ইনসাইড পলিটিক্স

উপনির্বাচনের মাঠে নেই বিএনপি: ছক্কা হাঁকাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৭:২৮ পিএম, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এ মাসের পরেই। কিন্তু উপনির্বাচনের মাঠে নেই বিএনপি। এর আগে নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত শেখ রেজাউল ইসলাম রেজু  প্রার্থী হয়েছিলেন, কিন্তু ভোটযুদ্ধে পাশ করতে পারেননি। কিন্তু এবার বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। ফলে এসব উপনির্বাচনেও আওয়ামী লীগের জয়জয়কার দেখা যাবে এটাই স্বাভাবিক। 

এদিকে, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য। পরে একটি সংরক্ষিত মহিলা আসন বাদ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ছয় আসন শূণ্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এসব শূণ্য আসনে সিইসির তফসিল ঘোষণা মতে, আগামী ১ ফ্রেব্রুয়ারি উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। কিন্তু এসব শূণ্য আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকায় ছক্কা হাঁকাতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।  

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সংসদ সদস্যের মৃত্যু, দুর্নীতি, দলীয় নিয়ম-নীতি লঙ্ঘনের কারণে বহিষ্কারসহ বিভিন্ন কারণে মহান জাতীয় সংসদের সংসদীয় আসন শূণ্য হতে দেখা গেছে। এছাড়াও বিএনপির এমপিদের পদত্যাগের কারণেও জাতীয় সংসদের সংসদীয় আসন শূণ্য হয়েছে। পরে এসব শূণ্য আসনে নির্বাচনের তফসিলও ঘোষণা করা হয় এবং জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হতে দেখেছি আমরা। কিন্তু এসব কোনা আসনেই নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপির মনোনীত কোনো প্রার্থীকে জয়লাভ করতে দেখা যায়নি। বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনে একমাত্র আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ছাড়া বিএনপির কোনো প্রার্থীও দেখা যাচ্ছে না। ফলে প্রতিটি সংসদীয় আসনের নির্বাচনী মাঠে ছক্কা হাঁকাবে আওয়ামী লীগ। 

সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গোলাপবাগের গণসমাবেশে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পরদিন তারা সংসদ ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর দপ্তরে গিয়ে পদত্যাগপত্রও জমা দেন। পরে ছয়জনের আসন শূণ্য ঘোষণা করে ১১ ডিসেম্বর রাতেই গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। এসব আসনগুলোর মধ্যে রয়েছে, ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন। এসব আসনের উপনির্বাচনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলবে। ছয় আসনের তিন আসনে নিজেদের প্রার্থী দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এগুলো হলো বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন। এর বাইরে দুটি আসনে জোটের শরিক জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টিকে একটি করে আসন ছাড় দিয়েছে। একটিতে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতাকেই বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এটিকে ট্রাম্পকার্ডও বলছে দলটি।

বগুড়া-৪ আসনের ১৪ দলীয় মনোনীত প্রার্থী বগুড়া জেলা জাসদের সভাপতি একেএম রেজাউল করিম তানসেন এবং ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াসিন আলী। এই দুই আসনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহায়তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দলগুলো কাজ করছে। এর বাইরে বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন নিয়ে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ।

বগুড়া-৬ আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আওয়ামী লীগের প্রার্থী মু. জিয়াউর রহমান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) মো. আব্দুল ওদুদ। প্রার্থীদের জেতাতে এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ মাঠে নেমেছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সফরের পাশাপাশি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও তাদের দলবল নিয়ে ঘুরে এসেছেন।

এসব আসনগুলোর উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা দেখা গেলেও বিএনপির কোনো সাড়া নেই। আসনগুলোতে বিএনপি থেকে কোনো প্রার্থী দেওয়া হয়নি। ফলে উপনির্বাচনের মাঠে নেই বিএনপি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে দেখা গেলেও তিনি বিএনপি ছেড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথেই আঁতাত করেছেন। তাকেই জেতাতে চায় আওয়ামী লীগ। সম্প্রতি আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন মিলনায়তনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া সমর্থকগোষ্ঠীর ব্যানারে এক কর্মীসভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।

ওই সময় আব্দুস সাত্তারের কলার ছড়া প্রতীকের অপর নাম ‘নৌকা’ বলেও মন্তব্য করেন আহমদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবো। ১ তারিখ (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর খবর হবে কলার ছড়া জিতেছে, নৌকা জিতেছে। কলার ছড়ার অপর নাম নৌকা। বেনামে দিলাম আরকি। এটা মনে করেই চলবেন। দেখলেন না, লোকজন সব আওয়ামী লীগের, নাম দিলাম সমর্থকগোষ্ঠী। আসলে ভাসুরের নাম বলা যায় না, এখানে সবই আমরা। এই নির্বাচনে জয়লাভ করা প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করার জন্য। তিনি (আব্দুস সাত্তার) আমাদের ট্রাম্পকার্ড। আগামী দিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এটা সেমিফাইনাল, এই সেমিফাইনালে জিততে হবে।’

এসব বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নওগাঁ- ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলালের কাছে পরাজিত হন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শেখ রেজাউল ইসলাম রেজু । তার পর থেকেই বিএনপি নির্বাচন বিমুখ। নির্বাচনে তারা হেরে যাবে- জেনেশুনেই কোনো আসনেই প্রার্থী দেয়নি দলটি। আসছে ছয়টি উপনির্বাচনের মাঠেও নেই বিএনপি, ফলে নির্বাচনের মাঠে ছক্কা হাঁকাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিএনপির আবদুস ছাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির লোক হলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগও তাকে সমর্থন দিচ্ছে। এখন শুধুই অপেক্ষার পালা, কী ঘটতে যাচ্ছে ফ্রেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন।

উপনির্বাচন   বিএনপি   আওয়ামী লীগ   উকিল আব্দুস সাত্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খোকন সেরনিয়াবাতকে পেয়ে জড়িয়ে ধরলেন বড় ভাই হাসানাত

প্রকাশ: ০৮:৩৯ এএম, ০৪ জুন, ২০২৩


Thumbnail

শেষ পর্যন্ত হাসি ফুটেছে বরিশাল আওয়ামী লীগে। বরিশালে আওয়ামী লীগে যে দ্বন্দ্ব ও বিভক্তি ছিল তা কিছুটা হলেও হ্রস পেয়েছে খোকন সেরনিয়াবাতকে বড় ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র জড়িয়ে ধরার মধ্য দিয়ে।

বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী টিমের ২য় বিশেষ বর্ধিত সভায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ্ খোকন সেরনিয়াবাতকে দীর্ঘ দিন পর কাছে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলেন বড় ভাই। শুধু তাই নয় বর্ধিত সভায় আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন নৌকার মেয়র প্রার্থী আবুল খায়েরকে। আহবান জানিয়েছেন ১২ জুনের নির্বাচনে সব ভেদাভেদ ভুলে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার। দীর্ঘদিন পর দুই ভাইয়ের এই মিল দেখে নির্বাচনে বিজয়ের ক্ষেত্রে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন দর্লীয় নেতাকর্মীরা। সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটাররা বিষয়টিকে দেখছেন ইতিবাচক হিসেবে।

মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে শনিবার ৩ মে বিকেলে বিভাগীয় ৫টি জেলার সমন্বয়ে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয় বরিশালের গৌরনদীতে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা টিমের প্রধান আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। সভাপতি বড় ভাই আবুল হাসানাতের পাশেই বসা ছিলেন ছোট ভাই আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ। সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। যদিও মঞ্চে থাকাকালীন দুই ভায়েরই মুখ ছিলো অনেকটা মলীন।

বরিশাল নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রকাঠি নয়গাঁও স্কুল মাঠের বিকেল ৪টার উঠান বৈঠকে যোগ না দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বিশেষ বর্ধিত সভায় যোগ দেন।

এরআগে গত ২৬ মে একই স্থানে একই টিমের আয়োজনে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় যোগ দেননি মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত। প্রার্থীর বড় ভাই সাংগঠনিক টিমের প্রধান আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সভাপতিত্ব বিশেষ বর্ধিত সভা হয়। সভায় সভাপতির বক্তব্যে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি বিভাগের ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আমরা সবাই একত্র হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দৈনিক নগরীর ত্রিশটি ওয়ার্ডে যারা  নির্বাচনী প্রচারনা করে তাদের সহযোগিতা করবেন। আপনারা আলাদাভাবে নির্দিষ্ট এলাকায় যেখানে আপনাদের ভোটার রয়েছে, সেখানে গিয়ে আমার ছোট ভাই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের জন্য ভোট চাইবেন।

আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেন “ওয়াদা” করে যাবেন। আপনারা আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবতকে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবেন।

সভায় সাংগঠনিক টিমের অন্যতম সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টে গুলিবিদ্ধ হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষন থেকে ফিরে আসা মানুষটি হলো খোকন সেরনিয়াবাত।

যারা বিভিন্ন ধরনের অপ্রচার চালিয়েছে, আজ খোকন সেরনিয়াবাত অপ্রচারকারীদের মুখে চুনকালি মেখে নতুন সূচনা করেছেন।

কেন্দ্রীয় টিমের সমন্বয়ক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বেঈমানদের সাথে আওয়ামী লীগের আদর্শের নেতাকর্মীদের কোন আপোষ হতে পারেনা। আমরা গাজিপুর সিটি নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়েছি। আমরা বেঈমানমুক্ত জনপ্রিয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে সমন্বয় করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে জিততে চাই।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আফজাল হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মো. গোলাম কবীর রাব্বানী চিনু, সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভু, আসম ফিরোজ এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত প্রমুখ।

সভায় বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পুলিশকে ভয় দেখানোর নতুন কৌশলে বিএনপি


Thumbnail পুলিশকে ভয় দেখানোর নতুন কৌশলে বিএনপি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা নীতিকে কেন্দ্র করে নতুন ষড়যন্ত্রের কূটচালে মেতে উঠেছে বিএনপি। সম্প্রতি বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেশের জেলা-উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীদের খুন-গুম এবং তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি ও মিথ্যা মামলা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রেরণ করতে বলা হয়েছে। 

উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদির মধ্যে মধ্যে রয়েছে- ১. মামলার সময়কার সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম ও পরিচয়। ২. ঐ সময়কার সংশ্লিষ্ট সহকারী পুলিশ সুপার, সার্কেল পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (মেট্রোর ক্ষেত্রে- এসি- জোন, ডিসি-জোন) নাম ও পরিচয়। ৩.মিথ্যা ও গায়েবি মামলা রুজুকারী কর্মকর্তার নাম ও পরিচয়। ৪. মিথ্যা ও গায়েবি মামলা তদন্তকারী কর্মকতার নাম ও পরিচয়। এসব বিষয়ে তথ্যাদি প্রদানের জন্য জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সাবেক পুলিশ কতর্মকর্তা সালাউদ্দীন খানকে মনোনীত করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) সারা দেশে গুম, খুন, অপহরণ ও গুরুতর জখমের শিকার নেতা-কর্মীদের তালিকা করার লক্ষে বিএনপি এবং এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সম্পাদককে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে চিঠি পাঠানো হয়। বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে মহানগর, জেলা, উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কতজন নেতা-কর্মী ও সমর্থক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘ক্রসফায়ারে’, নির্যাতনে বা অন্য কোনোভাবে নিহত বা গুরুতর আহত হয়েছেন; কতজন অপহরণ, গুম হয়েছেন; সরকারি দলের হামলায় কতজন খুন-জখম হয়েছেন- তাঁদের দলীয় পরিচয়সহ নাম-ঠিকানা আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠাতে জরুরি ভিত্তিতে অনুরোধ করা গেল।

সম্প্রতি বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। গত ২৪ মে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এই ভিসা নীতি ঘোষণার পর থেকেই বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই বিএনপি এই ধরনের চিঠি দেশের জেলা-উপজেলা এবং মহানগরের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে ছড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র। সূত্রটি বলছে, পুলিশকে ভয় দেখানোর জন্যই বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত তথ্যে সংশ্লিষ্ট পুলিশের ওসি, এএসপি, এসপি, আ্যডিশনাল এসপি কিংবা মেট্রোপলিটনের ক্ষেত্রে এসি, ডিসি- এমনকি মামলার রুজুকারী কর্মকর্তা এবং তদন্ত কর্মকর্তাদের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এটি বিএনপির একটি নতুন কৌশল। যে কৌশলের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর মানসিক শক্তিকে দুর্বল করার একটি ষড়যন্ত্র। কেননা বিএনপি যখন বাসে আগুন দেয়, জ্বালাও-পোড়াও করে, রাস্তা অবরোধ করে যানজটের সৃষ্টি করে, সাধারণ মানুষের জানমালের উপর নিরাপত্তা হুমকির আতঙ্ক সৃষ্টি করে, তখন একমাত্র পুলিশ বাহিনীই তাদের এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ডে বাধা প্রদান করে থাকে। যে কারণে পুলিশ বাহিনীকে আতঙ্কগ্রস্থ করতেই বিএনপি এই নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে। এ ধরনের কার্যক্রম বিএনপি দলীয়ভাবে অনেক আগে থেকে পরিচালনা করে থাকলেও মার্কিন নতুন ভিসা নীতিকে পুঁজি করে বিষয়টি এখন প্রকাশ্যে এনেছে। এটি আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দমন করার একটি কৌশলমাত্র।              

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে এই নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে। যাদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ হবে- তাদের মধ্যে বাংলাদেশের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। 

ভিসা নীতিতে আরও বলা হয়েছে,গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে: ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।

সম্প্রতি বিএনপির এই চিঠির মাধ্যমে খুন-গুম, মামলা সংক্রান্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি মার্কিন নতুন ভিসা নীতির সাথে সম্পর্কিত নয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করার বিষয়টি বিএনপির অপরাধমূলক কর্মকান্ডের নিমিত্তে দায়ের করা মামলার সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয়।

বিএনপির উল্লেখিত চিঠির বিষয়ে বাংলা ইনসাইডার প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় তথ্যাদি প্রদানের জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর মনোনীত ব্যক্তি জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সাবেক পুলিশ কতর্মকর্তা সালাউদ্দীন খানের সঙ্গে। ‘এসব তথ্য দিয়ে আসলে কি করা হবে?’ - এমন প্রশ্নে তিনি বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, ‘এসব কার্যক্রম চলছে, এটা অনেক গোপন বিষয়। যারা নির্যাতিত হয়েছে, নির্যাতিত ব্যক্তিদের যারা নির্যাতন করেছে, মিথ্যা মামলাগুলো দায়ের করেছে- তাদের একটি তালিকা হচ্ছে। এটির কাজ সারা বাংলাদেশব্যাপী চলছে।’

তিনি বলেন, ‘ধরেন অনেক জায়গায় কোনো ঘটনাই হয়নি, মামলা হয়েছে, মামলার বাদী হয়েছেন দাড়োগা সাহেব, এসপি সাহেব নির্দেশ দিয়েছেন, তারপর ওসি মিথ্যা মামলা করেছেন- এমন সমস্ত তথ্যগুলোই আমরা সংগ্রহ করছি এবং তাদের তালিকা করছি। এসব বিষয়কেই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এটা উপর পর্যায়ে যাবে।’

‘উপর পর্যায়ে যাবে বলতে- কোথায় যাবে?’- এমন প্রশ্নে সালাউদ্দীন খান বলেন, ‘দেশের বাইরেও যাবে।’

‘আমেরিকান নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পরই কি আপনারা এটা করছেন? এটা কি নতুন ভিসা নীতির মধ্যে পড়ে কি না?’- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভিসা নীতি পড়লেই আপনি বুঝতে পারবেন। এইটা ভিসা নীতিতে পড়ে কি না। তারা জনসমাবেশে বাধা দিল, মানুষের স্বাধীনতা খর্ব করলো- এগুলোতো ভিসা নীতিতে বলাই আছে। চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেছে, আমাদের জনসমাবেশে বাধা সৃষ্টি করেছে, পূর্বেও করেছে এবং এখনও করছে -এরকম।’                         

‘কবে থেকে এটা শুরু হয়েছে?’- প্রশ্নে তিনি জানান, এটার  কার্যক্রম আনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। চিঠি দেওয়া হয়েছে অনেক পরে। এ কার্যক্রম ২০১৭ সাল থেকে শরু হয়েছে। এর আগে এটা সামনে আসেনি, কারণ হচ্ছে- এখন আমরা সারা বাংলাদেশে অফিসিয়ালি চিঠি দিয়েছি। আগে বিষয়টি গোপন ছিল, এখন সেটা প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি।


পুলিশ   ভয়   কৌশল   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আমাদের অজান্তেই দেশে বাকশাল গঠন করা হয়েছে: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৭:৩৮ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘দেশে একটি দল আছে। সেই দল স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ শাসন করছে। সেই দলের মধ্যে প্রশাসন, আর্মি এবং আইনশৃংখলা বাহিনী সবাই সদস্য। সংসদ ও সংসদের স্পিকার সেই দলের হয়েই কথা বলছেন। সবাইকে সেই দলই রক্ষা করছে। বিচার বিভাগ নিয়ে আমরা গর্ব করতাম। কিছু দিন আগে সরকারি দলের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি বলেছেন, প্রধান বিচারপতিকে আমরা নামিয়ে দিয়েছি। কে নামিয়ে দিয়েছে? আওয়ামী লীগ নামিয়ে দিয়েছে। তার মানে বিচার বিভাগকেও ঐ দলের সদস্য হতে হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশন সবাই ঐ দলের সদস্য হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের এবং তাদের নেতা একজন। সেই নেতা যা বলেন, সবাই তাই করেন। তাই নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠু হবে? সেখানে দুর্নীতিবাজরা কিভাবে শাস্তি পাবে? কীভাবে মেধাবিরা চাকরি পাবে? সবাই দলীয় আস্তরনের মধ্যে আছে। যে নির্দেশ আসে সবাই সে নির্দেশ মেনে চলে। যেভাবে বাকশাল গঠন করা হয়েছিলো, সেভাবেই বাকশালের মত সরকার গঠন করা হয়েছে। আমাদের অজান্তেই দেশে বাকশাল গঠন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শাসন ব্যবস্থার সকল প্রতিষ্ঠান একটি দলের সদস্য হয়ে গেছে। দেশের বাকি মানুষ যেনো মানুষ নয়। সাধারণ মানুষ খেলো কি খেলো না, তা দেখার কেউ নেই। বাকশালের মত একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে স্থায়ীত্ব দেয়া হয়েছে। সামনের নির্বাচনে বাকশালের মত সরকারকে চির স্থায়ীত্ব দেয়ার পরিকল্পনা চলছে। দেশে বাকশালের মত দল হয়েছে, এখানে সাধারণ মানুষের কোন স্থান নেই। সাধারণ মানুষ বিচার পায় না, সাধারণ মানুষের কথা গ্রাহ্য করা হয়না, সাধারণ মানুষ নির্বাচন করতে পারে না। সাধারণ মানুষ নির্বাচন করে জিততে পারবে না, এটাই বাস্তবতা।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করছি, আমরা নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসিনি। সরকারের কথা দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। এক দলের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। তাহলেই দেশের মানুষ বেঁচে থাকার অবলম্বন পাবে। দেশকে মুক্ত করা না গেলে হাজার হাজার কোটি টাকা আবারো বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। সরকারের বিপক্ষে সত্য কথা বললে- কোনো গণমাধ্যম প্রকাশ করতে পারে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে গণমাধ্যমের গলা টিপে রাখার জন্য। শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে, আগামীতে ফাঁসির ব্যবস্থা করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আইন করে, নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে দেশে লুটপাটের ব্যবস্থা হচ্ছে। দেশকে বাঁচাতেই আমাদের রাজনীতি। বাজেটের কারণে সামনের দিনগুলো আরও কঠিন হয়ে উঠবে। সেজন্য সরকারের কোন প্রস্তুতি নেই। সরকার জান বাঁচাতে নির্বাচন পার করতে চাচ্ছে। তারপর তারা দেখিয়ে দেবে তারা কোথায় আর জনগণ কোথায়।’   

শনিবার (৩ জুন) দুপুরে নরসিংদী শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো নেই। দেশের মানুষের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। সামনের দিনগুলো কেমন করে চলবে- তা নিয়ে চিন্তিত সবাই। দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতির কারণে আয় দিয়ে সংসার চালাতে পারছে না। মধ্যবিত্তরা এখন নিন্মবিত্ত নয়, দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেট কখনোই জনবান্ধব হতে পারে না। যে ট্যাক্স বিদ্যমান আছে তাই দেশের মানুষ দিতে পারছে না। কিন্তু আরো ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। মূল্যস্ফিতি আরো বাড়বে, জিনিস পত্রের দাম আরো বাড়বে। মানুষের আয় বাড়েনি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করে তারা চাকরি হারাচ্ছে। সরকার করোনা আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দোহাই দিয়ে জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়েছে। এখন আইএমএফ এর পরামর্শে আরেক দফা বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে। সব কিছুর দাম বাড়াচ্ছে। সারাদেশে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে, এ দায় সরকারের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে কিন্তু আমাদের দেশের মতো কোনো দেশের মানুষ এত অসহায় নেই। মুল্যস্ফীতির কারণে মানুষ নিস্পেষিত হচ্ছে, সামনের দিকে হয়তো অনেকেই না খেয়ে মারা যাবে।’ 

জি এম কাদের বলেন, ‘কল-কারখানা বন্ধ হচ্ছে বিদ্যুতের অভাবে। শতভাগ বিদ্যুত দেয়ার কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে লক্ষ-কোটি টাকা তসরুপ করেছে। সরকার ঘোষণা দিয়েছিলো দু’শো ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো বিদ্যুৎ দেয়া নয়। সরকারের তেল, গ্যাস ও কয়লা কেনার পয়সা নেই। এখন হাতে পায়ে ধরে বাকিতে গ্যাস, তেল ও কয়লা কিনতে হচ্ছে। গোঁজামিল দিয়ে দেশ চলছে। সরকারের হাতে বৈদেশিক মূদ্রা নেই। বকেয়া ঋণ পরিশোধ করলে সরকারের হাতে আর টাকা থাকবে না। এ কারণে, বিদেশ থেকে মাল আনতে পারছে না সরকার। দেশের মানুষ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখেননি। কিন্তু সরকার কয়লার বিল বকেয়া রেখেছেন কেন? মানুষের দুর্দশার জন্য বর্তমান সরকার দায়ী। 

তিনি বলেন, ‘সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের নামে লাখ-কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। এ কারণেই বিদ্যুৎ দিতে পারছে না সরকার। কিছু কিছু কোম্পানীর সাথে সরকার চুক্তি করেছে বিদ্যুত উৎপাদন হোক বা না হোক ডলারে তাদের পেমেণ্ট করতে হবে। এলএনজি খালাস হোক বা না হোক প্রতিদিন খালাস করার জায়গার জন্য একলাখ ডলারের বেশি দিতে হচ্ছে। এসব কোম্পানী হচ্ছে সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু পরিবারের। আমরা পাকিস্তান আমলে ২২ পরিবার দেখেছি এখন ২২ হাজার পরিবার সৃষ্টি হয়েছে যারা সরকারের সহায়তায় লুটপাটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে।’ 

সম্মেলনে জাতীয় পার্টি মহাসিচব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘দেশের মানুষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীন বা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চায় না। দেশের মানুষ চায় ভোটাধিকার। দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে চায়। গ্রামের মানুষ দিনে ৩ ঘন্টাও বিদ্যুৎ পায় না। দেশের মানুষ মুক্তি চায়। বিদ্যুতের নামে সরকার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে কিন্তু বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। আবার বিএনপি বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছিলো। এই দুটি দলকে দেশের মানুষ আর চায় না।’ 

সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব  ফখরুল ইমাম এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন। নরসিংদী জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফিকের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মো. ওমর ফারুক মিয়ার সঞ্চালনায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শামীম রানা ভূঁইয়া, হাজী মো. নূরুল ইসলাম, আব্দুল কাদির কিবরিয়া, মো. দেলোয়ার হোসেন, এডভোকেট সারোয়ার মোল্লা, শফিকুল ইসলাম সুমন, এডভোকেট কামাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মো. শহিদুল ইসলাম, আক্কাস আলী, মো. দেওয়ান আলী গাজী, মো. হাবিবুর রহমান, হারুন অর রশিদ হিরা, এডভোকেট আবুল হাসনাত মাসুম, মো. নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, জাকির হোসেন মৃধা। 

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, হেনা খান পন্নী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মমতাজ উদ্দিন, মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, যুগ্ম মহাসচিব শামসুল হক, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. বেলাল হোসেন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মাখন সরকার, মাসুদুর রহমান মাসুম, এম এ রাজ্জাক খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট রেজাউল করিম বাছেদ প্রমুখ। 


জাতীয় পার্টি   গোলাম মোহাম্মদ কাদের   সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের ওপর বারবার আঘাত, হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ইয়াহিয়া খান চেষ্টা করেছে, জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছে, এরশাদ-খালেদা জিয়াও চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগকে কীভাবে ধ্বংস করা যায়? আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাই এই সংগঠনকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না।’

শনিবার (৩ জুন) বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধু একটি দল নয়, আওয়ামী লীগ ইনস্টিটিউটের মতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এদেশের উন্নতি হয়, এটাই বাস্তব। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়েই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন। আওয়ামী লীগ নামক সংগঠন এদেশের মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রামে সব সময় ভূমিকা পালন করেছে।’ 

সরকার প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের কল্যাণ হয়। মানুষের কল্যাণে সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা যেসব কাজ করি, আওয়ামী লীগ যেসব পরিকল্পনা নেয়, প্রকল্প নেয়, তা সুপরিকল্পিতভাবেই করা হয়। আমাদের মাটি, মানুষ, পরিবেশ, আমাদের দেশের ভৌগলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক অবস্থা, সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা প্রকল্প গ্রহণ করি। তার ফলে আমাদের প্রতিটি প্রকল্পই সাফল্য অর্জন করে। মানুষ তার সুফল পায়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ এর বাংলাদেশ কী ছিল, এখন বাংলাদেশ কী অবস্থায় আছে, কেউ তুলনাটা বিবেচনা করলেই পরিবর্তনটা দেখতে পারবেন। একই দিনে ১০০ সড়ক উদ্বোধন করা, এটা কী কোনো সরকার আগে করেছে, পারেনি। কে পেরেছে? আওয়ামী লীগ। আজকে আমরা বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি, এখন আমাদের বেকারত্ব মাত্র ৩ শতাংশ। সেটাও থাকবে না। যদি কেউ উদ্যোগ নেয় সেও কাজ করতে পারবে। আমরা সেই ব্যবস্থাটাও করে দিয়েছি। আমাদের গ্রামের অর্থনীতি অনেক মজবুত। গ্রামের দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কৃষকদের আমরা সব ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছি, দুই কোটি ১০ লাখ কৃষককে কার্ড দিয়েছি। ভর্তুকির টাকাটা তার ব্যাংকে চলে যায়। ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ আমরা করে দিয়েছি। এক কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার ১৪৩ জন কৃষক পুরো বাংলাদেশে অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এখন তারা সেখানে বসে টাকা পেয়ে যায়। ধান কাটার মৌসুমে মানুষ পাওয়া যায় না, মজুরের দাম বেড়ে গেছে। আমি আহ্বান করেছি আমার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী মাঠে চলে গেছে, কৃষকের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে।’  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ শতভাগ দিতে পেরেছি, এখন যেহেতু তেলের দাম বেড়ে গেছে, গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে, কয়লার দাম বেড়ে গেছে, কয়লাও পাওয়া যাচ্ছে না। আগে এক সময় যারা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা করেছিল, তারাই এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে। তার কারণে কয়লা কিনে আনতে সমস্যা হচ্ছে। আমি জানি মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে, আমরা তো লোডশেডিং একেবারে দূর করে দিয়েছিলাম, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ যদি না হতো আর করোনাভাইরাস যদি না দেখা দিতো, আজকে যদি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা না দেখা দিতো, মুদ্রাস্ফীতি না দেখা দিতো, তাহলে মানুষের কষ্ট হতো না। আজকে আমরা ভেতরে যতই চেষ্টা করি, যে জিনিসটা বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে, সেটা কষ্ট করে আমাদেরকে জোগাড় করতে হচ্ছে।’ 

জ্বালানির সুখবর জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাতার ও ওমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়ে গেছে। আমরা আরো কয়েকটা দেশের সঙ্গে করছি যাতে গ্যাস কিনতে পারি। এই কষ্ট দূর করতে পারি। একবার অভ্যাস হয়ে গেলে মানুষের কষ্ট বাড়ে, বিএনপি-জামায়াতের আমলে তো বিদ্যুৎ ছিলই না। তখন মানুষ হাহাকার করত। বিদ্যুৎ চাওয়ার কারণে কানসার্টে খালেদা জিয়া গুলি করে মানুষ হত্যা করেছিল। সারের দাবি করেছিল বলে ১৮জন কৃষক হত্যা করছিল। শ্রমিকের মজুরি দাবি করেছিল বলে ২৭ জন শ্রমিককে রোজার সময় তাদের হত্যা করেছিল।’


প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পাঁচ ‘না’

প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ০৩ জুন, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি যতই আন্দোলন জোরদার করতে চাইছে, সরকারের বিরুদ্ধে এক দফা আন্দোলন শুরু করতে চাইছে ততই আওয়ামী লীগ অনড় অবস্থানে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক সূত্রগুলো বলছে, বিএনপিকে কোথাও কোনো ছাড় দেয়া হবে না। বিএনপির ব্যাপারে আওয়ামী লীগ এখন পাঁচ ‘না’ এর নীতি গ্রহণ করেছে। এগুলো হলো:- 

১. বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়: নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ কোনরকম আলোচনা করবে না। বিশেষ করে নির্বাচনকালীন সরকার বা নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, শুধুমাত্র যদি বিএনপি নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেয় তখনই বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম আলাপ আলোচনা করতে পারে। কিন্তু নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন বা নির্বাচন ঘোষণা বা নির্বাচনে আনার জন্য বিএনপির সাথে কোন রাজনৈতিক সমঝোতায় আওয়ামী লীগ যাবে না। 

২. আইনের ব্যত্যয় ঘটাবে না: বিএনপির পক্ষ থেকে এখন জেল-জুলুম ইত্যাদি নিয়ে কথাবার্তা বলা হচ্ছে। বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার, হয়রানির অভিযোগ উঠছে। তাদের বিরুদ্ধে নানারকম হয়রানিমূলক মামলা দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারেও আওয়ামী লীগের অবস্থান ‘না’। আওয়ামী লীগ বলে দিয়েছে যে আইন তার নিজস্ব গতি চলবে। অপরাধীদের জন্য রাজনৈতিক সমঝোতার স্বার্থে আইনের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং তার ব্যাপারে আইনের বিধি বিধানকে মেনে চলতে হবে। কারণ বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীন। এখানে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ সরকার করবে না।

৩. নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তনের না: বিএনপির পক্ষ থেকে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ভেঙ্গে সকলের সাথে আলোচনা করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। এই দাবিকেও আওয়ামী লীগ নাকচ করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে বলা হচ্ছে যে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে বর্তমান সংবিধানের অধীনে। কাজেই এই নির্বাচন কমিশনকে এখন পরিবর্তন করা বা বিএনপির দাবি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক পদে কোনো সুযোগ নেই। 

৪. তারেক জিয়ার ব্যাপারে না: বিএনপির পক্ষ থেকে একটি বড় দাবি হল যে তারেক জিয়ার মামলা প্রত্যাহার এবং তাকে দেশে আসার সুযোগ দেওয়া এবং তার সঙ্গে একটি সমঝোতা করা। কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। সরকার বলে দিয়েছে যে সরকার আর যাই করুক তারেক জিয়ার সাথে কোন রকম সমঝোতা করবে না। তারেক জিয়া যদি দেশে আসতে চায় তাহলে তাকে আইনি বাধ্যবাধকতা গুলো মেনে চলতে হবে। তারেক জিয়াকে দেশে আসার পথে কোন বাধা নেই। বরং সরকারই চায় তারেক জিয়া দেশে আসুক এবং  আইনের আওতায় যেন তারেক আত্মসমর্পণ করে এবং আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে নিজের অবস্থান প্রমান করার চেষ্টা করে।

৫. জামায়াতের সাথে না: বিএনপির সঙ্গে যেমন আওয়ামী লীগ কোনো সমঝোতা করবে না তেমনি জামায়াতকে কোন আশ্রয় প্রশ্রয় দেবে না। মূলত জামায়াত এখন বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় ভিন্নরূপে আন্দোলন সংগ্রাম এবং নির্বাচন করতে চাইছে। সরকারের সাথে একটি সমঝোতায়ও আসতে চাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে জামায়াতের সঙ্গে কোনো রকম সমঝোতায় সরকার যাবে না। 

এই পাঁচ ‘না’ এর অবস্থানে থেকে আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন এটাই তাদের জন্য প্রধান এবং সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। 

বিএনপি   নির্বাচনকালীন সরকার   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন