নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৭ পিএম, ১১ অক্টোবর, ২০১৯
শান্তিতে এবছর নোবেল জিতেছেন আবি আহমেদ আলী। তিনি ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী। পূর্ব আফ্রিকার এমন একটি দেশ থেকে নোবেল জিতে নেওয়ার কারণগুলোই এখন জানাবো আপনাদের।
দুর্নীতি, একনায়কতন্ত্র, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংঘাত-সংঘর্ষ, বাকস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ, সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর নিজেদের মধ্যে বিবাদে দেশটি প্রায় গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল ইথিওপিয়া। আবি ক্ষমতায় এলেন, আর জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় বদলে দিলেন সবকিছু।
মাত্র গত বছরেই ক্ষমতায় এসেছেন আবি। এরই মধ্যে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন অনেকটাই।
২০১৮’র বছরের জুলাইয়ে আবি ইথিওপীয় অধ্যুষিত যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গরাজ্য সফরে যান। সবার শেষে তিনি যান মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে। সেই অঙ্গরাজ্যের টার্গেট অ্যারেনা স্টেডিয়ামে জনসভার আয়োজন করা হয়। ভোর ৬টার মধ্যেই পুরো স্টেডিয়াম ভরপুর। প্রায় ২০ হাজার ইথিওপীয় তাদের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে সামনাসামনি দেখতে ও তার কথা শুনতে জড়ো হন।
তাকে দেখে চারপাশে সবাই আনন্দে কাঁদছিল। মনে হচ্ছিল সবার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। মানুষ কাঁদছিল কারণ এই প্রথম তারা আশার আলো দেখতে পেয়েছিল। মানুষ অবশেষে তাদের মনের মতো একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে, সে খুশিতে কাঁদছিল।
কেন এত জনপ্রিয়তা?
২০১৮’র ২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর আফ্রিকা মহাদেশের সর্বকনিষ্ঠ এ সরকারপ্রধান খুব দ্রুত এমনকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন, যেগুলো দেশে-বিদেশে ইথিওপীয়দের মনে আশার সঞ্চার করেছে। ক্ষমতায় এসেই তিনি হাজারো রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দিয়েছেন, সেন্সরশিপের নামে বন্ধ থাকা শত শত ওয়েবসাইট চালু করেছেন, ইরিত্রিয়ার সঙ্গে ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধের ইতি টেনেছেন, রাষ্ট্রের জরুরি অবস্থা তুলে নিয়েছেন, দেশের অর্থনীতি ও ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা করেন।
রাজধানী আদ্দিস আবাবার চিত্রটাই পাল্টে যায়। আগের সরকারের চাপে পিষ্ট মানুষগুলো এখন বুক উঁচিয়ে হাঁটতে পারছে। কয়েক দশক ধরে যেটি তাদের জীবনে ছিল না।
আদ্দিস আবাবার রাস্তাঘাট থেকে গাড়ির সামনে-পেছনের গ্লাসে প্রধানমন্ত্রীর ছবির স্টিকার সেঁটে রেখেছিল সবাই, তার ছবি সংবলিত টি-শার্টের জন্য তাদের জনগণ যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল।
লোকজন তাদের ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টাগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও তার বিভিন্ন বার্তা দিয়ে প্রোফাইল ছবি দিতো। গত বছরের জুনে প্রধানমন্ত্রী আহমেদ রাজধানীর মেসকেল স্কয়ারে একটি ভাষণ দিয়েছিলেন, যেখানে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ইথিওপিয়ায় ৯০টিরও বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আছে। সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলো একটি অন্যটির সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত। দশকের পর দশক দেশটির রাজনীতি যে ঘূর্ণাবর্তে ছিল, তাতে এ বিভেদ আরও বেড়েছে। সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাম ‘ওরোমো’। দেশের মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগ মানুষই এ সম্প্রদায়ের। প্রধানমন্ত্রী আবিও এ সম্প্রদায়ের। ইথিওপিয়ার অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে, ওরোমো থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রী না হলে গৃহযুদ্ধ নিশ্চিত।
১৯৯১ সালে দ্য টাইগারিয়ান পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) একনায়ক মেঙ্গিস্টু হাইলে মারিয়ামের বিরুদ্ধে প্রথম বাধা হয়ে দাঁড়ায়, যিনি ১৯৭৪ সাল থেকে ইথিওপিয়ায় সেনা শাসন জারি রেখেছেন এবং ক্ষমতায় থাকাকালীন রাজনৈতিক বিবেচনায় হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। তার সময়ে দুর্ভিক্ষে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ মারা গেছে।
টাইগারি নৃ-গোষ্ঠী থেকে কিছু গেরিলা যোদ্ধা নিয়ে টিপিএলএফ প্রথম বিদ্রোহ শুরু করে। টিপিএলএফের ক্ষমতা যখন বাড়ছিল, তখন তারা সিদ্ধান্ত নিল দেশের বড় বড় নৃ-গোষ্ঠীগুলোকে তাদের দলে টানতে হবে, তাহলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে।
১৯৮৯ সালে টিপিএলএফ ওরোমো এবং আমরাহার মতো সবচেয়ে বড় দুটি নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গে জোট করতে সক্ষম হয়। জোটের নাম দেওয়া হয় ইথিওপিয়ান পিপলস রেভ্যুলুশনারি ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইপিআরডিএফ)। দেশের অস্থিরতা দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী হাইলে মারিয়াম পদত্যাগ করেন, যেটি আফ্রিকা মহাদেশে খুবই বিরল ঘটনা। ১৮ মাসের মধ্যে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় এবং দেশজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহার কমিয়ে ফেলা হয়।
আবি আফ্রিকা অঞ্চলের অন্যান্য রাষ্ট্রনায়কের মতো নন। জনগণের সঙ্গে তার দূরত্ব কম, জনবহুল স্থানে গিয়ে তিনি মানুষ ও অন্যান্য রাজনীতিকদের সঙ্গে কোলাকুলি করেন, সেলফি তোলেন, জনসভা মাতিয়ে রাখেন। ইথিওপিয়ার নৃ-গোষ্ঠীগুলোকে তিনি নিজেদের মধ্যে ‘দেয়াল তৈরি না করে সেতু তৈরি করতে’ বলেন।
মিনেসোটার জনসভায় আবি বলেন, ‘আপনারা যদি এই প্রজন্মের গর্ব হতে চান, তাহলে ওরোমো, আমহারা, ওলেয়টাস, সিলটেসসহ সব নৃ-গোষ্ঠীর মানুষকে সমান মর্যাদা দিতে হবে। সবাইকে সমান ইথিওপীয় হিসেবে গণ্য করতে হবে।’
এটা একটা বৈপ্লবিক বার্তা। ইথিওপিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে যে গোষ্ঠীগত বিভেদ, সর্বমহলে জনপ্রিয় একজন প্রধানমন্ত্রীর এমন বার্তায় সেটি কমে আসবে।
প্রধানমন্ত্রী আবি বিস্ময়করভাবে সব নৃগোষ্ঠীর মধ্যে সমান জনপ্রিয়। তার নিজের নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ও এর পেছনে অনেকাংশে দায়ী। তার বাবা ছিলেন ওরোমো মুসলমান এবং মা ছিলেন খ্রিস্টান। তিনি ওরোমো, আমরাহা, টাইগারি ও ইংরেজি ভাষায় সমান পারদর্শী। মিনেসোটার ওই জনসভার ভাষণে তিনি ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রীয় তিনটি ভাষাই ব্যবহার করেছিলেন। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ সোমালিয়ার মানুষদের সম্মানে তিনি সোমালি ভাষায়ও কথা বলেছিলেন।
বহু নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় পারদর্শী হওয়ার ফলে জনগণ প্রধানমন্ত্রীকে তাদের নিজেদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ভাবতে পারেন। আবার তার বর্ণময় জীবনও এ জনপ্রিয়তার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
১৯৯০-এর দশকে আবি রুয়ান্ডায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ইথিওপিয়ার সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি আইএনএসএর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন এবং দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ ওরোমিয়া অঞ্চলের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
ইতোমধ্যে মিসর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জিবুতি ও যুক্তরাষ্ট্র সফর করে ওই অঞ্চলের সবচেয়ে সক্রিয় রাজনীতিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন আবি।
ক্ষমতায় এসেই আগের সরকারগুলোর সময়ে রাজনৈতিক বন্দীদের ওপর চালানো নির্যাতনের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন আবি।
অনেক আলোচনা-সমালোচনার মাঝেও ইথিওপিয়বাসী মনে করে আবি’র মতো মানুষ লাখে একজন পাওয়া যায়। আফ্রিকার ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা নেতা হওয়ার সম্ভাবনা তার মধ্যে আছে। এখন বিশ্বও জানবে আবিকে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
ঝগড়া সময় স্ত্রীকে চড় মারতেই জ্ঞান হারান স্ত্রী। স্ত্রী মারা গেছেন ভেবে ভয় পেয়ে যান তিনি। এরপর কোনো কিছু না ভেবেই আত্মহত্যা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালা অঙ্গরাজ্যের তিরুঅনন্তপুরমে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম প্রীজিত। মঙ্গলবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। তখন তার স্ত্রী সিনসিনা এ নিয়ে ঝগড়া করেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়।
রাগের বশে স্ত্রীকে আচমকা চড় মেরে বসেন প্রীজিত। আর এতেই জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যান সিনসিনা। তাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন প্রীজিত। কিন্তু স্ত্রীর কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
সিনসনা পুলিশকে জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ পরে জ্ঞান ফেরার পর তিনি দেখেন প্রীজিত গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন। চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন তিনি। তড়িঘড়ি করে প্রীজিতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন
তিউনিসিয়া উপকূলে অভিবাসীবোঝাই নৌকাডুবে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। মেডেনাইন শহরের একজন পাবলিক প্রসিকিউটর বুধবার (২৪ এপ্রিল) এএফপিকে বলেন, তিউনিসিয়ার দক্ষিণের জেরবা দ্বীপের উপকূলে গত কয়েক দিনে ১৪ জন অভিবাসীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে এসেছিল। মেডেনাইনের আদালতের প্রসিকিউটর ফেথি বাককুচে বলেন, এদের মধ্যে একজন মিশরীয় ব্যক্তিও ছিলেন। তার কাছে থাকা পাসপোর্টটি থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় প্রায় ২ হাজার ৪৯৮ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেশি।
এর আগে গত মঙ্গলবার তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তারা ২২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। এসব মরদেহ বেশ কয়েক দিন ধরে উপকূলে ভেসে ছিল।
এদিকে ফরাসি উপকূল থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর চেষ্টাকালে শিশুসহ অন্তত পাঁচ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটেছে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ওই সময়ে ঠিক কয়টি নৌকা যাত্রা করেছিল তা এখনও নিশ্চিত নয়।
ফরাসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টায় ১১০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে একটি ছোট নৌকা ভিমুরু উপকূল থেকে যাত্রা করেছিল। যাত্রার পর প্রথমে নৌকাটি একটি বালির তীরে আটকা পড়ে। পরে আবার যাত্রা করে সেটি। নৌকাটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ছিল বলে জানা গেছে।
বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য তিউনিসিয়া এবং এর প্রতিবেশী লিবিয়া অভিবাসীদের কাছে গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় রুট হয়ে উঠেছে। প্রায়ই বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপে উন্নত জীবন যাপনের আশায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।
তিউনিসিয়া উপকূল নৌকাডুবি নিহত ১৪
মন্তব্য করুন
গ্রিসের আকাশ সূর্য্যের দেখা মিলছে না। কমলা রঙের মেঘে ঢেকে গেছে আকাশ। এ যেন রঙিন কুয়াশায় ঢাকা পুরো আকাশ। সবকিছু যেন কমলা রং ধারণ করেছে। হঠাৎ মনে হবে, এ যেন কম্পিউটার স্ক্রিনের আলোর রং পরিবর্তনের মতো। গ্রিসের রাজধানী এথেন্স ও অন্যান্য শহরে এমন দেথা গেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পরিস্থিতি প্রকৃত মেঘের কারণে হয়নি। আকাশ ঢেকে রেখেছে সাহারা মরুভূমি থেকে উড়ে আসা ধূলিকণা। ধূলিকণার মেঘে বিপর্যস্ত গ্রিস। এতে কমে গেছে মানুষের দৃষ্টিসীমা। ভয়াবহ বায়ুদূষণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বাসিন্দারা।
২০১৮ সালের পর ফের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে গ্রিস। এর আগে এথেন্সে গত কয়েক দিন ধরে প্রবল বাতাস বইছিল। পরে মঙ্গলবার থেকে আকাশে ধূলিকণার মেঘ ওড়ে আসে।
দেশটির আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা এথেন্স অবজারভেটরির গবেষণা পরিচালক কোস্টাস লাগোয়ার্দোস বলেন, কমলা রঙের এই ধূলিকণার আস্তরণ বিশেষ করে ক্রিট দ্বীপে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
চলতি বছর আরও দু’বার ধূলিকণার মুখোমুখি হয়েছে গ্রিস। উত্তর আফ্রিকা থেকে এসেছে এই ধূলিকণা। যা ছড়িয়ে পড়েছে সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্সের দক্ষিণের কিছু অঞ্চলেও।
গ্রিসের আবহাওয়া সেবা সংস্থা জানায়, বুধবার থেকে দেশের আকাশ পরিষ্কার শুরু হতে পারে। লোকজনকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার কয়েকটি অঞ্চলে দাবানলের ঘটনা ঘটেছে গ্রিসে। ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশটিতে ২৫টি দাবানলের খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
সাহারা মরুভূমি থেকে ধূলিকণার মেঘ ভেসে আসার ঘটনা নতুন নয়। বালুঝড়ে ধুলোবালি ওড়ে আশপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
অপেক্ষাকৃত ছোট ও হালকা ধুলো বায়ুমণ্ডলে ‘ধুলো মেঘের’ সৃষ্টি করে। প্রবল বাতাসে যার বেশিরভাগ ভেসে আসে ইউরোপের দেশে।
মন্তব্য করুন
ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের একটি মহাসড়কের বড় অংশ ভেসে গেছে। এর ফলে সারা দেশের সঙ্গে চীন সীমান্তবর্তী ভারতীয় জেলা দিবাং উপত্যকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। খবর এনডিটিভির।
ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে দিবাং জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ফলে সেখানে ব্যাপক হারে ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে।একপর্যায়ে বৃষ্টি ও ভূমিধসে জেলার হুনলি ও অনিনির মধ্যবর্তী জাতীয় সড়কের বিস্তর অংশ ভেসে গেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মহাসড়কের বিশাল একটি অংশ পানির সঙ্গে ভেসে গেছে। এর ফলে কোনো যানবাহনের পক্ষে সড়ক পার হওয়া সম্ভব না। এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছেন।
ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) ইতিমধ্যে সড়ক মেরামত করতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সেখানে পাঠিয়েছে।
অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু বলেছেন, হুনলি ও আনিনির মধ্যবর্তী মহাসড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে যাত্রীদের অসুবিধার কথা জানতে পেরে মর্মহত হয়েছি। এই রাস্তাটি দিবাং উপত্যকাকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। তাই দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা সচলের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
তবে মহাসড়কে যান চলাচল পুনরায় চালু করতে কমপক্ষে তিন দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে দিবাং জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে ভূমিধস প্রবণ এলাকা থেকে জনগণকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
অরুণাচল ভূমিধস চিন সীমান্ত ভেসেগেল জাতীয় সড়ক
মন্তব্য করুন
ভারতের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নিতিন গড়করি এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মঞ্চে আচমকা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা ছুটে এসে তাকে ধরাধরি করে মঞ্চ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের এক নির্বাচনী জনসভায় এ ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মহারাষ্ট্র প্রদেশের নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা করার এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন। মঞ্চেই মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে তার দেহরক্ষী ও দলীয় নেতারা ছুটে এসে তাকে ধরেন। মঞ্চ থেকে নিচে নামিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু সময় পর জ্ঞান ফেরে তার। এরপর আবারও মঞ্চে উঠে নিজের বক্তৃতা শেষ করেন নিতিন।
ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমের কারণেই মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন এই মন্ত্রী। বর্তমানে সুস্থ আছেন জানিয়ে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন এই বিজেপি নেতা।
ভারত মহারাষ্ট্র বিজেপি নির্বাচন জনসভা
মন্তব্য করুন
ঝগড়া সময় স্ত্রীকে চড় মারতেই জ্ঞান হারান স্ত্রী। স্ত্রী মারা গেছেন ভেবে ভয় পেয়ে যান তিনি। এরপর কোনো কিছু না ভেবেই আত্মহত্যা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরালা অঙ্গরাজ্যের তিরুঅনন্তপুরমে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম প্রীজিত। মঙ্গলবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। তখন তার স্ত্রী সিনসিনা এ নিয়ে ঝগড়া করেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়।
তিউনিসিয়া উপকূলে অভিবাসীবোঝাই নৌকাডুবে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। মেডেনাইন শহরের একজন পাবলিক প্রসিকিউটর বুধবার (২৪ এপ্রিল) এএফপিকে বলেন, তিউনিসিয়ার দক্ষিণের জেরবা দ্বীপের উপকূলে গত কয়েক দিনে ১৪ জন অভিবাসীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে এসেছিল। মেডেনাইনের আদালতের প্রসিকিউটর ফেথি বাককুচে বলেন, এদের মধ্যে একজন মিশরীয় ব্যক্তিও ছিলেন। তার কাছে থাকা পাসপোর্টটি থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের একটি মহাসড়কের বড় অংশ ভেসে গেছে। এর ফলে সারা দেশের সঙ্গে চীন সীমান্তবর্তী ভারতীয় জেলা দিবাং উপত্যকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। খবর এনডিটিভির। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে দিবাং জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ফলে সেখানে ব্যাপক হারে ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে।একপর্যায়ে বৃষ্টি ও ভূমিধসে জেলার হুনলি ও অনিনির মধ্যবর্তী জাতীয় সড়কের বিস্তর অংশ ভেসে গেছে।