আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টা অনুমিত থাকলেও, পা হড়কানোর ভয় ছিলো। সবশেষ ওয়ানডে থেকে ৪টি পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিলো বাংলাদেশ। যদিও এই সিরিজে পরীক্ষা-নীরিক্ষার বিষয়টি আগে থেকেই সকলের জানা। তাই তাতে খুব একটা অবাকও হওয়ার কিছু ছিলো না। টি-টোয়েন্টির পর এই ম্যাচ দিয়ে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তরুণ সম্ভাবনাময় ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়ের। অভিষেক ম্যাচেই ব্যাট হাতে দারুণ সফলতা এনে দিয়েছেন দলকে। সাকিব আর হৃদয়ের নৈপূণ্যের পর বোলারদের দাপটে আইরিশদের ১৮৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।
পাঁচ ম্যাচ পর টস ভাগ্য সহায় হয়নি তামিম ইকবালদের। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য মনপূত হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের শুরুতেই অধিনায়ক তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ম্যাচের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মার্ক অ্যাডায়ারের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। করেন মাত্র ৩ রান। অধিনায়কের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে লিটন দাস ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন। তবে বেশিদূর টানতে পারেন নি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে স্টারলিংয়ের কাছে ক্যাচ দেন লিটন। ৩১ বলে ২৬ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
এ ম্যাচে আবার ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের। আইরিশদের বিপক্ষে চার নম্বরে ব্যাটিং করতে আসেন সাকিব আল হাসান। শান্তকে সাথে নিয়ে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে এদিন ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। এই মাইলফলকের থেকে হাত ছোঁয়া দুরত্বে ছিলেন সাকিব। প্রয়োজন ছিলো মাত্র ২৪ রানের। ম্যাচের ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে সেই মাইলফলক স্পর্শ করেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। কার্টিস ক্যাম্ফারের বল মিড অফে ঢেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান পূর্ণ করেন সাকিব। তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৭ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করলেন তিনি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই ৩০০ ওয়ানডে উইকেটের কীর্তি গড়েছিলেন সাকিব। ৭ হাজার রান ও ৩০০ উইকেট পাওয়া তৃতীয় ক্রিকেটার এখন তিনি। সাকিবের আগে একদিনের ক্রিকেটে এই কীতিত্ব দেখিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়া ও পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। তবে এ কীর্তির ক্ষেত্রে সাকিবই দ্রুততম।
দলীয় ৮১ রানে শান্ত বিদায় নেয়। রাউন্ড দা উইকেট থেকে করা অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইনের বলটি লাইন ধরে রেখে ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ২৫ রান করে আউট হন তিনি। শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন এই ম্যাচে অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন। দুজনের ব্যাটে ভর করে জুটি গড়ার চেষ্টা চালায় স্বাগতিকরা।
আগের তিনটি জুটি পঞ্চাশের আগে থামেলেও দলকে এগিয়ে নিয়েছে সাকিব-হৃদয় জুটি। ওয়ানডেতে অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে দলের রানের চাকা সছল রাখেন সাকিব। ৬০ বল থেকে ৫০ রান পূর্ণ করেন দুজনে। ক্যারিয়ারের ৫৩তম অর্ধশতক তুলে নেন সাকিব আল হাসান। এরপর থেকে হাত খুলে খেলতে থাকেন তিনি। ইনিংসের ৩৫তম ওভারে হ্যারি টেক্টরের উপর রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছেন সাকিব। ৫ চারে সে ওভার থেকে ২২ রান তুলে নিয়ে সেঞ্চুরির আশা জাগান এই অলরাউন্ডার।
সাকিবের পর ক্যারিয়ারের প্রথম একদিনের ম্যাচেই অর্ধশতকের দেখা পান তৌহিদ হৃদয়। ২০০৬ সালে ফরহাদ রেজা ও ২০১১ সালে নাসির হোসেনের পর ওয়ানডেতে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করা তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হলেন তিনি। সিনিয়র সাকিবের সাথে বেশ সাবলীলভাবেই ব্যাট করতে থাকেন এই তরুণ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। মাঠের চারদিকে শট খেলে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন তিনি। সেই সাথে রানিং বিটুইন দ্যা উইকেটেও বেশ তৎপরতা দেখিয়েছেন হৃদয়।
তবে সেঞ্চুরি থেকে যখন মাত্র ৭ রান দূরে, তখনই নিজের উইকেট বিলিয়ে দিলেন সাকিব। গ্রাহাম হিউমের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের একটি বল জায়গা ছেড়ে খেলতে গিয়ে আলগাভাবে ব্যাট চালিয়েছিলেন সাকিব। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে তা সহজ ক্যাচে পরিণত হয় উইকেটের পেছনে। ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ১৩০ বলে ১৩৫ রানের জুটি। ২১৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ক্রিজে এসেই এদিন মারমুখী ছিলেন মুশফিকুর রহিম। আগ্রাসী মেজাজে মোকাবেলা করেন আইরিশ বোলারদের। স্লগ সুইপে ছয় মেরে শুরুর পর সেটি ধরে রাখেন আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত। ইংলিশদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি পেলেও আইরিশদের বিপক্ষে তা হাতছাড়া হয়েছে ৬ রানের জন্য। ৪৬তম ওভারে গ্রাহাম হিউমের জোড়া আঘাতে রানের গতি কিছুটা কমে আসে বাংলাদেশের। এক বলের ব্যবধানে মুশফিক ও হৃদয়ের উইকেট তুলে নিয়ে দলকে খানিকটা স্বস্তি এনে দেন এই পেসার।
অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখছিলেন তৌহিদ হৃদয়। তবে সাকিবের মতো হতাশ হতে হয়েছে তাকেও। ৯২ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে হতাশা সঙ্গী করেই মাঠ ছাড়েন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। মুশফিক ৪৪ ও হৃদয় আউট হন ৯২ রানে। টেল এন্ডারদের নিয়ে বাকি সময়টা পার করে দেন ইয়াসির রাব্বি। নির্ধারতি ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়ায় ৭ উইকেটে ৩৩৮ রান। ৪টি উইকেট নেন হিউমে।
বাংলাদেশের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ভালই জবাব দিচ্ছিলো আয়ারল্যান্ড। দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার স্টিফেন দোহেনি ও পল স্টারলিং। শুরুটা ধীর গতির হলেও দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন দুই আইরিশ ব্যাটসম্যান। সাকিবের করা প্রথম পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে চড়াও হন দোহেনি। এক ছয় ও দুই চারে সে ওভার থেকে ১৫ রান তুলে নেন তিনি। তাতে সুবিধাজনক স্থানে থেকে পাওয়ার প্লে শেষ করে আয়ারল্যান্ড। ১০ ওভারে দলটির সংগ্রহ দাড়ায় বিনা উইকেটে ৫১ রান। তবে ১২তম ওভারে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। তার বল টার্ন করে দোহেনির ব্যাট ছুয়ে জমা হয় মুশফিকের গ্লাভসে। দলীয় ৬০ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারিরা। ৩৪ রান করেন দোহেনি।
সতীর্থের বিদায়ের পর তাকে অনুসরণ করে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার পল স্টারলিং। দোহেনির পরের ওভারেই ইবাদতের একটি শর্ট লেন্থের ডেলিভারিতে পরাস্ত হন স্টারলিং। উইকেটের পেছনে শূন্যে লাফিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। আইরিশররা সে ধাক্কা সামলে উঠার আগেই আবার আঘাত হানেন ইবাদত। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগেই হ্যারি টেক্টরকে ফিরতি পথ ধরায় এই পেসার। ৮ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে আয়ারল্যান্ড।
ক্রিজে দাড়িয়ে দলের এই ব্যাটিং ধসের সাক্ষী হচ্ছিলেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডু বালবিরনি। তবে দুঃসময়ে দলকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হন তিনি। ১৬তম ওভারে তাসকিনের দারুণ এক ডেলিভারি ভেঙে দেয় তার স্টাম্প। ৭৩ রানে চতুর্থ উইকেটে পতন হয় দলটির। মাত্র ৫ রানে ফেরেন বালবিরনি। এক ওভার পর আবারো দলকে সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। লোরকান টাকারকে ফিরিয়ে চাপে ফেলে দেন প্রতিপক্ষকে। স্লিপে দর্শনীয় এক ক্যাচ নেন ইয়াসির রাব্বি। স্কোরবোর্ডে ৭৬ রান তুলতেই পাঁচ ব্যাটসম্যান হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ড।
জর্জ ডকরেলকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়েছেন কার্টিস ক্যাম্ফার। তবে ১০৯ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ক্যাম্ফার। জয়ের সুবাস পেতে থাকে স্বাগতিকরা। নাসুম আহমেদ ২৬তম ওভারের শেষ দুই বলে গ্যারেথ ডিলানি ও অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইনের উইকেট তুলে নিলে তা সময়ের ব্যবধানে পরিণত হয়। একপ্রান্ত আগলে রেখে হারের ব্যবধান কমাতে থাকেন ডকরেল।
মার্ক অ্যাডায়ারকে নিয়ে লড়াই করতে থাকেন ডকরেল। নবম উইকেটে স্কোরবোর্ডে ২৮ রান যোগ করেন দুজনে। ইবাদত হোসেনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন অ্যাডায়ার। ৩১তম ওভারে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ডকরেলের স্টাম্প উপড়ে দিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনিই।
১৯ ওভার ১ বল বাকি থাকতেই ১৫৫ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। তাতে ১৮৩ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। যা ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জয়। এর আগে ওয়ানডেতে রানের ব্যবধানে বাংলাদেশের সবচেয়ে জয় ছিলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬৩ রানের। ৪টি উইকেট নিয়ে বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ইবাদত হোসেন। ৩টি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। আগামী ১৯ জানুয়ারি একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে সিলেট
মন্তব্য করুন
পার্ক দ্য প্রিন্সেসে পিএসজির জার্সিতে নিজের বিদায়ী ম্যাচে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দিয়ে বিদায়টা স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি লিওনেল মেসি। ক্লেরমর বিপক্ষে তাই ৩-২ গোলে হেরেই মৌসুম শেষ করতে হলো পিএসজিকে। আগের মতো এই ম্যাচেও পিএসজি ভক্তদের দুয়োধ্বনি শুনেই মাঠ ছাড়লেন তিনি।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া গোলরক্ষক সার্জিও রিকোকে ম্যাচের আগে শ্রদ্ধা জানায় পিএসজি। ম্যাচের ১৬ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। ভিতিনিয়ার ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে জাল খুঁজে নেন সার্জিও রামোস। মেসির মতো তারও পিএসজির জার্সিতে এটাই শেষ ম্যাচ ছিল।
২১ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের
পেনাল্টি দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে পিএসজি। প্রথমার্ধে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ছিল পিএসজির রক্ষণের দুর্বলতা। ৩৬তম মিনিটের মাথায় একিটিকে হ্যান্ডবল করায় পেনাল্টি পায় ক্লেরমঁ। কিয়েই সেই বল বাইরে মারেন। ৪১তম মিনিটে মেসির ফ্রি কিক একটুর জন্য বেরিয়ে যায়।
কিন্তু এরপর পুরোটাই ক্লেরমর প্রত্যাবর্তনের গল্প। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই সমতায় ফেরে তারা। বিরতির পর ৬৩ মিনিটে গ্রেহন কেই
এর গোল এগিয়ে দেয় তাদের। এরপর চেষ্টা করেও সমতায় ফিরতে পারেনি পিএসজি। শেষ মুহূর্তে মেসির ফ্রি-কিক একটু আশা জাগালেও, বাকানো শট ঠেকিয়ে দেন ক্লেরমর গোলরক্ষক। অবশেষে নিয়েই মাঠ ছাড়ে পিএসজি।
৮৫ পয়েন্ট নিয়েই এবার মৌসুম শেষ করে পিএসজি। দ্বিতীয়তে থাকা লসের সঙ্গে তাদের ব্যবধান কেবল এক পয়েন্টের। তবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ করার কারণে স্বস্তির বাতাস বইছে পিএসজি শিবিরে।
মন্তব্য করুন
এবারই প্রথমবারের মতো এফএ কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ফলে নতুন ইতিহাসও লেখা হয়ে যাচ্ছে আজ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়।
এফএ কাপে শেষবার ‘ম্যানচেস্টার ডার্বি’ হয়েছিল ২০১১ সালে। সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই ম্যানচেস্টার। ইয়াইয়া তুরের একমাত্র
জয়সূচক গোলে ম্যান ইউকে হারিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর পর এফএ কাপ ফাইনালে উঠেছিল ম্যান সিটি। সে বছর চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল তারা।
এবারও ম্যানচেস্টার সিটি
রয়েছে দুর্দান্ত ফর্মে । গত ছয় মৌসুমের মধ্যে পাঁচবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতা দলটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও উঠেছে। পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের সামনে এখন
একমাত্র লক্ষ্য ‘ট্রেবল’।
মৌসুমে এরইমধ্যে একটি ট্রফি জিতে
নিয়েছে সিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গার্দিওলার দল। তিন নম্বরে থেকে শেষ করেছে ম্যান ইউ। তারাও রয়েছে দুর্দান্ত ছন্দে । এফএ কাপের মতো ঐতিহ্যের ট্রফি জেতাই লক্ষ্য দুই ম্যানচেস্টারের।
ম্যান সিটি বলতেই এখন চলে আসে তরুণ স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ডের নাম। ইংলিশ ফুটবলে অভিষেক মৌসুমেই
রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই নরওয়েজিয়ান। হালান্ডকে আটকানোই
এফএ কাপ ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে বাড়তি চ্যালেঞ্জ ।
ম্যান সিটির ক্ষেত্রে বলা যায়, দলে সেই অর্থে বড় কোনও চোট সমস্যা নেই। সামান্য ধোঁয়াশা
রয়েছে ম্যানুয়েল আকাঞ্জিকে নিয়ে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের কথা ভেবে এই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে গোলকিপার এডারসনকে। তার জায়গায় খেলতে পারেন স্টেফান ওর্তেগা।এই ম্যাচে পাওয়া যাবে না অ্যান্টনি স্যান্টোসকে । চোটের জন্য বাইরে আছেন লিজান্দ্রো মার্টিনেজও। সিটির সামনে তাই কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে রেড ডেভিলসদের।
মন্তব্য করুন
প্যারিস
সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) সঙ্গে লিওনেল মেসির সম্পর্ক শেষ হয়েছে কদিন
আগেই। আজই (শনিবার) পিএসজিতে লিওনেল
মেসির শেষ ম্যাচ। বৃহস্পতিবার রাতে কোচ ক্রিস্টোফে গাল্টিয়ের জানিয়ে দিয়েছেন সে কথা।
এবার আরও এক তারকা ফুটবলারের পিএসজি
অধ্যায় শেষ হতে যাচ্ছে। অকস্মাৎ বিদায়ের ঘোষণা দিলেন পিএসজির আরেক বড় তারকা সার্জিও
রামোস।
সাবেক রিয়াল
ডিফেন্ডার জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে অর্থাৎ শনিবার ক্লেমন্টের বিপক্ষে ম্যাচটিই হবে পিএসজিতে
তার শেষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এই বিষয়টি জানিয়েছেন রামোস। শুক্রবার তিনি
লিখেছেন, ‘আগামীকাল আমার জন্য বিশেষ দিন। কারণ কাল আমি আমার জীবনের একটি অধ্যায়কে বিদায়
বলব, বিদায় পিএসজি।’
৩৭ বছর বয়সী
রামোস পিএসজির হয়ে ৫৭টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০২১ সালের জুলাইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ফরাসি
লিগে যোগ দিয়েছিলেন এই ডিফেন্ডার। পিএসজির হয়ে তিনি দুটি লিগ শিরোপা জিতেছেন।
রামোস জাতীয়
দল স্পেনের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার। দেশের হয়ে জিতেছেন বিশ্বকাপ এবং দুটি
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ।
ক্লাব ক্যারিয়ারে
তার মূল সময়টা কেটেছে রিয়াল মাদ্রিদে। ২০০৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৬ বছর কাটিয়েছেন
রিয়ালে। জিতেছেন পাঁচটি লা লিগা শিরোপা এবং চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি।
মন্তব্য করুন
ম্যাচ হেরে অভিজ্ঞ কোচ জোসে মরিনিওর মেজাজ হারানোর ঘটনা নতুন
কিছু নয়। এরকম আচরণের দায়ে এর আগেও তিনি শাস্তি পেয়েছিলেন। আরও একবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করলেন এই রোমা কোচ। ঘটনাটি সর্বশেষ ইউরোপা লিগ ফাইনালের, ম্যাচ শেষে তার বিরুদ্ধে রেফারির উদ্দেশ্যে অপমানজনক ও অশালীন ভাষা ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও ম্যাচে তাদের সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করার
কারণে হলুদ কার্ড দেখতে হয় তাকে। সেই ঘটনার
জন্য কড়া শাস্তি পেতে পারেন এই স্পেশাল ওয়ান।
গত ৩১ মে ইউরোপা লিগের ফাইনালে সেভিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে যায় রোমা। ম্যাচটিতে টুর্নামেন্টের রেকর্ড সংখ্যক হলুদ কার্ড দেখানো হয়। যেখানে ৪০টি ফাউলের বিপরীতে ১৩ বার হলুদ কার্ড
দেখাতে হয়েছে রেফারি অ্যান্থনি টেইলরকে। এর মধ্যে রোমার খেলোয়াড়েরাই ৭টি হলুদ কার্ড পেয়েছেন ।
একদিকে হার, অন্যদিকে কার্ডের সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই বেশ রগচটে ছিলেন মরিনিও। তারই রেশ ধরে ম্যাচ শেষে তিনি পুসকাস অ্যারেনার বাইরে ম্যাচ অফিসিয়ালদের লক্ষ্য করে চিৎকার করেন। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনেও রেফারি টেইলরের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন তিনি।
৬০ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার কথা জানিয়েছে উয়েফা। সমর্থকদের আচরণের জন্য উভয় ক্লাবের বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। জানা গেছে, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন মরিনিও।
ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে গত বুধবার বুদাপেস্টে সেভিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় রোমা। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ১-১ ড্র ছিল। ট্রাইবেকে রোমা একাধিক শ্যুট আউট মিস করে। ফলে সেভিয়ার রেকর্ড সপ্তমবারের ইউরোপা লিগ শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়।
যার রেশ ম্যাচের পরদিনও রেখে দেন রোমা সমর্থকরা। এদিন বুদাপেস্ট বিমানবন্দরে তাদের হয়রানির শিকার হন রেফারি টেইলর ও তার পরিবার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, টেইলর ও তার পরিবারকে গালিগালাজ করছেন ইতালিয়ান ক্লাবটির সমর্থকরা। একজন সমর্থন টেইলরকে লক্ষ্য করে চেয়ারও ছুড়ে মারলেও, অল্পের জন্য রক্ষা পান ইংলিশ রেফারি।
মন্তব্য করুন
ইউরোপীয় ফুটবলে রাজত্ব করা স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ টানা দ্বিতীয় বছর বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্লাবগুলোর তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। মার্কিন ব্যবসা সাময়িকী ফোর্বসের হিসাব অনুসারে, এই মুহূর্তে রিয়ালের বাজারমূল্য ৬.০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংল্যান্ডের এই ক্লাবটির বাজারমূল্য ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্লাব শুধু এ দু'টিই। ২০০৪ সাল থেকে ফুটবল ক্লাবগুলোর বাজারমূল্যভিত্তিক তথ্য হালনাগাদ করছে ফোর্বস। প্রতিবারই প্রথম পাঁচের মধ্যে থাকা ক্লাবও শুধু রিয়াল আর ইউনাইটেডই।
ফোর্বস বলছে, গত এক বছরে রিয়ালের বাজারমূল্য বেড়েছে ১৯ শতাংশ। সংস্কার করা সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামে ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি অর্থায়ন তাদের মূল্য বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে।
মন্তব্য করুন
ম্যাচ হেরে অভিজ্ঞ কোচ জোসে মরিনিওর মেজাজ হারানোর ঘটনা নতুন কিছু নয়। এরকম আচরণের দায়ে এর আগেও তিনি শাস্তি পেয়েছিলেন। আরও একবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করলেন এই রোমা কোচ। ঘটনাটি সর্বশেষ ইউরোপা লিগ ফাইনালের, ম্যাচ শেষে তার বিরুদ্ধে রেফারির উদ্দেশ্যে অপমানজনক ও অশালীন ভাষা ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও ম্যাচে তাদের সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করার কারণে হলুদ কার্ড দেখতে হয় তাকে। সেই ঘটনার জন্য কড়া শাস্তি পেতে পারেন এই স্পেশাল ওয়ান।
ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্লাব শুধু এ দু'টিই। ২০০৪ সাল থেকে ফুটবল ক্লাবগুলোর বাজারমূল্যভিত্তিক তথ্য হালনাগাদ করছে ফোর্বস। প্রতিবারই প্রথম পাঁচের মধ্যে থাকা ক্লাবও শুধু রিয়াল আর ইউনাইটেডই। ফোর্বস বলছে, গত এক বছরে রিয়ালের বাজারমূল্য বেড়েছে ১৯ শতাংশ। সংস্কার করা সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামে ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি অর্থায়ন তাদের মূল্য বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে।