ইনসাইড গ্রাউন্ড

মরক্কোর রুপকথায় বিদায় নিলো স্প্যানিশরা

প্রকাশ: ১১:৫২ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ যেন চমকের সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে। এই বিশ্বকাপেই কাগজে-কলমে কিংবা শক্তিমত্তার হিসাব করার বিষয়টি যেন হয়ে উঠেছে অঘটনের আরেক নাম। আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম সাক্ষী হলো তেমনই আরেকটি ফুটবল ক্ল্যাসিকের। রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচে এই মাঠে টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেলো মরক্কো।

ম্যাচের শুরু থেকেই ২০১০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের চেপে ধরে মরক্কো। ভয়ডরহীন ফুটবল খেলে একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে স্পেনের রক্ষণে। ম্যাচের ১২ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলো আফ্রিকার দলটি। ফ্রি-কিক থেকে নেয়া আশরাফ হাকিমির শট বারের খানিকটা উপর দিয়ে চলে গেলে এগিয়ে যেতে পারেনি মরক্কো।

আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা চললএও কাঙ্খিত গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারছিলো না কোন দলই। তবে মরক্কোর প্রেসিং ফুটবলের কাছে পাত্তাই পাচ্ছিলো না টিকিটাকা খেলা স্পেন। ৩৩ মিনিটে দলকে হতাশ করেন মাজরাউই। তার বাম পায়ে নেয়া শটটি প্রতিহত করতে কষ্ট করতে হয়নি উনাই সিমোনকে।

বিরতির আগ মুহুর্তে এগিয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মরক্কোর আগুয়ের্ড। বোউফালের দারুণ এক ক্রস থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির পর মরিয়া হয়ে গোলের আশায় ছুটতে থাকে দুই দল। ৫৫ মিনিটে মরক্কোর রক্ষণে ভীতি ছড়ান দানি ওলমো। ডি-বক্সের বাম প্রান্ত থেকে গোলমুখে বুলেট গতির এক শট নেন এই স্ট্রাইকার। তবে মরক্কো গোলরক্ষক বোনো ছিলেন প্রস্তুত। লাফিয়ে করে পাঞ্চ করে বিপদমুক্ত করেন তিনি।

৬৩ মিনিটে দলে জোড়া পরিবর্তন আনেন লুইস এনরিকে। মার্কো এসেনসিও-গাভির বদলি হিসেবে মাঠে নামান আলভারো মোরাতা এবং কার্লোস সোলারকে মাঠে নামান তিনি। তিন মিনিট পর একাদশে বদলি ফুটবলার নামায় মরক্কোও। সোফিয়ান বোউফালকে উঠিয়ে ইজাজৌলিকে মাঠে নামেন। ৬৮ মিনিটে কর্নার পায় স্পেন। সেখান থেকেও মরক্কোর রক্ষণ ভাঙতে পারেনি লা রোজারা।

৭৫ মিনিটে ফেরান তোরেসের বদলি হিসেবে মাঠে আসেন নিকো উইলিয়ামস। দুই মিনিট পর আশরাফ হাকিমিকে ফাইল করে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন লাপোর্ত। ৭৮ মিনিটে ওলমোর শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। চার মিনিট পর জিরো লাইন থেকে মোরাতা বল বের করলেও তা কাজে লাগানোর জন্য জায়গামতো ছিলেন না তার কোন সতীর্থ।

গোলের আশায় ৮২ মিনিটে দলে আরো তিনজন বদলি ফুটবলার নামায় মরক্কো। ৮৮ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে নিকো উইলিয়ামসের নেয়া শট আটকে দেন সোফিয়ান আমরাবাত। নির্ধারিত সময়ে গোল করতে ব্যর্থ হয় দুই দলই। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে মোরাতার হেড পোষ্টের উপর দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে মরক্কোর ত্রাতা হয়ে আরো একবার আভিভূত হন মরক্কোর গোলরক্ষক বোনো। নির্ধারিত সময় শেষে গোল শূন্য অবস্থায় শেষ হয় দুই দলের খেলা। ফলে চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মত খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেও আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলে দুই দল। কোন দলই জালের দেখা পায়নি। ৯৮ মিনিটে জর্দি আলবাকে উফিয়ে আলেহান্দ্রো বাল্দেকে মাঠে পাঠান এনরিকে। দানি ওলমোর জায়গায় আসেন আনসু ফাতি। তবে তাতেও বদলায়নি ম্যাচের চিত্র। দুই মিনিট পর বাল্দে সুন্দর একটি সুযোগ তৈরির করলেও মরক্কোর রক্ষণ ভাঙতে পারেন নি। সেখান থেকে কর্নার পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় স্পেন।

১০৩ মিনিটে রদ্রিগোর সুযোগও আলোর মুখ দেখেনি। দুই মিনিট পর সেদিরার শট আটকে গিয়ে মরক্কোর নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করে দেন উনাই সিমন। অ্যাডেড টাইমের শেষ মুহুর্তে লরেন্তের প্রচেষ্টা নসাৎ হলে সমতায় শেষ হয় অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন সাবিরি। ১১৪ মিনিটে সেদিরা পেনাল্টি বক্সে ঢুকলেও তাকে শট নিতে দেননি স্প্যানিশ ডিফেন্ডাররা। ম্যাচের শেষ সময়ে দারুণ এক ক্লিয়ার করে মরক্কোকে বিপদমুক্ত করেন জাকারিয়া। অন্তিম মুহুর্তে দারুণ এক ক্লিয়ার করে মরক্কোকে বিপদমুক্ত করেন সারাবিয়া। গোল শূন্য অবস্থায় শেষ হয় অতিরিক্ত সময়ের খেলা। ফল নির্ধারণে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

স্পট কিক থেকে প্রথম শটে লক্ষ্যভেদ করেন মরক্কোর সাবিরি। তবে স্পেনের পাবলো সারাবিয়ার শট পোষ্টে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয় শট থেকে বল জালে জড়ান হাকিম জিয়েখ। দ্বিতীয় শটেও গোল করতে ব্যর্থ হয় স্পেন। তবে উনাই সিমোনর মরক্কোর নেয়া তৃতীয় শট ঠেকিয়ে দিয়ে ম্যাচে আশা বাঁচিয়ে রাখেন। তবে সার্জিও বুসকেতসও ব্যর্থ হন বোনোকে পরাস্ত করতে। চতুর্থ শটে আশরাফ হাকিমি ঠান্ডা মাথার শটে বল জালে জড়িয়ে স্পেনকে বিদায় করে দেন বিশ্বকাপ থেকে। 

স্পেনে জন্ম নেয়া হাকিমির গোলেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলো স্প্যানিশদের। আর নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো মরক্কো। আফ্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে টিকে রইলো বিশ্বকাপে। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্মের পর তিনটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে মরক্কর জয়ের নায়ক ইয়াসিন বোনো।


কাতার বিশ্বকাপ   মরক্কো   স্পেন   নকআউট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হলেন বোল্ট

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের মহারণ। যার জন্য ইতোমধ্যেই বেশ জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি দলেই। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণের বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট এবার আয়োজিত হচ্ছে কিছুটা ভিন্নরূপে। যেখানে অংশ নিচ্ছে ২০টি দল।

এই আসরে বাড়তি মাত্রা যোগ করবেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট উসাইন বোল্ট। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন তিনি। তাকে এই টুর্নামেন্টে যুক্ত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

এ বিষয়ে দ্রুত গতির মানব বলেন, ‘টি-২০ বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হতে পেরে আমি আনন্দিত। ক্যারীবিয়ান থেকে উঠে আসা মানুষ আমি। ক্রিকেট জীবনেরই একটি অংশ। এই খেলাটি সবসময় আমার হৃদয়ে বিশেষ জায়গা নিয়ে আছে। বিশ্বকাপের মতো এমন মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টের অংশ হতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। বৈশ্বিকভাবে ক্রিকেটের উন্নতিতে অবদান রাখতে এবং বিশ্বকাপে নিজের শক্তি ও উৎসাহ দিয়ে কাজ করতে মুখিয়ে আছি আমি।’

দেশটিতে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও আশাবাদী বোল্ট। তার মতে, ‘আমেরিকা খেলায় এবং এর তীব্রতায় বিশ্বাস করে। এমন বাজারে ঢোকা আমার কাছে বড় ব্যাপার বলে মনে হয়। যদি তারা এদিকে ঝোঁকে, তাহলে তারা ঠিকঠাকভাবেই এগোবে। টি-২০ বিশ্বকাপে যেমন উৎসাহ থাকবে, তেমন কিছু হলে দারুণ হবে।’

এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে। বোল্ট মনে করেন,  ক্রিকেটের প্রতি দ্রুতই আরো মনোনিবেশ করবে আমেরিকা।


অ্যাথলেট   উসাইন বোল্ট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ঘরের মাঠেও দিল্লির কাছে হারল গুজরাট

প্রকাশ: ১১:২১ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি আইপএলের ৩২ তম ম্যাচে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাট টাইটানস্ ও দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই দেখাই গুজরাটকে তাদের ঘরের মাঠে এ আসরের সব থেকে কম ৮৯ রানে অলআউট করেছিল দিল্লি। সেই ম্যাচে ৬ উকেটের দুর্দান্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঋষভ পন্তের দল। গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিনের একমাত্র ম্যাচে মুখোমুখি হয় এই দুই দল। এই ম্যাচে গুজরাটকে ৪ রানে হারিয়ে ব্যাক টু ব্যাক জয় তুলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।  

চলতি আইপিএলের ৪০ তম এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে গুজরাটকে ২২৫ রানের টার্গেট দেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তুলতে পারে গুজরাট। এতে ৪ রানের জয় পায় দিল্লি। 

এই জয়ের মাধ্যমে গুজরাটকে পিছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের ৬ নম্বরে উঠে গেল দিল্লি।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় গুজরাট। ৫ বলে ৬ রান করে সাজ ঘরে ফেরেন অধিনায়ক শুভমান গিল। এরপর সাই সুদর্শনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ঋদ্ধিমান শাহা। ২৫ বলে ৩৯ রান করে ঋদ্ধিমান আউট হলেও ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এই সুদর্শন।

এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে ডেভিড মিলার লড়াই জারি রাখলেও বাকিদের চলে আসা যাওয়ার মিছিল। শেষ দিকে রশিদ খান ও সাই কিশোরের শেষ ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস থাকলেও হার এড়াতে পারেনি গুজরাট। 

এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন রাসিখ সালাম। এছাড়াও কুলদ্বীপ যাদব ২টি, এনরিখ নরকিয়া, মুকেশ কুমার ও অক্ষর প্যাটেল ১টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শাহ এবং জ্যাক ফ্রেজার। তবে ইনিংস বড় করেতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৪ বলে ২৩ রান করে ফ্রেজার আউট হলে ৭ বলে ১১ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন পৃথ্বী। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শাই হোপ। ৬ বলে ৫ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান।

এরপর দিল্লি শিবিরের হাল ধরেন অক্ষর প্যাটেল এবং ঋষভ পান্থ। ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। এরপর দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪৩ বলে ৬৬ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন তিনি। এরপর স্টাবসের ৭ বলে ২৬ রান এবং পান্থের ৪৩ বলে ৮৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ২২৪ রানের বড় পুঁজি পায় দিল্লি।


আইপিএল   গুজরাট টাইটানস্   দিল্লি ক্যাপিটালস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাকিস্তানে নয়, বরং চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাইব্রিড মডেলেই চায় ভারত

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী বছর পাকিস্তানে বসতে চলেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। তবে সেই আসরে ভারত অংশগ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে চলছে নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। ভারতের একগুয়েমিতে গত এশিয়া কাপে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান। কারণ পাকিস্তান ভেবেছিল ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে গেলে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলবে রোহতিরা।

তবে ভারতীয় দলকে পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট খেলাতে পিসিবি (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড) উদ্যোগ নিলেও তা কোনো কাজেই আসছে না। কারণ, পাকিস্তানে নয়, বরং হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে চায় ভারত।

সবশেষ রোহিত-কোহলিরা যাতে পাকিস্তানে  স্বাভাবিকভাবে খেলতে পারে সেজন্য দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের কথাও বলেছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। কিন্তু সেখানেও সায় দেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই)। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ তো নয়ই, বরং ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতেও পাকিস্তান যেতে নারাজ ভারতীয়রা।

এমনকি আইসিসির এই বড় আসরে ভেন্যু পরিবর্তন করে ভারতের ম্যাচগুলো পাকিস্তানের বাইরে অন্য কোনো দেশে আয়োজনের দাবি করছে বিসিসিআই। পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে খেলতে চায় না ভারত।অর্থাৎ ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর হাইব্রিড মডেলে চায় ভারত।

এদিকে বিসিসিআই সূত্রের বরাত দিয়ে আইএএনএস বলছে, ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য পাকিস্তানে না-ও যেতে পারে। ভেন্যু পরিবর্তন হতে পারে। হাইব্রিড মডেলেও করার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে বিসিসিআই জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আইসিসির আয়োজন হওয়া সত্ত্বেও ভারতের অংশগ্রহণ সরকারি নির্দেশের ওপর নির্ভর করে।

বিসিসিআই আরও জানায়, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি একটি আইসিসি ইভেন্ট। তাই এটি ভারতের জন্য একটি কঠিন সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু সরকারের নির্দেশ-সবুজসংকেত ছাড়া কিছুই করার নেই।

সবশেষ ২০১২-১৩ ভারতের বিপক্ষে  সিরিজ খেলতে যায় পাকিস্তান। এরপর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজিত হয়নি। এছাড়াও গত বছর পাকিস্তানের আয়োজনে এশিয়া  খেলতে যায়নি ভারত। কারণ সেবার রোহিতদের ম্যাচগুলো হয়েছিল শ্রীলঙ্কার মাটিতে।

তবে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান দল  ঠিকই খেলতে আসে ভারতের মাটিতে। যদিও ভারতীয় দল মোটেও যায়নি পাকিস্তানে।


পাকিস্তান   চ্যাম্পিয়নস ট্রফি   ভারত   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইসিসি থেকে সুসংবাদ পেলেন শাহীন, বাবরের দুঃসংবাদ

প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার বাবর আজম ও শাহীন আফ্রিদি। গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই আলোচনায় রয়েছেন তারা। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে বারবার সমালোচিত হয়েছেন এই দুই তারকা। তবে এবার এই দুইজনের একজন আইসিসি থেকে পেয়েছেন সুসংবাদ এবং অন্যজন পেয়েছেন দুঃসংবাদ।

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান এই সিরিজে নেই হারিস রউফ। এখন পর্যন্ত সিরিজের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ৩ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি।

আর এতেই রেটিং পয়েন্টের যোগ বিয়োগের খেলায় রউফকে টপকে আইসিসির টি-২০ র‍্যাঙ্কিংয়ে আবারও পাকিস্তানের শীর্ষ বোলার হয়েছেন আফ্রিদি। অবশ্য রউফকে টপকে গেলেও র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১৫-তেও নেই পাকিস্তানের সদ্য সাবেক অধিনায়ক। দুই ধাপ এগিয়ে ১৭ নম্বরে উঠেছেন ২৪ বছর বয়সী এই পেসার।

এদিকে চার ধাপ পিছিয়ে ২২ নম্বরে নেমে গেছেন রউফ। বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে আফ্রিদির ঠিক পরেই ১৮ নম্বরে আছেন নিউজিল্যান্ডের লেগ স্পিনার ইশ সোধি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেট নেয়া সোধি পাঁচ ধাপ এগিয়েছেন।

কিউইদের সেরা বোলার মিচেল স্যান্টনার। সিরিজের নিউজিল্যান্ড দলে না থাকা স্যান্টনার অবশ্য পয়েন্ট হারিয়ে পাঁচ ধাপ পিছিয়ে ১৫ নম্বরে নেমে গেছেন। টি-২০ বোলারদের এক নম্বর জায়গাটা ধরে রেখেছেন ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রশিদ।

এদিকে ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ডের টিম সাইফার্ট তিন ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ২৪ নম্বরে। তার সতীর্থ মার্ক চ্যাপম্যান লম্বা লাফই দিয়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৪২ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে জেতানো ব্যাটসম্যান ১২ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৩৩ নম্বরে।

পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম এক ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন পাঁচে। মোহাম্মদ রিজওয়ান আছেন আগের মতোই তিনে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রকাশিত সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে উঠেছেন নেপালের দীপেন্দ্র সিং ঐরী।

যুবরাজ সিং ও কাইরন পোলার্ডের পর তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০তে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারা ব্যাটসম্যান ১০ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫০ নম্বরে। পরশ খাড়কা, কৌশল ভুরতেল ও রোহিত পৌডেলের পর চতুর্থ নেপালি হিসেবে র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ৫০-এ উঠলেন ঐরী।

ব্যাটিংয়ে ভারতের সূর্যকুমার যাদব ও অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন।


পাকিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট   বাবর আজম   শাহীন আফ্রিদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিরতি লেগে হেরেও ফাইনাল নিশ্চিত জুভেন্টাসের

প্রকাশ: ০৬:৪৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতে ইতোমধ্যেই এগিয়ে ছিল তারা। যার জন্য ফিরতি লেগে ড্র করলে অথবা এক গোলে হারলেও ফাইনাল নিশ্চিত ছিল। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে ইতালিয়ান কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মঙ্গলবার ল্যাজিওর মুখোমুখি হয়েছিল জুভেন্টাস। ম্যাচটিতে  ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছে তারা। কিন্তু তারপরেও দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তুরিনের জায়ান্টরা।

এদিন ল্যাজিওর মাঠে ৪৮ মিনিটেই ২-০ গেলে পিছিয়ে পড়ে অস্বস্তিতে পড়ে তুরিনের জায়ান্টরা। ল্যাজিওর হয়ে দুটি গোলই করেছেন ভ্যালেন্টিন ক্যাস্তেলানোস। ৮৩ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় মিলিকের প্রথম সুযোগের গোলে জুভেন্টাস দুই লেগ মিলিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে।

ম্যাচ শেষে পোলিশ স্ট্রাইকার মিলিক বলেছেন, ‘আমরা একটি ভাল দলের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারায় আমরা দারুণ খুশি। ফাইনালে আমাদের ভাল খেলতে হবে। সেটা করার ব্যপারে আমরা মুখিয়ে আছি।’

নিয়মিত গোলরক্ষক ওজিচে সিজনি বদলি বেঞ্চে থাকায় মাত্তিয়া পেরিনের উপর জুভেন্টাসের গোলবার সামলানোর দায়িত্ব ছিল। ১২ মিনিটে কর্নার থেকে কাস্তেলানোসের হেডে ল্যাজিও এগিয়ে যায়।

বিরতির পরপরই লো শটে এই আর্জেন্টাইন কোনাকুনি শটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। জুভেন্টাস কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি ম্যাচে ফিরে আসার লক্ষ্যে টিমোথি উইয়াহ ও মিলিককে মাঠে নামান। জুভেন্টাসের ভাগ্য নির্ধারণী গোলে এই দুজনেরই অবদান ছিল।

এর মাধ্যমে ১৫ বারের মত কোপা ইতালিয়ার শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে থাকলো জুভেন্টাস। অন্যদিকে সিরি আয় শেষ ১২ ম্যাচে মাত্র দুই জয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা জুভেন্টাস চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পজিশনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।


জুভেন্টাস   ল্যাজিও   ইতালিয়ান কাপ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন