদউল্লাই এখন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নিশ্চয়তার নাম। অথচ, বিশ্বকাপেতো বটেই বিশ্বকাপের আগের সিরিজগুলোতেই তাকে নিতে চাওয়া হয়নি। সেই অবহেলিত রিয়াদ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন। এই আলো ছড়ানো রিয়াদ এবার থামতে চাইছেন। দেশকে যেমন দিয়েছেন, অবহেলাও কম পাননি। এবার বোধহয় থামতে হবে। হয়তো সঠিক জবাবের পর এটাই থামার উপযুক্ত সময়।

 

বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘ক্রিকেট এমন একটি খেলা, যেখানে আপনি বিস্মিত হওয়ার মতো অনেক কিছু দেখবেন। আমি অনেক পরিশ্রম করেছি, যেন বিশ্বকাপে আমি দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাই। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমাকে সে সুযোগ দিয়েছেন। আমি যতটা সম্ভব দলের জন্য কিছু করার চেষ্টা করে এসেছি।’

 

নিজের খেলার সঙ্গে তরুণদের পথ দেখানোও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সাবেক এই অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমি দলের সিনিয়র একজন খেলোয়াড়। আমি অনেক দিন ধরেই খেলছি। তাই দায়িত্বও চলে আসে। তরুণদের দিকনির্দেশনা দেওয়া, তাদের সঙ্গে কথা বলা। আমরা চেষ্টা করি বন্ধু-ভাই হিসেবে থাকতে। আমরা চেষ্টা করি তাদের সাহায্য করতে। এটা বের করার চেষ্টা করি যে তাদের জন্য কোনটা ভালো এবং দলের জন্য কী ভালো, সেটাও বের করার চেষ্টা করি।’

 

এরপরের ইতিহাস সবার জানা। এবারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটার তিনি। পেয়েছেন একটি সেঞ্চুরি। চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে ব্যাট করে ৯৯ গড় ও ১০১.২ স্ট্রাইক রেটে তার রান ১৯৮। মাহমুদউল্লাহ ক্যারিয়ারে ৪টি সেঞ্চুরি করেছেন, যার সব কটিই আবার আইসিসির প্রতিযোগিতায়।

সেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবার জানিয়ে দিলেন, শেষ বিশ্বকাপ খেলছেন। যে কোনো সময় অবসরের ঘোষণাও দিয়ে দেবেন তিনি। আইসিসি থেকে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায় নিজের অবসর নিয়ে কথা বলছেন তিনি।

 

এরপর সাকিব-মুশফিক-তামিমের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘সাকিব-মুশফিকের ২০০৫ সালে অভিষেক হয়েছে। তামিমের অভিষেক হয়েছে ২০০৬-০৭ সালে। আমরা একসঙ্গেই ছিলাম। আমরা একসঙ্গে অনেক আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি করেছি। আমরা জানি এই অনুভূতি কেমন।’

সর্বশেষ নিজের অবসর নিয়ে কথা বলেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা হচ্ছে, আমি আমার শেষ বিশ্বকাপ খেলছি। আমি কত দিন খেলব, সেটা আমার শরীর এবং পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করছে। তবে যেকোনো মুহূর্তে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিতে পারি। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাবে। যেসব প্রতিভা আমাদের ড্রেসিংরুমে আছে; যেমন মোস্তাফিজ, তাসকিন, শান্ত, লিটন এবং মিরাজরাই এরপর সিনিয়র হবে। সম্ভবত তারাই দলকে এগিয়ে নেবে। একদিন তারাই বাংলাদেশের কিংবদন্তি হবে।’

 

 


অসিদের ৩৮৮ রানের লক্ষ্যে দারুণ জবাব দিচ্ছে কিউইরা

সময় : 16:56



অসিরা তাদের ইনিংসের শুরুতে কিউই বোলারদের পাত্তাই দেননি। ঝড়ো গতিতে রান তুলে ৩৮৭ করেছে সবকটি উইকেট হারিয়ে। আর জবাবে কিউইরা ব্যাটে ভালোই জবাব দিচ্ছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ২২.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করেছে। রবীন্দ্র আছেন ৩০ রানে আর মিচেল আছেন ৫৩  রানে।

 

এর আগে ইনিংসের শুরুতে ঝড় তুলেছিলো অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। শেষে ঝড় তুললেন নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। ৬ উইকেটে ৩৮৭ রান থেকে ৩৮৮ রানেই অলআউট হয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। মাত্র ১ রানের ব্যবধানে পড়লো ৪ উইকেট।

টস জিতে বোলিংয়ে কিছুটা সুবিধা আদায় করা যাবে, এ চিন্তা থেকে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো নিউজিল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন দুই অসি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং ট্রাভিস হেড। দু’জন মিলে ১৭৫ রানের বিশাল জুটি গড়েন ১৯.১ ওভারে।

 

৬৫ বলে ৮১ রান করে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার। ট্রাভিস হেড শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি পূরণ করেন ৬০ বলে এবং ৬৭ বলে ১০৯ রান করে আউট হন তিনি। ১০টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৭টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

 

ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ওয়ার্নার এবং ট্রাভিস হেডের ব্যাটে রীতিমত টর্নেডো বইয়ে দিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কিউই বোলারদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে ৪৯.২ ওভারে ৩৮৮ রানে অলআউট হয়েছে প্যাট কামিন্সের দল।

 

ইনজুরির পরও কেন তাকে দলে রাখা হয়েছিলো, প্রমাণ করে দিলেন ওপেনার ট্রাভিস হেড। হাতের ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে প্রথমে ভারতেও আসেননি তিনি। নিজের দেশে থেকেই ইনজুরি সারানোর ব্যবস্থা করেন। অবশেষে বিশ্বকাপে এসে দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে প্রথম সুযোগেই সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি।

 

দুই অসি ওপেনারের ঝড় দেখে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়াটা ভুল হয়ে গেলো কি না, তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম?

 

তবে তাকে স্বস্তি দেন শেষের বোলাররা। বিশেষ করে ম্যাট হেনরি এবং ট্রেন্ট বোল্টের আগুতে বোলিংয়ে শেষের দিকে দ্রুত উইকেট হারায় তারা।

 

ট্রাভিস হেড এবং ওয়ার্নারের জুটিই অস্ট্রেলিয়াকে বড় ইনিংস গড়তে সাহায্য করে। পরের ব্যাটাররা খুব বড় কোনো স্কোর গড়তে পারেননি। মিচেল মার্শ ৫১ বলে করেন ৩৬ রান। স্টিভ স্মিথ ১৭ বলে ১৮ রান সংগ্রহ করেন। মার্নাস লাবুশেন ১৮ রান করেন। ২৪ বলে ৪১ রান করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২৮ বলে ৩৮ রান করেন জস ইংলিস। ১৪ বলে ৩৭ রান করেন প্যাট কামিন্স।

 

৩টি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট এবং গ্লেন ফিলিপস। ২ উইকেট নেন মিচেল সান্তনার। ১টি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি এবং জিমি নিশাম।


পাওয়ার প্লেতেই ২ উইকেট নিয়ে ডাচদের চাপে রেখেছে বাংলাদেশ

সময় : 15:24



প্রথম ৪ রানেই ২ উইকেট হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ এত কম রানে কোনো দল প্রথম ২ উইকেট হারিয়েছিল এ বছরের জুলাইয়ে। চট্টগ্রামে আফগানিস্তান ৩ রান তুলতেই হারিয়েছিল প্রথম ২ উইকেট। সে ম্যাচে আফগানরা গুটিয়ে গিয়েছিল ১২৬ রানেই।

 

শরীফুল ইসলামের ওভার দ্য উইকেট থেকে করা বলটা অ্যাঙ্গেল করে বেরিয়ে যাচ্ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে। শুরুতে ব্যাট চালিয়েও শেষ মুহূর্তে যেন নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেছিলেন ম্যাক্স ও’ডাউড, শট চেক করে নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আগেই ব্যাটের কানা ছুঁয়ে ক্যাচ গেছে স্লিপে। একমাত্র স্লিপে থাকা তানজিদ হাসান বাঁ দিকে লাফ দিয়ে নিয়েছেন ভালো ক্যাচ। ৫ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারাল নেদারল্যান্ডস, ইনিংসের ১৪ বলের মধ্যে নেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। কলকাতায় বাংলাদেশের দুর্দান্ত শুরু।

শুরুতে ২ উইকেট হারালেও নেদারল্যান্ডস পাল্টা আক্রমণের চেষ্টাই করছে। ১০ ওভার শেষে নেদারল্যান্ডসের রান ২ উইকেটে ৪৭। রান তোলার গড় ৪.৭০।

 

 

 

কটু ফুললেংথ, ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে লিডিং-এজ হয়েছেন বিক্রমজিত সিং। আগেভাগেই শট খেলে ফেলেছিলেন, মিড অফে সাকিব আল হাসান নিয়েছেন সহজ ক্যাচ। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে প্রথম উইকেট। ফিরেই সফল তাসকিন আহমেদ, চোখেমুখে যেন স্বস্তিই বেশি বাংলাদেশ পেসারের।

কটু ফুললেংথ, ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে লিডিং-এজ হয়েছেন বিক্রমজিত সিং। আগেভাগেই শট খেলে ফেলেছিলেন, মিড অফে সাকিব আল হাসান নিয়েছেন সহজ ক্যাচ। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে প্রথম উইকেট। ফিরেই সফল তাসকিন আহমেদ, চোখেমুখে যেন স্বস্তিই বেশি বাংলাদেশ পেসারের।

 


কলকাতায় টস হেরে ফিল্ডিংয়ে সাকিবের বাংলাদেশ

সময় : 15:22



বিশ্বকাপের ২৮তম ম্যাচ আর বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ ম্যাচ কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। এই ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে দুটি পরিবর্তন বাংলাদেশ স্কোয়াডে। নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদের জায়গায় দলে এসেছেন তাসকিন আহমেদ ও শেখ মেহেদী হাসান।

 

ডাচ দলেও এসেছে দুই পরিবর্তন। তেজা নিদামানুরু ও রোলফ ফন ডার মারওয়ে নেই আজ, খেলছেন ওয়েসলি বারেসি ও শারিজ আহমেদ।

বিশ্বকাপ ক্রিকেট এবার কলকাতায় ফিরলো। বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচ দিয়ে ইডেন গার্ডেনস এবারের বিশ্বকাপের অংশ হতে যাচ্ছে। আজ দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে ম্যাচটি।

টস হেরে সাকিব বলেন,আমাদের ব্যাটিং-বোলিং ভালো করতে হবে। বিশেষ করে পাওয়ার প্লেতে ভালো ব্যাট করতে হবে।

বাংলাদেশ একাদশঃ লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম(উইকেটরক্ষক), মাহমুদুল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।

 

নেদারল্যান্ডস একাদশঃ ম্যাক্স ও'ডাউড, বিক্রমজিৎ সিং, ওয়েসলি বারেসি, কলিন অ্যাকারম্যান, স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক/উইকেটরক্ষক), বাস ডি লিড, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখ্ট, লোগান ভ্যান বেক, শরিজ আহমেদ, আরিয়ান দত্ত, পল ভ্যান মিকেরেন।


বাংলাদেশ নাকি নেদারল্যান্ডস, চাপে থাকবে কোন দল?

সময় : 14:16



চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পাঁচটি ম্যাচ খেলে মাত্র একটি ম্যাচে জয় পেয়েছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই যে দুটি দলের বিপক্ষে সাকিবরা নিশ্চিত জয়ের টার্গেট করেছিল সেই দুই দলের একটি হলো নেদারল্যান্ডস। প্রথম টার্গেট আফগানিস্তানের সঙ্গে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে। এবার দ্বিতীয় মিশনে নামতে যাচ্ছে টাইগাররা।

 

আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই দল। তবে এই দুই দলের মধ্যে সাক্ষাৎ সেভাবে না হলেও এটা বিশ্বকাপের মঞ্চ এটা নিশ্চয় কেউ ভুলে যাবে না।

নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের তুলনায় কম অভিজ্ঞ। সাফল্যও বাংলাদেশের চেয়ে তলানিতে। বরং, বিশ্ব ক্রিকেটে তরা নবীন। এরই মধ্যে ভারত বিশ্বকাপ আসরে তারা এক অঘটন ঘটিয়ে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিয়েছে। এই বিশ্বকাপের অন্যতম ধারাবাহিক পারফর্ম করা দক্ষিণ আফ্রিকাকে তারা হারিয়ে দিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। একটি ম্যাচেও না হারা প্রোটিয়াদের হারিয়ে দারুণ যন্ত্রণায় ফেলেছিল মিলার, ডি ককদের।

এই বিশ্বকাপে নবীন ডাচদের খুব বেশি পাওয়ার আশা নেই। তাই তাদের হারানোর ভয়টাও খুব কম। বরং, যা কিছু অর্জন হবে সবই তাদের অভিজ্ঞতা ও ডাচ ইতিহাসের খাতায় যোগ হবে। সেজন্য তারা চাপে থাকবে না। বরং, নির্ভার থেকে প্রতিপক্ষ শিবিরে হানা দেবার চেষ্টা করবে। প্রতিপক্ষ কোনও কারণে তাদের ব্যাপারে অসচেতন হলে বা একটু হাল্কাভাবে নিলেই হুল ফুটিয়ে দিতে ছাড়বে না কমলা জার্সিধারীরা।

আর অন্যদিকে বাংলাদেশ অনেক আশা নিয়ে গেছে ভারত বিশ্বকাপে। কিন্তু, ওই শুরুর টার্গেট আফগানদের হারানো ছাড়া আর কোনও দলের বিপক্ষে কোনও সাফল্য পায়নি। বরং, পেয়েছে আর দেখিয়েছে কী করে ধারাবাহিকভাবে হারতে হয় একটি অভিজ্ঞ দলকে নিয়ে। সাকিব-তাসকিনরা আছে জয়ের আশায় আর ডাচরা আছে সুযোগ মতো কামড় দেওয়ার অপেক্ষায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই জয় পাগল বাংলাদেশ অনেক প্রেসার নিয়েই মাঠে নামবে। আর দগদগে স্মৃতি চোখের সামনে ভাসবে এই ডাচরাই দুই ম্যাচ আগে চলতি আসরের সেরা দলকে হারিয়েছে। তাই বাংলাদেশ যে চাপে থাকবে ডাচদের বিপক্ষে তাতো খানিক অনুমেয়।

এ পর্যন্ত বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডস ওয়ানডেতে দুইবার মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু, খুব একটা সুবিধাজনক ফলাফলের কথা বলা যাবে না। প্রথমবার দেখা হয়েছিল ২০১০ সালে ইংল্যান্ডে। সেই প্রথম সাক্ষাতে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল ডাচদের কাছে। ৩০ ওভারের সেই ম্যাচে বাংলাদেশ করেছিল ১৯৯ রান। আর নেদারল্যান্ডস ২৮.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের স্বাদ নেয়। তখন কিন্তু বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া দলই ছিল। আর সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা সেই ম্যাচে স্কোয়াডে ছিলেন।

এরপর ২০১১ বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয়বারের মতো দেখা হয়েছিল। দেশের মাটিতে বাংলাদেশ বাঘ তা কে না জানে? তাইতো বাঘের থাবায় পড়ে ডাচরা ১৬০ রানে গুটিয়ে গেলে সহজেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচেরও জয়ের সাক্ষ্মী রিয়াদ, মুশফিক ও সাকিব।

 

তবে ডাচদের সঙ্গে এই দুই ম্যাচেরই সেরা স্কোরার ছিলেন ইমরুল কায়েস।


ভারত বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ‘ছক্কা’ হাঁকিয়েছে কোন দল?

সময় : 21:42



এই বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ভালো রান আসছে ব্যাটারদের ব্যাটে। এর মূল কারণ ভারতের পিচ ব্যাটিং স্বর্গ। তাইতো নাম করা ব্যাটাররা বিগ হিট খেলছে আর দলকে নিয়ে যাচ্ছে রানের চূড়ায়।

বেশি রান করতে হলে দরকার বিগ হিট। আর বিগ হিট অর্থাৎ ওভার বাউন্ডারিতে কোন দল এগিয়ে? সবচেয়ে বেশি ছয় হাঁকানো ৩টি দল কারা?

 

এই ছয়ের প্রতিযোগীতার তিন নম্বর দলকে দিয়েই শুরু করা যাক।

 

 

অস্ট্রেলিয়াঃ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকানো দলগুলোর মধ্যে ৩ নম্বরে অবস্থান করছে অস্ট্রেলিয়া। অসিরা এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ছক্কা হাঁকিয়েছে ৪১টি। এরমধ্যে মিচেল মার্শ, লাবুশানে, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্ট্রাক, প্যাট কামিন্স ও অ্যাডাম জাম্পা প্রত্যেকেই ৫টি করে ছক্কা হাঁকিয়েছেন।

এছাড়া জোস ইংলিজ ৪টি ও মার্কুস স্টোইনিস ৩টি করে ছক্কা হাঁকিয়েছেন।

 

নিউজিল্যান্ডঃ এখন পর্যন্ত ৫টি ম্যাচ খেলে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকানোর দৌঁড়ে ২য় অবস্থানে আছে নিউজিল্যান্ড। তারা এখন পর্যন্ত ৪২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। এরমধ্যে ড্যারিয়েল মিচেল, ডেভন কনওয়ে, টম ল্যাথাম, গ্লেন ফিলিপ্স, মিচেল স্যান্টনার, মার্ক চাপম্যান ও ম্যাচ হেনরি প্রত্যেকেই ৫টি করে ছক্কা হাঁকিয়েছেন। এছাড়া উইল ইয়ং ৪টি ও কেইন উইলিয়ামসন একটি করে ছক্কা মেরেছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকাঃ সবচেয়ে বেশি ছয় মারার দৌঁড়ে নাম্বার ওয়ানে অবস্থান করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের ব্যাটারদের ব্যাটে ফুলকির মতো রান ঝড়ছে। বড় বড় শট খেলে তারা প্রতিপক্ষের বোলারদের নাজেহাল করে ছাড়ছেন। নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া দুই দলের চেয়ে ছক্কার মারায় অনেক উপরেই আছে দ.আফ্রিকার ব্যাটাররা। তারা এখন পর্যন্ত মোট ছক্কা হাঁকিয়েছে ৫৯টি।

এরমধ্যে ক্লাসেন, মার্করাম, ভ্যান্ডার ডুসেন, মিলার, জনসেন ও মহারাজ ৫টি করে ছক্কা মেরেছেন। আর রিজা হ্যান্ডরিক্স ২টি, বাভুমা ৩টি ও কোটেজ হাঁকিয়েছেন ৪টি ছয়।

 


তাসকিন বললেন সাকিবকে অ্যাপ্রিশিয়েট করা উচিত

সময় : 18:37



মুম্বাই থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ম্যাচ শেষে দল আসে কলকাতায় আর সাকিব আসে বাংলাদেশে। বিপক্ষে ম্যাচ খেলে হুট করেই দেশে ফেরেন সাকিব আল হাসান। দুই দিনে মিরপুরে শৈশবের কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে লম্বা সময় ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, সাকিবের দেশে যাওয়ার খবরটি জানতেন না তার সতীর্থরাও। তাই খারাপ সময় বাংলাদেশে গেলেও সাকিবের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। যদিও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন শুক্রবার দলের পেসার তাসকিন আহমেদ জানিয়েছেন, সাকিবের এমন সিদ্ধান্তকে তারা প্রশংসা করছেন!

 

প্রথমদিন প্রায় তিন ঘণ্টা এবং দ্বিতীয় দিন দুই ঘণ্টা অনুশীলন করে নিজের ভুলগুলো শুধরে নিয়েছেন। সাকিব ব্যাটিংয়ের ছন্দহীন এই বৈশ্বিক আসরে। ভারত বিশ্বকাপে সাকিব ৪ ম্যাচ খেলে যথাক্রমে ১৪, ১, ৪০ ও ১ রান করেছেন। এজন্য প্রিয় কোচের সান্নিধ্য পেতে দেশে ফিরেছিলেন।

 

সাকিবের ঢাকায় ফেরা এবং অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া নিয়ে কোনো আপত্তি তুলছেন না দলের ক্রিকেটাররা। বরং দলের ছুটির দিনে সাকিবের এই প্রচেষ্টাকে অ্যাপ্রিশিয়েট করছে দল। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন তাসকিন আহমেদ। সেখানে সাকিবের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাসকিন বেশ ভালোভাবেই জানালেন, তারা সাকিবের ঢাকা পর্বের অনুশীলন নিয়ে খুশি।

আসলে এটা (তার অনুপস্থিতি) খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। সে যখন ফিরে এসেছে আমরা দলের সবাই খুব ভালো সময় কাটিয়েছি। আসলে সে নিজের কিছু উন্নতির জন্য গিয়েছিল। ব্যাটিং প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করছিল না। এজন্য নির্দিষ্ট কিছু অনুশীলনের জন্য গিয়েছিল যেন আমাদের দলের জন্য ভালো কিছু করতে পারেন। আমি মনে করি, আমাদের এটাকে অ্যাপ্রিশিয়েট করা উচিত।

 

 

 

  


পাকিস্তানের নিয়মিত ধ্বসের আরেকটি প্রদর্শনী, অলআউট ২৭০ রানে

সময় : 18:34



পাকিস্তান যেন এই বিশ্বকাপে ব্যাটিং ধ্বসের বৃত্তে আটকে পড়েছে। ভালো শুরুর পর তাদের ব্যাটিং অর্ডারে পটাপট উইকেট পড়তেই থাকে। রানের গতি ধীর হয়ে যাচ্ছে এবং শেষ পর্যন্ত প্রেডিক্টেট স্কোর আর হচ্ছে না দলটির। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে নিজেদের ৬ষ্ঠ ম্যাচে তারা ২৭০ রানে অল আউট হয়ে যায় ৪৬.৪ ওভারে।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ (৫২ বলে) রান করেন সৌদ শাকিল। এছাড়া অধিনায়ক বাবর আজম করেন ৫০ (৬৫ বলে)।

 

প্রথম পাওয়ার প্লে’তেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় পাকিস্তান। এরপর বাবর আজম ও রিজওয়ান দলকে খানিকটা টেনে নেন সামনে। কিন্তু, দলীয় ৮৬ রানে রিজওয়ান আউট হয়ে যান।

 

তৃতীয় উইকেটে ৪৮ রান যোগ করেন অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। রিজওয়ান মেরে খেলছিলেন। কিন্তু ২৭ বলে ৩১ রানে থাকার সময় তার উইকেটটি তুলে নেন কোয়েতজি। ইফতিখার আহমেদও সেট হয়ে উইকেট দিয়ে আসেন। ৩১ বল খেলে তিনি করেন ২১।

 

 

অধিনায়ক বাবর আজম হাল ধরে ছিলেন। ফিফটিও পেয়ে যান পাকিস্তান দলপতি। কিন্তু হাফসেঞ্চুরি পূরণ হতেই উইকেট দিয়ে আসেন। তাবরেজ শামসির বলে সুইপ খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন বাবর তিনি। ১৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে পাকিস্তান।

 

সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন সৌদ শাকিল। ষষ্ঠ উইকেটে শাদাব খানকে নিয়ে ৮৪ রান যোগ করেন এই ব্যাটার। শাদাব খান ঝোড়ো গতিতে ৩৬ বলে ৪৩ করে আউট হন।

 

এরপর শাকিলও ফিফটি করে সাজঘরে ফিরে যান। ৫২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৫২ রান করে তাবরেজ শামসির ঘূর্ণি বলে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে ধরা পড়েন এই হাফসেঞ্চুরিয়ান।

সেট দুই ব্যাটার ফেরার পর পাকিস্তানের বড় স্কোর গড়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। শেষদিকে মোহাম্মদ নওয়াজ ২৪ বলে ২৪ করলেও ২৭০ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাবরের দল।

 

দক্ষিণ আফ্রিকার লেগস্পিনার তাবরেজ শামসি ৬০ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট। ৩টি উইকেট শিকার মার্কো জানসেনের।

 


আফ্রিকানদের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্যে টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান

সময় : 16:58



আজ শুক্রবার (২৭ অক্টোরব) বিশ্বকাপের ২৬তম ম্যাচে চেন্নাইয়ে এমএ চিদাম্বরম ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে উড়ন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাবর আজমের দল।

দক্ষিণ আফ্রিকা এবারের বিশ্বকাপে উড়ন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে ভালো শুরুর পরও শেষ তিনটি ম্যাচে হেরেই চলেছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের জন্য এই ম্যাচটি টিকে থাকার লড়াই। এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৫টি ম্যাচ খেলে ৪টিতে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে শুধু নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছে দলটি। যা এই বিশ্বকাপের অন্যতম অঘটন।

 

পাকিস্তান একাদশঃ আবদুল্লাহ শফিক, ইমাম-উল হক, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), সৌদ শাকিল, শাদাব খান, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাহীন আফ্রিদি, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, হারিস রউফ

 

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশঃ কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), রাসি ভ্যান ডের ডুসেন, এইডেন মার্করাম, হেনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো জানসেন, জেরাল্ড কোয়েটজি, কেশব মহারাজ, তাবরেজ শামসি, লুঙ্গি এনগিদি।

 


ভারতের বিশ্বকাপে ভালো করার রহস্য আসলে কি?

সময় : 14:22



বিশ্বকাপে বিশ্বের বড় বড় তারকায় ঠাসা থাকে দলগুলো। একেকটা নামের অনেক ভার। তার উপর সবার লক্ষ্য একটাই ওই সোনার কাপটা জয় করতে পারলে অনেক সম্মান। এই সম্মান লাভের চাপেই আসলে পিষ্ট হতে হয় অনেক বড় দলগুলোকেও। তাই চাপ সামলে দল পরিচালনা বড় ব্যাপার।

ভারত কিন্তু চাপ সামলে সাফল্য পেয়ে যায়। এ পর্যন্ত পাঁচে পাঁচ পেয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রোহিত শর্মার দল। আছেন নির্ভার। কারণ, তার সৈন্য সামন্তরা দারুন ছন্দে। আর প্রতি ম্যাচেই কয়েকজন করে ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠছেন। এর পেছনে আসলে অধিনায়কের ভূমিকা কতটুকু?

দল ভালো করতে কোচ ও অধিনায়কের ভূমিকা অনেক। কারণ, একটি দলে একেকজনের একেক দিকে দক্ষতা থাকে। আসলে দলের সাফল্যের নেপথ্যে বার বার একটি কথা আসে তা হলো দলগত সংহতি।

বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচের প্রতিটিতেই জিতেছে ভারত। ব্যাটার থেকে বোলার, প্রত্যেকেই দারুণ পারফর্ম করে যাচ্ছেন। অধিনায়ক রোহিত শর্মাও ভাল খেলছেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রোহিত জানিয়েছেন তিনি কী করে বিশ্বকাপে গোটা দলকে সামলাচ্ছেন? বিশ্বকাপে ভারতের ভালো করার রহস্যটাইবা কোথায়? রোহিত জানিয়েছেন, সবার কথা শোনা এবং নিজেকে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে রেখে দেখার কারণেই বিষয়গুলি বুঝতে সুবিধা হয় তার।

 

বিশ্বকাপের সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে রোহিত বলেছেন, ক্রিকেটারদের সামলাতে হলে সবার আগে সব ক্রিকেটারকে এবং তাদের চাহিদাকে ভাল করে জানতে হবে। ওদের পছন্দ-অপছন্দ জানতে হবে। এটা দলগত খেলা। একজন বা দু’জন কোনও বদল ঘটাতে পারে না। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে।

 

এটাই হলো মূল কথা। কোনও বড় প্রতিযোগীতার আসর জিততে হলে একক প্রচেষ্টায় কিছু হয় না। এজন্য প্রয়োজন দলের প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে। যার যে দায়িত্ব সে অনুযায়ী নিজেদের ভূমিকা পালন করতে হবে।

ক্রিকেটটাতো শুধু শরীরের নয়, মাথার খেলাও বটে। এজন্য মানসিকভাবে ভালো থাকতে হবে। আর সবাইকে ভালো রাখার বড় দায়িত্ব বর্তায় অধিনায়কের উপর।  সবার কথা শুনতে হবে, তাদের চাহিদা বুঝতে হবে এবং, কিভাবে তারা অবদান রাখতে চায় সেসব জেনেই এগোতে হবে।

রোহিত প্রত্যেক খেলোয়াড়ের প্রয়োজন বুঝে নিজেকে সেখানে দাঁড় করান। তারপর সেভাবে তার পদক্ষেপ নেন। এই না হলেন অধিনায়ক! তাহলে সাফল্যের রাস্তা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। টিম বন্ডিং তৈরি করতে হয়। আর সবার সম্মিলিত পারফর্মেন্সের অবদানে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখা যায়।

 

একই জায়গায় বাংলাদেশকে দাঁড় করাই। লিডারশিপটা আসলে কী, কেমন আর কি করেইবা করতে হয়? আসলে সবার আগে অধিনায়ক নয়, আগে নেতা হয়ে উঠতে হয়।


তাসকিন খেলছেন পরের ম্যাচ!

সময় : 22:15



বিশ্বাকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ভরাডুবি তা বলা যায়। এরমধ্যে ইনজুরি প্রবণতা আছে খেলোয়াড়দের মধ্যে। অধিনায়ক সাকিব ভারতের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে পারেননি উরুতে টান পড়ায়। তাসকিনও কাঁধের ইনজুরিতে ভূগছেন। তাই ২ ম্যাচে বাংলাদেশ তার সার্ভিস পায়নি।

কাঁধের চোটে থাকা এই পেসার দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে অনুশীলনে বলই করতে পারছিলেন না। তবে ২৮ অক্টোবর নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে তিনি খেলতে পারেন এমন খবরই জানা গেছে।

 

আজ (বৃহহস্পতিবার) কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বল হাতে অনুশীলন করতে দেখা গেছে তাসকিনকে। তাসকিন অনেক দিন ধরেই বল হাতে ছন্দে আছেন। উইকেটও পাচ্ছেন। বলে ভালো বৈচিত্র এনেছেন। তবে এই বিশ্বকাপে পেস বোলিং ইউনিট খুব একটা ছন্দে নেই। এই অবস্থায় তাসকিনের একাদশে ফেরাটা আনন্দের সংবাদই বটে টাইগার শিবিরে। কলকাতায় আজ পুরোদমে বোলিং-ফিল্ডিং অনুশীলন করেছেন  তাসকিন।

 

এসময় নেটে ব্যাট করতে থাকা মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজদের লম্বা সময় ধরেই বল করেছেন তাসকিন। পরে ফিল্ডিং অনুশীলনে অনেক উঁচুতে ওঠা ক্যাচ নিতেও দেখা যায় তাকে। পুরো ফিট তাসকিনকে দেখে আশা করাই যায় ডাচদের বিপক্ষে তাকে পাওয়া যাচ্ছে।

 

 

 

আগামী শনিবার (২৮ অক্টোবর) কলকাতায় জয়ের ধারায় ফেরার লক্ষ্যে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত তারা পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে।

 


আজ সাকিব গেলেন, আগামীকাল যাবেন পাপন

সময় : 21:47



সাকিবের পরিকল্পনা ছিল ঢাকায় তিন দিন অনুশীলন করে তারপর কলকাতায় যাবেন ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায়। পরবর্তীতে কাপ্তান সাকিব তার পরিকল্পনা পরিবর্তন করে আজ (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার ফ্লাইটে কলকাতায় চলে গেছেন। কাল (২৭ অক্টোবর) দলের সঙ্গে ইডেন গার্ডেনে অনুশীলন করবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

 

তার আগে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো নাজমূল আবেদীনের সঙ্গে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে কাজ করেছেন।

মুম্বাই থেকে কাল বাংলাদেশ দল কলকাতায় গেলেও সাকিব এদিন সকালেই চলে আসেন ঢাকায়। উদ্দেশ্য নাজমূল আবেদীনের সঙ্গে নিজের ব্যাটিংয়ের সমস্যা নিয়ে কাজ করে দুটি দিন কাজে লাগানো। কলকাতায় কাল বাংলাদেশ দল অনুশীল