নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৬ পিএম, ১৩ জানুয়ারী, ২০২১
সৈয়দ আবুল হোসেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পান। নিজ এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় এবং প্রায় অপ্রতিদ্বন্দ্বি তিনি। তার হাতেই আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর দায়িত্ব তুলেদিয়েছেন।
ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে ভাগ্যবান নেতাদের অন্যতম ছিলেন সৈয়দ আবুল হোসেন। একাধারে আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, এমপি এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। কিন্তু পদ্মা সেতু বিতর্কে সব কিছু যেন লন্ডভন্ড হয়ে যায় সৈয়দ আবুল হোসেনের। মন্ত্রীত্ব চেড়ে দিতে বাধ্য হন। পরে তার আসনে আবদুস সোবহান গোপালপকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এমনকি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকেও তাকে সরিয়ে দেয়া হয়। যদিও পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকে অভিযোগ যে মনগড়া, ভিত্তিহীন ছিলো তা প্রমাণিত হয়েছে।
সেতু বিতর্কে ‘নির্যাতিত’ হবার কারণে তৎকালীন সেতু সচিব পুরুস্কৃত হয়েছেন। কিন্তু আবুল হোসেন অপাক্তেয়ই রয়ে গেলেন। তবে, সৈয়দ আবুল হোসেন আবার ফিরে আসছেন এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে আওয়ামী লীগেই। গত কিছুদিন ধরেই তিনি সরব। বিশেষ করে পদ্মা সেতুতে পুরো পুরি দৃশ্যমান হবার পর গণমাধ্যমে সরব দেখা যাচ্ছে সৈয়দ আবুল হোসেনকে। মন্ত্রীত্ব হারানোর পর নিজস্ব ব্যবসা এবং সামাজিক সেবা মূলক কর্মকান্ডে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন। এখন রাজনৈতকি অঙ্গনেও আস্তে আস্তে সরব হচ্ছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি থাকছেন। পদ্মা সেতু সহ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে বক্তব্য রাখছেন।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছেন, দলের হাইকমান্ডের সংগে সেয়দ আবুল হোসেনের সব সময় ভালো যোগাযোগ ছিলো। তাদের পরামর্শেই রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। এখন আবার তাদের নির্দেশেই আস্তে আস্তে রাজনীতির মাঠে পা রাখছেন সৈয়দ আবুল হোসেন। গুঞ্জন আছে, আবার মন্ত্রী হতে পারেন তিনি। আবার তাকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য করা হতে পারে এমন কথাও শোনা যায়। তবে, সৈয়দ আবুল হোসেন এসব পাওয়া না পাওয়া নিয়ে ভাবে না বলেই জানিয়েছেন।
পদ্মা সেতু হচ্ছে এটাই তার বড় শান্তি। তিনি মনে করেন ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি আমাকে যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে তা নিষ্ঠার সংগে পালন করেছি। ভবিষ্যতেও করবো।’
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক
লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল আজ শুক্রবার।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল আজকের এদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কৃষক লীগের ৫২ বছর পূর্তি
উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু কৃষক নেতা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে
কৃষক লীগের কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় ব্যারিস্টার বাদল রশিদকে
সভাপতি ও আব্দুর রউফকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক
লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে কৃষিবিদ সমীর চন্দকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম
স্মৃতিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ
সমীর চন্দ দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তিনি বলেছেন, দেশের কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষার
জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক
লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কৃষক লীগ কৃষকদের সংগঠিত করা, তাদের দাবি আদায়
এবং দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনটির ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা এবং দলীয়
পতাকা উত্তোলন। এছাড়াও সকাল ৭টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে ধানমন্ডির ৩২ পর্যন্ত শোভাযাত্রা।
সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ
হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কর্মসূচি রয়েছে।
এদিন বিকাল ৩টায় কৃষি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করবেন কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।