চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ডিসি মোহাম্মদ মমিনুর রহমান প্রথম আলো
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যবসায়ী তারেক জিয়া বিএনপি সরকার আইএমএফ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
কোন অঘটন না
ঘটলে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি
হতে যাচ্ছেন। সরকারের নীতিনির্ধারক মহল এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে একাধিক
দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য যে,
বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ আগামী এপ্রিলে শেষ হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন
ইতোমধ্যে ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখ ভোটের দিন রেখে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের
তফসিল ঘোষণা করেছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীরা ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা
থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি যাচাই বাছাইয়ের
পর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।
মনোনয়ন জমা
দেয়ার পর পরই নতুন রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ আওয়ামী লীগ ছাড়া
অন্য কোন রাজনৈতিক দল এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না। যেহেতু ৩৪৩ জন
সংসদ সদস্যের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে এবং সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা
রয়েছে, কাজেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ
ড. মসিউর রহমানকে চূড়ান্ত করেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মসিউর রহমান
একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক বিষয়ক
উপদেষ্টা। মসিউর রহমান একজন সিএসপি কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয়
সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ছিলেন।
সরকারি চাকরি
থেকে অবসরের পর মসিউর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয়
সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেন এবং মসিউর রহমানকে মন্ত্রীর পদমর্যাদায়
তাঁর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০১৬ সালের অক্টোবরে আওয়ামী লীগের
দলীয় পরিষদের নির্বাচনে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৯ সালে তিনি পুনরায় একই পদে নিয়োগ পান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওয়াশিংটন পিটার ডি হাস মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
মন্তব্য করুন
দেউলিয়া হওয়ার পথে পাকিস্তান। ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানের রুপির সর্বোচ্চ দর পতন ঘটেছে। এখন এক ডলারে ২৬৮ রুপি মিলছে। সেটিও দুষ্প্রাপ্য। আইএমএফ এর বেল আউট কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে যেয়ে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হয়েছে। আগামী মাসে বিদ্যুতের ভয়াবহ সংকট শুরু হবে দেশটিতে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং চলছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকার কারণে আমদানি এখন বন্ধের উপক্রম। দেউলিয়া হওয়ার পথে থাকা পাকিস্তান এখন নিজেরাই অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে। এই অবস্থায় ২০২৩ সাল থেকে আইএসআই বিভিন্ন সহযোগী দেশের বিভিন্ন রকম সংগঠনকে যে অর্থ সহায়তা দিত তা বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানুয়ারি মাস থেকে এই অর্থ সহায়তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলেই পাকিস্তানের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই ব্যবসায়ীরা তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছিলেন। বিশেষ করে যখন বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয় তখন অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী, যারা বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং আওয়ামী লীগের আমলে ফুলে-ফেঁপে ওঠে ছিলেন তারা গোপনে তারেক জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরকম অন্তত পাঁচজন ব্যবসায়ী গ্রুপকে বিভিন্ন সংস্থা চিহ্নিত করেছে। যার আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কিন্তু গোপনে তারেক জিয়াকে অর্থায়ন করে।
তারেক জিয়া। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি এখন বিএনপির সর্বেসর্বা হর্তাকর্তা। তার নির্দেশেই বিএনপির সবকিছু করছে। তিনি যা সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন, সেটি পালন করাই যেন বিএনপি নেতাদের একমাত্র কাজ। তাকে নিয়েই বিএনপিতে সন্দেহ এবং রহস্য। বাংলা ইনসাইডারের হাতে এসেছে তার নির্বাচন ভাবনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অন্তত তিনজন বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে তারেক জিয়ার বৈঠক হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। ওই বৈঠকে তারেক জিয়া বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এজন্য তিনি দাবি করেছেন এক হাজার কোটি টাকা। এই টাকা পেলেই বিএনপির সুর পাল্টে যাবে এবং বিএনপি নির্বাচনে যাবে এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের বিরুদ্ধে পক্ষপাত, কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন এবং দলীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। ১৪ জন বাংলাদেশের নাগরিক যৌথভাবে ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্র দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে পিটার ডি হাসের সাম্প্রতিক কার্যক্রম দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে এবং দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির তৈরি করছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।