ইনসাইড গ্রাউন্ড

ওডিআইতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়

প্রকাশ: ০৯:১৫ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টা অনুমিত থাকলেও, পা হড়কানোর ভয় ছিলো। সবশেষ ওয়ানডে থেকে ৪টি পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিলো বাংলাদেশ। যদিও এই সিরিজে পরীক্ষা-নীরিক্ষার বিষয়টি আগে থেকেই সকলের জানা। তাই তাতে খুব একটা অবাকও হওয়ার কিছু ছিলো না। টি-টোয়েন্টির পর এই ম্যাচ দিয়ে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তরুণ সম্ভাবনাময় ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়ের। অভিষেক ম্যাচেই ব্যাট হাতে দারুণ সফলতা এনে দিয়েছেন দলকে। সাকিব আর হৃদয়ের নৈপূণ্যের পর বোলারদের দাপটে আইরিশদের ১৮৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।

পাঁচ ম্যাচ পর টস ভাগ্য সহায় হয়নি তামিম ইকবালদের। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য মনপূত হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের শুরুতেই অধিনায়ক তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ম্যাচের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মার্ক অ্যাডায়ারের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। করেন মাত্র ৩ রান। অধিনায়কের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে লিটন দাস ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন। তবে বেশিদূর টানতে পারেন নি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে স্টারলিংয়ের কাছে ক্যাচ দেন লিটন। ৩১ বলে ২৬ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

এ ম্যাচে আবার ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের। আইরিশদের বিপক্ষে চার নম্বরে ব্যাটিং করতে আসেন সাকিব আল হাসান। শান্তকে সাথে নিয়ে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে এদিন ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। এই মাইলফলকের থেকে হাত ছোঁয়া দুরত্বে ছিলেন সাকিব। প্রয়োজন ছিলো মাত্র ২৪ রানের। ম্যাচের ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে সেই মাইলফলক স্পর্শ করেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। কার্টিস ক্যাম্ফারের বল মিড অফে ঢেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান পূর্ণ করেন সাকিব। তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৭ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করলেন তিনি।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই ৩০০ ওয়ানডে উইকেটের কীর্তি গড়েছিলেন সাকিব। ৭ হাজার রান ও ৩০০ উইকেট পাওয়া তৃতীয় ক্রিকেটার এখন তিনি। সাকিবের আগে একদিনের ক্রিকেটে এই কীতিত্ব দেখিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়া ও পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। তবে এ কীর্তির ক্ষেত্রে সাকিবই দ্রুততম।

দলীয় ৮১ রানে শান্ত বিদায় নেয়। রাউন্ড দা উইকেট থেকে করা অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইনের বলটি লাইন ধরে রেখে ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ২৫ রান করে আউট হন তিনি। শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন এই ম্যাচে অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন। দুজনের ব্যাটে ভর করে জুটি গড়ার চেষ্টা চালায় স্বাগতিকরা।

আগের তিনটি জুটি পঞ্চাশের আগে থামেলেও দলকে এগিয়ে নিয়েছে সাকিব-হৃদয় জুটি। ওয়ানডেতে অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে দলের রানের চাকা সছল রাখেন সাকিব। ৬০ বল থেকে ৫০ রান পূর্ণ করেন দুজনে। ক্যারিয়ারের ৫৩তম অর্ধশতক তুলে নেন সাকিব আল হাসান। এরপর থেকে হাত খুলে খেলতে থাকেন তিনি। ইনিংসের ৩৫তম ওভারে হ্যারি টেক্টরের উপর রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছেন সাকিব। ৫ চারে সে ওভার থেকে ২২ রান তুলে নিয়ে সেঞ্চুরির আশা জাগান এই অলরাউন্ডার।

সাকিবের পর ক্যারিয়ারের প্রথম একদিনের ম্যাচেই অর্ধশতকের দেখা পান তৌহিদ হৃদয়। ২০০৬ সালে ফরহাদ রেজা ও ২০১১ সালে নাসির হোসেনের পর ওয়ানডেতে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করা তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হলেন তিনি। সিনিয়র সাকিবের সাথে বেশ সাবলীলভাবেই ব্যাট করতে থাকেন এই তরুণ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। মাঠের চারদিকে শট খেলে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন তিনি। সেই সাথে রানিং বিটুইন দ্যা উইকেটেও বেশ তৎপরতা দেখিয়েছেন হৃদয়।

তবে সেঞ্চুরি থেকে যখন মাত্র ৭ রান দূরে, তখনই নিজের উইকেট বিলিয়ে দিলেন সাকিব। গ্রাহাম হিউমের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের একটি বল জায়গা ছেড়ে খেলতে গিয়ে আলগাভাবে ব্যাট চালিয়েছিলেন সাকিব। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে তা সহজ ক্যাচে পরিণত হয় উইকেটের পেছনে। ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ১৩০ বলে ১৩৫ রানের জুটি। ২১৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

ক্রিজে এসেই এদিন মারমুখী ছিলেন মুশফিকুর রহিম। আগ্রাসী মেজাজে মোকাবেলা করেন আইরিশ বোলারদের। স্লগ সুইপে ছয় মেরে শুরুর পর সেটি ধরে রাখেন আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত। ইংলিশদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি পেলেও আইরিশদের বিপক্ষে তা হাতছাড়া হয়েছে ৬ রানের জন্য। ৪৬তম ওভারে গ্রাহাম হিউমের জোড়া আঘাতে রানের গতি কিছুটা কমে আসে বাংলাদেশের। এক বলের ব্যবধানে মুশফিক ও হৃদয়ের উইকেট তুলে নিয়ে দলকে খানিকটা স্বস্তি এনে দেন এই পেসার।

অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখছিলেন তৌহিদ হৃদয়। তবে সাকিবের মতো হতাশ হতে হয়েছে তাকেও। ৯২ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে হতাশা সঙ্গী করেই মাঠ ছাড়েন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। মুশফিক ৪৪ ও হৃদয় আউট হন ৯২ রানে। টেল এন্ডারদের নিয়ে বাকি সময়টা পার করে দেন ইয়াসির রাব্বি। নির্ধারতি ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়ায় ৭ উইকেটে ৩৩৮ রান। ৪টি উইকেট নেন হিউমে।

বাংলাদেশের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ভালই জবাব দিচ্ছিলো আয়ারল্যান্ড। দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার স্টিফেন দোহেনি ও পল স্টারলিং। শুরুটা ধীর গতির হলেও দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন দুই আইরিশ ব্যাটসম্যান। সাকিবের করা প্রথম পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে চড়াও হন দোহেনি। এক ছয় ও দুই চারে সে ওভার থেকে ১৫ রান তুলে নেন তিনি। তাতে সুবিধাজনক স্থানে থেকে পাওয়ার প্লে শেষ করে আয়ারল্যান্ড। ১০ ওভারে দলটির সংগ্রহ দাড়ায় বিনা উইকেটে ৫১ রান। তবে ১২তম ওভারে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। তার বল টার্ন করে দোহেনির ব্যাট ছুয়ে জমা হয় মুশফিকের গ্লাভসে। দলীয় ৬০ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারিরা। ৩৪ রান করেন দোহেনি।

সতীর্থের বিদায়ের পর তাকে অনুসরণ করে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার পল স্টারলিং। দোহেনির পরের ওভারেই ইবাদতের একটি শর্ট লেন্থের ডেলিভারিতে পরাস্ত হন স্টারলিং। উইকেটের পেছনে শূন্যে লাফিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। আইরিশররা সে ধাক্কা সামলে উঠার আগেই আবার আঘাত হানেন ইবাদত। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগেই হ্যারি টেক্টরকে ফিরতি পথ ধরায় এই পেসার। ৮ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে আয়ারল্যান্ড।

ক্রিজে দাড়িয়ে দলের এই ব্যাটিং ধসের সাক্ষী হচ্ছিলেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডু বালবিরনি। তবে দুঃসময়ে দলকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হন তিনি। ১৬তম ওভারে তাসকিনের দারুণ এক ডেলিভারি ভেঙে দেয় তার স্টাম্প। ৭৩ রানে চতুর্থ উইকেটে পতন হয় দলটির। মাত্র ৫ রানে ফেরেন বালবিরনি। এক ওভার পর আবারো দলকে সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। লোরকান টাকারকে ফিরিয়ে চাপে ফেলে দেন প্রতিপক্ষকে। স্লিপে দর্শনীয় এক ক্যাচ নেন ইয়াসির রাব্বি। স্কোরবোর্ডে ৭৬ রান তুলতেই পাঁচ ব্যাটসম্যান হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ড।

জর্জ ডকরেলকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়েছেন কার্টিস ক্যাম্ফার। তবে ১০৯ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ক্যাম্ফার। জয়ের সুবাস পেতে থাকে স্বাগতিকরা। নাসুম আহমেদ ২৬তম ওভারের শেষ দুই বলে গ্যারেথ ডিলানি ও অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইনের উইকেট তুলে নিলে তা সময়ের ব্যবধানে পরিণত হয়। একপ্রান্ত আগলে রেখে হারের ব্যবধান কমাতে থাকেন ডকরেল। 

মার্ক অ্যাডায়ারকে নিয়ে লড়াই করতে থাকেন ডকরেল। নবম উইকেটে স্কোরবোর্ডে ২৮ রান যোগ করেন দুজনে। ইবাদত হোসেনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন অ্যাডায়ার। ৩১তম ওভারে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ডকরেলের স্টাম্প উপড়ে দিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনিই। 

১৯ ওভার ১ বল বাকি থাকতেই ১৫৫ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। তাতে ১৮৩ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। যা ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জয়। এর আগে ওয়ানডেতে রানের ব্যবধানে বাংলাদেশের সবচেয়ে জয় ছিলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬৩ রানের। ৪টি উইকেট নিয়ে বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ইবাদত হোসেন। ৩টি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। আগামী ১৯ জানুয়ারি একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।


বাংলাদেশ   আয়ারল্যান্ড   ওয়ানডে   সিলেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দল ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:৫৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য এ প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছে। এ দলে ডাক পেয়েছে চলমান ডিপিএলে দারুণ ছন্দে থাকা পারভেজ হোসেন ইমন, তানভির ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। 

চলমান ডিপিএলে ব্যাট হাতে ৩ সেঞ্চুরি ও ২ হাফ সেঞ্চুরিতে ১২ ম্যাচে ৫৮৫ রান করেছেন পারভেজ ইমন। আর ডিপিএলে ১১ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়েছেন তানভির ইসলাম। তাছাড়া সর্বশেষ বিপিএলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে নির্বাচকদের সুনজরে আসেন সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্প:

নাজমুল হোসেন, লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান, পারভেজ হোসেন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসেন, হাসান মাহমুদ, সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকার। 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে ৩ মে। ৪ ও ৭ মে চট্টগ্রামেই পরের দুটি টি-টোয়েন্টি, এরপর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০ ও ১২ মে হবে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ


বাংলাদেশ ক্রিকেট   বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে যা জানালেন সুনিল নারিন

প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে আইপিএলের ১৭তম আসর। যেখানে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে শুরু থেকেই জ্বলে উঠেছেন ‍সুনিল নারিন। ব্যাট হাতে যেমন চালাচ্ছেন তাণ্ডব, তেমনি বল হাতে প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটারদের রীতিমতো ভড়কে দিচ্ছেন। তবে নারিনের এমন পারফরম্যান্সে অনেকের মনে তৈরি হয়েছে কৌতুহলী প্রশ্ন যে, নারিন কি আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন?

ভক্তদের সেই কৌতুহলী প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দিয়েছেন নারিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে তিনি সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে খেলবেন কিনা, তা নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন।

তবে নারিনের উত্তর শুনে হয়তো অনেক ভক্তরই মন খারাপ হবে। কারণ, গত সপ্তাহে কলকাতার হয়ে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানো এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর জাতীয় দলের জার্সিতে খেলবেন না। নারিন জানান, তার জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দরজা বন্ধ।

জাতীয় দলের জার্সিতে ফেরা নিয়ে নারিন বলেন, ‘আমি সত্যিই খুশি যে সম্প্রতি আমার পারফরম্যান্স অনেককে প্রকাশ্যে তাদের অবসর ভেঙে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করতে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি সেই সিদ্ধান্ত (জাতীয় দলের হয়ে না ফেরা) নিয়ে সন্তুষ্ট। আমি কখনই হতাশ হতে চাই না। সেই দরজাটি এখন বন্ধ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জুনে যারা মাঠে নামবে আমি তাদের সমর্থন করবো।’-যোগ করেন নারিন।

তিনিও আর বলেন, ‘যে ছেলেরা গত কয়েক মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছে এবং আমাদের দুর্দান্ত ভক্তদের দেখানোর যোগ্য যে তারা আরেকটি শিরোপা জিততে সক্ষম- আমি আপনাদের শুভ কামনা জানাই।’

গত সপ্তাহে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৫৬ বলে ১০৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন নারিন। তবে নারিনের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিকে ম্লান করে পাল্টা সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রাজস্থানকে জয় এনে দেন জস বাটলার।

আইপিএলের চলতি মৌসুমে কলকাতার হয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি নারিন। ২২.১১ গড়ে বোলিং করে শিকার করেন ৯ উইকেট। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল।

২০২৩ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন নারিন। তবে ২০১৯ সাল থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি খেলেননি তিনি। আর জাতীয় দলের হয়ে খেলার ইচ্ছেও নেই নারিনের।


সুনিল নারিন   ওয়েস্ট ইন্ডিজ   কলকাতা নাইট রাইডার্স  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এল ক্লাসিকোর সেই ম্যাচ পুনরায় আয়োজনের দাবি বার্সাপ্রধানের

প্রকাশ: ০৩:১৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এল ক্লাসিকো মানেই ফুটবল দুনিয়ার শীর্ষ এক লড়াই। যেখানে থাকে টান টান উত্তেজনা, থাকে বাড়তি উন্মাদনা। লা লিগার দুই ক্লাব বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যকার এই লড়াইয়ে হয়ে থাকে নানা ঘটনার ঘনঘটা।

গত রোববার রাতেও জমজমাট একটি এল ক্লাসিকো উপভোগ করেছে ফুটবল দুনিয়া। গোল, পাল্টা গোলের ম্যাচে শেষ মুহূর্তে জুড বেলিংহামের গোলে ৩-২ ব্যবধানে জয় পায় রিয়াল। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে এই ম্যাচে আলোচনার শীর্ষে উঠেছে গোললাইন প্রযুক্তি।

বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ দাবি করেছে, খেলার মাঠে গোললাইন প্রযুক্তি না থাকার কারণে অবিচারের শিকার হয়েছেন তারা। না হয় খেলার ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো।

ঘটনাটি ম্যাচের ২৮ মিনিটের। তখন খেলা চলছে ১-১ সমতায়। এমন সময় বার্সা তারকা রাফিনহার কর্নার থেকে আসা বল রিয়ালের জাল লক্ষ্য করে শট নেন লামিন ইয়ামাল। সেই বল ফিরিয়ে দেন রিয়ালের গোলরক্ষক আন্দ্রেয়ে লুনিন।

বার্সার খেলোয়াড়রা দাবি করেন, বলটা গোললাইনের ভেতর থেকে নিয়ে এসেছেন লুুনিন। কিন্তু রেফারি গোল না দিয়ে বার্সার পক্ষে পুনরায় কর্নারের সিদ্ধান্ত দেন। রেফারির এই সিদ্ধান্তটিই মানতে পারছে না বার্সা।

বিতর্কিত এই ঘটনা নিয়ে বরাবরের মতোই আলোচনা-সমালোচনায় মেতে উঠেছেন দর্শকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত দেন তারা।

এদিকে রিয়ালের বিপক্ষে এই ম্যাচটি পুনরায় আয়োজনের কথা বলছেন বার্সাপ্রধান হুয়ান লাপোর্তা। তিনি বলেন, লামিনের গোল নিয়ে ভিএআর প্রযুক্তির ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে ম্যাচটি পুনরায় আয়োজন করা উচিত।

সোমবার এক বিবৃতিতে লাপোর্তা বলেন, ‘ম্যাচে বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেগুলোর মধ্যে একটি ঘটনা ছিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং যা খেলার ফলাফল পরিবর্তন করে দিতে পারে।

‘আমি লামিন ইয়ামালের ‘‘ফ্যান্টম গোল’’- এর কথা বলছি। একটি ক্লাব হিসাবে আমরা নিশ্চিত হতে চাই সেখানে কী ঘটেছিল। এই কারণেই আমরা ঘটনার ফুটেজ এবং অডিও সংগ্রহের জন্য অবিলম্বে অনুরোধ করব।’-যোগ করেন লাপোর্তা।

লাপোর্তা আরও বলেন, ‘যদি একবার এসব প্রমাণাদি বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে ক্লাব বুঝতে পারে যে ঘটনার পুনর্বিবেচনায় একটি ত্রুটি তৈরি করা হয়েছে। আমরা অবশ্যই কোনও প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ ছাড়াই পরিস্থিতিকে পরিবর্তন করার সব দরকারি ব্যবস্থা নেব।’

তিনি বলেন, ‘যদি এটি নিশ্চিত হয় যে, এটি সত্যিকার অর্থেই গোল ছিল তাহলে আমরা সামনে এগিয়ে যাব এবং ম্যাচটি পুনরায় আয়োজনের অনুরোধ করবো। যেমনটি ভিএআর ত্রুটির কারণে ইউরোপের অন্য একটি খেলায় ঘটেছে।’

জাভি ও বার্সার গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে লা লিগার খেলায় গোললাইন প্রযুক্তি না থাকাকে বিব্রতকর বলে উল্লেখ করেছেন। সূক্ষ্মভাবে খেলা পরিচালনার জন্য লা লিগা কর্তৃপক্ষকে গোললাইন প্রযুক্তি বসানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।


বার্সালোনা   রিয়াল মাদ্রিদ   লা লিগা   এল ক্লাসিকো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

যে একাদশ নিয়ে লখনৌর বিপক্ষে মাঠে নামতে পারে চেন্নাই

প্রকাশ: ০২:৪৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিকল্প হিসেবে দল পেলেও চলমান আইপিএলে মুস্তাফিজের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। প্রথম ম্যাচেই ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট শিকার বাঁহাতি এই পেসারের। এতে করে পার্পল ক্যাপের দৌড়ে শীর্ষের দিকেই রয়েছেন তিনি।

এমন পরিস্থিতিতে আজ দিনের একমাত্র ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টের মুখোমুখি হচ্ছে মুস্তাফিজের চেন্নাই সুপার কিংস। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু হবে ম্যাচটি।

নিজেদের ঘরের মাঠে লখনৌর বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই। এই ম্যাচেও মুস্তাফিজের একাদশে থাকার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। চিপকের এই মাঠে ৩ ম্যাচ খেলে ৮ উইকেট নিয়েছেন টাইগার পেসার। আজকেও তাই টাইগার পেসার থেকে দুর্দান্ত কিছুই প্রত্যাশা থাকবে চেন্নাইয়ের।

জাতীয় দলের দায়িত্ব থাকার কারণে এবারের আইপিএলের পুরো আসর খেলা হবে ফিজের। লখনৌর বিপক্ষে মাঠে নামার আগে মুস্তাফিজের আইপিএল ছাড়া নিয়ে মন্তব্য করেছেন মাইক হাসি। তার চলে যাওয়াকে দুঃখজনক হিসেবেও আখ্যায়িত করেন তিনি।

চেন্নাই কোচ বলেন, ‘মুস্তাফিজের স্লোয়ার বলটা অসাধারণ। এটা খেলা বেশ কঠিন, বিশেষ করে চেন্নাইয়ে। দেশের ডাকে সাড়া দিয়ে যখন সে চলে যাবে আমরা দুঃখ পাব। মুস্তাফিজ যতদিন থাকতে পারবে ততদিন আমরা তাকে রাখতে চাই। আমরা তার পারফরম্যান্সে বেশ আনন্দিত।’

চেন্নাইয়ের সম্ভাব্য একাদশ:

রাচিন রবীন্দ্র, ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (অধিনায়ক), আজিঙ্কা রাহানে, শিবাম দুবে (ইমপ্যাক্ট), মঈন আলি, রবীন্দ্র জাদেজা, সামির রিজভি, এমএস ধোনি (উইকেটরক্ষক), দীপক চাহার, তুষার দেশপাণ্ডে, মুস্তাফিজুর রহমান, মাথিশা পাথিরানা।


আইপিএল   চেন্নাই সুপার কিংস   লখনৌ সুপার জায়ান্টস   ঋতুরাজ   লোকেশ রাহুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইতিহাসে ২০তম লিগ শিরোপা জিতল ইন্টার মিলান

প্রকাশ: ০১:৫৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জিতলেই নিশ্চিত হবে শিরোপা, এমন সমীকরণ সামনে দাঁড়িয়ে পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতেই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০তম বারের মতো সিরি আ শিরোপা জিতেছে ইন্টার মিলান। গতকাল রাতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে ২-১ গোলে হারিয়ে এবারের শিরোপা ঘরে তুলেছেন লাউতারো মার্টিনেজরা।

এদিন ম্যাচের ১৮ মিনিটেই ফ্রান্সিসকো অ্যাসারবির গোলে এগিয়ে যায় তারা। তবে প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেই আবারও গোল করে ইন্টার মিলান। ৪৯ মিনিটে এসি মিলানের জাল কাঁপান মার্কাস থ্ররাম। এতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইন্টার মিলান।

কিন্তু ৮০ মিনিটে ইন্টার মিলানের একটি গোল শোধ করে দেন এসি মিলানের ফিকায়ো তোমোরি। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের মূল সময়ে আর সমতায় ফিরতে পারেনি ইন্টার মিলান।

অতিরিক্ত সময়ে শুরু হয় লালকার্ডের নাটকীয়তা। ৯৩ মিনিটে এসি মিলানের তোমারির এক ফাউলকে কেন্দ্র করে বাক-বিতণ্ডায় জড়ানোর দায়ে দুই দলের দুই খেলোয়াড়কে লালকার্ড দেখান রেফারি।

লালকার্ড দেখেন ইন্টার মিলানের ডেনজেল ডামফ্রাইস, আর এসি মিলানের থিও হার্নান্দেজ। এতে ১০ দলে পরিণত হয় দুই দল।

এর ৪ মিনিট পর আবারও তর্ক-বিতর্ক। এবার লালকার্ড দেখেন শুধু এসি মিলানের খেলোয়াড় ডেভিড ক্যালাবরিয়া। তিনি মাঠ ছাড়লে ৯ জনের দলে পরিণত হয় এসি মিলান। ফলে বাকি এক গোল আর এসি মিলানের পক্ষে শোধ করা সম্ভব হয়নি। ২-১ গোলে জিতে শিরোপা নিশ্চিত করে ইন্টার মিলান।

শিরোপা জিতে ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন তারকা মার্টিনেজ বলেন, ‘আমি দলের খেলোয়াড়দের বলেছিলাম যে, আমরা নিজেদেরকে এমন পরিস্থিতিতে খুঁজে পেয়েছি যা আগে কখনো ঘটেনি। আমাদের এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করা দরকার ছিল। কারণ চারপাশে দেখুন, পুরো স্টেডিয়াম এখন আমাদের।’


ইন্টার মিলান   সিরি আ   এসি মিলান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন