ইনসাইড বাংলাদেশ

গুম নিয়ে চাপে সরকার

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail গুম নিয়ে চাপে সরকার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের রেশ কাটতে না কাটতেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে। তারা বলেছে যে, মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে বাংলাদেশের কোন ব্যবস্থা গ্রহণের ইচ্ছাই নেই। এই প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এর আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। কিন্তু হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই প্রতিবেদনটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, এখন গুম নিয়ে সরকারকে চাপে ফেলার একটা কৌশল প্রকাশ্য রূপ ধারণ করেছে। দেশে সুশীল সমাজের একটি অংশ এবং বিদেশে লবিস্ট, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে গুমের বিষয়টিকে সামনে এনে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, এমন একটি প্রচারণা এখন দৃশ্যমান। এই প্রচারণার মূল লক্ষ্য হলো, সরকারকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসেবে চিহ্নিত করা এবং আগামী নির্বাচনে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গোষ্ঠীর প্রভাব বিস্তার নিশ্চিত করা। বিশেষ করে বিএনপি এবং কয়েকটি রাজনৈতিক দল যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করছে সেই দাবিটিকে সামনে আনার জন্যই গুম নাটক সাজানো হচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয় ইত্যাদি প্রচার করতে পারলে আগামী নির্বাচনে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে হতে পারে। ইতিমধ্যে এরকম একটি দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের কাছে দেয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

যখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গুম নিয়ে সরকারকে চাপে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে তখন বাংলাদেশেও সুশীল সমাজ নিয়ন্ত্রিত একটি দৈনিকে গুম ব্যক্তিদের বাড়ি যাচ্ছে পুলিশ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গুম হওয়া ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে তাদের স্বজনদের জেরা ও চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে, কাউকে কাউকে থানায় ডেকে পাঠানো এবং ক্ষেত্র বিশেষে সাদা কাগজে সই দিতে চাপ দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। আর এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই ‘মায়ের ডাক’ ও আইন সালিশ কেন্দ্র পৃথক পৃথক বিবৃতি দিয়েছে।

লক্ষণীয় যে, বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচারিত হয় সেই ঘটনাগুলো উৎসভূমি হলো বাংলাদেশই। প্রথমে সুশীল সমাজ নিয়ন্ত্রিত জাতীয় একটি বাংলা এবং ইংরেজি দৈনিকে এ সংক্রান্ত খবরগুলো প্রকাশিত হয়। এর পরপরই এই প্রতিবেদনের আলোকে দেশীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিবৃতি দেয় এবং এই বিবৃতির পরপরই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন সেটি লুফে নেয় এবং সেটি বিভিন্ন দেশের প্রদান করে।

বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে ৮৭ জন গুম হয়েছে, এই ৮৭ জন্যের একটি তালিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন সরকারের কাছে দিয়েছে। কিন্তু সরকারের কোন কোন মহলের অদক্ষতা, দায়িত্বহীনতা এবং অনাগ্রহের কারণে এর জবাব দেওয়া হয়নি। এর মাত্র ৭ জনকে জবাব দেওয়া হয়েছে। এখন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুম হওয়া ব্যক্তিদের সম্বন্ধে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য তাঁদের বাড়িতে যাচ্ছেন এবং এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার কাজটা করছেন যেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই সংক্রান্ত সঠিক তথ্য দেয়া হয়। বাংলাদেশে যাদেরকে গুম বলা হচ্ছে তারা আসলে নিখোঁজ এবং বিভিন্ন কারণেই মানুষ নিখোঁজ হয়। শুধু বাংলাদেশে নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছিল। বাংলাদেশের কোন ব্যক্তি নিখোঁজ হলে তাকে গুম বলে প্রচারিত করা একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই নিখোঁজ ব্যক্তিরা নানা কারণে নিখোঁজ হন।

বাংলাদেশে মোটদাগে পাঁচটি কারণে মানুষ নিখোঁজ হন। প্রথমত, দায়-দেনা পরিশোধে অক্ষমতার কারণে আত্মগোপন করেন এবং নিখোঁজ হন। দ্বিতীয়ত, প্রতিপক্ষের মামলা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এড়ানোর জন্য নিখোঁজ হন। তৃতীয়ত, জঙ্গিবাদ বা কোন সংগঠনে যোগদানের জন্য নিখোঁজ হন। চতুর্থত, অভিবাসী হওয়ার জন্য নিখোঁজ হন। পঞ্চমত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তারা আটক হন। কিন্তু যেকোনো নিখোঁজই গুম বলে প্রচারের যে প্রবণতায় সে প্রবণতা বাংলাদেশের ওপর একটি চাপ সৃষ্টি করছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশন, তথ্য অধিকার কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না বলেই পরিস্থিতি ক্রমশ নেতিবাচক হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত এবং সঙ্ঘবদ্ধ প্রচারণা। দেশের একটি গোষ্ঠী এই প্রচারণার মূল নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

যুক্তরাষ্ট্র   গুম   হিউম্যান রাইটস ওয়াচ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রেনের টিকিট কিনতে এক ঘণ্টায় ২ কোটি হিট

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ দিনের মতো অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হয়। এদিন বিক্রি শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটে রেকর্ড ১ কোটি ৩০ লাখ বার টিকিট কাটার জন্য ওয়েবসাইটে চেষ্টা (হিট) চালানো হয়েছে। প্রথম ১ ঘণ্টায় ২ কোটির মতো হিট হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের জন্য) ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়া হয়। প্রথম ১৫ মিনিটে ৭ হাজার ১৯৪টি টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। আধা ঘণ্টায় বিক্রি হয় ১২ হাজার ৭৮৩টি টিকিট। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নির্ধারিত প্রায় সব টিকিট শেষ হয়ে যায়।

বেলা ২টা থেকে রেলের পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের টিকিট বিক্রি হবে। এ অঞ্চলের জন্য টিকিট ছাড়া হবে ১৬ হাজার ৬৯৬টি।

রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, এদিন পূর্বাঞ্চলের টিকিটের চাহিদাও খুব বেশি থাকবে। আগামীকাল সর্বশেষ দিন ৯ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।

ট্রেনের টিকিট   অগ্রিম টিকিট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বিএসএমএমইউ'র নবনিযুক্ত উপাচার্যের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর নব নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করেন তিনি। মোনাজাত শেষে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য।

এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডীন  অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আলী আসগর মোড়ল, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক ও বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক দীন ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। তাকে ব্যান্ড বাজিয়ে, নেচেগেয়ে, ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক   বিএসএমএমইউ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজার আমন্ত্রণে ভুটানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের আমন্ত্রণে ভুটান সফর করছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ভুটানের মহামহিম রাজার সফরসঙ্গী হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে ভুটান যান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

এদিন ভুটানের দক্ষিণাঞ্চলীয় গেলেফু সিটিতে অবস্থান করেন ভুটানের রাজা ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। সেখানে অবস্থানকালে ভুটানের রাজা বেশকিছু সময় ধরে প্রতিমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গেলেফু সিটি ঘুরে দেখান এবং সেখানে শান্তিপূর্ণ, পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যমণ্ডিত আইকনিক সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গেলেফু সিটি থেকে ভুটানের রাজার সঙ্গে বিমানযোগে ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তথ্য প্রতিমন্ত্রী। বিমানবন্দরে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে স্বাগত জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়।

পরে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে যান ভুটানের রাজা এবং বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। ভুটান সফর শেষে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

রাজার ভুটান   ভুটান   তথ্য প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ আলী আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লিবিয়ায় চার বাংলাদেশি জিম্মি, নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।       

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। 

অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে। 

‌স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


লিবিয়া   বাংলাদেশি   জিম্মি   নির্যাতন   ভিডিও   মুক্তিপণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দেন’

প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ইস্যুতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ বা অতি-সক্রিয়তাকে ভারত যে মোটেই পছন্দ করছে না, বাইডেন প্রশাসনের কাছে দিল্লি এটা স্পষ্ট করে দেওয়ার পরেই ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে কার্যত আত্মগোপনে চলে যেতে হয়েছিল! 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকালে দিল্লির থিংক ট্যাংক ‘অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনে’ (ওআরএফ) নিজের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন ভারতের সাবেক শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক ও ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাই কমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে একটি প্রশ্নের জবাবে পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি—ভারতের পক্ষ থেকে তখন এই কড়া বার্তাটা যুক্তরাষ্ট্রকে শুনিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার পরিণতিতে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত, যিনি তার কিছু দিন আগেও অমুক বিএনপি নেতাকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে ডেকে আনছিলেন বা তমুক বিএনপি নেতার বাসায় গিয়ে হাজির হচ্ছিলেন– তাকে আর ভোটের সময় দেখাই গেল না! কোথায় যে তিনি গা ঢাকা দিলেন সেটা তিনিই জানেন!’  

গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বলা যায় কিনা, এমন একটি প্রশ্নের জবাবে পিনাক বলেন, কোনো দল যদি নিজেদের সিদ্ধান্তে নির্বাচনে না অংশ নেয়, তা হলে তার জন্য বিজয়ী দলকে দোষারোপ করা সাজে না।

পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের ভারতেও হামেশাই দেখা যায় যে, দল জানে তারা ভোটে হারবে, তারা অনেক আগে থেকে বলতে শুরু করে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটযন্ত্র) কারচুপি করা হচ্ছে। কাজেই তাদের অজুহাতের অভাব হয় না।’

অনুষ্ঠানে অন্যতম আলোচক, সাবেক ভারতীয় কূটনীতিবিদ ও ঢাকায় সাবেক হাইকমিশনার বিনা সিক্রি বলেন, তার মূল্যায়ন হলো যুক্তরাষ্ট্র আসলে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীকে একটি ‘মডারেট’ (মধ্যপন্থি) ইসলামপন্থি দল হিসেবে বিবেচনা করে এবং তাদের কোনো ধারণাই নেই যে, জামায়াতের চিন্তা-চেতনা ও কর্মকাণ্ড কতটা উগ্রবাদী। বিনা সিক্রি মনে করেন, এই ‘ভুল ধারণা’র ভিত্তিতেই জামায়াত ও তাদের রাজনৈতিক সঙ্গী বিএনপি আমেরিকার কাছ থেকে প্রশ্রয় পেয়ে আসছে।

এই প্রসঙ্গে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করে পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, তিনি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রও আসলে জানে জামায়াতের প্রকৃত রূপটা কী। কিন্তু সেই একাত্তর থেকে আওয়ামী লীগের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে বিদ্বেষমূলক একটা মনোভাব ছিল, তার প্রতিফলন আজও রয়ে গেছে। এ কারণেই ওয়াশিংটন আজ অর্ধশতাব্দী বাদেও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের তোল্লাই দিয়ে যাচ্ছে।

এদিনের আলোচনায় আরও অংশ নেন বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এবং ওআরএফ কলকাতার পরিচালক অনুসুয়া বসুরায় চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন ওআরএফ দিল্লির সিনিয়র ফেলো তথা স্ট্র্যাটেজিক বিশ্লেষক সুশান্ত সারিন।

পিটার হাস   নির্বাচন   মার্কিন রাষ্ট্রদূত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন