একটি চাকরির জন্য আপনার যোগ্যতা সিভিতে প্রকাশ
পায়। তাই কোন প্রতিষ্ঠান বা নিয়োগদাতার কাছে সিভি জমা দেবার আগে এর খুঁটিনাটি
যাচাই করে নেয়া প্রয়োজন। এ প্রক্রিয়াটি সিভি রিভিউ (CV Review) হিসাবে পরিচিত। এর
মাধ্যমে আপনার সিভির গ্রহণযোগ্যতা অনেকাংশে বাড়াতে পারেন আপনি।
সিভি বানানোর সময় ও পরে কিছু প্রশ্ন করুন নিজের
সিভির ব্যাপারে। তাহলে আপনার সিভির মান সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পাবেন। এ
লেখাতে এমন কিছু প্রশ্নের তালিকা দেয়া হলো।
ছবি
সিভিতে সাম্প্রতিক ছবি ব্যবহার করেছেন কি? উত্তর হওয়া উচিত “হ্যাঁ”। বিগত ৩-৬ মাসের মধ্যে তোলা ছবি ব্যবহার করুন।
ছবিটি কি সেলফি? উত্তর হওয়া উচিত “না”। সিভিতে প্রফেশনাল ছবি ব্যবহার করা প্রয়োজন।
ছবিতে পরিষ্কার ও মার্জিত পোশাক পরে আছেন কি? উত্তর হওয়া উচিত “হ্যাঁ”। পেশাদারিত্বের অভাব প্রকাশ পায়, এমন কোন পোশাক পরে সিভির ছবি তোলা থেকে বিরত থাকুন।
ব্যক্তিগত তথ্য
সিভিতে এমন ইমেইল, ফোন নাম্বার ও ঠিকানা ব্যবহার করেছেন কি যার মাধ্যমে আপনার সাথে সহজে যোগাযোগ করা যায়? উত্তর হওয়া উচিত “হ্যাঁ”।
সিভিতে এমন কোন ব্যক্তিগত তথ্য দিয়েছেন কি যা নিয়োগ দাতা জানতে চান নি? উত্তর হওয়া উচিত “না”। যেমন, নিজের উচ্চতা বা ওজন সম্পর্কিত তথ্য সিভিতে উল্লেখ করা উচিত নয়। কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটতে পারে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
চাকরির যোগ্যতার সাথে সম্পর্কিত শিক্ষাগত যোগ্যতাগুলো আগে উল্লেখ করেছেন কি? উত্তর হওয়া উচিত “হ্যাঁ”।
পড়াশোনার সময় কোন প্রজেক্টে কাজ করে থাকলে তার উল্লেখ করেছেন কি? উত্তর হওয়া উচিত “হ্যাঁ”। এর মাধ্যমে আপনার কাজের আগ্রহ সম্পর্কে নিয়োগদাতা একটা ধারণা পাবেন।
কোন অ্যাকাডেমিক স্কলারশিপ/পুরস্কার থাকলে তা উল্লেখ করেছেন কি? উত্তর হওয়া উচিত “হ্যাঁ”। এর মাধ্যমে আপনার প্রতি নিয়োগদাতার ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরীক্ষার ফলাফল (ক্লাস/গ্রেড), পাশের বছর এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম সঠিকভাবে উল্লেখ করেছেন কি? উত্তর হওয়া উচিত “হ্যাঁ”। ভুল তথ্য – সেটা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে হোক – আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দেবে নিয়োগদাতাকে।
কাজের অভিজ্ঞতা
চাকরির সাথে সম্পর্কিত কাজের অভিজ্ঞতা আগে উল্লেখ করেছেন কি? আপনার যদি কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে উত্তর হওয়া উচিত “হ্যাঁ”। যে পদের জন্য আবেদন করছেন, তার সাথে সবচেয়ে বেশি সম্পর্কিত কাজের কথা উল্লেখ করুন।
আপনার আগের কাজের ধরন, দায়িত্ব ও অর্জন নিয়ে তথ্য দিয়েছেন কি? উত্তর হওয়া উচিত “হ্যাঁ”। তবে লম্বা বিবরণ দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
কোন স্বেচ্ছাস্বেবী সংগঠনে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তা উল্লেখ করেছেন কি? উত্তর হওয়া উচিত “হ্যাঁ”। এর মাধ্যমে নিয়োগদাতা আপনার ব্যক্তিগত আগ্রহ ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ধারণা পাবেন।
দক্ষতা
চাকরির সাথে সম্পর্কিত দক্ষতাগুলো সবার আগে উল্লেখ করেছেন কি? উত্তর হওয়া উচিত “হ্যাঁ”।
আপনার দক্ষতাগুলো কীভাবে চাকরির সাথে সম্পর্কিত, সে ব্যাপারে তথ্য দিয়েছেন কি? উত্তর হওয়া উচিত “হ্যাঁ”। তথ্য দেবার আগে চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা দক্ষতাগুলো ভালোভাবে পড়ে নিন। এতে করে গোছানোভাবে আপনার তথ্য উপস্থাপন করতে পারবেন।
অপ্রাসঙ্গিক কিংবা আপনার না থাকা কোন দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন কি? উত্তর হওয়া উচিত “না”। অপ্রাসঙ্গিক দক্ষতার উল্লেখ করলে কিংবা দক্ষতা সম্পর্কে বাড়িয়ে লিখলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
রেফারেন্স
যাদের কথা রেফারেন্স হিসাবে উল্লেখ করেছেন, তাদের অনুমতি নিয়েছেন কি? উত্তর হওয়া উচিত “হ্যাঁ”। অনুমতি ছাড়া কারো নাম রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
রেফারেন্স হিসাবে যাদেরকে উল্লেখ করেছেন, তাদের সাথে সহজে যোগাযোগ করা যায় কি? উত্তর হওয়া উচিত “হ্যাঁ”। নিয়োগদাতা যেকোন সময় আপনার ব্যাপারে রেফারেন্সের ব্যক্তিদের মতামত জানতে চাইতে পারেন।
আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে সরাসরি পরিচিত কাউকে রেফারেন্স হিসাবে উল্লেখ করেছেন কি? উত্তর হওয়া উচিত “হ্যাঁ”। এক্ষেত্রে আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষক কিংবা আগের কর্মস্থানের কোন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম অনুমতি সাপেক্ষে রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
সিভি ক্যারিয়ার সিভি রিভিউ স্ট্যান্ডার্ড সিভি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয়
ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা
বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার
১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের
ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি
ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত
ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন
৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের
১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফল প্রকাশ
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগের প্রজ্ঞাপন
জারির কয়েক ঘণ্টা পরই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ‘জনস্বার্থে’ জারি করা আরেকটি আদেশে
নিয়োগ স্থগিতের তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের
৪ এপ্রিল তারিখের প্রজ্ঞাপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগাদেশ নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা প্রজ্ঞাপনে ‘রাষ্ট্রপতির
আদেশক্রমে’ তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে সামনে আসে
২০২১ সালের একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মিজানুর রহমান যখন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট
অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) দায়িত্বে ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে
নারী সহকর্মীরা যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন।
প্রো-ভিসি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) নতুন মহাপরিচালক
(ডিজি) হিসেবে মেজর জেনারেল মো. হোসাইন আল মোরশেদ পিএসসিকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার
(২ এপ্রিল) এ আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ওই আদেশে বলা হয়, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বিএ-৪৩১৪ মেজর জেনারেল
মো. হোসাইন আল মোরশেদকে এনএসআইর মহাপরিচালক পদে প্রেষণে নিয়োগের জন্য তার চাকরি প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির উপসচিব আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এ আদেশ জনস্বার্থে অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়।
মন্তব্য করুন