ইনসাইড গ্রাউন্ড

ষষ্ঠ ট্রফির লক্ষ্যে ছুটছে রোহিতের মুম্বাই এক্সপ্রেস

প্রকাশ: ০৯:২৬ এএম, ২৫ মে, ২০২৩


Thumbnail

টুর্নামেন্টের শুরুতে এক জোড়া ম্যাচে হারের ধাক্কা। ঘরের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে ২০২৩ আইপিএলের প্রথম জয় পেয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এরপর লিগ পর্বে হার-জিতের মধ্য দিয়ে গিয়েছে মুম্বাই। পয়েন্ট টেবলে ক্রমাগত ওঠানামা। ধারাবাহিকতা না থাকলেও শেষমেশ প্লে অফে জায়গা করে নেয় রোহিত শর্মার দল।

মুম্বাইয়ের খেলা শেষ দুটি ম্যাচই ছিল মরণ বাঁচন। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততেই হত। ক্যামেরুন গ্রিনের অনবদ্য শতরানে সেদিন জয় পেয়েছিল নীল বাহিনী। সেই আত্মবিশ্বাসকে সম্বল করে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে এলিমিনেটর ম্যাচে নেমেছিলেন রোহিতরা। হারলেই ছিটকে যাওয়ার ভয়। সেই ম্যাচেও অনবদ্য রোহিতরা। ১৮২ রানের পুঁজি ছিল হাতে। আকাশ মাধওয়াল একাই ধস নামালেন। ৫ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট। প্লে অফের সেরা বোলিং ফিগার। আকাশ’ছোঁয়া এই সাফল্যে এলিমিনেটরের চ্যালেঞ্জ উতরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নদের চোখে ষষ্ঠ ট্রফি জয়ের স্বপ্ন। অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মার আইপিএল জয়ের রেকর্ড আরও মজবুত করার পালা।

লাগাতার দ্বিতীয় মরসুমে এলিমিনেটর পর্ব থেকে বিদায় লখনউ সুপার জায়ান্টসের। সে বার সামনে ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এ বার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ২০২২ সালের আইপিএল মোটেও সুখের ছিল না মুম্বাইয়ের জন্য। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা প্লে অফে পা রাখতে পারেনি। টানা ছয় ম্যাচে হেরে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মারা। ব্যর্থতা ভুলে নতুন মরসুমে নতুনভাবে শুরু করতে চেয়েও মনের মতো সূচনা হয়নি। তবে সামলে নেন রোহিতরা। প্রথমদিকে বেশ কয়েকটি ম্যাচে হোঁচট খাওয়ার পর গিয়ার বদলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স পৌঁছে গেল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার পর্যন্ত।

নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ২৭ মে-র ওই ম্যাচটি মুম্বইয়ের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। একে গুজরাটের ঘরের মাঠে ম্যাচ, তার উপর কোয়ালিফায়ার ১ ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে খোঁচা খাওয়া বাঘ হয়ে রয়েছেন শুভমন গিল, হার্দিক পান্ডিয়ারা। সুযোগ পেলেই প্রতিপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার অপেক্ষা। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের আটকাতে পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করেছে মুম্বাই শিবির।

আইপিএলের সবচেয়ে সফল টিম হলেও এই নিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স চার বার এলিমিনেটর ম্যাচ খেলে ফেলল। ২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে প্রথম এলিমিনেটর খেলেছিলেন রোহিত শর্মারা। ম্যাচটি ৪ উইকেটে জিতে নেয় মুম্বাই। এরপর ২০১২ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে খেলে ৩৮ রানে হেরেছিল মুম্বাই। ২০১৪ সালে ফের এলিমিনেটর ম্যাচ খেলে মুম্বাই। সে বার সিএসকের কাছে ৭ উইকেটে পরাজিত হয়েছিল। ২০২৩ সালে আবার একটা এলিমিনেটর। এ বার জয়ধ্বজা উড়িয়ে ছয় নম্বর আইপিএল ট্রফির লক্ষ্যে এক পা বাড়িয়ে রাখল রোহিত শর্মার দল।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মোস্তাফিজ খুবই ভালো মনের মানুষ: পাথিরানা

প্রকাশ: ১১:২৬ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ক্রিকেটে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ মানেই বর্তমানে বাড়তি উত্তেজনা। গত বছরে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপে এ দুই দলের মধ্যকার দ্বৈরথ পেয়েছে ভিন্নমাত্রা। বিশেষ করে বিশ্বকাপে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ‘টাইমড আউট’ নিয়ে তো বেশ সরব ছিল ক্রিকেট পাড়া। সবশেষে বাংলাদেশের মাটিতে হওয়া সিরিজেও এই উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে।  

তবে মাঠের উত্তেজনা ছাপিয়ে মাঠের বাইরে ক্রিকেটারদের বন্ধুত্বের সম্পর্কও রয়েছে দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে। সম্প্রতি এমনই একটি সম্পর্ক লক্ষ্য করা গেছে মুস্তাফিজ ও মাথিশা পাথিরানার মধ্যে। যা নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন লঙ্কান তরুণ পেসার পাথিরানা।

আইপিএলের গত আসরে চেন্নাইয়ের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মাথিশা পাথিরানা। আর গত বছর ডিসেম্বরে হওয়া নিলামে ২ কোটি টাকা ভিত্তিমূল্যে চেন্নাইতে যোগ দেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার।

আইপিএলের চলতি আসরের আগে বাজে ফর্মে থাকলেও পাথিরানার ইনজুরিতে সুযোগ পেয়ে শতভাগ কাজে লাগান ‘দ্য ফিজ’। উদ্বোধনী ম্যাচে বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা। এলে দলে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেন তিনি। ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে তিনি আছেন সেরা উইকেট শিকারী তালিকার ৪ নম্বরে।  

মুস্তাফিজ ও পাথিরানার উপস্থিতিতে শক্তি বেড়েছে চেন্নাইয়ের বোলিং লাইন আপের। সম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন চেন্নাইয়ের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। সেই অনুষ্ঠানে পাথিরানার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তরুণ অলরাউন্ডার শিভম দুবে ও অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়।

সেই অনুষ্ঠানে মোস্তাফিজের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয় লঙ্কান পেসার পাথিরানাকে। জবাবে ডানহাতি এই ফাস্ট বোলার জানান, ‘কাছ থেকে দেখার পর মনে হচ্ছে মোস্তাফিজ একজন খুবই ভালো মনের মানুষ।’

পাথিরানা আরও বলেন, ‘চেন্নাই দলে আসার আগে আমি তাকে চিনতাম না। আমি তার সঙ্গে কখনো কথা বলিনি। এখানে আসার পর এবং তাকে চেনার পর আমার মনে হচ্ছে সে দারুণ একজন মানুষ।’


মোস্তাফিজুর রহমান   আইপিএল ২০২৪   মাথিশা পাথিরানা   চেন্নাই সুপার কিংস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনাল আজ

প্রকাশ: ১১:২২ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল আজ। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। 

ম্যাচ দুটি হবে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে জামালপুরের মাদারগঞ্জ চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুখোমুখি হবে রংপুরের মিঠাপুকুর তালিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিপক্ষ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। 

এরআগে, বুধবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামের হলরুমে টুর্নামেন্ট উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী রুমান আলী জানান, শনিবার বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে এ টুর্নামেন্ট দুটির ২০২৩ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবার কথা জানান। 


বঙ্গবন্ধু   বঙ্গমাতা   গোল্ডকাপ   ফাইনাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

'ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার' ভারতের জন্য সমস্যা নাকি সুবিধা?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ম্যাচের মাঝে যেকোনো সময় একজন ক্রিকেটারকে বদলে ফেলতে পারবে দু’টি দল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত আসর থেকে শুরু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নামে এই নিয়ম।  

এই নিয়ম আসার পর আইপিএলে বদলেছে অনেক কিছুই। যেমন- এখন আর প্রথম একাদশ বেছে নিলেই হয় না। বেছে নিতে হয় একজন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও। তাই এখন ১১ জন নয়, বরং ১২ জনের খেলা হয়ে গেছে। যেদিন থেকে আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম এসেছে, সেদিন থেকে অলরাউন্ডারের প্রয়োজন কমে যাবে কি না সবার মনে এই একটাই প্রশ্ন ছিলো। 

তবে এখন  প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় দলে এই নিয়মের কোন প্রভাব পড়ছে কি না, সেই নিয়ম কি বিপদে ফেলছে ভারতীয় দলকেই, নাকি হচ্ছে সুবিধা?

এই নিয়মের প্রসঙ্গে ভারতীয় এক সাবেক ক্রিকেটার বলেন, ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম আসায় চোট থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্রিকেটার খেলতে পারছে। দলে অলরাউন্ডার প্রয়োজন হচ্ছে না। আইপিএলে এখন ১২ জনের খেলা হয়ে গেছে। এতে আইপিএলের আকর্ষণ বেড়েছে। কিন্তু অলরাউন্ডারের প্রয়োজন শেষ করে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম না থাকতো, তাহলে দুবেকে বল করাতে বাধ্য হত চেন্নাই। আবার রাহুল তেওতিয়া এক সময় ফিনিশার হিসাবে নাম করেছিল। তিনি কিন্তু লেগ স্পিন করতে পারেন। তবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম আসার পর আর তাকে বল করতে হয় না।  শুধু ব্যাট করেন। এতে কার ক্ষতি হচ্ছে? ভারতীয় দলের।’

এবারের আইপিএল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে। আইপিএলের আগেই সে কথা বলে রেখেছিলেন অজিত আগরকর পরিচালিত নির্বাচক কমিটি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম থাকলে আদৌ কি সব ক্রিকেটারকে সঠিকভাবে দেখা সম্ভব?

এক্ষেত্রে প্রথমেই প্রশ্ন উঠছে শিবম দুবেকে নিয়ে। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেন তিনি। বেশির ভাগ ম্যাচেই নামছেন শুধু ব্যাট করার জন্য। এদিকে হার্দিক সব ম্যাচে বল করছেন না। ফলে এই দুই অলরাউন্ডার কতটা তৈরি তা বোঝা সম্ভব নয় নির্বাচকদের পক্ষে।

ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম পছন্দ নয় অধিনায়ক রোহিত শর্মারও। তিনি বলেন, ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মটা আমার খুব একটা পছন্দ নয়। অলরাউন্ডারদের প্রয়োজন এখন কমে গেছে। ক্রিকেটটা এখন ১২ জনের খেলা হয়ে গিয়েছে। এর ফলে ক্রিকেটটা নষ্ট হচ্ছে। দর্শকের জন্য যদিও খুব উপভোগ্য হচ্ছে ব্যাপারটা।’

রোহিতের মতে এই নিয়মের ফলে ভারতীয় অলরাউন্ডারেরা সুযোগ পাচ্ছেন না। ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো ক্রিকেটারকে দলে নেয়া হচ্ছে না।

রোহিত আরও বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের দিক থেকে দেখতে গেলে ওয়াশিংটন, শিবমেরা বল করছে না। এটা দলের জন্য ভাল দিক নয়। কী করব জানি না। দলে ১২ জন ক্রিকেটার রয়েছে। খেলার পরিস্থিতি বুঝে এক জনকে দলে আনা হচ্ছে। এটা দেখতে খুব ভাল লাগলেও এই বাড়তি ক্রিকেটার দলে আসার পর থেকে সাত বা আট নম্বরের ব্যাটার সুযোগ কম পাচ্ছেন। আলাদা করে ব্যাটার নামানোর সুযোগও পাওয়া যাচ্ছে।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কারা খেলবেন সেটা বেছে নেয়ার জন্য গত দু’বছরে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স দেখা হবে। সেই সঙ্গে রয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেট। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের দল বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে আইপিএল বড় ভূমিকা নেবে, এটা যেমন সত্যি, তেমনই এটাও মানতে হবে যে, দল শুধু আইপিএল দেখে বেছে নেয়া হবে না।


ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধোনির মুগ্ধতা ও মুস্তাফিজের ব্রেকথ্রুর পরও লখনৌয়ের কাছে চেন্নাইয়ের হার

প্রকাশ: ১২:৪১ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এদিন চিরযৌবনা মহেন্দ্র সিং ধোনি ব্যাট হাতে মুগ্ধতা ছড়ালেন তরুণ বয়সের সেই ক্যাপ্টেন কুলের মতোই। সেই সাথে বোলিংয়ে মুস্তাফিজ-পাথিরানা বল হাতে চালালেন আপ্রাণ চেষ্টা। তবুও লখনৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে চেন্নাইকে মানতে হল হার। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) লখনৌয়ের ঘরের মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চেন্নাই। ৮ নম্বরে নেমে মাত্র ৯ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে ধোনি দলীয় সংগ্রহকে  নিয়ে যান ১৭৬ রানে।

এছাড়া আজিংকিয়া রাহানে ২৪ বলে ৩৬, রবীন্দ্র জাদেজা ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭, মঈন আলী ২০ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। লখনৌয়ের পক্ষে জোড়া উইকেট শিকার করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে লখনৌয়ের দুই ওপেনারই ম্যাচ ছিনিয়ে নেন চেন্নাইয়ের হাত থেকে। মুস্তাফিজ অবশ্য এদিনও বল হাতে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। অধিনায়কের চাওয়া অনুযায়ী বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারে ৮ ও দ্বিতীয় ওভারে ৭ রান খরচ করেন।

রুতুরাজ গাইকোয়াদ শেষদিকের জন্য মুস্তাফিজকে মজুত করে রাখলেও ততক্ষণে ম্যাচ চলে গেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ১৫তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে বাংলাদেশি পেসারের তাই তেমন কিছু করার ছিল না। তারপরও মুস্তাফিজই দলকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু। ওভারের শেষ বলে কুইন্টন ডি কককে পরিণত করেন ধোনির ক্যাচে। ৪৩ বলে ৫৪ রান করে ফিজের শিকার হয়ে বিদায় নেন প্রোটিয়া তারকা। 

তবে সহজ ম্যাচটা আর কঠিন হয়নি লক্ষ্ণৌয়ের জন্য। অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ৫৩ বলে গড়া ৮২ রানের ইনিংসে ভর করে হেসেখেলেই পা ফেলে জয়ের বন্দরে, তাও ৬ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে। চেন্নাইয়ের হয়ে অপর উইকেটটি শিকার করেন মাথিশ পাথিরানা।


মুস্তাফিজ   বাংলাদেশ   চেন্নাই   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লখনৌর মাঠে চেন্নাইয়ের লড়াকু সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:০৯ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লখনৌ এর বিপক্ষে চেন্নাইয়ের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। যার জন্য শঙ্কা ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার। তবে মাঝে অজিঙ্কা রাহানে ও রবীন্দ্র জাদেজার দায়িত্বশীলতা ও শেষদিকে মঈন আলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটের উপর ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে মুস্তাফিজদের দল। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আইপিএলের খেলায় নির্ধারিত ওভার শেষে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৬ রান।

এদিন শুরুতেই লখনৌর মাঠ একানা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের চেন্নাই। পিচ রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এখানকার কন্ডিশন কিছুটা পেস-সহায়ক। তাই রানের গণ্ডি ন্যূনতম ১৭০–২০০ এর মধ্যে রাখতে হবে, তবে এটিকেও যথেষ্ট বলা যাবে না।

শেষপর্যন্ত সেই ন্যূনতম সীমানায় সফরকারীরা পা রেখেছে ধোনির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। মাত্র ৯ বলের ইনিংসে তিনি ২৮ রান করেছেন।এছাড়া হলুদ শিবিরের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন জাদেজা। দুজনের জুটিতে শেষ ৪ ওভারে এসেছে ৬৩ রান।


আইপিএল   ক্রিকেট   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন