ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের আশা জাগিয়েও পারল না আয়ারল্যান্ড

প্রকাশ: ০৯:২২ এএম, ২৯ জুন, ২০২২


Thumbnail ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের আশা জাগিয়েও পারল না আয়ারল্যান্ড

দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে এক অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেও জয়ের আশা জাগিয়ে জিততে পারলো না আয়ারল্যান্ড। হারলো মাত্র ৪ রানে। এর ফলে ভারত দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজ জিতে নিলো ২-০ ব্যাবধানে।  

মঙ্গলবার (২৮ জুন) ম্যালাহাইডে দা ভিলেজে অবিশ্বাস্য এক জয়ের আশা জাগিয়েও ভারতের বিপক্ষে পারল না তারা।

শেষ ম্যাচের রঙ পাল্টেছে বার বার। শেষ ওভারের প্রথম ৩ বল থেকে এলো ৯ রান। শেষ ৩ বলে সমীকরণ দাঁড়াল ৮ রান। মহাগুরুত্বপূর্ণ সেই সময়ে দেখা গেল অন্য এক উমরান মালিককে। এতক্ষণ অকাতরে রান বিলানো গতিময় পেসার মাথা খাটিয়ে বোলিং করে দিলেন কেবল ৩ রান। নখকামড়ানো উত্তেজনার ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের জন্য শেষটা হলো হতাশার। 

দিপক হুডার প্রথম সেঞ্চুরি ও সাঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে তার বিশ্ব রেকর্ড গড়া জুটির সৌজন্যে ৭ উইকেটে ২২৫ রান করে ভারত। ব্যাটারদের মিলিত অবদানে ৫ উইকেটে ২২১ পর্যন্ত যায় আয়ারল্যান্ড।
 
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের প্রথম বলেই স্যামসনের বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করে ভারত। তৃতীয় ওভারে ইশান কিষান ফিরে গেলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। পঞ্চম ওভারে রিভিউ নিয়ে বাঁচেন হুডা, সে সময় তার রান ছিল ১৪। এরপর বোলারদের উপর চড়াও হন তিনি। পিছিয়ে থাকেননি স্যামসনও। পাওয়ার প্লেতে ইশানের উইকেট হারিয়ে ভারত তোলে ৫৪ রান। এরপর কমতে বসে রানের গতি। ব্যাক্তিগত ৩৩ রানে পল স্টার্লিংয়ের হাতে জীবন পান হুডা। পরে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে দুই ছক্কায় উড়িয়ে পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলেন তিনি, ২৭ বলে।

ক্যারিয়ারের প্রথম পঞ্চাশের পর বোলারদের উপর আরও চড়াও হন তিনি। সে সময় খুব একটা স্ট্রাইক-ই পাচ্ছিলেন না স্যামসন। শেষ পর্যন্ত ত্রয়োদশ ওভারে তিনিও পা রাখেন পঞ্চাশে, ৩১ বলে। ২০১৫ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর দেশের হয়ে এটাই তার প্রথম পঞ্চাশ। ফিফটির পর ডেলানিকে টানা দুই ছক্কায় ওড়ান স্যামসন। পরে মার্ক অ্যাডায়ারকে ফ্লিক করে ওড়ান ছক্কায়। পরের বলেই বোল্ড হয়ে থামেন তিনি। ভাঙে ৮৭ বল স্থায়ী ১৭৬ রানের জুটি। ভারতের হয়ে যে কোনো উইকেটে এটি সর্বোচ্চ জুটি। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় উইকেটে এটি সেরা। ৪ ছক্কা ও ৯ চারে স্যামসন ৪২ বলে করেন ৭৭।


রেকর্ড জুটির পর নিয়মিত উইকেট হারায় ভারত। এর মধ্যে ৫৫ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান হুডা। এরপর আর এগোতে পারেননি বেশিদূর। ভারতের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করে থামেন ১০৪ রানে। তার ৫৭ বলের ইনিংস গড়া ৬ ছক্কা ও ৯ চারে। শেষ দিকে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পান দিনেশ কার্তিক, আকসার প্যাটেল ও হার্শাল প্যাটেল। ৯ বলে দুই চারে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া।

পাহাড় ডিঙানোর চ্যালেঞ্জে ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম দুই বল ডট খেলার পর ছক্কা ও তিন চার হাঁকিয়ে ডানা মেলেন স্টার্লিং। ১৮ রানের ওভার দিয়ে শুরু হয় আয়ারল্যান্ডের রান তাড়ার অভিযান। অন্য প্রান্তে তাকে সঙ্গ দিয়ে যান এ্যান্ডি বালবার্নি। ৪ ওভারেই জুটি ও দলের রান ছুঁয়ে ফেলে পঞ্চাশ। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে ছক্কা হজম করেন রবি বিষ্ণইও। পরে তিনিই ভাঙেন আইরিশদের শুরুর জুটি। চমৎকার এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন স্টার্লিংকে। ১৯ বলে তিন ছক্কা ও পাঁচ চরে ৪০ রান করেন বিস্ফোরক এই ওপেনার। তার বিদায়ে ভাঙে ৩৫ বল স্থায়ী ৭২ রানের জুটি। এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার সরাসরি থ্রোয়ে শূন্যতে ডেলানি রান আউট হয়ে ফেরেন। পরের বলেই উমরানকে ছক্কায় ওড়ান বালবার্নি। পরের ওভারে গতিময় পেসারকে ছক্কা মারার পর হাঁকান চার। ইনিংসে এটাই তার প্রথম চার, ততক্ষণে ছক্কা হয়ে গেছে ছয়টি।

৯ ওভারেই তিন অঙ্ক স্পর্শ করে আয়ারল্যান্ডের রান। মূলত বাউন্ডারিতে এগোনো বালবার্নি পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ৩৪ বলে, সিঙ্গেল নিয়ে। পরের ওভারে হার্শালকে চারের পর মারেন ছক্কা। পরের বলেই অবশ্য ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক। ৩৭ বলে সাত ছক্কা ও তিন চারে তিনি করেন ৬০ রান। তখনও স্বাগতিকদের প্রয়োজন ৫৭ বলে ১০৯ রান। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা হ্যারি টেক্টর তখনও শান্ত। প্রথম ১০ বলে তিনি করেন ১০ রান। এরপর তিন বলের মধ্যে বিষ্ণইকে দুটি চার মেরে মনোযোগ দেন রানের গতি বাড়ানোয়। নিজের তৃতীয় ওভারে প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেটের স্বাদ পান উমরান। গতিময় এই পেসার বিদায় করেন লর্কান টাকারকে।

ছক্কায় রানের খাতা খোলার পর তিন বলের মধ্যে বিষ্ণইকে দুই চার মেরে আয়ারল্যান্ডকে কক্ষপথে রাখেন জর্জ ডকরেল। পরে হার্শালকে দুটি ছক্কায় উড়িয়ে লক্ষ্যটা আরও কাছে নিয়ে আসেন তিনি। শেষ ৩ ওভারে আইরিশদের প্রয়োজন ছিল ৩৮ রান। ১৮তম ওভারে টেক্টরকে ফিরিয়ে ২১ বল স্থায়ী ৪৭ রানের জুটি ভাঙেন ভুবনেশ্বর। তাকে ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন টেক্টর। পাঁচ চারে তিনি ২৮ বলে করেন ৩৯। সেই ওভারে শেষ বলে চার মেরে একটু হলেও আশা বাঁচিয়ে রাখেন ডকরেল। 

রান উৎসবের ম্যাচে শেষ ২ ওভারে ৩১ রান অসম্ভব কিছু তো নয়। ১৯তম ওভারে হার্শালকে চারের পর ছক্কায় ওড়ান অ্যাডায়ার। উজ্জ্বল হয়ে ওঠে আয়ারল্যান্ডের আশা। ওভার থেকে আসে ১৪ রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। উমরানের ‘নো’ বল আর অ্যাডায়ারের দুই বাউন্ডারির সুবাদে প্রথম ৩ বলে আসে ৯ রান। এরপরের কাজটা খুব অসম্ভব কিছু ছিল না। কিন্তু উমরানের মাথা খাটিয়ে বোলিংয়ে আর পেরে ওঠেনি আয়ারল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: ২০ ওভারে ২২৫/৭ (স্যামসন ৭৭, ইশান ৩, দিপক ১০৪, সূর্যকুমার ১৫, পান্ডিয়া ১৩*, কার্তিক ০, আকসার ০, হার্শাল ০, ভুবনেশ্বর ১*; অ্যাডায়ার ৪-০-৪২-৩, লিটল ৪-০-৩৮-২, ইয়াং ৪-০-৩৫-২, ডেলানি ৪-০-৪৩-০, উলফার্ট ৩-০-৪৭-০, ম্যাকব্রাইন ১-০-১৬-০)

আয়ারল্যান্ড: ২০ ওভারে ২২১/৫ (স্টার্লিং ৪০, বালবার্নি ৬০, ডেলানি ০, টেক্টর ৩৯, টাকার ৫, ডকরেল ৩৪*, অ্যাডায়ার ২৩*; ভুবনেশ্বর ৪-০-৪৬-১, পান্ডিয়া ২-০-১৮-০, হার্শাল ৪-০-৫-১, বিষ্ণই ৪-০-৪১-১, উমরান ৪-০-৪২-১, আকসার ২-০-১২-০)

ফল: ভারত ৪ রানে জয়ী

সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ভারত ২-০তে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: দিপক হুডা

ম্যান অব দা সিরিজ: দিপক হুডা



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মাঠে ফেরা নিয়ে শঙ্কিত জোফরা আর্চার!

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ঘরের মাঠে ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। যেখানে নির্ধারিত ৫০ ওভারের খেলায় ড্র হওয়ায় সুপার ওভারে গড়ায় শিরোপার লড়াই। আর সেই সুপার ওভারেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে শিরোপার স্বাদ দেন জোফরা আর্চার। আর সেই থেকেই স্পট লাইটে আসেন তিনি।

তবে এই গতি তারকা সর্বশেষ টেস্টে মাঠে ছিলেন ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সে সময়ে ইনজুরিতে হুমকির মুখে পড়ে তার ক্যারিয়ার এবং ডানহাতের কনুইতে চিড় ধরায় গত বছরের পুরো ঘরোয়া মৌসুমেই খেলতে পারেননি সাসেক্সের এই পেসার।

এবার ইঞ্জুরি কাটিয়ে আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে মাঠে ফেরার প্রত্যাশা ডানহাতি এই পেসারের। তবে আর্চার মনে করেন, আরও একটি স্বপ্ন ভঙ্গের ফলে যে মানসিক এবং শারীরিক ধাক্কা আসবে, সেটি মানিয়ে নেওয়া কঠিন হবে।

ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করার মানসিকতা থাকলেও আর্চারের দাবি, ‘আমি জানি না, আমাকে আরও এক বছর যাওয়া-আসার মধ্যে থাকতে হবে কি-না।’

ফোরকাস্টস অ্যাথলেট ভয়েস পডকাস্টে আর্চার বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি জানি না আমার জন্য আরও এক যাওয়া-আসার বছর আছে কি না। এটা সত্যি যে আমি জানি না আরও এক বছর আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি পুরো এক বছর ক্রিকেট থেকে দূরে আছি। গত বছর জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত খেলেছিলাম। আমার মনে হয়, আগের বছর সাসেক্সের হয়ে এক বা দুটি ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু আমি পুরো বছর খেলেনি।’

এই মাসের শুরুর দিকে ইংল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান রব কি জানিয়েছেন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলবেন না আর্চার। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই আর্চারের মূল্য লক্ষ্য।

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে আর্চার বড় ভূমিকা রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তার খেলার সম্ভাবনা এখনও ক্ষীণ।

আর্চারের ভাষ্য, ‘জুন মাসের প্রথম ম্যাচে আমি সত্যিই দলে থাকতে চাই। গত দুই বছর দলে যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলাম। আমি মনে করি, সবাই এই বিষয়টিকে সহজভাবেই নিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও আমি সত্যিই এটি নিয়ে ভাবতে চাই না। কোনো কারণে বিশ্বকাপে খেলতে না পারলেও, এখনও টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট ও দ্য হান্ড্রেড আছে।’


জোফরা আর্চার   ইংল্যান্ড   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিটনেসের অংশ হিসেবে ১৬০০ মিটার দৌড়ে সেরা দুই পেসার

প্রকাশ: ০৩:৩৪ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আর কিছুদিন পরেই টাইগারদের ঘরের মাঠে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের পাঁচ ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজ আসন্ন  টি-২০ বিশ্বকাপের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করছেন ক্রীড়া বিশ্লেষকরা। আর তাই টাইগাররা বেশ ভালোভাবেই নজর দিচ্ছেন এই সিরিজের দিকে।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের পাশাপাশি আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা করেছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। যার অংশ হিসেবে শনিবার (২০ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৬০০ মিটার দৌড়েছেন জাতীয় দলের বিবেচনায় থাকা প্রায় ৩৫ ক্রিকেটার। বিসিবির ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স অ্যাসেসমেন্টের রানিং প্রতিযোগিতায় দুই গ্রুপ থেকে সেরা হয়েছেন দুই পেসার।

এক গ্রুপে প্রথম হয়েছেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। আরেক গ্রুপে সবার আগে দৌড় শেষ করেন তানজিম হাসান সাকিব। চমক দেখিয়েছেন বর্তমান দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। সিনিয়র ক্রিকেটার হয়েও তরুণদের সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিয়ে এক গ্রুপের দ্বিতীয় হয়েছেন তিনি।

বর্তমান দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার সিনিয়র ৩৮ পেরুনো মাহমুদউল্লাহ দৌড় শেষ করেছেন সবার শেষে। ফিটনেস সেশন শেষে ট্রেনার ইফতেখার ইসলাম ইফতি জানান, ডিপিএল-বিপিএলের পর ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা বুঝার জন্যই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই পরীক্ষার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের অবস্থাটা কেমন সেটা বুঝলাম। এটার মধ্যে পাশ-ফেলের কিছু নেই। ডিপিএল গেছে, বিপিএল গেছে। এরপর ওদের ফিটনেসের অবস্থা কি সেটা জানার জন্য এই উদ্যোগ। এটা জানার পর খেলোয়াড়দের কাকে কি অনুশীলন করাতে হবে এটা খুঁজে বের করব। ওদের জানিয়ে দেব, ওভাবে আমরা প্রয়োগ করব।’


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-২০ সিরিজ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলে এক ম্যাচে দুই দলের অধিনায়কেরই জরিমানা

প্রকাশ: ০৩:০৫ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জমে উঠেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর। মাঝ পর্যায়ে এসে সব দলের লড়াই চলছে হাড্ডাহাড্ডি। কেউ কাউকে ছাড় দিয়ে কথা বলছে না।

আইপিএলে এবারের আসরে শুরু থেকে বেশ ভালো অবস্থানে ছিল চেন্নাই সুপার কিংস। ব্যাটিং-বোলিং সবদিক থেকেই বেশ ব্যালেন্সড টিম গঠন করেছিল এবার তারা। তবে গতকাল প্রতিপক্ষ লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মাঠে খেলতে নেমে কোনো পাত্তাই পায়নি ধোনি-মুস্তাফিজরা। তার ওপর ‘বাড়তি পাওনা’ হিসেবে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় পেয়েছেন আর্থিক শাস্তি।

অবশ্য কেবল চেন্নাই নয়, ম্যাচজয়ী লখনৌও একই জরিমানার অধীনে পড়েছে। স্লো ওভার রেটের কারণে স্বাগতিক অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকেও জরিমানা করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ে ওভার শেষ করতে না পারায় একই ম্যাচের দুই অধিনায়কই জরিমানা গুনলেন।

এদিন লখনৌর একানা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ব্যাপক দাপট দেখিয়ে জিতেছে। শুরুতে ব্যাট করে মুস্তাফিজুর রহমানের চেন্নাই ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তোলে। রানতাড়ায় ব্যাট করতে নেমে লখনৌ ১৯ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচটি জিতে নেয়। অধিনায়ক রাহুল দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে সামনে থেকে জয় উপহার দিয়েছেন। সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস খেলেন রাহুল।

তবে ঘরের মাঠে জয় পেলেও, স্লো ওভার রেটের কারণে জরিমানার মুখে পড়তে হচ্ছে এই লখনৌ অধিনায়ককে। আইপিএলের কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘন করেছে লখনৌ ও চেন্নাই উভয় শিবিরই। এক্ষেত্রে দলগত অপরাধের শাস্তি পেতে হয় দুই অধিনায়ক রাহুল ও গায়কোয়াড়কে। কারণ মাঠে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে অধিনায়কদের ভূমিকাই প্রধান হয়ে থাকে। এক বিবৃতিতে দুজনের শাস্তির কথা নিশ্চিত করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।

প্রথমবার আইপিএলের আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য রাহুল ও গায়কোয়াড়কে ভারতীয় মুদ্রায় ১২ লাখ রুপি করে জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারিও পেয়েছেন তারা। টুর্নামেন্টের বাকি অংশে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হলে এই শাস্তির পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হবে।

আইপিএলের আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রথমবার স্লো ওভার রেটের দায়ে পড়লে শুধুমাত্র অধিনায়কের ১২ লাখ রুপি জরিমানা হয়। এক মৌসুমে দ্বিতীয়বার এই ভুলের জন্য দলনেতাকে ২৪ লাখ রুপি জরিমানা দিতে হয় এবং ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়সহ দলের বাকিদের জরিমানা হয় ৬ লাখ রুপি করে অথবা ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ অর্থ। তৃতীয়বার একই অপরাধ করলে অধিনায়ককে ৩০ লাখ রুপি জরিমানার পাশাপাশি এক ম্যাচেও নিষিদ্ধ হতে হবে। সেই সঙ্গে দলের বাকিদের জরিমানা হয় ১২ লাখ রুপি করে বা ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ অর্থ।


আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস   লখনৌ সুপার জায়ান্টস   ঋতুরাজ   লোকেশ রাহুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইউরোপা লিগের সেমির পূর্বে নিষেধাজ্ঞায় মার্টিনেজ

প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক শিরোপাখরা কাটানোর অন্যতম নায়ক তিনি। তবে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক খেলায় নয়, ক্লাব ফুটবলেও দিনের পর দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছেন এমি।

দুইদিন পূর্বেই উয়েফা ইউরোপা কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে লিলের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটিতে অ্যাস্টন ভিলার জয়ের নায়ক ছিলেন এমি। টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই অর্জেন্টাইনের।

যার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সেমি ফাইনালের টিকিট পেয়েছিল অ্যাস্টন ভিলা, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকেই পাচ্ছে না দলটি। আগামী ২ মে গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচটিতে খেলতে পারবেন না মার্টিনেজ।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই গোলকিপারকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে উয়েফা। কারণ, কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে তিনটি হলুদ কার্ড দেখেছেন তিনি।

গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দুবার হলুদ কার্ড দেখেন মার্টিনেজ। প্রথমবার ম্যাচের ৩৯ তম মিনিটে তাকে হলুদ কার্ড দেন রেফারি। এরপর ম্যাচ ট্রাইব্রেকারে গড়ালে সেখানেও হলুদ কার্ড পান মার্টিনেজ।

সবমিলিয়ে মার্টিনেজ ম্যাচে দুটি হলুদ কার্ড দেখার পরও লাল কার্ড দেখাননি রেফারি। কারণ উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচের নিয়মিত সময়ে দেখা হলুদ কার্ড টাইব্রেকারের সময়ের দেখা হলুদ কার্ডের সঙ্গে যোগ হয় না। তবে এটা আবার সামগ্রিক কার্ড দেখার হিসেবে যোগ হয়। তাই লাল কার্ড না পেলেও, ঠিকই নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন।

সেমি ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে খেলতে না পারলেও দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মাঠে নামতে পারবেন মার্টিনেজ।


এমি মার্টিনেজ   আর্জেন্টিনা   ফুটবল   ইউরোপা লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

গুঞ্জন উড়িয়ে জার্মানির সাথে নাগলসমানের চুক্তি নবায়ন

প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বেশ কিছুদিন ধরেই ফুটবল পাড়ায় গুঞ্জন চলছে যে, আসন্ন ইউরো শেষেই জার্মানির প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়ছেন ইউলিয়ান নাগলসমান। শুধু তাই নয়, এমনও শোনা যাচ্ছিল যে, তিনি আবারও ফিরবেন তার পুরোনো ঠিকানায়। তবে এবার সব জল্পনা-কল্পনা শেষে আবারও জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের (ডিএফবি) সঙ্গে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এ কোচ।

জাতীয় দলের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত নাগলসমান। জাতোয় দলের সঙ্গে কাজ করাটা কতটা উপভোগ করেন তিনি, তা বুঝাতে গিয়ে এই কোচ বলেছেন—সিদ্ধান্তটা মাথা দিয়ে নয়, হৃদয় থেকে নিয়েছেন।

ডিএফবির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পর নাগলসমান বলেছেন, ‘সিদ্ধান্তটা হৃদয় থেকে নিয়েছি। জাতীয় দলকে প্রশিক্ষণ দিতে পারা এবং দেশের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। দারুণ পারফর্ম করে সাফল্য পাওয়ার মাধ্যমে পুরো দেশকে অনুপ্রাণিত করার সুযোগ আমাদের আছে।’

গত বছরের সেপ্টেম্বরে হানসি ফ্লিককে বরখাস্ত করে নাগলসমানকে দায়িত্ব দেয় ডিএফবি। প্রাথমিকভাবে ফেডারেশনের সঙ্গে ২০২৪ ইউরো পর্যন্ত চুক্তি ছিল। তার অধীনে এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলেছে জার্মানি। জিতেছে ৩টি, হেরেছে ২টি ও ড্র করেছে ১টি ম্যাচ। ৩ জয়ের মধ্যে সর্বশেষ ২টি আবার দুই পরাশক্তি নেদারল্যান্ডস ও ফ্রান্সের বিপক্ষে।

শিষ্যদের এমন পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে কোচকে। নাগলসমান বলেন, ‘মার্চে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় দুটি সত্যিই আমাকে ছুঁয়ে গেছে। আমরা নিজেদের মাঠে সাফল্যমণ্ডিত ইউরো খেলতে চাই। আমি এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছি এবং (এরপর) আমার কোচিং দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ নেওয়ার অপেক্ষায় থাকব।’


নাগালসমান   জার্মানি ফুটবল ফেডারেশন   ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন