নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০২ এএম, ২৭ মে, ২০২০
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিপদের সাথে লড়াই করে এই মানব সভ্যতা আজ পাথরে লেখার যুগ থেকে ল্যাপটপে চলে এসেছে। এই চলার পথে অর্থনীতির চাকা ঘুরেছে বিভিন্ন কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে। তবু থেমে থাকেনি কাজ, বন্ধ হয়নি মানব প্রজাতির জীবন যাত্রা।
আজ এই আধুনিকতরা চাকচিক্যপূর্ণ সভ্যতা আবার বিপদের সম্মুখীন। সারা বিশ্ব এখন প্রায় অচল অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। এই বিপদটি হচ্ছে কোভিড-১৯ যা করোনা ভাইরাস নামে সবার আলোচিত বিষয়। তবে এই তিক্ত অবস্থাতেও কিন্তু থেমে নেই বড় বড় দেশগুলোর অর্থনীতির চাকা। কারণ এই যুগের সব চাইতে বড় শক্তি এখন যদি ধরা হয় সেটা হচ্ছে ইন্টারনেট। আর এর সুবাদেই ঘরে বসেই অফিস এর সকল রকম কাজ কর্ম এমন কি অর্থনৈতিক লেনদেনটাও করে ফেলছে ইউরোপ, আমেরিকা সহ আরও অনেক উন্নত মানের দেশ।
অ্যাপেল, মাইক্রোসফট, গুগল, অ্যামাজন সহ রাঘব বোয়াল সব কোম্পানি গুলো কিন্তু দিব্যি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বাসায়। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের জীবন যাত্রার অনেক কিছুতে পরিবর্তন আনতে হয়। আর এইবার এই কর্পোরেট জগৎ টায় পরিবর্তন এসেছে এই “হোমে অফিস” বা যাকে এক কথায় বাসায় বসে অফিস করা কেই বুঝায়। বড় বড় মিটিং সহ না না রকমের কাজ করছে বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ এবং এভাবেই তাদের অর্থনীতির উপরও নেতিবাচক প্রভাব পরবার ঝুঁকি কমে গিয়েছে অনেক অংশেই।
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এবং অর্থনীতির চাকাটিকে সচল রাখতে বাংলাদেশেও হচ্ছে হোম অফিস। তবে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে। কারণ অনেক প্রতিষ্ঠানই বিষয়টিকে ঠিক রপ্ত করতে পারেনি। যার ফলে অনেকের অবস্থা আজ বিপদ্ঘন আবার অনেকেই হয়েছেন বেকার। তবে বিশেষজ্ঞ এবং টেক জায়ান্ট কোম্পানি গুলোর মুখ পাত্ররা বলছেন এই সংকট মুহূর্তে নিজেদের অবস্থান ঠিক রাখতে এবং অর্থনীতিকে সচল করতে এই হোম অফিস এর কোন বিকল্প নেই। আপনার অর্থ উপার্জন বজায় রাখবার জন্য অবশ্যই কিছু না কিছু কাজ আপনার করতেই হবে এবং সেটাই এখন ঘরে বসে অনায়াশে করা যাচ্ছে অনলাইনে। এর পাশাপাশি গুগল দিচ্ছে “গুগল ক্লাসরুম” যা দিয়ে দেশে এবং বিদেশে স্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটির পড়ালেখা ও পরীক্ষা চালিয়ে নেয়া যাচ্ছে অনায়াসেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ তথ্য মতে জানা যায় যে আমাদের জন্য আরও খারাপ মুহূর্ত অপেক্ষা করছে যাকে বলা হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ। এই সময়ে রোগী বেড়ে যাবে কয়েক গুন সাথে সমস্যাও। কিন্তু আমাদের বসে থাকলে চলবে না। কারণ করোনা শেষ হয়ে যাবে একদিন। কিন্তু আমরা যদি আমাদের অর্থনীতিক অবস্থাকে এভাবে বসিয়ে রাখি তাহলে করোনার চাইতেও ভয়াবহ হবে পরবর্তী দৃশ্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সুতরাং বাসায় বসে যে ডিজিটাল অফিস হচ্ছে সেটা আমাদের জন্য ভালো। যারা এখনো শুরু করেননি তাদেরকেও খুব দ্রুতই শুরু করতে হবে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য।
কিছু হোম অফিস চলা প্রতিষ্ঠান এর কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে তাদের কাজের আগ্রহ এখন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কারণ ঘরে বসে যখন রিল্যাক্স একটা পরিবেশে কাজ করছেন সে সময় তাদের কর্মদক্ষতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করছেন কেউ কেউ। যাদের বেশিরভাগ কাজ কম্পিউটার এর সামনে তাদের ও কাজ করতে তেমন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না বলে জানান।
সুতরাং এই পদ্ধতিতে যদি সব প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ অল্প পরিসরে শুরু করে ফেলেন তবে আগামীতে যে বিপদের আশংকা আমরা করছি তা অনেকটাই উত্রিয়ে উঠতে পারবো বলে আসা রাখছি।
মন্তব্য করুন
১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি শীর্ষক সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শুক্রবার (২৯ মার্চ) দেশে ফেরেন তিনি।
এসময়ে তিনি আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং এর আমন্ত্রণে
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আইপিইউ সম্মেলন, ওয়ার্ল্ড
স্পিকার সামিটসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
তিনি গভর্নিং কাউন্সিলের ২১৩তম সেশনে সংসদীয় প্রতিনিধিদলসহ অংশগ্রহণ
করেন এবং 'পার্লামেন্টারি
ডিপ্লোম্যাসি: বিল্ডিং ব্রিজেস ফর পিস অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং' শীর্ষক আলোচনায় অংশগ্রহণ
করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির প্রথম
দিন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টার জেনেভাতে 'এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ মিটিং' এ সভাপতিত্ব
করেন।
এছাড়াও তিনি 'প্রটেকশন অব মাইনরিটি রাইটস' শীর্ষক ইভেন্টে প্যানেল
স্পিকার হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। '১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি' উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত
গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনেও বক্তব্য রাখেন তিনি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক
গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী
মন্তব্য করুন
গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং সেক্টরকে স্মার্ট ও গতিশীল
করতে প্রথমবারের মতো সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট
এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন
(বিজিএপিএমইএ)।
বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা, সামনে এগিয়ে যাওয়া এবং সদস্যদের
সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের জন্য সমমনা সদস্য এবং সাবেক সভাপতিদের সঙ্গে নিয়ে ইলেকশন
ফর ইউনিটি নামে একটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বিজিএপিএমইএ’র সদস্যদের সম্মানে
ইফতার মাহফিল ও নৈশ্যভোজের আয়োজন করা হয়, সেখানে সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের খান তাদের
প্যানেল ও এর নেতার নাম ঘোষণা করেন।
এ সময় অন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএপিএমইএ’র সাবেক সভাপতি রাফেজ
আলম চৌধুরী, ইকবাল হোসেন, সফিউল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
আব্দুল কাদের খান বলেন, যখন এই সংগঠনের সভাপতি ছিলাম তখন সংগঠনকে
একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করেছি এবং যা সংগঠনকে একটা নতুন মাত্রা দিয়েছে।
আমাদের এই কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং সংগঠনকে আরও গতিশীল করতে শাহারিয়ার সঠিকভাবে
নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
একজন উদ্যোক্তা হিসেবে শাহরিয়ার গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং
শিল্পে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে সফলভাবে কাজ করছেন এবং এই শিল্পের প্রতিষ্ঠান চালানোর
অভিজ্ঞতা আয়ত্ত করেছেন।
ট্রিম
এবং আনুষাঙ্গিক আইটেম রপ্তানিতে তার অসামান্য অবদানের জন্য শাহরিয়ারকে যুব উদ্যোক্তা
পুরস্কার ২০২২, বিজিএপিএমইএ প্রদান করা হয়। তিনি দ্য বিজ এন্টারপ্রিনিউরিয়াল অ্যাওয়ার্ড
২০২৩ লাভ করেন এবং জেসিআই ট্রফি ২০২১ (বাংলাদেশের দশটি অসামান্য তরুণ ব্যক্তি ২০২১)
খেতাব অর্জন করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ বলেন, বর্তমান
সময়ে গার্মেন্টস এবং গার্মেন্টস এক্সেসরি সেক্টর বৈশ্বিক ও দেশীয় চ্যালেঞ্জের মধ্যে
দিয়ে যাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য একজন সঠিক নেতৃত্বে থাকা দরকার। নতুন
নেতৃত্ব তার যোগ্যতার মাধ্যমে সরকার এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করে ব্যবসায়ীদের
পক্ষে সকল দাবি অর্জন করতে সক্ষম হবেন। শাহরিয়ারের সেই যোগ্যতা এবং দক্ষতা আছে।
ঢাকা ১৯ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শাহরিয়ারের
সাথে ব্যক্তিগতভাবে আমার অনেকদিনের পরিচয়। উনি একজন দক্ষ, সৎ ও যোগ্য শিল্প উদ্যোক্তা।
এক্সেসরিজ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী বলেন, সঠিক নেতৃত্বের অভাবে আমরা
সঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারছি না। তাই আগামী দিনে ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের
শক্তিশালী এবং ডায়নামিক লিডারশিপ প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ১৩ ফেব্রুয়ারি বিজিএপিএমইএ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা
হয়েছে। তপশিল অনুসারে আগামী ১১ মে ২০২৪-২০২৬ সময়ের জন্য একটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য
একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন বোর্ডের নেতৃত্বে রয়ছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব
(প্রশাসন-৫) ড. মো. রাজ্জাকুল ইসলাম, বিপিএএ। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- আশরাফুর রহমান,
উপসচিব (বাজেট) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (রপ্তানি শাখা) তানিয়া ইসলাম।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর
অবস্থানের পর এখন পাল্টে গেছে চিত্র। বাংলাদেশের সঙ্গে নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী
আচরণে পরিবর্তন এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
পেয়েছে নতুন মাত্রা। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আগ্রহ এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ
থেকেই। বাংলাদেশ নিয়ে
ইতিবাচক কথা আসছে মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, টানাপোড়েনের পর বাস্তববাদী
দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার কারণেই দুই দেশ সম্পর্ক সঠিক অবস্থানে নিয়ে আসতে পেরেছে। এতে
সামনের দিনগুলোয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের।
কূটনৈতিক সূত্রগুলোর মতে, বাংলাদেশে
আওয়ামী লীগ চতুর্থবার ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের বিষয়টিকে সেভাবে আর
সামনে রাখছে না। নির্বাচনের বিষয়ে তাদের আগের অবস্থানের কথা বারবার ঘোষণা করলেও বাংলাদেশের
সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে অনেক বেশি আগ্রহী। এটি ¯পষ্ট হতে
শুরু করে নির্বাচনের এক মাসের মাথায় ফেব্রুয়ারির শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
জো বাইডেনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় থেকে।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরে বিভিন্ন ইস্যু উল্লেখ
করে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা খোলাসা করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন মনোভাব।
নতুন করে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনাকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার চিঠিতে বলেন, বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক
লক্ষ্যগুলোয় সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক
অঞ্চলের জন্য আমাদের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারির পরবর্তী অধ্যায়ে
প্রবেশ করতে যাচ্ছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন
ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য
এবং আরও অনেক বিষয়ে তাদের কাজ অব্যাহত রাখতে আন্তরিক আকাক্সক্ষার কথা জানিয়ে মার্কিন
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, সমস্যা সমাধানে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে
এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে জনগণের শক্তিশালী বন্ধনই এ সম্পর্কের ভিত্তি।
বাইডেনের এ চিঠির পর যুক্তরাষ্ট্রের
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন
লুবাখারের নেতৃত্বে ঢাকা সফর করে যান দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি)
সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার। এইলিন লুবাখার ঢাকা সফরে এসে বলেছিলেন, সম্পর্ক এগিয়ে
নিতেই মার্কিন প্রতিনিধি দল সফর করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক
এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, শান্তিরক্ষাসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ
মোকাবিলায় ঢাকাকে ওয়াশিংটনের গর্বিত অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বার্তায় ব্লিঙ্কেন
বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রোহিঙ্গা সংকটে সাড়া দেওয়া, বিশ্বব্যাপী
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ আজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গর্বিত অংশীদার। আমাদের এ অংশীদারি একটি মুক্ত, উন্মুক্ত,
নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সর্বশেষ স্বাধীনতা দিবসে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অ্যাম্বাসাডর ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের প্রশংসা করেন।
তিনি ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি নির্মাণে বাংলাদেশি আমেরিকানদের
ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন
ডেমোক্র্যাটদের কাছে বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক চর্চা প্রথম অগ্রাধিকার। এ কারণেই বাংলাদেশের
নির্বাচনের বেশ আগে থেকে শ্রম অধিকারসহ মানবাধিকার, সুশাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার
মতো বিষয়গুলো সামনে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তাদের
পররাষ্ট্রনীতির সফলতা বা ব্যর্থতা মেনে নিয়ে বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তাই তারা
ব্যবসাবাণিজ্য, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল, জলবায়ু পরিবর্তনের
মতো বিষয়গুলোয় বেশি মনোযোগী হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. দেলোয়ার হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী। এ সম্পর্কের মধ্যে কিছু টানাপোড়েনের ঘটনা যদিও ঘটেছে, কিন্তু বাস্তববাদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার কারণে সেগুলো ছাপিয়ে দুই দেশই তাদের সম্পর্ক সঠিক অবস্থানে রেখেছে। তিনি বলেন, ভূরাজনৈতিক দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি ইমপ্লিমেন্ট করছে। এ অঞ্চলে তাদের মিত্রশক্তি প্রয়োজন আছে। বাংলাদেশের পাশে মিয়ানমার, চীন, ভারত রয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান মিয়ানমারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মিয়ানমারের অর্থনীতি ৮০ বিলিয়ন ডলার, অন্যদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় সাড়ে চার শ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের একদিকে ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব আছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতিরও উত্থান হয়েছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সম্পর্কের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বজায় রাখছে।
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
ঈদযাত্রায় ষষ্ঠ দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যার মধ্যে আজ পাওয়া যাচ্ছে আগামী ৮ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। অনলাইনে এই টিকিট ক্রয় করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এছাড়া দুপুর ২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। এবার স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে ঢাকা থেকে বহির্গামী টিকিট সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০টি।
জানা গেছে, এর আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই সাত দিনের টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গত ২৪ মার্চ। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট এবার অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।
এর আগে ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৪ মার্চ, ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৫ মার্চ, ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৬ মার্চ, ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে ২৭ মার্চ এবং ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে ২৮ মার্চ। এ ছাড়া ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ।
বাংলাদেশ ঈদযাত্রা বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেন টিকিট
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও ভারতের চেয়ে বেশি খাবার অপচয়
করেন বাংলাদেশে বাসাবাড়িতে একজন ব্যক্তি। যা গড়ে বছরে ৮২ কেজি খাবার। বিশ্বে ২০২২ সালে
মোট অপচয় হওয়া খাবারের পরিমাণ ১০০ কোটি টনের বেশি, যা বিশ্ববাজারে আসা মোট খাবারের
পাঁচ ভাগের এক ভাগ।
বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘের ‘খাবার অপচয় সূচক প্রতিবেদন ২০২৪’
শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক কর্মসূচির (ইউএনইপি)
ওয়েবসাইটে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে খাবারের এ অপচয়কে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’
হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে বাসাবাড়িতে একজন ব্যক্তি বছরে গড়ে
সবচেয়ে বেশি খাবার অপচয় করে মালদ্বীপে-২০৭ কেজি। বিপরীতে সবচেয়ে কম খাবার নষ্ট হয় মঙ্গোলিয়ায়-১৮
কেজি।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাসায় একজন ব্যক্তি বছরে সবচেয়ে
বেশি খাবার অপচয় করে পাকিস্তানে-১৩০
কেজি। এরপরেই আছে নেপাল-৯৩ কেজি। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে মিয়ানমার (৭৮ কেজি), শ্রীলঙ্কা
(৭৬ কেজি) ও ভারত (৫৫ কেজি)। সবচেয়ে কম ১৯ কেজি খাবার অপচয় হয়েছে ভুটানে।
খাবার অপচয় সূচকের হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রে বাসাবাড়িতে একজন ব্যক্তি
গড়ে বছরে খাবার অপচয় করেছেন ৭৩ কেজি। যুক্তরাজ্যের তা ৭৬ কেজি। চীনের ক্ষেত্রেও হিসাবটা
একই। তবে তুলনামূলক কম অপচয় হয়েছে রাশিয়ায়—৩৩ কেজি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে অপচয় হওয়া খাবারের ৬০ শতাংশই
বাসাবাড়ির। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন। ২৮ শতাংশ অপচয় হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যানটিন
ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোয়। কসাই ও মুদিদোকানে অপচয় হয়েছে ১২ শতাংশ
খাবার।
ওই বছরে অপচয় হওয়া ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার ছিল বিশ্ববাজারে আসা
খাদ্যদ্রব্যের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায়
৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখো কোটি ডলারের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।
বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন
এটি। এটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি। প্রতিবেদনটি
এখন পর্যন্ত খাবার অপচয়ের সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরেছে।
ডব্লিউআরএপির কর্মকর্তা রিচার্ড সোয়ানেল বলেন, ‘এটা আমাকে হতভম্ব করে দিয়েছে। আসলে বছরের প্রতিদিন এক বেলায় যত খাবার নষ্ট হয়, তা দিয়ে বর্তমানে অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষের সবাইকে খাওয়ানো সম্ভব।’
যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য রাশিয়া ভারত খাবার অপচয়
মন্তব্য করুন
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থানের পর এখন পাল্টে গেছে চিত্র। বাংলাদেশের সঙ্গে নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী আচরণে পরিবর্তন এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পেয়েছে নতুন মাত্রা। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আগ্রহ এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই। বাংলাদেশ নিয়ে ইতিবাচক কথা আসছে মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকে।