ইনসাইড পলিটিক্স

সোহরাওয়ার্দীতে নয়, নয়াপল্টনেই সমাবেশে করবে বিএনপি

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ২৯ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশ করার জন্য বিএনপিকে অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। কিন্তু নিজেদের অবস্থানেই অনড় রয়েছে বিএনপি। দলটি এখনও নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায়।

এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘প্রথমত, আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতিই চাইনি। আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার কথাই আমরা ডিএমপি কমিশনারকে বলেছি। আমাদের এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নয়াপল্টনেই করার। ডিএমপি যে চিঠি দিয়েছে, সেটা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা বসবেন।’ 

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) আব্দুল মোমেনের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শর্ত সাপেক্ষে আগামী ১০ ডিসেম্বর (শনিবার) বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণ-সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। 

১০ ডিসেম্বর   নয়াপল্টন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগ নেতার ভাই জঙ্গি সংগঠনের সদস্য!

প্রকাশ: ০৯:০৩ এএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

একটি বেসরকারি টেলিভিশনে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) বরাত দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর ছয়জনের ছবি প্রকাশ করার পর সিরাজগঞ্জে তোলপাড় শুরু হয়েছে। 

প্রকাশিত ছয়জন জঙ্গির মধ্যে রেজাউল করিম সোহেল ছদ্মনাম আবু জায়েদ নামে একজনের ছবি রয়েছে। ছদ্মনামধারী আবু জায়েদ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান রাসেলের ছোট ভাই। 

ছবি প্রকাশের পর থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধনও করেছেন তারা।  

গত শনিবার বিকেলে মানববন্ধনে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর সক্রিয় সদস্য রেজাউল করিম সোহেল ছদ্মনাম আবু জায়েদকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।

ধুবিল বাজারে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ধুবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম ভোলা, সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন সরকার, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক আল মামুনসহ সলঙ্গা থানা ও ধুবিল ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। 

মানববন্ধনে নেতারা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার জঙ্গিবাদ মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তখন আওয়ামী লীগ পরিবারে জঙ্গির অবস্থান থাকতে পারে না। এ জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রাসেল জানান, ঘটনার কোন সত্যতা নেই। মূলত আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাছাড়া আমার ছোট ভাই কার সাথে জড়িত সেটা তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। এতে আমার কি করার আছে? পুলিশ তদন্ত করে যদি সঠিক পায় তবে তাকে আটক করবে। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াত কি তাহলে নির্বাচনে যাবে?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

স্বাধীনতা বিরোধী একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াতে ইসলাম। জামায়াতে ইসলামের রাজনৈতিক নিবন্ধন নাই। দলীয় প্রতীক নিয়ে দলটি নির্বাচন করতে পারে না। কিন্তু এবার মার্কিন প্রতিবেদনে জামায়াতের প্রতি এক ধরনের প্রচ্ছন্ন সমর্থন দেখা গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে বসে যে বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার এবং লবিং করছেন, কোটি কোটি ডলার খরচ করছেন, তার ফল ভোগ করতে শুরু করেছে জামায়াত। যে জামায়াতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দাবি করত, বিশেষ করে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল, সে জামায়াতকে রাজনীতি করার অধিকার না দেওয়ার সমালোচনা করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে। একই সাথে জামায়াত যে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারে না, সে প্রসঙ্গটিও উত্থাপন করা হয়েছে।

এটির পেছনে একটি বড় কারণ রয়েছে। বড় কারণ নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক লবিং এবং জামায়াতের কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ। কিন্তু আরেকটি কারণ রয়েছে, জামায়াতকে লাইম লাইটে নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি মেরুকরণ সৃষ্টির চেষ্টা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের ভূমিকা কি হবে- তা নিয়ে একটি প্রশ্ন ক্রমশ সামনে চলে আসছে। বিশেষ করে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হয়তো বিএনপিকে বাদ দিয়ে জামায়াত অংশগ্রহণ করতে পারে। ইতিমধ্যে জামায়াত ৩শ’ নির্বাচনী এলাকায় প্রস্তুতি শুরু করেছে এবং প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় তাদের প্রার্থী চূড়ান্তকরণে কাজ করছে। 

জামায়াতের একাধিক সূত্র বলছে, অন্তত একশটি নির্বাচনী এলাকায় তারা প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এই চূড়ান্ত প্রার্থীরা ইতিমধ্যে মাঠে বিভিন্ন রকমভাবে প্রচারণা করছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে জামায়াতকে কি সরকার ছাড় দিবে? এমন একটি প্রশ্ন রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘোরপাক খাচ্ছে। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন যে, কৌশলগত কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত অংশগ্রহণ করতে পারে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে জোট বেঁধে তারা নির্বাচন বর্জন করেছিল। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে জামায়াত নিজস্ব প্রতীক পায়নি। বরং তারা বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিল এবং ২০টি আসনেই তাদের প্রার্থী জামানত হারিয়েছিল। এরপর থেকেই জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমিত হয়ে ওঠেছে। 

২০১০ সালের পর থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকার কারণে রাজনীতির মাঠে জামায়াতকে প্রতিহত করার ডাক আসে। আর এর মধ্যেও জামায়াতের একমাত্র অস্তিত্ব ছিল বিএনপি। বিএনপির ছায়ায় জামায়াত ২০ দলীয় জোট হিসেবে কোনো রকমে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু ২০১৮-এর পর জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে এ রকম কথা আসতে থাকে যে, বিএনপি যুদ্ধাপরাধী এবং সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে এবং তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্য গড়েছে। এটিই প্রমাণ করে যে, বিএনপি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক চেতনায় বিশ্বাস করে না, আর আন্তর্জাতিক চাপে বিশ্বাস করে। ভারতের নেতিবাচক মনোভাবের কারণেই ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকেই আস্তে আস্তে বিএনপি জামায়াত থেকে দূরে সরে আসতে শুরু করে। 

একটা পর্যায়ে বিএনপি ২০ দলকে অকার্যকর করে দেয় এবং জামায়াত ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে চলতে শুরু করে। এরপর জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, বিএনপির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আর দুই দলের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের পরও সরকার জামায়াতের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়নি, বরং যেখানেই জামায়াতে ইসলামীর কোনো বৈঠক বা  দূরভিসন্ধিমূলক তৎপরতার খবর পাওয়া গেছে, সেখানেই সরকার তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আর এ কারণেই জামায়াত মনে করছে যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি শেষ পর্যন্ত বিএনপি অংশগ্রহণ না করে, তাহলে সরকার একটু চাপের মধ্যে থাকবে। আর এ রকম পরিস্থিতিতে, জামায়াত যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলে সরকার হয়তো তাদেরকে নির্বাচনের মাঠে নামার একটা সুযোগ দিবে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে সংগঠনকে নতুন করে পুনর্বিন্যাস করা এবং নতুন করে সংগঠিত করার একটি সুযোগ পাবে জামায়াতে ইসলামী। আর এই পরিকল্পনা থেকেই জামায়াত হয়তো আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সবাইকে একটি চমক দেখাতে চায়।

জামায়াত   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আগের দুটি শর্তেই খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়লো

প্রকাশ: ০৯:৫২ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail আগের দুটি শর্তেই খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়লো।

আগের দুই শর্তেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। এনিয়ে ষষ্ঠ দফায় বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির মেয়াদ বাড়লো। আগের মতো এবারও এই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ছয় মাসের জন্য। 

রোববার (২৬ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয় বলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তনি জানান, প্রজ্ঞাপনে অনুযায়ী, এবারও শর্ত রয়েছে খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাই কোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য। এরপর ওই বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন। মাঝে অসুস্থতার জন্য কয়েক দফায় হাসপাতালেও কিছু দিন ছিলেন তিনি।

২০২০ সালে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ছে। সর্বশেষ গত ৬ মার্চ নতুন আবেদন করেন তার ভাই শামীম এস্কেন্দার। তবে পরিবার খালেদাকে বিদেশ নিতে চাইলেও তাতে সায় দিচ্ছে না আইন মন্ত্রণালয়। খালেদার ভাইয়ের আবেদন পাওয়ার পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সেটার সময় শেষ হয়ে আসছিল, যার জন্য তারা (পরিবার) আবেদন করেছিলেন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাকে আগের মতো দুটি শর্ত সাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাসের জন্য বৃদ্ধির সুপারিশ করেছি।’

শর্তের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘শর্তগুলো হল- তিনি ঢাকায় নিজের বাসা থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। তিনি হাসপাতালে যেতে পারবেন না, তা নয়। তিনি হাসপাতালে যেতে পারবেন। উক্ত সময় তিনি দেশের বাইরে গমন করতে পারবেন না।’

শর্ত সাপেক্ষে মুক্ত খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ নিয়ে নির্বাচনের আগের বছর সম্প্রতি ওঠে আলোচনা। বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে বাধা নেই বলে আইনমন্ত্রী মত জানালেও বিপরীত বক্তব্য আসে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে। এর মধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকার বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অযাচিতভাবেই খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা তুলছে।

উল্লেখ্য, ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকে আর্থারাইটিস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন। রায় হওয়া দুটি ছাড়াও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও ৩৫টি মামলা রয়েছে। 


দুটি শর্ত   খালেদা   মুক্তির মেয়াদ   বাড়লো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ফখরুলকে হিরো বানাচ্ছে কারা?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২০০১ সালে যখন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন তিনি একটি অগুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ নয় এবং সে সময় তিনি দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ নেতাও ছিলেন না। আর সেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন বিএনপির প্রধান নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন এবং প্রায় জাতীয় নেতার মর্যাদা পেতে চলেছেন। ১/১১-এর সময়ে তার বিতর্কিত রহস্যময় ভূমিকা ছিল, স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের এই সন্তানকে এখন অনেকেই দেশের দ্বিতীয় প্রধান নেতা হিসেবেই স্বীকৃতি দিচ্ছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে হিরো বানাচ্ছে। আর তাকে হিরো বানানোর পেছনে আওয়ামী লীগের অবদানও কম নয়। কারা কিভাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে হিরো বানাচ্ছেন? 

আওয়ামী লগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রতিনিয়ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করছেন, ব্যক্তিগতভাবে তার চরিত্রহনন করছেন, ব্যক্তিগতভাবে তাকে নিয়ে ঠাট্টা উপহাস করছেন। রাজনীতিতে এই সংস্কৃতিগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। আর এটি গ্রহণযোগ্য নয় জন্যই সাধারণ মানুষের মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ব্যাপারে সহানুভূতি তৈরি হচ্ছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগের মতো বড় দলের সাধারণ সম্পাদক যখন প্রতিনিয়ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম ধরে তাকে সমালোচনা করেন। তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। আদতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির দ্বিতীয় সাড়ির নেতা ছিলেন। ২০০৮ সালের ১/১১-এর সময়ে তিনি এবং তার আত্মীয়রা সংস্কারপন্থী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। একটি জটিল পরিস্থিতিতে তাকে দলের মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কিংবা মির্জা আব্বাস বা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতো নেতাদের কাতারে এখনও ওঠতে পারেননি। বরং তিনি দ্বিতীয় সাড়ির নেতা হিসেবেই পরিচিত। 

কিন্তু দলের মধ্যেও তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল না, তার বিশ্বাসযোগ্যতা ছিল না এবং তার নেতৃত্ব নিয়ে নানা রকম বিতর্ক এবং প্রশ্ন ছিল। কিন্তু সেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্রমে ক্রমে দলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছেন, গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেছেন। এর একটি বড় কারণ আওয়ামী লীগ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতারা অন্য নেতাদের চেয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বেশি আক্রমণ করে তাকে জনসমক্ষে আলোচনায় আনছেন। এই কারণটি ছাড়াও বিএনপির রাজনৈতিক মেরুকরণও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে হিরো বানানোর ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রাখছে বলে জানা গেছে। বিএনপিকে দীর্ঘদিন ধরে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তার মহাসচিব থাকা অবস্থায় বিএনপিতে বড় ধরনের ভাঙন ঘটেনি। সাধারণ কর্মীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা না থাকলেও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতাদের মধ্যে একটি ভারসাম্য তৈরি করেছেন এবং তারেকের একান্ত অনুগত বাধ্যগত হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছেন। আর এ কারণেই তিনি আস্তে আস্তে দলের ভেতর গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন এবং এখন তিনি দলের প্রধান নেতা হিসেবে নিজেকে উপস্থাপিত করেছেন। 

এছাড়া বিভিন্ন গণম্যাধ্যম এবং সুশীলদের সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি সুসম্পর্ক থাকার কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে একটি ইতিবাচক ভাবে উপস্থাপনের একটি চেষ্টা লক্ষ্য করা যায় গণমাধ্যমে। বিশেষ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অতীত ভূমিকাগুলোকে এড়িয়ে, তাকে বিএনপির বিকল্প নেতা হিসেবে উপস্থাপনের একটি চেষ্টা মূল ধারার গণমাধ্যমগুলোতে লক্ষ্য করা যায়। আর সর্বশেষ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাকপটু এবং অন্যান্য নেতাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে ফখরুল এখন বিএনপির প্রধান নেতায় পরিণত হয়েছেন। আর এটি কি কোনো পরিকল্পনা হিসেবে তাকে বানানো হয়েছে যে, মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপি যদি নির্বাচনে যায়, তাহলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় অথবা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যদি খালেদা জিয়া, তারেক জিয়ার বাইরে গিয়ে কোনো অবস্থান নেন, সেই অবস্থান স্বীকৃত হয়, এ রকম একটি চিন্তা থেকেই কি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে হিরো বানানো হচ্ছে?

মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রাজনৈতিক উত্তেজনা: টার্গেট সেপ্টেম্বর

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

মনে করা হয়েছিল চলতি রমজান মাসে বিএনপি আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি দেবে না। ঐতিহাসিকভাবে এবং ঐতিহ্যগতভাবে রমজান মাসে কোন রাজনৈতিক দল কর্মসূচি পালন করে না। কিন্তু এবার বিএনপি ব্যতিক্রম ঘটালো। রমজান মাসেও বিএনপির বিভিন্ন রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। প্রতি শনিবার ধরে ধরে বিএনপি ঢাকা এবং সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং অবস্থানসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর মধ্য দিয়ে রমজান মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচি না করার সংস্কৃতি ভাঙলো বিএনপি।

যদিও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এর সমালোচনা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেতারা বলছেন, রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করছে বিএনপি। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা এতে উল্লসিত। তারা মনে করছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কর্মসূচি থেকে সরে এলেই রাজনৈতিক আবেদন নষ্ট হয়ে যাবে। আর এ কারণেই বিএনপি অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, সেপ্টেম্বর মাসকে টার্গেট করে তারা রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এই সময়ের মধ্যে তারা একটি বড় পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং সংকটকে একটা চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে চায়। 

অন্যদিকে আওয়ামী লীগও মনে করছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন নিয়ে যে সংকট, অনিশ্চিয়তা সেটি তারা দূর করতে চান এবং তারা দেশকে একটি নির্বাচনী মহাসড়কে তুলতে চান। যেখানে নির্বাচনমুখী রাজনীতি হবে প্রধান বিষয়। আর আওয়ামী লীগ-বিএনপির এই পাল্টাপাল্টি অবস্থান সেপ্টেম্বরে রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করবে এবং চূড়ান্ত পরিণতি তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি আন্দোলনের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে তারা সিরিয়াস এবং আগামী নির্বাচনে তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছাড়া অংশগ্রহণ করবে না। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন তাদেরকে যে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিল সেই বৈঠকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে। একদিকে তারা দলকে সঙ্গবদ্ধ করতে যাচ্ছে, দলের মধ্যে যারাই অন্য কোন দিকে নজর দিচ্ছে বা সরকারের সঙ্গে প্রকাশ্য গোপন যোগাযোগ করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এতোটুকু কাপর্ণ্য বোধ করছে না। এর অংশ হিসেবে তারা শওকত মাহমুদকে বহিস্কার করেছে। এর মাধ্যমে আরও নেতাদেরকে বার্তা দেয়া হয়েছে। যারাই দলের অবস্থানের বিপরীতে কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণে কুণ্ঠিত হবে না দলটি। পাশাপাশি বিএনপি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সঙ্গেও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে। অন্যদিকে বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গেও নিবিড় ভাবে যোগাযোগ রাখছে। 

বিএনপি মনে করছে, এই ধারা যদি তারা অব্যাহত রাখতে পারে তাহলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সেপ্টেম্বর নাগাদ একটি জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে এবং আওয়ামী লীগ সরকার অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়বে। এখান থেকেই তারা আন্দোলনের চূড়ান্ত ধাপে যেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। বিএনপির নেতৃবৃন্দ আশাবাদী হয়ে উঠেছেন এই কারণে যে, তারা মনে করছেন সাম্প্রতিক সময়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য বেড়েছে, কর্মীরা এখন যেকোন মূল্যে সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে প্রস্তুত। এটিকে বিএনপি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করছে। 

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনে করছে, পরিস্থিতিকে সামাল দেয়ার মত যথেষ্ট ক্ষমতা তাদের রয়েছে। আওয়ামী লীগ হিসাব করছে সেপ্টেম্বর নাগাদ দেশে নির্বাচনী রাজনীতির চিত্র প্রস্ফুটিত হয়ে উঠতে পারে। এই সময়ের মধ্যে কারা কারা নির্বাচনে 
অংশগ্রহণ করছে এবং কারা কারা করবে না তা সুস্পষ্ট হতে পারে। আওয়ামী লীগ মনে করছে এই সময়ের মধ্যে যদি নির্বাচনে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল চলে আসে বিশেষ করে কোনো চমকের সৃষ্টি হয় তাহলে পরে পুরো দেশ নির্বাচনের মুখে যাবে। তাহলে পরে বিএনপির আন্দোলনে আর কোন গতি থাকবে না এবং দেশে একটি নির্বাচনী আবহাওয়া তৈরি হবে। তবে নির্বাচন হবে নাকি রাজনৈতিক আন্দোলন তীব্র হবে সেটিই এখন দেখার বিষয়। কৌশলের খেলায় কে জিতবে? আওয়ামী লীগ নাকি বিএনপি?

সেপ্টেম্বর   আওয়ামী লীগ   বিএনপি   রাজনৈতিক উত্তেজনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন