নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৪ তম জন্মদিন আজ। হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। টিভিতে প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। চ্যানেল আই আয়োজন করেছে হিমু মেলার।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর লেখকের
ধানমন্ডির ‘দখিন হাওয়া’ জন্মদিনের কেক ফ্ল্যাটে কাটা হয়েছে। হুমায়ূনকে স্মরণ
করে দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে কেক কেটেছেন লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। অন্যদিকে,
রাত ১২টা ১ মিনিটে নুহাশ পল্লীতে মোমবাতি জ্বালানো হয়। রবিবার ভোরে শাওন তার দুই ছেলেকে
নিয়ে যাবেন হুমায়ূনের স্মৃতিধন্য গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামের নূহাশ পল্লীতে। সেখানে
লেখকের সমাধিতে নিবেদন করবেন ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি। এছাড়া কেকও কাটবেন।
১৯৪৮ সালের আজকের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ
করেন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। বাবা ফয়জুর রহমান
আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, আর মা ছিলেন গৃহিণী। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার
বড়। খ্যাতিমান কম্পিউটারবিজ্ঞানী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
এবং জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল তার ছোট ভাই। সবার ছোট ভাই আহসান হাবীব নামকরা
কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক।
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ
তিনি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পদক ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি
পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩),
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন।
মন্তব্য করুন
ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার (এফওএসডব্লিউএএল) বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার তিনটি বইয়ের জন্য ‘বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করেছে। সার্ক সাহিত্য পুরস্কার হল ২০০১ সাল থেকে ফাউন্ডেশন অফ সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার প্রদত্ত একটি বার্ষিক পুরস্কার। বঙ্গবন্ধুর তিনটি বই হলো- অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা এবং আমার দেখা নয়াচীন ১৯৫২।
রোববার (২৬ মার্চ) প্রখ্যাত পাঞ্জাবি ঔপন্যাসিক এবং এফওএসডব্লিউএএল -এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অজিত কৌর আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনের আঞ্চলিক সম্মেলনে সফররত বাংলাদেশি লেখক ও গবেষক রামেন্দু মজুমদার এবং মফিদুল হকের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আজ রবিবার সকালে শুরু হয়েছে এফওএসডব্লিউএএল -এর তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক সাহিত্য সম্মেলন। সম্মেলনে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক বিশিষ্ট লেখক-সাহিত্যিক অংশগ্রহণ করছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে সম্মেলনের উদ্বোধনের তাৎপর্য বর্ণনা করে অজিত কাউর এর আগে এক বার্তায় লিখেছিলেন যে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় কোনো ছোট ঘটনা ছিল না।
তিনি আরও লিখেন, বাংলা জাতির পিতার দৃঢ় প্রত্যয়ের সবচেয়ে অনন্য সাহসিকতার মাধ্যমে এটি একটি অনন্য কৃতিত্ব ছিল- যাকে ভালোবাসায় ‘বঙ্গবন্ধু’ বলা হয়। যিনি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষা রক্ষার জন্য সিংহের মতো লড়াই করেছিলেন। যে কোনো মানুষের জীবনের চেয়েও একটি দেশের মর্যাদা সংরক্ষণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ!
মিসেস কাউর লিখেন, বিশ্বজুড়ে মানুষ ভূমি ও অঞ্চলের জন্য, বিদেশি নিপীড়ক বা রাজা ও স্বৈরশাসকদের কাছ থেকে তাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল ভিন্ন ও অনন্য। কারণ এটি ছিল ‘মানুষের প্রাণবন্ত আত্মা’ সংরক্ষণ যা- শুধুমাত্র তার নিজস্ব সংস্কৃতি এবং নিজস্ব ভাষায় স্পন্দিত এবং বিকাশ লাভ করে!
বার্তায় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে না থাকলেও তিনি আমাদের জন্য তিনটি মূল্যবান ও চিন্তাশীল বই রেখে গেছেন। তাই এই মহান মানবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাকে (বঙ্গবন্ধু) এফওএসডব্লিউএএল সাহিত্য উৎসব-২০২৩-এর সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে এফওএসডব্লিউএএল আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন বিশিষ্ট লেখক সেলিনা হোসেন, রামেন্দু মজুমদার, মহিদুল হক ও মোহিত কামাল। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ এবং হাইকমিশনের পক্ষে কনস্যুলার (রাজনৈতিক) সফিউল আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তিনটি বই বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার ভূষিত বঙ্গবন্ধু
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ওয়াসীম পলাশের গল্পগ্রন্থ জানালাবিহীন ঘর। বইটি প্রকাশ করেছে কাগজা প্রকাশন। ১০ টি গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে এই বইটি। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সব্যসাচী হাজরা। মূল্য ২৩০ টাকা।
ওয়াসীম পলাশ
বইটি সম্পর্কে বলেন, "আসলে আমরা তো একটা বদ্ধ সময়ের মধ্যে আছি। মাঝে মাঝে আমাদের
দম বন্ধ হয়ে আসে, নি:শ্বাস নিতে পারি না। এখানে মূলত রাজনৈতিক-সামাজিক যে সংকট আমাদের
রয়েছে, ভূবনবিহীন মানুষের সংকট, সর্বোপরি বৈশ্বিক সংকটই আমি উঠিয়ে আনার চেষ্টা করেছি।
এই যে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন বা অগ্রগিত, এর কারণেই অনেক মানুষ প্রান্তিক হয়ে গেছে, বিপন্ন
হয়ে গেছে। পৃথিবীজুড়ে এই সংকটাপন্ন মানুষগুলো একই দুর্দশায় আবদ্ধ। সেই কথাগুলোই আমি
আমার গল্পে বলতে চেয়েছি।"
বইটির পাঠকপ্রিয়তা
নিয়ে লেখক বলেন, "আমার বইটি মেলায়ায় একটু দেরিতে এসেছে। গত সপ্তাহে এসেছে৷ বইটি।
এই এক সপ্তাহেই বইটিকে পাঠক যেভাবে গ্রহণ করেছে তাতে আমি আপ্লুত।"
লেখক ওয়াসীম পলাশ পেশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক। বর্তমানে তিনি সেপিয়েঞ্জা ইউনিভার্সিটি অফ রোমের রিসার্চ স্কলার।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বইমেলার
শেষ সময়ে বেচা-বিক্রিতে হাসি ফুটেছে প্রকাশকদের মুখে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি
পর্যন্ত ব্যাবসায়িক হিসেবে বইমেলা জমেনি বলে শোনা যাচ্ছিলো। তবে মেলার ২৬ তম দিনে
সার্বিক বেচা-বিক্রিতে সন্তুষ্ট প্রকাশকরা।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩ এর শুরু থেকে ২১ এ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বইমেলায় বিকি-কিনি নিয়ে অসন্তোষ ছিলো প্রকাশকদের। বৈশ্বিক সংকটের এ সময়ে কাগজ থেকে শুরু করে প্রকাশনা খাতের সাথে যুক্ত সবকিছুর মূল্য বেড়ে যাওয়ায় গত বছরগুলোর তুলনায় এবছর বইয়ের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক শতাংশ। একইসাথে ক্রয়ক্ষমতা কমেছে জনসাধারণের। সব মিলয়ে এবছর বইমেলায় বইয়ের বাজার কিছুটা মন্দাই যাচ্ছিলো। তবে মেলা শেষের সময়ে সেই মন্দা কাটিয়ে বই কিনছেন পাঠকরা।
বইমেলার সার্বিক বিক্রি নিয়ে সন্তোষ জানিয়ে ছাপাখানার ভূত প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত রেদওয়ানুল ইসলাম বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, "আমাদের বিক্রি এবার অনেক ভালো। শুরুর দিকে কিছুটা কম হলেও গত এক সপ্তাহে বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। আমাদের একটি বই এর গত কয়েকদিন এতো চাহিদা ছিলো যে বই শেষ হয়ে যাওয়ায় পাঠককে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।"
একই সুরে গলা মিলিয়ে বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হায়দার হোসেন বলেন, "এবার বইমেলার অবস্থা গত বছরগুলোর তুলনায় ভালো। আমাদের বিক্রির যে প্রত্যাশা ছিলো তা আমরা পূরণ করতে পেরেছি। আশা করি সামনের দুইদিনও অনেক ভালো যাবে।"
শুধু প্রকাশক নন, শেষ সপ্তাহে বইমেলার এ পালটে যাওয়া চিত্রে খুশী লেখকরাও। দেরিতে আসলেও বইয়ের আশানুরূপ বিক্রি হয়েছে বলেই জানিয়েছেন লেখক মহসিন পলাশ। তিনি বলেন, "আমার বইটা বইমেলায় একটু দেরিতেই এসেছে। গত সপ্তাহে এসেছে বইটি। তবে এই এক সপ্তাহেই যে পরিমাণ সাড়া পেয়েছি তাতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি সামনের দুইদিনও একইভাবে সাড়া পাবো।"
বইমেলার শেষ দু'দিনের বিক্রি প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যাবে এমনই আশা করছেন প্রকাশক ও বিক্রেতারা।
মন্তব্য করুন
ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার (এফওএসডব্লিউএএল) বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার তিনটি বইয়ের জন্য ‘বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করেছে। সার্ক সাহিত্য পুরস্কার হল ২০০১ সাল থেকে ফাউন্ডেশন অফ সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার প্রদত্ত একটি বার্ষিক পুরস্কার। বঙ্গবন্ধুর তিনটি বই হলো- অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা এবং আমার দেখা নয়াচীন ১৯৫২।
‘চেতনায় ঐতিহ্য’ শ্লোগানকে ধারণ করে ‘দেশ পাবলিকেশন্স’ পথ চলছে একযুগ ধরে। দেশ প্রতিবছর নির্বাচিত বই প্রকাশ করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় অমর একুশে বইমেলায় (২০২৩) ‘দেশ পাবলিকেশন্স’ প্রকাশ করেছে ৫৭টি নতুন বই। প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে বিক্রির শীর্ষে থাকা ‘দেশের সেরা ১০ বই’ শিরোনামে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে দেশ পাবলিকেশন্স...
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩ এর শুরু থেকে ২১ এ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বইমেলায় বিকি-কিনি নিয়ে অসন্তোষ ছিলো প্রকাশকদের। বৈশ্বিক সংকটের এ সময়ে কাগজ থেকে শুরু করে প্রকাশনা খাতের সাথে যুক্ত সবকিছুর মূল্য বেড়ে যাওয়ায় গত বছরগুলোর তুলনায় এবছর বইয়ের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক শতাংশ। একইসাথে ক্রয়ক্ষমতা কমেছে জনসাধারণের। সব মিলয়ে এবছর বইমেলায় বইয়ের বাজার কিছুটা মন্দাই যাচ্ছিলো। তবে মেলা শেষের সময়ে সেই মন্দা কাটিয়ে বই কিনছেন পাঠকরা।