ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির হৃদয়ে পাকিস্তানি চেতনা: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৯:০৬ এএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পাকিস্তান যা বলে তারাও (বিএনপি) তাই বলে। কারণ তারা পাকিস্তানি ভাবধারায় উজ্জীবিত, তাদের হৃদয়ে পাকিস্তানি চেতনা। তারা এমনটাই বলবে এটাই হওয়া সমীচীন।

আজ রবিবার (২৬ মার্চ) ভোরে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সোনার বাংলা গড়ার পথে রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার এখন অন্যতম অঙ্গীকার।

এর আগে ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে আবারও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মার্কিন ভিসানীতি ভোগাস, সব ফাঁকা আওয়াজ: নাজমুল আলম

প্রকাশ: ১০:২৩ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন ভিসানীতি ভোগাস, সব ফাঁকা আওয়াজ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।

তিনি বলেন, ‘ভিসানীতি ভোগাস। সব ফাঁকা আওয়াজ, মাঠ অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা। লবিস্টের ফিস হালাল করার পাঁয়তারা।’

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের বিধিনিষেধ আরোপ নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে সিদ্দিকী নাজমুল আলম এসব কথা বলেন।

এর আগে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর আনুষ্ঠানিক ভিসানীতি প্রয়োগে প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

শুক্রবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বিবৃতিতে ম্যাথিউ মিলার বলেন, পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকা বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। 

এই ব্যক্তিদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্য রয়েছেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় তার সমর্থনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

ভিসানীতির আওতায় চিহ্নিত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত অতিরিক্ত ব্যক্তিরাও ভবিষ্যতে এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে। 

এর মধ্যে বর্তমান এবং সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিদেশে নিলেই কি বেগম জিয়ার সঠিক চিকিৎসা সম্ভব?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আবার অবনতি হয়েছে। তাকে এখন এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার লিভারে পানি জমছে এবং এই পানি বের করতে হচ্ছে। পানি বের করতে গেলে তিনি সংকটাপন্ন হয়ে পড়ছেন। তখন তাকে সিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এছাড়াও তাঁর হিমোগ্লোবিনও কমে গেছে। লিভার সিরোসিস এর কারণে এই ধরনের রোগীদের যে চিকিৎসা দেওয়া দরকার সব চিকিৎসাই এভারকেয়ার হাসপাতালে আছে। তবে বিএনপির চিকিৎসক এবং বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন যে, তার লিভার সিরোসিস এর চিকিৎসার জন্য লিভার প্রতিস্থাপন করা দরকার। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, ৭৮ বছর বয়সী একজন প্রবীণ মানুষের জন্য লিভার প্রতিস্থাপনের মতো জটিল কাজটা কতটুকু করা সম্ভব এবং এটি কতটা নিরাপদ সেটি আলোচনার দাবি রাখে।

একাধিক প্রবীণ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, তারা এই বয়সে এবং এরকম শারীরিক অবস্থায় লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার পক্ষপাতী নন। তাছাড়া লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার ক্ষেত্রে একজন ডোনার লাগে। সেই ডোনারের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার লিভারের ম্যাচিং করাতে হবে। সেই ম্যাচিং এর কাজটিও এখনও করানো হয়নি। তাছাড়া শুধুমাত্র লিভার সিরোসিস নয়, বেগম খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে এবং পাকস্থলীতে পানি জমার কারণে তার হৃদপিণ্ড ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এছাড়া তার কিডনির সমস্যা দেখা দিয়েছে। পুরোনো আথ্রাইটিস এখন বেড়ে গেছে। এত কিছু রোগ শোকের জন্য শুধুমাত্র লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে তাকে সুস্থ করা যাবে—এমন ভাবনা বিজ্ঞান সম্মত নয় বলেই মনে করছেন অনেক চিকিৎসকরা। বরং চিকিৎসকরা মনে করছেন যে, তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে আস্তে আস্তে চিকিৎসা দেওয়াটাই শ্রেয়। 

৭৮ বছর বয়সী একজন মানুষকে সার্জারি বা লিভার প্রতিস্থাপনের মতো জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতিতে নিয়ে গেলে তার আরও ঝুঁকি বাড়বে। অথচ বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। তার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতাল যথেষ্ট নয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন। তারা মনে করেন যে, বিশ্বের অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে যেরকম চিকিৎসা দেওয়া দরকার সেরকম চিকিৎসা এভারকেয়ার হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছে।

লিভার প্রতিস্থাপনের বিষয়টি নিয়ে তারা বলছেন যে, এটি একজন পেশেন্টের অভিভাবক বা তার অ্যাটেনডেন্টদের সিদ্ধান্তের বিষয়। তারা যদি মনে করেন যে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঝুঁকি তারা নিতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে তারা বিদেশ নিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু বিদেশ নেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রস্তুতি গুলো দরকার সেই প্রস্তুতিও বিএনপি বা বেগম জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়নি। তাহলে কি বেগম জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার বিষয়টি একটি রাজনৈতিক স্লোগান? সরকারের ওপর দায় চাপানোর কৌশল হিসেবেই এই চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বলা হচ্ছে?

অনেকেই মনে করছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং তার সম্ভাব্য অনাকাঙ্খিত পরিণতিকে ঘিরে একটি একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় বিএনপি। এবং সেই পরিস্থিতির সৃষ্টি করার প্রধান লক্ষ্য হলো সরকারকে এর দায় দেওয়া। আর সেই দায় দেওয়ার জন্যই কি তাহলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে?

বেগম খালেদা জিয়া   এভারকেয়ার হাসপাতাল   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তারা এখন বিএনপির পরামর্শক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আবেদনিক অর্থে তারা সুশীল বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত। মুক্তবুদ্ধি চর্চা করেন, ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক এবং সমাজ দর্শনকে উর্ধ্বে তুলে ধরেন, একটি সাম্য ভিত্তিক এবং সুশাসনের রাষ্ট্র চান। কিন্তু তারাই এখন আবার বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িক শক্তির মদদ দাতা এবং উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীকে ইন্ধন দিচ্ছেন। তারাই এখন বিএনপির পরামর্শক হয়েছেন। বাংলাদেশের সুশীল সমাজের এই দ্বৈত আচরণ আবার নতুন করে সামনে এসেছে। বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একটি বড় পরিচয় ছিল তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ এবং স্বাধীনতার চেতনাকে তারা উর্ধ্বে তুলে রাখতে চায় এবং এগিয়ে নিতে চান। আর এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হোক, বাংলাদেশে ধর্মীয় উন্মাদনা যেন সৃষ্টি না হয়, সাম্প্রদায়িক শক্তির যেন বিষ বাষ্প ছড়াতে না পারে এরকম একটি পরিবেশ পরিস্থিতি চান। কিন্তু ইদানিং তারা বিএনপির সমর্থক হয়েছেন। 

প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, সুশীলরা বিএনপির সমর্থক হলে অন্যায় কোথায়? তারা কি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করতে পারেন না? উত্তর হলো যে, বিএনপির রাজনৈতিক যে আদর্শিক চর্চা এবং বিএনপির যে আদর্শগত অবস্থান তা সুশীল বুদ্ধিজীবীদের নৈতিক অবস্থানের বিপরীত। কারণ বিএনপি কখনোই অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির চেতনা বিশ্বাস করে না। বিএনপি ক্ষমতায় এসেই ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংবিধান থেকে বাদ দিয়েছিল। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা করে বা বিএনপিতে সাম্প্রদায়িক নেতার সংখ্যা কম না। তাছাড়া বিএনপি, জামায়াত এবং অন্যান্য উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীকে প্রকাশ্যে এবং গোপনে মদদ দেয় এবং তাদেরকে সমর্থন করে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে যে সমস্ত ব্যক্তিরা বিএনপিকে সমর্থন করছেন তারা প্রকারন্তে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনার বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন বা ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধেই অবস্থান নিচ্ছেন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। 

বাংলাদেশের সুশীল বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যারা আলোচিত এবং সমালোচিত তারা বিভিন্ন সময় বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কখনো তারা রাজনৈতিক দলের দূরত্ব থেকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেছেন। কিন্তু এখন তারা বিএনপি এবং প্রকারন্তে জামায়াতকেও সমর্থন দিচ্ছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে এই স্ববিরোধী অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়েছে অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং সেখানকার একজন কর্মী এলানের দণ্ডাদেশের কারণে। এই দণ্ডাদেশটি দিয়েছে আদালত এবং এটি অনস্বীকার্য যে অধিকার হেফাজতের তাণ্ডবের পর সমাবেশে যে মৃত্যুর সংখ্যা বলেছিল তা পরিকল্পিত, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং সরকার ব্যবস্থাকে বিপদে ফেলার একটি ষড়যন্ত্রের অংশ। এটি কোনভাবেই একটি উন্নয়ন সংস্থা বা মানবাধিকার সংস্থার কাজ হতে পারে না। বরং তারা সাম্প্রদায়িক বিষ বাষ্প উস্কে দিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের সুশীল সমাজের একটি বড় অংশ যারা সেকুলার রাজনীতির কথা বলেন তারা এই অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।

অধিকার বিতর্কিত আরও একটি কারণে। তা হলো তারা যেমন হেফাজতের তাণ্ডবকে সমর্থন করে তেমনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষেও অবস্থান নিয়েছিল। হেফাজতের তাণ্ডবের সময় যারা সেই সময় হেফাজতের তাণ্ডব, নারীর ওপর লাঞ্ছনার নিন্দা করেছিলেন তারাই এখন আবার অধিকার এবং আদিলুর রহমানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাহলে কি সুশীলরা নিজেদের স্বার্থেই সবকিছু করতে পারেন? নিজেদের স্বার্থের জন্যই তারা এখন আওয়ামী লীগ বিরোধী প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছেন।

অধিকার   আদিলুর রহমান খান   সুশীল সমাজ   বিএনপি   অসাম্প্রদায়িক চেতনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কথা পরিষ্কার, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না: ফখরুল

প্রকাশ: ০৭:০৭ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা রাস্তায় নেমেছি, পদযাত্রা করেছি, রোডমার্চ করছি। জনগণকে নিয়ে মাঠে আছি। কথা পরিষ্কার-শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।’

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে একদফা দাবিতে রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার কাউকে ভোট দিতে দেয় না। সব কিছু জোর করে কেড়ে নেয়। বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশ যখন নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন চাচ্ছে, তখন সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে যাচ্ছে। কীসের সংবিধান, যেটা তোমরা কাটাছেঁড়া করে শেষ করে দিয়েছ।

তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি টিম এসেছিল যে দেশে নির্বাচনের ব্যবস্থা কেমন, তা দেখতে। তারা বসেছিল দেশের রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, পত্রিকার সম্পাদক ও জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে। তারা বলেছিল, দেশে গিয়ে বলব-এ দেশে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক টিম পাঠাবো কিনা। তারা কী বলেছে? তারা বলেছে-বাংলাদেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। তাই তারা পর্যবেক্ষক টিম পাঠাবে না। এ কথা বিশ্বের সবাই জানে, এমনকি জাতীয় পার্টি বলেছে, যদি সরকার পদত্যাগ না করে, তবে এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হলে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে।

তিনি বলেন, আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এ সরকারকে পরাজিত করতে হবে। একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মা-বোনেরা জেগেছে, তারা এ সরকার আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দয়া করে সংসদ বিলুপ্ত করে নির্বাচন দিন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা তো বেশি কিছু চাইনি। শুধু চেয়েছি, সরকারকে পদত্যাগ করে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি   এক দফা আন্দোলন   সরকার পতন আন্দোলন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও অপেক্ষা করতে চায় বিএনপি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এক দফা আন্দোলন করছে। টানা কর্মসূচির মধ্যে আজও তারা কিছু কর্মসূচি পালন করেছে। তবে এই কর্মসূচির মধ্যে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না এমন গুঞ্জনও রয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন নির্বাচন কেন্দ্রিক বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন। সরকার নির্বাচনের জন্য প্রশাসন সাজিয়েছে, এক তরফা ভাবে নির্বাচন করতে চায়, আওয়ামী লীগ বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য মামলা হামলা ইত্যাদি দিচ্ছে এরকম নানা অভিযোগ তিনি সামনে এনেছেন। 

ধারণা করা হচ্ছে যে, নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে বিএনপি অপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিতে চায়। বিএনপির নেতারা মনে করছেন, একটি এক্সিট পয়েন্ট লাগবে। বিএনপি যে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবে না বলছে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তাদের একটা পথ দিতে হবে। এরকম একটি পথ হতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলোর পরামর্শ। আগামী ৭ অক্টোবর মার্কিন প্রাক নির্বাচনী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করছেন। তারা এই সফরে বিএনপির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং এই সাক্ষাতে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা বিএনপিকে আশ্বস্ত করে যে, তোমরা নির্বাচনে যাও এবং অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় কিনা সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্য দেশগুলো তদারকি করবে তাহলে বিএনপি তার অবস্থান পাল্টাতে পারে। তবে সেক্ষেত্রেও নির্বাচনকালীন সরকার, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অবস্থান রয়েছে। তবে বিএনপির একজন নেতা এই নিয়ে হতাশার কথা শুনিয়েছেন। 

তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না। তার মানে সরকার আবার একটি এক তরফা নির্বাচনের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি নির্বাচনের পর্যবেক্ষক দল না পাঠায় তাহলে পরে এই নির্বাচন যে একটা অর্থহীন নির্বাচন হবে সেটি বলাই বাহুল্য। এবং ওই নির্বাচনের ফলাফল পূর্ব থেকে নির্ধারিত থাকবে। তাই সেই নির্বাচনে গিয়ে বিএনপি তার অবস্থান নষ্ট করতে চায় না। তবে এ নিয়েও বিএনপির মধ্যে ভিন্ন মত আছে।  

বিএনপির কোন কোন নেতা বলছেন, বিএনপির অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো। বিএনপি যদি নির্বাচন না করে এবং শেষ পর্যন্ত যদি সরকার ঝুঁকি নিয়ে হলেও নির্বাচন করে ফেলতে পারে তাহলে বিএনপি একটি অস্তিত্বের সংকটে পড়বে। এর ফলে তাদেরকে রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা যাবে। কিন্তু কৌশলগত কারণের জন্য তারা যদি নির্বাচন করে এবং নির্বাচনের মধ্যেই তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখে, সরকারের পক্ষপাত এবং কারচুপির বিষয়গুলো প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে এবং আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে পারে তাহলে তাদের আন্দোলনের একটা নতুন মাত্রা যোগ হবে এবং ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমেই তারা নির্বাচন বানচাল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে জোরদার করতে পারে। তবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপির এই মনোভাব নিয়ে যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে। 

তারা মনে করছে, সরকারের অনেক এজেন্ড বিএনপির মধ্যে রয়েছে। যারা বিএনপিকে বারবার বিভ্রান্ত করছে। ২০১৮ নির্বাচনে এভাবেই বিএনপিকে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল বলে তারা মনে করেন। এরকম ফাঁদে পা দিলে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তাদের ধারণা। তবে এখন বিএনপির জন্য একটি জটিল মেরুকরণ তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো আন্তর্জাতিক চাপ। আন্তর্জাতিক মহল যদি বলে যে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দেখতে হবে যে নির্বাচন কতটুকু পক্ষপাতপূর্ণ হচ্ছে। আর দ্বিতীয়ত তৃণমূলের চাপ, তৃণমূল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে অনেক প্রার্থী নির্বাচনমুখী হতে পারে এবং সেটি বিএনপির জন্য আরেকটি বড় সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কাজেই দেখার বিষয় যে শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

নির্বাচন   আন্দোলন   বিএনপি   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   মার্কিন প্রাক পর্যবেক্ষক দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন