ইনসাইড গ্রাউন্ড

মরক্কোর রুপকথায় বিদায় নিলো স্প্যানিশরা

প্রকাশ: ১১:৫২ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ যেন চমকের সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে। এই বিশ্বকাপেই কাগজে-কলমে কিংবা শক্তিমত্তার হিসাব করার বিষয়টি যেন হয়ে উঠেছে অঘটনের আরেক নাম। আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম সাক্ষী হলো তেমনই আরেকটি ফুটবল ক্ল্যাসিকের। রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচে এই মাঠে টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেলো মরক্কো।

ম্যাচের শুরু থেকেই ২০১০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের চেপে ধরে মরক্কো। ভয়ডরহীন ফুটবল খেলে একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে স্পেনের রক্ষণে। ম্যাচের ১২ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলো আফ্রিকার দলটি। ফ্রি-কিক থেকে নেয়া আশরাফ হাকিমির শট বারের খানিকটা উপর দিয়ে চলে গেলে এগিয়ে যেতে পারেনি মরক্কো।

আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা চললএও কাঙ্খিত গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারছিলো না কোন দলই। তবে মরক্কোর প্রেসিং ফুটবলের কাছে পাত্তাই পাচ্ছিলো না টিকিটাকা খেলা স্পেন। ৩৩ মিনিটে দলকে হতাশ করেন মাজরাউই। তার বাম পায়ে নেয়া শটটি প্রতিহত করতে কষ্ট করতে হয়নি উনাই সিমোনকে।

বিরতির আগ মুহুর্তে এগিয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মরক্কোর আগুয়ের্ড। বোউফালের দারুণ এক ক্রস থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির পর মরিয়া হয়ে গোলের আশায় ছুটতে থাকে দুই দল। ৫৫ মিনিটে মরক্কোর রক্ষণে ভীতি ছড়ান দানি ওলমো। ডি-বক্সের বাম প্রান্ত থেকে গোলমুখে বুলেট গতির এক শট নেন এই স্ট্রাইকার। তবে মরক্কো গোলরক্ষক বোনো ছিলেন প্রস্তুত। লাফিয়ে করে পাঞ্চ করে বিপদমুক্ত করেন তিনি।

৬৩ মিনিটে দলে জোড়া পরিবর্তন আনেন লুইস এনরিকে। মার্কো এসেনসিও-গাভির বদলি হিসেবে মাঠে নামান আলভারো মোরাতা এবং কার্লোস সোলারকে মাঠে নামান তিনি। তিন মিনিট পর একাদশে বদলি ফুটবলার নামায় মরক্কোও। সোফিয়ান বোউফালকে উঠিয়ে ইজাজৌলিকে মাঠে নামেন। ৬৮ মিনিটে কর্নার পায় স্পেন। সেখান থেকেও মরক্কোর রক্ষণ ভাঙতে পারেনি লা রোজারা।

৭৫ মিনিটে ফেরান তোরেসের বদলি হিসেবে মাঠে আসেন নিকো উইলিয়ামস। দুই মিনিট পর আশরাফ হাকিমিকে ফাইল করে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন লাপোর্ত। ৭৮ মিনিটে ওলমোর শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। চার মিনিট পর জিরো লাইন থেকে মোরাতা বল বের করলেও তা কাজে লাগানোর জন্য জায়গামতো ছিলেন না তার কোন সতীর্থ।

গোলের আশায় ৮২ মিনিটে দলে আরো তিনজন বদলি ফুটবলার নামায় মরক্কো। ৮৮ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে নিকো উইলিয়ামসের নেয়া শট আটকে দেন সোফিয়ান আমরাবাত। নির্ধারিত সময়ে গোল করতে ব্যর্থ হয় দুই দলই। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে মোরাতার হেড পোষ্টের উপর দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে মরক্কোর ত্রাতা হয়ে আরো একবার আভিভূত হন মরক্কোর গোলরক্ষক বোনো। নির্ধারিত সময় শেষে গোল শূন্য অবস্থায় শেষ হয় দুই দলের খেলা। ফলে চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মত খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেও আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলে দুই দল। কোন দলই জালের দেখা পায়নি। ৯৮ মিনিটে জর্দি আলবাকে উফিয়ে আলেহান্দ্রো বাল্দেকে মাঠে পাঠান এনরিকে। দানি ওলমোর জায়গায় আসেন আনসু ফাতি। তবে তাতেও বদলায়নি ম্যাচের চিত্র। দুই মিনিট পর বাল্দে সুন্দর একটি সুযোগ তৈরির করলেও মরক্কোর রক্ষণ ভাঙতে পারেন নি। সেখান থেকে কর্নার পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় স্পেন।

১০৩ মিনিটে রদ্রিগোর সুযোগও আলোর মুখ দেখেনি। দুই মিনিট পর সেদিরার শট আটকে গিয়ে মরক্কোর নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করে দেন উনাই সিমন। অ্যাডেড টাইমের শেষ মুহুর্তে লরেন্তের প্রচেষ্টা নসাৎ হলে সমতায় শেষ হয় অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন সাবিরি। ১১৪ মিনিটে সেদিরা পেনাল্টি বক্সে ঢুকলেও তাকে শট নিতে দেননি স্প্যানিশ ডিফেন্ডাররা। ম্যাচের শেষ সময়ে দারুণ এক ক্লিয়ার করে মরক্কোকে বিপদমুক্ত করেন জাকারিয়া। অন্তিম মুহুর্তে দারুণ এক ক্লিয়ার করে মরক্কোকে বিপদমুক্ত করেন সারাবিয়া। গোল শূন্য অবস্থায় শেষ হয় অতিরিক্ত সময়ের খেলা। ফল নির্ধারণে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

স্পট কিক থেকে প্রথম শটে লক্ষ্যভেদ করেন মরক্কোর সাবিরি। তবে স্পেনের পাবলো সারাবিয়ার শট পোষ্টে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয় শট থেকে বল জালে জড়ান হাকিম জিয়েখ। দ্বিতীয় শটেও গোল করতে ব্যর্থ হয় স্পেন। তবে উনাই সিমোনর মরক্কোর নেয়া তৃতীয় শট ঠেকিয়ে দিয়ে ম্যাচে আশা বাঁচিয়ে রাখেন। তবে সার্জিও বুসকেতসও ব্যর্থ হন বোনোকে পরাস্ত করতে। চতুর্থ শটে আশরাফ হাকিমি ঠান্ডা মাথার শটে বল জালে জড়িয়ে স্পেনকে বিদায় করে দেন বিশ্বকাপ থেকে। 

স্পেনে জন্ম নেয়া হাকিমির গোলেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলো স্প্যানিশদের। আর নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো মরক্কো। আফ্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে টিকে রইলো বিশ্বকাপে। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্মের পর তিনটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে মরক্কর জয়ের নায়ক ইয়াসিন বোনো।


কাতার বিশ্বকাপ   মরক্কো   স্পেন   নকআউট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পানামার বিপক্ষে নেমে ৮০০ গোলের মাইলফলকে মেসি

প্রকাশ: ০২:১৬ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail মেসির ৮০০ গোলে আর্জেন্টিনার জয়

তিন ষ্টারবিশিষ্ট জার্সি গায়ে প্রথমদিনেই জয়ের দেখা পেল আর্জেন্টিনা। শুক্রবার সকালে ঘরের মাঠ মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে পানামার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলে সহজ জয় পায় মেসি বাহিনীরা। ম্যাচের শেষ মুহুর্তে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকের গোলে ইতিহাস গড়েন মেসি। সেই গোল দিয়ে ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৮০০ গোলের মাইলফলকের দেখা পান ফুটবলের এই কিংবদন্তি। জাতীয় দলের হয়ে গোলের সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁতে মেসির দরকার আর মাত্র একটি গোল।

পানামার বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধের পুরো সময়টা বল নিয়ে দাপট দেখালেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ১৬মিনিটের মাথায় মেসিকে বিপজ্জনক ফাউল করে হলুদ কার্ডের দেখা পান পানামার ডিফেন্ডার গালভান। তবে মেসির সেই ফ্রি-কিক সরাসরি গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসায় অল্পের জন্য গোলের সুযোগ মিস হয় মেসির। ৩৬ তম মিনিটে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে যায় মেসি। তবে পানামার ডিফেন্ডারের জন্য ক্লিয়ার শট করার সুযোগ তৈরি করতে পারেন নি। এরপর একের পর এক আক্রমণ করেও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা।

 দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৭তম মিনিটে ঝাঁপিয়ে পড়ে মেসির ফ্রি-কিক ফেরান পানামার গোলরক্ষক। সেই ফ্রি-কিকের ২৪মিনিট পর আবার ফ্রি-কিক পান মেসি। সেই ফ্রি-কিকে গোলাপোস্টে লেগে ফিরে এলেও তা জালে দিতে ভুল করেননি বদলি খেলোয়াড় আলমাদা। এরপর নির্ধারিত সময়ের বাকি যখন এক মিনিট, তখন ফ্রি-কিকের গোলে ৮০০ তম গোলের মাইল ফলক স্পর্শ করেন আর্জেন্টাইন তারকা। পুরো ক্যারিয়ারে ১০১৭ ম্যাচ খেলে ৮০০ গোল করেন মেসি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মেসির গোলের সংখ্যা ৯৯টি। সেই ম্যাচে আরও একটি গোলের দেখা পেলে জাতীয় দলের হয়ে ১০০ গোলের আরও একটি মাইল ফলকের দেখা পেত মেসি।


মেসি   আর্জেন্টিনা   পানামা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ডোনাল্ডের জাদুতে বাংলাদেশের পেস বিপ্লব

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

স্পিনারদের দেশ, স্পিন আক্রমণই বোলিংয়ের মূল ভরসা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হওয়ার পর থেকে স্পিন আক্রমণের জন্য আলাদা পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশ। মোহাম্মাদ রফিক, মানজারুল ইসলাম রানা, আব্দুর রাজ্জাকরা নিজেদের স্পিন ঘূর্ণিতে ঘায়েল করেছেন বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের। উপমহাদেশের স্পিন সহায়ক কন্ডিশন ও উইকেটে স্পিনাররা পার্থক্য গড়ে দেন ম্যাচের। বাংলাদেশও ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মত বড় দলকে হারিয়েছে এই ঘূর্ণির পাকে ফেলে। তাই বলাই যায় বাংলাদেশের বোলিংয়ের বড় অস্ত্র এই স্পিন। সেই দলই কি না পেস বোলিংয়ে বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও তাসকিন আহমেদ-ইবাদতদের হাত ধরে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।

মাশরাফি-রুবেলরা এক সময় পেস বোলিংয়ের আশার আলো জাগিয়ে ছিলেন। তবে সময়ের সাথে সাথে সে আলো বাড়েনি, উল্টো স্তিমিত হয়েছে। অগ্রজদের নিভু নিভু হয়ে যাওয়া সেই আলো আবার জাগিয়ে তুলেছে বর্তমান সময়ের পেসাররা। সাদা বিদ্যুৎ খ্যাত সাবেক প্রোটিয়া ক্রিকেটার অ্যালান ডোনাল্ড বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের দ্বায়িত্ব নেয়ার পর রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছেন পেসাররা। একের পর এক ম্যাচে পারফর্ম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন, এনে দিচ্ছেন জয়। তাতে একদিকে স্পিনারদের উপর নির্ভরশীলতা মাত্রা যেমন কমেছে, তেমনি বোলিং আক্রমণেও এসেছে বৈচিত্র।

দ্বায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের পেসারদের মানসিকতায় পরিবর্তন এনেছেন অ্যালান ডোনাল্ড। ২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর দিয়ে বাংলাদেশ অধ্যায় শুরু করেছিলেন ডোনাল্ড। সেই সিরিজে পেস বোলিংয়ের নতুন দিনের গল্প লিখেছিলেন তাসকিন আহমেদ। প্রোটিয়াদের ওয়ানডে সিরিজ হারিয়েছে তাদের মাটিতেই। গতি আর সুইংয়ের পসরা বসিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছিলেন তাসকিন। এক সময় গতিই ছিলো যার ভরসা, সেই তাসকিনের বোলিং আমূল পরিবর্তন করে তাকে পরিণত করেছেন বৈচিত্রময় এক বোলারে। 

টেস্ট বোলারের খেতাব গায়ে সেঁটে গিয়েছিলো ইবাদত হোসেনের। বোলিংও ছিলো খুবই সাদামাটা। সেই ইবাদত এখন হয়ে উঠেছেন পেস বোলিংয়ের অন্যতম ভরসার নাম। তরুণ শরিফুল ইসলাম এবং হাসান মাহমুদের ভয়ডরহীন বোলিংয়ের পেছনেও কৃতিত্ব এই প্রোটিয়া কোচের। আরেক পেসার খালেদ আহমেদের বোলিংয়ে দৃশ্যমান বদল এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেয়ার পাশাপাশি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার মতো সামর্থ্য তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের পেস বোলিং বিভাগের। বর্তমানে জাতীয় দলের সাথে থাকা পেসারদের মধ্যে একমাত্র মুস্তাফিজুর রহমানও নিজেকে এখনো আগের রূপে ফেরাতে পারেন নি। তবে সময়ের সাথে সাথে সে প্রত্যাশা তিনি মেটাবেন এমন আশা করাটা বাড়াবাড়ি কিছু নয়।

আয়ারল্যান্ডকে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার কোন ম্যাচে সবগুলো উইকেট ভাগাভাগি করেছে পেসাররা। তাতে পেস বোলিংয়ে সুদিন ফেরার পালে বেশ জোর হাওয়া লেগেছে। এখন পর্যন্ত ৪০৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তাতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮টি উইকেট নিয়েছেন পেসাররা। এমন ঘটনা ঘটেছে মোট ১২ বার। কিন্তু স্পিনাররা ম্যাচে কোন উইকেট পাননি- এমন নজির এই প্রথম। এমনকি এই ম্যাচে স্পিনাররা হাত ঘুরিয়েছেন মাত্র ৪ ওভার। বোলিংয়ের আনাই হয়নি সাকিব আল হাসানকে। এমন সাফল্যের পর পেসারদের নিয়ে স্বপ্নটা দেখলে তাতে দোষের কিছু নেই। চলতি বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। স্পিনারদের পাশাপাশি পেসারদের এমন দাপটে বিশ্বকাপে ভাল কিছুর প্রত্যাশা করতেই পারে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ, অ্যালান ডোনাল্ড, পেস বোলিং, বিশ্বকাপ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নতুন যেসব নিয়ম দেখা যাবে এবারের আইপিএলে

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবথেকে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। কাড়ি কাড়ি টাকা আর নানা সুবিধার জন্য ক্রিকেটারদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে আইপিএল। অতীতে নানা সময়ে নানা চমক দেখিয়েছে টুর্নামেন্টটি। প্রতিযোগিতাটির ১৬তম আসর মাঠে গড়াবে আগামী ৩১ মার্চ থেকে। মাঠের লড়াইয়ে বেশ কিছু নতুন নিয়ম দেখা যাবে এবারের আইপিএলে।

ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতাগুলো আয়োজিত হয় হোম-অ্যাওয়ে ফরম্যাটে। ক্রিকেটে সেটি নিয়মিতভাবে চোখে পড়ে না খুব একটা। তবে আসন্ন আইপিএলে এবার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই পদ্ধতিতে। দলগুলো কোন একটি ভেন্যুকে নিজেদের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করবেন। মুখোমুখি লড়াইয়ে প্রথম হোম ভেন্যুতে হলে পরের ম্যাচটি হবে প্রতিপক্ষের মাঠে। এছাড়াও আরো নতুন তিনটি নিয়মের প্রবর্তন হতে চলেছে আইপিএলে।

ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাটেই টসের আগে একাদশ ঘোষণা করে দলগুলো। তবে এবার আইপিএলে টসের আগে একাদশ ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই দলগুলোর। টসের সময় আলাদা আলাদা দুটি তালিকা নিয়ে মাঠে নামতে পারবেন দুই দলের অধিনায়ক। টসের পরে পছন্দের তালিকা একে অপরকে দেবেন অধিনায়কেরা। মূল একাদশের সাথে অতিরিক্ত ৪ জন ক্রিকেটারকে তালিকায় রাখতে পারবে দলগুলো। এতে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে দলগুলো- এমনটাই যুক্তি আইপিএলের নীতি নির্ধারকদের। তবে কোন দলই মাঠে ৪ জনের বেশি বিদেশী ক্রিকেটার নামাতে পারবেন না।

এবার স্লো ওভার রেটের নীতিতেও পরিবর্তন আসছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারলে জরিমানার মুখে পড়েন অধিনায়ক। কিন্তু আবার আইপিএলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পরলে বাড়তি সুবিধা পাবে ব্যাটিং দল। শাস্তি হিসেবে ৩০ গজের সীমানার বাইরে ৫ জনের পরিবর্তে ৪ জনকে রাখতে হবে।

সেই সাথে ফিল্ডিংয়ের সময় উইকেটরক্ষক কিংবা কোন ফিল্ডার নিয়ম বহির্ভূত নড়াচড়া করলে ব্যাটিং দলের রানের খাতায় যুক্ত হবে ৫ রান। রান যুক্ত হওয়ার সাথে সেই বলটিকে গণ্য করা হবে ডেড বল হিসেবে।


আইপিএল   নতুন নিয়ম   হোম-অ্যাওয়ে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আরেকটি রেকর্ড জয় বাংলাদেশের

প্রকাশ: ০৬:২৬ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আইরিশদের মাত্র ১০১ রানে আটকে রেখে মঞ্চটা আগেই প্রস্তুত করে দিয়েছিলেন বোলাররা। বাকি কাজটা সারলেন দুই ব্যাটসম্যান। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও রেকর্ডের খাতায় ওলট-পালট করলো বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে তামিম ইকবালের দল। তাতে সিলেট সাক্ষী হলো আরেকটি প্রথমের। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এটিই বাংলাদেশের প্রথমবার ১০ উইকেটের জয়।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস ছিলেন নির্ভার। আগের দুই ম্যাচে প্রথম পাওয়ার প্লেদে আইরিশরা আটোসাঁটো বোলিং করলেও আজ হাত খুলে খেলেছেন তামিম ও লিটন। তেমন কোন সুযোগও অবশ্য তৈরি করতে পারেনি সফরকারিরা। বোলারদের শাসন করে প্রথম দশ ওভার থেকে ৮১ রান তুলে নিয়ে জয়কে সময়ের ব্যবধানে পরিণত করেন দুই ব্যাটসম্যান। ১৪তম ওভারের প্রথম বলেই কোন উইকেট না হারিয়ে ২২১ বল বাকি রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে টাইগাররা। লিটন তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৯ম অর্ধশতক। রান খরায় থাকা অধিনায়ক তামিম ইকবালও রান পেয়েছেন আজ। অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। 

এর আগে, শেষ ওয়ানডে নিজেদের করে নেন বাংলাদেশের পেসাররা। দাপট দেখিয়েছেন হাসান মাহমুদ-তাসকিন আহমেদ-ইবাদত হোসেনরা। পাওয়ার প্লেতে হাসান মাহমুদের পর এই দুই পেসারের গোলার মুখে বিধ্বস্ত হয় আইরিশরা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে অফ স্টাম্পের বাইরে একটি গুডলেংথ ডেলিভারিতে স্টিফেন ডোহেনির উইকেট তুলে নেন হাসান মাহমুদ। ১২ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আইরিশদের রানের চাকা আটকে রাখে বোলাররা। প্রথম ৮ ওভার থেকে মাত্র ২২ রান তুলতে পারে আইরিশরা। সেই চাপ সামলে উঠার আগেই আবার আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। 

৯ম ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লুয়ের ফাঁদে ফেলেন আগের ওভারে জীবন পাওয়া স্টারলিংকে। ওভারের চতুর্থ বলটি রক্ষণাত্নক ভঙ্গিতে খেলেন হ্যারি টেক্টর। বোলার হাসান মাহমুদ ভেবেছিলেন ব্যাট লেগে বল প্যাডে আঘাত করেছে। আবেদনও করেন নি আউটের। তবে মুশফিকুর রহিম ছিলেন আত্নবিশ্বাসী। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায় ব্যাটে লাগার আগে হাসানের বলটা ছুঁয়ে গেছে টেক্টরের প্যাড। দুর্দান্ত এক রিভিউয়ে তৃতীয় উইকেট তুলে নেয় স্বাগতিকরা।

পরের ওভারের তাসকিন আহমেদের বলে পরাস্ত হন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবিরনি। ২৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে আয়ারল্যান্ড। কার্টিস ক্যাম্ফার ও লরকান টাকারের ব্যাটে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে সফরকারিরা। দুই ব্যাটসম্যানই দেখেশুনে খেলতে থাকেন স্বাগতিক বোলারদের। ১৪তম ওভারে ইবাদত হোসেনকে তিনটি চার মেরে চাপ কমানোর চেষ্টা করেন টাকার। তাদের জুটিতে ভর করে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে আয়ারল্যান্ড।

শুরুতে খানিকটা অস্বস্তিতে থাকলেও দ্রতই ছন্দ খুঁজে পান ইবাদত। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের শিকার হয়ে  লরকান টাকার সাজঘরে ফিরলে ভাঙে আইরিশদের প্রতিরোধ। পঞ্চম উইকেটে ৪২ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ওভার দা উইকেট থেকে করা ইবাদতের বলটা অ্যাঙ্গেল করে ভিতরের দিকে ঢোকে। সময়মতো ব্যাটে বল ছোয়াতে পারেন নি টাকার। সরাসরি বল লাগে তাঁর বুটে। আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নেন টাকার। তবে তা কাজে আসেনি। টাকারের বিদায়ে ক্রিজে আসেন জর্জ ডকরেল। তবে এসেই সতীর্থকে অনুসরণ করে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। ইবাদতের ফুল লেংথের বল স্টাম্প ভেঙে দেয় তার। ৬৮ রানে ৬ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন ইবাদত। ধস নামে সফরকারিদের ব্যাটিং অর্ডারে।

ইবাদতের পর ঝলক দেখান তাসকিন আহমেদ। ২২তম ওভারে তাসকিন আহমেদের শর্ট বলে বড় শট খেলার চেষ্টা করেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। তবে তার সে চেষ্টা সফল হয়নি। উল্টো সোজা উপরে উঠে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে নাসুম আহমেদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এক বল পরই মার্ক অ্যাডায়ারের স্টাম্প উপড়ে যায় তাসকিনের ফুললেংথ ডেলিভারিতে। শঙ্কা জাগে একশোর নিচেই অলআউটের।

সতীর্থদের এই যাওয়ার আসার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। রানের আশায় তাই শট খেলার চেষ্টা করা ছাড়া ক্যাম্ফারের খুব বেশি কিছু করারও ছিল না। হাসান মাহমুদের শর্ট বলে পুল করেছিলেন তিনি। তবে সেটি বাউন্ডারি লাইন পার করতে পারেন নি। ডিপ ফাইন লেগে থাকা তাসকিন আহমেদের হাতে ধরা পড়েন। দলের রান যখন ৯৬ তখন নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তিনি। খেলেন ৪৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংস, যা আইরিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ।

এরপর আর বেশিদূর যেতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। হাসান মাহমুদের করা ২৯তম ওভারের প্রথম বল গ্রাহম হিউমের প্যাডে লাগে। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তাতে ফল আসে স্বাগতিকদের পক্ষে। ১০১ রানে অলআউট হয় আইরিশরা।

ক্যারিয়ারের প্রথমবার ৫ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখান হাসান। তাসকিন ৩টি ও ইবাদত নিয়েছেন বাকি দুই উইকেট। এতে বেশ কয়েকটি নজির গড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথমবার ইনিংসের সবকটি উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। এর আগে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮টি উইকেট নিয়েছিলেন পেসাররা। ওয়ানডে ম্যাচে কোন বাংলাদেশের কোন স্পিনারের উইকেট না পাওয়ার প্রথম ঘটনা এটি। এমনকি এদিন বোলিংয়েই আসেন নি সাকিব আল হাসান।


বাংলাদেশ   আয়ারল্যান্ড   ওয়ানডে   ১০ উইকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নিজেকে সরিয়ে নিলেন ইউসুফ

প্রকাশ: ০৬:১২ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে প্রধান কোচ হিসেবে মোহাম্মদ ইউসুফের নাম ঘোষণা করেছিলো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তবে একদিন পার হতে না হতেই সুর পাল্টে ফেললো পিসিবি। মোহাম্মদ ইউসুফকে সরিয়ে হেড কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আব্দুর রহমানকে। ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে বহাল রাখা হয় মোহাম্মদ ইউসুফকে। তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আফগান সিরিজ থেকে সরে দাড়িয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।

আগামী ২৪ মার্চ থেকে দুবাইয়ের সারজাহতে আফগানিস্তানের সাথে তিন ম্যাচের টি-টোয়ান্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। পাকিস্তানের বয়সভিত্তিক দলের পরামর্শক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি আগে থেকেই পাকিস্তান জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ইউসুফ। তিনি সরে দাড়ানোয় ব্যাটিং কোচের দ্বায়িত্বও সামলাতে হবে রেহমানকে।

এর আগে, বুধবার সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলেন প্রধান কোচের দ্বায়িত্ব পাওয়া আব্দুর রেহমান। সে সময় তিনি জানান, পাকিস্তানের সুপার লিগ-পিসিএলে দারুণ খেলেছেন ক্রিকেটাররা। দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তারা। সেটি আফগানদের বিপক্ষে সিরিজেও ধরে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। সেই সাথে দলের বোলিং লাইন-আপ নিয়ে সন্তুষ্টির কথাও বলেন নতুন কোচ।


মোহাম্মদ ইউসুফ   ব্যাটিং কোচ   পাকিস্তান   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন