চলমান যুগপৎ আন্দোলন মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সবার অংশগ্রহণে যুগপৎ আন্দোলন ভিন্নমাত্রা পেয়েছে।’
রোববার (২৯ জানুয়ারি) ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। পরে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, মোহাম্মাদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু বৈঠকে অংশ নেন বলে জানান দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে ধারাবাহিক মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে এ বৈঠক হয়। এতে চলমান আন্দোলন ও আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া সরকার পতনের আন্দোলন আরও বেগবান করতে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে মির্জা ফখরুল। ছবি: সংগৃহীত
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের কাছে স্পষ্ট, একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। মানুষ জানে না তারা ভোট দিতে পারবে কি না। এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশের তিনদিন আগে থেকে সব বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমাদের কোনো কর্মসূচি করতে দিতে চান না তারা। আর তাদের কর্মসূচিতে রাষ্ট্রীয় সব শক্তিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে। মুখে বলে একটা, বাস্তবে করে আরেকটা। দেশের পুরো চরিত্রটাই বদলে দিয়েছে। গোটা দেশকে অশান্ত অবস্থায় নিয়ে গেছেন ক্ষমতাসীনরা।’
বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সৈয়দ এহসানুল হুদা, শাহাদাত হোসেন সেলিম, মো. আবু তাহের, গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, রাশেদ প্রধান, আব্দুল করিম, আবুল কাশেম, মো. তফাজ্জল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি লিয়াজোঁ কমিটি বৈঠক মির্জা ফখরুল
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।