সাম্প্রতিক
সময়ে শুধু ডলার কিনতে ব্যাংক থেকে এক লাখ কোটি
টাকা বেরিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা (সিইও) মাসরুর আরেফিন।
আমাদের
দেশেও ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, সঙ্কট নেই এটা বলা যাবে না। কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্কটে আছে। তারা আন্তঃব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে চলছে। একটা সময় আমাদের এখান থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। এতে সাময়িক সমস্যা দেখা দেয়। তারা টাকা তুলে আরেক ব্যাংকে রেখেছে। তবে, এতে তারল্য কমেনি বরং বেড়েছে।
বুধবার
(২২ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড
ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), দৈনিক সমকাল ও চ্যানেল২৪ আয়োজিত
প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এ কথা বলেন
তিনি।
তিনি
বলেছেন, আমাদের তারুল্য সংকট নেই। গ্রাহক এক ব্যাংক থেকে
টাকা তুলেছেন এটা সত্য, কিন্তু তারা আবার অন্য ব্যাংকে রেখেছেন। এতে বলা যায় তারল্য সংকট নেই বরং তারল্য বেড়েছে। যেখানে ১০০ টাকায় ১৭ টাকা তরল
হিসাবে রাখতে হয়, সেখানে আমাদের ব্যাংকখাতে এখন তরল আছে ২৫ দশমিক ৫
টাকা।
মাসরুর
আরেফিন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বড় বড় ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পেছনে পলিটিকাল গাইডলাইন্সের বিষয় ছিল না। মানুষ আস্থা হারিয়ে টাকা তুলেছিল, এরপরই ব্যাংক তারুল্য সংকটে পড়ে এবং পরে দেউলিয়া হয়ে যায়। যাদের সংকট আছে তাদের সার্বিক ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে। এটা অভ্যন্তরীণভাবেই ঠিক করা প্রয়োজন।
এক সময় আমাদের দেশেও ভুল তথ্য এভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে, সংকট নেই এটা বলবো না, কয়েকটি ব্যাংকের সংকট আছে। তারা আন্তঃব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে চলছে। একটা সময় আমাদের এখান থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। এতে সাময়িক সমস্যা দেখা দেয়। তারা টাকা তুলে এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে রেখেছে এতে তারল্য আমাদের কমেনি বরং বেড়েছে।
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূতকরণ বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
চলতি মাসে তিন দফা বাড়ানোর পর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম আরও ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে।
এর আগে গত তিনদিন পূর্বে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন দাম নির্ধারণের তিন দিন না যেতেই এবার আবারও স্বর্ণের দাম কমালো দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে বাজুস। এদিন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম তিন হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম তিন হাজার ৯ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৫৬৬ টাকা কমিয়ে ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৭৬ টাকা কমিয়ে ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অবশ্য স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে ক্রেতাদের। কারণ বাজুসের নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের অলঙ্কার বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম তিন হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে এক লাখ ২৫ হাজার ৬০৪ টাকা।
স্বর্ণ বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাওয়া পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারেক রিয়াজ খান পদত্যাগ করেছেন। এরই মধ্যে তাকে এমডি হিসেবে নিয়োগের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনআরবি ব্যাংক।
এদিকে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক থেকে ছুটিতে পাঠানো এমডি মো. হাবিবুর রহমান চাকরিতে ফিরতে পারেননি এখনো। তবে নতুন এমডি পেয়েছে মেঘনা ব্যাংক। আর প্রিমিয়ার, এনসিসি ও বেসিক ব্যাংকের এমডি পদে নিয়োগ সংক্রান্ত কাজ চলমান রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রের বরাত এসব তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যকার পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্তও নিয়েছে। ব্যাংক দুটির নিরীক্ষার জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর এরই মধ্যে পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ খান সরে দাঁড়ালেন তার পদ থেকে। এনআরবি ব্যাংকে যোগদান করতে যাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন হলে তবেই এনআরবি ব্যাংকে যোগদান করবেন তারেক রিয়াজ খান।
এর আগে গত ফেব্রুয়াতি এনআরবি ব্যাংকের এমডির পদ থেকে পদত্যাগ করেন মামুন মাহমুদ শাহ। তারপর থেকে ভারপ্রাপ্ত এমডি দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে ব্যাংকটি।
তারেক রিয়াজ খান পদ্মা ব্যাংক থেকে পদত্যাগের কারণ হিসেবে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পদ্মা ব্যাংক একীভূত হতে যাওয়ায় পদত্যাগ করেছি। আর নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানে যাওয়া যায় কিনা, সেটি দেখছি।
এদিকে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকে রূপান্তর হওয়া স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগদান করেন মো. হাবিবুর রহমান। নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে চলতি বছরের গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তিন মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়। প্রতিষ্ঠানটির পর্ষদের একজন প্রভাবশালী পরিচালকদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে ছুটিতে পাঠানো হয় তাকে। আর এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানতে পারলে এ নিয়ে শুরু করে পরিদর্শন। একই সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনাও করে। কিন্তু এখনো মো. হাবিবুর রহমানকে এমডির পদে ফেরানো নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানা যায়নি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিদেশি ঋণ ইআরডি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ
মন্তব্য করুন
ব্যাংক একীভূত হওয়া নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত খবর সঠিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে না মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে ভাবে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে তা অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত তথ্যনির্ভর নয় বলে মনে করছে ব্যাংকিং খাত নিয়ন্ত্রক এই প্রতিষ্ঠানটি। আর এটি দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি স্পষ্টীকরণ বিজ্ঞপ্তি করেছে।
চলতি মাসে তিন দফা বাড়ানোর পর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। এতে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম আরও ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে।
বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ প্রথমবারের মতো ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ১০০ কোটি ডলারের বেশি। গত জুলাই-মার্চ সময়ে বিদেশি ঋণের বিপরীতে ১০৫ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। একই সময়ে গত অর্থবছরে সুদ বাবদ ৪৮ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ।